করোনাভাইরাসের মহামারির কারণে চলমান লকডাউনে চিন্তার ভাঁজ ব্যবসায়ীদের কপালে। বৈশাখের পর আসছে ঈদের ব্যবসায়-বাণিজ্যেও কালো মেঘ দেখছেন তারা।
পহেলা বৈশাখ ও ঈদুল ফিতর দেশের ব্যবসায়-বাণিজ্যে প্রধান দুই মৌসুম। এর মধ্যে বৈশাখ গেছে অনেকটা ব্যবসা ছাড়াই। টানা লকডাউনে ঈদ ঘিরে ব্যবসা নিয়েও তৈরি হয়েছে বড় অনিশ্চয়তা। একই দশা ছিল গত বছরেও।
চলমান লকডাউনে ঈদের পাইকারি কেনা-কাটাই শুরু হয়নি। ব্যবসায়ীরা বলছেন, ঈদ ঘিরে কাজ শুরু হয় তিন মাস আগে থেকে। বছরে লাভের বড় অংশটাই আসে ঈদের সময়ে।
ঈদের পাইকারি বাজার শুরু হয় শবে বরাতের পর থেকেই। খুচরা ব্যবসায়ীরা মাল নিয়ে রোজার শুরু থেকেই ব্যবসা শুরু করেন। করোনার প্রকোপ কম থাকায় এবার জানুয়ারি থেকেই ব্যবসায়ীরা সেই প্রস্তুতি নিয়েছেন। বাড়তি বিনিয়োগও করেছেন অনেকে। এখন তাদের পাইকারি বিক্রির সময়।
এর মধ্যে শুরু হলো সর্বাত্মক লকডাউন। বন্ধ দূর পাল্লার যানবাহন। এতে জেলা পর্যায়ে ব্যবসায়ীরা এখনও ঢাকার পাইকারি বাজার থেকে মাল নিতে পারেনি।
বাণিজ্যের আকার
ঈদের ব্যবসায়-বাণিজ্য নিয়ে সুনির্দিষ্ট তথ্য-উপাত্ত নেই। ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআইয়ের প্রায় ৫ বছর আগের এক সমীক্ষার তথ্য অনুযায়ী, রোজার ঈদকে কেন্দ্র করে অর্থনীতিতে যুক্ত হয় অতিরিক্ত প্রায় ১ লাখ ৮৭ হাজার কোটি টাকা।
দোকান মালিক সমিতির তথ্যমতে, দেশব্যাপী তাদের নিবন্ধিত ২২ লাখ দোকান আছে। এসব দোকানে সাধারণত দৈনিক মোট এক হাজার কোটি টাকার পণ্য বিক্রি হয়। আর ঈদের আগে বিক্রি প্রায় পাঁচ গুণ বেড়ে যায়। এ ছাড়া, অনলাইনে বিক্রি ও পোশাক সেলাইয়ের দরজির দোকানেও ভালো ব্যবসা হয়।
দেশীয় পোশাকের পাইকারি বিক্রেতারা বলছেন, তিন দফায় পাইকারি বাজারে ভিড় থাকে। এক শবে বরাতের পরের সপ্তাহ, রোজার দ্বিতীয় সপ্তাহ এবং ২০ রোজার পর। ১০ রোজার মধ্যেই পাইকারি বাজার প্রায় পুরোটাই খালি হয়ে যায়। ভিড় শুরু হয় খুচরা বাজার ও মার্কেটগুলোতে।
এবার লকডাউনের কারণে পাইকারি ব্যবসায়ীরা গুদাম ভরা মাল নিয়ে পড়েছেন বিপাকে। এ মাল তাদের বোঝা হয়ে দাঁড়িয়েছে। আরও এক সপ্তাহ বন্ধ থাকা মানে বিক্রির সুযোগ অর্ধেক কমে যাওয়া।
অর্থনীতিবিদরা বলছেন, ঈদ ঘিরে বিভিন্ন খাতে বিপুল অঙ্কের অর্থ হাতবদল হওয়ায় অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড, চাঙ্গা হয় গোটা অর্থনীতি। তবে এবারের ঈদ বাণিজ্য নিয়ে এরই মধ্যে সংশয় দেখা দিয়েছে। পরিস্থিতি অনুযায়ী ভেবে চিন্তে পক্ষেপ নেয়া উচিত।
সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা অর্থনীতিবিদ ড. এ বি মির্জ্জা আজিজুল ইসলাম নিউজবাংলাকে বলেন, ঈদ অর্থনীতির আকারের আসলেই সঠিক হিসাব বলা যাবে না। তবে এর আকার বিশাল। এটি দিনে দিনে বাড়ছে। ঈদে মানুষ নতুন পোশাক ছাড়াও অন্যান্য ভোগ্যপণ্যেও খরচ করে। ঈদকে কেন্দ্র করে গ্রামের বাড়ি যাওয়া-আসায়ও খরচ হয়। কিন্তু লকডাউনের কারণে মানুষ আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। আয় কমছে। তাই এবারের ঈদ অর্থনীতি সংকুচিত হবে। আবার করোনার যে অবস্থা লকডাউন উঠে গেলেও মানুষ ভয় উপেক্ষা করে কতটুকু কেনাকাটা করবে তাও দেখার বিষয়। তবে শেষ পর্যন্ত বর্তমান অবস্থা স্থায়ী হলে ব্যবসায়ীরা ক্ষতিগ্রস্ত হবে।
