বাংলাদেশের আকাশে মিথেন গ্যাসের বিশাল আস্তর নিয়ে আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমে প্রতিবেদন প্রকাশের পর তৈরি হয়েছে ব্যাপক আলোচনা। একটি প্রতিবেদনে, ঢাকার মাতুয়াইলে দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের আর্বজনার ভাগাড়কে মিথেন গ্যাস নিঃসরণের হটস্পট হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে।
কানাডার মন্ট্রিলভিত্তিক প্রতিষ্ঠান জিএইচজিস্যাটের প্রেসিডেন্ট স্টিফেন জার্মেইনের উদ্ধৃতি দিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সংবাদমাধ্যম ব্লমবার্গ জানায়, মাতুয়াইল ভাগাড় থেকে ঘণ্টায় প্রায় চার হাজার কেজি মিথেন গ্যাসের নিঃসরণ ঘটছে। প্রতি ঘণ্টায় ১ লাখ ৯০ হাজার গাড়ি যে পরিমাণ বায়ুদূষণ ঘটায়, তার সমান দূষণ ঘটাচ্ছে মাতুয়াইলের মিথেন।
মিথেন বর্ণহীন, গন্ধহীন একটি গ্রিনহাউস গ্যাস। পরিবেশবিদদের মতে, গত ২০ বছরে কার্বন ডাই-অক্সাইডের চেয়ে পরিবেশের ৮০ গুণ বেশি ক্ষতি করেছে মিথেন। বায়ুমণ্ডলের তাপমাত্রা বৃদ্ধিতেও ভূমিকা রাখছে এই গ্যাস।
ব্লুমবার্গের প্রতিবেদনে প্যারিসভিত্তিক কেয়রোজ এসওএস নামের প্রতিষ্ঠানের পর্যবেক্ষণের বরাত দিয়ে বলা হয়েছে, চলতি বছর মিথেন নিঃসরণকারী শীর্ষ দেশগুলোর তালিকায় ১৩তম অবস্থানে রয়েছে বাংলাদেশ।
ব্লুমবার্গের প্রতিবেদনের তথ্য গুরুত্ব পেয়েছে দেশের বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমেও। তবে মাতুয়াইল ভাগাড় থেকে বিপুল মিথেন নিঃসরণের বিষয়টি মানতে রাজি নন বিশেষজ্ঞরা। সিটি করপোরেশনেরও দাবি, ব্লুমবার্গের প্রতিবেদন ‘অতিরঞ্জিত’। এমন অবস্থায় মাতুয়াইলের ভাগাড়ের প্রকৃত চিত্র ঘুরে দেখেছে নিউজবাংলা।
মাতুয়াইলে প্রতিদিন ২৮০০ টন বর্জ্য
অবিভক্ত ঢাকার বর্জ্য ব্যবস্থাপনার জন্য ১৯৮৯ সালে মাতুয়াইল ৫০ একর জমি অধিগ্রহণ করে স্থাপন করা হয় আবর্জনার ভাগাড়। ২০০৬ সালে আরও ৫০ একর জায়গা অধিগ্রহণ করে ভাগ হওয়া দক্ষিণ সিটি করপোরেশন। ধারণক্ষমতা শেষ হয়ে যাওয়ায় পরে আরও জমি অধিগ্রহণ করা হয়। মাতুয়াইলের মতোই আরেকটি আবর্জনার ভাগাড় রয়েছে আমিন বাজারের বলিয়ারপুরে, তবে এটির নিয়ন্ত্রণ উত্তর সিটি করপোরেশনের।
ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. আবু নাছের নিউজবাংলাকে জানান, মাতুয়াইলে এখন সব মিলিয়ে ১৮১ একর জমিতে দিনে প্রায় ২৮০০ টন বর্জ্য ফেলা হচ্ছে।
এলাকাটি ঘুরে দেখা গেছে, আর্বজনার স্তূপের পর স্তূপ তৈরি করে রীতিমতো ময়লার পাহাড় বানিয়ে ফেলা হয়েছে। প্রতিদিন নতুন স্তূপের নিচে চাপা পড়ছে শ শ টন পুরোনো আর্বজনা।
রাজধানীর বিভিন্ন জায়গা থেকে ট্রাক বা ভ্যানে আবর্জনা আনা হয় এই দুটি ভাগাড়ে। ভাগাড়ে পৌঁছানোর পর একের পর এক আবর্জনা আনলোড করেন গাড়িচালকেরা। সরেজমিনে দেখা গেছে, ফেলে দেয়া আবর্জনা ভেকু মেশিনের মাধ্যমে ওলোট-পালট করা হচ্ছে। আর সেসব থেকে প্লাস্টিক, লোহাজাতীয় দ্রব্য কুড়াচ্ছেন দরিদ্র কিছু মানুষ।
