কওমি মাদ্রাসার ছাত্রদের নির্যাতনের বিষয়ে সোচ্চার ধর্মীয় বক্তা রফিক উল্লাহ আফসারী এবার মেয়েদের আবাসিক মাদ্রাসায় ভর্তি না করার পরামর্শ দিয়ে আলোড়ন তুলেছেন। তিনি স্পষ্টতই ইঙ্গিত দিয়েছেন, এসব মাদ্রাসায় ছাত্রীদের সঙ্গে শালীন আচরণ করা হয় না। বহুজনের কাছে চাবি থাকে। শঙ্কা করেছেন, ‘মেয়ের চরিত্র নষ্ট হতে পারে।’
আবাসিক কওমি মাদ্রাসায় নির্যাতনসহ নানা ইস্যুতে দীর্ঘ বক্তব্য রাখার পর থেকে কওমিপন্থিদের আক্রমণের মুখে রফিক আফসারী গণমাধ্যমকে এড়িয়ে চলেছেন। ফলে মেয়েদের নিয়ে তিনি আসলে কী আশঙ্কা করছেন, সেটি তার কাছ থেকে জানা যায়নি।
তার বাড়ি কুমিল্লার লাকসাম উপজেলার আজগরা ইউনিয়নের আমদুয়ার গ্রামে। তিনি নাঙ্গলকোট উপজেলার বাংগড্ডা কামিল মাদ্রাসায় চাকরি করেন। পাশাপাশি ওয়াজ করেন। সেই এলাকাটা অনেকটা নোয়াখালী লাগোয়া। তার ভাষা নোয়াখালীবাসীর মতো।
ওয়াজের নানা ভিডিওতে রফিকের সঙ্গে যোগাযোগের নম্বর দেয়া থাকে। সেই নম্বরে যোগাযোগ করলে খাদেম পরিচয়ে একজন একটি হোয়াটসঅ্যাপ নম্বর দিয়ে সেখানে যোগাযোগের পরামর্শ দেন। এই নম্বরে কল করা হলে দুইবার কেটে দেয়া হয়। এরপর মেয়েদের মাদ্রাসা নিয়ে বক্তব্যের ব্যাখ্যা জানতে চেয়ে ম্যাসেজ করা হলে তিনি দেখেও জবাব দেননি।
রফিক যে অভিযোগ তুলেছেন, সেটি গুরুতর। এ নিয়ে কওমি মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ড বেফাকুল মাদারাসিল আরাবিয়ার মহাপরিচালক মো. জুবায়েরের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি কোনো কথাই বলতে চাননি। বলেন, ‘আমাদের কথা বলা নিষেধ আছে।’
জুবায়েরের পরামর্শে বোর্ডের মহাসচিব মাহফুজুল হকের সঙ্গে যোগাযোগ করতে তার মোবাইল ফোনে একাধিকবার কল করা হলেও তিনি রিসিভ করেননি। এই মাহফুজুল হক হেফাজতে ইসলামের বহিষ্কৃত নেতা মামুনুল হকের বড় ভাই।
মেয়েদের ঘরের তালায় ৩০ চাবি
সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল একটি ওয়াজে মেয়েদের মাদ্রাসা নিয়ে আফসারী বলেন, ‘সব কিছু তো আমি জানি, এগুলো তো বলি না। একেকটা তালার চাবি ৩০টা। যদি মেয়ের চরিত্রটা নষ্ট হয়, মেয়ের সব শেষ, এই পোলাডা যদি ধ্বংস হয়….।
‘আপনের ছেলে-পেলেরে আপনি কাছে কাছে রাইখবেন। আপনে মেয়েরে আপনি কাছে রাইখবেন। কাছে রাখি যা আগাইতে পারে।’
সব কথা বলাও যায় না বলে আক্ষেপের কথাও বলেন রফিক আফসারী। ওয়াজের শ্রোতাদের সতর্ক করে বলেন, ‘বুঝিহুনি প্ল্যান করিয়েন। আপনেরা তো খালি মনে করেন, হুজুরেরা ভালা, খালি হুজুরেরা ভালা। আপনি মাদ্রাসায় দিছেন আপনের মাইয়াডারে, কইছে কে? তালার চাবি কয়ডা খবর নিছেননি? এগুলো তো টেলিভিশনের সামনে আমি বলতে পারতেছি না। কারণ প্রতিষ্ঠান যারা চালায়, তারা কইব আমি তাগো প্রতিষ্ঠানের বিরোধী।
