একটি দেশের অর্থনীতির হালচাল কেমন, তা বোঝা বা জানার জন্য দেশটির মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) প্রবৃদ্ধির দিকে তাকালেই পরিষ্কার একটা ধারণা পাওয়া যায়। কিন্তু বাংলাদেশের অর্থনীতির বাস্তব চিত্র এখন কেমন, তা বোঝার জন্য ফিরে যেতে হবে দুই বছর পেছনে ২০১৮-১৯ অর্থবছরে।
ওই বছরের পর জিডিপি প্রবৃদ্ধির চূড়ান্ত কোনো হিসাব প্রকাশ করেনি সরকার। এর মধ্যে দুটি অর্থবছর (২০১৯-২০ ও ২০২০-২১) শেষ হয়ে গেল। ২০১৯-২০ অর্থবছর শেষ হয়েছে এক বছর আগে। ২০২০-২১ অর্থবছর শেষ হবে চার দিন পর ৩০ জুন। কিন্তু এই দুই বছরে অর্থনীতির সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ এই সূচকটি নিয়ে ধোঁয়াশা রয়েই গেল।
গত ১১ জুন ২০২১-২২ অর্থবছরের বাজেট বক্তৃতায় অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেন, ২০১৯-২০ অর্থবছরে ৫ দশমিক ২ শতাংশ জিডিপি প্রবৃদ্ধি অর্জিত হয়েছে দেশে। গত বছরের ১০ আগস্ট আট মাসের (জুলাই-ফেব্রুয়ারি) তথ্য হিসাব করে বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস) এই তথ্যই প্রকাশ করেছিল। বৃহস্পতিবার পর্যন্ত ২০১৯-২০ অর্থবছরে জিডিপির চূড়ান্ত হিসাব প্রকাশ করেনি বিবিএস।
বিবিএসের মহাপরিচালক (ডিজি) তাজুল ইসলাম বলেছেন, ‘এখন পর্যন্ত জিডিপির চূড়ান্ত হিসাব প্রকাশ করা হয়নি। ২০২০-২১ অর্থবছরের সাময়িক হিসাবও প্রকাশ করা হয়নি।’
তাহলে প্রশ্ন হচ্ছে, অর্থমন্ত্রী বাজেট বক্তৃতায় ২০১৯-২০ অর্থবছরের ৫ দশমিক ২ শতাংশ জিডিপি প্রবৃদ্ধি অর্জনের যে ঘোষণা দিয়েছেন, সে তথ্য তিনি কোথায় পেয়েছেন।
অর্থমন্ত্রীর বাজেট বক্তৃতার শেষের দিকে ১৬৩ পৃষ্ঠায় সারণি-৩ এ ‘এক দশকে অর্জন’ শীর্ষক যে হিসাব দেওয়া হয়েছে, তাতে অবশ্য ২০১৯-২০ অর্থবছরে ৫ দশমিক ২ শতাংশ জিডিপি প্রবৃদ্ধি অর্জনের যে তথ্য আছে, তা সাময়িক তথ্য হিসাবে উল্লেখ করা হয়েছে।
ওই সারণিতে ২০২০-২১ অর্থবছরে জিডিপি প্রবৃদ্ধির লক্ষ্য ৮ দশমিক ২ শতাংশ থেকে কমিয়ে সংশোধন করে ৬ দশমিক ১ শতাংশে নামিয়ে আনার তথ্য দেয়া হয়েছে। শেষ হয়ে গেলেও বিদায়ী অর্থবছরের জিডিপি নিয়ে এখন পর্যন্ত সাময়িক বা প্রাথমিক কোনো হিসাবই প্রকাশ করেনি বিবিএস।
বাজেট বক্তৃতায় অর্থমন্ত্রী বলেছেন, ‘বিগত এক দশকে বাংলাদেশের উচ্চ জিডিপি প্রবৃদ্ধি অর্জন কোভিড মহামারির প্রভাবে সাময়িক বাধাগ্রস্ত হয়েছে। ২০১৮-১৯ অর্থবছরে রেকর্ড ৮ দশমিক ১৫ শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জন হলেও ২০১৯-২০ অর্থবছরে করোনাভাইরাস মহামারির কারণে তা হ্রাস পেয়ে ৫ দশমিক ২ শতাংশে দাঁড়ায়।
‘তবে ২০২০-২১ অর্থবছরে কোভিড-১৯ এর প্রভাব হতে অর্থনীতি পুনরুদ্ধার হবে ধরে নিয়ে বিদায়ী অর্থবছরের বাজেটে জিডিপি প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল ৮ দশমিক ২ শতাংশ। কিন্তু মহামারির প্রভাব দীর্ঘতর হওয়া, বাংলাদেশসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউ এবং পুনরায় লকডাউন ঘোষণার কারণে অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডে শ্লথ অবস্থা বিরাজমান এবং রপ্তানি ও আমদানির ক্ষেত্রে কাঙ্ক্ষিত গতি ফিরে আসেনি।
