৩০ জুলাই শনিবার ‘এ’ ইউনিটের পরীক্ষার মধ্য দিয়ে শুরু হচ্ছে গুচ্ছভুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর স্নাতক প্রথম বর্ষের ভর্তি পরীক্ষা। দেশজুড়ে এ পরীক্ষা নেয়া হলেও ৪০ শতাংশ শিক্ষার্থীই ঢাকায় এসে পরীক্ষা দিচ্ছে।
গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষার সমন্বয় কমিটি জানায়, ‘এ’ ইউনিটের পরীক্ষায় আবেদন করেছেন ১ লাখ ৬০ হাজার পরীক্ষার্থী। সারা দেশে গুচ্ছভুক্ত ২২টি বিশ্ববিদ্যালয়ের যেকোনো একটিকে কেন্দ্র হিসেবে পছন্দ করার সুযোগ ছিল আবেদনকারীদের। ঢাকায় কেন্দ্র পছন্দ করেছেন প্রায় ৬৫ হাজার ভর্তিচ্ছু।
পরীক্ষার্থীর সংখ্যা বেশি হওয়ায় এবার ঢাকায় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ও শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় ছাড়াও কেন্দ্র বসছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, ইডেন মহিলা কলেজ, হোম ইকোনমিকস, ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজ, নটর ডেম কলেজ, ঢাকা রেসিডেনসিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজ ক্যাম্পাসে।
পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষায় শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের ভোগান্তি লাঘবে ২০১৯ সাল থেকে শুরু হয় গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা। একজন শিক্ষার্থীকে যাতে দেশময় বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষায় ছুটে বেড়াতে না হয় সে জন্যই এ ব্যবস্থা। সারা দেশে কেন্দ্র থাকার পরও পরীক্ষার্থীরা এখনও ঢাকামুখীই থেকে গেছেন।
কোচিং সেন্টারগুলোর বেশির ভাগের অবস্থান ঢাকায় হওয়ায় এবং উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ে ঢাকার কলেজগুলো এগিয়ে থাকার কারণে ঢাকায় পরীক্ষার্থী বেশি বলে মনে করেন পরীক্ষার্থী, অভিভাবক ও শিক্ষাবিদরা। আবার সব বিশ্ববিদ্যালয়ের গুচ্ছ পদ্ধতিতে অন্তর্ভুক্ত হয়নি। তবে এতে গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষার উদ্দেশ্য পূরণ হচ্ছে না বলে মানতে নারাজ সংশ্লিষ্টরা।
ঝিনাইদহের তনিমা হাদি ঢাকায় অংশ নিচ্ছেন এবারের গুচ্ছ পরীক্ষায়। পার্শ্ববর্তী দুই জেলা যশোর ও কুষ্টিয়ায় কেন্দ্র থাকলেও তিনি পছন্দ দিয়েছেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্র। কারণ জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘৩০ জুলাই গুচ্ছের পরীক্ষার পর জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে পরীক্ষা আছে ২ আগস্ট। জাহাঙ্গীরনগরের পরীক্ষায় বসতে অসুবিধা হতে পারে মনে করে গুচ্ছ পরীক্ষার কেন্দ্র ঢাকায় দিয়েছি। আগেভাগে ঢাকা চলে যাব, যাতে যাওয়ার সময় কোনো অসুবিধা না হয়।’
নীলফামারী থেকে ছোট ভাইকে নিয়ে পরীক্ষার জন্য ঢাকায় এসেছেন তৌফিকুর রহমান। তিনি বলেন, ‘ছোট ভাইকে ঢাকায় কোচিং করিয়েছি। এ ছাড়া গুচ্ছের পর জাবির পরীক্ষা। তাই ঢাকাকে কেন্দ্র হিসেবে পছন্দ করা হয়েছে।’