‘অনেক ফ্যামিলি ধ্বংস হয়ে গেছে, মাদ্রাসায় পোলাপাইন দি (দিয়ে দেয়)। এক বেটা কয়, আলেমের লগে আত্মীয়তা করে অ্যার জীবনে আক্কেল হইছে। হুজুরের কাছে আর মাইয়া দিতামনঁ (দেব না)।’
এমনকি তিনি নিজে বললেও তার কাছে মেয়ে রেখে আসতে নিষেধ করেছেন রফিক আফসারী। বলেন, ‘আল্লাহ তুমি কবুল কর…। আম্মাজিরা বিশ্বাসের ওপর আফসারী সাহেবের কাছেও আপনেরা মাইয়া দিয়েন না। আল্লাহ এইটা আপনেরে কইত্তে (করতে) কয়নঁ (বলেনি)। আপনি আপনের মাইয়ারে চোখে চোখে রাইখবেন, আপনের ছেলেরে চোখে চোখে রাইখবেন। সেই দায়িত্ব আল্লাহ আপনেরে দিছে।’
‘চিৎকার দি বলতে মন চায়, কী চলে মাদ্রাসায়’
রফিক আফসারী বারবার বলতে গিয়ে আটকে যান ওয়াজে। নিজের পরিচিত এক শিশুর কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, ‘এক কোটি পোলাপাইনের মধ্যে সবচেয়ে ভদ্র ছেলে আল আমিন। নষ্টের শেষ মাথা করি দিছে, পোলাডারে। অতি শাসনে….।
‘চিৎকার দি (দিয়ে) বলতে মন চায় কী চলে মাদ্রাসাতে এগুলা।’
মানুষ আর বেশি দিন এসব সইবে না বলেও মনে করেন রফিক আফসারী। বলেন, ‘লেখি (লিখে) রাখেন আপনের হুজুরগো দিন আইতে আছে সামনে। মানুষ এইগুলা ধরবে। কী নির্যাতনটা করে বাচ্চাদের! পড়ার নামে এইগুলা নির্যাতন।’
অভিভাবকদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘বাচ্চাগোরে যথেষ্ট পরিমাণ খেলাধুলা দিতে হইব। তাগোরে ঘুমের সুযোগ দিতে হইব। আপনে ৩-৪ ঘণ্টা পড়াইলেই তো বাচ্চাগোর এনাফ, আর লাগে না, আলহামদুলিল্লাহ।
‘বাচ্চাদের বল কিনে দিবেন। ঠাইসে খেলব। খেলতে দিবেন। এই সমস্ত আল্লাহর ওয়াস্তের আর দরকার নাই। এখন বল দেন আল্লাহর ওয়াস্তে। ব্যাটমিন্টন দেন, আগে ওগো খেলা। সকালবেলা পড়ালেখা, মশারির ভেতরে ঘুম দিয়া দিবেন, রাতে কোনো আর দরকার নাই।'
‘১৪ গোষ্ঠীরে ওসিয়ত করি যামু, হেফজো মাদ্রাসায় যেন না পড়ায়’
রফিক আফসারী জানান, তিনি তার উত্তরাধিকারীদের মৃত্যুর আগে বলে যাবেন, তারা কেউ যেন সন্তানদের হাফেজি মাদ্রাসায় না পাঠায়। তিনি বলেন, ‘১৪ গোষ্ঠীরে ওসিয়ত করি যামু, হেফজ মাদ্রাসায় যেন না পড়ায়।’
মাদ্রাসায় সন্তান দিতে গিয়ে অভিভাবকরা কিছু জিজ্ঞাসা না করে চলে আসেন বলেও জানান রফিক আফসারী। বলেন, ‘আপনারা আম্মাজিরা পোলাপান দিয়ে চলি আয়েন, ভাবেন আল্লাহ মানুষ করব। কি ঠেহাডা ফরছে আল্লাহর। আফনে জিজ্ঞেস করবেন কী খাইওয়াইছে, কী খাওয়াইব।
‘ল্যাংটা পোলা, হুজুরে হ্যাতেরে দি কুরতা (পরিধান) ধওয়ায়। হ্যাতের কুরতা ধুয়ে দেয়, হ্যাতের আম্মা বাড়িত…, হ্যাতেরে বানাইছে খাদেম। হ্যাতেরে গা টিপবার লাই কয়। গা টেপে, হুজুরের কুরতা ধোয়। এইডার নামনি ইসলাম ব্যাটা? আল্লাহ-রসুল এইগুলা শিখায়নি।’
অভিভাবকদের সচেতন হওয়ার পরামর্শ
অভিভাবকদের অসচেতনতার বিষয়টি তুলে ধরে রফিক আফসারী বলেন, ‘বোর্ডিংয়ে দিয়ালায়, আহা! কী চলে বোর্ডিংয়ে, আর কী মাইর দেয়ও!
