× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য ইভেন্ট শিল্প উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ কী-কেন ১৫ আগস্ট আফগানিস্তান বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও ক্রিকেট প্রবাসী দক্ষিণ এশিয়া আমেরিকা ইউরোপ সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ শারীরিক স্বাস্থ্য মানসিক স্বাস্থ্য যৌনতা-প্রজনন অন্যান্য উদ্ভাবন আফ্রিকা ফুটবল ভাষান্তর অন্যান্য ব্লকচেইন অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

অর্থ-বাণিজ্য
বিনিয়োগ মন্দায় বেড়েই চলেছে আমানত
google_news print-icon

বিনিয়োগ মন্দায় বেড়েই চলেছে আমানত

বিনিয়োগ-মন্দায়-বেড়েই-চলেছে-আমানত-
আমানতের সুদ হার কমলেও ব্যাংকে এখন উপচে পড়ছে টাকা। ছবি: সংগৃহীত
২০২০ সালের মার্চ থেকে চলতি বছরের মার্চ পর্যন্ত বাংলাদেশ ব্যাংকের সবশেষ প্রতিবেদনে দেখা গেছে, এক বছরের ব্যবধানে তারল্য বেড়েছে ১ লাখ ২৪ হাজার ১১৮ কোটি টাকা। ২০২০ সালের মার্চ শেষে তারল্য ছিল ৮৯ হাজার ৯০৯ কোটি টাকা। চলতি বছর মার্চের শেষে সেটা বেড়ে ২ লাখ ১৪ হাজার কোটি টাকায় পৌঁছেছে।

করোনাকালীন বিনিয়োগে গতি নেই। করোনা শনাক্ত হওয়ার আগে যে পরিমাণ ঋণ বিতরণ হয়েছে, মহামারির সময়ে তা নেমে এসেছে ৯ শতাংশের কাছাকাছি। তবে এর পেছনে আছে অন্য কারণও।

সরকার যে সোয়া লাখ কোটি টাকা প্রণোদনা প্যাকেজ ঘোষণা করেছে, তা বিতরণ হয়েছে ব্যাংকব্যবস্থার মাধ্যমে আর এ কারণেই বিতরণ করা অঙ্কটা বেশ স্ফীত দেখাচ্ছে।

তবে প্রণোদনার ঋণ বিতরণের পরও ঋণের প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা ১৪ শতাংশ থেকে বেশ দূরে ব্যাংকগুলো। অন্যদিকে আমানতের সুদহার কমলেও ব্যাংকে এখন উপচে পড়ছে টাকা।

বছর পাঁচেক আগেও আমানত সংগ্রহে ব্যাংকগুলো ১০ থেকে ১২ শতাংশ সুদ দিত। তবে ঋণের সুদহার এককের ঘরে নামিয়ে আনতে সরকার চাপ দেয়ার পর আমানতের সুদহার সর্বোচ্চ ৬ শতাংশ করার ঘোষণা দেয় বেসরকারি ব্যাংক মালিকরা।

সুদহার কমলে আমানত পাওয়া যাবে কি না, এ নিয়ে সংশয় দেখা দিলেও পরিস্থিতি এখন ভিন্ন। ৪ থেকে ৬ শতাংশ সুদেও করোনার মধ্যেও টাকার ঢল নেমেছে ব্যাংকে।

ঋণ কম বিতরণ আর আমানতের ঢেউয়ের কারণে ব্যাংক খাতে তারল্যের পরিমাণ দিন দিন বাড়ছে।

২০২০ সালের মার্চ থেকে চলতি বছরের মার্চ পর্যন্ত বাংলাদেশ ব্যাংকের সবশেষ প্রতিবেদনে দেখা গেছে, এক বছরের ব্যবধানে তারল্য বেড়েছে ১ লাখ ২৪ হাজার ১১৮ কোটি টাকা।

২০২০ সালের মার্চ শেষে তারল্য ছিল ৮৯ হাজার ৯০৯ কোটি টাকা। চলতি বছর মার্চের শেষে সেটা বেড়ে ২ লাখ ১৪ হাজার কোটি টাকায় পৌঁছেছে।

বিনিয়োগ মন্দায় বেড়েই চলেছে আমানত

আমানতের হিসাবনিকাশ

আমানতের সুদহার কমে এলেও ভালো বিকল্প না থাকায় নিশ্চিত মুনাফা ও নিরাপদে টাকা ফেরতের আশায় কিছু ব্যাংকে আমানতে ভালো প্রবৃদ্ধি হচ্ছে।

চলতি বছরের মার্চ শেষে ব্যাংকগুলোতে আমানতের পরিমাণ ছিল ১২ লাখ ৯৮ হাজার কোটি টাকা। এর মধ্যে ডিমান্ড ডিপোজিট (যখন তখন তোলা যায়) ১ লাখ ৪৪ হাজার কোটি টাকা। আর টাইম ডিপোজিট (মেয়াদি আমানত) ১১ লাখ ৫৪ হাজার কোটি টাকা।

২০২০ সালের মার্চ শেষে আমানত ছিল ১১ লাখ ৩৬ হাজার কোটি টাকা। অর্থাৎ এক বছরের ব্যবধানে আমানতে প্রবৃদ্ধি ১৪ দশমিক ৩ শতাংশ।

যেভাবে বাড়ল আমানত

গত বছরের ফেব্রুয়ারিতে অতিরিক্ত তারল্য ছিল ১ লাখ ৩ হাজার ৯৩৪ কোটি টাকা। করোনাভাইরাসের প্রকোপ শুরু হলে ব্যাংকগুলো থেকে আমানত উত্তোলনের চাপ বেড়ে যায়। ফলে মার্চে সেটা কমে ৮৯ হাজার ৯০৯ টাকায় নেমে যায়।

