কোনোদিন আবাসিক হলে ছিলেন না, তারপরও বছরে তিন হাজার টাকা করে দুই বছরে ছয় হাজার টাকা দিতে হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন ঢাকা কলেজের দ্বিতীয় বর্ষের কয়েকজন ছাত্র।
তারা বলছেন, তাদের প্রায় ৫০ জন বন্ধুও এই ঘটনার শিকার। দ্বিতীয় বর্ষের পরীক্ষার ফরম পূরণের শেষ দিন কাছাকাছি চলে আসায় অনেকে বাধ্য হয়ে এসব টাকা পরিশোধ করেছেন। আবার কেউ অতিরিক্ত এই টাকা জোগাড় করতে না পারায় ফরম পূরণ করতে পারছেন না। আবার ফরম পূরণ করতে না পারলে চলতি মাসের শেষে দ্বিতীয় বর্ষের চূড়ান্ত পরীক্ষায় অংশগ্রহণ অনিশ্চিত হয়ে পড়বে।
নর্থ হলে অ্যাটাচড নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক শিক্ষার্থী বলেন, ‘করোনাকালে আমাদেরকে যখন টিকার জন্য আবেদন করতে বলা হয়েছে তখন আমরা দ্রুত টিকা পাওয়ার জন্য অনাবাসিক হয়েও ‘আবাসিক’ হিসেবে টিকার জন্য রেজিস্ট্রেশন করেছিলাম। এর কয়েক মাস পর আমরা প্রথম বর্ষে চূড়ান্ত পরীক্ষার জন্য ফরস পূরণ করেছি। অনাবাসিক হয়েও ‘আবাসিক’ দেয়ায় তখন কিন্তু আমাদের হল ফি দিতে হয়নি।
‘কিন্তু এখন দ্বিতীয় বর্ষে এসে যখন চূড়ান্ত পরীক্ষার জন্য ফরম পূরণ করতে গিয়ে দেখি দুই বছরের হল ফি হিসেবে ছয় হাজার টাকা দিতে হচ্ছে। অথচ আমরা একদিনের জন্য হলে থাকিনি।’
সেই ছাত্র জানান, তারা প্রাধ্যক্ষের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি বলেছেন, তাদের কিছু করার নেই। টাকাটা দিতে হবে।
সেই ছাত্র জানান, অনেক অনুরোধ করার পর প্রাধ্যক্ষ তাদেরকে বলেন, এক বছরের ফি তিন হাজার টাকা দিলেও চলবে।
এই শিক্ষার্থী বলেন, ‘আমাদের এখানে সিস্টেম হচ্ছে হল ফি জমা দেয়ার ২৪ ঘণ্টা পর ভর্তি ফি জমা দেয়া যায়। এর ২৪ ঘণ্টা পর ফরম পূরণ করতে পারে। আর আগামী ৪ তারিখ ফরম পূরণের শেষ দিন হওয়ায় প্রায় সবাই অতিরিক্ত এই হল ফি দিয়েই ফরম পূরণ করে ফেলেছে।’
দক্ষিণ ছাত্রাবাসের অ্যাটাচড আরেক শিক্ষার্থী বলেন, ‘আমাদের হলে না থেকেও টাকা দিতে হচ্ছে। অথচ আমার অনেক বন্ধু হলে থাকে। কিন্তু তাদের কোনো টাকা দিতে হচ্ছে না। এটা প্রহসন।’
নিজের নাম সোহান উল্লেখ করে আরেক ছাত্র বলেন, ‘ফরম পূরণ করতে গিয়ে দেখি দুই বছরের আবাসিক ফি হিসেবে আমাদের ছয় হাজার টাকা দিতে হবে। এ বিষয়ে বিভাগে যোগাযোগ করলে সেখান থেকে বলা হয় অধ্যক্ষ স্যারের কাছে যেতে। সেখানে গেলে তিনি হল প্রাধ্যক্ষের সঙ্গে কথা বলতে বলেন।
‘এরপর আমরা আবেদন নিয়ে হল প্রাধ্যক্ষ স্যারের কাছে গেলে তিনি বলেন, ‘তোমরা হলে থাক। না থাকলে লিস্টে নাম আসত না। যেহেতু এখানে তোমাদের নাম এসেছে তাই তোমাদের হল ফি পরিশোধ করতে হবে।’
সেই ছাত্র জানান, তিনি প্রাধ্যক্ষকে বলেন, তিনি হলে থাকতেন না। থাকলে নিশ্চয় প্রাধ্যক্ষ তাকে চিনতেন।
এরপর প্রাধ্যক্ষ বলেন, ‘আমার হলে সিট আছে ৩৫০টা। কিন্তু শিক্ষার্থী থাকে ৭০০ জন। এখন তুমি ছিলে কি না সেটি তো আমি বলতে পারছি না। তোমার মতো অনেকেই হলে থেকেও ছিল না।’
এরপর সেই ছাত্র বলেন, যেতেহু ২২৩ নম্বর কক্ষের শিক্ষার্থী হিসেবে তার নাম এসেছে, তাই সেই কক্ষের যারা থাকে তাদেরকে ডেকে যেন প্রাধ্যক্ষ তার কথা জানতে চান।