মাতুয়াইল আবর্জনা ভাগাড়ের দায়িত্বরত কয়েকজন নিউজবাংলাকে জানান, প্রতিদিন প্রায় সাড়ে সাত শ ট্রাক আর্বজনা নিয়ে আসে এখানে। বর্তমানে উত্তর দিক দিয়ে ভরাট করে সামনে এগোচ্ছে। আবর্জনার স্তূপের চাপে ভরাট অংশের বেশির ভাগই কঠিন অবস্থায় রয়েছে। জলাভূমি বা পচনশীল পরিবেশ কম থাকায় গ্যাস নির্গমণের সুযোগ তেমন নেই।
আবর্জনার এই ভাগাড় থেকে পরিত্যক্ত সামগ্রী সংগ্রহ করে জীবিকা চালান, এমন কয়েকজনের সঙ্গে কথা বলেছে নিউজবাংলা। ভাগাড় থেকে কোনো ধরনের গ্যাস নিঃসরণের বিষয়টি চোখে পড়েছে কি না, সে প্রশ্নের জবাব দিয়েছেন তারা।
আব্দুল আলিম নামের একজন নিউজবাংলাকে বলেন, ‘কয়েক মাস আগে এইখানে আবর্জনার মধ্যে দুইবার আগুন ধরছে। এতে সবাই ভাবছে কি না কি হইছে। এইডা নিয়া শুনলাম বিদেশে রিপোর্ট হইছে। গুজব ছড়াইছে।’
তিনি বলেন, ‘আসলে গ্যাসের কোনো ঘটনা না। ঘটনা হইলো কয়েক মাস আগে সিটি করপোরেশন মাতুয়াইলের এইখানে টোকাই পোলাপাইন ঢোকা নিষেধ করছিল। গেট দিয়ে আনসাররা ভিতরে ওগো ঢুকতে দেয় নাই। এর লাইগা পোলাপাইন রাগ হইয়া শয়তানি কইরা আগুন লাগাইছিল। আগুন লাগার পরে ঘটনা হাতড়াইতে হাতড়াইতে বিষয়ডা আমরা ট্যার পাইছি।’
তিনি বলেন, ‘এইখানে যেসব পোলাপাইন কামকাজ করে, বোতল প্লাস্টিক টোকায় হ্যারা খুবই বিটলা। রাতের বেলা ঢুইকা বিড়িবুড়ি খাইয়া আগুন ধরাইয়া দিছিল। ভেতরে এমন অবস্থা যে, কেউ বিড়ি খাইয়া ফেললেও আগুন ধইরা যাইব। আর এক জায়গায় আগুন ধরলে আস্তে আস্তে ছড়ায়ে পড়ে, কারণ সব তো পলিতে (পলিথিন) ভরা।’
দিলরুবা আক্তার নামের আরেকজন বলেন, ‘এখানে গ্যাস-ট্যাস কইত্তে আইব! আমরা হারা (সারা) বছর কাম করি, কই কিছুই তো দেহি না। মানুষ খাইয়া কাম পায় না, আজগুবি কথা ছড়ায়।’
অল্প কিছু জায়গায় বুদবুদ দেখিয়ে দিলরুবা বলেন, ‘ওইগুলো তো ময়লার গাদ। বুদবুদিগুলারে যদি গ্যাস কইয়া থাকে তাইলে গ্যাস। যেইহানে ময়লা-আর্বজনা পানির মইধ্যে পড়ছে সেইহানে ময়লাগুলা পইচ্চা গাদ হইছে। আর ওগুলা থেইক্কা বুদবুদ বাইর হয়। অন্য কিচ্ছু না। হেরম কিছু হইলে আমরা এইহানে টিকতে পারতাম?’
দিলারা খাতুন নামের এক নারী বলেন, ‘এখানে আইলে এমনতি গন্ধ লাগে। লাগবই তো। আর্বজনার মধ্যে আইলে কি সেন্ট (সুগন্ধ) পাইব? কিন্তু আমাগো এখন আর গন্ধ লাগে না, রোগ–বালাইও হয় না। এখানে যারা কাম করে খোঁজ নিয়া দ্যাহেন কারো ঘা-পাচড়াও নাই।’
স্থানীয় চা-দোকানি ফাহাদ আলী ইমরান নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আট বছরের মধ্যে এই ভাগাড়ের মধ্যে কখনো কোনো দুর্ঘটনা দেখি নাই, আবার শুনিও নাই। তয় হঠাৎ হঠাৎ বিরাট দুর্গন্ধ আসে। প্রতিদিন পচা-পাইচকো ফেললে ওগুলার তো একটা তেজ আছে। মনে হয় ওই তেজটাই বের হয়।’
স্থানীয় একজন প্রশ্ন ছুড়ে বলেন, ‘এখানে (মাতুয়াইল) যদি মিথেন গ্যাস বের হতো, তাহলে তো আমিন বাজারের বলিয়ারপুরেরও আর্বজনার ভাগাড়েরও একই অবস্থা হওয়ার কথা। বলিয়ারপুর তাহলে কেন হটস্পট হলো না?’
