× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য ইভেন্ট শিল্প উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ কী-কেন ১৫ আগস্ট আফগানিস্তান বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও ক্রিকেট প্রবাসী দক্ষিণ এশিয়া আমেরিকা ইউরোপ সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ শারীরিক স্বাস্থ্য মানসিক স্বাস্থ্য যৌনতা-প্রজনন অন্যান্য উদ্ভাবন আফ্রিকা ফুটবল ভাষান্তর অন্যান্য ব্লকচেইন অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

অর্থ-বাণিজ্য
ওটিসিতে ইউনাইটেড এয়ারওয়েজ
google_news print-icon

ওটিসিতে ইউনাইটেড এয়ারওয়েজ

ওটিসিতে-ইউনাইটেড-এয়ারওয়েজ
স্টক এক্সচেঞ্জে তালিকাভুক্ত অস্তিত্বহীন ও দুর্বল কোম্পানিগুলোকে নিয়ন্ত্রক সংস্থার নির্দেশে মূলবাজার থেকে আলাদা করে ওটিসি বাজারে স্থানান্তর করা হয়।

ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ায় মূল পুঁজিবাজার থেকে সরিয়ে নেয়া হচ্ছে ইউনাইটেড এয়ারওয়েজ লিমিটেডকে। এখন থেকে কোম্পানিটির শেয়ার লেনদেন হবে ওভার দ্য কাউন্টার মার্কেটে (ওটিসি)।

বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) চেয়ারম্যান শিবলী রুবাইয়াত-উল ইসলাম স্বাক্ষরিত এক নির্দেশনায় মঙ্গলবার দেশের দুই স্টক এক্সচেঞ্জকে তা জানিয়ে দেয়া হয়েছে।

এতে বলা হয়, দুর্বল মৌলভিত্তি ও উচ্চ ঝুঁকি বিবেচনায় ইউনাইটেড এয়ারওয়েজকে ওটিসি মার্কেটে প্রেরণ করা হলো, যা বুধবার থেকে কার্যকর হবে।

স্টক এক্সচেঞ্জে তালিকাভুক্ত অস্তিত্বহীন ও দুর্বল কোম্পানিগুলোকে নিয়ন্ত্রক সংস্থার নির্দেশে মূলবাজার থেকে আলাদা করে ওটিসি বাজারে স্থানান্তর করা হয়।

২০১০ সালে তালিকাভুক্ত হওয়ার পর থেকে ২০১৫ সাল পর্যন্ত ধারাবাহিকভাবে বিনিয়োগকারীদের লভ্যাংশ প্রদান করেছে ইউনাইটেড এয়ারওয়েজ।

এরপর থেকেই স্থবির হয়ে পরে কোম্পানিটি। তালিকাভুক্তির এক বছরের ব্যবধানে একটি শেয়ারের বিপরীতে একটি শেয়ার (রাইট) ইস্যু করে পুঁজিবাজার থেকে অর্থ উত্তোলন করা হয়েছিল।

বতর্মানে কোম্পানিটির পরিশোধিত মূলধনের পরিমাণ ৮২৩ কোট টাকা। মোট শেয়ারের ৮৬.৪৩ শতাংশ শেয়ার রয়েছে বিনিয়োগকারীদের হাতে।

আরও পড়ুন:
অস্বাভাবিক লেনদেন ও দাম বৃদ্ধি তদন্তের নির্দেশ বিএসইসির
দুই বছরের সর্বোচ্চ অবস্থানে পুঁজিবাজার
২২ মাসের সর্বোচ্চ অবস্থানে পুঁজিবাজার
পুঁজিবাজারে লেনদেন কমল হাজার কোটি টাকা
শেয়ারের দাম অস্বাভাবিক বাড়ায় তিন প্রতিষ্ঠানকে নোটিশ

মন্তব্য

আরও পড়ুন

অর্থ-বাণিজ্য
Another day or two to get the final decision on the seat sharing of 14 parties

১৪ দলে আসন ভাগাভাগির চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত পেতে আরও এক-দুদিন

১৪ দলে আসন ভাগাভাগির চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত পেতে আরও এক-দুদিন
আওয়ামী লীগের সঙ্গে ১৪ দলীয় জোটের শরিকদের বৈঠক শেষে নেতারা বলেন, মূল দল আওয়ামী লীগের কাছে চাহিদা জানানো হয়েছে। এক-দুদিনের মধ্যেই বিয়ষটি চূড়ান্ত হবে।

১৪ দলীয় জোটের আসন ভাগাভাগি এখনো চূড়ান্ত হয়নি বলে জানিয়েছেন শরিক দলের নেতারা।

রোববার রাতে আওয়ামী লীগের সঙ্গে ১৪ দলীয় জোটের বৈঠক শেষে তারা বলেন, মূল দল আওয়ামী লীগের কাছে শরিকদের চাহিদা জানানো হয়েছে। দু-একদিনের মধ্যেই বিয়ষটি চূড়ান্ত হবে।

আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজমের সংসদ ভবনের বাসায় এ বৈঠক হয়।

এতে আওয়ামী লীগের পক্ষে দলটির উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য এবং ১৪ দলীয় জোটের মুখপাত্র ও সমন্বয়ক আমির হোসেন আমু এবং দলটির সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের, সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফ, আ ফ ম বাহাউদ্দীন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম উপস্থিত ছিলেন।

জোটের নেতাদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন, জাসদের সভাপতি হাসানুল হক ইনু ও সাধারণ সম্পাদক শিরিন আখতার, সাম্যবাদী দলের সাধারণ সম্পাদক দিলীপ বড়ুয়া, তরিকত ফেডারেশনের চেয়ারম্যান সৈয়দ নজিবুল বশর মাইজভান্ডারি, জাতীয় পার্টি- জেপির সভাপতি আনোয়ার হোসেন মঞ্জু ও সাধারণ সম্পাদক শেখ শহীদুল ইসলাম, গণতন্ত্রী পার্টির সাধারণ সম্পাদক শাহাদাত হোসেন, গণআজাদী লীগের সভাপতি এস কে শিকদার।

বৈঠক শেষে জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জাসদ) সভাপতি হাসানুল হক ইনু বলেন, ১৪ দলীয় জোট এক সঙ্গে নির্বাচন করবে। জোটের যারা প্রার্থী হবেন তারা নৌকা প্রতীকে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবেন।

তিনি বলেন, আসন বণ্টনের বিষয়টি এখনো তারা বিবেচনা করছেন। আজকে আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে আসন বণ্টনের বিষয়টি চূড়ান্ত করা সম্ভব হয়নি। তারা আরও দুই-একদিন সময় চেয়েছেন। দুই-একদিনের মধ্যে চূড়ান্ত করলে জোটের প্রার্থীদের তালিকা আমরা দেশবাসীকে জানাতে পারব। রাজনৈতিকভাবে ১৪ দল এক সঙ্গে আছে, এক সঙ্গে নির্বাচন করবে।

তিনি আরও বলেন, জোটের প্রার্থীদের তালিকা এখনও চূড়ান্ত করতে পারেনি আওয়ামী লীগ। কোন দলের কে প্রার্থী হবেন, কোন আসন থেকে হবেন, সেই তালিকাটা এখনও চূড়ান্ত হয়নি। আওয়ামী লীগের সঙ্গে জোটগত আসনগুলো ছাড়া বাকি আসন উন্মুক্ত থাকবে। উন্মক্ত আসনগুলোতে প্রতিটি দল নিজ নিজ প্রতীকে নির্বাচন করবে।

ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন বলেন, এখন পর্যন্ত কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। আজকে একটি বিষয় আলোচনা হয়েছে, সেটা হচ্ছে সিট সমঝোতা। তারা (আওয়ামী লীগ) বলেছে আলোচনা করবে। আমার কাছে মনে হয়েছে তারা এখনো তালিকা প্রস্তুত করতে পারেনি।

তরিকত ফেডারেশনের সভাপতি নজিবুল বসর মাইজভান্ডারী বলেন, ১৪ দলীয় শরিকদের বিষয়ে এক ধরনের সিদ্ধান্ত হয়েছে। তবে জোটে যারা যুক্ত হয়েছেন তাদের বিষয়ে আরও আলোচনা হবে।

মন্তব্য

অর্থ-বাণিজ্য
If you dont tell the amount of expenses and the source of money in the election every day the case is filed

প্রতিদিন নির্বাচনে কত ব্যয় এবং অর্থের উৎস কী, না জানালে মামলা

প্রতিদিন নির্বাচনে কত ব্যয় এবং অর্থের উৎস কী, না জানালে মামলা ফাইল ছবি
নির্দেশনায় বলা হয়েছে, প্রত্যেক নির্বাচনি এজেন্টকে অথবা এজেন্ট নিয়োগ করা না হলে প্রার্থী কর্তৃক নিজে নির্বাচনি ব্যয় নির্বাহের জন্য (ব্যক্তিগত ব্যয় ব্যতীত) তফসিলি ব্যাংকে পৃথক অ্যাকাউন্ট প্রয়োজন হবে। সেই ব্যাংক অ্যাকাউন্ট থেকে ব্যক্তিগত ব্যয় ব্যতীত নির্বাচন সংক্রান্ত ব্যয়ের সমূদয় অর্থ পরিশোধ করতে হবে।

আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রার্থীদের যে কোনো তফসিলি ব্যাংকের একটি নির্দিষ্ট অ্যাকাউন্ট থেকে নির্বাচনি ব্যয় করতে হবে। সেই অ্যাকাউন্ট থেকে প্রতিদিনের ব্যয়ের হিসেব দাখিল করতে হবে প্রার্থীদের। এমন নির্দেশনা দিয়ে কোনো প্রার্থী নির্বাচনি ব্যয়ের হিসাব জমা না দিলে তার বিরুদ্ধে মামলা দেয়ার জন্য রিটার্নিং কর্মকর্তাদের বলেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।

রোববার প্রার্থীদের বিষয়গুলো জানাতে রিটার্নিং কর্মকর্তাদের কাছে নির্দেশনা পাঠিয়েছেন ইসির নির্বাচন ব্যবস্থাপনা শাখার উপ-সচিব মো. আতিয়ার রহমান।

নির্দেশনায় বলা হয়েছে, প্রত্যেক নির্বাচনি এজেন্টকে অথবা এজেন্ট নিয়োগ করা না হলে প্রার্থী কর্তৃক নিজে নির্বাচনি ব্যয় নির্বাহের জন্য (ব্যক্তিগত ব্যয় ব্যতীত) তফসিলি ব্যাংকে পৃথক অ্যাকাউন্ট প্রয়োজন হবে। সেই ব্যাংক অ্যাকাউন্ট থেকে ব্যক্তিগত ব্যয় ব্যতীত নির্বাচন সংক্রান্ত ব্যয়ের সমূদয় অর্থ পরিশোধ করতে হবে।

নির্দেশনায় নির্বাচনি ব্যয় দাখিলের ক্ষেত্রে ছয়টি বিষয় উল্লেখ থাকতে হবে-

প্রত্যেক দিন ব্যয় হওয়া অর্থের বিবরণীসহ পরিশোধিত অর্থের সব বিল, রসিদ ও ভাউচার। আদেশের অনুচ্ছেদ ৪৪ খখ এর দফাতে (ক) বর্ণিত তফসিলি ব্যাংকে খোলা অ্যাকাউন্টে জমা অর্থ এবং ওই অ্যাকাউন্ট থেকে উত্তোলিত অর্থের প্রত্যয়িত বিবরণী।

প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী কর্তৃক ব্যক্তিগত খরচ, যদি থাকে তা। নির্বাচনি এজেন্ট অবহিত আছেন এমন সব বিতর্কিত দাবির বিবরণী।

নির্বাচনি এজেন্ট অবহিত আছেন এমন সব অপরিশোধিত দাবির একটি বিবরণী। নির্বাচনি খরচের জন্য যে কোন উৎস থেকে প্রাপ্ত সব অর্থপ্রাপ্তির প্রমাণসহ ওই অর্থের প্রত্যেক উৎসের নাম উল্লেখ করে বিবরণী।

নির্দেশনায় আরও বলা হয়েছে, নির্বাচনি ব্যয়ের রিটার্ন দাখিল সংক্রান্ত বিধান সংশ্লিষ্ট সবাইকে জানিয়ে দেবেন। তারপরও যদি কেউ ওই বিধান কেউ লঙ্ঘন করেন তা হলে তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।

এতে বলা হয়, যে ক্ষেত্রে নির্বাচনের বিরুদ্ধে নির্বাচনি মামলা হবে না, সেক্ষেত্রে অপরাধ সংঘটিত হওয়ার দিন থেকে ছয় মাসের মধ্যে দোষী ব্যক্তির বিরুদ্ধে মামলা করতে হবে এবং যে নির্বাচনে অপরাধ সংঘটিত হবে যদি ওই নির্বাচন হাইকোর্ট বিভাগের বিচারাধীন থাকে এবং হাইকোর্ট বিভাগ ওই অপরাধ সম্পর্কে কোনো আদেশ দিলে তার তিন মাসের মধ্যে রিটার্নিং অফিসারকে উপযুক্ত আদালতে মামলা করতে হবে।

নির্দেশনায় আরও বলা হয়েছে, মামলার জন্য নির্বাচন কমিশনের পূর্বানুমতির প্রয়োজন নেই। ফলে এ বিষয়ে নির্বাচনের ফলাফল প্রকাশের পর বিভিন্নভাবে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের অবহিত করে ব্যয়ের রিটার্ন দাখিল নিশ্চিত করা আবশ্যক।

ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী, আগামী ৭ জানুয়ারি দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের ভোট হবে। এখন চলছে ইসিতে প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র ফেরানোর আপিলের শুনানি। সর্বশেষ রোববার শুনানিতে ৫৬ জন প্রার্থিতা ফিরে পেয়েছেন।

আরও পড়ুন:
সরকারি সুবিধা নিয়ে জনসভায়, প্রতিমন্ত্রী ফরহাদকে শো-কজ
ভোটকেন্দ্রে গোপনীয়তায় হস্তক্ষেপ করলে ব্যবস্থার নির্দেশ ইসির
প্রথম দিনে ৫৬ জনের প্রার্থিতা ফিরল