এরপর প্রাধ্যক্ষ বলেন, ‘অনেকে হলে থেকেও টাকা দেয় না। আবার অনেকের হলে না থেকেও টাকা দেয়া লাগে। তোমরা সিস্টেমে পড়ে গেছ। এখন কিছু করার নেই।’
সোহান বলেন, ‘৪ আগস্ট ফর্ম পূরণের শেষ তারিখ। এখন পর্যন্ত ফরম পূরণ করতে পারিনি। আমার পরিবারের আয় কম। অতিরিক্ত এই ছয় হাজার টাকা জোগাড় করা আমার পক্ষে সম্ভব না। জানি না এখন কী হবে।’
তবে অভিযোগের বিষয়ে উত্তর ছাত্রাবাসের প্রাধ্যক্ষ ওবায়দুল করিম বলেন, ‘টিকার রেজিস্ট্রেশনের সময় তারাই তো বলেছে, তারা হলে থাকে। সুতরাং হলে না থেকেও টাকা দিতে হচ্ছে এই তথ্য সঠিক না।’
টিকার রেজিস্ট্রেশনের তথ্যের ভিত্তিতে আবাসিক/অনাবাসিক নির্ধারণ করা হয়েছে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘না, হলের লিস্টে যাদের নাম আছে তাদেরকে আবাসিক ধরে টাকা নেয়া হচ্ছে।’
এই বিষয়ে আরও কিছু জিজ্ঞাসার ব্যাপারে জানতে চাইলে তিনি কথা বলতে অনাগ্রহ প্রকাশ করে সরাসরি হোস্টেল কমিটির সঙ্গে কথা বলার অনুরোধ করেন।
ঢাকা কলেজের শহীদ ফরহাদ হোসাইন হলের প্রাধ্যক্ষ নাসির উদ্দিন বলেন, ‘আমাদের হলের কোনো শিক্ষার্থী এ রকম অভিযোগ করলে আমরা যাচাই বাছাই করে বিভাগীয় প্রধানের সঙ্গে কথা বলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেব।’
তিনি বলেন, ‘অনেক শিক্ষার্থী সত্য কথা বলে না। টাকা না দিতে হলে থাকার বিষয়টি এড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। আজকে রাতে আমাদের হল প্রধানদের সভা আছে। শিক্ষার্থীদের এসব অভিযোগের বিষয়ে সেখানে আমরা আলোচনা করে যাচাই বাছাই করে কালকে সিদ্ধান্ত জানাব।’
ঢাকা কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ এটিএম মঈনুল ইসলাম বলেন, ‘হল সুপাররা সিদ্ধান্ত নেবেন কে হলে ছিল আর কে হলে ছিল না। কারা হলে থাকে আর কারা থাকে না সেটা হল সুপাররাই জানে। তাদের সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত।’
আরও পড়ুন:স্মরণকালের রেকর্ড বৃষ্টিপাতে নজিরবিহীন বন্যা দেখা দিয়েছে সংযুক্ত আরব আমিরাতের (ইউএই) দুবাই শহরে, তবে এ বৃষ্টিতে শহরটিতে বসবাসরত প্রবাসী বাংলাদেশিদের তেমন ক্ষতি হয়নি বলে জানিয়েছেন প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী শফিকুর রহমান চৌধুরী।
কুশিয়ারা ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সেন্টারে বৃহস্পতিবার দুপুরে সিলেট ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির তৃতীয় সমাবর্তন অনুষ্ঠানে এক প্রশ্নের জবাবে সাংবাদিকদের কাছে তিনি এ মন্তব্য করেন।
প্রতিমন্ত্রী শফিকুর রহমান চৌধুরী আরও বলেন, ‘আমরা আরব আমিরাতের সঙ্গে সবসময় যোগাযোগ রাখছি। এখন পর্যন্ত বন্যায় বাংলাদেশি প্রবাসীদের বড় কোনো ক্ষতি হওয়ার খবর পাইনি।’
ইসরাইলে ইরানের হামলায় মধ্যপ্রাচ্যে নতুন করে অস্থিরতা দেখা দেয়ার প্রসঙ্গে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘যুদ্ধ বাধলে তো সবারই ক্ষতি। তার প্রভাব আমাদের ওপরও পড়বে, তবে এখন পর্যন্ত এর কোনো প্রভাব পড়েনি।’
