বিশ্বকাপ বাছাইপর্বে জয়ের ধারা অব্যাহত রেখেছে আর্জেন্টিনা। বলিভিয়াকে তাদের মাঠেই ২-১ গোলে হারিয়েছে লিওনেল মেসির দল। ১৫ বছর পর বলিভিয়ার মাটিতে জয় পেয়েছে আলবিসেলেস্তেরা।
ম্যাচের আগে বলিভিয়া কোচ সেসার ফারিয়াস বলেছিলেন লা পাসের উচ্চতা তাদের জন্য অ্যাডভান্টেজ এবং এখান থেকে জয় নিয়ে ফেরাটা আর্জেন্টিনার জন্য কঠিন হবে। তার কথার প্রতিফলন পাওয়া গেল ম্যাচের প্রথমার্ধে।
সমুদ্রপৃষ্ঠের প্রায় সাড়ে তিন হাজার মিটার উঁচুতে অবস্থিত লা পাসের এর্নানদেস সিলেস স্টেডিয়ামে ম্যাচের শুরুতে ছন্দ পেতে সমস্যা হয় আর্জেন্টিনার। সেই সুযোগে লিড নেয় ঘরের দল। ২৪ মিনিটে আলেহান্দ্রো চুমাসেরোর অ্যাসিস্টে বলিভিয়াকে এগিয়ে দেন মার্সেলো মরেনো।
পিছিয়ে পড়ার পরই নিজেদের ফিরে পায় আর্জেন্টিনা। মেসি বরাবরের মত নেমে এসে মাঝমাঠকে সহায়তা করা শুরু করেন। তাতেই আক্রমণের উৎস খুঁজে পায় দুইবারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়নরা।
আর্জেন্টিনা সমতা ফেরায় প্রথমার্ধের অতিরিক্ত সময়ে। লাউতারো মার্তিনেস বক্সের বাঁ প্রান্ত দিয়ে আক্রমণে উঠে পরাস্ত করেন ডিফেন্ডার হোসে কারাসকো ও গোলকিপার কার্লোস লামপেকে।
বিরতির পরও স্বাগতিক দলের উপর চাপ বজায় রাখে আর্জেন্টিনা। উচ্চতার সঙ্গে খাপ খাইয়ে নিতে দুই দিন আগে লা পাসে পৌছানো আর্জেন্টিনিয়ানরা প্রায় পুরো সময়ই নিয়ন্ত্রণ করেন ম্যাচের গতি। বলিভিয়াও চেষ্টা করে কাউন্টার অ্যাটাকের।
৬১ মিনিটে ফ্রি-কিক থেকে দলকে লিড এনে দিতে ব্যর্থ হন মেসি। তবে আর্জেন্টিনার জয়সূচক গোলের উৎস ছিলেন এই সুপারস্টার।
৭৯ মিনিটে মেসির বাড়ানো বল নিয়ে বক্সে প্রবেশ করেন মার্তিনেস। তার অ্যাসিস্ট থেকে বাঁ প্রান্ত থেকে দারুন শটে গোলকিপারকে পরাস্ত করেন হোয়াকিন কোরেয়া।
এরপর ম্যাচে আর কোন গোল না হলে, ২-১ গোলের জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে আর্জেন্টিনা। এতে করে সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে টানা নয় ম্যাচে অপরাজিত থাকল দক্ষিণ আমেরিকার দলটি।
#SelecciónMayor @Argentina 🇦🇷 lleva una ventaja de 20 partidos contra el conjunto boliviano 🇧🇴
— Selección Argentina 🇦🇷 (@Argentina) October 14, 2020
👉 A continuación, repasamos en detalle todos los encuentros disputados entre ambas selecciones ⚽
📝 https://t.co/w4NlMlaSBg pic.twitter.com/RCn59lDgVm