এমন অবস্থায় ১ এপ্রিল থেকে কমানো হয় ব্যাংকগুলোর নগদ জমার হার (সিআরআর)। ফলে এপ্রিল শেষে অতিরিক্ত তারল্য বেড়ে হয় ১ লাখ ১৩ হাজার কোটি টাকা। এরপর তারল্য টানা বাড়তে থাকে।

জুলাইয়ে যা আরও বেড়ে হয় ১ লাখ ৪০ হাজার ৭৩০ কোটি টাকা ও আগস্টে ১ লাখ ৬০ হাজার ৯৬৭ কোটি টাকা। এরপর ডিসেম্বর শেষে সেটা আরও বেড়ে ২ লাখ কোটি ৪ হাজার কোটি টাকা পার হয়ে যায়।

আর চলতি বছরের মার্চ শেষে তারল্য বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২ লাখ ১৪ হাজার কোটি টাকার ওপরে। এক বছরের ব্যবধানে তারল্য বেড়েছে ৫৮ শতাংশ।

এর মধ্যে ১ লাখ ১৩ হাজার ৫২৬ কোটি টাকা ছিল বেসরকারি ব্যাংকগুলোর। সরকারি খাতের ব্যাংকগুলোর কাছে তারল্য ৬১ হাজার ৭৫০ কোটি টাকা। বিশেষায়িত ব্যাংকের রয়েছে ১ হাজার ৩৯০ কোটি টাকা। ইসলামি ধারার ব্যাংকগুলোর ২৪ হাজার ১৯৫ কোটি টাকা।

আর ১৩ হাজার ১৬৪ কোটি টাকার তারল্য জমা হয় বিদেশি ব্যাংকগুলোর হাতে।

ব্যাংকগুলোর অতিরিক্ত তারল্য এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে যে চাহিদামতো সরকারের ট্রেজারি বিল-বন্ড, কলমানি ও অন্য ব্যাংকে আমানত হিসেবেও রাখতে পারছে না। এতে জমা টাকা নিয়ে সমস্যায় পড়ে গেছে কিছু ব্যাংক।

তবে তারল্য নিয়ে সব ব্যাংকের পরিস্থিতি এক নয়। অনেক ব্যাংক টাকার জন্য হন্যে হয়ে ঘুরছে। গ্রাহক থেকে আমানত না পেয়ে বেশি সুদে অন্য ব্যাংক থেকে টাকা ধার নিচ্ছে।

ব্যাংকগুলো অতিরিক্ত তারল্যের অর্থ বিনিয়োগ করত সরকারি বিল-বন্ড বা কলমানি বাজারে। কিন্তু বর্তমানে ট্রেজারি বিলের সুদহার নেমে এসেছে ১ শতাংশের নিচে। চাহিদা না থাকায় কলমানি বাজারের সুদহারও নেমেছে ১ শতাংশে।

ঋণ প্রবৃদ্ধি ৮ দশমিক ৮৫ শতাংশ

২০২০ সালের মার্চ পর্যন্ত ঋণ বিতরণ করা হয় ১০ লাখ ৪৬ হাজার কোটি টাকার। চলতি মার্চে সেটা সামান্য বেড়ে হয়েছে ১১ লাখ ৩৯ হাজার কোটি টাকা। অর্থাৎ গত এক বছরে ঋণ বেড়েছে এক লাখ কোটি টাকারও কম। অথচ এই সময়ে প্রণোদনার ঋণই বিতরণ হয়েছে এর চেয়ে বেশি।

বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্যানুযায়ী, ২০১৯-২০ অর্থবছরের ১৪ দশমিক ৮ শতাংশ বার্ষিক লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে বেসরকারি খাতে ঋণ বেড়েছিল মাত্র ৮ দশমিক ৬১ শতাংশ। এটি গত আট বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন ছিল।

চলতি অর্থবছরেও বেসরকারি খাতের ঋণে শনির দশা চলছে। গত ডিসেম্বর পর্যন্ত সাড়ে ১১ শতাংশ লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে প্রবৃদ্ধি হয়েছে মাত্র ৮ দশমিক ৩৭ শতাংশ। এটি স্মরণকালের সর্বনিম্ন।

ব্যাংকের কর্মকর্তারা বলছেন, করোনা মহামারিতে নতুন বিনিয়োগ প্রায় বন্ধ। ফলে বেসরকারি খাত সংকুচিত হয়েছে। আবারও সরকারও ব্যাংক খাত থেকে ঋণ নেয়া কমিয়ে দিয়েছে। বিপরীতে সরকার ঘোষিত প্রণোদনা প্যাকেজ ও রেমিট্যান্সের উচ্চ প্রবৃদ্ধির কারণে ব্যাংকগুলোয় অলস অর্থের পরিমাণ বাড়ছে।

বিনিয়োগ মন্দায় বেড়েই চলেছে আমানত

তবে সরকারি-বেসরকারি খাতে ঋণ দিতে না পারলে দেশের পুঁজিবাজারে বিনিয়োগ বাড়ানোর সুযোগ ছিল ব্যাংকগুলোর কাছে। কিন্তু সে পথেও সতর্ক পদক্ষেপ নিচ্ছে তারা। পুঁজিবাজারে বিনিয়োগের জন্য যে তহবিল গঠন করা হয়েছে, তার ৪০ শতাংশের মতো বিনিয়োগ হয়েছে এখন পর্যন্ত।