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর শাহনাজ পারভীন বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ে জায়গা করে নিতে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের কোচিং নির্ভরতা রয়েছে এখনও। এদের বড় অংশটা ঢাকায় বিভিন্ন কোচিং সেন্টারে ভর্তি হয়। ঢাকামুখী হওয়ার ক্ষেত্রে এটি প্রভাব হিসেবে কাজ করে। এর বাইরেও যোগাযোগ ব্যবস্থা সহজ হওয়ায় ঢাকার পার্শ্ববর্তী এলাকা যেমন, কুমিল্লা, ময়মনসিংহের শিক্ষার্থীরাও ঢাকায় কেন্দ্র পছন্দ করছে।’
গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা ২০১৯ সালের সমন্বয় কমিটির আহ্বায়ক ও জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপচার্য অধ্যাপক ড. মীজানুর রহমান বলেন, ‘কোচিং করতে শিক্ষার্থীদের একটা অংশ ঢাকায় আসেন, তাদের কেউ আত্মীয়-স্বজনের বাসায় থাকেন আবার কেউ নিজেদের মতো করে বাসা ঠিক করেন। অনেক শিক্ষার্থী মাধ্যমিক পরীক্ষা শেষে ঢাকার বিভিন্ন কলেজে ভর্তি হন। এরা ঢাকায় পরীক্ষা দেবেন, এটাই স্বাভাবিক।’
এরপরও গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষার উদ্দেশ্য ও প্রক্রিয়া শতভাগ সফল বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। পরীক্ষার্থীদের সারা দেশে ছোটাছুটি করতে হচ্ছে না, ফলে অভিভাবক ও ভর্তিচ্ছুদের হয়রানি ও ভোগান্তি লাঘব হচ্ছে বলে মনে করছেন তারা।
এ বিষয়ে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. সাদেকুল আরেফিন বলেন, ‘গতবার আমরা পাঁচটা কেন্দ্র পছন্দের সুযোগ রেখেছিলাম। ফলে অনেকেরই দূরে সিট পড়েছিল। তবে এবার আমরা একটা কেন্দ্র পছন্দের সুযোগ রেখেছি। যে যেখানে পছন্দ করে, পরীক্ষা দিবে। মূল কেন্দ্রে জায়গা না হলে কেন্দ্রের পার্শ্ববর্তী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানেও পরীক্ষার ব্যবস্থা করা হবে। আমরা আশাবাদী সার্বিকভাবে গুচ্ছ পরীক্ষা সফল হবে।’
গুচ্ছের টেকনিক্যাল কমিটির আহ্বায়ক ও চাঁদপুর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. মো. নাছিম আখতার বলেন, ‘আমরা এবার শিক্ষার্থীদের যেখানে পছন্দ, সেখানেই পরীক্ষা দেওয়ায় সুযোগ দিয়েছি। গতবার কেন্দ্রের জায়গা সংকুলান করতে কিছু শিক্ষার্থীকে তাদের পাঁচটি পছন্দের যে কোনোটিতে দেওয়া হয়েছিল। এবার তা করা হয়নি। এত পরীক্ষার্থী ঢাকায় যাওয়ায় চাপ হবে এটাই স্বাভাবিক, সে ক্ষেত্রে যদি ভোগান্তি হয় ও তারা যদি স্বেচ্ছায় ভোগান্তি নেয়, এটা তাদের বিষয়। আমাদের পক্ষ থেকে ভোগান্তি লাঘবে আমরা শতভাগ সফল। অন্তত আগের মতো শিক্ষার্থীদের সারা দেশে পরীক্ষা দিতে এক বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অন্য বিশ্ববিদ্যালয় করতে হচ্ছে না।’
শিক্ষার্থীদের মানতে হবে যেসব নির্দেশনা
পরীক্ষা শুরুর ন্যূনতম এক ঘণ্টা আগে কেন্দ্রে উপস্থিত হওয়ার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। পরীক্ষা শুরুর পর কাউকে কক্ষে প্রবেশ করতে দেওয়া হবে না বলেও জানানো হয়েছে।
নির্দেশনায় শিক্ষার্থীদের আরও বলা হয়েছে, অনলাইনে দেয়া প্রবেশপত্রের রঙিন প্রিন্ট করতে হবে। প্রবেশপত্রে প্রার্থীর রঙিন ছবি এবং তথ্য স্পষ্টভাবে মুদ্রিত থাকতে হবে। পরীক্ষার্থীকে অবশ্যই প্রবেশপত্রে উল্লিখিত নির্দিষ্ট কক্ষের নির্ধারিত আসনে পরীক্ষা দিতে হবে। প্রবেশপত্র, উপস্থিতি তালিকা, উত্তরপত্রে অভিন্ন সই থাকতে হবে। উত্তরপত্রে কালো কালির বল পয়েন্ট কলম ব্যবহার করতে হবে। পেনসিলের ব্যবহার সম্পূর্ণ নিষেধ।