‘ল্যাদা (ছোট) পোলাপাইন, আমরা ফাইভে পড়তে সময় ঘুম গেছি কয়টা পর্যন্ত? আর এখন ল্যাদা পোলাপাইনেরে, রাইতের ৩টা বাজি উঠাই দেয়। হ্যাতেরে পাগড়ি পর্যন্ত বাঁধিয়ালাইছে। আপনের পোলারে পাগড়ি বান্ধি মাথা গরম করতি কইছে কে? এইটা যে সুন্নত কোন জায়গা পাইছেন আমনে? কোন জায়গা দি পাইছেন নবীজি এখানে কইচ্ছে?’
শিশুদের মায়েদের উদ্দেশ করে তিনি বলেন, ‘আম্মাজানগো এই ত্রুটিটা আছে। ছোট বাচ্চাদের হেফজ মাদ্রাসায় দিয়ালায়। এই ছোট বাচ্চা ৮-১০ বছর আপনার কাছে রাখবেন। এই হ্যানো কি মাইর দেয় আপনি জানেন? আপনি এই সব কিচ্ছা শুনলে অবাক হয়ে যাবেন, প্রতিবন্ধী কইর্যালায় পোলাপাইনগুলারে মারি। কাছে রাখি পড়াইবেন, যা পারে। কোরআন শুদ্ধ হোক, একশত জনে একজন হাফেজ হোক।’
তিনি বলেন, ‘মাইর দিয়ে শিখায় দেয়, বাড়িত যাতে না কয়। রিমান্ডে নিয়েও উনাদের মুখ খুলান যায় না। আপনেরা যারা আছেন, আমার কথা মাইনবেন।’
নিশ্চুপ মাদ্রাসা বোর্ড
মাদ্রাসায় মেয়েদের নিয়ে রফিক আফসারী যেসব কথা বলেছেন, সে বিষয়ে কওমি মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ড বেফাকুল মাদারাসিল আরাবিয়ার মহাপরিচালক মোহাম্মদ জুবায়েরের সঙ্গে যোগাযোগ করে নিউজবাংলা। তিনি কোনো কথা না বলে বোর্ডের সভাপতি বা মহাসচিবের সঙ্গে যোগাযোগ করতে বলেন।
কথা বলতে নিষেধ আছে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘মিটিংয়ে বলা হয়েছে এমন বিষয়ে উনারাই গণমাধ্যমে কথা বলবেন। আমি আপনাকে কোনো কিছুই বলতে পারব না।’
এ বিষয়ে বেফাক সাধারণ সম্পাদক মাহফুজুল হকের সঙ্গে যোগাযোগের জন্য একাধিকবার ফোন দেয়া হলেও কোনো সাড়া পাওয়া যায়নি।
তবে এ বিষয়ে শিক্ষকদের মধ্যে সচেতনতা তৈরি হচ্ছে বলে জানিয়েছেন রাজধানীর একটি কওমি মাদ্রাসার সিনিয়র মুহাদ্দেস মুফতি ফয়জুল্লাহ আমান। নিউজবাংলাকে তিনি বলেন, ‘অনেক দিক থেকেই সচেতনতার অভাবে এমন ঘটনা ঘটে। তবে এখন শিক্ষকদের মধ্যে এ বিষয়ে সচেতনতা তৈরি হচ্ছে।
‘এখন সিসিটিভির ব্যবস্থা অনেক জায়গায় হচ্ছে। আর একটি বিষয় হওয়া জরুরি, সেটা হচ্ছে মাদ্রাসা শিক্ষার সংস্কার।’
আরও পড়ুন:কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) উপাচার্য, ট্রেজারার ও প্রক্টরকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করে তাদের কার্যালয়ে তালা দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি।
২৪ ঘণ্টার মধ্যে সাত দফা দাবি বাস্তবায়ন না হওয়ায় পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী বৃহস্পতিবার এই কার্যালয়গুলোতে তালা ঝুলিয়ে দেয়া হয়।
প্রশাসনিক ভবনে সরেজমিনে দেখা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. কাজী ওমর সিদ্দিকী, ট্রেজারার অধ্যাপক ড. মো. আসাদুজ্জামান, উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এফ এম আবদুল মঈনের দপ্তরে তালা লাগানো আছে।
দপ্তর থেকে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, তার সকাল থেকে দপ্তরে আসেননি।
এই বিষয়ে শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. আবু তাহের বলেন, ‘আমরা আলটিমেটাম দিয়েছিলাম। সে সময় শেষ হয়েছে। নির্দিষ্ট সময়ে দাবি বাস্তবায়নের কোন পদক্ষেপ না নেয়ায় আমরা পূর্বঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী তিন দপ্তরে তালা দিয়েছি।’