‘তবে প্রবাসী আয়ে গতিশীলতা এবং অর্থনীতি পুনরুদ্ধারে বিশেষ প্রণোদনা প্যাকেজ বাস্তবায়নকে হিসাবে ধরে বিদায়ী অর্থবছরের জিডিপি প্রবৃদ্ধির প্রাক্কলন সংশোধন করে ৬ দশমিক ১ শতাংশ নির্ধারণ করা হয়েছে।
‘পাশাপাশি কোভিড পরবর্তী উত্তরণের বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনার সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে আগামী ২০২১-২২ অর্থবছরে প্রবৃদ্ধির হার ৭ দশমিক ২ শতাংশ নির্ধারণ করা হয়েছে।’
সরকারিভাবে দাবি করা হচ্ছে, মাথাপিছু আয় বেড়ে ২ হাজার ২২৭ ডলার হয়ে ভারতকে পেছনে ফেলেছে বাংলাদেশ। কিন্তু এই দুই বছরে বাংলাদেশের জিডিপির হিসাব চূড়ান্ত করতে পারেনি বিবিএস। ফলে প্রায় দেড় বছর ধরে করোনাভাইরাস মহামারি দেশের অর্থনীতিতে কী ধরনের প্রভাব ফেলেছে – তার প্রকৃত চিত্র পাওয়া যাচ্ছে না।
বাংলাদেশে এর আগে কখনই এমনটি হয়নি। সাধারণত, প্রতি বছর এপ্রিল-মে মাসের দিকে ওই অর্থবছরের আট-নয় মাসের তথ্য-উপাত্তের ভিত্তিতে জিডিপির একটি সাময়িক হিসাব তৈরি করে থাকে বিবিএস। পরে সেপ্টেম্বর-অক্টোবর মাসের দিকে পুরো অর্থবছরের তথ্য-উপাত্ত হাতে পেয়ে জিডিপির চূড়ান্ত হিসাব করা হয়। কিন্তু গত অর্থবছরের জিডিপি গণনায় দুটির কোনোটিই করা হয়নি।
২০১৯-২০ অর্থবছর শেষ হওয়ার দেড় মাসের মাথায় গত আগস্ট মাসে একটি সাময়িক হিসাব দিয়ে বিবিএস বলেছিল, ৫ দশমিক ২৪ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হয়েছে, যা নিয়ে তখনই প্রশ্ন তোলেন অর্থনীতিবিদেরা।
ওই সময়ের মধ্যে রাজস্ব, রপ্তানি ও প্রবাসী আয় এবং আমদানি ব্যয়সহ অর্থনীতির প্রায় সব খাতের পুরো অর্থবছরের (জুলাই-জুন) তথ্য-উপাত্ত চূড়ান্ত হয়ে যাওয়ার কথা। কিন্তু বিবিএস আট-নয় মাসের তথ্য-উপাত্ত দিয়েই সাময়িক হিসাব প্রকাশ করে। তাতে করোনার প্রভাব ধরা হয়নি।
এদিকে চলতি ২০২০–২১ অর্থবছর শেষ হতে আর সপ্তাহখানেকও বাকি নেই; অথচ বিবিএস এখনও ২০১৯-২০ অর্থবছরের জিডিপির চূড়ান্ত হিসাবই তৈরি করতে পারেনি। অন্যান্যবার এই সময়ের আগেই চলমান অর্থবছরের জিডিপির সাময়িক হিসাব প্রকাশ করা হয়। কিন্তু এবার সেই কাজ শুরু করা যাচ্ছে না আগের বছরের জিডিপির চূড়ান্ত হিসাব না থাকায়।
গত ১৭ মে মন্ত্রিসভার বৈঠকে অনানুষ্ঠানিক এক বক্তব্যে পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান জানান, দেশে মাথাপিছু আয় বেড়ে ২ হাজার ২২৭ মার্কিন ডলার হয়েছে।
বৈঠক শেষে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম সংবাদ সম্মেলনে বলেন, মন্ত্রিসভার বৈঠকে পরিকল্পনামন্ত্রী মাথাপিছু আয়ের এ তথ্য দিয়েছেন।
এতদিন মাথাপিছু আয় ছিল ২ হাজার ৬৪ মার্কিন ডলার। সে হিসাবে মাথাপিছু আয় বেড়েছে ১৬৩ ডলার।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, মাথাপিছু আয়ের পাশাপাশি মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) পরিমাণও বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩০ লাখ ৮৭ হাজার ৩০০ কোটি টাকা, আগে যা ছিল ২৭ লাখ ৯৬ হাজার ৩২৮ কোটি টাকা।