সিটি করপোরেশনের দাবি, প্রতিবেদন ‘অতিরঞ্জিত’
ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপক এয়ার কমোডর মো. বদরুল আমিন নিউজবাংলাকে বলেন, ‘ব্লুমবার্গের রিপোর্টের সঙ্গে বাস্তবতা সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়। এটা আমাদের কাছে একটা ফলস ইনফরমেশন মনে হচ্ছে। বিষয়টি যাচাই করতে আমরা বুয়েট, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে মিটিং করছি। এটা উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে করা হয়েছে কি না, দেখা হচ্ছে।’
তিনি বলেন, ‘মাতুয়াইল একটি আবর্জনার ভাগাড়। আর তাই সেখান থেকে মিথেন গ্যাস একেবারেই যে নিঃসরণ হয় না, তা নয়। তবে রিপোর্টটা যেভাবে হয়েছে, সেটা সত্য না।’
মো. বদরুল আমিন বলেন, ‘এক-দেড় মাস আগে একটা ঘটনা ঘটেছিল। সেটা হলো, ওখানে যারা কাজ করে অর্থাৎ প্লাস্টিক জাতীয় জিনিসপত্র কুড়ায়, সীমানাপ্রাচীর দেয়ার পর আমরা তাদের ভাগাড়ে ঢুকতে নিষেধ করেছিলাম। কারণ, ময়লা-আর্বজনার মধ্যে অনেক কিছু পাওয়া যায়, যেগুলো থেকে সিটি করপোরেশনের একটা আয় আসতে পারে। সে জন্য স্পটটিকে আমরা ইজারা দিতে চেয়েছিলাম।
‘এ জন্য ওখানে যে দুই আড়াই শ লোক আবর্জনা কুড়ায় তাদের ঢুকতে নিষেধ করা হয়েছিল। এতে তারা ওখানে আগুন ধরিয়ে দেয় বলে জানতে পেরেছি।’
প্রতিবেদনের দাবির সঙ্গে ভিন্নমত বিশেষজ্ঞদের
বুয়েট অধ্যাপক ও জলবায়ু পরিবর্তন বিশেষজ্ঞ ড. ইজাজ হোসেন নিউজবাংলাকে বলেন, ‘ঢাকা সিটিসহ দেশের বিভিন্ন জায়গা থেকে মিথেন গ্যাস নির্গত হচ্ছে সেটা আমরা জানতাম। কিন্তু ওটা এত ব্যাপকভাবে উঠে যে একটা ক্লাউড তৈরি করতে পারে, সেটা আমাদের ধারণাতে ছিল না। এটা শতভাগ যৌক্তিক বা বিশ্বাসযোগ্য বলে মনে হয় না। এ ব্যাপারে আরও অনুসন্ধান করা দরকার।’
ভিন্নমতের কারণ ব্যাখ্যা করে তিনি বলেন, ‘মিথেন গ্যাস যে শুধু ময়লার স্তূপ থেকে হয় বিষয়টি এমন না। বর্জ্য থেকে তো এমনিতেই বের হয় মিথেন। এর বাইরে গরুর গোবর থেকে হয়, গাড়ি থেকে একটা অংশ বের হয়, ধান ক্ষেত থেকে বের হয়।
‘ব্লুমবার্গ যেটা করছে বলে জানতে পেরেছি সেটা তো স্যাটালাইটের মাধ্যমে পর্যবেক্ষণ। আমাদের তো তেমন সাপোর্ট নেই। সেই সাপোর্ট থাকলে আমরা এখনই বিষয়টা নিয়ে খোলসা হতে পারতাম।’
তবে মাতুয়াইলে বিজ্ঞানসম্মত বর্জ্য ব্যবস্থাপনার ওপরেও জোর দিচ্ছেন ড. ইজাজ। তিনি বলেন, ‘আমরা মাতুয়াইলকেন্দ্রীক একটা প্রকল্প করার প্রস্তাব দিয়েছিলাম সরকারকে। যেখানে বৈজ্ঞানিক উপায়ে ওয়েস্টেজ ম্যানেজ করার পরিকল্পনা ছিল। কিন্তু সিটি করপোরেশন রাজি হয়নি, কারণ তাদের ওখান থেকে বড় একটা আয় আসে হয়ত।
‘আমার ধারণা আমাদের এখানে আর্বজনা ওপেন ডাম্পিং হয় বলে বিদেশি সংস্থা এমন কিছু বলার সুযোগ পেয়েছে। বৈজ্ঞানিক উপায়ে হলে হয়ত এমনটা নাও শোনা যেতে পারত।’
কনজ্যুমারস অ্যাসোসিয়েশন অফ বাংলাদেশের (ক্যাব) জ্বালানি উপদেষ্টা ড. শামসুল আলম জানান, ময়লা থেকে মিথেন গ্যাস উৎপন্ন হবে, এমনটাই স্বাভাবিক।
তিনি বলেন, ‘যে সংবাদটা এসেছে সেটা যে প্রমাণিত সত্য তা বলা যাবে না। তবে এটাকে স্যাম্পল হিসেবে ধরে কারিগরি কমিটি করে সরকারিভাবে আর্ন্তজাতিক স্ট্যান্ডার্ডে আমাদের যাচাই-বাছাই করতে হবে। কারণ দূষণ যে হয় সেটা তো আমরা অস্বীকার করি না, কিন্তু বাড়াবাড়ি ধরনের কোনো অপবাদ নেয়া ঠিক হবে না।’