সমাবর্তন উৎসবে সভাপতির বক্তব্যে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী শফিকুর রহমান চৌধুরী শিক্ষার্থীদের আগামীর স্মার্ট বাংলাদেশের যোগ্য নাগরিক হয়ে গড়ে উঠতে প্রযুক্তিগত জ্ঞান অর্জনের পাশাপাশি মানবিক মানুষ হয়ে গড়ে উঠার আহ্বান জানান।
এতে সমাবর্তন বক্তা হিসেবে বক্তৃতা করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগের সাবেক অধ্যাপক, বরেণ্য ইতিহাসবিদ, লেখক এবং বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব প্রফেশনালসের বঙ্গবন্ধু চেয়ার প্রফেসর ডক্টর সৈয়দ আনোয়ার হোসেন। বিশেষ অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ অ্যাক্রেডিটেশন কাউন্সিলের চেয়ারম্যান প্রফেসর ডক্টর মেসবাহ উদ্দিন আহমদ এবং ইউজিসির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান প্রফেসর ডক্টর মোহাম্মদ আলমগীর।
এ ছাড়াও সম্মানিত অতিথি ছিলেন সিলেট ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি ট্রাস্টের প্রধান উপদেষ্টা এমপি শফিউল আলম চৌধুরী এবং ট্রাস্টের চেয়ারপারসন (অতিরিক্ত দায়িত্ব) শামীম আহমদ। সমাবর্তন উৎসব শুরু হয় মহান জাতীয় সংগীত পরিবেশনের মাধ্যমে।
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. আশরাফুল আলম এবং ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ প্রফেসর নিতাই চন্দ্র চন্দ।
সভাপতির বক্তব্যে শফিকুর রহমান চৌধুরী বলেন, ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ গড়ার সংগ্রামে সন্ধিৎসু ও দেশপ্রেমিক শিক্ষার্থীর ভূমিকা অনস্বীকার্য।
তিনি আরও বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়গুলো থেকে মানসম্মত ধীমান শিক্ষার্থী সৃষ্টির লক্ষ্যে শিক্ষা, গবেষণা, উদ্ভাবনসহ নানান নিরীক্ষাধর্মী কর্মযজ্ঞে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের সম্পৃক্ত করার কোনো বিকল্প থাকতে পারে না। সিলেট ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর স্মার্ট বাংলাদেশের লক্ষ্য পূরণে মানবসম্পদ সৃষ্টির মাধ্যমে এ মহাযজ্ঞে কৃতিত্বের ছাপ রাখবে।’
সমাবর্তনে ফল ২০০৯ থেকে স্প্রিং ২০২১ পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঁচটি বিভাগের মোট ৬ হাজার ৭২৩ জন শিক্ষার্থী গ্র্যাজুয়েট সনদ অর্জন করেন। এ ছাড়াও চ্যান্সেলর, ভাইস চ্যান্সেলর, চেয়ারম্যান, ডিন এবং স্পেশাল অ্যাপ্রিসিয়েশন অ্যাওয়ার্ড ক্যাটাগরিতে মোট ৩৪ জন শিক্ষার্থীকে এ অনুষ্ঠানে পদক প্রদান করা হয়।
টাঙ্গাইলের ঘাটাইল উপজেলার সাইটশৈলা উচ্চ বিদ্যালয়ে অনুষ্ঠিত হয়ে গেল ঈদ পুনর্মিলনী অনুষ্ঠান। বিদ্যালয়ের এসএসসি ব্যাচ-২০১১ এর শিক্ষার্থীরা দিনব্যাপী এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
ঈদুল ফিতরের পরদিন শুক্রবার (১২ এপ্রিল) বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে সকাল ১১টায় গান-বাজনার মধ্য দিয়ে শুরু হয় অনুষ্ঠান। এরপর ধারাবাহিকভাবে চলতে থাকে নানা অনুষ্ঠান। দুপুরে ছিল ভুরিভোজের আয়োজন। বিকেলে ছিল আলোচনা অনুষ্ঠান।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন সাইটশৈলা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. সেলিম হোসেন। সভাপতিত্ব করেন নবগঠিত বিদ্যালয় পরিচালনা অ্যাডহক কমিটির সভাপতি মাহবুব উল আলম খান।
