× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য ইভেন্ট শিল্প উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ কী-কেন ১৫ আগস্ট আফগানিস্তান বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও ক্রিকেট প্রবাসী দক্ষিণ এশিয়া আমেরিকা ইউরোপ সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ শারীরিক স্বাস্থ্য মানসিক স্বাস্থ্য যৌনতা-প্রজনন অন্যান্য উদ্ভাবন আফ্রিকা ফুটবল ভাষান্তর অন্যান্য ব্লকচেইন অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

google_news print-icon

রেমিট্যান্সে তেজিভাব অব্যাহত

রেমিট্যান্সে-তেজিভাব-অব্যাহত
অক্টোবরে ২১১ কোটি ডলার রেমিট্যান্স পাঠিয়েছে প্রবাসীরা। সেপ্টেম্বর মাসের চেয়ে সামান্য কমলেও এটি তৃতীয় সর্বোচ্চ রেমিট্যান্স আয়ের মাস।    

প্রবাসী আয় (রেমিট্যান্স) সেপ্টেম্বরের তুলনায় অক্টোবরে কিছুটা কমলেও সামগ্রিকভাবে এখাতে তেজিভাব দেখা যাচ্ছে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ করা পরিসংখ্যানে দেখা যায়, গত অক্টোবরে ২১১ কোটি ডলার রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন প্রবাসীরা। আগের মাস সেপ্টেম্বরে আসা রেমিট্যান্সের তুলনায় ১ দশমিক ৮১ শতাংশ কমলেও একক মাস হিসেবে এটা তৃতীয় সর্বোচ্চ রেমিট্যান্স।

গত সেপ্টেম্বরে ২১৫ কোটি ডলারের সমপরিমাণ রেমিট্যান্স পাঠিয়েছিলেন প্রবাসীরা। একক মাস হিসেবে এটি এ যাবৎকালের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রেমিট্যান্স। গত জুলাইয়ে ছিল একক মাস হিসেবে রেমিট্যান্সের সর্বোচ্চ রেকর্ড, ২৫৯ কোটি ডলার। এর আগে এক মাসে এত বেশি রেমিট্যান্স কখনও আসেনি।

গত বছরের অক্টোবরের তুলনায় এ বছর অক্টোবরে রেমিট্যান্স অনেক বেড়েছে। ২০১৯ সালের অক্টোবর মাসে রেমিট্যান্স এসেছিল ১৬৪ কোটি ডলার। অর্থাৎ গত অক্টোবরে রেমিট্যান্স বেড়েছে ২৮ দশমিক ৬৪ শতাংশ।

তথ্য ঘেঁটে দেখা যায়, চলতি ২০২০-২১ অর্থবছরের প্রথম চার মাসে (জুলাই-অক্টোবর) মোট ৮৮২ কোটি ডলারের সমপরিমাণ রেমিট্যান্স দেশে পাঠিয়েছেন প্রবাসীরা, যা গত অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় ২৬৪ কোটি ডলার বা ৪৩ দশমিক ২৪ শতাংশ বেশি।

গত ২০১৯-২০ অর্থবছরের জুলাই-অক্টোবর সময়ে রেমিট্যান্স এসেছিল ৬১৬ কোটি ডলার।

রেমিট্যান্সে তেজিভাব অব্যাহত
গত কয়েক মাস থেকেই দেশে রেমিট্যান্সের প্রবৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। ছবি: নিউজবাংলা

রেমিট্যান্স বৃদ্ধিতে সন্তোষ প্রকাশ করে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেন, ‘যারা কষ্ট করে অর্থ পাঠিয়ে অর্থনীতিকে গতিশীল রাখছেন দেশবাসীর পক্ষ থেকে তাদেরকে ধন্যবাদ জানাই।’

