ওমুক কোম্পানির শেয়ার কিনুন, হল্টেড হবে- ফেসবুকে এই ধরনের প্রলোভনে পড়ে ঠকেছেন এমন বিনিয়োগকারীর সংখ্যা কম নয়। অন্যদিকে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের হাতে উচ্চমূল্যে শেয়ার গছিয়ে দিয়ে একটি চক্র আয় করে বিপুল পরিমাণ।
এই বিষয়গুলো যখন এক রকম ওপেন সিক্রেটের মতো চলছে, তখন সামাজিক মাধ্যমে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসি নজর দিয়ে কয়েকজনসহ ‘হল্টেড মিজান’ নামের একজনকে শনাক্ত করেছে। গঠন করা হয়েছে তদন্ত কমিটি।
বুধবার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসি তার বিষয়ে গণমাধ্যমে বিজ্ঞপ্তি দেয়ার পর মিজানের বিষয়ে বিনিয়োগকারীদের প্রশ্ন আরও বড় হয়েছে। এখন তুমুল আলোচনা কে এই মিজান? কেন তিনি ‘হল্টেড মিজান’ হিসেবে পরিচিত।
তার সম্পর্কে খোঁজ নিয়ে জানা গেল বিচিত্র তথ্য। তবে মিজান তার আসল নাম কি না, সেটি বলতে পারেন না কেউ।
ফেসবুকসহ অন্য সামাজিক মাধ্যমে বিভিন্ন কোম্পানির শেয়ারের সম্ভাবনা নিয়ে প্রচার চালাতেন মিজান। দর বৃদ্ধি নিয়ে ভবিষ্যদ্বাণী করতেন। প্রচার করা হতো, তিনি যেসব শেয়ার কেনার পরামর্শ দেন, সেগুলোর দাম সর্বোচ্চ সীমায় বেড়ে সার্কিট ব্রেকার স্পর্শ করে বা হল্টেড হয়ে যায়।
ইংরেজিতে লেখা ‘মিজানুর রহমান’ নামের একটি ফেসবুক আইডি থেকে বিভিন্ন বিভ্রান্তিকর তথ্য প্রচার করা হতো। প্রোফাইল পিকচারে ব্যবহার করা হয়েছে লাল রঙে লেখা ‘হল্টেড’।
এসব কারণেই তার নামের সঙ্গে যোগ হয়েছে ‘হল্টেড’ বিশেষণ।
এই ‘হল্ট’ আইটেম দেয়ার বিনিময়ে টাকাও নিতেন মিজান। কখনও ১০২০ টাকা, কখনও ২ হাজার ৫৫০ টাকা আবার কখনও ৫ হাজার ১০০ টাকা।
বিশ্বাসযোগ্যতা আনতে বলা হতো, এই টাকার ১০ শতাংশ করোনাজনিত দুস্থদের কল্যাণে ব্যয় করা হবে।
যারা ফাঁদে পড়তেন, তারা এটা বিবেচনা করতেন না যে, যে লোক কোনো শেয়ারের দাম দ্বিগুণ হবে, কোনোটির দর ৫০ শতাংশ বাড়বে, তিনি কেন এই কয়টি টাকার জন্য বিজ্ঞাপন দিয়ে বেড়াবেন।
যা জানেন বিনিয়োগকারীরা
বিনিয়োগকারী মাসুম জামান বলেন, ‘ফেসবুকে অনেক সময় দেখেছি, ওই আইডিতে বলা হচ্ছে যে, আগামী সপ্তাহের জন্য আইটেম রেডি আছে, যারা নিতে চান তারা ইনবক্সে যোগাযোগ করুন। আমি কখনও কিনিনি। অনেকের কাছে শুনেছি যে, এই ধরনের আইটেম বিক্রি হয়।’
ফিদুল বিশ্বাস নামের আরেকজন বলেন, ‘এই ধরনের প্রতারকচক্র খুবই ধূর্ত হয়। কোনো কারণে একটা শেয়ারের দাম বেড়ে গেলে সেটাকেই তারা নিজেদের আইটেম বলে প্রচার করে। তারা বিনিয়োগের অর্ধেক লাভের লোভ দেখায়। এসব ফাঁদে পা দিয়ে সাধারণ বিনিয়োগকারীরা সর্বস্বান্ত হন। অনেকে কিছু পয়সা কামাই করে, কিন্তু বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই লোকসান গুনতে হয়।’
তিনি বলেন, ‘মিজানুর রহমান নামের ওই ব্যক্তির আইটেম বিক্রির কথা জেনেছি। ব্রোকারেজ হাউসে এ রকম আলোচনা অনেক হয়। অনেকেই আগ্রহ প্রকাশ করেন। তবে যারা দীর্ঘদিন বাজারের সঙ্গে আছেন তারা সহজেই এসব ফাঁদে পা দেন না।’
