নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে বুধবার আর্জেন্টিনার জার্সি পরে গুলি চালানো এক ব্যক্তির ছবি ও ভিডিও ভাইরাল হয়েছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে।
ওই ব্যক্তির পরিচয় নিয়ে বিভিন্ন তথ্য ছড়িয়েছে ফেসবুকে। তিনি আইনশৃঙ্খলা রক্ষার দায়িত্বে থাকা কোন বাহিনীর সদস্য তা নিয়েও তৈরি হয়েছে ধোঁয়াশা।
কয়েকটি সংবাদ মাধ্যম পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার বরাতে ওই ব্যক্তিকে মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) সদস্য বলে দাবি করেছে। তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার তথ্যও জানানো হয়েছে।
তবে ডিবিপ্রধান হারুন অর রশিদ জানিয়েছেন, আলোচিত ওই ব্যক্তি আনসার বাহিনীর সদস্য। তিনি আইনবহির্ভূত কোনো কাজ করেননি।
ফেসবুকে ভাইরাল ওই ব্যক্তিকে ছাত্রলীগের বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়-বিষয়ক সম্পাদক আল-আমিন রহমান হিসেবেও প্রচার করছেন অনেকে। এ ঘটনায় বিস্ময় প্রকাশ করে আল-আমিন বলছেন, রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে অপপ্রচারের মুখোমুখি হয়েছেন তিনি।
আর্জেন্টিনার জার্সি পরে অস্ত্র হাতে নয়াপল্টনে তৎপর আলোচিত ব্যক্তির নাম মাহিদুর রহমান বলে নিউজবাংলাকে নিশ্চিত করেন ডিবিপ্রধান হারুন অর রশিদ।
তিনি বলেন, ‘আর্জেন্টিনার জার্সি পরে গুলি চালানো ওই ব্যক্তি পল্টন থানার অন্তর্ভুক্ত আনসার সদস্য মাহিদুর রহমান। জানমাল রক্ষার্থে যেকোনো পোশাকে আইনশৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীর সদস্যরা অংশ নিতে পারেন। আমি নিজেও সিভিল পোশাকে ছিলাম। এটা অন্যায় নয়।’
এর আগে কয়েকটি সংবাদমাধ্যম ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) যুগ্ম কমিশনার বিপ্লব কুমার সরকারের বরাতে জানায়, আলোচিত ওই ব্যক্তি ডিবির সদস্য। তাকে ক্লোজ করা হবে।
বিষয়টি নিয়ে জানতে বৃহস্পতিবার বিকেলে বিপ্লব কুমার সরকারকে একাধিকবার ফোন করা হলেও তিনি ধরেননি, খুদেবার্তারও সাড়া দেননি।
অন্যদিকে, আর্জেন্টিনার জার্সি পরা ওই ব্যক্তিকে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়-বিষয়ক সম্পাদক আল-আমিন রহমান হিসেবেও প্রচার চলছে।
এতে বিস্ময় ও ক্ষোভ জানিয়েছেন আল-আমিন রহমান। তিনি নিউজবাংলাকে বলেন, ‘এটা খুবই অপ্রত্যাশিত ব্যাপার। ক্যাম্পাসের বাইরের একটি ঘটনায় উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে আমাকে জড়ানো হয়েছে। বিএনপি মিথ্যাচার আর গুজবের রাজনীতি করে। তারাই এ কাজ করেছে।’
এই ছাত্রনেতা দাবি করেন, বিএনপি নেতা ইশরাক হোসেনের অফিশিয়াল ফেসবুক পেজ থেকে প্রথম অপপ্রচার চালানো হয়। এরপর বিএনপির বিভিন্ন পেজ এটি ছড়িয়ে দেয়।
আল-আমিন নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আমি এ বিষয়ে পাঁচটি ফেসবুক পেজের উল্লেখ করে শাহবাগ থানায় জিডি করেছি।’