শিক্ষক সমিতির সাত দফা দাবি হলো- গত ১৯ ফেব্রুয়ারি উপাচার্য কার্যালয়ে উপাচার্যের উপস্থিতিতে কিছু উচ্ছৃঙ্খল কর্মকর্তা, বহিরাগত সন্ত্রাসী ও কিছু অছাত্র কর্তৃক শিক্ষকদের ওপর ন্যক্কারজনক হামলায় নেতৃত্ব দানকারী কর্মকর্তা মো. জাকির হোসেনের সাময়িক বহিষ্কারপূর্বক সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে তার ও জড়িত সকলের সর্বোচ্চ শান্তি নিশ্চিতকরণ এবং হামলায় মদদ দানকারী প্রক্টর কাজী ওমর সিদ্দিকীর অপসারণ, ঢাকাস্থ গেস্ট হাউজ শিক্ষক-কর্মকর্তাদের জন্য অবমুক্ত করা, অধ্যাপক গ্রেড-১ ও অধ্যাপক গ্রেড-২ পদে পদোন্নতির জন্য আবেদনকৃত শিক্ষকদের অবিলম্বে পদোন্নতির ব্যবস্থা করা, কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন মোতাবেক বিভিন্ন বিভাগে বিভাগীয় প্রধান ও অনুষদসমূহে ডিন নিয়োগ এবং ইতোমধ্যে আইনের ব্যত্যয় ঘটিয়ে যেসকল বিভাগে বিভাগীয় প্রধান নিয়োগ দেয়া হয়েছে তাদের প্রত্যাহার করা, শিক্ষক নিয়োগ, পদোন্নতি ও স্থায়ীকরণের ক্ষেত্রে আইন বহির্ভূত অবৈধ শর্ত আরোপ করে জ্যেষ্ঠতা ক্ষুণ্ণ করার মাধ্যমে যে সীমাহীন বৈষম্য তৈরি করা হয়েছে দ্রুততম সময়ে সেসবের নিষ্পত্তিকরণ, ৯০তম সিন্ডিকেট সভায় গৃহীত বিতর্কিত শিক্ষাছুটি নীতিমালা রহিত করে পূর্বের নীতিমালা বহাল রাখা এবং ৮৬তম সিন্ডিকেট সভায় অনুমোদিত স্থায়ীকরণ সংক্রান্ত সিদ্ধান্ত বাতিল করা।
গত ১৯ ফেব্রুয়ারি শিক্ষক সমিতির নির্বাচনের পর উপাচার্যের কক্ষে শুভেচ্ছা বিনিময় করতে গেলে শিক্ষক সমিতির সঙ্গে অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশনের সদস্য এবং ছাত্রলীগের বাগবিতণ্ডার ঘটনা ঘটে। ওই ঘটনা নিয়ে কর্মসূচি দেয় শিক্ষক সমিতি।
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) এক শিক্ষকের পারিবারকে হয়রানি ও অসম্মানজনক আচরণের অভিযোগ উঠেছে ক্যাম্পাসের নিরাপত্তা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে।
কম্পিউটার সায়েন্স ও ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক জয়শ্রী সেন, তার স্বামী ও সন্তানকে হয়রানির ঘটনায় অভিযুক্ত কর্মকর্তার নাম আব্দুস সালাম ওরফে সেলিম।
এ ঘটনায় মঙ্গলবার বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন ভুক্তভোগী শিক্ষক। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতি, প্রক্টর, বঙ্গবন্ধু পরিষদ ও শাপলা ফোরামের প্রতিও অভিযোগের অনুলিপি পাঠানো হয়।
অভিযোগে বলা হয়, গত ১৪ এপ্রিল দুপুর সোয়া ১২টার দিকে ছেলে সন্তানকে নিয়ে মোটরসাইকেলে গ্রামের বাড়িতে যাচ্ছিলেন তার স্বামী। এ সময় মেইন গেট অতিক্রমকালে উপস্থিত নিরাপত্তা কর্মকর্তা আব্দুস সালাম তাদেরকে আপত্তিকর কথাবার্তা বলে চরমভাবে অপমান করেন। স্বামীর সামনে তাকেও অপমানজনক কথাবার্তা বলেন সালাম।