পরের দিন ১৮ মে সাংবাদিকরা পরিকল্পনামন্ত্রীর কাছে জিডিপির বিষয়ে বিস্তারিত জানতে চাইলে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, বিবিএস তাকে এই তথ্যই দিয়েছে। এর বাইরে তার কাছে কোনো তথ্য নেই।
এ বিষয়ে বিবিএসের মহাপরিচালক (ডিজি) তাজুল ইসলামের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি নিউজবাংলাকে বলেন, ২০১৯-২০ অর্থবছরের জিডিপির চূড়ান্ত হিসাব এখনও হয়নি। বিদায়ী ২০২০-২১ অর্থবছরের সাময়িক হিসাবও হয়নি।
২০১৯-২০ অর্থবছরের জিডিপির চূড়ান্ত হিসাব কবে প্রকাশ করা হবে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘নতুন কিছুই হয়নি। আগে যেটা ছিল, মন্ত্রী মহোদয় যেটা বলেছিলেন, সেটাই আছে। নতুন কিছু হলে মাননীয় মন্ত্রী অবশ্যই জানাবেন।’
জিডিপি প্রবৃদ্ধির হিসাব প্রকাশ না করায় উষ্মা প্রকাশ করেছেন অর্থনীতির গবেষক পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউটের (পিআরআই) নির্বাহী পরিচালক আহসান এইচ মনসুর।
নিউজবাংলাকে তিনি বলেন, ‘এভাবে হিসাব প্রকাশ না করে সরকার কী মজা পাচ্ছে, আমার মাথায় ঢুকছে না। মহামারির এই কঠিন সময়ে যেটাই অর্জিত হোক না কেন, সেটা প্রকাশ না করে গড়িমসি করায় আরও নানান প্রশ্নের জন্ম দিচ্ছে।
‘বিবিএসের জিডিপির তথ্য নিয়ে সব সময়েই প্রশ্ন ওঠে। এবার প্রকাশ না করে তারা সে সব প্রশ্নকে আরও উসকে দিচ্ছে। আমি ব্যক্তিগতভাবে মনে করি, মহামারির এই সঙ্কটকালে কোনো অবস্থাতেই ২০১৯-২০ অর্থবছরে ৫ দশমিক ২৪ শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জন সম্ভব নয়। বিদায়ী ২০২০-২১ অর্থবছরেও ৩/৪ শতাংশের বেশি প্রবৃদ্ধি সম্ভব নয়।
‘আমরা সবাই জানি, একটি কঠিন সময় পার করছি আমরা। এই সময়ে প্রবৃদ্ধি ধরে রাখাইটাই যথেষ্ঠ; ১/২ শতাংশও যদি প্রবৃদ্ধি হয়, সেটাও ভালো। প্রকাশ করতে সমস্যা কোথায়, সেটাই আমি বুঝছি না।’
তিনি বলেন, জিডিপি প্রবৃদ্ধির প্রকৃত হিসাব না পাওয়া গেলে অর্থনীতির গতিপ্রকৃতি বোঝা যায় না। পরিকল্পনা গ্রহণেও সমস্যা হয়।
২০১৯-২০ অর্থবছরের সাময়িক হিসাব নিয়ে প্রশ্ন
সাধারণত সাময়িক হিসাবে একটি খাতের আট-নয় মাসের প্রকৃত তথ্য-উপাত্তকে প্রবণতা হিসেবে ধরে পুরো বছরের চিত্র দেখানো হয়। কিন্তু গত ২০১৯-২০ অর্থবছরের সাময়িক প্রবৃদ্ধির হিসাবে কিছু খাত নিয়ে প্রশ্ন আছে। যেমন গত বছরের মার্চ মাসের মাঝামাঝি সময় থেকে বাংলাদেশে করোনার প্রকোপ শুরু হয়। এরপর এপ্রিল ও মে মাস বাস, ট্রাক, ট্রেন, ট্রলার, লঞ্চ, ব্যক্তিগত গাড়িসহ সব ধরনের যান চলাচল প্রায় বন্ধ ছিল। আকাশে ডানা মেলেনি বিমান।
অর্থবছরের ৪ ভাগের ১ ভাগ সময় পরিবহন চলাচল বন্ধ থাকলেও পরিবহন খাত সব মিলিয়ে অর্থনীতিতে ৫ হাজার ৮৮ কোটি টাকার অবদান রেখেছে বলা হয়।
করোনা শুরুর কয়েক মাস কক্সবাজারসহ দেশের পর্যটন স্পটগুলো প্রায় পর্যটকশূন্য ছিল। করোনার কারণে প্রথম তিন মাস পর্যটন এলাকার সব হোটেল-মোটেল-রেস্তোরাঁ বন্ধ ছিল। অথচ বিবিএসের হিসাবে বলা হয়, অর্থবছর শেষে জিডিপিতে হোটেল-রেস্তোরাঁর অবদান ৫০৯ কোটি টাকা বেড়েছে।