এডিআরের অনুপাত কমেছে

মার্চ মাসে ব্যাংক খাতে ঋণ আমানত অনুপাত দাঁড়িয়েছে ৭২ দশমিক ৮২ শতাংশ। অর্থাৎ ব্যাংকের হাতে ১০০ টাকা থাকলে ঋণ হিসেবে বিতরণ হয়েছে ৭২ টাকা ৮২ পয়সা।

অথচ বাংলাদেশ ব্যাংক প্রতি ১০০ টাকায় ৮৭ থেকে ৯২ টাকা পর্যন্ত ঋণ দেয়ার ক্ষমতা দিয়ে রেখেছে ব্যাংককে।

এই এডিআর রেশিও (অনুপাত) আবারও প্রচলিত ধারার ব্যাংকের তুলনায় ইসলামি ব্যাংকে বেশি।

প্রচলিত ব্যাংকগুলোতে এই হার ৬৮ দশমিক ১৩ শতাংশ, আর ইসলামি ব্যাংকগুলোতে ৮৪ দশমিক ৫৩ শতাংশ।

গত বছরের মার্চে এডিআর রেশিও ছিল ৭৭ দশমিক ৭৭ শতাংশ। এরপর ঋণ বিতরণ কমে যাওয়ায় এ অনুপাত কমতে থাকে। ডিসেম্বর শেষে এডিআর রেশিও কমে ৭২ দশমিক ৬৯ এ দাঁড়ায়।

অবশ্য এর মধ্যেও ১১টি ব্যাংকের এডিআর রেশিও বেশি। এগুলো হলো বেসিক, রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংক, ন্যাশনাল ব্যাংক, সোশ্যাল ইসলামী, ফার্স্ট সিকিউরিটি, এবি, ওয়ান, মিডল্যান্ড, ইউনিয়ন, এক্সিম ও পদ্মা ব্যাংক।

যা বলছেন সংশ্লিষ্টরা

বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ নিউজবাংলাকে বলেন, অতিরিক্ত তারল্য ব্যাংকের জন্য ক্ষতিকর। বিনিয়োগ বাড়ছে না, এটা মোটেও ভালো লক্ষণ নয়। কারণ, বিনিয়োগ না বাড়লে কর্মসংস্থান বাড়বে না।

তিনি বলেন, ব্যাংক ঋণ পাওয়ার ক্ষেত্রে বড় ও মাঝারিদের সমস্যা না হলেও কুটির, ক্ষুদ্র ও ছোট উদ্যোক্তারা ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন। এখন ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পে (এসএমই) খাতে ঋণ বাড়াতে হবে। প্রয়োজনে ছোট উদ্যোক্তাদের ঋণ দিয়ে উৎসাহিত করতে হবে। এ ক্ষেত্রে মাইক্রো ফাইন্যান্স প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে চুক্তি করে ঋণের প্রসার বাড়াতে পারে।

বিকল্প পথেও বিনিয়োগ বাড়াতে যায় বলে মনে করেন তিনি। বলেন, ‘ভেঞ্চার ক্যাপিটাল বা নতুন কোনো প্রোডাক্ট নিয়ে আসতে পারে। তবে আমাদের ব্যাংকারদের এই সৃজনশীলতা আছে কি না, তা নিয়ে প্রশ্ন আছে।’

‘টাকা নিয়ে বসে থাকবে কেউ ঋণ নিতে আসবে না। নতুন নতুন প্রোডাক্ট চালু করলে বিনিয়োগ বাড়বে’ বলে মন্তব্য করেন সালেহউদ্দিন আহমেদ।

মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সৈয়দ মাহবুবুর রহমান বলেন, ‘আমরা বিনিয়োগ করতে চাই; কিন্তু বিনিয়োগ যে করব, সেই চাহিদা তো থাকতে হবে। দেশে এ মুহূর্তে বড় কোনো শিল্প উদ্যোগ নেই বললেই চলে। ভালো ব্যবসায়ীরা বিনিয়োগের ঝুঁকি নিতে চাইছেন না। এ জন্য ব্যাংকে অলস টাকা বাড়ছে।’

আরও পড়ুন:
আমানত কমেছে আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর

মন্তব্য

আরও পড়ুন

অর্থ-বাণিজ্য
The new record price of gold in the countrys market is Tk 119638

দেশে স্বর্ণের দামে নতুন রেকর্ড, ভরি ১১৯৬৩৮ টাকা

দেশে স্বর্ণের দামে নতুন রেকর্ড, ভরি ১১৯৬৩৮ টাকা
বাজুস নির্ধারিত দামের ওপর ৫ শতাংশ ভ্যাট যোগ করে গহনা বিক্রি করা হয়। সে সঙ্গে ভরি প্রতি মজুরি ন্যূনতম ৩ হাজার ৪৯৯ টাকা। ফলে ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের গহনা কিনতে গুনতে হবে ১ লাখ ২৯ হাজার ১১৯ টাকা।

দেশের বাজারে ২২ ক্যারেটের প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ২ হাজার ৬৫ টাকা বাড়িয়ে রেকর্ড ১ লাখ ১৯ হাজার ৬৩৮ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। এ নিয়ে চলতি বছরের সাড়ে তিন মাসে অষ্টমবারের মতো স্বর্ণের দাম সমন্বয় করা হলো।

বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতি (বাজুস) বাজুস স্ট্যান্ডিং কমিটি অন প্রাইসিং অ্যান্ড প্রাইস মনিটরিং কমিটি বৃহস্পতিবার বৈঠক করে দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেয়। পরবর্তীতে কমিটির চেয়ারম্যান মাসুদুর রহমান সই করা এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, স্থানীয় বাজারে তেজাবী স্বর্ণের (পাকা স্বর্ণ) দাম বাড়ার পরিপ্রেক্ষিতে এই দাম বাড়ানো হয়েছে। নতুন নির্ধারিত এই দাম বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা থেকেই কার্যকর হবে।