নির্দেশনায় আরও বলা হয়, ভর্তি পরীক্ষার সময় প্রার্থীকে প্রবেশপত্র এবং উচ্চমাধ্যমিকের মূল রেজিস্ট্রেশন কার্ড সঙ্গে আনতে হবে। পরীক্ষার হলে দায়িত্বপ্রাপ্ত শিক্ষক উত্তরপত্র ও প্রবেশপত্রে সই করবেন। প্রবেশপত্রটি পরবর্তী সময় ব্যবহারের জন্য সংরক্ষণ করতে হবে। ক্যালকুলেটরসহ অন্য যে কোনো ইলেকট্রনিক ডিভাইস নিয়ে পরীক্ষার হলে প্রবেশ সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ।
গুচ্ছভুক্ত ২২টি বিশ্ববিদ্যালয় হলো জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়, শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়, পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, শেখ হাসিনা বিশ্ববিদ্যালয় (নেত্রকোনা), বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ডিজিটাল বিশ্ববিদ্যালয়, বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়, রাঙামাটি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় গোপালগঞ্জ, কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়, পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়, যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়, নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, কিশোরগঞ্জের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিশ্ববিদ্যালয় (নতুন), চাঁদপুর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়।
আরও পড়ুন:মঙ্গল শোভাযাত্রা, আলোচনা সভা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও প্রকাশনা প্রদর্শনীর মধ্য দিয়ে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (জবি) ক্যাম্পাসে মহাসমারোহে বাংলা বর্ষবরণ পালিত হয়েছে।
বৃহস্পতিবার মঙ্গল শোভাযাত্রা ও বিভিন্ন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে পুরান ঢাকার ঐতিহ্যবাহী বিদ্যাপীঠ জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে সাড়ম্বরে পালিত হয় বাংলা নববর্ষ-১৪৩১।
বাংলা নববর্ষকে বরণ করে নিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক সাদেকা হালিমের নেতৃত্বে জবি ক্যাম্পাস থেকে সকাল সাড়ে নয়টায় মঙ্গল শোভাযাত্রা বের হয়। শোভাযাত্রাটি বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ মিনার প্রাঙ্গণ থেকে শুরু হয়ে রায়সাহেব বাজার ঘুরে ভিক্টোরিয়া পার্ক হয়ে পুনরায় বিশ্ববিদ্যালয়ে ফিরে আসে।
মঙ্গল শোভাযাত্রায় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মো. হুমায়ুন কবীর চৌধুরী, বিভিন্ন অনুষদের ডিন, ইনস্টিটিউটের পরিচালক, রেজিস্ট্রার, বিভাগের চেয়ারম্যান, শিক্ষক সমিতির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক, বিভিন্ন দপ্তরের পরিচালক, প্রক্টর, শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা, কর্মচারী, জবি ছাত্রলীগ সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকসহ বিভিন্ন সাংস্কৃতিক সংগঠন অংশগ্রহণ করেন।