বিষয়টি নিয়ে ফেসবুকে একটি স্ট্যাটাসও দিয়েছেন আল-আমিন। এতে তিনি নিজেকে ব্রাজিল সমর্থক উল্লেখ করে ব্রাজিলের জার্সিতে নিজের ছবিও শেয়ার করেছেন।
আল-আমিন লেখেন, ‘১০ তারিখ রাজধানী শহর ঢাকায় বিএনপি-জামায়াত দেশবিরোধী চক্রের নাশকতা প্রতিরোধে গোয়েন্দা পুলিশের সাদাপোশাকে অস্ত্র হাতে এবং হেলমেট পরা এক সদস্যের ছবিকে দেশে-বিদেশে আমার ছবি বলে বিরোধী দলের গুজববাহিনীর লোকজন ফেসবুকে ভাইরাল করে প্রাণপ্রিয় সংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগ ও আমার বিরুদ্ধে জঘন্য অপপ্রচার করছে।
‘এ তালিকায় লন্ডনে পালিয়ে থাকা তারেক গংয়ের প্রোপাগান্ডা সেলের লোকজনেরও পরিচয় পাওয়া গেছে। হাস্যকর ব্যাপার হলো, আমি ছোটবেলা থেকে বিশ্বকাপে ব্রাজিলের সমর্থক। আমার শত্রুও তা জানে। সাদাপোশাকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য পরে আছেন আর্জেন্টিনার জার্সি।
‘উপরন্তু, আমার উচ্চতা ছয় ফুট। ছবিটা ভালো করে দেখলেই স্পষ্ট বুঝা যায়। পেছনে পুলিশের গাড়িও আছে। এ ছবি বিশ্লেষণ করে প্রকৃত ব্যক্তিকে আইডেন্টিফাই করতে বায়োলজি বা ফরেনসিক বিশেষজ্ঞ হবার দরকার নেই। একটু পর্যবেক্ষণই যথেষ্ট।’
এদিকে আর্জেন্টিনার জার্সি পরিহিত ওই ব্যক্তি নিজেকে আনসার সদস্য পরিচয় দিয়ে বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল টুয়েন্টিফোরকে বলেন, ‘আমি পল্টন থানায় আনসার সদস্য হিসেবে কর্মরত আছি। ঘটনার আগে দুপুরের খাবারের পর আমি বিশ্রাম নিচ্ছিলাম। এ সময় আমাদের বিশেষ অ্যালার্ম বেজে ওঠে।’
তিনি আরো বলেন, ‘আমাদের প্রতি ওসি স্যারের নির্দেশনা রয়েছে যখন অ্যালার্ম বেজে উঠবে তখন যে যে অবস্থায় থাকবে, সে অবস্থায় থানার নিচে নেমে আসতে হবে। আমিও যে অবস্থায় ছিলাম সে অবস্থায় শুধু জুতা পরে নিচে নেমে আসি ও কাজ শুরু করি।’
আরও পড়ুন:নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গি সংগঠন হরকাতুল জিহাদের মুফতি হান্নানসহ একাধিক নেতৃস্থানীয় ব্যক্তি গ্রেপ্তার হওয়ায় হরকাতুল জিহাদ সংগঠনটি নেতৃত্ব শূন্য হয়ে যায়। এরই ধারাবাহিকতায় দেশে এসে ফখরুল ইসলাম জঙ্গি কার্যক্রম অব্যাহত রাখতে নতুন সদস্য সংগ্রহ ও বাংলাদেশে নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গি সংগঠন হরকাতুল জিহাদের (হুজি) সদস্য সংগ্রহ, অর্থ সংগ্রহ করা এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দাওয়াতি কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছেন।
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের সিটিটিসি ইউনিটের সিটি সাইবার ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন ডিভিশনের ডিজিটাল ফরেনসিক টিম বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গি সংগঠন হরকাতুল জিহাদের (হুজি) ফখরুল ইসলামসহ ছয় সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন মো. ফখরুল ইসলাম, মো. সাইফুল ইসলাম, মো. সুরুজ্জামান, হাফেজ মো. আব্দুল্লাহ আল মামুন, মো. দীন ইসলাম এবং মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ আল মামুন।
ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে শনিবার দুপুরে সিটিটিসি প্রধান অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার মো. আসাদুজ্জামান জানান, গ্রেপ্তারের সময় তাদের কাছ থেকে জঙ্গি কর্মকাণ্ডে ব্যবহৃত নয়টি মোবাইল উদ্ধার করা হয়েছে।
কে এই ফখরুল ইসলাম
সিটিটিসি প্রধান আসাদুজ্জামান বলেন, ‘বিদেশ থেকে জঙ্গি বিষয়ে ট্রেনিং প্রাপ্ত বাংলাদেশে নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গি সংগঠন হরকাতুল জিহাদের (হুজি) সক্রিয় সদস্য মো. ফখরুল ইসলাম ১৯৮৮ সালে গাজীপুর জেলার টঙ্গী তামিরুল মিল্লাত মাদ্রাসায় দারোয়ানের চাকরি করতেন।
‘পরবর্তীতে ১৯৮৮ সালে কাজের উদ্দেশে বাংলাদেশ থেকে পাকিস্তানের করাচি শহরে যান। পাকিস্তানে অবস্থানের সময় বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত মুফতি জাকির হোসেনের সঙ্গে পরিচয় হয় তার। মুফতি জাকির হোসেন পাকিস্তানের করাচি শহরে ইসলামীয়া মাদ্রাসার প্রিন্সিপাল এবং আল কায়েদার সামরিক কমান্ডার হিসেবে দায়িত্ব পালন করতেন।
‘মুফতি জাকির আল কায়েদা সংগঠনের জিহাদি ট্রেনিংয়ের কমান্ডার। মুফতি জাকির ফখরুল ইসলামকে জিহাদের দাওয়াত দিলে সে দাওয়াত গ্রহণ করেন। ফখরুল ইসলাম জিহাদি ট্রেনিংয়ে অংশগ্রহণের জন্য মুফতি জাকিরের সঙ্গে একাধিকবার পাকিস্তান থেকে আফগানিস্তানের কান্দাহার শহরে দীর্ঘকালীন প্রশিক্ষণে যান।’
আগ্নেয়াস্ত্র প্রশিক্ষণ
ফখরুল ওই ট্রেনিংয়ে বিভিন্ন অস্ত্র প্রশিক্ষণের পাশাপাশি অত্যাধুনিক আগ্নেয়াস্ত্র একে-৪৭, এলএমজি ও রকেট লাঞ্চার পরিচালনা শেখেন। ট্রেনিংয়ের সময় কান্দাহারের সমশেদ পাহাড়ে তিনি নিয়মিত ফায়ারিং অনুশীলন করতেন। অনুশীলনের সময় ফখরুল ইসলাম একে-৪৭সহ সশস্ত্র অবস্থায় প্রশিক্ষণ এলাকায় চার ঘণ্টা করে নিরাপত্তামূলক পাহারা ডিউটি করতেন।
সিটিটিসি প্রধান আসাদুজ্জামান আরও বলেন, ওই সময়ে ফখরুল আল কায়েদা নেতা ওসামা বিন লাদেন ও মোল্লা ওমরের সঙ্গে একাধিকবার সাক্ষাৎ করেন। তিনি আফগানিস্তানে বিভিন্ন মেয়াদে জিহাদি ট্রেনিং করার পর আবার পাকিস্তানের করাচিতে ফিরে আসেন। করাচি থেকে ১৯৯৫ সালে ইরানের রাজধানী তেহরান যান এবং প্রায় ৩ বছর সেখানে থাকার পর করাচিতে ফিরে আসেন। পরবর্তীতে ইসলামাবাদ থেকে ভারতের ভিসা নিয়ে ১৯৯৮ সালে বাংলাদেশে চলে আসেন।
বিভিন্ন এনক্রিপটেড অ্যাপস ব্যবহারে যোগাযোগ
সিটিটিসি জানায়, ফখরুল সাংগঠনিক কার্যক্রম স্বশরীরে ছাড়াও বিভিন্ন সামাজিক যোগাযাগ মাধ্যম ব্যবহার করে অব্যাহত রাখতেন। তিনি অত্যাধুনিক সামাজিক যোগাযাগ মাধ্যমে এনক্রিপটেড অ্যাপস বিপ ব্যবহারের মাধ্যমে অত্যন্ত সতর্কতার সঙ্গে বিদেশে অবস্থানরত প্রবাসীদের এবং বাংলাদেশের অন্যান্য হুজি সদস্যদের সঙ্গে উগ্রবাদী ও আক্রমণাত্মক বিষয়ে আলোচনা করে ম্যাসেজ আদান-প্রদান করতেন এবং যেকোনো সময় বাংলাদেশের গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনাগুলোতে বড় ধরনের জঙ্গি হামলা পরিচালনার বিষয়ে নিজেদের মধ্যে পরিকল্পনা করতেন।