জিডিপিতে নির্মাণ খাতের অবদান প্রায় ৮ শতাংশ। গত ২০১৯-২০ অর্থবছরে এই খাতের অবদান ৮৮ হাজার ৪৯১ কোটি টাকা। নির্মাণ খাতের সিংহভাগ অবদান আসে বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি (এডিপি) বাস্তবায়নের মাধ্যমে। গত অর্থবছরে এডিপির টাকা খরচ আগেরবারের চেয়ে ৫ হাজার ৩২৯ কোটি টাকা কমেছে। কিন্তু বিবিএস বলছে, ওই অর্থবছরে জিডিপিতে নির্মাণ খাতে মূল্য সংযোজন বেড়েছে ৭ হাজার ৩৫৩ কোটি টাকা।
করোনাকালে ফ্ল্যাট বিক্রি তেমন একটা হয়নি। কিন্তু বিবিএস বলছে, আবাসন খাতের অবদানও ৩ হাজার কোটি টাকার বেশি বেড়েছে।
আরও পড়ুন:গাইবান্ধার পলাশবাড়ীতে সম্পত্তির লোভে মারধর করে আপন ভাতিজিকে হত্যার অভিযোগ উঠেছে এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে।
উপজেলার মনোহরপুর ইউনিয়নের কুমুদপুর গ্রামে বুধবার দুপুরে এ ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নারীসহ তিনজনকে আট করেছে পলাশবাড়ী থানা পুলিশ।
প্রাণ হারানো তরুণীর নাম শারমিন আক্তার (২২), যিনি প্রয়াত শুক্কুর উদ্দিনের মেয়ে। বিয়ে বিচ্ছেদের পর শারমিন বাবার বাড়িতেই থাকতেন।
শারমিনের অভিযুক্ত চাচার নাম আবদুল খালেক।
তরুণীর পরিবার, স্থানীয় লোকজন ও পুলিশ জানায়, প্রায় এক বছর আগে পিতৃহারা শারমিনকে কৌশলে বিয়ে দেন তার চাচারা। বিয়ের পর তালাক হলে সমঝোতায় দেনমোহরের টাকা শারমিনকে না দিয়ে আত্মসাৎ করেন তার বড় চাচা আবদুল খালেক। সেই টাকা ও শারমিনের নামে থাকা জমি নিয়ে তাদের মধ্যে মনোমালিন্য চলছিল।
তারা আরও জানান, সম্পত্তি নিয়ে বুধবার বেলা ১১টার দিকে শারমিনের সঙ্গে তার চাচাদের বিরোধ বাধে। ওই সময় অভিযুক্তদের মারধরে গুরুতর আহত হন শারমিন। পরে আহত শারমিনকে অভিযুক্তরাই উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য গাইবান্ধার জেনারেল হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক তাকে মৃত বলে জানান।
শারমিনের দুলাভাই রুহুল আমিন বলেন, ‘শারমিন ও শাম্মী আপন দুই বোন। আমার শ্বশুর (শারমিনের বাবা) মারা গেছেন। বাবা মারা যাওয়ার পর শারমিন আমার বাড়িতেই থাকত। পরে শারমিনের বাবলু নামের এক ফুফা ও তার জ্যাঠারা মিলে কৌশলে শারমিনকে আমার বাড়ি থেকে নিয়ে এসে বিয়ে দেন।
‘বিয়ের তিন-চার মাস পরই তালাক হয় শারমিনের। তখন থেকেই শারমিন আমার শাশুড়ির সাথে তার বাবার বাড়িতেই থাকত।’
শারমিনের মা এবং এ তরুণীর দুলাভাই রুহুল আমিনের অভিযোগ, শাম্মী ও শারমিনের নামে ৩২ শতাংশ জমি আছে। সেই জমি নেয়ার লোভে ক্ষিপ্ত হয়ে বিভিন্ন সময়ে ঝগড়া-বিবাদ, গালিগালাজসহ শারমিনকে মারধর করতেন তার চাচা আবদুল খালেক। এরই ধারাবাহিকতায় বুধবার শারমিনের কাছে জমি চেয়ে মারধর শুরু করেন তিনি। পরে আবদুল খালেকের ভাই আবদুল বারী, ভাতিজা রহমান ও ছকু নামের একজন মারধর করতে থাকেন। ওই সময় তাদের মারধরে শারমিন ঘটনাস্থলেই মারা যান।
মোবাইল ফোনে নিউজবাংলাকে ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে পলাশবাড়ী থানার ওসি কেএম আজমিরুজ্জামান বলেন, ‘মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য গাইবান্ধা জেনারেল হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে। এ ঘটনায় নারীসহ তিনজনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছে।