মঙ্গল শোভাযাত্রায় ইউনেস্কোর অপরিমেয় সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য হিসেবে স্বীকৃতি পাওয়া ‘রিকশাচিত্র’কে মূল প্রতিপাদ্য করে এবং ‘বৈশাখে নূতন করিনু সৃজন/ মঙ্গলময় যত তনু-মন’ স্লোগানকে সামনে রেখে এ বছর জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে বাংলা নববর্ষ উদযাপিত হয়েছে।
শোভাযাত্রায় রিকশাচিত্রের পাশাপাশি সংকটাপন্ন প্রাণী প্রজাতির মধ্যে কুমিরের মোটিফ তুলে ধরা হয়। এছাড়াও লক্ষীপেঁচা, ফুল, মৌমাছি, পাতা, বাঘের মুখোশ এবং গ্রামবাংলার লোক কারুকলার নিদর্শনসমূহ শোভাযাত্রায় স্থান পায়। মঙ্গল শোভাযাত্রাটির আয়োজনের দায়িত্বে ছিল চারুকলা অনুষদ।
আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান
মঙ্গল শোভাযাত্রা শেষে সকাল সোয়া দশটার দিকে আলোচনা সভা শুরু হয়। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক সাদেকা হালিম।
বর্ষবরণ অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণের জন্য সবাইকে ধন্যবাদ জানিয়ে তিনি বলেন, ‘আবাসিক বিশ্ববিদ্যালয় না হওয়া সত্ত্বেও সীমিত অবকাঠামো ও স্বল্প পরিসর নিয়েও সকলের সহযোগিতায় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে বিভিন্ন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হচ্ছে। বিশ্ববিদ্যায়ের মূল প্রাণ হচ্ছে শিক্ষার্থী। এ ধরনের অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে আমাদের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা তাদের দক্ষতা তুলে ধরতে পারছে।
‘পশ্চিমবঙ্গ, পূর্ববঙ্গ, পূর্ব পাকিস্তান ও তারপর বাংলাদেশ। এই বাংলাদেশ নামক রাষ্ট্রটি স্বাধীন-সার্বভৌম রাষ্ট্র হিসেবে বিশ্বের মানচিত্রে জায়গা করে নিয়েছে হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর জন্য। বঙ্গবন্ধুর এই অবদান যেন আমাদের নতুন প্রজন্ম তাদের চিন্তা চেতনায় ধারণ করতে পারে।’
তিনি আরও বলেন, ‘বর্ষবরণ অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে আমরা সবাইকে সাম্প্রদায়িকতা, সন্ত্রাস ও জঙ্গীবাদের বিরুদ্ধে সচেতন করতে পারি। পারিবারিকভাবেই নারী-পুরুষের সমতা, নারীকে মানুষ ভাবার মানসিকতার শিক্ষা দিতে হবে, নতুন প্রজন্মকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এ বিষয়ে লিখতে হবে, বলতে হবে।’
আলোচনা সভায় অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মো. হুমায়ুন কবীর চৌধুরী, শিক্ষক সমিতির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক, কর্মকর্তা সমিতির সভাপতি, বাংলাদেশ ছাত্রলীগ জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক, বিশ্ববিদ্যালয় কর্মচারী সমিতির সভাপতি প্রমুখ।
এরপর বিশ্ববিদ্যালয়ের একাত্তরের গণহত্যা ও মুক্তিযুদ্ধের প্রস্তুতি ভাস্কর্য চত্বরে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশিত হয়।
অনুষ্ঠানে বিশ্ববিদ্যালয়ের সংগীত বিভাগের পরিবেশনায় সংগীতানুষ্ঠান ও নাট্যকলা বিভাগের আয়োজনে যাত্রাপালার আয়োজন করা হয়। এ ছাড়াও বিকেলে জবি সাংস্কৃতিক কেন্দ্র, আবৃত্তি সংসদ ও উদীচী শিল্পীগোষ্ঠির পরিবেশনা এবং জবি ব্যান্ড মিউজিক অ্যাসোসিয়েশনের আয়োজনে ব্যান্ড সংগীত পরিবেশিত হয়।