তিনি আরও বলেন, ‘অর্থবছরের প্রথম তিন মাস যখন অবিশ্বাস্য গতিতে রেমিট্যান্স আসছিল, তখন অনেকই বলতে শুরু করলেন এটা টেকসই হবে না। কর্মীরা তাদের কাজকর্ম বা ব্যবসা গুটিয়ে দেশে ফিরে আসছে। এসব মন্তব্যে আন্তর্জাতিক বিভিন্ন সংস্থাও তাল দিয়েছিল।

অর্থমন্ত্রী বলেন, দেশের মানুষ মাথার ঘাম পায়ে ফেলে অর্থ পাঠিয়ে দেশের অর্থনীতিকে সমৃদ্ধ করলেও তাদের অনুপ্রাণিত করার বদলে নিরুৎসাহিত করতে শুরু করলাম কীভাবে!

বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক মো. সিরাজুল ইসলাম নিউজবাংলাকে বলেন, সরকার ঘোষিত দুই শতাংশ প্রণোদনা কার্যকরের পর থেকেই রেমিট্যান্স বাড়ছে। এ কারণে চলতি অর্থবছরেও রেমিট্যান্সে প্রণোদনা অব্যাহত রেখেছে সরকার।

করোনাভাইরাসে প্রায় ২০ লাখের মতো প্রবাসী কর্মী দেশে ফেরত আসার পরও চলতি ২০২০ সালে রেমিট্যান্স প্রবাহে বিশ্বে বাংলাদেশের অবস্থান অষ্টম স্থানে উঠে আসে।

শুক্রবার বিশ্বব্যাংকের সদরদফতর থেকে প্রকাশিত ‘কোভিড-১৯ ক্রাইসিস থ্রু মাইগ্রেশন লেন্স’ শীর্ষক এক প্রতিবেদনে এ অবস্থানের কথা বলা হয়।

মূলত প্রাতিষ্ঠানিক তথা ব্যাংকিং চ্যানেলে রেমিট্যান্স বৃদ্ধি পাওয়ায় কোভিডের মধ্যেও রেমিট্যান্স বাড়ছে বলে ওই প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়।

এতে বলা হয়েছে, ২০২০ সালে বাংলাদেশে রেমিট্যান্স আসবে প্রায় ২০ বিলিয়ন বা দুই হাজার কোটি ডলার। সেই হিসেব চলতি বছরে বাংলাদেশের অন্তর্মুখী রেমিট্যান্সে ৮ শতাংশের বেশি প্রবৃদ্ধি থাকবে বলে আভাস দেয় বিশ্বব্যাংক।

বিশ্বব্যাংক রেমিট্যান্সের তথ্য পঞ্জিকাবর্ষ ধরে হিসাব করে। কিন্তু বাংলাদেশ ব্যাংক অর্থবছর ধরে রেমিট্যান্সের তথ্য প্রকাশ করে।

এক্ষেত্রে পঞ্জিকা-বছরের হিসাবে চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে অক্টোবর পর্যন্ত ১০ মাসে দেশে রেমিট্যান্স এসেছে ১৭ হাজার ৬২২ কোটি ডলার, যা এর আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় ১৬ দশমিক ৮১ শতাংশ বেশি।

২০১৯ সালের জানুয়ারি থেকে অক্টোবর পর্যন্ত সময়ে রেমিট্যান্স এসেছিল ১৫ হাজার ৮৫ কোটি ডলার।

এদিকে রেমিট্যান্সে তেজিভাব বজায় থাকায় অক্টোবরে দেশের বিদেশি মুদ্রার রিজার্ভ বেড়ে ৪ হাজার ১০০ কোটি ডলারে উন্নীত হয়।

মন্তব্য

আরও পড়ুন

অর্থ-বাণিজ্য
Central Bank directives to prevent cyber attacks on banking and financial institutions

ব্যাংক-আর্থিক প্রতিষ্ঠানে সাইবার হামলা রোধে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নির্দেশনা