দ্রুত দোকানপাট খুলে দেয়ার দাবি জোরালো হচ্ছে ব্যবসায়ীদের। গত রোববার সংবাদ সম্মেলন করে ঈদ বাণিজ্য ধরতে প্রয়োজনীয় সব ধরনের স্বাস্থ্যবিধি মেনে আগামী ২২ এপ্রিল থেকে মার্কেট, দোকান ও ক্ষুদ্র ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেয়ার দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ দোকান মালিক সমিতি ও নিউমার্কেট ব্যবসায়ী সমিতি ও মহানগর (উত্তর ও দক্ষিণ) দোকান মালিক সমিতি।
বাংলাদেশ দোকান মালিক সমিতির সভাপতি হেলাল উদ্দিন নিউজবাংলাকে বলেন, গত বছরের মার্চ থেকে এদেশের ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা চরম ব্যবসায়িক মন্দা ও আর্থিক অনিশ্চয়তায় রয়েছে। লোকসান গুনতে গুনতে দেয়ালে পিঠ ঠেকে গেছে। দেশীয় পণ্যের ব্যবসায়ীরা সর্বস্ব বিনিয়োগ করে বর্তমান মৌসুমে। ধার দেনা করে এবারও তারা ব্যবসায় নেমেছে। এখন তারা তাকিয়ে আছে ঈদের দিকে।
ঈদ ব্যবসায়ের জন্য সুযোগ দেয়া উচিত বলে মনে করেন অর্থনীতিবিদরা। পলিসি রিসার্স ইনস্টিটিউটের (পিআরআই) নির্বাহী পরিচালক ও অর্থনীতিদিব আহসান এইচ মনসুর নিউজবাংলাকে বলেন, দেশের ব্যবসায়ীদের প্রধান প্রস্তুতি থাকে ঈদকে ঘিরে। কিন্তু তিন সপ্তাহের লাকডাউনে তারা অনেক ক্ষতিগ্রস্ত হবে। এমনিতেই গতবারের ক্ষত কাটিয়ে উঠতে পারছে না। শুধু ব্যবসায়ীরাই এতে দেশের অর্থনীতিতে বড় প্রভাব ফেলবে।
‘তাই লকডাউন রোজার মাঝামাঝি বা দুই তৃতীয়াংশ গেলে লকডাউন পরিস্থিতি কিছুটা শিথিল করে ব্যবসায়ীদের ঈদ মৌসুম ধরার সুযোগ করে দেয়া উচিত। তবে অবশ্যই স্বাস্থ্যবিধির ক্ষেত্রে কোনো ছাড় দেয়া যাবে না। ঈদের ব্যবসার মৌসুম শেষ হলে পরিস্থিতি বিবেচনায় সরকার ঈদের পর আবারও লকডাউনের কথা চিন্তা করতে পারে।’
ইসলামপুরে কাপড়ের পাইকারি বাজার
অভ্যন্তরীণ পোশাকের সবচেয়ে বড় জোগানদার ইসলামপুরসহ পুরান ঢাকার পোশাক মার্কেটগুলো। ঢাকার বিভিন্ন মার্কেটসহ দেশের বিভাগীয়, জেলাসহ মফস্বল মার্কেটগুলোয় দেশি পোশাক সরবরাহ হয় এখান থেকে। এখানে রয়েছে প্রায় ৫০০ পোশাকের দোকান। রোজা ও ঈদ উপলক্ষে এসব দোকানে হাজার কোটি টাকার বাণিজ্য হয়।
ঈদুল ফিতরে আগে দেড় মাস সব সময় জমজমাট থাকে মার্কেটটি। মার্কেটের প্রতিটি দোকানে শবে বরাতের পর থেকে ২০ রোজা পর্যন্ত এ এলাকার রাস্তায় হাটার সুযোগ থাকে না। দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে পাইকাররা ক্রেতাদের পছন্দের কথা মাথায় রেখে পোশাক ক্রয় করেন। এবারও ভোক্তাদের পছন্দের দিকে খেয়াল রেখে রেয়ন মসলিন, রেয়ন কটন, রেয়ন স্লাব, লিলেন, সাটন ডিসকটসহ বিভিন্ন উন্নত মানের শাড়ি, থ্রিপিসসহ লুঙ্গি, থান কাপড় সংগ্রহ করেছেন পাইকারি ব্যবসায়ীরা।