আলোচনা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বিদ্যালয়ের অবসরপ্রাপ্ত সিনিয়র শিক্ষিকা রেহেনা জাহান খান, সিনিয়র শিক্ষকমণ্ডলী এবং সাবেক ও বর্তমান শিক্ষার্থীদের অনেকে।
প্রসঙ্গত, ঘাটাইল উপজেলার আনেহলা ইউনিয়নের সাইটশৈলা গ্রামে বিদ্যালয়টির যাত্রা শুরু হয় ১৯৭৩ সালে। এটি উচ্চ বালিকা বিদ্যালয় হিসেবে যাত্রা শুরু করলেও সময় পরিক্রমায় প্রয়োজনের তাগিদে এটি মাধ্যমিক বিদ্যালয় হিসেবে পরিচালিত হচ্ছে।
হাইকোর্টের রায় জালিয়াতি করে পদোন্নতি নেয়ার অভিযোগে করা মামলায় মাদারীপুরের শিবচর উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মুন্সী রুহুল আসলামকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকার শাহাবাগ থানা পুলিশ। এ মামলার বাদী হাইকোর্টের কোর্ট কিপার ইউনুস খান।
মামলার এজাহারের বরাত দিয়ে পুলিশ জানায়, মুন্সী রুহুল আসলাম সহকারী প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা পদে কর্মরত অবস্থায় উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা পদে পদোন্নতির জন্য কোটা সংরক্ষণের দাবিতে হাইকোর্টে রিট করেন। ২০১৬ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি এ মামলার কিছু অবজারভেশনসহ রুলটি খারিজ হয়ে যায়, যা সুপ্রিম কোর্টের ওয়েবসাইটেও রয়েছে।
পরবর্তীতে এ কর্মকর্তা অজ্ঞাত আসামিদের সহযোগিতায় জাল রায় প্রস্তুত করে বিচারপতিদের স্বাক্ষর জাল করে নিজেই স্বাক্ষর দেন। তিনি রিট শাখাসহ আরডি শাখার কর্মরত অজ্ঞাত আসামিদের সহযোগিতায় মামলার রেকর্ড থেকে মূল রায় সরিয়ে জাল রায় ঢুকিয়ে রাখেন। সংশ্লিষ্ট রিট শাখার অনুলিপি বিভাগ থেকে জাল রায়ের নকল সংগ্রহ করে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীনে শিক্ষা অধিদপ্তর থেকে অন্যায় সুবিধা নিয়ে উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা পদে পদোন্নতি লাভ করেন।
পুলিশ আরও জানায়, তবে ফেনী পিটিআইয়ের পরিদর্শক (বিজ্ঞান) মো. জাকির হোসেন আগেই রেকর্ড থেকে মূল রায়ের একটি সার্টিফাইড কপি সংগ্রহ করে রেখেছিলেন। ২০২২ সালের ২১ মার্চ সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল বরাবর মূল রায়ের সার্টিফাইড কপির ফটোকপিসহ এ সংক্রান্ত একটি জালিয়াতির অভিযোগ করেন তিনি। বিষয়টি প্রধান বিচারপতির নজরে আনা হলে তিনি বিচারপতি নাইমা হায়দার, জাকির হোসেন ও জিনাত হকের সমন্বয়ে একটি বৃহত্তর বেঞ্চ গঠন করেন। এ বেঞ্চ ২০২২ সালের ২৪ আগস্ট পূর্ণাঙ্গ রায় প্রদান করে ২০১৬ সালের মামলার রুল ডিসচার্জ করে দেন। একইসঙ্গে হাইকোর্ট বিভাগের রেজিস্টারকে অনুসন্ধান করে দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা ও চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলার নির্দেশ দেন।
এর ফলে শিবচর উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মুন্সী রুহুল আসলাম পেনাল কোডের ৪২০, ৪৬৭, ৪৬৮ ও ৪৭১ ধারায় ফৌজদারি অপরাধ করেছেন বলে মামলায় উল্লেখ রয়েছে।