মন্তব্য

অর্থ-বাণিজ্য
The family wants to know the real cause of Fuads death in Rabir Hall

রাবির হলে ফুয়াদের মৃত্যু, প্রকৃত কারণ জানতে চায় পরিবার

রাবির হলে ফুয়াদের মৃত্যু, প্রকৃত কারণ জানতে চায় পরিবার ফুয়াদ আল খতিব। ছবি: সংগৃহীত
ফুয়াদের চাচা গাইবান্ধা শহরের আদর্শ দ্বি-মুখী আলিম মাদরাসার সুপারিনটেনডেন্ট রুহুল আমিন নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আমরা শুনেছি ওর মুখ দিয়ে নাকি লালা-রক্ত পড়েছে। শরীর কালো হয়ে গিয়েছিল। বিষয়টি আমরা বুঝতে পারছি না। শুনেছি তদন্ত হচ্ছে। আমরা ওর মৃত্যুর প্রকৃত কারণটা জানতে চাই।’

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) আবাসিক হলে ফুয়াদ আল খতিবের মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানতে চায় পরিবার। শনিবার বাড়ি থেকে ক্যাম্পাসে ফেরার পর হল থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করে সহপাঠিরা।

ফুয়াদ আল খতিবের বাড়ি গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার ধোপাডাঙ্গা ইউনিয়নের ধোপাডাঙ্গা গ্রামে। তিনি চাপাদহ এতিমখানা দ্বিমুখী দাখিল মাদরাসার সুপারিনটেনডেন্ট আমিনুল ইসলামের ছেলে।

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজকর্ম বিভাগের মাস্টার্সের শিক্ষার্থী ছিলেন ফুয়াদ। তিনি থাকতেন শহীদ শামসুজ্জোহা হলের ১৮৪ নম্বর সিঙ্গেল কক্ষে। তার মাস্টার্সের পরীক্ষা চলছে।

ফুয়াদ আল খতিবের এমন আকস্মিক মৃত্যুর খবরে শোকস্তব্ধ মা-বাবাসহ পুরো পরিবার। তারা ফুয়াদের মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানতে চান।

ফুয়াদের চাচা গাইবান্ধা শহরের আদর্শ দ্বি-মুখী আলিম মাদরাসার সুপারিনটেনডেন্ট রুহুল আমিন মোবাইল ফোনে নিউজবাংলাকে বলেন, ‘এরকম একটি আকস্মিক মৃত্যুরে খবরে আমরা হতবিহ্বল অবস্থার মধ্যে আছি। গতকালই (শনিবার) ছেলেটা বাড়ি থেকে ক্যাম্পাসে ফিরে যায়। এরপর আমরা ওর মৃত্যুর খবর পাই।’

তিনি জানান, ফুয়াদ শুক্রবার অনুষ্ঠিত সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক পদের নিয়োগ পরীক্ষা দেয়ার জন্য বাড়িতে এসেছিলেন। পরীক্ষা দিয়ে পরদিন শনিবার দুপুর ১২টার দিকে তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্দেশে বাড়ি থেকে বেরিয়ে যান।

ধোপাডাঙ্গা গ্রামে ফুয়াদের এক বন্ধুর ফেসবুক ম্যাসেঞ্জারের চ্যাটিংয়ের বরাত দিয়ে রুহুল আমিন বলেন, ‘ফুয়াদ ওর বন্ধুকে শনিবার রাত ১২টার দিকে ম্যাসেজের মাধ্যমে জানায় যে ওর প্রাইমারির নিয়োগ পরীক্ষা ভাল হয়েছে। ওই ম্যাসেজ আমি দেখেছি। ফুয়াদ বিশ্ববিদ্যালয়ের হল থেকে চ্যাটিং করছিল।’

এক প্রশ্নের জবাবে চাচা রুহুল আমিন বলেন, ‘ফুয়াদ অত্যন্ত নরম ও শান্ত স্বভাবের ছেলে ছিল। বাড়িতে আসার পর ওর মাঝে কোনো অস্বাভাবিকতা আমরা দেখিনি। আত্মহত্যা করতে পারে- এমন ঘটনা আছে বলে আমাদের মনে হয় না।’

তিনি আরো বলেন, ‘আমরা শুনেছি ওর (ফুয়াদ) মুখ দিয়ে নাকি লালা-রক্ত পড়েছে। শরীর কালো হয়ে গিয়েছিল। বিষয়টি আমরা বুঝতে পারছি না। শুনেছি তদন্ত হচ্ছে। আমরা ওর মৃত্যুর প্রকৃত কারণটা জানতে চাই।’