এখানকার বস্ত্র ব্যবসায়ীরা আশা করছিলেন ব্যবসায় প্রায় এক বছরের ওপর চলা স্থবিরতা রমজান ও ঈদকে ঘিরে চাঙ্গা হয়ে উঠবে। কিন্তু বিক্রির প্রধান মৌসুম হলেও প্রায় এক মাস ধরে বন্ধ থাকবে তাদের দোকান, এতে দুশ্চিন্তা বেড়েছে তাদের মনে।
ইসলাম পুরের পোশাকের পাইকারি বিক্রেতা স্টাইল ফ্যাশনের স্বত্বাধিকারী হাজী ফয়সাল নিউজবাংলাকে বলেন, ‘কী আর বলব ভাই। গতবার ব্যবসায় শেষ। এবারও অবস্থা খারাপ। গুদাম ভরা থ্রিপিসসহ রোজার মাল। এতদিনে তিন ভাগের দুইভাগ বিক্রি হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু এখনও কিছুই বিক্রি হয়নি। লকডাউন আরও আট দিন থাকবে। কতটুকু বিক্রি হবে তাও বলা যাচ্ছে না।
‘কাপড় বেচতে না পারলে ব্যাংক ঋণ, থান কাপড়ের টাকা শোধ, দর্জির খরচ, কাঁচামালের খরচ, গোডাউন ভাড়া, কর্মচারীর মজুরি দিতে হবে। তার পরেই লাভের হিসাব। বিক্রি না হলেও সব দিতে হবে। কিন্তু কী করে দেব, বুঝতে পারছি না।’
ইসলামপুর পাইকারি বাজারের শীর্ষে থাকলেও খুচরা বাজারের সেরা নিউমার্কেট ও এর আশাপাশের চাঁদনীচক, গাউছিয়া, চন্দ্রিমাসহ অন্যান্য মার্কেট। লকডাউনের শুরুতে তারা দোকান খুলে দেয়ার জন্য প্রতিবাদ ও বিক্ষোভও করেছিল। খুচরা ব্যবসায়ীরা চায় দ্রুত মার্কেট খুলে দিক সরকার।
নিউমার্কেট দোকান মালিক সমিতির সভাপতি দেওয়ান আমিনুল ইসলাম শাহিন নিউজবাংলাকে জানান, সারা দেশে দোকানদারাই শতভাগ লকডাউন পালন করছে। সীমিত সুবিধার আওতায় অনেক সেবাই চালু রয়েছে। ব্যবসায়ীরা দোকানপাট খোলা রাখতে পারলে নিজেদের খাবার-দাবারের সংস্থান হবে, কর্মচারীরা বেতন পাবেন।
তিনি বলেন, ‘সারা বছর ব্যবসায়ীরা এই সময়ের দিকে তাকিয়ে থাকেন। ঈদের সময় ক্ষয়ক্ষতি পুষিয়ে নেন। তিন ধাপে ব্যবসা ভেদে এ সময় কেনাবেচা হয়। রোজার আগের ১৫ দিন, রোজার প্রথম ১৫ দিন ও শেষ ১৫ দিন। এ সময়ে এসে দোকানপাট বন্ধ হওয়া মানে পথে বসা।’
নিউমার্কেটের ব্যবসায়ী আজহার আলী বলেন, ‘আমাদের দেয়ালে পিঠ ঠেকে গেছে। আমরা বাঁচতে চাই। মার্কেট ও দোকানপাট খুলে না দিলে দুর্ভিক্ষে মালিক ও কর্মচারীরা মারা যাবেন। বছরের আট-নয় মাস রমজানে বেচাকেনার জন্য অপেক্ষায় থাকি। তাই স্বাস্থ্যবিধি মেনে দোকানপাট খুলে দিতে হবে।
ঈদ ঘিরে দেশীয় বিভিন্ন ব্র্যান্ড পোশাকে নজরকাড়া ডিজাইন করেছে, আধুনিক রুচিশীল পোশাকও বাজারে এনেছে। দেশের বুটিক ও ফ্যাশন হাউজগুলোও ঈদের বাজার ধরতে ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়ে অতিরিক্ত পণ্য তৈরি করেছে।
ফ্যাশন হাউজ বালুচরের স্বত্বাধিকারী শাহীন চৌধুরী বলেন, বালুচরের পোশাকের বড় ক্রেতা তরুণ শ্রেণি। ঈদের জন্যই বিশেষ ডিজাইনের এসব পোশাক তৈরি হয়। অন্য সময় এমন পোশাক কম চলে। লকডাউনের কারণে পাইকারি ক্রেতারাও আসতে পারছে না। শো রুম বন্ধ থাকায় খুচরা বিক্রেতাও নেই। এখন লকডাউন শিথিল হওয়ার অনিশ্চিত অপেক্ষায় রয়েছি।