এরপর গত ১৫ এপ্রিল বাদি হয়ে হাইকোর্টের কোর্ট কিপার ইউনুস খান ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলাটি করেন। আদালত ঢাকার শাহাবাগ থানায় মামলা নথিভুক্তর আদেশ দেন। মামলার পর মঙ্গলবার মধ্যরাতে শাহাবাগ থানা পুলিশ শিবচর থানা পুলিশের সহায়তায় উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মুন্সী রুহুল আসলামকে গ্রেপ্তার করে ঢাকায় যায়।
শিবচর থানার ওসি সুব্রত গোলদার বলেন, ‘শাহাবাগ থানা পুলিশ শিবচর উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মুন্সী রুহুল আসলামকে মঙ্গলবার রাতে গ্রেপ্তার করেছে। তাকে ঢাকায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে।’
দেশের ২৪টি সাধারণ এবং বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষে স্নাতক ও বিবিএ প্রথম বর্ষে শিক্ষার্থীদের ভর্তি পরীক্ষার প্রবেশপত্র সংগ্রহের সময় শেষ হয়ে যাচ্ছে। সোমবার রাত ১১টা ৫৯ মিনিট পর্যন্ত শিক্ষার্থীরা জিএসটি ভর্তি পরীক্ষা সংশ্লিষ্ট নির্ধারিত ওয়েবসাইটে নিজেদের আইডিতে প্রবেশ করে প্রবেশপত্র ডাউনলোড করতে পারবেন। পাশাপাশি তাদের আসন বিন্যাসও দেখতে পারবেন।
এছাড়াও যেসব ভর্তিচ্ছুর ছবি বা সেলফি কর্তৃপক্ষের গাইডলাইন অনুযায়ী আপলোড করা হয়নি, তাদেরকেও সোমবারের মধ্যে সংশোধিত ছবি বা সেলফি আপলোডের নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষার টেকনিক্যাল কমিটির আহ্বায়ক এবং চাঁদপুর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. নাছিম আখতার সোমবার নিউজবাংলাকে এসব তথ্য জানান।
উপাচার্য অধ্যাপক নাছিম আখতার বলেন, ‘২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষে গুচ্ছভুক্ত ২৪টি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তিচ্ছুদের পরীক্ষার প্রবেশপত্র সংগ্রহের সুযোগ আজই (সোমবার) শেষ হচ্ছে। শিক্ষার্থীদের জন্য ২৩ মার্চ এটি উন্মুক্ত করা হয়।
‘যেসব আবেদনকারীর ছবি বা সেলফি অথবা উভয়টি জিএসটির ফটো গাইডলাইন অনুযায়ী গৃহীত হয়নি, তারা সোমবার রাত ১০টার মধ্যে অবশ্যই জিএসটির ফটো গাইডলাইন অনুসরণ করে প্রযোজ্য ক্ষেত্রে ছবি বা সেলফি অথবা উভয়টি আপলোড সম্পন্ন করে প্রবেশপত্র ডাউনলোড করতে হবে। না হলে ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণের সুযোগ থাকবে না।’
উপাচার্য অধ্যাপক নাছিম আখতার জানান, ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষে গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষার প্রাথমিক আবেদন প্রক্রিয়া ২৭ ফেব্রুয়ারি রাত ১১টা ৫৯ মিনিটে শেষ হয়েছে। এবার মোট ৩ লাখ ৫ হাজার ৩৪৬টি আবেদন জমা পড়েছে।
এ বছর প্রায় ২১ হাজার আসনের বিপরীতে আবেদন পড়েছে ৩ লাখ ৫ হাজার ৩৪৬। এবার প্রতি আসনের বিপরীতে লড়বে গড়ে ১৫ জন শিক্ষার্থী। এর মধ্যে বিজ্ঞান শাখার ‘এ’ ইউনিটে ১ লাখ ৭০ হাজার ৫৯৯টি, মানবিক শাখার ‘বি’ ইউনিটে ৯৪ হাজার ৬৩১টি ও ব্যবসায় শিক্ষা শাখার ‘সি’ ইউনিটে ৪০ হাজার ১১৬টি আবেদন জমা পড়েছে।
আগামী ২৭ এপ্রিল শনিবার (এ ইউনিট-বিজ্ঞান), ৩ মে শুক্রবার (বি ইউনিট-মানবিক) এবং ১০ মে শুক্রবার (সি ইউনিট-বাণিজ্য) ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। ‘এ’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা দুপুর ১২টা থেকে ১টা এবং অন্য দুই ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা বেলা ১১টা থেকে ১২টা পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হবে।