সহযোগী অধ্যাপক জয়শ্রী সেন বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবারের সম্মানার্থে আমি এতদিন ধৈর্য ধরে ছিলাম। ভেবেছিলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন এর একটা বিচার করবে। কিন্তু দুঃখজনক বিষয় তারা বিষয়টি নিয়ে কোন সম্মানজনক সমাধানের ব্যবস্থা করে নাই। এটা শিক্ষক সমাজের জন্য অপমান ও ন্যাক্কারজনক ঘটনা।
তিনি বলেন, ওইদিন আমার স্বামী সন্তানকে নিয়ে তার মায়ের বাসায় যাচ্ছিলেন। এ সময় মেইন গেটে নিরাপত্তা কর্মকর্তা তাকে থামিয়ে অকারণে আপত্তিকর ও অসম্মানজনক কথাবার্তা বলেন। এ নিয়ে প্রক্টরের কাছে মৌখিকভাবে জানালেও কোনো সম্মানজনক সমাধান পাইনি।
অভিযুক্ত নিরাপত্তা কর্মকর্তা সালাম বলেন, প্রত্যক্ষদর্শী অনেকের সাথে কথা বললে আসল সত্য সামনে আসবে। ইদের পর বহিরাগতদের চাপে মেইনগেটে অনেক ভিড় থাকে। ম্যামের স্বামী বাইক নিয়ে ঢোকা বা বের হওয়ার সময় বাইকের হর্ন বাজিয়ে মেইনর গেটে উপস্থিত দারোয়ানদের সাথে খারাপ ব্যবহার করে মেইনগেট খুলে দিতে বলেন। ছোট গেট দিয়েও তিনি বাইক নিয়ে যেতে পারতেন। তার স্বামীর সাথে কোনো খারাপ ব্যবহার করিনি। আমি শুধু আমার দায়িত্ব পালন করেছি। বিষয়টা সঠিক তদন্ত করা হোক।
প্রক্টর অধ্যাপক ড. শাহাদৎ হোসেন আজাদ বলেন, এ বিষয়টি নিয়ে সংশ্লিষ্ট সবার সাথে কথা বলা হচ্ছে। আমার পক্ষে যতটুকু সম্ভব করে যাচ্ছি।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার এইচ এম আলী হাসান বলেন, অভিযোগপত্রটি হাতে পেয়েছি। শিক্ষকের বিষয় যেহেতু সেনসিটিভ। অভিযোগটি শিগগিরই উপাচার্যের কাছে হস্তান্তর করা হবে এবং তিনিই যা ব্যবস্থা নেয়ার নেবেন।
আরও পড়ুন:কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে (কুবি) প্রশাসনের বিভিন্ন অনিয়ম ও অব্যবস্থাপনার অভিযোগ এনে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের হাউস টিউটরের পদ ছাড়লে আইন বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মু. আলী মুর্শেদ কাজেম।
বুধবার বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রারের কাছে তিনি পদত্যাগপত্র পাঠান।
পদত্যাগপত্রে মুর্শেদ কাজেম উল্লেখ করেন, সম্প্রতি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের বিভিন্ন অনিয়ম ও অব্যবস্থাপনার কারণে সৃষ্ট অচলাবস্থার কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ না করা, পদোন্নতিতে অযাচিত শর্তারোপ ও জৈষ্ঠতা লঙ্ঘনসহ বিভিন্ন অনিয়মের কারণে সম্মানিত সাধারণ শিক্ষকদের উত্থাপিত সব ন্যায্য দাবির প্রতি পূর্ণ সমর্থন জ্ঞাপন করে বর্তমানে উক্ত পদে দায়িত্ব পালনে অপারগতা প্রকাশ করছি।
এ ছাড়া বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগ তুলে এরই মধ্যে প্রায় ১৩ জন শিক্ষক পদত্যাগ করেছেন। এবার নতুন করে পদত্যাগ করছেন উপাচার্যপন্থি শিক্ষকরাও।
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে গ্রীষ্মের ছুটি পিছিয়ে ঈদুল আজহার সঙ্গে সমন্বয় করা হয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের সৈয়দ নজরুল ইসলাম প্রশাসন ভবনের কনফারেন্স কক্ষে বুধবার দুপুরে উপাচার্য অধ্যাপক গোলাম সাব্বির সাত্তারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় এ সিদ্ধান্ত হয়। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন জনসংযোগ দপ্তরের প্রশাসক প্রণব কুমার পান্ডে।