বিজ্ঞপ্তির তথ্য অনুযায়ী- ২২ ক্যারেটের প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ২ হাজার ৬৫ টাকা বেড়ে ১ লাখ ১৯ হাজার ৬৩৮ টাকা, ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি স্বর্ণ ১ হাজার ৯৯৪ টাকা বেড়ে ১ লাখ ১৪ হাজার ২০২ টাকা, ১৮ ক্যারেট প্রতি ভরি স্বর্ণ ১ হাজার ৬৫৬ টাকা বেড়ে ৯৭ হাজার ৮৮৪ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণ ১ হাজার ৩৮৮ টাকা কমে ৭৮ হাজার ৮০২ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।

প্রসঙ্গত, সবশেষ দশ দিন আগে ৮ এপ্রিল বাজুস ২২ ক্যারেটের প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ১ হাজার ৭৪৯ টাকা বাড়িয়ে ১ লাখ ১৭ হাজার ৫৭৩ টাকা নির্ধারণ করে। এতে অতীতের সব রেকর্ড ভেঙে স্বর্ণের সর্বোচ্চ দামের নতুন রেকর্ড সৃষ্টি হয়। ১০ দিনের ব্যবধানে আবারও দাম বৃদ্ধির মধ্য দিয়ে দেশের স্বর্ণের বাজারে উচ্চ দামের নতুন রেকর্ড সৃষ্টি হলো।

অবশ্য স্বর্ণের গহনা কিনতে ক্রেতাদের আরও বেশি অর্থ গুনতে হবে। কারণ বাজুস নির্ধারণ করা দামের ওপর ৫ শতাংশ ভ্যাট যোগ করে স্বর্ণের গহনা বিক্রি করা হয়। সেসঙ্গে ভরি প্রতি মজুরি ধরা হয় ন্যূনতম ৩ হাজার ৪৯৯ টাকা। ফলে ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের গহনা কিনতে ক্রেতাদের গুনতে হবে ১ লাখ ২৯ হাজার ১১৯ টাকা।

এদিকে স্বর্ণের দাম বাড়ানো হলেও অপরিবর্তিত রয়েছে রুপার দাম। ২২ ক্যারেটের এক ভরি রুপার দাম ২ হাজার ১০০ টাকা, ২১ ক্যারেট ২ হাজার ৬ টাকা, ১৮ ক্যারেট ১ হাজার ৭১৫ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির এক ভরি রুপার দাম ১ হাজার ২৮৩ টাকা নির্ধারণ করা আছে।

আরও পড়ুন:
স্বর্ণের দাম দু’দিনের ব্যবধানে ভরিতে বেড়েছে ৩,৪৯৯ টাকা
বাড়া-কমার খেলায় স্বর্ণের ভরি রেকর্ড ১,১৪,০৭৪ টাকা
কমলো স্বর্ণের দাম
দেশে স্বর্ণের দামে নতুন রেকর্ড, ভরি ১,১২,৯০৮ টাকা

মন্তব্য

অর্থ-বাণিজ্য
The price of bottled soybean oil increased by Tk 4 per liter

লিটারে ৪ টাকা বাড়ল বোতলজাত সয়াবিন তেলের দাম

লিটারে ৪ টাকা বাড়ল বোতলজাত সয়াবিন তেলের দাম দোকানে সাজিয়ে রাখা সয়াবিন তেলের বোতল। ফাইল ছবি
সয়াবিন তেলের দাম নিয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘…১৪৯ টাকা যেটা খোলাবাজারে ছিল, সেটাকে দুই টাকা কমিয়ে ১৪৭ টাকা সর্বোচ্চ খোলাবাজারে সয়াবিন তেল বিক্রি হবে। আর আমাদের সয়াবিন তেলের প্রতি লিটার, বোতল যেটা, পেট বোতলে যেটা, যেটার মধ্যে সিল করা থাকে, সেইটা আমাদের নির্ধারিত ছিল ১৬৩ টাকা। সেইখান থেকে বৃদ্ধি করে ১৬৭ টাকায় নির্ধারণ করা হয়েছে।’

বোতলজাত সয়াবিন তেলের দাম বাড়ানোর ঘোষণা দিয়েছেন বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু।

খোলা সয়াবিন তেলের দাম কমার কথাও জানিয়েছেন তিনি।

সচিবালয়ে বৃহস্পতিবার সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানান তিনি।

সয়াবিন তেলের দাম নিয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘…১৪৯ টাকা যেটা খোলাবাজারে ছিল, সেটাকে দুই টাকা কমিয়ে ১৪৭ টাকা সর্বোচ্চ খোলাবাজারে সয়াবিন তেল বিক্রি হবে।

‘আর আমাদের সয়াবিন তেলের প্রতি লিটার, বোতল যেটা, পেট বোতলে যেটা, যেটার মধ্যে সিল করা থাকে, সেইটা আমাদের নির্ধারিত ছিল ১৬৩ টাকা। সেইখান থেকে বৃদ্ধি করে ১৬৭ টাকায় নির্ধারণ করা হয়েছে।’

খোলা সয়াবিন তেলের পাঁচ লিটারের বোতলের দামের বিষয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘আর খোলাবাজারে সয়াবিন তেল পাঁচ লিটারের বোতল ৮০০ টাকা ছিল। সেটাকে ৮১৮ টাকায় নির্ধারণ করা হয়েছে।’

