× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য ইভেন্ট শিল্প উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ কী-কেন ১৫ আগস্ট আফগানিস্তান বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও ক্রিকেট প্রবাসী দক্ষিণ এশিয়া আমেরিকা ইউরোপ সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ শারীরিক স্বাস্থ্য মানসিক স্বাস্থ্য যৌনতা-প্রজনন অন্যান্য উদ্ভাবন আফ্রিকা ফুটবল ভাষান্তর অন্যান্য ব্লকচেইন অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

শিক্ষা
Whose fault is not given the test Jinarul?
google_news print-icon

কার দোষে পরীক্ষা দেয়া হল না জিনারুলের?

কার-দোষে-পরীক্ষা-দেয়া-হল-না-জিনারুলের?
প্রবেশপত্র না পাওয়ায় রাজশাহীর চারঘাট উপজেলার জোতকার্ত্তিক বিএন উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রের বাইরে দাঁড়িয়ে কাঁদছে জিনারুল ইসলাম। ছবি: নিউজবাংলা
পরীক্ষা কেন্দ্রের সামনে দাঁড়িয়ে জিনারুল ইসলাম জানায়, নির্ধারিত সময়ে সে তার প্রতিষ্ঠানে গিয়ে তৎকালীন অধ্যক্ষ নুরুল আমীনের কাছে ২ হাজার টাকা দিয়ে এসএসসি পরীক্ষার ফরম পূরণ করেছিল। কিন্তু তাকে প্রবেশপত্র দেয়া হয়নি। ইতোমধ্যে ওই অধ্যক্ষ নানা অনিয়মের কারণে বহিষ্কৃত হন।

এসএসসি পরীক্ষার প্রথম দিন, বৃহস্পতিবার সকাল ১১টা। পরীক্ষার্থীরা সবাই কেন্দ্রে ঢুকে গেছে। একজন পরীক্ষার্থী কেন্দ্রের বাইরে দাঁড়িয়ে কাঁদছে।

রাজশাহীর চারঘাট উপজেলার জোতকার্ত্তিক (কারিগরি) বিএন উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রের এ দৃশ্য। ওই পরীক্ষার্থীর নাম জিনারুল ইসলাম। সে উপজেলার বালুদিয়াড় টেকনিক্যাল বিএম কলেজের শিক্ষার্থী।

পরীক্ষা কেন্দ্রের সামনে দাঁড়িয়ে জিনারুল ইসলাম জানায়, নির্ধারিত সময়ে সে তার প্রতিষ্ঠানে গিয়ে তৎকালীন অধ্যক্ষ নুরুল আমীনের কাছে ২ হাজার টাকা দিয়ে এসএসসি পরীক্ষার ফরম পূরণ করেছিল। কিন্তু তাকে প্রবেশপত্র দেয়া হয়নি। ইতোমধ্যে ওই অধ্যক্ষ নানা অনিয়মের কারণে বহিষ্কৃত হন।

নতুন ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের কাছে গেলে তার প্রবেশপত্র কলেজে নেই বলে জানান। এ অবস্থায় সে বহিষ্কৃত অধ্যক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করলে পরীক্ষার আগের দিন প্রবেশপত্র দেয়া হবে বলে জানান। কিন্তু পরীক্ষার দিন সকালেও জিয়ারুল প্রবেশপত্র হাতে পায়নি।

জিনারুল আরও জানায়, ভ্যানচালক বাবার একমাত্র ছেলে সে। পরিবারের অর্থকষ্ট ঘুচাতে সে পড়ালেখার পাশাপাশি নানা কাজ করে। তার ইচ্ছে ছিল পড়াশোনা করে ছোট্ট একটা চাকরি করে হলেও পরিবারের হাল ধরবে। ভ্যানচালক বাবার কষ্ট লাঘব হবে। অথচ অধ্যক্ষের কারণে সে পরীক্ষাতেই অংশ নিতে পারল না।

বালুদিয়াড় টেকনিক্যাল বিএম কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ আবু কাওসার শামসুজ্জামান বলেন, ‘প্রতিষ্ঠানের সব পরীক্ষার্থীর ফরম পূরণের টাকা বহিষ্কৃত অধ্যক্ষ নিজ হাতে নিয়েছেন। নিজেই কাগজপত্র বোর্ডে জমা দিয়েছেন। অফিসের কোনো খাতায় সেগুলো লিপিবদ্ধ করা হয়নি।

‘সব পরীক্ষার্থীর প্রবেশপত্র ওই অধ্যক্ষের বাড়িতে রাখা ছিল। পরীক্ষার আগের দিন বুধবার আমাদের কাছে সেগুলো পৌঁছানো হয়েছে। আমরা শিক্ষার্থীদের প্রবেশপত্র দেয়ার সময় সেখানে সবারটা পেলেও জিনারুলের প্রবেশপত্র পাইনি।’

তিনি আরও বলেন, ‘আরও দুই-একদিন আগে আমরা বিষয়টি জানতে পারলেও জিনারুলের পরীক্ষা দেয়ার ব্যবস্থা করা যেত। কিন্তু সাবেক অধ্যক্ষ আমাদের কিছুই জানাননি। ওই অধ্যক্ষকে নানা অনিয়মের কারণে উপজেলা শিক্ষা বিভাগ ৩ জুলাই সাময়িক বহিষ্কার করেছে।’

নুরুল আমীন বলেন, ‘আমি বহিষ্কার হওয়ার পর থেকে আর কলেজে যাইনি। আর আমার কাছে কারও প্রবেশপত্র রাখা ছিল না। এগুলো মিথ্যা কথা। জিনারুলকেও আমি বলিনি যে প্রবেশপত্র দেব। তার ফরমও আমি পূরণ করিনি। তাকে ঠিকমতো চিনিও না। তবে পরীক্ষার্থীর প্রবেশপত্র বুঝিয়ে দেয়া নতুন অধ্যক্ষের দায়িত্ব, আমার না।’

মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা জয়নাল আবেদিন এ বিষয়ে বলেন, ‘ওই পরীক্ষার্থীর প্রবেশপত্র না পাওয়ার বিষয়টি বৃহস্পতিবার সকালে আমরা অবগত হয়েছি। এখন তাকে পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করানোর উপায় নেই। তবে ওই শিক্ষার্থী চাইলে অভিযুক্ত শিক্ষকের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিতে পারে।’

আরও পড়ুন:
সময় শেষ না হতেই পরীক্ষার্থীদের খাতা তুললেন শিক্ষকরা
বাংলা প্রথম পত্রের দিন ৩ কেন্দ্রে গেল দ্বিতীয় পত্রের এমসিকিউ
খাগড়াছড়ি কারাগারে বসে এসএসসি পরীক্ষা ৩ জনের
এসএসসি পরীক্ষার্থীকে সঠিক কেন্দ্রে পৌঁছে দিয়ে প্রশংসিত পুলিশ
পরীক্ষা শুরুর ৮ মিনিট পরও কেন্দ্রে ঢোকে শিক্ষার্থী

মন্তব্য

আরও পড়ুন

শিক্ষা
Holidays are not increasing schools are opening on Sunday amid the heat wave

তাপপ্রবাহের মধ্যেই রোববার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার সিদ্ধান্ত

তাপপ্রবাহের মধ্যেই রোববার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার সিদ্ধান্ত ছবি: সংগৃহীত
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, তাপপ্রবাহের কারণে ২০ এপ্রিল মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের ঘোষিত ছুটি শেষ হওয়ার পর ২৮ এপ্রিল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে শ্রেণি কার্যক্রম চালুর সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। তবে তাপপ্রবাহ সহনীয় পর্যায়ে না আসা পর্যন্ত অ্যাসেম্বলি বন্ধ থাকবে। পাশাপাশি শ্রেণিকক্ষের বাইরের কোনো কার্যক্রম শিক্ষার্থীদের দিয়ে করানো যাবে না।

তীব্র তাপপ্রবাহের মধ্যেই পূর্বঘোষণা অনুযায়ী রোববার (২৮ এপ্রিল) খুলছে দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। এদিন থেকে যথারীতি চলবে ক্লাস। তবে তাপপ্রবাহ সহনীয় পর্যায়ে না আসা পর্যন্ত অ্যাসেম্বলি বন্ধ থাকবে। পাশাপাশি শ্রেণিকক্ষের বাইরের কোনো কার্যক্রম শিক্ষার্থীদের দিয়ে না করানোর নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।

বৃহস্পতিবার বিকেলে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের জারি করা প্রজ্ঞাপনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের উপসচিব মোসাম্মৎ রহিমা আক্তার স্বাক্ষরিত প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, ‘পবিত্র ঈদুল ফিতরের ছুটির ধারাবাহিকতায় তাপপ্রবাহের কারণে ২০ এপ্রিল মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের ঘোষিত ছুটি শেষ হওয়ার পর শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে শ্রেণি কার্যক্রম চালুর বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।’

প্রজ্ঞাপনে চারটি সিদ্ধান্তের উল্লেখ করা হয়েছে। সেগুলো হলো-

২৮ এপ্রিল রোববার থেকে যথারীতি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা থাকবে এবং শ্রেণি কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।

তাপপ্রবাহ সহনীয় পর্যায়ে না আসা পর্যন্ত অ্যাসেম্বলি বন্ধ থাকবে।

শ্রেণি কার্যক্রমের যে অংশটুকু শ্রেণিকক্ষের বাইরে পরিচালিত হয়ে থাকে এবং শিক্ষার্থীদের সূর্যের সংস্পর্শে আসতে হয়, সেসব কার্যক্রম সীমিত থাকবে।

তাপপ্রবাহ এবং অন্যান্য কারণে শ্রেণি কার্যক্রম বন্ধ থাকার ফলে যে শিখন ঘাটতি তৈরি হয়েছে, তা পূরণ এবং নতুন কারিকুলাম অনুযায়ী শিখন ফল অর্জনের জন্য পরবর্তী নির্দেশনা না দেয়া পর্যন্ত প্রতি সপ্তাহের শনিবারও শ্রেণি কার্যক্রম চলবে।

এর আগে বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী শামসুন নাহার জানিয়েছিলেন, বর্তমান তাপপ্রবাহ পরিস্থিতিতে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ছুটি বাড়ানো হবে কি না সে বিষয়ে শুক্রবার অথবা শনিবার সিদ্ধান্ত জানানো হবে।

কোনো বিকল্প পরিকল্পনা আছে কি না- এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘অনলাইনে তো আছে, সেটা আমরা পরে দেখব। গ্রাম পর্যায়ে স্কুল আছে, তারা তো অনলাইনে অভ্যস্ত না। অতএব সবকিছু চিন্তা করেই আমাদের কাজ করতে হবে। শুক্র বা শনিবারের মধ্যে সিদ্ধান্ত নিয়ে নেব।’

পবিত্র রমজান, ঈদুল ফিতর ও গ্রীষ্মকালীন অবকাশ শেষে ২১ এপ্রিল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার কথা ছিল। তবে দেশজুড়ে তীব্র তাপপ্রবাহে শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্য সুরক্ষায় দীর্ঘ ছুটি শেষেও খোলেনি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। ২১ এপ্রিল ছুটি বাড়িয়ে ২৫ এপ্রিল পর্যন্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধের ঘোষণা দেয় সরকার।