‘নিহতের পরিবারের পক্ষ থেকে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে। মামলা হলে তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।’
ওই সময় এক প্রশ্নের জবাবে ওসি বলেন, ‘প্রাথমিক সুরতহালে নিহতের শরীরে কোনো আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়নি। এ ছাড়া গলাতে কোনো দাগ চোখে পড়েনি, তবে শ্বাসরোধের বিষয়টি ক্লিনিক্যালি পরীক্ষা-নিরীক্ষা ছাড়া নিশ্চিত বলা যাচ্ছে না।’
আরও পড়ুন:দেশজুড়ে চলমান দাবদাহ আরও ৭২ ঘণ্টা অব্যাহত থাকতে পারে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর।
রাষ্ট্রীয় সংস্থাটির আবহাওয়াবিদ শাহীনুল ইসলাম বৃহস্পতিবার তাপপ্রবাহের সতর্কবার্তায় এ তথ্য জানিয়েছেন।
সতর্কবার্তায় বলা হয়, ‘দেশের ওপর চলমান তাপপ্রবাহ আজ (২৫ এপ্রিল, ২০২৪) হতে পরবর্তী ৭২ ঘণ্টা অব্যাহত থাকতে পারে।’
৭২ ঘণ্টার পূর্বাভাস
আবহাওয়া অধিদপ্তর বৃহস্পতিবার সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ৭২ ঘণ্টার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে তাপপ্রবাহ বা দাবদাহ নিয়ে জানায়, খুলনা বিভাগসহ দিনাজপুর, নীলফামারী, রাজশাহী, পাবনা, ফরিদপুর ও গোপালগঞ্জ জেলার ওপর দিয়ে তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। ময়মনসিংহ, মৌলভীবাজার, রাঙ্গামাটি, চাঁদপুর, নোয়াখালী, ফেনী ও বান্দরবান জেলাসহ বরিশাল বিভাগ এবং রংপুর, রাজশাহী ও ঢাকা বিভাগের অবশিষ্টাংশের ওপর দিয়ে মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের দাবদাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা অব্যাহত থাকতে পারে।
তাপমাত্রার বিষয়ে পূর্বাভাসে বলা হয়, সারা দেশে দিন ও রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। জলীয় বাষ্পের আধিক্যের কারণে অস্বস্তিভাব বিরাজমান থাকতে পারে।
আরও পড়ুন:সশস্ত্র বিদ্রোহীদের সঙ্গে যুদ্ধের মধ্যে পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়া মিয়ানমারের সেনা ও সীমান্তরক্ষী বাহিনীর ২৮৮ জন সদস্যকে ফেরত পাঠানো হয়েছে।
বৃহস্পতিবার সকাল ৭টার দিকে কক্সবাজার শহরের নুনিয়াছড়া বিআইডব্লিটিএ জেটি ঘাট থেকে কঠোর নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে তাদের টাগবোটে তুলে দেয়া হয়।
কক্সবাজারের অতিরিক্ত জেলা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. ইয়ামিন হোসেন জানান, গভীর সাগরে নিয়ে যাওয়ার পর সেখানে অপেক্ষায় থাকা মিয়ানমার নৌবাহিনীর জাহাজ চিন ডুইনে তাদের তুলে দেয়া হবে।
বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়া সেনা ও সীমান্তরক্ষীদের ফেরত নিতে মিয়ানমারের ওই জাহাজ বুধবারই বাংলাদেশের জলসীমায় পৌঁছায়। ওই জাহাজে করেই ১৭৩ জন বাংলাদেশি ফিরে এসেছেন। যারা বিভিন্নভাবে মিয়ানমারে আটকা পড়েছিলেন বা সাজা পেয়ে জেলখানায় ছিলেন।