পাম অয়েলের দাম নিয়ে টিটু বলেন, ‘সুপার পাম অয়েল তেল প্রতি লিটার, এটা আগে নির্ধারণ করা ছিল না। এবার আমরা নির্ধারণ করে দিচ্ছি। সর্বোচ্চ খুচরা মূল্য ১৩৫ টাকা লিটার।

‘তো এই চারটা পণ্যের দাম, এইটা কিন্তু আমরা নির্ধারণ করলাম না। আমাদের যারা অ্যাসোসিয়েশনের, তাদের রিকমেন্ডেশনে এবং আমাদের ট্যারিফ কমিশনের অনুমোদনক্রমে উনারা উনাদের অ্যাসোসিয়েশন থেকে চিঠি দিয়ে আগামীকাল থেকে এই মূল্য উনাদের মিল গেট থেকে উনারা কার্যকরী করবে।’

আরও পড়ুন:
চলতি মাসেই জ্বালানি তেলের দাম কমছে: প্রতিমন্ত্রী
সয়াবিন তেলের নতুন দাম কার্যকর হচ্ছে শুক্রবার
বিশ্ববাজারের সঙ্গে ওঠানামা করবে জ্বালানি তেলের দাম: প্রতিমন্ত্রী
দুর্ঘটনার ১০ দিন না যেতে সড়কেই প্রাণ গেল তেলেঙ্গানার বিধায়কের
সয়াবিন তেলের দাম লিটারে কমল ১০ টাকা, ১ মার্চ থেকে কার্যকর

মন্তব্য

অর্থ-বাণিজ্য
Bank Asia to acquire foreign bank Alfalah

বিদেশি ব্যাংক আলফালাহ অধিগ্রহণ করবে ব্যাংক এশিয়া

বিদেশি ব্যাংক আলফালাহ অধিগ্রহণ করবে ব্যাংক এশিয়া
পাকিস্তানের করাচিভিত্তিক ব্যাংক আলফালাহ লিমিটেডের পরিচালনা পর্ষদ ব্যাংক এশিয়া লিমিটেডের বাংলাদেশ পরিচালনা, সম্পদ ও দায় অধিগ্রহণের জন্য প্রাপ্ত বাধ্যবাধকতামুক্ত ইঙ্গিতমূলক প্রস্তাবের ক্ষেত্রে নীতিগত অনুমোদন দিয়েছে।

কেন্দ্রীয় ব্যাংক সম্প্রতি জানিয়েছিল যে আর কোনো ব্যাংককে একীভূতকরণের সুযোগ দেয়া হবে না। তবে সিদ্ধান্ত থেকে সরে এসে বিদেশি ব্যাংক আলফালাহকে অধিগ্রহণের জন্য ব্যাংক এশিয়াকে অনুমতি দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।

নতুন মাত্রার অংশ হিসেবে বাংলাদেশের বেসরকারি বাণিজ্যিক ব্যাংক এশিয়া বিদেশি ব্যাংক আলফালাহকে অধিগ্রহণের পরিকল্পনা করছে। সূত্র: ইউএনবি

করাচিভিত্তিক ব্যাংক আলফালাহ বুধবার (১৭ এপ্রিল) পাকিস্তান স্টক এক্সচেঞ্জকে এ তথ্য জানিয়েছে।

প্রকাশিত তথ্যে জানা যায়, ব্যাংক আলফালাহ লিমিটেডের পরিচালনা পর্ষদ ব্যাংক এশিয়া লিমিটেডের বাংলাদেশ পরিচালনা, সম্পদ ও দায় অধিগ্রহণের জন্য প্রাপ্ত বাধ্যবাধকতামুক্ত ইঙ্গিতমূলক প্রস্তাবের ক্ষেত্রে নীতিগত অনুমোদন দিয়েছে।

এতে বলা হয়, ব্যাংক আলফালাহ বাংলাদেশের ব্যাংক এশিয়ার জন্য যথাযথ কার্যক্রম শুরুর জন্য স্টেট ব্যাংক অফ পাকিস্তানের অনুমোদন চাইছে।

ব্যাংক এশিয়ার ব্যবস্থাপনা পরিচালক সোহেল আর কে হুসেইন বলেন, ‘এটি একটি চলমান প্রক্রিয়া এবং এটি একীভূতকরণ নিয়ে খুব বেশি আলোচনার অংশ নয়।’

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, আগামী সপ্তাহে দুই ব্যাংকের নির্বাহীদের সঙ্গে বৈঠকে অধিগ্রহণের বিষয়টি চূড়ান্ত রূপ পাবে বলে।

মন্তব্য

অর্থ-বাণিজ্য
Legal notice and cancellation of contracts to advertising companies promoting dramas contrary to Waltons ideals and principles

‘রূপান্তর’ নাটক ইস্যুতে বিজ্ঞাপনী প্রতিষ্ঠানকে ওয়ালটনের নোটিশ, চুক্তি বাতিল

‘রূপান্তর’ নাটক ইস্যুতে বিজ্ঞাপনী প্রতিষ্ঠানকে ওয়ালটনের নোটিশ, চুক্তি বাতিল ওয়ালটনের লোগো। ছবি: সংগৃহীত
আনুষ্ঠানিক বিবৃতিতে ওয়ালটনের ভাষ্য, দেশের মানুষের ধর্মীয় ও সামাজিক অনুভূতিতে আঘাত করে এমন কোনো কর্মকাণ্ড কখনও তারা সমর্থন করে না এবং এসব কর্মকাণ্ডে সম্পৃক্ত থাকে না। অনাকাঙ্ক্ষিত এই বিষয়টির জন্য ওয়ালটন গ্রুপ মর্মাহত এবং সম্মানিত ক্রেতা ও শুভাকাঙ্ক্ষীদের নিকট আন্তরিকভাবে দুঃখ প্রকাশ করেছে।