জনসংযোগ দপ্তর থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্রীষ্মাবকাশ ৫ থেকে ৯ মে এবং ১৬ থেকে ২৪ জুন ঈদ-উল-আযহার ছুটি পূর্বনির্ধারিত ছিল, কিন্তু চলমান তাপদাহের কারণে পানি সংকটের আশঙ্কা এবং শিক্ষার্থীদের এতদসংক্রান্ত নানাবিধ অসুবিধার কথা বিবেচনা করে ছুটিসমূহ পুনর্বিন্যাস করা হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, পুনর্বিন্যস্ত ছুটিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্লাস ও পরীক্ষাসমূহ ৯ থেকে ২৭ জুন পর্যন্ত এবং অফিসসমূহ ৯ থেকে ২৫ জুন পর্যন্ত বন্ধ থাকবে। ৩০ জুন থেকে ক্লাস ও পরীক্ষাসমূহ যথারীতি অনুষ্ঠিত হবে।
এ ছাড়াও গত ২১ এপ্রিল অনুষ্ঠিত সভায় গৃহীত ২ মে ক্লাস বন্ধের সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করা হয়। একইসঙ্গে বিভাগসমূহ প্রয়োজনবোধে ৬ জুন পর্যন্ত অনলাইনে পাঠদান কার্যক্রম পরিচালনা করতে পারবে বলেও সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়।
কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) প্রক্টরিয়াল বডি থেকে আরও এক সহকারী প্রক্টর পদত্যাগ করেছেন।
পদত্যাগকারী শিক্ষক হলেন গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক কাজী এম আনিছুল ইসলাম।
বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রারের কাছে পাঠানো এক পদত্যাগপত্র থেকে বুধবার দুপুরে এ তথ্য জানানো হয়।
পদত্যাগপত্রে আনিছুল ইসলাম উল্লেখ করেন, ‘সম্প্রতি ভর্তি পরীক্ষার আসন বিন্যাস কমিটির সদস্য আবু ওবায়দা রাহিদ অনুমতি ছাড়াই আমাদের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের নির্মিতব্য সংরক্ষিত কক্ষে অবৈধভাবে প্রবেশ করে আসন বিন্যাস পরিকল্পনা করেন এবং তা কেন্দ্রীয় কমিটিতে পাঠিয়ে দেন। অনুমতি ছাড়া ল্যাবে প্রবেশ ও আসন পরিকল্পনা করার কথা জানতে চাইলে তিনি আমার সঙ্গে উদ্ধত আচরণ করেন।
‘পরবর্তী সময়ে ঈদ ছুটি শেষে অনুমতি নেয়ার বিষয়টিকে কেন্দ্র করে তিনি ক্যাম্পাসে গোল চত্বরে শিক্ষার্থীদের সামনে আমাকে বিভিন্নভাবে অপমানসূচক কথাবার্তা বলতে থাকেন। বিভিন্ন ধরনের কথাবার্তা বলে স্লেজিং করতে থাকেন। ওই সময় উপস্থিত তিন শিক্ষক তাকে শান্ত করার চেষ্টা করলে তিনি আমার দিকে বারবার তেড়ে আসতে থাকেন।’
পদত্যাগপত্রে আরও বলা হয়েছে, ‘পরবর্তী সময়ে সমঝোতা বৈঠকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ও একজন অধ্যাপকের সামনে তিনি আমাকে মারতে উদ্যত হন এবং আমার পরিবার নিয়ে অশালীন কথাবার্তা বলেন, কিন্তু ঘটনার তিন দিন পার হয়ে গেলেও ওই সহকারী প্রক্টরের বিরুদ্ধে কোনো ধরনের ব্যবস্থা নেয়া হয়নি।’
কাজী এম আনিছুল ইসলাম বলেন, ‘একজন সহকারী প্রক্টর নিজের ক্ষমতা দেখিয়ে আমাকে অপদস্থ করেছেন এবং হুমকি দিয়েছেন। তাই আমি এ দায়িত্ব পালনে বিব্রতবোধ করছি। পাশাপাশি আমার সাথে হওয়া অন্যায়ের বিচারের দাবি জানিয়ে আমি সহকারী প্রক্টরের পদ থেকে পদত্যাগ করেছি।’