আরও পড়ুন:
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ২৮ এপ্রিল খুলে দেয়ার প্রস্তুতি, শনিবার সিদ্ধান্ত
আরও এক সপ্তাহ স্কুল বন্ধের সিদ্ধান্ত আসছে
ঈদ ও নববর্ষের দীর্ঘ ছুটি শেষ, তবু আমেজ কাটেনি

মন্তব্য

শিক্ষা
Chuet is closed indefinitely and students are instructed to vacate the hall
বাসচাপায় দুই শিক্ষার্থীর মৃত্যুতে উত্তপ্ত ক্যাম্পাস

চুয়েট অনির্দিষ্টকাল বন্ধ ঘোষণা, শিক্ষার্থীদের হলত্যাগের নির্দেশ

চুয়েট অনির্দিষ্টকাল বন্ধ ঘোষণা, শিক্ষার্থীদের হলত্যাগের নির্দেশ
বৃহস্পতিবার অ্যাকাডেমিক কাউন্সিলের জরুরি সভায় চুয়েটের শিক্ষা কার্যক্রম বন্ধের ঘোষণা দেয়া হয়। পাশাপাশি বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতক ও স্নাতকোত্তর পর্যায়ের পরীক্ষাসহ সব অ্যাকাডেমিক কার্যক্রম বন্ধ ঘোষণা করেছে প্রশাসন।

বাসচাপায় দুই শিক্ষার্থীর মৃত্যুকে কেন্দ্র করে উত্তপ্ত পরিস্থিতির মধ্যে চট্টগ্রাম বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (চুয়েট) অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করেছে কর্তৃপক্ষ। একইসঙ্গে শিক্ষার্থীদের হলত্যাগের নির্দেশ দেয়া হয়েছে।

বৃহস্পতিবার উপাচার্যের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত অ্যাকাডেমিক কাউন্সিলের ১৫১তম জরুরি সভায় চুয়েটের শিক্ষা কার্যক্রম বন্ধের ঘোষণা দেয়া হয়। পাশাপাশি বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতক ও স্নাতকোত্তর পর্যায়ের পরীক্ষাসহ সব অ্যাকাডেমিক কার্যক্রম বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।

সভায় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সহ-উপাচার্য মোহাম্মদ জামাল উদ্দিন আহমেদ, রেজিস্ট্রার শেখ মোহাম্মদ হুমায়ুন কবির, ছাত্রকল্যাণ দপ্তরের পরিচালক মো. রেজাউল করিম প্রমুখ।

চুয়েটের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ২২ এপ্রিল সড়ক দুর্ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই শিক্ষার্থীর মৃত্যু হয়। ওই ঘটনাকে কেন্দ্র করে বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। এর পরিপ্রেক্ষিতে বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) উপাচার্যের সভাপতিত্বে অ্যাকাডেমিক কাউন্সিলের ১৫১তম জরুরি সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় অনির্দিষ্টকালের জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতক ও স্নাতকোত্তর পর্যায়ের পরীক্ষাসহ সব অ্যাকাডেমিক কার্যক্রম বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।

ছাত্রদের বৃহস্পতিবার বিকাল ৫টার মধ্যে এবং ছাত্রীদের শুক্রবার সকাল ৯টার মধ্যে হলত্যাগের নির্দেশ দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।

২২ এপ্রিল সোমবার বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়া থানার জিয়ানগরে মোটরসাইকেলে ঘুরতে বেরিয়ে বাসের ধাক্কায় নিহত হন চুয়েটের দুই শিক্ষার্থী। এরপর থেকে ১০ দাবিতে চারদিন ধরে বিক্ষোভ করছেন শিক্ষার্থীরা।

এদিকে হল ছাড়ার নির্দেশনা পেয়ে বৃহস্পতিবার শিক্ষার্থীরা আরও ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন। ক্যাম্পাসের স্বাধীনতা চত্বর এলাকায় দুপুরের দিকে একটি বাসে আগুন ধরিয়ে দেন তারা। ক্যাম্পাসে উত্তেজনা বিরাজ করছে।

আরও পড়ুন:
বাসের ধাক্কায় দুই চুয়েট শিক্ষার্থী নিহত, আহত ১

মন্তব্য

শিক্ষা
The ministry is preparing to open educational institutions from Sunday

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ২৮ এপ্রিল খুলে দেয়ার প্রস্তুতি, শনিবার সিদ্ধান্ত

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ২৮ এপ্রিল খুলে দেয়ার প্রস্তুতি, শনিবার সিদ্ধান্ত
প্রচণ্ড গরমের কারণে দেশের স্কুল-কলেজ এক সপ্তাহ বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছিল। পূর্বঘোষণা অনুযায়ী ২৮ এপ্রিল রোববার শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলে দেয়ার প্রস্তুতি নেয়া হলেও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি। শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী বলেছেন, শুক্র বা শনিবারের মধ্যে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।

প্রচণ্ড গরমের কারণে স্বাস্থ্যগত দিক বিবেচনা করে দেশের স্কুল-কলেজ এক সপ্তাহ বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছিল। আবহাওয়ার সেই পরিস্থিতির উন্নতি হয়নি। এ অবস্থায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ছুটি আরও বাড়বে কি না সে বিষয়ে শনিবারের মধ্যে সিদ্ধান্ত হবে।

তবে পূর্বঘোষণা অনুযায়ী ২৮ এপ্রিল রোববার শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলে দেয়ার সব ধরনের প্রস্তুতি নিয়ে রাখা হয়েছে। পাশাপাশি আবহাওয়া স্বাভাবিক হলে শনিবারও সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ক্লাস চালু রাখা হবে।

শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী শামসুন নাহার বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে নিজ দপ্তরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এসব কথা বলেন।

বর্তমান তাপপ্রবাহ পরিস্থিতিতে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ছুটি বাড়ানো হবে কি না- জানতে চাইলে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘তাপমাত্রার কথা তো বলা যায় না। আপ-ডাউন হয়। সামনে দুদিন (শুক্র ও শনিবার) বন্ধ আছে। আমরা একটু দেখি, তারপর সিদ্ধান্ত নেব।’

তিনি আরও বলেন, ‘আবহাওয়া দপ্তর জানিয়েছে যে তাপমাত্রা বাড়তে পারে। শিক্ষামন্ত্রী দেশে ফিরলে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।’

এদিকে তাপপ্রবাহ অব্যাহত থাকার পূর্বাভাসের প্রেক্ষাপটে কিছু প্রস্তাব দিয়েছে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর। স্কুল খুলে দেয়া হলেও শিশুদের স্কুলের সময় এগিয়ে আনা এবং ক্লাস সংখ্যা কমানোর প্রস্তাব দিয়েছে তারা।

এ বিষয়গুলো নিয়ে কাজ করা হচ্ছে কি না- জানতে চাইলে শামসুন নাহার বলেন, ‘সেটা নিয়ে কাজ করব পরে। আগে সামনে যেটা আছে সেটা শেষ করে নেই।’

কোনো বিকল্প পরিকল্পনা আছে কি না- এমন প্রশ্নে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘অনলাইনে তো আছে, সেটা আমরা পরে দেখব। গ্রাম পর্যায়ে স্কুল আছে, তারা তো অনলাইনে অভ্যস্ত না। অতএব সবকিছু চিন্তা করেই আমাদের কাজ করতে হবে।

‘শুক্র বা শনিবারের মধ্যে সিদ্ধান্ত নিয়ে নেব। দুদিনের মধ্যে আমরা সিদ্ধান্ত নিতে চাই।’

দেশের বেশিরভাগ অংশ জুড়েই বইছে তাপপ্রবাহ। কোথাও কোথাও তাপপ্রবাহ তীব্র আকার ধারণ করেছে। অর্থাৎ দিনের তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস পার হয়েছে। ঈদুল ফিতর ও নববর্ষের ছুটি শেষে ২১ এপ্রিল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার কথা ছিল। কিন্তু প্রচণ্ড গরমের কারণে ছুটি এক সপ্তাহ বাড়ানো হয়েছে। সে হিসাবে রোববার (২৮ এপ্রিল) থেকে স্কুল খুলে দেয়ার কথা রয়েছে।

তাপপ্রবাহ চলমান থাকার এই পরিস্থিতিতে পূর্বঘোষিত সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ২৮ এপ্রিল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেয়া হবে কীনা সে ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নিতে শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও শিক্ষা প্রশাসনের অধিদপ্তরগুলোতে আলোচনা চলছে।

সেসব আলোচনায় কয়েকটি বিষয় গুরুত্ব পেয়েছে। যেমন চলমান তাপমাত্রা বাংলাদেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা নয়। তাছাড়া দেশের সব অঞ্চলের বর্তমান তাপমাত্রা সমান নয়। তবে ২৮ এপ্রিল থেকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেয়ার জন্য সব রকমের প্রস্তুতি নিয়ে রাখা হচ্ছে।

আর রোববার থেকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেয়া হলেও কিছু শর্ত থাকবে। যেমন শিক্ষার্থীদের শ্রেণিকক্ষের বাইরের কার্যক্রম থেকে বিরত রাখতে হবে। পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত অ্যাসেম্বলি বন্ধ থাকবে। আর শিখন ঘাটতি পূরণে ৪ মে থেকে শনিবারও ক্লাস চলবে।

মন্তব্য

শিক্ষা
Written complaint of students collecting extra money in HSC exam form

এইচএসসি পরীক্ষা: ফরম পূরণে অতিরিক্ত অর্থ আদায়ের লিখিত অভিযোগ

এইচএসসি পরীক্ষা: ফরম পূরণে অতিরিক্ত অর্থ আদায়ের লিখিত অভিযোগ মুন্সীগঞ্জের গজারিয়ার উপজেলা পরিষদ প্রশাসনিক ভবনে অভিযোগকারী শিক্ষার্থীরা। ছবি: নিউজবাংলা
গজারিয়ার ইউএনও কোহিনুর আক্তার বলেন, ‘বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা আমার নিকট একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছে। তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেয়া হবে।’ 

মুন্সীগঞ্জের গজারিয়ায় এইচএসসি পরীক্ষার ফরম পূরণে অতিরিক্ত অর্থ আদায়ের অভিযোগে কলেজটির অধ্যক্ষের নামে লিখিত অভিযোগ করেছে শিক্ষার্থীরা।

উপজেলার কলিম উল্লাহ কলেজের শিক্ষার্থীরা রোববার দুপুরে নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) কার্যালয়ের সামনে অবস্থা নিয়ে আন্দোলন করে।

শিক্ষার্থীদের দাবি, তাদের কাছ থেকে আদায় করা হচ্ছে চার থেকে ছয় হাজার টাকা।

আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের কয়েকজনের সঙ্গে রোববার দুপুরে কথা বলে জানা যায়, উন্নয়ন ফির নামে তাদের কাছ থেকে সরকার নির্ধারিত ফির চাইতে অনেক বেশি টাকা আদায় করা হচ্ছে। আর্থিকভাবে অসচ্ছল এবং দরিদ্র শিক্ষার্থীরা এত বড় অঙ্কের টাকা দিয়ে ফরম পূরণ করতে পারছেন না।