এ সময় শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা ও কর্মচারীসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের সংশ্লিষ্ট সকলে আনন্দে নেচে গেয়ে উদ্বেলিত ও উৎফুল্ল হয়ে বর্ষবরণকে আনন্দবহ করে তোলেন।
প্রকাশনা প্রদর্শনী
এদিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাষাশহিদ রফিক ভবনের নীচতলায় দিনব্যাপী ‘প্রকাশনা প্রদর্শনী’ অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে প্রকাশিত বিভিন্ন গ্রন্থ, জার্নাল, সাময়িকী, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় বার্তাসহ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের প্রকাশিত বিভিন্ন গ্রন্থ স্থান পায়।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) সাবেক উপাচার্য ও জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) বর্তমান উপাচার্য অধ্যাপক ড. সাদেকা হালিমের বাবা অধ্যাপক ড. ফজলুল হালিম চৌধুরীর ২৮তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ (৯ এপ্রিল)।
অধ্যাপক ড. ফজলুল হালিম চৌধুরী ১৯৭৬ সাল থেকে ১৯৮৩ সাল পর্যন্ত সময়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রসায়ন বিভাগ থেকে প্রথম শ্রেণিতে প্রথম স্থান নিয়ে বিএসসি ডিগ্রি অর্জন করেন। এরপর ১৯৫১ সালে প্রথম শ্রেণিতে প্রথম স্থান অধিকার করে এমএসসি ডিগ্রি অর্জন করেন। পরবর্তীতে তিনি ১৯৫৬ সালে যুক্তরাজ্যের ম্যানচেস্টার বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ডক্টরেট ডিগ্রি অর্জন করেছিলেন।
স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনে একাত্মতা প্রকাশ করে তিনি উপাচার্য পদ থেকে পদত্যাগ করেন।
অধ্যাপক ড. ফজলুল হালিম চৌধুরী ১৯৮৫ সাল থেকে ১৯৯১ সাল পর্যন্ত ইউনেস্কো দিল্লির বিজ্ঞান উপদেষ্টার দায়িত্ব পালন করেন। তিনি ১৯৭৪ সাল থেকে ১৯৭৬ সাল পর্যন্ত মঞ্জুরি কমিশনের সদস্য ছিলেন। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে তিনি ফলিত রসায়ন বিভাগ প্রতিষ্ঠা করেন। তিনি ছিলেন বাংলাদেশ রসায়ন সমিতির সভাপতি।
অধ্যাপক ড. ফজলুল হালিম চৌধুরী ১৯৩০ সালের ১ আগস্ট বেঙ্গল প্রেসিডেন্সির কুমিল্লা জেলার কুঞ্জ শ্রীপুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতা আবদুল আজিজ চৌধুরী একজন শিক্ষাবিদ, মাতা আফিফা খাতুন।
বরেণ্য এ অধ্যাপকের মেয়ে হয়েছেন বাবার মতো গুণী। অধ্যাপক ড. সাদেকা হালিম জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, বুয়েটে অবশ্যই ছাত্র রাজনীতি থাকা উচিত। তেমনই শিক্ষার পরিবেশ যেন বজায় থাকে সেদিকেও লক্ষ্য রাখতে হবে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি প্রাঙ্গণে মঙ্গলবার দুপুরে প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকে ঈদ উপহার বিতরণে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় কমিটি আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
ছাত্রলীগ সভাপতি সাদ্দাম হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালী আসিফ ইনান।