বিষয়বস্তু অবহিত না করে ওয়ালটনের আদর্শ ও নীতিমালার পরিপন্থিভাবে ‘রূপান্তর’ শিরোনামের একটি নাটক প্রচার করায় বিজ্ঞাপনী প্রতিষ্ঠান ‘লোকাল বাস এন্টারটেইনমেন্ট’কে আইনি নোটিশ পাঠিয়েছে ওয়ালটন।

পাশাপাশি প্রতিষ্ঠানটির সঙ্গে সব ধরনের বিজ্ঞাপনী চুক্তি বাতিল করা হয়েছে। একইসঙ্গে বিষয়টির জন্য ওয়ালটন গ্রুপ ক্রেতা ও শুভাকাঙ্ক্ষীদের নিকট আন্তরিকভাবে দুঃখ প্রকাশ করেছে।

ওয়ালটনের পক্ষ থেকে বিজ্ঞাপনী প্রতিষ্ঠান ‘লোকাল বাস এন্টারটেইনমেন্ট’ এর স্বত্বাধিকারী মোহন আহমেদকে মঙ্গলবার ওই আইনি নোটিশ পাঠানো হয়।

ওয়ালটনের পক্ষে বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের অ্যাডভোকেট রাইসুল ইসলাম রিয়াদ স্বাক্ষরিত আইনি নোটিশে উল্লেখ করে যা বলা হয়, ‘আপনি লোকাল বাস এন্টারটেইনমেন্ট বিজ্ঞাপনী প্রতিষ্ঠান এর স্বত্বাধিকারী। আপনার প্রস্তাবের পরিপ্রেক্ষিতে আপনার নির্মিত ছয়টি নাটকে ওয়ালটন ফ্রিজ ব্র্যান্ডিং করতে সম্মত হয়। শর্ত থাকে যে, উক্ত নাটকসমূহে দেশের আইন, নীতি, নৈতিকতা বা ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত হয় এরকম কোনো বিষয় অর্ন্তভুক্ত হবে না। কিন্তু অত্যন্ত দুঃখজনক যে, উক্ত নাটকসমূহের মধ্যে ‘রূপান্তর’ নাটকটিতে এমন কিছু বিষয় অর্ন্তভুক্ত করা হয়েছে, যাতে বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে ও মানুষের অনুভূতিতে আঘাত লেগেছে।’

নোটিশে আরও বলা হয়, ‘ওয়ালটন কর্তৃপক্ষকে নাটকটির বিষয়বস্তু সম্পর্কে পূর্বে অবহিত না করে রূপান্তর নাটক প্রচার করায় আপনার সঙ্গে চুক্তি বাতিল করা হলো এবং সেই সঙ্গে কেন আপনার বিরুদ্ধে ওয়ালটনের আদর্শ ও নীতিমালার পরিপন্থিভাবে নাটক প্রচারের জন্য আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে না, তা নোটিশ প্রাপ্তির সাত দিনের মধ্যে জানানোর জন্য বলা হলো।’

এর আগে ফেসবুক-ইউটিউবসহ বিভিন্ন সামাজিক মাধ্যম থেকে ‘রূপান্তর’ নাটকটি প্রত্যাহারের জন্য বিজ্ঞাপনী সংস্থাকে নির্দেশ দেয় ওয়ালটন। তাৎক্ষণিকভাবে ফেসবুক-ইউটিউবসহ সব মাধ্যম থেকে নাটকটি প্রত্যাহার করে নেয়া হয়।

এরপর বিজ্ঞাপনী সংস্থার সঙ্গে চুক্তি বাতিল করে ওয়ালটন গ্রুপের আদর্শ ও নীতিমালার পরিপন্থি নাটকে বিজ্ঞাপন প্রচারের জন্য কেন আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে না তা জানতে চেয়ে বিজ্ঞাপনী সংস্থা ‘লোকাল বাস এন্টারটেইনমেন্ট’কে লিগাল নোটিশ দেয় ওয়ালটন কর্তৃপক্ষ।

আনুষ্ঠানিক বিবৃতিতে ওয়ালটনের ভাষ্য, দেশের মানুষের ধর্মীয় ও সামাজিক অনুভূতিতে আঘাত করে এমন কোনো কর্মকাণ্ড কখনও তারা সমর্থন করে না এবং এসব কর্মকাণ্ডে সম্পৃক্ত থাকে না। অনাকাঙ্ক্ষিত এই বিষয়টির জন্য ওয়ালটন গ্রুপ মর্মাহত এবং সম্মানিত ক্রেতা ও শুভাকাঙ্ক্ষীদের নিকট আন্তরিকভাবে দুঃখ প্রকাশ করেছে।

আরও পড়ুন:
ঈদ উৎসবে ওয়ালটন ফ্রিজ কেনার হিড়িক
ওয়ালটন টিভি কিনে এয়ার টিকিটের সুযোগ চাঁদরাত পর্যন্ত
ওয়ালটন ফ্রিজ কিনে ৩৩তম মিলিয়নিয়ার হলেন রাজশাহীর মাদ্রাসাশিক্ষক আমিনুল
সুবিধাবঞ্চিত মানুষের মধ্যে ইফতার বিতরণ হিরো বাংলাদেশের
ই-কমার্স প্ল্যাটফর্ম নিয়ে এলো কল্লোল গ্রুপ