শনিবার বাড়ি থেকে ফিরে রাতের খাওয়া-দাওয়া শেষে মশারি টানিয়ে সিঙ্গেল রুমে ঘুমিয়ে পড়েন ফুয়াদ। আগের দিন জার্নি করে ফেরায় সকালে তার রুমে তাকে কেউ ডাকতে যায়নি। রোববার দুপুর পর্যন্ত ঘুম থেকে না উঠলে পাশের কক্ষের এক বন্ধু ডাকাডাকি করেন। সাড়া না পেয়ে তিনি ফুয়াদের শরীর ধরে নাড়া দেন। এ সময় তিনি দেখতে পান যে ফুয়ালের মুখ দিয়ে লালা পড়ছে এবং পুরো শরীর কালো হয়ে গেছে। পরে কয়েক বন্ধু মিলে বিকেল ৩টার দিকে অচেতন অবস্থায় ফুয়াদকে রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে দায়িত্বরত চিকিৎসকরা জানান যে ফুয়াদ কয়েক ঘণ্টা আগেই মারা গেছেন।

মন্তব্য

অর্থ-বাণিজ্য
It is human rights abusers who prescribe it which is unfortunate Information Minister

মানবাধিকার লঙ্ঘনকারীরাই এর প্রেসক্রিপশন দেয়, যা দুর্ভাগ্য: তথ্যমন্ত্রী

মানবাধিকার লঙ্ঘনকারীরাই এর প্রেসক্রিপশন দেয়, যা দুর্ভাগ্য: তথ্যমন্ত্রী জাতীয় প্রেসক্লাবে রোববার আয়োজিত স্মরণসভায় বক্তব্য দেন তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ। ছবি: নিউজবাংলা
হাছান মাহমুদ বলেন, ‘দেশে আগুন-সন্ত্রাস চালিয়ে মানুষকে পুড়িয়ে হত্যা এবং অবরোধ ডেকে দিনের পর দিন মানুষকে যারা অবরুদ্ধ করে রাখতে চায়, চোরাগোপ্তা হামলা চালিয়ে মানুষের অধিকার হরণ করে, তারাই আবার প্রেসক্লাবের সামনে দাঁড়িয়ে মানবাধিকারের কথা বলে।’

তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, আমাদের দুর্ভাগ্য যে, চরম মানবাধিকার লঙ্ঘনকারীরাই বেশি বেশি মানবাধিকারের কথা বলে, নানা প্রেসক্রিপশন দেয়।

জাতীয় প্রেসক্লাবে রোববার চিটাগাং জার্নালিস্ট ফোরাম ঢাকা (সিজেএফডি) আয়োজিত জাতীয় প্রেসক্লাবের স্থায়ী সদস্য ও সিজেএফডি’র সাবেক দুই প্রয়াত সভাপতি এম ওয়াহিদ উল্লাহ এবং শীলব্রত বড়ুয়ার স্মরণসভায় বিশ্ব মানবাধিকার দিবস প্রসঙ্গে মন্ত্রী এ কথা বলেন।

তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘দেশে আগুন-সন্ত্রাস চালিয়ে মানুষকে পুড়িয়ে হত্যা এবং অবরোধ ডেকে দিনের পর দিন মানুষকে যারা অবরুদ্ধ করে রাখতে চায়, চোরাগোপ্তা হামলা চালিয়ে মানুষের অধিকার হরণ করে, তারাই আবার প্রেসক্লাবের সামনে দাঁড়িয়ে মানবাধিকারের কথা বলে।

‘বিশ্ব প্রেক্ষাপটেও চরম মানবাধিকার হরণকারীদের পক্ষে যারা অবস্থান নেয়, তারা এখন মানবাধিকারের প্রেসক্রিপশন দেয়, এটিই হচ্ছে পৃথিবী ও মানব সভ্যতার জন্য দুর্ভাগ্য।’

হাছান মাহমুদ বলেন, ‘ফিলিস্তিনে চরম মানবাধিকার লঙ্ঘন হচ্ছে। পাখি শিকারের মতো করে তারা মানুষ শিকার করছে, নারী ও শিশুদের হত্যা করা হচ্ছে, ১৮ হাজার নিহতের মধ্যে ১৩ হাজারই নারী ও শিশু। সেখানে হত্যা বন্ধের বিপক্ষে যারা কথা বলে, হত্যাযজ্ঞ চালানোর জন্য যারা ইসরায়েলকে অস্ত্র সরবরাহ করে তারা আবার বিশ্বব্যাপী মানবাধিকারের প্রেসক্রিপশন দেয়, এটিই বিশ্ববাসীর জন্য দুর্ভাগ্য।’