পিএসজিতে দুই বছরের অধ্যায় শেষ করে বার্সেলোনাতে ফিরতে চাইলে ফের আশায় বুক বেঁধেছিল বার্সা ও মেসি সমর্থকরা। কিন্তু লা লিগা বার্সেলোনার ভায়াবিলিটি প্ল্যান অনুমোদন দিতে দেরি করা ও সৌদি আরব ও যুক্তরাষ্ট্র থেকে বড় অঙ্কের প্রস্তাব আশায় মেসির কাতালুনিয়ায় ফেরা নিয়ে জেগেছে সংশয়।
মেসিকে দলে ভেড়াতে ৪০০ (সাড়ে চার হাজার কোটি টাকার বেশি) মিলিয়ন ইউরোর বিরাট এক প্রস্তাব দিয়েছে সৌদির ক্লাব আল-হিলাল। ক্যারিয়ারের শেষ সময়ে এমন প্রস্তাব কোনোভাবেই হাতছাড়া করতে চান না মেসির বাবা ও এজেন্ট হোর্গে মেসি। আবার সৌদি আরবে যেতে চাননা মেসির স্ত্রী আন্তোনেলা। তবে বার্সেলোনায় ফেরার ইচ্ছা থাকলেও তাদের কাছ থেকে এখন পর্যন্ত কোনো প্রস্তাব না আসায় দারুণ সিদ্ধান্তহীনতায় ভুগছেন ইতিহাসের অন্যতম সেরা এ ফুটবলার।
মেসির বার্সেলোনায় ফিরে আসার ইচ্ছা ফুটবল-সংশ্লিষ্ট সবারই কমবেশি জানা। বার্সায় ফিরবেন বলে ইতোমধ্যে ছেলেদের পুরনো স্কুলে অগ্রিম সিটও বুক করে রেখেছেন বলে বেশ আগেই স্প্যানিশ সংবাদমাধ্যমে খবর হয়। বার্সেলোনাও চায় মেসিকে ফেরাতে। কিন্তু সমস্যা অন্য জায়গায়।
আগামী মৌসুমের জন্য নতুন খেলোয়াড় কিনতে হলে আয়-ব্যয়ের হিসাব মেলাতে হবে আর্থিক সংকটে ভুগতে থাকা বার্সেলোনাকে। তা না হলে জুনে চুক্তির মেয়াদ শেষ হতে যাওয়া বর্তমান খেলোয়াড়দেরও রেজিষ্ট্রেশন করতে পারবে না ক্লাবটি। নিজেদের হিসাব মিলিয়ে নতুন খেলোয়াড় দলে ভেড়াতে এপ্রিলে একটি ভারসাম্য পরিকল্পনা (ভায়াবিলিটি প্ল্যান) লা লিগা কর্তৃপক্ষকে দেয় হুয়ান লাপোর্তার পরিচালনা পর্ষদ। কিন্তু প্রস্তাবিত পরিকল্পনার বেশকিছু জায়গায় ভারসাম্য না থাকায় প্রথমে সে প্রস্তাব ফিরিয়ে দেয় লিগ কর্তৃপক্ষ। পরে তা সংশোধন করে পাঠালে বিবেচনায় নেয় লিগ কর্তৃপক্ষ।
কিন্তু বার্সেলোনাকে দ্রুত সিদ্ধান্ত জানাতে ও অফিশিয়াল প্রস্তাব পাঠাতে সময় বেঁধে দিয়েছেন হোর্গে মেসি। এ সপ্তাহের মধ্যে বার্সার পক্ষ থেকে সাড়া না পেলে অন্য প্রস্তাবগুলো বিবেচনায় নেবেন তারা।
আসলে মেসিকে আল-হিলালের দেয়া প্রস্তাবে যে সময়সীমা ছিল, তা শেষ হতে চলেছে। এদিকে ডেভিড বেকহ্যামের ইন্টার মায়ামিও মেসির অবস্থা ধৈর্য্যের সঙ্গে পর্যবেক্ষণ করছে। ইন্টার মায়ামির মেসিকে দলে পাওয়ার ইচ্ছাও এখন ‘ওপেন সিক্রেট’। তাই দ্রুত বার্সেলোনার সিদ্ধান্ত জানতে চান মেসির ক্যাম্প।
এদিকে সৌদি আরবে একদমই যাওয়ার ইচ্ছা নেই মেসির স্ত্রী আন্তোনেলার। স্পেনের প্রখ্যাত ক্রিড়া সাংবাদিক জেরার্দ রোমেরো সোমবার এক টুইটে জানিয়েছেন, মেসির স্ত্রী ও সন্তান মাতেও মেসি সৌদিতে যেতে চান না।
এমন অবস্থায় উভয়সংকটে পড়েছেন ফুটবলের বরপুত্র লিওনেল মেসি।