মন্তব্য

অর্থ-বাণিজ্য
The DMD of the state owned bank is Faiz Alam

রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকের ডিএমডি হলেন ফয়েজ আলম

রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকের ডিএমডি হলেন ফয়েজ আলম রূপালী ব্যাংক পিএলসির মহাব্যবস্থাপক মো. ফয়েজ আলম। ছবি: সংগৃহীত
ডিএমডি হিসেবে পদোন্নতি হওয়ার আগে তিনি রূপালী ব্যাংক পিএলসিতে মহাব্যবস্থাপকের দায়িত্ব পালন করেছেন।

রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকের উপব্যবস্থাপনা পরিচালক পদে পদোন্নতি পেয়েছেন রূপালী ব্যাংক পিএলসির মহাব্যবস্থাপক মো. ফয়েজ আলম। সম্প্রতি অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের এক প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে সরকার কর্তৃক পদোন্নতিপ্রাপ্ত হয়ে তিনিসহ রাষ্ট্রায়ত্ত বিভিন্ন ব্যাংকের আট জন মহাব্যবস্থাপককে উপব্যবস্থাপনা পরিচালক পদে পদোন্নতি দেয়া হয়।

ডিএমডি হিসেবে পদোন্নতি হওয়ার আগে তিনি রূপালী ব্যাংক পিএলসিতে মহাব্যবস্থাপকের দায়িত্ব পালন করেছেন।

মো. ফয়েজ আলম ১৯৯৮ সালে বিআরসির মাধ্যমে সিনিয়র অফিসার পদে রূপালী ব্যাংকে যোগদান করেন। কর্মজীবনে ব্যাংকের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ শাখার শাখা ব্যবস্থাপক, জোনাল অফিস এবং প্রধান কার্যালয়ের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ বিভাগের প্রধানের দায়িত্ব পালন করেন। পেশাগত প্রয়োজনে তিনি যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, ইউরোপ ও আরব অঞ্চলের বিভিন্ন দেশ ভ্রমণসহ দেশ-বিদেশে ব্যাংকিং বিষয়ে প্রশিক্ষণ ও সেমিনারে অংশগ্রহণ করেছেন।

ফয়েজ আলমের জন্ম ১৯৬৮ সালে নেত্রকোনার আটপাড়া উপজেলার যোগীরনগুয়া গ্রামে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগ থেকে বিএ অনার্সসহ এমএ পাশ করার পর এমফিল ডিগ্রিও অর্জন করেন খ্যাতিমান এই ব্যাংকার।

পেশাগত জীবনের বাইরে ফয়েজ আলম একজন সফল লেখকও। বাংলাদেশে তিনি অগ্রণী উত্তর উপনিবেশী তাত্ত্বিক, প্রাবন্ধিক ও কবি হিসেবে বিশেষ খ্যাতিমান। এডওয়ার্ড সাঈদের বিখ্যাত গ্রন্থ অরিয়েন্টালিজম-এর অনুবাদক হিসেবেও তার আলাদা খ্যাতি আছে। তার পনেরটির বেশি গ্রন্থ এ পর্যন্ত প্রকাশিত হয়েছে।

মন্তব্য

অর্থ-বাণিজ্য
Traders want to increase the price of edible oil by 10 taka per liter not the state minister

ভোজ্যতেলের দাম লিটারে ১০ টাকা বাড়াতে চান ব্যবসায়ীরা, প্রতিমন্ত্রীর ‘না’

ভোজ্যতেলের দাম লিটারে ১০ টাকা বাড়াতে চান ব্যবসায়ীরা, প্রতিমন্ত্রীর ‘না’
বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু বলেন, ‘ভোজ্যতেলের দাম বাড়ানোর কোনো সুযোগ নেই। দাম আন্তর্জাতিক বাজার দরের সঙ্গে সমন্বয় করা যেতে পারে, তবে সময় লাগবে। ভোজ্যতেলের নতুন চালান আমদানির ক্ষেত্রে দাম বাড়ানোর বিষয়টি বিবেচনা করা হবে।’

ভোজ্যতেলের ওপর শুল্ক অব্যাহতির সময়সীমা শেষ হয়েছে সোমবার (১৫ এপ্রিল)। এ অবস্থায় নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যটির দাম লিটারে ১০ টাকা বাড়ানোর প্রস্তাব করেছেন ব্যবসায়ীরা। তবে বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু বলেছেন, ভোজ্যতেলের দাম বাড়ানোর কোনো সুযোগ নেই।

বাংলাদেশ ভেজিটেবল অয়েল রিফাইনার্স অ্যান্ড বনস্পতি ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশন (বিভিওআরভিএমএফএ) সোমবার বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিবকে একটি চিঠি পাঠিয়েছে।

বিভিওআরভিএমএফএ’র নির্বাহী কর্মকর্তা নুরুল ইসলাম মোল্লার পাঠানো চিঠিতে বলা হয়েছে, কাঁচামাল আমদানি ও ভোজ্যপণ্য উৎপাদনে কর অব্যাহতির মেয়াদ ১৫ এপ্রিল শেষ হচ্ছে বিধায় পরদিন ১৬ এপ্রিল থেকে ভ্যাট অব্যাহতির আগের নির্ধারিত মূল্যে পণ্য সরবরাহ করা হবে।

নতুন দাম অনুযায়ী, প্রতি লিটার সয়াবিন তেলের বোতল ১৭৩ টাকা, পাঁচ লিটারের বোতল ৮৪৫ টাকা ও এক লিটার পাম তেল ১৩২ টাকায় বিক্রি করা হবে।