প্রয়াত সাংবাদিক এম ওয়াহিদ উল্লাহ ও শীলব্রত বড়ুয়া সাংবাদিক সমাজের উজ্জ্বল মুখ ছিলেন উল্লেখ করে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘তারা গণমাধ্যমের জন্য আজীবন কাজ করে গেছেন। সাংবাদিক হিসেবে লোভ-লালসার ঊর্ধ্বে থেকে পেশাগতভাবে তারা অত্যন্ত দক্ষতার সঙ্গে কাজ করে গেছেন।’

একটি রাষ্ট্রের বিকাশের জন্য ভালো সাংবাদিকতার প্রয়োজনীয়তা উল্লেখ করে তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী বলেন, ‘অনেক সময় রাষ্ট্র পথ হারিয়ে ফেলে। রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্বে যারা থাকেন তারাও অনেক সময় পথ হারিয়ে ফেলেন। সে ক্ষেত্রে একজন সাংবাদিক কিন্তু রাষ্ট্র যাতে সঠিক খাতে প্রবাহিত হয় এবং যারা দায়িত্বে থাকেন তারা যাতে খেই হারিয়ে না ফেলেন সে ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারেন। আজকে যারা সাংবাদিক সমাজে নেতৃত্ব দিচ্ছেন তারা ভালো সাংবাদিক তৈরির ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারেন।’

সিজেএফডির সভাপতি মামুন আবদুল্লাহর সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক তৌহিদুর রহমানের সঞ্চালনায় দুই প্রয়াত সাংবাদিকের জীবনের ওপর আলোকপাত করেন জাতীয় প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক শ্যামল দত্ত, সিজেএফডির প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি এনামুল হক চৌধুরী, প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক শাহিন উল ইসলাম চৌধুরী, সাবেক সভাপতি মেজবাহ উদ্দিন জঙ্গী, মোস্তফা কামাল, বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থার (বাসস) সিটি এডিটর (বাংলা) কানাই চক্রবর্তী, বিশেষ প্রতিনিধি অনুপ খাস্তগীর, একুশে টিভির ডেপুটি হেড অফ নিউজ সাইফ ইসলাম দিলাল, সিজেএফডির সহ-সভাপতি শিবুকান্তি দাশ, সাবেক সাধারণ সম্পাদক এনামুল হক, সাবেক সাধারণ সম্পাদক শামীম জাহাঙ্গীর প্রমুখ।

এম ওয়াহিদ উল্লাহর স্ত্রী বেগম ওয়াহিদ, ছেলে আসিব ওয়াহিদ এবং শীলব্রত বড়ুয়ার পরিবারের পক্ষে বাসসের প্রধান বার্তা সম্পাদক (ইংরেজি) সমীর বড়ুয়া বক্তব্য দেন।

আরও পড়ুন:
জলবায়ু অভিঘাত মোকাবিলায় আন্তর্জাতিক অর্থায়ন ব্যবস্থার আহ্বান তথ্যমন্ত্রীর
কপ-২৮ সম্মেলনে অংশ নিতে আমিরাতে তথ্যমন্ত্রী
বিএনপি নামক কারাগারে বন্দি তাদের নেতারা: তথ্যমন্ত্রী
পদধারী স্বতন্ত্র প্রার্থীদের দলীয় শৃঙ্খলা মাথায় রাখতে হবে: তথ্যমন্ত্রী
আমরা চাই বিএনপি টেরোরিস্ট কর্মকাণ্ড থেকে বেরিয়ে আসুক: তথ্যমন্ত্রী

মন্তব্য

অর্থ-বাণিজ্য
State Minister Farhad was given a show cause in the public meeting about government facilities

সরকারি সুবিধা নিয়ে জনসভায়, প্রতিমন্ত্রী ফরহাদকে শো-কজ

সরকারি সুবিধা নিয়ে জনসভায়, প্রতিমন্ত্রী ফরহাদকে শো-কজ জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন। ফাইল ছবি
নির্বাচনী আচরণ বিধি ভঙ্গ করে জনসভায় অংশগ্রহণ ও সরকারি গাড়ি ব‍্যবহার করায় নৌকা প্রতীকের প্রার্থী জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেনকে নির্বাচন অনুসন্ধান কমিটিতে ডাকা হয়েছে।

আসন্ন জাতীয় দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে মেহেরপুর-১ আসনে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেনকে শো-কজ করেছে নির্বাচন অনুসন্ধান কমিটি।

নির্বাচনী আচরণ বিধি ভঙ্গ করে জনসভায় অংশগ্রহণ ও সরকারি গাড়ি ব‍্যবহার করায় নৌকা প্রতীকের এই প্রার্থীকে কারণ দর্শাতে বলা হয়েছে।

রোববার মেহেরপুরের যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজ এবং নির্বাচন অনুসন্ধান কমিটির জেলা শাখার চেয়ারম্যান মো. কবির হোসেন এ শো-কজ করেন।