টিওয়াইসি স্পোর্টসের আর্জেন্টিনা বিষয়ক সাংবাদিক গাস্তোন এদুল এক টুইটে জানান, ‘মেসি কেন আর (সিদ্ধান্ত নিতে) দেরি করতে চান না, তা আমি (মেসির ক্যাম্প থেকে) জেনেছি। হুয়ান লাপোর্তার সঙ্গে মেসির ক্যাম্পের আলোচনা শুরু হয় মে মাসের শুরুতে। সে সময় লাপোর্তা জানিয়েছেলেন, ভায়াবিলিটি প্ল্যান নিয়ে লা লিগার সঙ্গে ঝামেলা মে মাসের ১৫ তারিখের মধ্যে মিটে যাবে। কিন্তু সে সময় চলে গিয়ে ৩-৪ সপ্তাহ অতিক্রান্ত হলেও বার্সেলোনার সমস্যা মেটেনি। আবার লা লিগা (ভায়াবিলিটি) প্ল্যানে অনুমতি দিলেও খেলোয়াড় বিক্রি ও অন্যান্য বিষয়ে হিসাব মেলাতে ক্লাবটির আরও সময় প্রয়োজন।
‘মেসির ক্যাম্প আসলে ভয় পাচ্ছে, মেসিকে আদৌ বার্সেলোনা রেজিস্ট্রেশন করতে পারবে কিনা সে বিষয়ে কোনো গ্যারান্টি নেই। বার্সেলোনার জন্য অপেক্ষা করবে কি না, সে বিষয়ে গ্যারান্টি চান মেসি। তিনি কোনোভাবেই ২০২১ সালের ঘটনার পুনরাবৃত্তি চান না।’
গতকাল দুপুরে বার্সেলোনার পরিকল্পনার অনুমোদন দিয়েছে লা লিগা। এরপর ক্লাব সভাপতি হুয়ান লাপোর্তার সঙ্গে বৈঠক করেন হোর্গে মেসি। বৈঠক শেষে তিনি সংবাদিকদের বলেন, ‘আমি অবশ্যই লিওকে বার্সায় ফিরতে দেখতে চাই। কিন্তু বৈঠকে তেমন স্পষ্ট কোনোকিছু আলোচনা হয়নি।’
বৈঠকে মেসির জন্য কোনো অফিশিয়াল প্রস্তাব দিতে পারেননি লাপোর্তা। তবে দুপক্ষই আরও কিছু সময় ধৈর্য ধরতে রাজি হয়েছে।
হোর্গে মেসি বলেন, ‘লিও এখনই যে কোনো একটা সিদ্ধান্তে আসতে চায়। পুরো ঘটনাটি নিয়ে সে ক্লান্ত হয়ে পড়েছে।’
তবে বার্সেলোনা কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আরেকদফা বৈঠকে সম্মত হয়েছেন মেসির বাবা। আজ বা কালকের মধ্যেই তা হতে পারে বলে এক টুইটে জানিয়েছেন বার্সেলোনার খবর প্রাপ্তির সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য ব্যক্তিত্ব রিশাদ রহমান। তিনি জানিয়েছেন, ওই বৈঠকেই সম্ভবত মেসিকে অফিশিয়াল প্রস্তাব দেয়া হতে পারে।
মেসির দলবদল ঠিক কোন দিকে মোড় নেবে, তা আগামী দুই-একদিনের মধ্যেই জানা যাবে বলে জানিয়েছেন রিশাদ।
আরও পড়ুন:ইউরোপা লিগের ফাইনালে সেভিয়া কখনও হারে না। এটাই সত্য হয়ে উঠল আরেকবার। রোমার বিপক্ষে বুধবার নির্ধারিত ৯০ ও পরের ৩০ মিনিট ১-১ গোলে ড্র থাকা ফাইনাল গড়াল টাইব্রেকারে। যেখানে হোসে মরিনিওর রোমাকে ৪-১ গোলে হারিয়ে ইউরোপা লিগ জিতেছে সেভিয়া।
ইউরোপা লিগের এটি সপ্তম শিরোপা সেভিয়ার। এর আগে ইউরোপা লিগ জিতেছিল ২০০৬, ২০০৭, ২০১৪, ২০১৫, ২০১৬ ও ২০২০ সালে।