সেই আইডি এখন বন্ধ
বিএসইসি বিজ্ঞপ্তি দেয়ার পর থেকে মিজানের নামের সেই আইডিটি ডি-অ্যাক্টিভেটেড করে দেয়া হয়। তবে সেই আইডির কিছু পোস্টের স্ক্রিনশট পাওয়া যাচ্ছে।
এতে দেখা যায় এক পোস্টে বলা হয়েছে, ‘বলেছিলাম বাই প্রাইম ফাইন্যান্স; গতকালও হল্ট হয়েছে। এরকম হট ও টানা হল্ট আইটেম পেতে ইনবক্সে যোগাযোগ করুন।’
আরেকটি পোস্টে লেখা রয়েছে, ‘রবিবারের হল্ট আইটেম!! মার্কেট ওকে। একটি টি+২ হট অ্যান্ড হল্ট আইটেম রেডি। এটি টানা হল্টেড হবে ইনশাআল্লাহ। আইটেম পেতে টাইমলাইন দেখুন/ইনবক্স করুন।’
অন্য আরেকটি পোস্টে লেখা, ‘৫০% লাভের পরবর্তী মানি ডবল আইটেম রেডি। আগের আইটেম ইউনিয়ন ক্যাপ ২১ দিনে ৮১% বেড়েছে; টার্গেট ৫০%+ অতিক্রম করেছে। বাই রেট ছিল ৭.৯০ টাকা, বৃহঃবার ১৪.৩০ টাকা উঠেছে। এরকম হট ও টানা হল্ট ৫০% লাভের/মানি ডবল আইটেম পেতে ইনবক্সে মেসেজ দিন।’
আইটেমের বদলে টাকা
আরেকটি পোস্টে লেখা ছিল, ‘গ্রেট অফার: লেটেস্ট টানা হল্টেড হট আইটেম পেতে আইটেমের নিউজ কালেকশন, এনালাইসিস ও বিবিধ ফি বাবদ টি+২/সাপ্তাহিক প্রতি হট আইটেম এর জন্য মাত্র ১,০২০ টাকা; ৫০% লাভের প্রতি আইটেমের জন্য ২৫৫০ টাকা, মানি ডবল প্রতি আইটেমের জন্য ৫১০০ টাকা বিকাশ করুন। ১০% করোনাজনিত দুঃস্থদের কল্যাণে ব্যয় করা হবে।’
প্রলুব্ধ করার জন্য সেই পোস্টে আরও লেখা হয়, ১০ লাখ টাকা বিনিয়োগ করে এক লাখ লাভ করতে ১ হাজার টাকা ব্যয় করার মানসিকতা না থাকলে শেয়ার ব্যবসা করা যাবে না।
এতে লেখা হয়, ‘হট আইটেমের নিউজ নগদ টাকা দিয়ে নিতে হবে।’
বিএসইসি কী বলছে
পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থাটির মুখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক রেজাউল করিম নিউজবাংলাকে বলেন, ‘প্রাথমিকভাবে জানা গেছে, তিনি (মিজান) বিভিন্ন শেয়ারের দাম কোথায় যাবে, কোনটা বাড়বে, কোনটা হল্টেড হবে, এসব তথ্য প্রচার করতেন। আর এসব তথ্য প্রদান বা আইটেম বিক্রির মাধ্যমে টাকা নিতেন।’
তিনি আসলে কে- এমন প্রশ্নে রেজাউল বলেন, ‘ওই ব্যক্তিকে খুঁজে বের করতে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। এর বাইরে গোয়েন্দা সংস্থাও কাজ করছে। এ বিষয়ে কাজ করছে বুয়েট থেকে পাস করা একজন আইটি এক্সপার্ট এবং একজন সোশ্যাল মিডিয়া স্পেশালিস্ট।
‘ওই ব্যক্তির মোবাইল নম্বর ও ইমেইল আইডি পাওয়া গেছে। এর মাধ্যমে তিনটি বিও অ্যাকাউন্ট খুঁজে পাওয়া গেছে। যার মধ্যে দুটি সচল। আর কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি।’
বুধবার বিএসইসির জানায়, মিজানুর ছাড়াও একই চক্রের আশরাফুল ইসলাম, আয়মান নাহিয়ান কল্লোল ও শরীফুল ইসলাম নামে তিনজনকে শনাক্ত করা হয়েছে। তাদের শাস্তির আওতায় আনতে গঠন করা হয়েছে ২ সদস্যের কমিটি।
তদন্ত কমিটিতে রয়েছেন সহকারী পরিচালক কামাল হোসেন ও এইচ এম সালেহ সাদমান। তাদের আগামী ১০ দিনের মধ্যে মিজানুর রহমানসহ সামাজিক মাধ্যমে গুজব রটনাকারীদের বিষয়ে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।
কমিশনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, গুজব ছড়িয়ে মিজানুর ও তার সহযোগীরা কী পরিমাণ লাভবান হয়েছেন, সেটাও বের করা হবে।
বিএসইসি পুঁজিবাজারে আস্থা ফেরাতে গত কয়েক মাস ধরে সরকারের শীর্ষ পর্যায়ের সঙ্গে দেন দরবার করে নানা সুযোগ সুবিধা আদায় করেছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের সঙ্গে মতভেদ দূর হয়েছে। ব্যাংকের বিনিয়োগসীমা বা এক্সপোজার লিমিট শেয়ারের ক্রয়মূল্যে হিসাব করতে বিনিয়োগকারীদের এক যুগের দাবি পূরণ হয়েছে।
এসব ঘটনায় গত বছরের সেপ্টেম্বরের দ্বিতীয় সপ্তাহে ঝিমুনিতে যাওয়া পুঁজিবাজা প্রাণসঞ্চার হয়েছে। এই সময়ের মধ্যে হারিয়ে ফেলা দেড় হাজার সূচকের মধ্যে এক মাসে ৫২৮ পয়েন্ট এরই মধ্যে ফিরে এসেছে। যে লেনদেন চার শ কোটির ঘরে নেমে এসেছেন, সেটি এখন নিয়মিত হচ্ছে দুই হাজার কোটি টাকা ছুঁই ছুঁই।
এই অবস্থায় বিএসইসি এবার গুজব ঠেকাতে আটঘাট বেঁধে নেমেছে।
গত ১৭ মে ফেসবুকে পুঁজিবাজার নিয়ে গুজব ছড়ানোর অভিযোগে মাহবুবুর রহমান নামের একজনকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া থেকে গ্রেপ্তার করে গোয়েন্দা পুলিশের একটি দল। বিএসইসির সাধারণ ডায়েরির ভিত্তিতে তাকে ধরা হয়।
ফেসবুক, হোয়াটস অ্যাপসহ বিভিন্ন সামাজিক মাধ্যমে পুঁজিবাজার নিয়ে গুজব রটনাকারীদের চিহ্নিত করতে ‘সোশ্যাল মিডিয়া মনিটরিং সেল’ও গঠন করা হয়েছে।
বিএসইসির মার্কেট সার্ভিল্যান্স অ্যান্ড ইন্টেলিজেন্স ডিপার্টমেন্টের (এমএসআইডি) কমিশনার শেখ শামসুদ্দিন আহমেদের তত্ত্বাবধানে এই সেলের কার্যক্রম চলছে।
এ ক্ষেত্রে টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন বিটিআরসি ও বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিলের ডিজিটাল সিকিউরিটি এজেন্সির সহায়তাও নিচ্ছে বিএসইসি। তাদের অভিযোগে গুজব রটনাকারী ৩১টি ফেসবুক আইডি নিষ্ক্রিয় করা হয়েছে।
আরও পড়ুন:ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকারের মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রীসহ ২০ জনের বেনিফিশিয়ারি ওনার্স (বিও) হিসাব জব্দ করেছে শেয়ারবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)।
বাংলাদেশ ফিন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের (বিএফআইইউ) নির্দেশে বৃহস্পতিবার তাদের বিও হিসাব স্থগিত করেছে বিএসইসি।
নির্দেশনায় বিএসইসি যাদের বিও হিসাব জব্দ করেছে তারা হলেন- সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, তার স্ত্রী লুতফুল তাহমিনা খান, ছেলে সফি মুদাসসের খান ও মেয়ে শাফিয়া তাসনিম খান; সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদ, তার স্ত্রী নুরুন ফাতেমা হাসান ও মেয়ে নাফিসা জুমাইনা মাহমুদ; সাবেক আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক ও তার স্ত্রী আরিফা জেসমিন কনিকা; সাবেক তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত ও তার স্ত্রী শারমিন মুস্তারি; সাবেক ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদ, তার স্ত্রী রুখমিলা জামান চৌধুরী, তার আত্মীয় জারা জামান, বোন রোকসানা জামান চৌধুরী, ভাই আনিসুজ্জামান চৌধুরী ও মেয়ে জেবা জামান চৌধুরী।