ড. শামসুল আলমও ব্লুমবার্গের প্রতিবেদনকে ‘অতিরঞ্জন’ মনে করছেন। তিনি নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আমাদের দেশে দূষণের ব্যাপারটা যে আছে বা হচ্ছে সেটা তো কারও অজানা না। কিন্তু ব্লুমবার্গ যে তথ্য দিচ্ছে সেটা আমার কাছে বাড়াবাড়ি মনে হচ্ছে। মাতুয়াইলকে হটস্পট বলাটা আমার কাছে গ্রহণযোগ্য না।’
এ ধরনের আলোচনা এড়াতে ছোট ছোট ওয়েস্টেজ ডিসপোজাল ইউনিট বসিয়ে বৈজ্ঞানিকভাবে বর্জ্য ব্যবস্থাপনার ওপর জোর দেন ড. শামসুল আলম। তিনি বলেন, ‘এটা করা গেলে দূষণও ঠেকানো যাবে, আবার আর্বজনাকেও কাজে লাগানো যাবে।’
আরও পড়ুন:আসন্ন জুলাইয়ের আগেই পান্থকুঞ্জকে নান্দনিক উদ্যানে পরিণত করা হবে বলে জানিয়েছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস।
বুধবার সকালে নগরীতে পান্থকুঞ্জ পার্কের অভ্যন্তরে পান্থপথ বক্স কালভার্টের পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময়কালে মেয়র এ কথা জানান।
মেয়র তাপস বলেন, পান্থকুঞ্জ উদ্যান এই এলাকার অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি উদ্যান। এটা উন্নয়নের জন্য ২০১৭ সালে মেগা প্রকল্পের আওতায় উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়। কিন্তু দুর্ভাগ্যজনক কারণে ঢাকা লিমিটেড এক্সপ্রেসওয়ে এদিক দিয়ে নওয়ার একটি উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়। ফলে এই পার্কের উন্নয়ন কাজটা বন্ধ হয়ে যায়।
তিনি বলেন, আমি দায়িত্ব নেওয়ার পরে তাদের সঙ্গে বিভিন্নভাবে আলোচনা করেছি, দেন-দরবার করেছি। এর ফলশ্রুতিতে তারা সুনির্দিষ্ট জায়গায় কাজ করবে। বাকি জায়গা আমাদেরকে ছেড়ে দিয়েছে। সেই জায়গায় আমরাই কাজ শুরু করেছি। বর্তমানে এটার অবকাঠামো উন্নয়ন চলছে।
মেয়র আরও বলেন, আমরা ঢাকাবাসীকে একটি নান্দনিক উদ্যান উপহার দিতে চাই। যদিও এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের কাজের কারণে উদ্যানের বড় একটা অংশ তাদের কাছে চলে যাবে। তারপরও যতটুকু রক্ষা করতে পেরেছি তা ঢাকাবাসীর জন্য অচিরেই উন্মুক্ত করে দিতে পারব। পার্কের উন্নয়ন কাজ চলমান রয়েছে। জুলাইয়ের আগে পান্থকুঞ্জকে একটি নান্দনিক উদ্যানে পরিণত করা হবে।
নিউমার্কেট এলাকার জলাবদ্ধতা নিরসনে নতুন উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে জানিয়ে মেয়র তাপস বলেন, গত বছর কয়েকটি জায়গায় জলাবদ্ধতা হয়েছে বিশেষ করে নিউমার্কেটের সামনে ও শান্তিনগরে। যেসব কারণে পানি প্রবাহ বন্ধ হয়ে গিয়েছিল আমরা সেগুলো পরিষ্কার করেছি। আশা করি এবার আর জলাবদ্ধ থাকবে না। নিউমার্কেট এলাকার জন্য নতুন প্রকল্প নিয়েছি।
তিনি বলেন, এর মূল কারণ হচ্ছে পিলখানা ভেতর দিয়ে আগে যে পানি প্রবাহ প্রবাহের নর্দমা ছিল সেগুলো ২০০৯ সালে বন্ধ হয়ে যায়। এজন্য গত বছর সেখানে বড় ধরনের জলবদ্ধতা হয়েছে। আমরা তাদের সঙ্গে আলাপ করেছি এবং সম্মতি পেয়েছি। আমরা পিলখানার ভেতর দিয়ে পানি প্রবাহের বড় নর্দমা করছি। এটা করতে পারলে ওই এলাকায় আর জলাবদ্ধতা থাকবে না। এভাবে প্রত্যেকটা এলাকায় বিচার-বিশ্লেষণ ও পর্যালোচনা করে পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা করা হচ্ছে।