হাঙ্গেরির পুসকাস অ্যারেনায় বুধবার ফাইনালের ৩৫তম মিনিটে দারুণ এক পাল্টা আক্রমণ থেকে দিবালার গোলেই এগিয়ে গিয়েছিল রোমা। সেভিয়ার ইভান রাকিতিচের কাছ থেকে বল কেড়ে নিয়ে মানচিনি দারুণ পাস দেন দিবালাকে। দুই ডিফেন্ডারের মধ্য দিয়ে ক্ষিপ্র গতিতে বক্সে ঢুকে কোনাকুনি শটে দলকে এগিয়ে দিল পাওলো দিবালা। তবে দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই সমতায় ফেরে সেভিয়া। এর দায় অবশ্য রোমার ডিফেন্ডার মানচিনিরও। প্রতিপক্ষের হেসুস নাভাসের একটি বিপজ্জনক ক্রস হেডে ক্লিয়ার করতে গিয়ে নিজেদের জালে বল জড়িয়ে দেন তিনি।
এরপর ১-১ গোলের সমতায় শেষ হয় ৯০ মিনিটের খেলা। পরের ৩০ মিনিটও। শিরোপার নিষ্পত্তির জন্য শেষমেষ আশ্রয় নিতে হয় টাইব্রেকারের। যেখানে সেভিয়ার চার জন শট নিয়ে চারজনই সফল। লুকাস ওকাম্পোস, এরিক লামেলা ও ইভান রাকিতিচের পর সফল শট নেন মন্তিয়েল। স্পট কিকে রোমার গোলটি এসেছে ব্রায়ান ক্রিস্তান্তের শটে। হোসে মরিনিওর দলের দ্বিতীয় শট অসমান্য তৎপরতায় রুখে দেন সেভিয়া গোলরক্ষক ইয়াসিন বোনু।
ইউরোপা লিগের ফাইনালে সেভিয়া যেমন ছিল অজেয়, তেমনি ইউরোপীয় কোনো টুর্নামেন্টের ফাইনালেও হারেননি কোচ হোসে মরিনিও। বুধবার আর জেতা হলো না তার। সেই দুঃখেই কি না, রানার্সআপ মেডেলটি গ্যালারির এক ক্ষুদে দর্শকের হাতে দিয়ে মাঠ ছাড়েন মরিনিও।
যার হাত ধরে ইতিহাস ইতিহাস গড়েছিল বাংলাদেশের নারী ফুটবল দল সেই গোলাম রব্বানী ছোটন এবার দায়িত্ব ছাড়ছেন।
জাতীয় নারী দলের সফল এই কোচ শুক্রবার দায়িত্ব ছাড়ার ঘোষণা দিয়েছেন।
এক এক করে অবসরের যাচ্ছেন নারী ফুটবল দলের সদস্যরা। শুক্রবার সর্বশেষ গেছেন সাফজয়ী দলের অন্যতম স্ট্রাইকার সিরাত জাহান স্বপ্না।
গোলাম রব্বানী ছোটন বলেছেন, ‘আমি আর এ মাসটা আছি। আগামী মাস থেকে নারী দলের দায়িত্বে আর থাকছি না।’
তিনি বলেন, গত সাত-আট বছর অক্লান্ত পরিশ্রম করেছি। পারিবারিক জীবন, ব্যক্তিগত জীবনে সময় দিতে পারিনি। আমার বিশ্রাম দরকার।
বাংলাদেশের নারী ফুটবল দলের সহকারী কোচ, প্রধান কোচ হিসেবে কাজ করেছেন ছোটন। এক যুগ ধরে দায়িত্বে ছিলেন তিনি।
ছোটনের নেতৃত্বেই ২০১৭ সালে সাফ অনূর্ধ্ব-১৫, ২০১৮ সালে সাফ অনূর্ধ্ব-১৮, ২০২১ সালে সাফ অনূর্ধ্ব-১৯ টুর্নামেন্টে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে বাংলাদেশের মেয়েরা।
আরও পড়ুন:আর্সেনালের সঙ্গে দীর্ঘমেয়াদে চুক্তিবদ্ধ হয়েছেন বুকায়ো সাকা। চুক্তি অনুযায়ী ২০২৭ সাল পর্যন্ত আর্সেনালেই থাকছেন সাকা।
প্রিমিয়ার লিগের ক্লাব সূত্র এই ঘোষণা দিয়ে জানিয়েছে ক্যারিয়ারকে সমৃদ্ধ করতে সাকা সঠিক সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। এএফপির বরাতে বাসসের প্রতিবেদনে এসব জানানো হয়।