জাতীয় রাজস্ব বোর্ড গত ফেব্রুয়ারিতে পরিশোধিত ও অপরিশোধিত (অপরিশোধিত) সয়াবিন ও পাম তেলের মূল্য সংযোজন কর ১৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ১০ শতাংশ নির্ধারণ করে।

এদিকে মঙ্গলবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে আয়োজিত মিট দ্য প্রেস অনুষ্ঠানে বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু বলেন, ‘ভোজ্যতেলের দাম বাড়ানোর কোনো সুযোগ নেই। ভোজ্যতেলের দাম আন্তর্জাতিক বাজার দরের সঙ্গে সমন্বয় করা যেতে পারে, তবে সময় লাগবে।

‘ভোজ্যতেলের নতুন চালান আমদানির ক্ষেত্রে দাম বাড়ানোর বিষয়টি বিবেচনা করা হবে।’

আরও পড়ুন:
ভোজ্যতেলের আমদানিনির্ভরতা কমবে: খাদ্যমন্ত্রী
ভোজ্যতেলে ভ্যাটমুক্ত সুবিধা তিন মাস বাড়িয়ে প্রজ্ঞাপন
ভোজ্যতেলের দাম বাড়াতে সেই পুরোনো কৌশল

মন্তব্য

অর্থ-বাণিজ্য
In the current financial year the majority of remittances have come to Dhaka district
বাংলাদেশ ব্যাংকের বিশ্লেষণ

চলতি অর্থবছরে রেমিট্যান্সের সিংহভাগ এসেছে ঢাকা জেলায়

চলতি অর্থবছরে রেমিট্যান্সের সিংহভাগ এসেছে ঢাকা জেলায়
জুলাই থেকে ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ৮ মাসে প্রবাসীরা ১ হাজার ৫০৭ কোটি ডলারের রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন। এর মধ্যে ঢাকা জেলায় ৫২৩ কোটি ও চট্টগ্রাম জেলায় ১৪২ কোটি ডলার এসেছে। এই সময়ে সিলেট জেলা ৮৭০ মিলিয়ন, কুমিল্লা ৮১০ মিলিয়ন ও নোয়াখালী ৪৬০ মিলিয়ন ডলার আয় করেছে।

প্রবাসীদের আয়ের একটি বড় অংশ‌ই আসে ঢাকায় অবস্থিত ব্যাংকের শাখাগুলোতে। অর্থাৎ প্রবাসীদের পরিবারের বেশিরভাগই ঢাকায় থাকেন বা তাদের অধিকাংশ অ্যাকাউন্ট ঢাকার ব্যাংক শাখায়।

ইউএনবি জানায়, রেমিট্যান্সের জেলাভিত্তিক চিত্র নিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের এক বিশ্লেষণে এমন তথ্য উঠে এসেছে।

প্রবাসী আয় বা রেমিট্যান্সে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে চট্টগ্রাম। সিলেট তৃতীয় এবং কুমিল্লা চতুর্থ অবস্থানে রয়েছে।

এরপরে রয়েছে উপকূলীয় জেলা নোয়াখালী, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, ফেনী, মৌলভীবাজার, চাঁদপুর ও নরসিংদীর অবস্থান।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের জেলাভিত্তিক প্রবাসী আয় প্রতিবেদনে গত বছরের জুলাই থেকে চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত হিসাব প্রকাশ করা হয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, জুলাই থেকে ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ৮ মাসে প্রবাসীরা ১ হাজার ৫০৭ কোটি ডলারের রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন। এর মধ্যে গত ফেব্রুয়ারিতে এসেছে ২১৬ কোটি ডলার। তার আগের মাস জানুয়ারিতে দেশে প্রবাসী আয় ছিল ২১০ কোটি ডলার।

জুলাই-ফেব্রুয়ারি সময়কালে ঢাকা জেলায় এসেছে ৫২৩ কোটি ডলার এবং চট্টগ্রাম জেলায় এসেছে ১৪২ কোটি ডলার।

এই সময়ে সিলেট জেলা ৮৭০ মিলিয়ন ডলার, কুমিল্লা ৮১০ মিলিয়ন ডলার এবং নোয়াখালী ৪৬০ মিলিয়ন ডলার আয় করেছে। এর মধ্যে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ৩৮ কোটি, ফেনীতে ৩৭ কোটি, মৌলভীবাজারে ৩৬ কোটি, চাঁদপুরে ৩৫ কোটি ডলার এবং নরসিংদীতে ২৫০ মিলিয়ন ডলার এসেছে।

ব্যাংক কর্মকর্তারা বলছেন, প্রবাসী অধ্যুষিত জেলাগুলো থেকে বেশি প্রবাসী আয় আসবে বলে আশা করা হচ্ছে। কিন্তু এমনটা হচ্ছে না। কারণ অনেক প্রবাসী বিদেশে স্থায়ী হয়েছেন। বরং তারা (প্রবাসীরা) দেশে থাকা সম্পদ বিক্রি করে বিদেশে নিয়ে যাচ্ছেন। ফলে অর্থ পাচার বাড়ছে।

আরও পড়ুন:
ঈদের আগের সপ্তাহে এসেছে সাড়ে ৪৫ কোটি ডলারের রেমিট্যান্স
ঈদ সামনে রেখেও রেমিট্যান্স প্রবাহে নিম্নগতি
ফেব্রুয়ারিতে রেমিট্যান্স এসেছে ২১৬ কোটি ডলার
চলতি মাসে দিনে গড়ে রেমিট্যান্স এসেছে ৬ কোটি ৮৫ লাখ ডলার
ফেব্রুয়ারির ১৬ দিনে এসেছে ১২,৬০০ কোটি টাকার রেমিট্যান্স

মন্তব্য

p
উপরে