অর্থনীতিবিদরা বলছেন, ঈদ উৎসবের কেনাকাটায় শুধু বস্ত্র কিংবা জুতা নয়, ভোগ্যপণ্য, ইলেক্ট্রনিক পণ্য, ভ্রমণ, ফার্নিচার, গাড়ি ও আবাসন খাতসহ প্রতিটি সেক্টরে নগদ টাকার লেনদেন হয়। কিন্তু এবার এখন পর্যন্ত কোনো খাতই ব্যবসা করতে পারছে না।
রমজানের মধ্যে শসার বাজার চড়া দাম থাকলেও বর্তমানে শসাচাষিরা দাম পাওয়া নিয়ে বেশ বিপাকে পড়েছেন।
এমন দুঃসময়ে শসাচাষিদের পাশে দাঁড়িয়েছে দেশের অন্যতম রিটেইল চেইন সুপারশপ ‘স্বপ্ন’।
সম্প্রতি এক সংবাদমাধ্যমে প্রকাশ হয়, ন্যায্য দাম না পাওয়ায় হতাশ হয়ে পড়েছেন দিনাজপুরের খানসামা উপজেলার শসাচাষিরা। পাইকারি বাজারে প্রতি কেজি শসা বিক্রি হচ্ছে দুই থেকে চার টাকায়। ন্যায্য দাম পাচ্ছেন না চাষিরা।
এমন সময় সেই শসাচাষিদের সঙ্গে যোগাযোগ করে ন্যায্যমূল্যে কৃষিপণ্যটি কেনে ‘স্বপ্ন’ কর্তৃপক্ষ। সেই শসা এখন খোলাবাজারের চেয়ে কম দামে স্বপ্ন আউটলেটে পাওয়া যাচ্ছে।
খোলা বাজারে বৃহস্পতিবার ৪০ টাকা কেজিতে শসা বিক্রি করতে দেখা গেলেও স্বপ্ন আউটলেটে তা ১২ টাকা কেজিতে গ্রাহকরা কিনতে পেরেছেন। এরই মধ্যে দিনাজপুরের খানসামার ওই এলাকা থেকে দুই টন এবং ময়মনসিংহের হালুয়াঘাট এলাকা থেকে ছয় টন শসা কিনেছে স্বপ্ন প্রতিনিধি।
বর্তমানে তাদের উৎপাদিত শসা পৌঁছে গেছে স্বপ্নর আউটলেটে। স্টক থাকা অবধি এ অফার গ্রাহকরা পাবেন।
স্বপ্নর নির্বাহী পরিচালক সাব্বির হাসান নাসির বলেন, ‘আমরা শসাচাষিদের দুর্ভোগের কথা জানতে পেরেছি নিউজের মাধ্যমে। আমরা দিনাজপুর, ময়মনসিংহসহ বেশ কিছু এলাকার কৃষকের দুর্ভোগের কথা জানার পর তাদের কাছ থেকে শসা কিনেছি ন্যায্য মূল্যে।
‘অন্যান্য ব্যবসায়ীদেরও কৃষকদের জন্য এগিয়ে আসার আহ্বান থাকবে। মধ্যস্বত্বভোগীদের লাভবান না করে কৃষকদের সঙ্গে সরাসরি সেতুবন্ধের চেষ্টা করে আসছে স্বপ্ন। এ চেষ্টা সবসময় অব্যাহত থাকবে।’
এ প্রসঙ্গে স্বপ্নর হেড অফ পার্চেজ সাজ্জাদুল হক বলেন, “বিভিন্ন গণমাধ্যমে শসাচাষিদের সংকটের খবর দেখার পর আমরা সিদ্ধান্ত নিই যে, কৃষকদের পাশে আমরা দাঁড়াব। দিনাজপুর, ময়মনসিংহসহ বেশ কয়েকটি এলাকা থেকে এরই মধ্যে ৮ টন শসা আমরা কিনেছি।
“দুঃসময়ে কষ্টে থাকা অনেক কৃষকদের পাশে ‘স্বপ্ন’ এর আগেও দাঁড়িয়েছে। সামনেও পাশে থাকবে।”
দিনাজপুরের খানসামা এলাকার কৃষক সাকিব হোসেন বলেন, ‘প্রায় এক বিঘা জমিতে শসা চাষ করেছিলাম এবার। শসার বীজ, সারসহ নানা কাজে লাখ টাকা খরচ হয় আমার, কিন্তু ১০ রমজান অবধি কিছু শসা বিক্রি করার পর বাজারে শসার দাম কমে যায়। প্রতি কেজি ১০ টাকা, এরপর পাঁচ টাকা এবং সবশেষে আরও কম দামে বিক্রি করতে বাধ্য হয়। অনেক শসা নষ্ট হয়ে যায়। অনেক লোকসান হচ্ছিল।’
তিনি আরও বলেন, “আমার এলাকার এক সাংবাদিক নিউজ করার পর এসিআই কোম্পানির ‘স্বপ্ন’ থেকে যোগাযোগ করে আমার অনেকগুলো শসা কিনে নিয়েছেন উনারা। এতে করে লোকসানের অনেক ঘাটতি পূরণ হয়েছে আমার। তাদের অশেষ ধন্যবাদ।”