মিয়ানমার নৌবাহিনীর ওই জাহাজে করে দেশটির ৫ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দলও বুধবার দুপুরে কক্সবাজার পৌঁছায়। পরে তারা বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি ১১ ব্যাটালিয়নে বিজিবি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে যান। সেখানে পৌঁছানোর পর তারা মিয়ানমারের বিজিপি ও সেনা সদস্যদের যাচাই-বাছাইসহ অন্যান্য আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করা হয়।
বিজিবি ও প্রশাসনের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, বৃহস্পতিবার ভোর সাড়ে ৪টার দিকে ১১টি বাসে করে মিয়ানমারের বিজিপি ও সেনা সদস্যদের কক্সবাজার শহরের বিআইডব্লিউটিএ জেটি ঘাটে নিয়ে আসা হয়।
সেখানে আনার পর ইমিগ্রেশন ও ডকুমেন্টেশনের আনুষ্ঠানিকতা সেরে শুরু হয় হস্তান্তর প্রক্রিয়া। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, বিজিবি, জেলা প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসন, জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ ও কোস্ট গার্ডের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা বাংলাদেশশে মিয়ানমারের রাষ্ট্রদূতসহ দেশটির প্রতিনিধি দলের কাছে তাদের হস্তান্তর করেন।
এরপর সকাল ৭টার দিকে মিয়ানমারের সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যদের কর্ণফুলি টাগবোটে তুলে দেয়া হয়। কোস্ট গার্ডের একটি ট্রলার টাগবোটটিকে পাহারা দিয়ে গভীর সাগরে নিয়ে যায়।
দীর্ঘদিন ধরে মিয়ানমারে সেনাবাহিনী ও বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলোর মধ্যে সংঘর্ষ চলছে, যার আঁচ লেগেছে বাংলাদেশের সীমান্ত এলাকাতেও। সীমান্তের ওপারের মর্টার শেল ও গুলি এসে এপারে হতাহতের ঘটনাও ঘটেছে।
ওই সংঘাতের মধ্যে পালিয়ে আসা মিয়ানমারের সীমান্তরক্ষী ও সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যসহ ৩৩০ জনকে প্রথম দফায় গত ১৬ ফেব্রুয়ারি ফেরত পাঠিয়েছিল সরকার।
তাদের মধ্যে মিয়ানমারের বর্ডার গার্ড পুলিশ-বিজিপি ৩০২ জন, তাদের পরিবারের চার সদস্য, দুজন সেনা সদস্য, ১৮ জন ইমিগ্রেশন সদস্য এবং চারজন বেসামরিক নাগরিক ছিলেন।
এরপর বান্দরবান ও কক্সবাজার সীমান্ত নিয়ে কয়েক দফায় আরো ২৮৮ জন সীমান্তরক্ষী ও সেনা সদস্য এসে বাংলাদেশে আশ্রয় নেন। এবার তাদের ফেরত পাঠানো হলো।
রাঙ্গামাটির বাঘাইছড়ি থানাধীন সাজেকে শ্রমিকবাহী ডাম্প ট্রাক খাদে পড়ে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৯ জনে দাঁড়িয়েছে।
বাঘাইছড়ি থানার সহকারী পুলিশ সুপার আবদুল আওয়াল বুধবার রাতে বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
তিনি জানান, আহত শ্রমিকদের উদ্ধার করে খাগড়াছড়ি হাসপাতালে নেয়ার পর চিকিৎসক তিনজনকে মৃত বলে জানান।
এর আগে বিকেলে সাজেকের উদয়পুর সীমান্ত সড়কের ৯০ ডিগ্রি এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
পুলিশের ভাষ্য, খাগড়াছড়ি থেকে সাজেকের উদয়পুর সীমান্তবর্তী সড়ক নির্মাণের জন্য ডাম্প ট্রাকে ১৪ জন শ্রমিক জামান ইঞ্জিনিয়ারিং কোম্পানির সেতুর কাজে যাচ্ছিলেন। পথে গাড়িটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে পাহাড়ের ঢালে পড়ে যায়। এতে ঘটনাস্থলে ছয়জনের মৃত্যু হয়।