এর আগে গত ০৬ ফেব্রুয়ারি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক তোফায়েল হোসেন মজুমদার, ০৭ ফেব্রুয়ারি বিশ্ববিদ্যালয়ের গণমাধ্যম উপদেষ্টা মাহবুবুল হক ভুঁইয়া, ১৮ ফেব্রুয়ারি সহকারী প্রক্টর মাহমুদুল হাসান এবং ২০ ফেব্রুয়ারি সহকারী প্রক্টর কামরুল হাসান ও শেখ হাসিনা হলের আবাসিক শিক্ষক কুলছুম আক্তার স্বপ্না পদত্যাগ করেন।
এ ছাড়াও ১৯ মার্চ সিন্ডিকেট সভায় ‘অ্যাজেন্ডা বহির্ভূত ও বেআইনিভাবে ডিন নিয়োগ’ দেয়ার কারণ দেখিয়ে সিন্ডিকেট সদস্যের পদ থেকে অধ্যাপক ড. শেখ মকছেদুর রহমান পদত্যাগ করেন। সবশেষ ২০ মার্চ প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ মাহমুদুল হাছান খান, ফিন্যান্স অ্যান্ড ব্যাংকিং বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মোহাম্মদ জসীম উদ্দিন এবং গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক অর্ণব বিশ্বাস, ফার্মেসি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক জয় চন্দ্র রাজবংশীসহ মোট চার হলের চারজন হাউজ টিউটর পদত্যাগ করেন।
আরও পড়ুন:বঙ্গবন্ধু শিক্ষক পরিষদ প্যানেলে অ্যাকাডেমিক কাউন্সিলরদের ভোটে সর্বোচ্চ ভোট পেয়ে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) সিনেট সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন সিরাজগঞ্জের রাশিদাজ্জোহা সরকারি মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মো. খাদেমুল ইসলাম।
ড. খাদেমুল জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ১৯৯১ সালে পদার্থবিজ্ঞানে স্নাতক (সম্মান) ও স্নাতকোত্তর (১৯৯২) ডিগ্রি অর্জন করেন। তিনি ১৯৯৩ সালে ১৪তম বিসিএস (সাধারণ শিক্ষা) ক্যাডারে পদার্থবিদ্যার প্রভাষক হিসেবে নিয়োগ পান।
খাদেমুল চাকরিতে থাকা অবস্থায় প্রেষণে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে Plasma Physics-এ Ph.D. (২০০৫) ডিগ্রি অর্জন করেন। তা ছাড়া তিনি অস্ট্রেলিয়ার University of Melbourne থেকে Learners’ Assesment System-এর ওপর দীর্ঘমেয়াদি প্রশিক্ষণ নেন, যা বাংলাদেশে মাধ্যমিক শিক্ষায় সংস্কার বিষয়ে অবদান রাখতে সহায়তা করে।
পেশাগত দক্ষতা উন্নয়নের লক্ষ্যে তিনি পরবর্তী সময়ে বাংলাদেশের উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যলয় থেকে এম.এড. (২০১৭) এবং মালয়শিয়ার University of Nottingham থেকে Master of Education (প্রথম পর্ব) শেষ করেন। তিনি ২০১৭ সালে অধ্যাপক পদে পদোন্নতি পান।
ড. খাদেমুল দেশে ও বিদেশে পদার্থবিজ্ঞানের অনেক সম্মেলনে অংশ নিয়ে সেখানে বিজ্ঞানবিষয়ক গবেষণাপত্র উপস্থাপন করেন। তা ছাড়া আন্তর্জাতিক জার্নালে তার উল্লেখযোগ্যসংখ্যক গবেষণাপত্র প্রকাশ হয়েছে।
খাদেমুল প্রায় পাঁচ বছর ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা উন্নয়ন ইউনিটে ‘পরীক্ষা মূল্যায়ন বিশেষজ্ঞ’ এবং জাতীয় শিক্ষা ব্যবস্থাপনা একাডেমিতে (নায়েম) ১০ বছর ‘প্রশিক্ষণ বিশেষজ্ঞ’ হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
দীর্ঘ চাকরি জীবনে তিনি আমেরিকার University of Alabama ও নিউ ইয়র্কে University of Fordham থেকে Secondary School Mangement বিষয়ে প্রশিক্ষণ নেন।