রোহিঙ্গাদের রিক্রুট ও পাহাড়ি এলাকায় প্রশিক্ষণ ক্যাম্প করতে চেয়েছিল হুজি
বাংলাদেশের হুজি সদস্যদের বান্দরবান পাহাড়ি এলাকায় প্রশিক্ষণ প্রদানের ব্যবস্থা করার পরিকল্পনা করেছিল গ্রেপ্তারকৃতরা। ফখরুল ও তার ছেলে গ্রেপ্তার সাইফুল ইসলাম অন্যান্য হুজি সদস্যদের নিয়ে একাধিকবার কক্সবাজার জেলায় অবস্থিত রোহিঙ্গা ক্যাম্পে রোহিঙ্গাদের তাদের সংগঠনে রিক্রুটের উদ্দেশে এবং জিহাদি কার্যক্রমের অংশ হিসাবে রোহিঙ্গাদের অনুপ্রাণিত করার উদ্দেশে তাদেরকে বিভিন্ন সময় মোটা অংকের টাকা অনুদান করেন।
যেভাবে দেয়া হতো বোমা বানানোর প্রশিক্ষণ
নিষিদ্ধ ঘোষিত হুজির একটি এনক্রিপটেড অ্যাপের প্রাইভেট চ্যানেল থেকে প্রাপ্ত কনটেন্ট আব্দুল্লাহ আল মামুন তার সংগঠনের পরিচিত দুই একজনকে হাতে কলমে বোমা বানানোর প্রশিক্ষণ লাভের উদ্দেশে এবং বোমা বানানোর নির্দেশনা দিয়ে শেয়ার করেছে।
আরও পড়ুন:পদযাত্রার মধ্য দিয়ে সরকারকে পদত্যাগের বার্তা দেয়া হচ্ছে জানিয়ে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, দ্রুত ক্ষমতা থেকে সরে না দাঁড়ালে পালানোর পথ পাবে না ক্ষমতাসীনরা।
রাজধানীর বাড্ডার সুবাস্তু মার্কেটের সামনের সড়ক থেকে শনিবার দুপুর আড়াইটার দিকে দলের পূর্বঘোষিত পদযাত্রা শুরুর আগে দেয়া বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
পদযাত্রার মধ্য দিয়ে বিএনপি নতুন ধরনের আন্দোলন শুরু করেছে দাবি করে দলটির মহাসচিব বলেন, ‘এর মাধ্যমে সরকারকে বলে দিতে চাই, অবিলম্বে পদত্যাগ করুন। অন্যথায় ভারাক্রান্তভাবে চলে যেতে হবে; পালাবার কোনো পথ পাবেন না।’
‘গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার’ ও ১০ দফা দাবি আদায়ে রাজধানীতে চার দিনের পদযাত্রা কর্মসূচির প্রথম দিনে বাড্ডা থেকে মালিবাগের আবুল হোটেল পর্যন্ত হেঁটে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপি।
কর্মসূচি শুরু হওয়ার আগে প্রধান অতিথির বক্তব্যে ফখরুল আরও বলেন, ‘ঢাকার এই নীরব পদযাত্রার মধ্য দিয়ে জনগণকে সঙ্গে নিয়ে এই দানবীয় সরকারকে চলে যেতে বাধ্য করব।’
ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির আহ্বায়ক আমানউল্লাহ আমানের সভাপতিত্ব এবং সাধারণ সম্পাদক আমিনুল হকের পরিচালনায় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আবদুল মঈন খান।
এতে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বিএনপি নেতা নাজিম উদ্দিন আলম, মীর সরফত আলী সপু, সাইফুল আলম নীরব, আবদুল মোনায়েম মুন্না, তাবিথ আউয়ালসহ অনেকে।
বিএনপি নেতারা জানান, ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপি শনিবারের মতো ৩১ জানুয়ারি গাবতলী থেকে মাজার রোড হয়ে মিরপুর ১০ নম্বর গোলচত্বর পর্যন্ত পদযাত্রা করবে। একইভাবে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপি ৩০ জানুয়ারি যাত্রাবাড়ী থেকে শ্যামপুর পর্যন্ত এবং ১ ফেব্রুয়ারি মুগদা থেকে মালিবাগ পর্যন্ত পদযাত্রা করবে। প্রতিটি পদযাত্রা শুরুর সময় নির্ধারণ করা হয়েছে দুপুর ২টায়।