তারা জানায়, ফরম পূরণের শেষ সময় চলে আসায় বাধ্য হয়ে তারা আন্দোলনে নেমেছে। প্রাথমিকভাবে তারা তাদের আপত্তির বিষয়টি কলেজটির অধ্যক্ষ এবং শিক্ষকদের জানিয়েছে। তবে তারা এ বিষয়ে কোনো কর্ণপাত না করায় বাধ্য হয়ে তারা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে এসেছে।

এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে গজারিয়া উপজেলার ইউএনওর কাছে তারা একটি লিখিত অভিযোগ করে। নির্বাহী কর্মকর্তা তাদের জানান, এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

খবর নিয়ে জানা যায়, শিক্ষা বোর্ডগুলোর নিয়ম অনুযায়ী বিজ্ঞান শাখার পরীক্ষার্থীদের মোট ২ হাজার ৬৮০ টাকা এবং মানবিক ও ব্যবসায় শিক্ষার জন্য ২ হাজার ১২০ টাকা করে ফরম পূরণের ফি নির্ধারণ করা হয়েছে।

মানবিক ও ব্যবসায় শিক্ষা শাখার কোনো পরীক্ষার্থীর চতুর্থ বিষয়ে ব্যবহারিক পরীক্ষা থাকলে এ ফির সঙ্গে অতিরিক্ত ১৪০ টাকা যুক্ত হবে। আর মানবিক ও ব্যবসায় শিক্ষা শাখার কোনো শিক্ষার্থীর নৈর্বাচনিক বিষয়ে ব্যবহারিক থাকলে বিষয় প্রতি আরও ১৪০ টাকা যোগ হবে।

বিষয়টি সম্পর্কে জানতে চাইলে কলেজটির অধ্যক্ষ মোনতাজ উদ্দীন মর্তুজা বলেন, ‘যারা আন্দোলন করছে তারা অধিকাংশ টেস্ট পরীক্ষায় অকৃতকার্য শিক্ষার্থী। ফরম পূরণে চার হাজার টাকা আদায় করা হচ্ছে তা সত্যি নয়।’

তিনি আরও বলেন, ‘সরকার নির্ধারিত টাকার বাহিরে যে টাকা বেশি নেয়া হচ্ছে তা হলো বেতন ও উন্নয়ন ফির টাকা। উন্নয়ন ফি বাবদ ১ হাজার ১৪০ টাকার মতো আদায় করা হচ্ছে। আমরা এমপিওভুক্ত কলেজ। এ টাকাটুকু যদি না আদায় করি, তাহলে কলেজ কীভাবে চলবে?’

বিষয়টি সম্পর্কে গজারিয়া উপজেলার মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা জাকির হোসেন রোববার বলেন, ‘বিষয়টি সম্পর্কে আমি অবগত আছি। আমাদের জেলা শিক্ষা কর্মকর্তাও এ বিষয়ে সম্পর্কে অবগত আছেন। আমি সোমবার সকালে কলেজটি পরিদর্শনে যাব। সংশ্লিষ্ট সকলের সঙ্গে কথা বলে এ বিষয়ে পদক্ষেপ নেয়া হবে।’

গজারিয়ার ইউএনও কোহিনুর আক্তার বলেন, ‘বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা আমার নিকট একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছে। তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেয়া হবে।’

আরও পড়ুন:
ঘর থেকে ডেকে নিয়ে প্রবাসীকে হত্যার বিচার দাবি  
মুন্সীগঞ্জে নদীতে নিখোঁজ ঢাকা ব্যাংক কর্মকর্তাসহ দুজনের মরদেহ উদ্ধার
মোটরসাইকেলের ধাক্কায় নিহত পথচারী
শ্রীনগরে আগুনে পুড়ল পাঁচ ঘর
নদীতে জাল ফেলে ফেরার পথে বজ্রপাতে মৃত্যু

মন্তব্য

শিক্ষা
After correcting errors in the evaluation of the answer sheet the result will be published at night
প্রাথমিকে তৃতীয় ধাপে শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা

উত্তরপত্র মূল্যায়নে ত্রুটি, সংশোধন শেষে রাতেই ফল প্রকাশ

উত্তরপত্র মূল্যায়নে ত্রুটি, সংশোধন শেষে রাতেই ফল প্রকাশ ফাইল ছবি।
প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, প্রকাশিত ফলাফলে দুটি সেট কোডের উত্তরপত্র মূল্যায়নে কারিগরি ত্রুটি দেখা দিয়েছে। ফল পুনরায় মূল্যায়ন শুরু করেছে বুয়েটের বিশেষজ্ঞ টিম। পুনঃমূল্যায়ন শেষে রাত ১২টার মধ্যেই সংশোধিত ফল প্রকাশ করা হবে।

সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক নিয়োগে তৃতীয় ধাপে ঢাকা-চট্টগ্রাম বিভাগের লিখিত পরীক্ষার প্রকাশিত ফল স্থগিত করা হয়েছে।

প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র তথ্য অফিসার মাহবুবুর রহমান তুহিন স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে রোববার রাতে এ তথ্য জানানো হয়।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, প্রকাশিত ফলাফলে দুটি সেট কোডের উত্তরপত্র মূল্যায়নে কারিগরি ত্রুটি দেখা দিয়েছে। ফল পুনরায় মূল্যায়ন শুরু করেছে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের বিশেষজ্ঞ টিম। পুনঃমূল্যায়ন শেষে রোববার রাত ১২টার মধ্যেই সংশোধিত ফল প্রকাশ করা হবে।