মঙ্গলবার (১২ ডিসেম্বর) দুপুর ১২টায় জেলা নির্বাচন অনুসন্ধান কমিটির কার্যালয়ে প্রার্থী সশরীরে অথবা মনোনীত প্রতিনিধিকে উপস্থিত হয়ে কারণ দর্শানোর নির্দেশ দেয়া হয়েছে।

নোটিশে বলা হয়েছে, জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী ৯ ডিসেম্বর মেহেরপুর সদর উপজেলার কুতুবপুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যানের শোলমারীস্থ বাসভবনের সামনে নির্বাচনী জনসভায় অংশগ্রহণ করেন এবং সরকারি গাড়িযোগে পুলিশ প্রটোকল নিয়ে তিনি জনসভায় উপস্থিত হন।

এতে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে রাজনৈতিক দল ও প্রার্থীর আচরণ বিধিমালা-২০০৮ এর বিধি ১২ ও ১৪ (২) এর লঙ্ঘন হয়েছে।

আরও পড়ুন:
প্রার্থিতা ফিরে পেলেন মাহী বি চৌধুরী
প্রার্থীকে ‘গেট আউট’ বলে হাইকোর্টে যেতে বললেন সিইসি
দুই পুলিশ কমিশনার পাঁচ এসপি এক ডিসিকে প্রত্যাহারের নির্দেশ
‘ক্যাসিনো’ সাঈদের চেয়ে শতগুণ বেশি সম্পদ স্ত্রীর 
প্রার্থিতা ফিরে পেতে ইসিতে আপিল শুনানি শুরু

মন্তব্য

অর্থ-বাণিজ্য
The sale of onion has decreased

কমেছে বিক্রি, আড়তেও নেই পেঁয়াজ

কমেছে বিক্রি, আড়তেও নেই পেঁয়াজ ফাইল ছবি
চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান বলেন, আড়ত, পাইকারি ও খুচরা বাজারে আমরা অভিযান চালিয়েছি। কারা এ ধরনের ঘটনায় জড়িত তাদের চিহ্নিত করার চেষ্টা করছি।

সারা দেশে পেঁয়াজের বাজার এখন অস্থির। খুচরা বাজারের পাশাপাশি এমন অবস্থা চট্টগ্রামের আড়তগুলোতেও। পেঁয়াজ বিক্রি তাই অনেকটা কমে গেছে আড়তে। এর বাইরে বেশিরভাগ আড়তেই পেঁয়াজ নেই।

ভারত পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধ ঘোষণার পর নগরীর ব্যবসাকেন্দ্র চাক্তাই ও খাতুনগঞ্জের আড়তগুলোতে রোববার এ দৃশ্য দেখা গেছে।

দুদিন ধরে পাইকারি বাজারের পাশাপাশি দাম বেশি হওয়ায় নগরীর খুচরা বাজারেও ক্রেতার সংখ্যা কমেছে অনেক। রোববার পাইকারি বাজারে ১৭০ থেকে ১৮০ টাকা দরে পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে। তবে ক্রেতা ছিল খুবই কম।

স্থানীয়রা বলছেন, শনিবার হঠাৎ দাম বাড়িয়ে বাজার থেকে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে কয়েকটি সিন্ডিকেট। আর আড়তদারেরা বলছেন, পেঁয়াজের সরবরাহ কম। যা আছে তার ক্রেতাও নাই। দাম শুনে কেনার আগ্রহ প্রকাশ করছেন না ক্রেতারা।

পাইকারি বাজার চাক্তাই ও খাতুনগঞ্জ গিয়ে দেখা যায়, বেশিরভাগই আড়ত পেঁয়াজশুন্য। কয়েকটাতে পেঁয়াজ থাকলেও ক্রেতা নেই। বসে আছেন বিক্রেতারা। দু-চারজন আসলেও দাম শুনে না কিনেই ফেরত গেছেন।

রিয়াজুদ্দিন বাজার থেকে পেঁয়াজ কিনতে আসা শামীম খান বলেন, পাইকারি বাজারে দাম ১৭০-১৮০ টাকা। খুচরায় ২০০-২১০ টাকায় বিক্রি করতে হবে। এই দামে ক্রেতারা কিনতে চাইবে না।

ভারতীয় পেঁয়াজ আমদানি বন্ধ ঘোষণার খবর ছড়িয়ে পড়ার পর শনিবার দাম হঠাৎ করেই দ্বিগুণ হয়ে যায়। কেজিতে বাড়ে ১২০ থেকে ১৩০ টাকা।

বাজার নিয়ন্ত্রণে এদিন সারা দেশের মতো চট্টগ্রামের বাজারগুলোতেও অভিযান চালায় জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর। পাশাপাশি চট্টগ্রামের পাইকারি বাজারে অভিযান চালায় চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসন।