ইংল্যান্ডের এই ফরোয়ার্ড এবারের মৌসুমে আর্সেনালের জার্সিতে চমক দেখিয়ে ১৪ গোল এবং ১১টি অ্যাসিস্ট করেন।
গত দুই মৌসুমে প্রিমিয়ার লিগে প্রতিটি ম্যাচেই তিনি আর্সেনালকে প্রতিনিধিত্ব করেন।
২১ বছর বয়সী সাকা ধীরে ধীরে নিজেকে আর্সেনালের গুরুত্বপূর্ণ খেলোয়াড়ে পরিণত করেছেন।
তিনি বলেন, ‘আমি মনে করি একজন সেরা খেলোয়াড় হিসেবে গড়ে উঠতে হলে যা কিছু প্রয়োজন, তার সবই আমি এখানে পেয়েছি। এ কারণেই এখানে থাকতে পেরে আমি খুশি। ভবিষ্যতেও এখানে থাকতে চাই। সত্যিকার অর্থেই আমি বিশ্বাস করি, আমরা সবাই মিলে অনেক বড় কিছু অর্জন করতে পারব।’
আরও পড়ুন:ফুটবল বিশ্বকাপ আয়োজনে আগ্রহী সৌদি আরব। দেশটিতে ২০৩০ বা ২০৩৪ সালেই বিশ্ববাসীকে জড়ো করার পরিকল্পনা করা হচ্ছে।
এশিয়ান ফুটবল কনফেডারেশনের (এএফসি) সভাপতি শেখ সালমান বিন ইব্রাহিম আল-খালিফা জানান সৌদি আরব বিশ্বকাপ আয়োজনের সামর্থ্য রাখে। খুব শিগগিরই আরবের মাটিতে আরেকটি বিশ্ব আসর বসাতে তৎপরতা চলছে। খবর বাসসের।
সিরিয়া ও লেবানন সফরে গিয়ে সোমবার বৈরুতে সাংবাদিকদের কাছে বাহরাইনের শেখ সালমান বলেন, ‘আমি মনে করি আয়োজনের সব যোগ্যতা সৌদি আরবের আছে, কিন্তু আমাদের সঠিক সময় বেছে নিতে হবে, সেটা হতে পারে ২০৩০ কিংবা ২০৩৪। তবে ২০৩৪ সালে হলে বেশী ভাল হবে। আমরা ওই দিকে তাকিয়ে রয়েছি। তবে পরিস্থিতি অনুকুলে থাকে ২০৩০ সালেই আমরা প্রস্তুত।’
২০৩০ সালের বিশ্বকাপের জন্য স্পেন, পর্তুগাল ও মরক্কো যৌথভাবে একটি এবং আর্জেন্টিনা, চিলি, উরুগুয়ে ও প্যারাগুয়ে মিলে আরও একটি বিডে অংশ নেয়ার আগ্রহ জানিয়েছে।
গত সেপ্টেম্বরে মিশরীয় যুব ও ক্রীড়ামন্ত্রী মুহাম্মদ ফাওজির পক্ষে এক মুখপাত্র জানান, বিশ্বকাপ আয়োজনে সৌদি আরব ও গ্রীস যৌথ বিডে অংশ নিতে চায়।
এদিকে সৌদি ক্রীড়ামন্ত্রী প্রিন্স আবদুল আজিজ বিন তুরকি আল ফয়সাল ফেব্রুয়ারিতে বার্তা সংস্থা এএফপিকে জানান, তার দেশ এখনও প্রার্থীতার জন্য কোনো ফাইল জমা দেয়নি, তবে সবকিছুই সম্ভব।
এএফসি জানায়, তারা কন্টিনেন্টাল ফেডারেশন ও ফিফার সঙ্গে সমন্বয় করছে। যে কোনো দেশের সঙ্গে যৌথ বিডে যাবার জন্য সব ধরনের সমঝোতার বিষয়টিও বিবেচনা করছে, যাতে শিগগির একটি ফাইল উপস্থাপন করা যায়।
অন্তত ৯০ ভাগ সফলতা নিশ্চিত করেই সবকিছু করতে চায় সংস্থ্যাটি।
তাদের মতে, ৪৭টি ভোট তারা নিশ্চিত। বিশ্বকাপের স্বাগতিক হতে হলে ১১০ ভোটের প্রয়োজন হয়।