তিনি শিক্ষাক্রম, শিক্ষার্থী মূল্যায়ন ও দক্ষতাভিত্তিক প্রশ্ন প্রণয়ন বিষয়ে সারা দেশে Resource Person হিসেবে কাজ করেন। ড. খাদেমুল পদার্থবিজ্ঞানের অত্যন্ত সম্ভাবনাময় শাখা Plasma Physics-এ জোহান্সবার্গের University of the Witwatersrand থেকে Post-Doctoral গবেষণা (২০০৮) সম্পন্ন করেন। এর অব্যবহিত পূর্বে তিনি কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগের আওতায় গাজীপুর জেলার বাংলাদেশ মাদ্রাসা শিক্ষক প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটে অধ্যক্ষ হিসেবে (২০২০-২০২১) দায়িত্ব পালন করেন।
তিনি ঢাকার ইসলামী আরবি বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট সদস্য নির্বাচিত হন ২০২১ সালে।
আরও পড়ুন:ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সুইমিংপুলে গোসলে নেমে বিশ্ববিদ্যালয়ের দর্শন বিভাগের এক শিক্ষার্থীর মৃত্যুর ঘটনায় তদন্ত কমিটি গঠন করেছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ দপ্তর থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে মঙ্গলবার এ তথ্য জানানো হয়।
ঢাবির প্রক্টর অধ্যাপক ড. মো. মাকসুদুর রহমানকে আহ্বায়ক এবং সহকারী প্রক্টর অধ্যাপক ড. মো. আব্দুল মুহিতকে সদস্য সচিব করে পাঁচ সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
দর্শন বিভাগের প্রথম বর্ষের ছাত্র মো. সোহাদ হকের এ মৃত্যুকে অপমৃত্যু দাবি করে এর কারণ চিহ্নিত করে প্রতিবেদন প্রদানের জন্য কমিটিকে বলা হয়েছে।
পাশাপাশি কমিটিকে তদন্ত কাজ সম্পন্ন এবং সুইমিংপুলের ব্যবস্থাপনায় কোনো অবহেলা বা ত্রুটি আছে কি না, তা চিহ্নিত করে আগামী সাত কার্যদিবসের মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য অনুরোধ জানানো হয়েছে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের রুটিন দায়িত্বে নিয়োজিত উপ উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ সামাদ এই কমিটি গঠন করেন।
কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন দর্শন বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. শাহ্ কাওসার মুস্তাফা আবুলউলায়ী, বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট সদস্য এবং তথ্যবিজ্ঞান ও গ্রন্থাগার ব্যবস্থাপনা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মোহাম্মদ শরিফ উল ইসলাম এবং বাংলা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ও হাজী মুহম্মদ মুহসীন হলের আবাসিক শিক্ষক মো. জসিম উদ্দিন।
এর আগে সোমবার দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় খেলার মাঠ সংলগ্ন সুইমিংপুলে গোসল করতে নেমে পানিতে তলিয়ে যান মোহাম্মদ সোয়াদ।
পরে আশেপাশের শিক্ষার্থীরা তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে বেলা সোয়া ২টার দিকে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী জামিল নামের এক শিক্ষার্থী ফেসবুকে লিখেছেন, ‘যে পুলে সোয়াদ তলিয়ে যায় সেটির গভীরতা ছিল ৮ থেকে ১০ ফিট। এটাতে কেউ ডুবে মারা যাবে, এটা স্বাভাবিকভাবে কারোর চিন্তায়ই আসবে না। পানির তলে গিয়ে ওপরের দিকে লাফ দিলেই ওপরে উঠে আসার কথা!’
তিনি বলেন, ‘আমরা শতাধিক ছাত্র ছিলাম, কিন্তু কেউই খেয়াল করিনি যে সে ডুবে গেছে।’
আরও পড়ুন:
মন্তব্য