উত্তরপত্র মূল্যায়নে ত্রুটি, সংশোধন শেষে রাতেই ফল প্রকাশ

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সহকারী শিক্ষক নিয়োগে ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিভাগের ফল রোববার দুপুরে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের এক স্মারকে প্রকাশ করা হয়। এতে উত্তীর্ণ হন ২৩ হাজার ৫৭ জন প্রার্থী। প্রকাশিত ফলাফলে মেঘনা ও যমুনা সেটের পরীক্ষার্থীদের উত্তরপত্র মূল্যায়নে কারিগরি ত্রুটি পরিলক্ষিত হয়েছে।

মেঘনা ও যমুনা সেটের পরীক্ষার্থীদের উত্তরপত্র আইআইসিটি, বুয়েটের কারিগরি টিম ইতোমধ্যে পুনঃমূল্যায়নের কাজ শুরু করেছে। রাত ১২টার মধ্যে মেঘনা ও যমুনা সেটের পরীক্ষার্থীদের উত্তরপত্র পুনঃমূল্যায়ন করে নিরীক্ষান্তে সংশোধিত ফল প্রকাশ করা হবে।

প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর থেকে রোববার দুপুরে প্রাথমিকের শিক্ষক নিয়োগের তৃতীয় ধাপের ফল প্রকাশ করা হয়। অনেক প্রার্থী ভালো পরীক্ষা দিয়েও ফল না পাওয়ার অভিযোগ তোলেন। অনেকে ফেসবুকে পোস্ট দেন। পরে মেঘনা ও যমুনা কোডের প্রার্থীরা গ্রুপ খুলে সেখানে কারা কারা ভালো পরীক্ষা দিয়েও ফল পাননি তা জানাতে থাকেন।

বিষয়টি গণমাধ্যমকর্মীরা প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং প্রাথমিক শিক্ষা অধিপদপ্তরের দৃষ্টিগোচর করলে দুই সেটের উত্তরপত্র পুনঃমূল্যায়নের সিদ্ধান্ত হয়।

আরও পড়ুন:
প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগ: ঈদের পরপরই তৃতীয় ধাপের ফল
৯৬ হাজার ৭৩৬ পদে শিক্ষক নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ
প্রাথমিকে ১০ হাজার শিক্ষক নিয়োগ জুনের মধ্যে: প্রতিমন্ত্রী

মন্তব্য

শিক্ষা
DB will also interrogate the arresting board chairman

সার্টিফিকেট বাণিজ্যকাণ্ডে কারিগরি বোর্ড চেয়ারম্যান ওএসডি

সার্টিফিকেট বাণিজ্যকাণ্ডে কারিগরি বোর্ড চেয়ারম্যান ওএসডি মো. আলী আকবর খান
ডিবিপ্রধান মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ বলেন, ‘সার্টিফিকেট-বাণিজ্যের এ ঘটনার সঙ্গে যারাই জড়িত থাক না কেন কাউকে ছাড় দেব না। তথ্য-উপাত্তে কারিগরি বোর্ড চেয়ারম্যানের সংশ্লিষ্টতার প্রমাণ পাওয়া গেলে তাকেও জিজ্ঞাসাবাদ করব। যেকোনো সময় তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডাকব।’

সার্টিফিকেট বাণিজ্যে সংশ্লিষ্টতা পাওয়া গেলে বাংলাদেশ কারিগরি বোর্ডের চেয়ারম্যান মো. আলী আকবর খানকে জিজ্ঞাসাবাদ করবে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। এরই মধ্যে তাকে দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দিয়ে বিশেষ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওএসডি) করা হয়েছে।

রোববার এ সিদ্ধান্ত হয়। তবে এ বিষয়ে সোমবার প্রজ্ঞাপন জারি হতে পারে বলে সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন।

আলী আকবরকে ওএসডি করে তার জায়গায় দায়িত্ব দেয়া হয়েছে বোর্ডের পরিচালক অধ্যাপক মামুন উল হককে। এ ঘটনায় কারিগরি বোর্ডের সচিবও নজরদারিতে আছেন।

এর আগে শনিবার রাজধানীর উত্তরা থেকে আলী আকবর খানের স্ত্রী সেহেলা পারভীনকে গ্রেপ্তার করা হয়। তার বিরুদ্ধে সার্টিফিকেট-বাণিজ্যে সংশ্লিষ্টতার প্রমাণ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় দায়ের হওয়া মামলায় তাকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।

রাজধানীর মিণ্টো রোডে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) মিডিয়া সেন্টারে রোববার সংবাদ সম্মেলনে বিষয়টি নিয়ে কথা বলেন ডিবিপ্রধান অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ।

তিনি বলেন, ‘সার্টিফিকেট-বাণিজ্যের এ ঘটনার সঙ্গে যারাই জড়িত থাক না কেন কাউকে ছাড় দেব না। তথ্য-উপাত্তে কারিগরি বোর্ড চেয়ারম্যানের সংশ্লিষ্টতার প্রমাণ পাওয়া গেলে তাকেও জিজ্ঞাসাবাদ করব। যেকোনো সময় তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডাকব।’

হারুন অর রশীদ বলেন, ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) লালবাগ বিভাগ কারিগরি শিক্ষা বোর্ডে জাল সার্টিফিকেট তৈরির সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে ১ এপ্রিল রাজধানীর পীরেরবাগ এলাকার একটি বাসা থেকে দুজনকে গ্রেপ্তার করে। তারা হলেন- বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের কম্পিউটার সেলের সিস্টেম অ্যানালিস্ট এ কে এম শামসুজ্জামান এবং একই প্রতিষ্ঠানের চাকরিচ্যুত ও বর্তমানে শামসুজ্জামানের ব্যক্তিগত বেতনভুক্ত সহকারী ফয়সাল।

এরপর ৫ এপ্রিল কুষ্টিয়ার সদর থানা এলাকা থেকে গড়াই সার্ভে ইনস্টিটিউটের পরিচালক সানজিদা আক্তার কলিকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তার এই তিনজন আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছেন।