বাঘাইছড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শিরিন আক্তার সাংবাদিকদের জানান, যেখানে দুর্ঘটনাটি ঘটেছে, সেটি খুবই দুর্গম এলাকা। আহত শ্রমিকদের উদ্ধার করে খাগড়াছড়ি জেনারেল হাসপাতালে পাঠিয়েছে পুলিশ ও সেনাবাহিনী, তবে তাৎক্ষণিকভাবে কারও নাম-পরিচয় জানা যায়নি।
আরও পড়ুন:মিয়ানমারের অভ্যন্তরে বিচ্ছিন্নতাবাদী বিদ্রোহী সশস্ত্র গোষ্ঠীর সঙ্গে সংঘর্ষের প্রেক্ষাপটে পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়া ২৮৮ জন বিজিপি ও সেনা সদস্যকে ফেরত পাঠানো হচ্ছে।
বৃহস্পতিবার ভোর রাতে নাইক্ষ্যংছড়ি বিজিবি বর্ডার গার্ড সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় আশ্রয়কেন্দ্রে থেকে কক্সবজার ইনানী নৌবাহিনী জেটি ঘাটে নেয়া হয় তাদের। সেখানে মিয়ানমার কর্তৃপক্ষের কাছে তাদেরকে হস্তান্তর করা হবে বলে জানিয়েছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)।
গত ১১ মার্চ বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ির জামছড়ি ও আশারতলী সীমান্তে দিয়ে প্রথম দফায় ১৭৯ জন মিয়ানমারের বিজিপির সদস্য আশ্রয় নেন। পরে কয়েক দফায় ঘুমধুম, তুমর্রু ও কক্সবাজারের টেকনাফ সীমান্তে দিয়ে মোট ২৮৮ জন মিয়ারমারের সেনা ও বিজিপির সদস্য আশ্রয় নিয়েছেন বাংলাদেশে।
মিয়ানমার থেকে পালিয়ে আসা বিজিপি ও সেনা সদস্যদেরকে নাইক্ষ্যংছড়ি বর্ডার গার্ড সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে বিজিবির হেফাজতে রাখা হয়েছিল। তাদের সে দেশের নৌবাহিনীর জাহাজে করে মিয়ানমারে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছেন বিজিবি কর্মকর্তারা।
এর আগে গত ফেব্রুয়ারিতে বিদ্রোহীদের আক্রমণের মুখে বাংলাদেশে আশ্রয় নেয় মিয়ানমারের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর সদস্যসহ ৩৩০ জন। পরে ১৫ ফেব্রুয়ারি কক্সবাজার উখিয়ার ইনানী নৌ-বাহিনীর জেটিঘাট দিয়ে তাদের মিয়ানমারে পাঠানো হয়েছিল।
স্থানীয় সরকার নির্বাচন বর্জনের দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে প্রথম ধাপের উপজেলা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করায় ৬৪ নেতাকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়েছে বিএনপি। পৌরসভা ও ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে অংশ নেয়ায় ইতোমধ্যে পাঁচ নেতাকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।
বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয় সূত্রের উল্লেখ করে বার্তা সংস্থা ইউএনবি জানায়, নির্বাচনে অংশ নেয়া নেতাদের মধ্যে উপজেলা চেয়ারম্যান পদে ২৪ জন, ভাইস চেয়ারম্যান পদে ২১ জন ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ১৯ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
দলটির জ্যেষ্ঠ নেতারা বলছেন, কারণ দর্শানো নোটিশের সন্তোষজনক জবাব দিতে ব্যর্থ হওয়া নেতাদের প্রাথমিক সদস্যপদসহ দলের সব পদ থেকে বহিষ্কার করা হবে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বিএনপির একজন সহ-দপ্তর সম্পাদক জানান, মঙ্গলবার রাত পর্যন্ত বিএনপির ৬৪ জন নেতাকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেয়া হয়েছে।