আরও পড়ুন:দেশের বাজারে ২২ ক্যারেটের প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ২ হাজার ৬৫ টাকা বাড়িয়ে রেকর্ড ১ লাখ ১৯ হাজার ৬৩৮ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। এ নিয়ে চলতি বছরের সাড়ে তিন মাসে অষ্টমবারের মতো স্বর্ণের দাম সমন্বয় করা হলো।
বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতি (বাজুস) বাজুস স্ট্যান্ডিং কমিটি অন প্রাইসিং অ্যান্ড প্রাইস মনিটরিং কমিটি বৃহস্পতিবার বৈঠক করে দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেয়। পরবর্তীতে কমিটির চেয়ারম্যান মাসুদুর রহমান সই করা এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, স্থানীয় বাজারে তেজাবী স্বর্ণের (পাকা স্বর্ণ) দাম বাড়ার পরিপ্রেক্ষিতে এই দাম বাড়ানো হয়েছে। নতুন নির্ধারিত এই দাম বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা থেকেই কার্যকর হবে।
বিজ্ঞপ্তির তথ্য অনুযায়ী- ২২ ক্যারেটের প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ২ হাজার ৬৫ টাকা বেড়ে ১ লাখ ১৯ হাজার ৬৩৮ টাকা, ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি স্বর্ণ ১ হাজার ৯৯৪ টাকা বেড়ে ১ লাখ ১৪ হাজার ২০২ টাকা, ১৮ ক্যারেট প্রতি ভরি স্বর্ণ ১ হাজার ৬৫৬ টাকা বেড়ে ৯৭ হাজার ৮৮৪ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণ ১ হাজার ৩৮৮ টাকা কমে ৭৮ হাজার ৮০২ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, সবশেষ দশ দিন আগে ৮ এপ্রিল বাজুস ২২ ক্যারেটের প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ১ হাজার ৭৪৯ টাকা বাড়িয়ে ১ লাখ ১৭ হাজার ৫৭৩ টাকা নির্ধারণ করে। এতে অতীতের সব রেকর্ড ভেঙে স্বর্ণের সর্বোচ্চ দামের নতুন রেকর্ড সৃষ্টি হয়। ১০ দিনের ব্যবধানে আবারও দাম বৃদ্ধির মধ্য দিয়ে দেশের স্বর্ণের বাজারে উচ্চ দামের নতুন রেকর্ড সৃষ্টি হলো।
অবশ্য স্বর্ণের গহনা কিনতে ক্রেতাদের আরও বেশি অর্থ গুনতে হবে। কারণ বাজুস নির্ধারণ করা দামের ওপর ৫ শতাংশ ভ্যাট যোগ করে স্বর্ণের গহনা বিক্রি করা হয়। সেসঙ্গে ভরি প্রতি মজুরি ধরা হয় ন্যূনতম ৩ হাজার ৪৯৯ টাকা। ফলে ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের গহনা কিনতে ক্রেতাদের গুনতে হবে ১ লাখ ২৯ হাজার ১১৯ টাকা।
এদিকে স্বর্ণের দাম বাড়ানো হলেও অপরিবর্তিত রয়েছে রুপার দাম। ২২ ক্যারেটের এক ভরি রুপার দাম ২ হাজার ১০০ টাকা, ২১ ক্যারেট ২ হাজার ৬ টাকা, ১৮ ক্যারেট ১ হাজার ৭১৫ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির এক ভরি রুপার দাম ১ হাজার ২৮৩ টাকা নির্ধারণ করা আছে।
আরও পড়ুন:বোতলজাত সয়াবিন তেলের দাম বাড়ানোর ঘোষণা দিয়েছেন বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু।
খোলা সয়াবিন তেলের দাম কমার কথাও জানিয়েছেন তিনি।
সচিবালয়ে বৃহস্পতিবার সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানান তিনি।