তাদের দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে বিপুল পরিমাণ জাল সার্টিফিকেট, মার্কশিট, রেজিস্ট্রেশন কার্ড ও প্রবেশপত্র এবং শত শত সার্টিফিকেট ও মার্কশিট তৈরির মতো বিশেষ কাগজ, কম্পিউটার, ল্যাপটপ, প্রিন্টার, কারিগরি শিক্ষা বোর্ড থেকে চুরি করে নেয়া হাজার হাজার অরিজিনাল সার্টিফিকেট এবং মার্কশিটের ব্লাঙ্ক কপি, শতাধিক সার্টিফিকেট, ট্রান্সক্রিপ্ট, বায়োডাটা ও গুরুত্বপূর্ণ দলিলাদি জব্দ করা হয়।

ডিবিপ্রধান বলেন, গ্রেপ্তার আসামিদের জিজ্ঞাসাবাদ ও তাদের মোবাইল ফোন পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে চক্রের সঙ্গে জড়িত কামরাঙ্গীরচর হিলফুল ফুযুল টেকনিক্যাল অ্যান্ড বি এম কলেজের অধ্যাপক মোস্তাফিজুর রহমানকে ১৮ এপ্রিল গ্রেপ্তার করা হয়। এরপর চক্রের সঙ্গে জড়িত ঢাকা টেকনিক্যাল স্কুল অ্যান্ড কলেজের পরিচালক মো. মাকসুদুর রহমান ওরফে মামুনকে গ্রেপ্তার করা হয় ১৯ এপ্রিল।

চক্রের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে সবশেষ বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ড চেয়ারম্যানের স্ত্রী সেহেলা পারভীনকে শনিবার রাজধানীর উত্তরা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।

হারুন অর রশীদ বলেন, গ্রেপ্তার এ কে এম শাসমুজ্জামান ও তার ব্যক্তিগত সহযোগী ফয়সাল গত কয়েক বছরে পাঁচ হাজারের বেশি সার্টিফিকেট ও মার্কশিট বানিয়ে ভুয়া লোকদের কাছে হস্তান্তর করেছে। একইসঙ্গে সরকারি ওয়েবসাইটে সরকারি পাসওয়ার্ড, অথরাইজেশন ব্যবহার করে ভুয়া লোকদের মধ্যে বিক্রি করা সার্টিফিকেটগুলোকে বাংলাদেশ সরকারের কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের ওয়েবসাইটে আপলোড করেছে। ফলে বাংলাদেশসহ পৃথিবীর যে কোনো দেশে বসে এই ওয়েবসাইটে গিয়ে রোল নম্বর, রেজিস্ট্রেশন নম্বর গুগলে সার্চ করলে তা সঠিক পাওয়া যায়।

এই অতিরিক্ত কমিশনার আরও বলেন, কোনো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বা প্রতিষ্ঠানের ছাত্র-ছাত্রীর তথ্য সংযোজন, বিয়োজন ও পরিবর্তন সংক্রান্ত আবেদন-নিবেদনের ফোকাল পারসন সংশ্লিষ্ট শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান বা পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক; কোনোক্রমেই ই-সিস্টেম অ্যানালিস্ট বা কম্পিউটার অপারেটররা নন।

সিস্টেম অ্যানালিস্ট বা কম্পিউটার অপারেটররা প্রতিষ্ঠানের নিয়ন্ত্রকদের নির্দেশে কঠোর গোপনীয়তা বজায় রেখে সংবেদনশীল এই কাজগুলো করার কথা। কিন্তু বাংলাদেশের বিভিন্ন উপজেলা, জেলা এবং বিভাগীয় শহরে অবস্থিত সরকারি-বেসরকারি কারিগরি স্কুল ও কলেজ, পলিটেকনিক্যাল ইনস্টিটিউট, সার্ভে ইনস্টিটিউটের পরিচালক, প্রিন্সিপালরা সম্পূর্ণ অবৈধ ও অনৈতিকভাবে শিক্ষার্থীদের রেজিস্ট্রেশন, রোল নম্বর তৈরি, রেজাল্ট পরিবর্তন-পরিবর্ধন, নাম ও জন্মতারিখ সংশোধনের তথ্য হোয়াটসঅ্যাপে টাকার বিনিময়ে আদান-প্রদান করেছেন কম্পিউটার অপারেটর ও সিস্টেম এনালিস্টদের সঙ্গে।

তিনি বলেন, এরকম প্রতিষ্ঠানের দুর্নীতিপরায়ণ ২৫/৩০ জনকে শনাক্ত করা হয়েছে। তাদেরও আইনের আওতায় আনা হবে।

ডিবি প্রধান বলেন, বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের কিছু দুর্নীতিপরায়ণ সিবিএ দালাল কর্মচারী-কর্মকর্তা, কম্পিউটার ও পরিদর্শন শাখার কর্মকর্তা-কর্মচারী দীর্ঘদিন ধরে অবৈধভাবে রেজাল্ট পরিবর্তন, নাম-ঠিকানা পরিবর্তন, প্রার্থীদের বয়স পরিবর্তন ও সময়ে অবৈধভাবে রেজিস্ট্রেশন নম্বর ও রোল নম্বর প্রদান সংক্রান্ত কাজগুলো করার জন্য সিন্ডিকেট বানিয়েছে।

মন্তব্য

শিক্ষা
Heatwave Decisions about online classes at different universities

তাপপ্রবাহ: বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে অনলাইন ক্লাসের সিদ্ধান্ত