এছাড়া পিরোজপুর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক ও সাবেক সংসদ সদস্য মহিউদ্দিন মহারাজ, তার স্ত্রী উম্মে কুলসুম, ছেলে সাম্মাম জুনাইদ ইফতির বিও হিসাব জব্দ করা হয়েছে।
আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পরদিন থেকে টানা চার দিন পাগলা ঘোড়ার মতো ছুটতে দেখা যায় দেশের পুঁজিবাজারকে। বিনিয়োগকারীদের মধ্যেও নতুন উদ্যমে শুরু করার প্রত্যয় চোখে পড়ে। অনেকে নতুন করে কিছু পুঁজি বিনিয়োগে এনেছেন। অনেকে আবার শেয়ার কিনে রাখতে অন্যদের পরামর্শ দিয়েছেন।
সাধারণ বিনিয়োগকারীদের মধ্যে ধারণা হয়েছিল, আওয়ামী লীগ সরকারের পতনে পুঁজিবাজারে সুদিন ফিরবে। তবে সেই সুদিনের দেখা মিলছে না। ওই চার কর্মদিবসের পর থেকে পরের পাঁচ কর্মদিবসের গল্পটা পুরনো হতাশার।
গত ৫ অগাস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ-ডিএসইতে চার কর্মদিবসে ৭৮৬ পয়েন্ট সূচক বাড়ার পর বিনিয়োগকারীরা উৎফুল্ল হয়ে উঠেছিল। এরপর ৮ কর্মদিবসে সূচক পড়ল ৪০৮ পয়েন্ট। এর মধ্যে পাঁচদিনেই পড়ল ৩৪৫ পয়েন্ট।
সবশেষ বুধবারের পতন ছিলো অনেকটাই অনাকাঙ্ক্ষিত। এদিন ডিএসইর প্রধান সূচক হারিয়েছে ১০৮ পয়েন্ট।
বর্তমান ডিএসইর প্রধান সূচকটি নেমে এসেছে পাঁচ হাজার ৬০৬ পয়েন্টে। তবে সবচেয়ে বেশি হতাশা ছড়াচ্ছে মোট লেনদেনের পরিমাণ। সরকার পতনের পর একদিনে লেনদেন উঠে এসেছিলো দুহাজার কোটি টাকা, যা বর্তমানে নেমে এসেছে চার ভাগের এক ভাগে। সবশেষ কর্মদিবসে ডিএসইতে লেনদেন হয়েছে ৫৩৬ কোটি টাকার।
হঠাৎ এমন দরপতনে হৃদয়ে রক্তক্ষরণ হচ্ছে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের। প্রতিদিনই তাদের বিনিয়োগের অর্থ কমে আসছে।
ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারী জসিম উদ্দিনের ব্যাখা ছিলো এমন- ‘আমরা তো ভাবছিলাম আওয়ামী লীগ সরকারের সময়ে পুঁজিবাজারের উন্নয়ন হবে না। গত ১৪ বছরে আওয়ামী লীগ সেটা করেও দেখাতে পারেনি। একের পর এক দুর্নীতি আর লুটপাটে বাজার থেকে নিঃস্ব হতে হয়েছে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের।
‘সবার মধ্যে আশা ছিলো ওদের পতনের পর পুঁজিবাজার অনেক উপরে উঠবে। প্রথম কয়েকদিন হলোও তাই। তবে এখন কী যে হচ্ছে বুঝতে পারছি না। সকাল শুরু হলেই দেখি পতন আর পতন। এগুলো আর কত দেখতে হবে। নতুন সরকারের উচিত আগে পুঁজিবাজার ঠিক করা।’
বুধবার দেখা যায়, লেনদেনে অংশ নেয়া প্রায় সব প্রতিষ্ঠানের দর কমেছে। অংশ নেয়া কোম্পানির মধ্যে দর বেড়েছে ১১টির, কমেছে ৩৭১টির। আর অপরিবর্তিত ছিলো ১২টি কোম্পানির শেয়ার দর।
হতাশ আরেক বিনিয়োগকারী আনিস বলেন, ‘আমাদের কী করা উচিত তা জানি না ভাই। হতাশ হয়ে সবাই মার্কেট ছাড়তেছে। ভাবলাম সরকার পরিবর্তন হইছে, তাই অনেক দিন পর কিছু শেয়ার কিনলাম। তবে যা হচ্ছে তাতে আবার হতাশ হলাম।’