বাংলাদেশের সব অর্জনের সঙ্গে ছাত্র রাজনীতি ও ছাত্রলীগ যুক্ত বলে উল্লেখ করেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান। তিনি বলেন, ‘আমাদের স্বাধীনতা সংগ্রাম, স্বাধীনতা যুদ্ধ, স্বাধীনতা-পরবর্তী সময়ে দেশ গঠন এবং এরশাদ ও জিয়া যখন আমাদের গণতন্ত্রকে শেকল পরিয়েছিলেন তখন গণতন্ত্রকে মুক্ত করার লক্ষ্যে ছাত্রলীগ ভূমিকা রেখেছে।’
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘বুয়েটে ছাত্র রাজনীতি অবদান রেখেছে। সেই ছাত্র রাজনীতি থেকে অনেক দেশবরেণ্য রাজনীতিবিদের জন্ম হয়েছে- যারা দেশকে নেতৃত্ব দিয়েছেন, দিচ্ছেন। কিন্তু আমি অবাক যে সেখানে একটি দুঃখজনক ঘটনাকে কেন্দ্র করে ছাত্র রাজনীতি বন্ধ করা হয়। ছাত্র রাজনীতি বন্ধ করার জন্য আবার সেখানে আন্দোলনও হয়।
‘এটা কোনোভাবেই গণতান্ত্রিক নয় এবং হঠকারী সিদ্ধান্ত বলেই আদালত বিশ্ববিদ্যালয়ের সেই আদেশ বাতিল করেছে এবং সেখানে ছাত্র রাজনীতির দুয়ার খুলেছে।’
তিনি বলেন, ‘ছাত্রলীগকে বলবো- সেখানে যেন নিয়মতান্ত্রিক ছাত্র রাজনীতি হয়, হিংসা-বিদ্বেষের রাজনীতি যেন না ঢোকে। সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে নিয়মতান্ত্রিক ছাত্র রাজনীতি থাকা প্রয়োজন। এর মাধ্যমে ভবিষ্যতের নেতা তৈরি হয়।
এ সময় নিজের জীবনের উদাহরণ দিয়ে ড. হাছান বলেন, ‘আমি ১৫ বছর বয়সে ক্লাস টেনে পড়ার সময় থেকে ছাত্রলীগের কর্মী। আর ১৬ বছর বয়সে ছাত্রলীগের কলেজ শাখার সাধারণ সম্পাদক হয়েছি।’
মন্ত্রী হাছান বলেন, ‘রাজনীতি যে দেশ ও মানুষের সেবা এবং সমাজ পরিবর্তনের একটি ব্রত, সেটি অনেক রাজনীতিবিদ ভুলে গেছেন। প্রকৃতপক্ষে রাজনীতি কারও পেশা হওয়া উচিত নয়।
‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আমরা বস্তুগত উন্নয়নের সঙ্গে একটি মানবিক ও সামাজিক কল্যাণ রাষ্ট্র গঠন করতে চাই। সেই লক্ষ্যেই বঙ্গবন্ধু-কন্যা বহু কল্যাণ ভাতা চালু করেছেন। সেই ব্রত ধারণ করেই আজকে ছাত্রলীগ দুস্থ অসহায় মানুষের মধ্যে ঈদ সামগ্রী বিতরণ করার উদ্যোগ নিয়েছে। এজন্য তাদেরকে অভিনন্দন।’
সভা শেষে সমবেতদের মাঝে ঈদ উপহারসামগ্রী বিতরণ করেন মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।
আরও পড়ুন:বুয়েটের পুরকৌশল বিভাগের ছাত্র ও কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ নেতা ইমতিয়াজ হোসেন রাব্বীর হলের সিট ফিরিয়ে দেয়ার নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট।
সোমবার এক রিট আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বিচারপতি মো. খসরুজ্জামান ও বিচারপতি কে এম জাহিদ সারওয়ার কাজলের হাইকোর্ট বেঞ্চ এই আদেশ দিয়েছে।
এর আগে রোববার ইমতিয়াজ হোসেনের পক্ষে হলের সিট বাতিলের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে ব্যারিস্টার হারুনুর রশিদ হাইকোর্টে রিট দায়ের করেন।
রিটে বুয়েটের উপাচার্যসহ সংশ্লিষ্টদের বিবাদী করে ইমতিয়াজের হলে সিট ফেরত দেয়ার নির্দেশনা চাওয়া হয়। সোমবার ব্যারিস্টার হারুনুর রশিদ নিজেই রিটের পক্ষে শুনানি করেন।