ব্যাংক-আর্থিক প্রতিষ্ঠানে সাইবার হামলা রোধে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নির্দেশনা
ব্যাংকিং খাতকে লক্ষ্যবস্তু করে সাইবার হামলা উল্লেখযোগ্য হারে বেড়ে যাওয়ায় সব তফসিলি ব্যাংক, আর্থিক প্রতিষ্ঠান ও পেমেন্ট সেবাদানকারীদের সতর্ক করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক।

ব্যাংকিং খাতকে লক্ষ্যবস্তু করে সাইবার হামলা উল্লেখযোগ্য হারে বেড়ে যাওয়ায় সব তফসিলি ব্যাংক, আর্থিক প্রতিষ্ঠান ও পেমেন্ট সেবাদানকারীদের সতর্ক করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক।

বাংলাদেশ সাইবার সিকিউরিটি ইন্টেলিজেন্সের (বিসিএসআই) নিয়মিত তথ্য নিরাপত্তা পর্যবেক্ষণের পর শুক্রবার এই সতর্কতামূলক নির্দেশনা জারি করা হয়েছে।

নির্দেশনায় বলা হয়েছে, কিছু ব্যাংক ডুয়াল-কারেন্সি কার্ডে ফেসবুক অ্যাড ম্যানেজার ব্যবহারের সঙ্গে সম্পর্কিত অবৈধ লেনদেনের শিকার হয়েছে, যা দেশব্যাপী সাধারণ গ্রাহকদের প্রভাবিত করছে।

নির্দেশনাটি সোশ্যাল মিডিয়ায় সাইবার অপরাধীদের ক্রমবর্ধমান কার্যকলাপকে তুলে ধরেছে, যারা অনবরত জনসাধারণ এবং ব্যাংক গ্রাহকদের একইভাবে হয়রানি করছে।

সাইবার হামলার এই ঊর্ধ্বগতি শুধু বাংলাদেশেই সীমাবদ্ধ নয়, বরং এটি বিশ্বব্যাপী সাইবার হুমকি বৃদ্ধির প্রবণতাকে চিহ্নিত করে। বিশেষ করে ব্যাংকিং খাতে, যেখানে ম্যালওয়্যার আক্রমণ উদ্বেগজনকভাবে বার বার ঘটে থাকে।

এসব সাইবার হুমকি প্রতিরোধে তথ্য আদান-প্রদান, যাচাইকরণ বৃদ্ধি, ওয়ান টাইম পাসওয়ার্ড (ওটিপি) ব্যবহার, টু-ফ্যাক্টর/মাল্টি-ফ্যাক্টর অথেনটিকেশন, লগইন প্রচেষ্টার সংখ্যা সীমিত রাখাসহ বেশ কিছু জরুরি পদক্ষেপ বাস্তবায়নে ব্যাংকগুলোকে অনুরোধ জানিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।

ব্যাংকটি বর্ণিত ঝুঁকির বিষয়ে সব আর্থিক প্রতিষ্ঠানকে তাৎক্ষণিক পদক্ষেপ নেয়ার আহ্বান জানিয়েছে।

এসব পদক্ষেপ বাস্তবায়নের বিষয়টি বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের পরিচালক (আইসিটি) তদারকি করবেন বলে নির্দেশনায় উল্লেখ করা হয়েছে।

আরও পড়ুন:
নীতি সুদ হার আবারও বাড়িয়ে ১০ শতাংশে পুনর্নির্ধারণ
মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে ফের মূল নীতি হার বাড়াল কেন্দ্রীয় ব্যাংক
২৪ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়েছে রিজার্ভ: বাংলাদেশ ব্যাংক
সাংবাদিক প্রবেশ নিষেধাজ্ঞা তুলে নিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক
ইন্টারনেট না থাকলেও ব্যাংক চালু রাখতে চায় বাংলাদেশ ব্যাংক