তাপপ্রবাহ: বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে অনলাইন ক্লাসের সিদ্ধান্ত ছবি: সংগৃহীত
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়, বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়, শেখ হাসিনা বিশ্ববিদ্যালয়, নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়, ইউনিভার্সিটি অফ এশিয়া প্যাসিফিক ও ইউনিভার্সিটি অফ ইনফরমেশন টেকনোলজি অ্যান্ড সায়েন্সেস অনলাইনে ক্লাস নেয়ার সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছে। যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় ক্লাসের সময়সীমা কমিয়ে এনেছে। আরও কিছু বিশ্ববিদ্যালয় এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে যাচ্ছে।

তীব্র তাপপ্রবাহের কারণে প্রাথমিক বিদ্যালয় ও কলেজগুলো ২৭ এপ্রিল পর্যন্ত বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় শিক্ষার্থীদের তাপ থেকে সুরক্ষিত রাখতে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় অনলাইনে ক্লাসের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আরও কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয় এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে যাচ্ছে।

নিউজবাংলার সংশ্লিষ্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিনিধিরা জানিয়েছেন বিস্তারিত।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়, বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়, শেখ হাসিনা বিশ্ববিদ্যালয়, নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়, ইউনিভার্সিটি অফ এশিয়া প্যাসিফিক ও ইউনিভার্সিটি অফ ইনফরমেশন টেকনোলজি অ্যান্ড সায়েন্সেস তাদের ক্লাস অনলাইনে নেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

এ ছাড়াও বেশকিছু বিশ্ববিদ্যালয় এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণের জন্য বৈঠক ডেকেছে। আর যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় ক্লাসের সময়সীমা কমিয়ে এনেছে। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্লাসও বন্ধ রাখা হয়েছে অনির্দিষ্টকালের জন্য।

চলমান তাপপ্রবাহে শিক্ষার্থীদের শারীরিক সুস্থতার বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে অনলাইন ক্লাসের সিদ্ধান্ত নিয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়। তবে এ সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়ম মেনে পরীক্ষাগুলো শিক্ষার্থীদের সশরীরে উপস্থিত থেকে দিতে হবে। পরবর্তী নির্দেশনা না দেয়া পর্যন্ত এ সিদ্ধান্ত কার্যকর থাকবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভাগগুলো নিজেদের মতো করে অনলাইন ক্লাস পরিচালনা করতে পারবে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে রোববার এসব তথ্য জানানো হয়।

তীব্র দাবদাহের কারণে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় চলতি সপ্তাহে অনলাইনে ক্লাস নেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এসময় সব পরীক্ষা স্থগিত থাকবে। রোববার বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলরের সভাপতিত্বে এক জরুরি সভায় এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।

বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার আইনুল ইসলাম স্বাক্ষরিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, চলমান দাবদাহের কারণে স্বাস্থ্য সুরক্ষার কথা বিবেচনায় শনিবার (২৭ এপ্রিল) পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সশরীরে সব ক্লাস ও পরীক্ষা বন্ধ থাকবে। তবে অনলাইনে ক্লাস ও বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্যান্য কার্যক্রম যথারীতি চালু থাকবে।

তীব্র দাবদাহের কারণে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সব ক্লাসও অনলাইনে নেয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে। তবে পরীক্ষা সশরীরেই হবে। এ ছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ে যাতায়াতের অন্যতম বাহন শাটল ট্রেন ও শিক্ষক কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বাস নিয়মিত সূচিতে চলবে।

এক জরুরি সভা শেষে এসব সিদ্ধান্ত নেয় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। সভায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি, প্রো-ভিসি, ডিন ও সিন্ডিকেট সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। সভা শেষে সমাজবিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক সিরাজ উদ দৌল্লাহ বলেন, অফিস খোলা থাকবে। শিক্ষার্থীদের ভোগান্তি বিবেচনায় ক্লাস অনলাইনে নেয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে। পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত এ সিদ্ধান্ত কার্যকর থাকবে।

শেখ হাসিনা বিশ্ববিদ্যালয়ের এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, তীব্র দাবদাহের কারণে বিশ্ববিদ্যালয়ের সব ক্লাস ২২ এপ্রিল থেকে ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত অনলাইনে অনুষ্ঠিত হবে। তবে ওই সময়ে অনুষ্ঠিতব্য সব পরীক্ষা যথারীতি চলমান থাকবে।

সশরীরে ক্লাস বন্ধের ঘোষণা দিয়েছে নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়, ইউনিভার্সিটি অফ এশিয়া প্যাসিফিক ও ইউনিভার্সিটি অফ ইনফরমেশন টেকনোলজি অ্যান্ড সায়েন্সেস। এসব বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্লাস অনলাইনে চলবে।

যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় ক্লাসের সময়সীমা কমিয়ে এনেছে। বিশ্ববিদ্যালয়টির ক্লাস সকাল ৮টা থেকে ১২টা পর্যন্ত চলবে। আগে তা সকাল সাড়ে ৯টা থেকে বেলা ৩টা পর্যন্ত হতো।

আরও পড়ুন:
তীব্র দাবদাহের মধ্যে চুয়াডাঙ্গায় তাপমাত্রা ৪১.৫ ডিগ্রিতে
তাপপ্রবাহে আমের গুটি টেকাতে যে পরামর্শ দিলেন বিশেষজ্ঞ
সপ্তাহজুড়ে বাড়বে তাপপ্রবাহ, বিক্ষিপ্ত বৃষ্টিপাত অস্বস্তি বাড়াবে
তীব্র তাপপ্রবাহের কবলে চুয়াডাঙ্গা, তাপমাত্রা ৪০.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস
ঢাকার তাপমাত্রা কমাতে ‘চিফ হিট অফিসার’ নিয়োগ

মন্তব্য

p
উপরে