বিদ্যুৎ, গ্যাসসহ নিত্যপণ্যের দাম কমানো, সরকারের পদত্যাগসহ ১০ দফা দাবিতে আগামী ৪ ফেব্রুয়ারি ঢাকাসহ সব বিভাগীয় সদরে সমাবেশ করবে বিএনপি।
আরও পড়ুন:‘গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার’ ও ১০ দফা দাবি আদায়ে শনিবার দুপুরে পদযাত্রা করেছে বিএনপি।
ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপি রাজধানীর বাড্ডা থেকে এ পদযাত্রার আয়োজন করে, যাতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আব্দুল মঈন খানসহ দলের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতারাও পদযাত্রায় অংশ নেন।
কর্মসূচিতে বিএনপির নেতা-কর্মীদের সরকারবিরোধী বিভিন্ন স্লোগান দিতে দেখা যায়। পদযাত্রা ঘিরে সতর্ক অবস্থানে ছিলেন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা।
রাজধানীর নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে বৃহস্পতিবার সংবাদ সম্মেলনে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এ পদযাত্রা কর্মসূচির ঘোষণা দেন।
তিনি বলেন, ‘২৮ জানুয়ারি থেকে ১ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ বিএনপি পদযাত্রা কর্মসূচি পালন করবে। শনিবার দুপুর ২টায় বাড্ডার হোসেন মার্কেটের কাছ থেকে মালিবাগের আবুল হোটেল পর্যন্ত পদযাত্রা হবে।’
বিএনপি নেতারা জানান, ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপি ৩১ জানুয়ারি গাবতলী থেকে মাজার রোড হয়ে মিরপুর ১০ নম্বর গোলচত্বর পর্যন্ত পদযাত্রা করবে। একইভাবে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপি ৩০ জানুয়ারি যাত্রাবাড়ী থেকে শ্যামপুর পর্যন্ত এবং ১ ফেব্রুয়ারি মুগদা থেকে মালিবাগ পর্যন্ত পদযাত্রা করবে। প্রতিটি পদযাত্রা দুপুর ২টায় শুরু হবে।
বিদ্যুৎ, গ্যাসসহ নিত্যপণ্যের দাম কমানো, সরকারের পদত্যাগসহ ১০ দফা দাবিতে আগামী ৪ ফেব্রুয়ারি ঢাকাসহ সব বিভাগীয় সদরে সমাবেশ করবে বিএনপি। গত বুধবার নয়াপল্টনের সমাবেশ থেকে এই কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়।
আরও পড়ুন:‘গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার’ ও ১০ দফা দাবি আদায়ে শনিবার দুপুরে বিএনপির পদযাত্রা কর্মসূচিকে ‘মরণযাত্রা’ আখ্যা দিয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, এ কর্মসূচির মধ্য দিয়ে রাজনৈতিক মৃত্যু হবে সাবেক ক্ষমতাসীন দলটির।
রাজধানীর উত্তরায় একই দিন সকালে ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগ আয়োজিত শীতবস্ত্র বিতরণ অনুষ্ঠান ও সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে কাদের এ কথা বলেন।
বক্তব্যে বিএনপির কর্মসূচি নিয়ে ক্ষমতাসীন দলের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ নেতা বলেন, ‘বিএনপির মরণযাত্রা শুরু হয়ে গেছে। এভাবেই তারা পরাজিত হবে। আন্দোলনে হবে, আগামী নির্বাচনেও তাদের মরণ হবে; রাজনৈতিক মরণ। এত লাফালাফি, এত ছোটাছুটি, এত লোটা-কম্বল, এত কাঁথা-বালিশ!