ঢাকায় বিচ্ছিন্ন কয়েকটি জায়গা ছাড়া তেমন কোন জায়গায় এখন দীর্ঘ সময় জলবদ্ধতা থাকে না উল্লেখ করে মেয়র বলেন, প্রতিবছর বর্ষা মৌসুমের আগে সূচি অনুযায়ী বক্স কালভার্ট, খাল ও নর্দমাগুলো পরিষ্কার করে থাকি। কারণ যাতে করে বর্ষার সময় পানি প্রবাহ স্বাভাবিক থাকে। এছাড়া ঢাকা শহরে আমরা ব্যাপকভাবে নর্দমা অবকাঠামো উন্নয়নের কাজ চলমান রেখেছি।
পরে মেয়র সায়েদাবাদ টার্মিনাল সংলগ্ন সায়েদাবাদ সুপার মার্কেট, গেন্ডারিয়ার জহির রায়হান সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান কেন্দ্র পাঠাগার ও ওয়ারীর তাজউদ্দীন স্মৃতি পাঠাগার পরিদর্শন করেন।
রাজধানীর তেজগাঁও এলাকায় যমুনা এক্সপ্রেস ট্রেনের একটি বগি লাইনচ্যুত হয়েছে।
বুধবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে জামালপুর থেকে ঢাকায় আসার পথে এ দুর্ঘটনায় পড়ে ট্রেনটি।
কমলাপুর রেলওয়ে থানার পরিদর্শক ফেরদৌস আহমেদ বিশ্বাস এসব বিষয় নিশ্চিত করেছেন।
দুর্ঘটনার পর ঢাকাগামী ট্রেন আটকে যায়। এ ছাড়া কারওয়ান বাজার রেলক্রসিং এবং মগবাজারে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়।
ফেরদৌস আহমেদ জানান, দ্রুতই উদ্ধারকাজ শুরু হয়। সকাল ১০টার দিকে লাইনচ্যুত বগি ছাড়াই ট্রেনটি গন্তব্যের উদ্দেশে যাত্রা করে।
ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস উপলক্ষে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
বুধবার সকালে তিনি রাজধানীর ধানমন্ডিতে বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘরের সামনে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণের মাধ্যমে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। খবর ইউএনবির
পুষ্পস্তবক অর্পণের পর প্রধানমন্ত্রী স্বাধীনতার স্থপতি বঙ্গবন্ধুর স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে সেখানে কিছুক্ষণ নীরবে দাঁড়িয়ে থাকেন।
আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা দলের কেন্দ্রীয় নেতাদের সঙ্গে নিয়ে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে আরেকটি পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন।
১৯৭১ সালের এই দিনে তৎকালীন কুষ্টিয়া জেলার অন্তর্গত মেহেরপুরের বৈদ্যনাথতলার আম্রকাননে বাংলাদেশের প্রথম সরকার গঠিত হয়।
বঙ্গবন্ধুর প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে পরবর্তীতে স্থানটির নাম পরিবর্তন করে মুজিবনগর রাখা হয়। প্রথম সরকারের রাষ্ট্রপতি ছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান।
তাজউদ্দীন আহমদকে প্রথম প্রধানমন্ত্রী নিযুক্ত করা হয়, ক্যাপ্টেন এম মনসুর আলী ও এএইচএম কামারুজ্জামানকে মন্ত্রিসভার সদস্য করা হয়। মূল মন্ত্রিসভার সফল নেতৃত্ব সেই বছরের ১৬ ডিসেম্বর মুক্তিযুদ্ধকে বিজয়ের দিকে নিয়ে যায়।
বাতাসের নিম্ন মানের দিক থেকে আইকিউ এয়ারের তালিকায় গতকাল চতুর্থ অবস্থানে থাকা ঢাকার বায়ুর মানের উন্নতি হয়েছে, তবে ‘অস্বাস্থ্যকরই’ রয়ে গেছে বাংলাদেশের রাজধানীর বাতাস।