অন্তর্বর্তী সরকারের বেছে নেয়া মাশরুর রিয়াজ বিএসইসির চেয়ারম্যান হওয়া নিয়ে অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনার পর গত সোমবার নেতৃত্বে আসেন খন্দকার রাশেদ মাকসুদ। তিনি নেতৃত্বে আসার পর টানা তিন কর্মদিবসেই দরপতন হল পুঁজিবাজারে।
আরও পড়ুন:পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন-বিএসইসির চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব নিতে অপারগতা প্রকাশ করেছেন ড. এম মাশরুর রিয়াজ।
অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ড. এম মাশরুর রিয়াজকে বিএসইসির চেয়ারম্যান হিসেবে নিয়োগ দিয়েছিল। তবে পুঁজিবাজার-সংশ্লিষ্ট দু-একটি গোষ্ঠী তার সঙ্গে আওয়ামী লীগ সরকার তথা সালমান এফ রহমানের ঘনিষ্ঠতা রয়েছে মর্মে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচার শুরু করে।
গত ১৩ আগস্ট তার নিয়োগের প্রজ্ঞাপন হলেও মাশরুর রিয়াজকে বিএসইসিতে যোগ দিতে দেখা যায়নি। পরে অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ গণমাধ্যমকে জানান, তার বিষয়টি তিনি খতিয়ে দেখছেন। তবে সরকারের খতিয়ে দেখার আগেই মাশরুর রিয়াজ নিজে থেকেই বিএসইসি চেয়ারম্যান পদে যোগ না দেয়ার কথা জানিয়েছেন অর্থ মন্ত্রণালয়কে।
ড. এম মাশরুর রিয়াজ বাংলাদেশের একজন অর্থনীতিবিদ। তিনি পলিসি এক্সচেঞ্জ নামক একটি গবেষণা সংস্থার চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। এর আগে তিনি বিশ্বব্যাংকেও চাকরি করেছেন।
বিএসইসি চেয়ারম্যান পদে যোগ না দেয়ার বিষয়ে তিনি বলেন, ‘সরকার পরিবর্তনের প্রেক্ষাপটে সামনে বহু গবেষণার কাজ করার সুযোগ রয়েছে। আমি এই সময়টাকে কাজে লাগাতে চাই। দেশের অর্থনীতি নিয়ে একজন অর্থনীতিবিদ হিসেবে ভূমিকা রাখতে চাই।
‘বিশেষ করে সামষ্ট্রিক অর্থনীতি, বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও আর্থিক খাত নিয়ে নীতি প্রণয়ন ও সংস্কার বাস্তবায়নে ভূমিকা পালনের সুযোগ রয়েছে। এসব বিবেচনায় আমি বিএসইসির চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’
এর আগে একটি ছবিকে কেন্দ্র করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে মাশরুর রিয়াজকে আগের সরকারের ঘনিষ্ঠজন হিসেবে তুলে ধরেন অনেকে। এরপর বিএসইসির কিছু কর্মকর্তাও তাকে নিয়ে আপত্তি তোলে। তবে এরপর আবার তারা তাদের আপত্তি তুলে নেয়। এসব কারণে যোগদানে অনিচ্ছুক কিনা- এমন প্রশ্ন এড়িয়ে যান মাশরুর রিয়াজ।
এদিকে মাশরুর রিয়াজ যোগ দেবেন না জানতে পেরে নতুন করে বিএসইসির চেয়ারম্যান খুঁজতে শুরু করেছে অর্থ মন্ত্রণালয়। ইতোমধ্যে অনেকের বিষয়ে তথ্য সংগ্রহ শুরু হয়েছে বলেও জানা গেছে।
আরও পড়ুন:আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পরদিন থেকে টানা তিনদিন ব্যাপক উত্থান হয় দেশের দুই পুঁজিবাজারে। প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ-ডিএসইতে গত সপ্তাহের শেষ তিনদিনে সাধারণ সূচক বেড়েছে প্রায় ৭ শ’ পয়েন্ট। পাশাপাশি লেনদেনেও বেশ গতি দেখা গিয়েছিলো সেই কয়েক দিনে।