ভর্তি পরীক্ষার সব তথ্য গুচ্ছভুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর সমন্বিত ভর্তি পরীক্ষার ওয়েবসাইটে (https://gstadmission.ac.bd) পাওয়া যাবে।
আরও পড়ুন:কিশোরগঞ্জের অষ্টগ্রামে শিক্ষার্থীদের শিশুকাল থেকে মানবতার শিক্ষা দিতে তাদের টিফিনের টাকায় ছয় বছর ধরে ঈদ উপহার বিতরণ করছে ‘ডিলাইট কিন্ডারগার্টেন’ নামের একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। অন্যদিকে, কুমিল্লা রেল স্টেশনে স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ‘লাল সবুজ উন্নয়ন সংঘ’-এর আয়োজনে সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের মাঝে ঈদের নতুন পোশাক উপহার দেয়া হয়েছে।
ডিলাইট কিন্ডারগার্টেন প্রাঙ্গণে পূর্ব অষ্টগ্রাম ইউপি চেয়ারম্যান মো. কাছেদ মিয়ার সভাপতিত্বে বৃহস্পতিবার দুপুরে ঈদ উপহার বিতরণে প্রধান অতিথি ছিলেন অষ্টগ্রাম সদর ইউপি চেয়ারম্যান সৈয়দ ফাইয়াজ হাসান বাবু।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, গত ছয় বছর ধরে পূর্ব অষ্টগ্রাম ইউনিয়নে ডিলাইট কিন্ডারগার্টেন শিক্ষার্থীদের একদিনের টিফিনের টাকার সঙ্গে শিক্ষক, অভিভাবক এবং শুভাকাঙ্ক্ষীদের সহযোগিতা মিলিয়ে প্রতি বছর নিম্ন আয়ের মানুষের মাঝে ঈদ উপহার সামগ্রী বিতরণের আয়োজন করা হয়।
এবারও পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে শতাধিক স্বল্প আয়ের মানুষের মাঝে দুধ, চিনি, সেমাই, নুডুলস, সাবানসহ ঈদ উপহারসামগ্রী বিতরণ করা হয়েছে।
এ ঈদ উপহার বিতরণের মাধ্যমে শিশুদের মানবিক ও পরোপকারী করে গড়ে তোলার জন্য এ আয়োজনকে ধন্যবাদ জানিয়ে উপস্থিত এক বক্তা বলেন, ‘আগামী বছর আরও বড় পরিসরে এ আয়োজন করতে সব ধরনের সহযোগিতা থাকবে।’
অন্যদিকে, কুমিল্লা রেল স্টেশনে সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের মাঝে বৃহস্পতিবার সকালে ঈদের নতুন পোশাক বিতরণের মাধ্যমে সারা দেশে পাঁচ দিনব্যাপী কর্মসূচির উদ্বোধন করা হয়। উদ্বোধন অনুষ্ঠানে ৭০টি শিশুকে ঈদের নতুন পোশাক দেয়া হয়।
সংগঠনটির সদস্যরা স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়পড়ুয়া শিক্ষার্থী। তারা নিজেদের একদিনের টিফিনের টাকা বাঁচিয়ে শিশুদের মুখে হাঁসি ফুটাতে ঈদের নতুন জামা উপহার দিচ্ছেন।
আগামী পাঁচ দিন ধারাবাহিক এ কার্যক্রমের মাধ্যমে প্রায় এক হাজার সুবিধাবঞ্চিত শিশুকে ঈদের নতুন জামা উপহার দেয়া হবে বলে জানিয়েছেন সংগঠনটির নেতারা।
এ বিষয়ে লাল-সবুজ উন্নয়ন সংঘের প্রতিষ্ঠাতা ও কেন্দ্রীয় সভাপতি কাওসার আলম সোহেল বলেন, ‘১৩ বছর ধরে টিফিনের টাকা বাঁচিয়ে সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের পাঠদান, শিক্ষা উপকরণ বিতরণ, ঈদের নতুন পোশাক বিতরণ ছাড়াও মাদক ও বাল্যবিবাহ প্রতিরোধে আমরা কাজ করছি।’
বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রলীগমনা শিক্ষার্থীরা হত্যার হুমকি পাচ্ছেন দাবি করে নিরাপত্তা চেয়ে উপাচার্যের কাছে লিখিত আবেদন করেছেন।