সুইজারল্যান্ডভিত্তিক বাতাসের মানবিষয়ক প্রযুক্তি কোম্পানিটির র্যাঙ্কিংয়ে বাংলাদেশ সময় বুধবার সকাল ৯টা ৪০ মিনিটে এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স (একিউআই) ১৫৪ স্কোর নিয়ে বাতাসের নিম্ন মানে ১২০টি শহরের মধ্যে ষষ্ঠ অবস্থানে ছিল ঢাকা।
একই সময়ে যথাক্রমে ১৭১ ও ১৬৮ স্কোর নিয়ে তালিকায় প্রথম ও দ্বিতীয় স্থানে ছিল ভারতের দিল্লি ও পাকিস্তানের লাহোর।
আইকিউএয়ার জানিয়েছে, আজ সকালের ওই সময়ে ঢাকার বাতাসে মানবস্বাস্থ্যের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ অতি ক্ষুদ্র কণা পিএম২.৫-এর উপস্থিতি ছিল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) আদর্শ মাত্রার চেয়ে ১২ দশমিক ৪ গুণ বেশি।
এ সময় স্বাস্থ্যঝুঁকি এড়াতে আইকিউএয়ার চারটি পরামর্শ দিয়েছে। এক, বাইরে গিয়ে ব্যায়াম না করা; দুই, বাসা-বাড়ির জানালা বন্ধ রাখা যেন দূষিত বায়ু ঘরে প্রবেশ না করতে পারে; তিন, বাইরে বের হলে মাস্ক ব্যবহার করা এবং চার, এয়ার পিউরিফায়ার ব্যবহার করা।
নির্দিষ্ট স্কোরের ভিত্তিতে কোনো শহরের বাতাসের ক্যাটাগরি নির্ধারণের পাশাপাশি সেটি জনস্বাস্থ্যের জন্য ভালো নাকি ক্ষতিকর, তা জানায় আইকিউএয়ার।
কোম্পানিটি শূন্য থেকে ৫০ স্কোরে থাকা শহরগুলোর বাতাসকে ‘ভালো’ ক্যাটাগরিতে রাখে। অর্থাৎ এ ক্যাটাগরিতে থাকা শহরের বাতাস জনস্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর নয়।
৫১ থেকে ১০০ স্কোরে থাকা শহরগুলোর বাতাসকে ‘মধ্যম মানের বা সহনীয়’ হিসেবে বিবেচনা করে কোম্পানিটি।
আইকিউএয়ারের র্যাঙ্কিংয়ে ১০১ থেকে ১৫০ স্কোরে থাকা শহরগুলোর বাতাসকে ‘সংবেদনশীল জনগোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর’ ক্যাটাগরিতে ধরা হয়।
১৫১ থেকে ২০০ স্কোরে থাকা শহরের বাতাসকে ‘অস্বাস্থ্যকর’ ক্যাটাগরির বিবেচনা করা হয়।
র্যাঙ্কিংয়ে ২০১ থেকে ৩০০ স্কোরে থাকা শহরগুলোর বাতাসকে ‘খুবই অস্বাস্থ্যকর’ ধরা হয়।
তিন শর বেশি স্কোর পাওয়া শহরের বাতাসকে ‘বিপজ্জনক’ হিসেবে বিবেচনা করে আইকিউএয়ার।
আজ সকাল ৯টা ৪০ মিনিটে ঢাকার বাতাসের স্কোর ছিল ১৫৪। এর মানে হলো ওই সময়টাতে ‘অস্বাস্থ্যকর’ বাতাসের মধ্যে বসবাস করতে হয় রাজধানীবাসীকে।
মানে সামান্য হেরফের হলেও অস্বাস্থ্যকর বাতাসের চক্রে ঘুরপাক খাচ্ছে ঢাকা।
একই সময় ১২০টি দেশের এ তালিকায় ৮ স্কোর নিয়ে সর্বশেষ অবস্থানে থাকা কানাডার মন্ট্রিলের বাতাস ছিল ‘ভালো’।
আরও পড়ুন:গত কয়েক দিন ধরে প্রচণ্ড গরমে হাঁসফাঁস অবস্থা শুরু হয়েছে দেশজুড়ে। দিনে অস্বস্তি নিয়ে কাজকর্ম করার পর রাতে স্বস্তির ঘুমও কেড়ে নিয়েছে উত্তাপ। এমন পরিস্থিতি থেকে স্বস্তি পেতে অনেকেই অপেক্ষা করছিলেন বৃষ্টি। তাদের সেই অপেক্ষার অবসান ঘটিয়ে রাজধানীতে নেমে এলো বৃষ্টি।
ঈদের ছুটির পর দ্বিতীয় কর্মদিবস মঙ্গলবার বিকেলে রাজধানীতে নামে বৃষ্টি, যা নিয়ে স্বস্তি প্রকাশ করেন অনেকে।
রাজধানীর একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মী আবদুল্লাহ আল মামুন বলেন, ‘বৃষ্টি হওয়াতে খুব ভালো লাগল। যে গরম শুরু হয়েছিল!