সয়াবিন তেলের দাম নিয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘…১৪৯ টাকা যেটা খোলাবাজারে ছিল, সেটাকে দুই টাকা কমিয়ে ১৪৭ টাকা সর্বোচ্চ খোলাবাজারে সয়াবিন তেল বিক্রি হবে।
‘আর আমাদের সয়াবিন তেলের প্রতি লিটার, বোতল যেটা, পেট বোতলে যেটা, যেটার মধ্যে সিল করা থাকে, সেইটা আমাদের নির্ধারিত ছিল ১৬৩ টাকা। সেইখান থেকে বৃদ্ধি করে ১৬৭ টাকায় নির্ধারণ করা হয়েছে।’
খোলা সয়াবিন তেলের পাঁচ লিটারের বোতলের দামের বিষয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘আর খোলাবাজারে সয়াবিন তেল পাঁচ লিটারের বোতল ৮০০ টাকা ছিল। সেটাকে ৮১৮ টাকায় নির্ধারণ করা হয়েছে।’
পাম অয়েলের দাম নিয়ে টিটু বলেন, ‘সুপার পাম অয়েল তেল প্রতি লিটার, এটা আগে নির্ধারণ করা ছিল না। এবার আমরা নির্ধারণ করে দিচ্ছি। সর্বোচ্চ খুচরা মূল্য ১৩৫ টাকা লিটার।
‘তো এই চারটা পণ্যের দাম, এইটা কিন্তু আমরা নির্ধারণ করলাম না। আমাদের যারা অ্যাসোসিয়েশনের, তাদের রিকমেন্ডেশনে এবং আমাদের ট্যারিফ কমিশনের অনুমোদনক্রমে উনারা উনাদের অ্যাসোসিয়েশন থেকে চিঠি দিয়ে আগামীকাল থেকে এই মূল্য উনাদের মিল গেট থেকে উনারা কার্যকরী করবে।’
আরও পড়ুন:কেন্দ্রীয় ব্যাংক সম্প্রতি জানিয়েছিল যে আর কোনো ব্যাংককে একীভূতকরণের সুযোগ দেয়া হবে না। তবে সিদ্ধান্ত থেকে সরে এসে বিদেশি ব্যাংক আলফালাহকে অধিগ্রহণের জন্য ব্যাংক এশিয়াকে অনুমতি দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
নতুন মাত্রার অংশ হিসেবে বাংলাদেশের বেসরকারি বাণিজ্যিক ব্যাংক এশিয়া বিদেশি ব্যাংক আলফালাহকে অধিগ্রহণের পরিকল্পনা করছে। সূত্র: ইউএনবি
করাচিভিত্তিক ব্যাংক আলফালাহ বুধবার (১৭ এপ্রিল) পাকিস্তান স্টক এক্সচেঞ্জকে এ তথ্য জানিয়েছে।
প্রকাশিত তথ্যে জানা যায়, ব্যাংক আলফালাহ লিমিটেডের পরিচালনা পর্ষদ ব্যাংক এশিয়া লিমিটেডের বাংলাদেশ পরিচালনা, সম্পদ ও দায় অধিগ্রহণের জন্য প্রাপ্ত বাধ্যবাধকতামুক্ত ইঙ্গিতমূলক প্রস্তাবের ক্ষেত্রে নীতিগত অনুমোদন দিয়েছে।
এতে বলা হয়, ব্যাংক আলফালাহ বাংলাদেশের ব্যাংক এশিয়ার জন্য যথাযথ কার্যক্রম শুরুর জন্য স্টেট ব্যাংক অফ পাকিস্তানের অনুমোদন চাইছে।
ব্যাংক এশিয়ার ব্যবস্থাপনা পরিচালক সোহেল আর কে হুসেইন বলেন, ‘এটি একটি চলমান প্রক্রিয়া এবং এটি একীভূতকরণ নিয়ে খুব বেশি আলোচনার অংশ নয়।’
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, আগামী সপ্তাহে দুই ব্যাংকের নির্বাহীদের সঙ্গে বৈঠকে অধিগ্রহণের বিষয়টি চূড়ান্ত রূপ পাবে বলে।
বিষয়বস্তু অবহিত না করে ওয়ালটনের আদর্শ ও নীতিমালার পরিপন্থিভাবে ‘রূপান্তর’ শিরোনামের একটি নাটক প্রচার করায় বিজ্ঞাপনী প্রতিষ্ঠান ‘লোকাল বাস এন্টারটেইনমেন্ট’কে আইনি নোটিশ পাঠিয়েছে ওয়ালটন।
পাশাপাশি প্রতিষ্ঠানটির সঙ্গে সব ধরনের বিজ্ঞাপনী চুক্তি বাতিল করা হয়েছে। একইসঙ্গে বিষয়টির জন্য ওয়ালটন গ্রুপ ক্রেতা ও শুভাকাঙ্ক্ষীদের নিকট আন্তরিকভাবে দুঃখ প্রকাশ করেছে।