‘সমাবেশ হলে সাত দিন ধরে সমাবেশস্থলে শুয়ে পড়ে আর পাতিলের পর পাতিল খাবার তৈরি হয়। কোথায় গেল সে দিন? কোথায় গেল লাল কার্ড? কোথায় গেল গণঅভ্যুত্থান? কোথায় গেল গণজোয়ার? গণজোয়ারে এখন ভাটার টান। তাই এটা পদযাত্রা নয়, পেছনযাত্রা। এটা পদযাত্রা নয়, মরণযাত্রা।’
বিএনপি ও জোটসঙ্গীদের উদ্দেশে তিনি আরও বলেন, ‘৫৪ দলের ৫১ দফা; জগাখিচুড়ির ঐক্যজোট। জগাখিচুড়ি কর্মসূচি এ দেশে কখনও সফল হবে না।’
বিএনপির পদযাত্রার দিনে আওয়ামী লীগের শীতবস্ত্র বিতরণ নিয়ে কাদের বলেন, ‘আওয়ামী লীগ পাল্টাপাল্টি কর্মসূচি করছে না। বিএনপি করছে পদযাত্রা, আমরা করছি শীতবস্ত্র বিতরণ।’
আরও পড়ুন:গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার এবং বিএনপি ঘোষিত ১০ দফা দাবি আদায়ে রাজধানীতে পদযাত্রার কর্মসূচি পালন করবে বিএনপি।
রাজধানীর বাড্ডা এলাকা থেকে মালিবাগ পর্যন্ত শনিবার দুপুর ২টার দিকে এ পদযাত্রা হবে।
বৃহস্পতিবার রাজধানীর নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এ পদযাত্রা কর্মসূচির ঘোষণা দেন।
তিনি বলেন, ‘২৮ জানুয়ারি থেকে ১ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ বিএনপি পদযাত্রা কর্মসূচি পালন করবে। শনিবার দুপুর ২টায় বাড্ডার হোসেন মার্কেটের কাছ থেকে মালিবাগের আবুল হোটেল পর্যন্ত পদযাত্রা হবে।’
বিএনপি নেতারা জানান, শনিবার মহানগর উত্তর বিএনপি ঢাকার বাড্ডা এলাকা থেকে মালিবাগের আবুল হোটেল পর্যন্ত এবং ৩১ জানুয়ারি গাবতলী থেকে মাজার রোড হয়ে মিরপুর ১০ নম্বর গোলচত্বর পর্যন্ত পদযাত্রা করবে। একইভাবে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপি ৩০ জানুয়ারি যাত্রাবাড়ী থেকে শ্যামপুর পর্যন্ত এবং ১ ফেব্রুয়ারি মুগদা থেকে মালিবাগ পর্যন্ত পদযাত্রা করবে। প্রতিটি পদযাত্রা দুপুর ২টায় শুরু হবে।
এ দিকে বিদ্যুৎ,গ্যাসসহ নিত্যপণ্যের দাম কমানো, সরকারের পদত্যাগসহ ১০ দফা দাবিতে আগামী ৪ ফেব্রুয়ারি ঢাকাসহ সব বিভাগীয় সদরে সমাবেশ করবে বিএনপি। গত বুধবার নয়াপল্টনের সমাবেশ থেকে এই কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়।
আরও পড়ুন:ঢাকার কামরাঙ্গীরচরে পাঁচতলা ভবনের ছাদে উঠে খেলতে গিয়ে নিচে পড়ে দুই শিশুর মৃত্যু হয়েছে।
শুক্রবার সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টার দিকে কামরাঙ্গীরচরের আহসানবাগ এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