‘আমি প্রেশারের রোগী। অতিরিক্ত গরম হলে সমস্যা হয়ে যায়।’
পূর্বাভাসে যা বলেছিল আবহাওয়া অধিদপ্তর
বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর মঙ্গলবার সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ৭২ ঘণ্টার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে জানিয়েছিল, ঢাকা, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের দুই-এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা অথবা ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে।
বৃষ্টির বিষয়ে জানতে চাইলে আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ শাহীনুল ইসলাম মঙ্গলবার বিকেল চারটার দিকে নিউজবাংলাকে জানান, তারা ঢাকা ও আশপাশের এলাকায় বৃষ্টির খবর পেয়েছেন। কী পরিমাণ বৃষ্টিপাত হয়েছে, তা পরবর্তী সময়ে জানানো যাবে।
আরও পড়ুন:ফিলিস্তিনের গাজায় গণহত্যার জন্য ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুকে নাৎসি জার্মানির একনায়ক অ্যাডলফ হিটলারের চেয়েও ভয়ংকর বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
রাজধানীর ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে মঙ্গলবার সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ মন্তব্য করেন।
দক্ষিণ ইসরায়েলে গত বছরের ৭ অক্টোবর গাজার শাসক দল হামাসের হামলার পরিপ্রেক্ষিতে ওই দিন থেকেই উপত্যকায় প্রাণঘাতী হামলা শুরু করে প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহুর নেতৃত্বাধীন ইসরায়েল। সামরিকভাবে বিশ্বের অন্যতম শক্তিশালী রাষ্ট্রটির হামলায় এরই মধ্যে গাজায় প্রাণ হারিয়েছে প্রায় ৩৪ হাজার ফিলিস্তিনি, যাদের মধ্যে প্রায় ১৪ হাজার শিশু।
ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডের মানবাধিকারবিষয়ক জাতিসংঘের বিশেষ দূত ফ্রান্সিসকা আলবানিজ চলতি বছরের মার্চের শেষের দিকে বলেছেন, গত ৭ অক্টোবর থেকে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী গাজায় যে অভিযান শুরু করেছে, সেটি গণহত্যার সমতুল্য।
আলবানিজ ইসরায়েলের ওপর অবিলম্বে নিষেধাজ্ঞার পাশাপাশি অস্ত্র নিষেধাজ্ঞা আরোপে বিভিন্ন দেশের প্রতি আহ্বান জানান।
এমন বাস্তবতায় কাদের বলেন, ‘হিটলারের চেয়েও ভয়ংকর রূপে আবির্ভূত হয়েছে নেতানিয়াহু।’
তিনি বলেন, ‘আজকে সারা বিশ্বেই রণক্ষেত্রে পরিণত হয়েছে। মনে হয় দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের হিটলারের যে দাম্ভিকতা, যুদ্ধংদেহী মনোভাব, সেটা আবারও নতুন করে বিশ্ব রাজনীতিতে দেখতে পাচ্ছি। হিটলার যে হলোকাস্ট ঘটিয়েছিল ৬০ লাখ ইহুদি হত্যা করে, আজকে গাজায় গণহত্যার যে নায়ক একই রূপে আবির্ভূত হয়েছে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু।
‘এই নেতানিয়াহু জাতিসংঘকে মানে না, হোয়াইট হাউসকে তোয়াক্কা করে না। আমেরিকান প্রেসিডেন্টের কথা শুনে না। সে হিটলারের চেয়েও ভয়ংকর। ১৪ হাজার শিশুকে গাজায় ইতোমধ্যে হত্যা করে ফেলছে।’
ইরান-ইসরায়েল উত্তেজনা প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘ইরানের ইসরায়েল আক্রমণের পর পৃথিবীর ইনফ্লুয়েনশিয়াল রাষ্ট্রগুলো যুক্তরাষ্ট্রসহ ইসরায়েলকে শান্ত থাকার নির্দেশ দিয়েছিল, কিন্তু নেতানিয়াহু আবারও ইরান আক্রমণের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এতে মনে হয় বর্তমান বিশ্বে সবচেয়ে শক্তিধর ব্যক্তি হচ্ছেন নেতানিয়াহু। আপন ইচ্ছায় চলেন, যা খুশি করেন।