আবেদনে তারা বলেছেন, ‘নিষিদ্ধ সংগঠন হিজবুত তাহরীর ও শিবিরের রাজনীতির বিরুদ্ধে কথা বলায় আমাদেরকে হত্যার হুমকি দেয়া হচ্ছে। আমরা এসব আর নিতে পারছি না।’
বুধবার বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের এম এ রশীদ প্রশাসনিক ভবনের সামনে সংবাদ সম্মেলন করে এসব কথা বলেন ছাত্রলীগমনা শিক্ষার্থীরা। এ সময় সেখানে ছয়জন শিক্ষার্থী উপস্থিত ছিলেন।
সংবাদ সম্মেলনে কথা বলেন কেমিকৌশল বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী আশিকুল আলম ও সাগর বিশ্বাস।
আশিকুল আলম বলেন, ‘আমাদের জীবন নিয়ে থ্রেট দেয়া হচ্ছে। আজ আমরা উপাচার্য স্যারের কাছে সবকিছুর প্রমাণ নিয়ে লিখিত আবেদন করেছি, যেন এটি বন্ধ করা হয়। আমরা ছাড়াও আরও যারা এটার ভুক্তভোগী তাদের নামও আমরা লিখিত আবেদনে উল্লেখ করেছি।
‘আরিফ রায়হান দ্বীপ ভাইয়াকে খুনের আগে তাকে নিয়েও এভাবে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বুলিং করা হয়েছিল। এরপরও যখন উনি দমছিলেন না তারপর ওনাকে নৃশংসভাবে আমাদের বুয়েট প্রাঙ্গণে হত্যা করা হয়। একই কায়দায় আমাদের বুয়েট ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক তন্ময় আহাম্মেদ ভাইয়াকেও কুপিয়ে হত্যা করা হয়। আমাদের ক্ষেত্রেও একই জিনিস হচ্ছে। তাই আমরা উদ্বিগ্ন।’
সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, ‘আমাদেরকে পাবলিকলি এবং ব্যক্তিগতভাবেও হুমকি দেয়া হচ্ছে। যারা আমাদেরকে এই হুমকি দিচ্ছে তাদের নামগুলো উপাচার্য স্যারের কাছে দেয়া লিখিত আবেদনে উল্লেখ করেছি।
‘আমাদের পরিবারের কাছে ফোন দিয়ে বলা হচ্ছে- আপনার সন্তানকে দেখে রাখুন নয়তো পরে পাবেন না। এই কথাগুলোর মানে কী। এসব কিছুই করা হচ্ছে আমরা হিজবুত তাহরীর ও শিবিরের রাজনীতির বিরুদ্ধে কথা বলছি বলে।’
আশিকুল আলম বলেন, ‘বাঁশের কেল্লাসহ বিভিন্ন নিষিদ্ধ গ্রুপে আমাদের ছবি পাঠানো হচ্ছে; যার স্ক্রিনশট আমাদের কাছে রয়েছে।’
আশিক বলেন, ‘এই শিক্ষার্থীরা যখন আন্দোলন করেছিল তাদের ৬ দাবির কোথাও হিজবুত তাহরীর, শিবির বা ছাত্রদলের নাম উল্লেখ ছিল না। শুধু ছাত্রলীগের ইমতিয়াজ রাব্বিসহ আরও যারা সেখানে ছিল তাদের বহিষ্কার চাওয়া হয়েছিল। কিন্তু এখন কেন তারা শিবির বা হিজবুত তাহরীর নিয়ে কথা বলছে? এটা কিন্তু ভাববার বিষয়।
‘আমরাই প্রথম শিবির ও হিজবুত তাহরীরের পয়েন্ট এনেছি। তারা এখন আমাদের এই পয়েন্ট নিয়ে পুরো আন্দোলনকে ঘুরিয়ে দিতে চাচ্ছে।’
সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, ‘কয়েকদিন আগে কিছু শিক্ষার্থী বুয়েটে বঙ্গবন্ধুর ছবি লাগিয়েছিল। কিন্তু এরও ৬ মাস আগে থেকে আমাদের মুজিব কর্নারের দেয়ালে থাকা বঙ্গবন্ধুর ছবিটি ছেঁড়া অবস্থায় ছিল। সেটির দেয়ালের দিকে তাকানোও যাচ্ছে না। পরে আমরা সেই জায়গাটি সংস্কারের আবেদন করেছিলাম ডিএসডব্লিউ স্যারের কাছে। কিন্তু তিনি আমাদেরকে সেটি সংস্কারের অনুমতি দেয়ার সাহসও করেননি।’
এই শিক্ষার্থীরা বলেন, ‘হাইকোর্ট যেহেতু রায় দিয়েছে আর উপাচার্য স্যারও যেহেতু বলেছেন যে হাইকোর্টের রায় শিরোধার্য, তাই যদি উপাচার্যের অনুমতি থাকে আমরা বুয়েটে প্রগতিশীলতার রাজনীতি চালু করতে চাই।’