ওয়ালটনের পক্ষ থেকে বিজ্ঞাপনী প্রতিষ্ঠান ‘লোকাল বাস এন্টারটেইনমেন্ট’ এর স্বত্বাধিকারী মোহন আহমেদকে মঙ্গলবার ওই আইনি নোটিশ পাঠানো হয়।
ওয়ালটনের পক্ষে বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের অ্যাডভোকেট রাইসুল ইসলাম রিয়াদ স্বাক্ষরিত আইনি নোটিশে উল্লেখ করে যা বলা হয়, ‘আপনি লোকাল বাস এন্টারটেইনমেন্ট বিজ্ঞাপনী প্রতিষ্ঠান এর স্বত্বাধিকারী। আপনার প্রস্তাবের পরিপ্রেক্ষিতে আপনার নির্মিত ছয়টি নাটকে ওয়ালটন ফ্রিজ ব্র্যান্ডিং করতে সম্মত হয়। শর্ত থাকে যে, উক্ত নাটকসমূহে দেশের আইন, নীতি, নৈতিকতা বা ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত হয় এরকম কোনো বিষয় অর্ন্তভুক্ত হবে না। কিন্তু অত্যন্ত দুঃখজনক যে, উক্ত নাটকসমূহের মধ্যে ‘রূপান্তর’ নাটকটিতে এমন কিছু বিষয় অর্ন্তভুক্ত করা হয়েছে, যাতে বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে ও মানুষের অনুভূতিতে আঘাত লেগেছে।’
নোটিশে আরও বলা হয়, ‘ওয়ালটন কর্তৃপক্ষকে নাটকটির বিষয়বস্তু সম্পর্কে পূর্বে অবহিত না করে রূপান্তর নাটক প্রচার করায় আপনার সঙ্গে চুক্তি বাতিল করা হলো এবং সেই সঙ্গে কেন আপনার বিরুদ্ধে ওয়ালটনের আদর্শ ও নীতিমালার পরিপন্থিভাবে নাটক প্রচারের জন্য আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে না, তা নোটিশ প্রাপ্তির সাত দিনের মধ্যে জানানোর জন্য বলা হলো।’
এর আগে ফেসবুক-ইউটিউবসহ বিভিন্ন সামাজিক মাধ্যম থেকে ‘রূপান্তর’ নাটকটি প্রত্যাহারের জন্য বিজ্ঞাপনী সংস্থাকে নির্দেশ দেয় ওয়ালটন। তাৎক্ষণিকভাবে ফেসবুক-ইউটিউবসহ সব মাধ্যম থেকে নাটকটি প্রত্যাহার করে নেয়া হয়।
এরপর বিজ্ঞাপনী সংস্থার সঙ্গে চুক্তি বাতিল করে ওয়ালটন গ্রুপের আদর্শ ও নীতিমালার পরিপন্থি নাটকে বিজ্ঞাপন প্রচারের জন্য কেন আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে না তা জানতে চেয়ে বিজ্ঞাপনী সংস্থা ‘লোকাল বাস এন্টারটেইনমেন্ট’কে লিগাল নোটিশ দেয় ওয়ালটন কর্তৃপক্ষ।
আনুষ্ঠানিক বিবৃতিতে ওয়ালটনের ভাষ্য, দেশের মানুষের ধর্মীয় ও সামাজিক অনুভূতিতে আঘাত করে এমন কোনো কর্মকাণ্ড কখনও তারা সমর্থন করে না এবং এসব কর্মকাণ্ডে সম্পৃক্ত থাকে না। অনাকাঙ্ক্ষিত এই বিষয়টির জন্য ওয়ালটন গ্রুপ মর্মাহত এবং সম্মানিত ক্রেতা ও শুভাকাঙ্ক্ষীদের নিকট আন্তরিকভাবে দুঃখ প্রকাশ করেছে।
আরও পড়ুন:রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকের উপব্যবস্থাপনা পরিচালক পদে পদোন্নতি পেয়েছেন রূপালী ব্যাংক পিএলসির মহাব্যবস্থাপক মো. ফয়েজ আলম। সম্প্রতি অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের এক প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে সরকার কর্তৃক পদোন্নতিপ্রাপ্ত হয়ে তিনিসহ রাষ্ট্রায়ত্ত বিভিন্ন ব্যাংকের আট জন মহাব্যবস্থাপককে উপব্যবস্থাপনা পরিচালক পদে পদোন্নতি দেয়া হয়।
ডিএমডি হিসেবে পদোন্নতি হওয়ার আগে তিনি রূপালী ব্যাংক পিএলসিতে মহাব্যবস্থাপকের দায়িত্ব পালন করেছেন।