এর আগে বর্তমান সরকার ও নির্বাচন কমিশনের অধীনে যেকোনো নির্বাচনে অংশ না নেয়ার সিদ্ধান্ত নেয় বিএনপির হাইকমান্ড।
এদিকে দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে আসন্ন পৌরসভা ও ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে অংশ নেয়ায় ইতোমধ্যে পাঁচ নেতাকে বহিষ্কার করেছে বিএনপি।
সংগঠনটির এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, পৌরসভা নির্বাচনে অংশ নেয়ায় নীলফামারীর জলঢাকা উপজেলা বিএনপির সভাপতি ফাহমিদ ফয়সল চৌধুরীকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।
এছাড়া দিনাজপুরের বিরল উপজেলার সহ-সভাপতি সাদেক আলী, উত্তর চট্টগ্রামের চিকনন্দী ইউনিয়নের সহকারী আহ্বায়ক রাশেদ আলী মাহমুদ, কক্সবাজার জেলা বিএনপি নেতা জহুরুল আলম ও কক্সবাজার জেলা মৎস্যজীবী দলের নেতা এম হান্নান মিয়াকে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে অংশ নেয়ায় বহিষ্কার করা হয়েছে।
আরও পড়ুন:মেহেরপুরে নকল মোড়ক বানিয়ে বিভিন্ন কোম্পানির ভেজাল মানহীন আইসক্রিম, রোবো, আইস ললি ও জুস বানানো কারখানায় অভিযান চালিয়েছে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর। এ সময় এসব নকল খাদ্যপণ্য তৈরি ও বিক্রি করার অপরাধে আইকন আইসক্রিম ফুড ও বেভারেজ কোম্পানির ম্যানেজার লিখন আহমেদকে ৫০ হাজার টাকা এবং জব্দকৃত মালামাল ধ্বংস করার পাশাপাশি কারখানিটি বন্ধ সাময়িক রাখার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
বুধবার দুপুরে জেলার গাংনী উপজেলার কাজিপুর ইউনিয়নের হাড়াভাঙ্গা মোল্লাপাড়ার আব্দুস সালামের বাড়িতে এই অভিযান চালানো হয়।
কোম্পানির মালিক আব্দুস সালাম পেশায় একজন সেনা সদস্য।
অভিযান পরিচালনা করেন জেলা ভোক্তা অধিকারের কর্মকর্তা সজল আহমেদ।
এসব তথ্য নিশ্চিত করে তিনি বলেন, ‘আমরা গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারি হাড়াভাঙ্গা গ্রামের মোল্লা পাড়ার সেনা সদস্য আব্দুস সালামের বাড়িতে বিভিন্ন কোম্পানির নকল মোড়ক বানিয়ে কেমিক্যাল দিয়ে তৈরি করা হচ্ছে, নকল আইস ললি, রোবো, জুস ও আইসক্রিমসহ শিশুখাদ্য যা দণ্ডনীয় অপরাধ।
‘আমরা এ ভেজাল কারখানায় অভিযান চালিয় নকল এসব পণ্য ও পণ্য তৈরিতে ব্যবহৃত কেমিক্যাল জব্দের পাশাপাশি প্রতিষ্ঠানটির ম্যানেজার লিখন আহমেদ আটক করে নগদ ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করাসহ জব্দকৃত মালামাল নষ্ট করার পাশাপাশি কারখানাটি বন্ধের নির্দেশ দেই।’
আইকন ফুড অ্যান্ড বেভারেজের ম্যানেজার লিখন আহমেদ বলেন, ‘আমার মহাজন সালাম মিলিটারি মাস ছয়েক হবে কারখানাটি চালু করেছেন। উনি ফোনের মাধ্যমে ব্যবসার দেখভাল করেন। আমরা এই কারখানায় আইস ললি, রোবো, জুস ও আইসক্রিম তৈরি করে কয়েকটি জেলায় বিক্রি করতাম। আজ অভিযানের পর বুঝতে পারলাম এ পণ্যগুলো বিক্রি ও বানানো অপরাধ।’
আব্দুস সালামের বাবা ওহাব আলী বলেন, ‘আমার ছেলে ছুটিতে এসে এই কারখানাটি দিয়েছিল। এখনও সরকারিভাবে অনুমোদন পাইনি। তবে অল্পদিনেই লাইসেন্স হাতে পাওয়ার কথা রয়েছে।’
মন্তব্য