সম্প্রতি ‘বুয়েটে আড়িপেতে শোনা’ নামে বুয়েটের সাবেক-বর্তমান শিক্ষার্থীদের একটি প্রাইভেট গ্রুপে ছাত্র রাজনীতি চালুর পক্ষ-বিপক্ষে ভোট চেয়ে পোল খোলা হয়। সেই পোলে ৪ হাজার ৭৯৬জন ভোট দেন। রাজনীতি চালুর পক্ষে ভোট পড়ে ২০টি আর ‘না’-তে ভোট পড়েছে ৪ হাজার ৭৭৬টি।
এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে সংবাদ সম্মেলনে সাগর বিশ্বাস বলেন, ‘সেই পোলে যারা ভোট দিচ্ছে তাদের পরিচয় দেখার সুযোগ না থাকলে রেজাল্টটা এমন হতো না। অনেকেই আছেন যারা রাজনীতির পক্ষে। কিন্তু এখানে ভোট দিলে তাদেরকেও সামাজিকভাবে বয়কট করা হবে এই ভয়ে তারা ভোট দেননি।’
এ সময় তিনি এই গ্রুপগুলো যারা পরিচালনা করছে তাদের পরিচয় নিয়েও প্রশ্ন তোলেন। তিনি বলেন, ‘সেই গ্রুপগুলোতে হেট স্পিচ ছড়ানো হচ্ছে। আমাদের ছবি নিয়ে মকারি করা হচ্ছে।’
আরও পড়ুন:আপনার সন্তান কিংবা নিজের জন্যে একজন যোগ্য হাউস টিউটর খুঁজে বের করাটা বলতে গেলে বেশ কঠিন কাজ। সাধারণত স্কুলের শিক্ষক বা পরিচিত ব্যক্তিদের কাছ থেকে খোঁজ-খবর নেয়ার মাধ্যমে হাউস টিউটর ঠিক করা হয়। তবে এই শিক্ষকরা আপনার সন্তানের উপযুক্ত কি না, সেটা জানতে-বুঝতেই অন্তত একমাস চলে যায়। অথচ পরে অনেক সময় মনে হয় যে সিদ্ধান্তটা ঠিক হয়নি। যোগ্য হাউস টিউটর খোঁজার এই প্রক্রিয়া অনেক ক্ষেত্রে এভাবে চলতেই থাকে।
অন্যদিকে, মেধাবী ও যোগ্যতাসম্পন্ন তরুণ ছাত্ররা টিউশনি করাতে চাইলে উপযুক্ত ছাত্র খুঁজে পায় না। কীভাবে বিজ্ঞাপন করবে, দেয়ালে-ল্যাম্পপোস্টে পোস্টার লাগাবে- সেটা ভেবে হয়রান হয়।
স্কুলের ছাত্র থাকাকালে আফতাব আদনানের জন্য একজন ভালো হাউস টিউটর খুঁজতে ঝামেলা পোহাতে হয়েছে তার বাবা-মাকে। আবার বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াকালে নিজে যখন টিউশনি করতে চেয়েছেন, তখনও ছাত্র খুঁজে নেয়া বা অভিভাবকদের সঙ্গে যোগাযোগ করার ক্ষেত্রে নানা বাধার মুখোমুখি হতে হয়েছে তাকে। তাই বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াকালে এমন একটি প্ল্যাটফর্ম তৈরির আইডিয়া মাথায় আসে তার, যেখানে হাউস টিউটর নিয়োগের ব্যাপারটা হবে সহজ ও স্বচ্ছ প্রক্রিয়ায়।
সেই ভাবনা থেকেই সাহস যুগিয়ে ২০১৮ সালে ‘স্মাইল জবস অ্যান্ড টিউশনস’-এর শুরু করেন আদনান। শুরুতে একটা ডায়েরিতে শিক্ষক-অভিভাবকদের তথ্য লিখে রাখতেন তিনি। আর এখন পাঁচজনের টিম নিয়ে তিনি এগিয়ে যাচ্ছেন টিউশনির এই অপ্রাতিষ্ঠানিক খাতটাকে একটা প্রাতিষ্ঠানিক রূপরেখার মধ্যে আনার জন্য।
বর্তমানে ‘স্মাইল জব অ্যান্ড টিউশনস’-এ রেজিস্টার্ড টিউটরের সংখ্যা চার হাজারেরও বেশি। প্রায় ১২০০ অভিভাবক তাদের সন্তানের জন্য পছন্দমতো হাউস টিউটর খুঁজে নিয়েছেন ‘স্মাইল জবস অ্যান্ড টিউশনস’ থেকে।
এখন ঢাকার মধ্যে কার্যক্রম পরিচালিত হলেও এ যুবকের ভবিষ্যৎ লক্ষ্য দেশজুড়ে শিক্ষার্থী-অভিভাবক এবং টিউটরদের মধ্যে যোগসূত্র ঘটানো।
আদনান বিশ্বাস করেন যে তিনি পারবেন। কারণ এই স্বপ্নটা তিনি ঘুমিয়ে দেখেন না, বরং এটিই তাকে জাগিয়ে রাখে।
মন্তব্য