এদিকে নগরীর বিভিন্ন বাজারে দেখা যায়,মুদি দোকানগুলোতে পেঁয়াজ তেমন একটা নেই কয়েকটাতে থাকলেও দাম ২০০ টাকার আশেপাশে। তবে কোনো দোকানেই ক্রেতা নেই।

চাক্তাই,খাতুনগঞ্জ আড়তদার কল্যাণ সমিতির সভাপতি মো.জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ভারতীয় পেঁয়াজ না আসায় আড়ত এখন খালি। যাও দুএকজনের কাছে আছে তাও বিক্রি হচ্ছে না। পেঁয়াজ পচনশীল হওয়ায় আমদানিকারক ও আড়তদাররা সমস্যায় পড়েছেন। লোকসান দিতে হবে তাদের।

এদিকে শনিবার হঠাৎ দাম বাড়িয়ে কয়েকটি সিন্ডিকেট কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে বলে অভিযোগ।

পেঁয়াজের কেনা দাম ৮০-৮৫ টাকার বেশি নয়, কিন্তু বিক্রি করা হচ্ছে ২০০ টাকার বেশি। পাইকারিতে প্রতি কেজি পেঁয়াজে ওই সিন্ডিকেট মুনাফা করেছে ১১৫ থেকে ১২০ টাকা।

খুচরা বাজারে শুক্রবার পেঁয়াজের কেজি ১২০ টাকা থাকলেও শনিবার ২৪০ টাকায় বিক্রি হয়। একদিনে কেজিতে ১২০-১৪০ টাকার বেশি মূল্যবৃদ্ধির ঘটনাকে নজিরবিহীন আখ্যায়িত করা হয়েছে।

দাম বাড়ার পর পাইকারি ও খুচরা বিক্রেতারা হুমড়ি খেয়ে পড়েন। টনে টনে পেঁয়াজ বিক্রি হয়। পাইকারি ও খুচরা বিক্রেতারা আগের কেনা পেঁয়াজ বেশি দামে বিক্রি করে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন।

চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান বলেন, আড়ত, পাইকারি ও খুচরা বাজারে আমরা অভিযান চালিয়েছি। কারা এ ধরনের ঘটনায় জড়িত তাদের চিহ্নিত করার চেষ্টা করছি। অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে তিনি জানান।

আরও পড়ুন:
নারায়ণগঞ্জের এক পেঁয়াজ ব্যবসায়ীকে লাখ টাকা জরিমানা

মন্তব্য

অর্থ-বাণিজ্য
Sylhet Barisal Police Commissioner EC order to withdraw one DC and 5 SP

সিলেট-বরিশালের পুলিশ কমিশনার, এক ডিসি ও ৫ এসপি প্রত্যাহারে ইসির নির্দেশ

সিলেট-বরিশালের পুলিশ কমিশনার, এক ডিসি ও ৫ এসপি প্রত্যাহারে ইসির নির্দেশ
মানিকগঞ্জ সদর ও সিংগাইর থানা এবং গাজীপুরের শ্রীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি) বদলির প্রস্তাব ইসিতে পাঠানোর জন্য জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিবকে চিঠি দিয়েছে কমিশন।

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে বরিশাল ও সিলেট বিভাগের পুলিশ কমিশনার, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার জেলা প্রশাসক এবং পাঁচ জেলার পুলিশ সুপারদের প্রত্যাহারের নির্দেশ দিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।

নির্বাচন কমিশনের সহকারী পরিচালক (জনসংযোগ) মো. আসাদুল হকের সই করা সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ইতোমধ্যে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব এবং স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিবকে অভিজ্ঞ ও যোগ্য কর্মকর্তাদের পদ পূরণের জন্য চিঠি পাঠানো হয়েছে।

হবিগঞ্জ, পিরোজপুর, নোয়াখালী, সাতক্ষীরা ও মেহেরপুরের পুলিশ সুপারকে প্রত্যাহারের নির্দেশ দেয়া হয়েছে।

এছাড়া মানিকগঞ্জ সদর ও সিংগাইর থানা এবং গাজীপুরের শ্রীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি) বদলির প্রস্তাব ইসিতে পাঠানোর জন্য জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিবকে চিঠি দিয়েছে কমিশন।

আরও পড়ুন:
ভোটকক্ষে এক সঙ্গে একাধিক ব্যালট বাক্স নয়
মেহেরপুরের এসপিকে প্রত্যাহারে ইসির নির্দেশ
প্রার্থীকে ‘গেট আউট’ বলে হাইকোর্টে যেতে বললেন সিইসি
দুই পুলিশ কমিশনার পাঁচ এসপি এক ডিসিকে প্রত্যাহারের নির্দেশ
প্রার্থিতা ফিরে পেতে আপিল করেননি ১৭০ জন

মন্তব্য

p
উপরে