২০২৬ এএফসি উইমেন্স কাপ, ২০২৭ সালে প্রথমবারের মতো এশিয়ান কাপ, ২০৩৪ সালে এশিয়ান গেমস ও ২০২৯ সালে এশিয়ান উইন্টার গেমস সৌদি আরবে অনুষ্ঠিত হবে।
জেদ্দায় অনুষ্ঠিত হয়েছে ফমূর্লা ওয়ান রেস, স্প্যানিশ সুপার কপা, গল্ফ টুর্নামেন্ট ও বক্সিং টাইটেল বাউটস।
জানুয়ারিতে সৌদি আরবের ক্লাব আল নাসরে যোগ দেন পর্তুগীজ সুপারস্টার ক্রিস্টিয়ানো রোনাল্ডো।
ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের ক্লাব নিউক্যাসল কিনে নিয়েছে সৌদি মালিকানাধীন একটি প্রতিষ্ঠান।
অপরদিকে ২০২৬ বিশ্বকাপে কিছু পরিবর্তন আসতে যাচ্ছে।
আসরটি আরও বৈশ্বিক করতে প্রথমবারের মত ৪৮ দল নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা ও মেক্সিকোতে বিশ্বকাপ হবে।
এশিয়ায় দুইবার বিশ্বকাপ আয়োজিত হয়। ২০০২ সালে দক্ষিণ কোরিয়া ও জাপানে যৌথভাবে এবং ২০২২ সালে কাতার আয়োজন করে মরুভূমির সক্ষমতা বিশ্বের দরবারে তুলে ধরে।
আরও পড়ুন:আর্জেন্টিনার কিংবদন্তি ফুটবলার প্রয়াত দিয়েগো ম্যারাডোনার অফিসিয়াল ফেসবুক অ্যাকাউন্টি হ্যাকিংয়ের শিকার হয়েছে।
স্থানীয় সময় মঙ্গলবার সন্ধ্যায় আইডি নিয়ন্ত্রণে নিয়ে নানা ধরনের পোস্ট দেয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছে ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস।
উদ্ভট এমন কাণ্ডে বেশ বিব্রত বিশ্বজুড়ে ম্যারাডোনার ভক্তরা। এর প্রেক্ষাপটে ম্যারাডোনার স্বজনরা বিবৃতি দিয়ে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
প্রায় ১ কোটি ২০ লাখ অনুসারী থাকা ফেসবুক আইডি হ্যাক করার পর প্রথমেই হ্যাকাররা লেখেন, ‘তোমরা নিশ্চয়ই জানো, আমার মৃত্যুর খবরটা ঠিক না।’ এরপর বেশ কয়েকটি পোস্ট দেয়া হয়।
একটি পোস্টে বলা হয়, ‘স্বর্গে কোনো কোক নেই, শুধু পেপসি।’ আরেক পোস্টে লিওনেল মেসির দীর্ঘজীবন কামনা করা হয়।
ম্যারাডোনার পরিবারের পক্ষ থেকে দেয়া বিবৃতিতে বলা হয়, দুঃখের সঙ্গে জানাচ্ছি যে, দিয়েগো ম্যারাডোনার অফিসিয়াল ফেসবুক অ্যাকাউন্ট সাইবার আক্রমণের শিকার হয়েছে।
কারা এবং কী কারণে ম্যারাডোনার ফেসবুক আইডি হ্যাক করা হয়েছে তা এখনও জানা যায়নি।
সর্বকালের সেরা ফুটবলারদের অন্যতম ডিয়েগো ম্যারাডোনা ২০২০ সালের ২৫ নভেম্বর মারা যান। হার্ট অ্যাটাকে ৬০ বছর বয়সে মৃত্যু হয় বিশ্বনন্দিত এই ফুটবল মহাতারকার।
আরও পড়ুন:১৫ পয়েন্ট না হলেও ১০ পয়েন্ট ঠিকই কাটা গেল ইতালিয়ান ক্লাব ইউভেন্তুসের। এর ফলে আগামী মৌসুমে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ তো দুরের কথা, ইউরোপা লিগ এমনকি উয়েফা কনফারেন্স লিগে স্থান পাওয়া নিয়েও দেখা দিয়েছে অনিশ্চয়তা।