চলতি সপ্তাহের শুরুতেও বাজারে ছিলো তেজিভাব। রোববার প্রথম কর্মদিবসে লেনদেন ছাড়িয়ে যায় দুই হাজার কোটি টাকার ঘর। এদিনও ডিএসইর প্রধান সূচক বাড়ে প্রায় ৯০ পয়েন্ট। টানা চারদিন উড়তে থাকা পুঁজিবাজার ধাক্কা খায় সোমবার এসে। সেদিন সকালে সূচকের উত্থান হলেও বেলা বাড়ার সাথে সাথে বিক্রির চাপে কমতে থাকে মূল্যসূচক। সোমবারের ধারা অব্যাহত ছিলো মঙ্গলবারেও।
এদিন সকাল থেকেই কমতে থাকে ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স। দুপুরে কিছুটা উত্থান হলেও দিনশেষে সূচকটি ৬৪ পয়েন্ট কমে অবস্থান নিয়েছে ৫ হাজার ৮ শ ৬৭ পয়েন্টে। এ নিয়ে টানা দুই দিনে সূচকটি কমেছে ১৪৭ পয়েন্ট।
ডিএসইতে এদিন মোট লেনদেন হয়েছে ১ হাজার ১৫ কোটি টাকার শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ডের ইউনিট, যা তার আগের দিনের চেয়ে প্রায় ১ শ ২৮ কোটি টাকা কম। প্রধান সূচকের পাশাপাশি এদিন কমেছে অপর দুই সূচক ডিএস-৩০ ও ডিএসইএস।
লেনদেনে অংশ নেয়া বেশিরভাগ কোম্পানির দরপতন হয়েছে এদিন। ১০৬ টি প্রতিষ্ঠানের দর বাড়ার বিপরীতে কমেছে ২৬৯ টির আর অপরিবর্তিত দেখা গেছে ২৪ টি কে।
পুঁজিবাজারের মঙ্গলবারের আচরণকে স্বাভাবিক দর সংশোধন বলে মনে করছেন সাধারণ বিনিয়োগকারিরা। অনেকেই গত কয়েকদিনে দর বাড়তে দেখে মুনাফার জন্য হাতে থাকা শেয়ার বিক্রি করেছেন বলেও জানিয়েছেন।
জাহিদ হোসেন নামে পুঁজিবাজারের এক বিনিয়োগকারী বলেন, ‘স্বাভাবিক নিয়মেই বাজার সংশোধন হয়েছে। এখানে ভয় পাওয়ার কারণ নাই। ৮০০ সূচক বাড়ার পর দুইশ কমবে এটাই স্বাভাবিক, বরং না কমলেই বুঝতাম ব্যাপারটা অস্বাভাবিক।’
আরেক বিনিয়োগকারী ইন্দ্রজিৎ বলেন, ‘অনেকদিন ধরে কোন শেয়ার বিক্রি করি না লোকসান ছিলো বলে। এখন দেখলাম কিছুটা হলেও লোকসান কমে এসেছে। আবার টাকারও দরকার ছিলো। তাই কিছু শেয়ার আজকে বিক্রি করলাম।’
আরও পড়ুন:পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) চেয়ারম্যান হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন খ্যাতনামা অর্থনীতিবিদ এম মাশরুর রিয়াজ।
আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) সাবেক এই কর্মকর্তা বর্তমানে গবেষণা প্রতিষ্ঠান পলিসি এক্সচেঞ্জের চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।
আজ মঙ্গলবার অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ থেকে এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, ‘ড. এম মাশরুর রিয়াজকে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন আইন ১৯৯৩ এর ধারা ৫ ও ৬ বিধান প্রতিপালন ও উক্ত আইনের ধারা ৫(২) অনুসারে তাকে আগামী চার বছরের জন্য বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের চেয়ারম্যান হিসেবে নিয়োগ দেয়া হলো।’
আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর পদত্যাগের হিড়িক পড়েছে দেশের আর্থিক খাতে। বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরের পর পদত্যাগ করেছেন পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন-বিএসইসির চেয়ারম্যান অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলাম। শনিবার তিনি আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সচিবের কাছে ই-মেইলে তার পদত্যাগপত্র পাঠান।
চেয়ারম্যান পদ শূন্য হওয়ায় বর্তমান কমিশনার মোহাম্মদ মোহসীন চৌধুরীকে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয়েছে। রোববার রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের উপ-সচিব ফরিদা ইয়াসমিন স্বাক্ষরিত এই আদেশ জারি করা হয়েছে।
আদেশে বলা হয়েছে, পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত কমিশনার মোহাম্মদ মোহসীন চৌধুরী বিএসইসির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান হিসেবে রুটিন দায়িত্ব পালন করবেন। জনস্বার্থে জারিকৃত এ আদেশ অবিলম্বে কার্যকর করা হবে। বিএসইসির চেয়ারম্যান অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলামের পদত্যাগপত্র দাখিলের তারিখ অর্থাৎ ১০ আগস্ট থেকে এই আদেশ কার্যকর হবে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাণিজ্য অনুষদের সাবেক ডিন অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলাম করোনা মহামারির শুরুতে অর্থাৎ ২০২০ সালে বিএসইসির চেয়ারম্যান হিসেবে নিয়োগ পান। করোনার ছোবলে ভঙ্গুর এক পুঁজিবাজারে সাময়িক গতি ফেরাতে প্রথম দিকে বেশকিছু ইতিবাচক সিদ্ধান্ত নেন তিনি। তবে দুর্বল শেয়ার যোগসাজশে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত করার অভিযোগ ছিল তার বিরুদ্ধে। পুঁজিবাজারে কয়েকটি কারসাজি চক্রকে ইন্ধন দেয়ার অভিযোগও রয়েছে তার বিরুদ্ধে। ২০২৪ সালের ২৮ মে সংশ্লিষ্ট কয়েকটি পক্ষের আপত্তি থাকার পরও চেয়ারম্যান হিসেবে পুনরায় নিয়োগ পান তিনি।
দেশের পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে যেন প্রাণ ফিরে পেয়েছে পুঁজিবাজার। ফলে দীর্ঘ মন্দা কাটিয়ে বর্তমান পুঁজিবাজার বাধাহীন গতিতে ছুটে চলছে। এরই ধারাবাহিকতায় দেশের উভয় পুঁজিবাজারে বিদায়ী সপ্তাহে (৫ থেকে ৮ আগস্ট) সূচকের রেকর্ড উত্থানে লেনদেন হয়েছে।
একইসঙ্গে উভয় স্টক এক্সচেঞ্জে বাজার মূলধন বেড়েছে ৯০ হাজার ৯৩২ কোটি ৫ টাকা। তবে আলোচ্য সময়ে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) টাকার পরিমাণে লেনদেন বাড়লেও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) কমেছে।
ডিএসইর সাপ্তাহিক বাজার পর্যালোচনায় এ তথ্য জানা গেছে।
বিদায়ী সপ্তাহে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) লেনদেন হয়েছে ৩ হাজার ৩৩৯ কোটি ৮৬ লাখ টাকা। আর বিদায়ী সপ্তাহের আগের সপ্তাহে লেনদেন হয়েছিল ২ হাজার ৩৯৪ কোটি ৬০ লাখ টাকার। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে ডিএসইতে লেনদেন বেড়েছে ৯৪৫ কোটি ২৫ লাখ টাকা।