মো. ফয়েজ আলম ১৯৯৮ সালে বিআরসির মাধ্যমে সিনিয়র অফিসার পদে রূপালী ব্যাংকে যোগদান করেন। কর্মজীবনে ব্যাংকের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ শাখার শাখা ব্যবস্থাপক, জোনাল অফিস এবং প্রধান কার্যালয়ের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ বিভাগের প্রধানের দায়িত্ব পালন করেন। পেশাগত প্রয়োজনে তিনি যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, ইউরোপ ও আরব অঞ্চলের বিভিন্ন দেশ ভ্রমণসহ দেশ-বিদেশে ব্যাংকিং বিষয়ে প্রশিক্ষণ ও সেমিনারে অংশগ্রহণ করেছেন।
ফয়েজ আলমের জন্ম ১৯৬৮ সালে নেত্রকোনার আটপাড়া উপজেলার যোগীরনগুয়া গ্রামে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগ থেকে বিএ অনার্সসহ এমএ পাশ করার পর এমফিল ডিগ্রিও অর্জন করেন খ্যাতিমান এই ব্যাংকার।
পেশাগত জীবনের বাইরে ফয়েজ আলম একজন সফল লেখকও। বাংলাদেশে তিনি অগ্রণী উত্তর উপনিবেশী তাত্ত্বিক, প্রাবন্ধিক ও কবি হিসেবে বিশেষ খ্যাতিমান। এডওয়ার্ড সাঈদের বিখ্যাত গ্রন্থ অরিয়েন্টালিজম-এর অনুবাদক হিসেবেও তার আলাদা খ্যাতি আছে। তার পনেরটির বেশি গ্রন্থ এ পর্যন্ত প্রকাশিত হয়েছে।
ভোজ্যতেলের ওপর শুল্ক অব্যাহতির সময়সীমা শেষ হয়েছে সোমবার (১৫ এপ্রিল)। এ অবস্থায় নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যটির দাম লিটারে ১০ টাকা বাড়ানোর প্রস্তাব করেছেন ব্যবসায়ীরা। তবে বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু বলেছেন, ভোজ্যতেলের দাম বাড়ানোর কোনো সুযোগ নেই।
বাংলাদেশ ভেজিটেবল অয়েল রিফাইনার্স অ্যান্ড বনস্পতি ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশন (বিভিওআরভিএমএফএ) সোমবার বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিবকে একটি চিঠি পাঠিয়েছে।
বিভিওআরভিএমএফএ’র নির্বাহী কর্মকর্তা নুরুল ইসলাম মোল্লার পাঠানো চিঠিতে বলা হয়েছে, কাঁচামাল আমদানি ও ভোজ্যপণ্য উৎপাদনে কর অব্যাহতির মেয়াদ ১৫ এপ্রিল শেষ হচ্ছে বিধায় পরদিন ১৬ এপ্রিল থেকে ভ্যাট অব্যাহতির আগের নির্ধারিত মূল্যে পণ্য সরবরাহ করা হবে।
নতুন দাম অনুযায়ী, প্রতি লিটার সয়াবিন তেলের বোতল ১৭৩ টাকা, পাঁচ লিটারের বোতল ৮৪৫ টাকা ও এক লিটার পাম তেল ১৩২ টাকায় বিক্রি করা হবে।
জাতীয় রাজস্ব বোর্ড গত ফেব্রুয়ারিতে পরিশোধিত ও অপরিশোধিত (অপরিশোধিত) সয়াবিন ও পাম তেলের মূল্য সংযোজন কর ১৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ১০ শতাংশ নির্ধারণ করে।
এদিকে মঙ্গলবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে আয়োজিত মিট দ্য প্রেস অনুষ্ঠানে বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু বলেন, ‘ভোজ্যতেলের দাম বাড়ানোর কোনো সুযোগ নেই। ভোজ্যতেলের দাম আন্তর্জাতিক বাজার দরের সঙ্গে সমন্বয় করা যেতে পারে, তবে সময় লাগবে।
‘ভোজ্যতেলের নতুন চালান আমদানির ক্ষেত্রে দাম বাড়ানোর বিষয়টি বিবেচনা করা হবে।’
আরও পড়ুন:
মন্তব্য