দলবদলের চুক্তি সম্পর্কিত নানা অনিয়মের অভিযোগে নতুন একটি শুনানির পর সেরি আ’তে চলতি মৌসুমে দলটির ১০ পয়েন্ট কেটে নেয়ার রায় দিয়েছে ইতালির একটি ক্রীড়া আদালত।
সোমবার স্থানীয় সময় রাত পৌনে ৯টায় এমপোলির সঙ্গে খেলা চলছিল ইউভেন্তুসের। ম্যাচটিতে এমপোলির কাছে ৪-১ গোলে হারে মাস্সিমিলিয়ানো আলেগ্রির দল। খেলা শেষ হওয়ার ১০ মিনিট আগে এ রায়ের খবর আসে বলে গোল ডটকমের প্রতিবেদনে বলা হয়।
এ মামলায় ২০২৩ সালের জানুয়ারি মাসে এক রায়ে প্রথমে ১৫ পয়েন্ট কেটে নেয়া হয় ‘তুরিনের বুড়ি’দের; সাথে করা হয় জরিমানা। সে সময় পয়েন্ট টেবিলের দশম অবস্থানে নেমে যায় তারা। তবে এপ্রিলে ইতালির শীর্ষ ক্রীড়া আদালত রায়টি পর্যালোচনা করতে বললে আবারও চ্যাম্পিয়ন্স লিগের স্পট ফিরে পায় তারা। পর্যালোচিত রায়ে জরিমানাও স্থগিত করা হয়। এরপর দারুণ খেলে তারা পয়েন্ট টেবিলের দ্বিতীয় অবস্থানে উঠে আসে।
কিন্তু মৌসুমের শেষ সময়ে ১০ পয়েন্ট কাটা এই শাস্তির ফলে পয়েন্ট টেবিলের সপ্তম অবস্থানে নেমে গিয়েছে ইউভেন্তুস। এতে আগামী মৌসুমে ইউরোপীয় প্রতিযোগিতায় খেলা নিয়ে অনিশ্চয়তায় পড়ে গেছে দলটি।
ইতালির লিগ ‘সেরি আ’ থেকে পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষ ৪ দল পরের মৌসুমে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ খেলার যোগ্যতা অর্জন করে। পঞ্চম দল ইউরোপা লিগ ও ষষ্ঠ দল উয়েফা কনফারেন্স লিগে প্রতিযোগিতা করার সুযোগ পায়। ৫৯ পয়েন্ট নিয়ে ইউভেন্তুসের অবস্থান এখন সপ্তম।
তবে এতকিছুর পরও ইউরোপীয় প্রতিযোগিতায় খেলার সম্ভাবনা একেবারে হাতছাড়া হয়ে যায়নি তাদের।
৬৪ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের চতুর্থ অবস্থানে রয়েছে এসি মিলান। ৬১ পয়েন্ট নিয়ে পঞ্চম অবস্থানে আতালান্তা ও ৬০ পয়েন্ট নিয়ে ষষ্ঠ অবস্থানে রোমা। একটু খেয়াল করলে দেখা যায়, চতুর্থ অবস্থানে অর্থাৎ, চ্যাম্পিয়ন্স লিগের শেষ স্পটে থাকা এসি মিলানের চেয়ে ইউভেন্তুসের পয়েন্ট ব্যবধান ৫, আতালান্তা ও রোমার সঙ্গে পয়েন্ট ব্যবধান মাত্র ২ ও ১।
ইউভেন্তুসের হাতে এখনও দুই ম্যাচ রয়েছে যার একটি এসি মিলান ও অপরটি উদিনিসের সঙ্গে। রোববার (২৮ মে) এসি মিলানের সঙ্গে যদি জিততে পারে, তাহলে তাদের সঙ্গে ইউভেন্তুসের ব্যবধান কমে আসবে দুইয়ে। সে সঙ্গে আতালান্তা ও রোমা যদি শেষ দুই ম্যাচে পয়েন্ট হারায়, আর ইউভেন্তুস পরের দুই ম্যাচই জেতে, তাহলে হয়ত ইউরোপা লিগ বা কনফারেন্স লিগে আগামী মৌসুমে দেখা যেতে পারে ‘ওল্ড লেডি’দের।
আরও পড়ুন:
মন্তব্য