বিদায়ী সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে বাজার মূলধন দাঁড়িয়েছে ৭ লাখ ৩ হাজার ৯১৩ কোটি ৮ লাখ টাকা। আর বিদায়ী সপ্তাহের আগের সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে ডিএসইর বাজার মূলধন ছিল ৬ লাখ ৫৩ হাজার ৩৬৮ কোটি ১০ লাখ টাকা। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে বাজার মূলধন বেড়েছে ৫০ হাজার ৫৪৫ কোটি ২ লাখ টাকা।
সপ্তাহের ব্যবধানে ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ৫৯০.৮৭ পয়েন্ট বা ১১.০৮ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫ হাজার ৯২৪ পয়েন্টে। অপর সূচকগুলোর মধ্যে ডিএসই-৩০ সূচক ২৩১.৮৮ পয়েন্ট বা ১২.২০ শতাংশ বেড়ে ২ হাজার ১৩২ পয়েন্টে, ডিএসই শরিয়াহ সূচক ১০৯.৫৩ পয়েন্ট বা ৯.৪০ শতাংশ বেড়ে ১ হাজার ২৭৪ পয়েন্টে এবং ডিএসএমইএক্স সূচক ৭৪.৪৭ পয়েন্ট বা ৪.৯০ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ৪৪৬ পয়েন্টে।
গত সপ্তাহে ডিএসইতে মোট ৩৯৭টি কোম্পানির শেয়ার ও ইউনিটের লেনদেন হয়েছে। কোম্পানিগুলোর মধ্যে দর বেড়েছে ৩৩৯টির, দর কমেছে ১১টির ও দর অপরিবর্তিত রয়েছে ৪৭টির। আর লেনদেন হয়নি ১৬টির।
অন্য পুঁজিবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) বিদায়ী সপ্তাহে লেনদেন হয়েছে ২৬০ কোটি ৪৭ লাখ টাকা। আর বিদায়ী সপ্তাহের আগের সপ্তাহে লেনদেন হয়েছিল ৩৯৬ কোটি ৯৬ লাখ টাকা। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে সিএসইতে লেনদেন কমেছে ১৩ কোটি ৬৪ লাখ টাকা।
গেল সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে বাজার মূলধন দাঁড়িয়েছে ৭ লাখ ২৭ হাজার ২৫২ কোটি ২৬ লাখ টাকা। আর বিদায়ী সপ্তাহের আগের সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে সিএসইর বাজার মূলধন ছিল ৬ লাখ ৮৬ হাজার ৮৩৮ কোটি ২৩ লাখ টাকা। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে বাজার মূলধন বেড়েছে ৪০ হাজার ৩৮৭ কোটি ৩ লাখ টাকা কমেছে।
সপ্তাহটিতে সিএসইর সার্বিক সূচক সিএএসপিআই ১ হাজার ৬৮০.৫২ পয়েন্ট বা ১১.১১ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৬ হাজার ৭৯৯ পয়েন্টে। সিএসইর অন্য সূচকগুলোর মধ্যে সিএসই-৩০ সূচক ১২.১৩ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৩ হাজার ৩৬৯ পয়েন্টে, সিএসসিএক্স ১১.১৭ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১০ হাজার ১৩২ পয়েন্টে, সিএসআই সূচক ৮.৫০ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ৬৬ পয়েন্টে এবং এসইএসএমইএক্স ২.১৩ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩ হাজার ১১৪ পয়েন্টে।
গত সপ্তাহে সিএসইতে মোট ৩২৩টি কোম্পানির শেয়ার ও ইউনিট লেনদেনে অংশ নিয়েছে। কোম্পানিগুলোর মধ্যে দর বেড়েছে ২৫৬টির, দর কমেছে ৫৮টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৯টির শেয়ার ও ইউনিট দর।
আরও পড়ুন:
মন্তব্য