জানা যায়, ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধ থাকা বুয়েট ক্যাম্পাসে ২৭ মার্চ বুধবার মধ্যরাতে ছাত্রলীগের শীর্ষ নেতাদের উপস্থিতিতে নেতা-কর্মীদের একটি দল প্রবেশ করে। এর প্রতিবাদে ২৯ মার্চ বেলা আড়াইটা থেকে রাত পৌনে ৮টা পর্যন্ত ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ করেন শিক্ষার্থীরা।
বিক্ষোভে বিশ্ববিদ্যালয়ের সুস্পষ্ট বিধিমালা লঙ্ঘনের দায়ে বুধবার মধ্যরাতে রাজনৈতিক সমাগমের মূল সংগঠক পুরকৌশল বিভাগের ২১তম ব্যাচের ছাত্র ও ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ইমতিয়াজ হোসেনকে বুয়েট থেকে স্থায়ী বহিষ্কার এবং হল (আবাসিকতা) বাতিলসহ পাঁচ দফা দাবি তুলে ধরা হয়।
পরে ২৯ মার্চ রাতে বুয়েটের উপাচার্য সত্যপ্রসাদ মজুমদারের নির্দেশে ইমতিয়াজ হোসেনের হলের আসন বাতিলের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেন বুয়েটের রেজিস্ট্রার মো. ফোরকান উদ্দিন।
একইসঙ্গে জানানো হয়, সার্বিক বিষয়ে তদন্ত করে সুপারিশ দেয়ার জন্য একটি কমিটি গঠন করা হবে।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন পাওয়ার পর বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়ম অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতক ও স্নাতকোত্তর পর্যায়ের পরীক্ষাসহ সব শিক্ষা কার্যক্রম চলমান থাকবে।
এদিকে ১ এপ্রিল বুয়েটে ছাত্ররাজনীতি চলতে বাধা নেই বলে আদেশ দেয় হাইকোর্ট। ইমতিয়াজ হোসেন রাব্বীর করা এক রিটের পরিপ্রেক্ষিতে বিচারপতি মো. খসরুজ্জামান ও বিচারপতি কে এম জাহিদ সারওয়ার কাজলের হাইকোর্ট বেঞ্চ ওই আদেশ দেয়। ২০১৯ সালে বুয়েট কর্তৃপক্ষ ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধ করে যে প্রজ্ঞাপন জারি করে তা স্থগিত করে হাইকোর্ট।
আরও পড়ুন:ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) ক্যাম্পাসে থাকা ভাসমান সুবিধাবঞ্চিত পথশিশুদের মাঝে ঈদ উপহার বিতরণ করেছে ছাত্রলীগের একদল নেতা-কর্মী। তারা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগ সভাপতি মাজহারুল কবির শয়নের পক্ষ থেকে এই উপহার বিতরণ করেছেন।
শুক্রবার বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র শিক্ষক কেন্দ্রের সুইমিংপুল সংলগ্ন মাঠে বিতরণের এ আয়োজন করা হয়। আয়োজন শেষে সুবিধাবঞ্চিত পথশিশুদের আনন্দ-উচ্ছ্বাস দেখে মনে হচ্ছে নতুন কাপড় তাদের ঈদের খুশি এনে দিয়েছে।
ঈদ উপহার পেয়ে টিএসসির এক সুবিধাবঞ্চিত শিশু রাব্বি বলেন, আমাদের সবাইকে অনেক সুন্দর সুন্দর কাপড় দিয়েছে। অনেক খুশি লাগছে আমার। এবার ঈদের দিন এই পাঞ্জাবিটা পরে ইদ করবো আমি৷
এই আয়োজনের দায়িত্বে থাকা শহীদ সার্জেন্ট জহুরুল হক হল ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ইমাম বাসেত বলেন, প্রত্যেক বাগান মালিই তার বাগানের ফুলগুলোর যত্ন করে। ওরা আমাদের বাগানের ফুল, আমাদের প্রত্যেকেরই উচিৎ ওদের যত্ন নেয়া। আমাদের সভাপতি শয়ন ভাই সবসময় ওদের খোঁজ খবর রাখেন।
এসময় সেখানে অন্যদের মাঝে আরও উপস্থিত ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সহসভাপতি জয়নাল আবেদিন, রেজাউল করিম রিয়াদ, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম বিষয়ক সম্পাদক মাউনজিরা বিশ্বাস সুরভী, নাট্য ও বিতর্ক উপসম্পাদক সাইফ আকরাম, মানবসম্পদ উপসম্পাদক মিজানুর রহমান, গণযোগাযোগ উপসম্পাদক ইশতিয়াক আহমেদ তিতাস প্রমুখ।