‘যাকে ইচ্ছা তাকে মারেন। ভাতে মারেন, পানিতে মারেন, এয়ার স্ট্রাইক করে মারেন। বাউন্ডারি সাইডে সেনাবাহিনী মারেন। তাদের দুর্দমনীয় শক্তির অনুপ্রেরণা দিচ্ছে প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু। এটা পৃথিবীর ভয়ংকর চিত্র। তার দাপট মনে হয় হিটলারকেও ছাড়িয়ে যাবে।’
আরও পড়ুন:উপজেলা নির্বাচনে হস্তক্ষেপ না করতে সংসদ সদস্য (এমপি) ও মন্ত্রীদের আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নির্দেশ দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন দলটির সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
রাজধানীর ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে মঙ্গলবার এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ তথ্য জানান।
কাদের বলেন, ‘আগামী আট মে প্রথম দফার নির্বাচনে আওয়ামী লীগের দলীয় প্রতীক থাকবে না। প্রধানমন্ত্রী নির্দেশ দিয়েছেন মন্ত্রী-এমপিদের প্রভাব বিস্তার না করতে। উপজেলা নির্বাচনে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ থাকবে না। অবাধ-সুষ্ঠু নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।’
তিনি বলেন, ‘নির্বাচন যাতে শান্তিপূর্ণ ও সুষ্ঠুভাবে হয়। কেউ কোনো প্রকার হস্তক্ষেপ করবে না। নির্বিঘ্নে ভোটদানের ব্যবস্থা করেছেন নির্বাচন কমিশন।
‘বিএনপি প্রকাশ্যে উপজেলা নির্বাচনের বিরোধিতা করলেও আমাদের জানা মতে তাদের অনেকেই অংশগ্রহণ করবেন।’
গাজায় ইসরায়েলি তাণ্ডবের বিষয়ে মন্তব্য করতে গিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘হিটলারের চেয়েও ভয়ংকর রূপে আবির্ভূত হয়েছে নেতানিয়াহু।’
তিনি আরও বলেন, ‘আজকে সারা বিশ্বেই রণক্ষেত্রে পরিণত হয়েছে। মনে হয় দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের হিটলারের যে দাম্ভিকতা, যুদ্ধংদেহী মনোভাব, সেটা আবারও নতুন করে বিশ্ব রাজনীতিতে দেখতে পাচ্ছি। হিটলার যে হলোকাস্ট ঘটিয়েছিল ৬০ লাখ ইহুদি হত্যা করে, আজকে গাজায় গণহত্যার যে নায়ক একই রূপে আবির্ভূত হয়েছে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু।
‘এই নেতানিয়াহু জাতিসংঘকে মানে না, হোয়াইট হাসকে তোয়াক্কা করে না। আমেরিকান প্রেসিডেন্টের কথা শুনে না। সে হিটলারের চেয়েও ভয়ংকর। ১৪ হাজার শিশুকে গাজায় ইতোমধ্যে হত্যা করে ফেলছে।’
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘ইরানের ইসরায়েল আক্রমণের পর পৃথিবীর ইনফ্লুয়েনশিয়াল রাষ্ট্রগুলো যুক্তরাষ্ট্রসহ ইসরায়েলকে শান্ত থাকার নির্দেশ দিয়েছিল, কিন্তু নেতানিয়াহু আবারও ইরান আক্রমণের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এতে মনে হয় বর্তমান বিশ্বে সবচেয়ে শক্তিধর ব্যক্তি হচ্ছেন নেতানিয়াহু। আপন ইচ্ছায় চলেন, যা খুশি করেন।
‘যাকে ইচ্ছা তাকে মারেন। ভাতে মারেন, পানিতে মারেন, এয়ার স্ট্রাইক করে মারেন। বাউন্ডারি সাইডে সেনাবাহিনী মারেন। তাদের দুর্দমনীয় শক্তির অনুপ্রেরণা দিচ্ছে প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু। এটা পৃথিবীর ভয়ংকর চিত্র। তার দাপট মনে হয় হিটলারকেও ছাড়িয়ে যাবে।’
আরও পড়ুন:
মন্তব্য