মারা যাওয়া দুই বছর বয়সী লামিয়া আক্তার ও ৯ বছরের আব্দুর রহিম সম্পর্কে মামাতো-ফুফাতো ভাই-বোন।
দুর্ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদের রাত সাড়ে ৭টায় মৃত ঘোষণা করেন।
দুই শিশুকে হাসপাতালে নিয়ে আসা লামিয়ার মা ও আব্দুর রহিমের বাবা রোমান মিয়া জানান, আহসানবাগ এলাকায় বোরহান মিয়ার পাঁচতলা বাড়িতে ভাড়া থাকেন তারা। ভবনের ছাদে কোনো প্রাচীর না থাকায় খেলার সময় শিশু দুটি নিচে পড়ে যায়।
তারা জানান, উদ্ধার করে হাসপাতালে আনলে আসলে চিকিৎসক তাদেরকে মৃত ঘোষণা করেন। লামিয়ার বাবা রাশেদ মিয়া দিনমজুর এবং আব্দুর রহিমের বাবা রোমান মিয়া রিকশাচালক। তাদের বাড়ি সুনামগঞ্জে।
ঢামেক পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ পরিদর্শক মোহাম্মদ বাচ্চু মিয়া বলেন, কামরাঙ্গীচরে পাঁচতলার ছাদ থেকে পড়ে দুই শিশুর মৃত্যু হয়েছে ঢামেকে। ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ দুটি মর্গে রাখা হয়েছে। বিষয়টি কামরাঙ্গীরচর থানায় জানানো হয়েছে।
আরও পড়ুন:মোবাইল ফোনে কথা বলতে বলতে রেল লাইন পার হওয়ার সময় রাজধানীতে ট্রেনে কাটা পড়ে এক যুবক নিহত হয়েছেন।
শুক্রবার সকাল সাড়ে ১১টার দিকে মহাখালী রেলগেইট এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
তাৎক্ষণিকভাবে তার পরিচয় জানা যায়নি। ২০ থেকে ২৫ বছর বয়সী এ যুবকের পরনে ছিল নেভিব্লু থ্রি কোয়ার্টার ট্রাইজার ও কালো গেঞ্জি।
ঢাকা রেলওয়ে থানার সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) সানু মং মারমা ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
স্থানীয়দের বরাত দিয়ে তিনি জানান, ওই যুবক মোবাইল ফোনে কথা বলতে বলতে রেল লাইন পার হচ্ছিলেন। অনেকেই তাকে ট্রেন আসছে বলে সাবধান করার জন্য ডাকাডাকি করেন। কিন্তু তিনি মোবাইলে কথা বলায় খুবই মগ্ন ছিলেন বলে লোকজনের ডাক চিৎকার শুনতে পাননি। এ সময় কমলাপুরগামী অগ্নিবিনা এক্সপ্রেস ট্রেনের নিচে কাটা পড়ে ঘটনাস্থলে প্রাণ হারান তিনি।
এএসআই আরও বলেন, সংবাদ পেয়ে মরদেহ উদ্ধার করে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছ। মৃত যুবকের মোবাইল ফোনটি পাওয়া গেছে, তবে সেটি ভেঙে গেছে। তার পরিচয় জানার চেষ্টা করা হচ্ছে। এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।
আরও পড়ুন:
মন্তব্য