মনিরুল
বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় শাখা (ববি) ছাত্রলীগের কমিটি শিগগিরই গঠন করা হবে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালী আসিফ ইনান।
তিনি বৃহস্পতিবার সাংবাদিকদের বিষয়টি জানিয়েছেন।
ইনান বলেন, ‘বাংলাদেশ ছাত্রলীগ একটি সুশৃঙ্খল ও সুসংগঠিত ইউনিট। এটি গঠনতন্ত্র মোতাবেক পরিচালিত হয়। আমরা গত এক যুগের অবসান ঘটিয়ে আশা করছি খুব শিগগিরই বাংলাদেশ ছাত্রলীগ ববি শাখার সাংগঠনিক কমিটির রূপদান করতে পারব।’
এ বিষয়ে ববি ছাত্রলীগের এক নেতা বলেন, ‘ববির সমসাময়িক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ছাত্রলীগের কমিটি হয়েছে আরও আগে, তবে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়কে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ বেশ কয়েকবার আশ্বস্ত করলেও বাস্তবে তার প্রতিফলন দেখা যায়নি। সবসময়ই সরব ভূমিকা দেখা যায় ববি ছাত্রলীগকে।
‘বিভিন্ন দিবস পালনসহ নানা ধরনের অনুষ্ঠান হয় ববি ছাত্রলীগের ব্যানারে। বিভিন্ন সময় বিভিন্নজন ছাত্রলীগের নেতৃত্ব দিয়েছেন। কালের বিবর্তনে এখন অনেকে হারিয়ে গেছেন, কিন্তু তাদের কেউ ছাত্রলীগের কমিটিতে জায়গা পাননি।’
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) উপাচার্য অধ্যাপক ড. সাদেকা হালিমের নামে ভুয়া ইমেইল আইডি খুলে করে বিভিন্ন মানুষকে স্ক্যাম মেসেজ পাঠানোর অভিযোগ উঠেছে। এ বিষয়ে সবাইকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ, তথ্য ও প্রকাশনা দপ্তর থেকে বৃহস্পতিবার পাঠানো এক সতর্কীকরণ বিজ্ঞপ্তি থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, একটি অসাধু মহল [email protected] নামের ইমেইল অ্যাড্রেসটি থেকে বিভিন্ন ব্যক্তির কাছে স্ক্যাম মেসেজ পাঠাচ্ছে। এই ইমেইলটি জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের নয় এবং এর সঙ্গে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়র কোনো প্রকার সংশ্লিষ্টতা নেই।
স্ক্যামের উদ্দেশ্যে তৈরি করা এ ইমেইলটি জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করছে বলে বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।
এ ছাড়া সবাইকে এই অসাধু উদ্দেশ্যে তৈরি ইমেইল থেকে আসা সব বার্তা পরিহার করে চলতে এবং এ বিষয়ে সর্বোচ্চ সাবধানতা অবলম্বন করতে অনুরোধ করেছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
এ বিষয়ে কোতোয়ালি থানায় একটি জিডি করা হয়েছে বলে নিউজবাংলাকে জানিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
জিডির বিষয়টি নিশ্চিত করে কোতোয়ালি থানার ওসি শাহীনুর রহমান নিউজবাংলাকে বলেন, ‘বিষয়টি তদন্তের জন্য ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইমের অধীনে পরিচালিত সিটি-সাইবার ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন বিভাগে পাঠানো হয়েছে।
‘তারা বিষয়টি নিয়ে এরই মধ্যে কাজ শুরু করেছে। তদন্তের স্বার্থে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ও পুলিশ জিডির বিস্তারিত গোপন রেখেছে।’
মন্তব্য