মন্তব্য

অর্থ-বাণিজ্য
Withdrawal of all duties on import of rice

চাল আমদানিতে সব ধরনের শুল্ক প্রত্যাহার

চাল আমদানিতে সব ধরনের শুল্ক প্রত্যাহার
সাধারণ মানুষের খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ও মূল্য নিয়ন্ত্রণে চাল আমদানিতে সব ধরনের শুল্ক প্রত্যাহার করেছে এনবিআর। এ লক্ষ্যে বৃহস্পতিবার রাজস্ব কর্তৃপক্ষ একটি সংবিধিবদ্ধ নিয়ন্ত্রণ আদেশ জারি করেছে।

সাধারণ মানুষের খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ও মূল্য নিয়ন্ত্রণে চাল আমদানিতে সব ধরনের শুল্ক প্রত্যাহার করেছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। এ লক্ষ্যে বৃহস্পতিবার রাজস্ব কর্তৃপক্ষ একটি সংবিধিবদ্ধ নিয়ন্ত্রণ আদেশ (এসআরও) জারি করেছে।

এর আগে খাদ্য অধিদপ্তর দেশের সামগ্রিক চালের মজুদ নিয়ে খাদ্য মন্ত্রণালয়ে প্রতিবেদন জমা দেয়। বাংলাদেশ বাণিজ্য ও ট্যারিফ কমিশন (বিটিটিসি) চালের দাম পরিস্থিতি নিয়ে খাদ্য ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয় এবং এনবিআরকে আরেকটি প্রতিবেদন পাঠিয়েছে।

দু’টি প্রতিবেদনেই চালের ওপর সব ধরনের আমদানি শুল্ক প্রত্যাহারের সুপারিশ করা হয়েছে।

স্থানীয় চালের বাজার নিয়ন্ত্রণে সহায়তার জন্য গত ২০ অক্টোবর এনবিআর আমদানি শুল্ক ৬২ দশমিক ৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ২৫ শতাংশ করে।

আরও পড়ুন:
চালের আমদানি শুল্ক পুরো মওকুফের সুপারিশ
চালের আমদানি ও রেগুলেটরি শুল্ক কমল
দেশের বাজারে দাম নিয়ন্ত্রণে ভোজ্যতেলে ভ্যাটে ছাড়
সয়াবিন ও পাম তেলে শুল্ক অব্যাহতির প্রস্তাব

মন্তব্য

অর্থ-বাণিজ্য
The price of diesel kerosene is reduced by 50 paise in November

নভেম্বরে ৫০ পয়সা কমছে ডিজেল, কেরোসিনের দাম

নভেম্বরে ৫০ পয়সা কমছে ডিজেল, কেরোসিনের দাম কন্টেইনারে ঢালা হচ্ছে জ্বালানি তেল। ছবি: ইউএনবি
বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বৃহস্পতিবার এ তথ্য জানানো হয়।

সরকার নভেম্বর মাসে ডিজেল ও কেরোসিনের খুচরা মূল্য ১০৫ টাকা ৫০ পয়সা থেকে কমিয়ে ১০৫ টাকা করেছে, তবে অকটেন ও পেট্রলের দাম আগের মতো যথাক্রমে ১২৫ ও ১২১ টাকা রাখা হয়েছে।

বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বৃহস্পতিবার এ তথ্য জানানো হয়।

এতে বলা হয়, ‘১ নভেম্বর থেকে খুচরা ক্রেতাদের আর্থিক সাশ্রয় নিশ্চিত করার লক্ষ্যে বিশ্ববাজারে জ্বালানি তেলের দামের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে একটি স্বয়ংক্রিয় পদ্ধতিতে এই মূল্য সমন্বয় করা হয়েছে।’

বিগত আওয়ামী লীগ সরকার আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) পরামর্শ অনুযায়ী বিশ্ববাজার দরের সঙ্গে সমন্বয় রাখতে ২০২৩ সালের মার্চে স্বয়ংক্রিয় জ্বালানি মূল্য নির্ধারণ পদ্ধতি চালু করে।

আরও পড়ুন:
তিন সপ্তাহের মধ্যে বিদ্যুৎ পরিস্থিতির উন্নতি হবে: জ্বালানি উপদেষ্টা
নির্বাহী আদেশে জ্বালানির দাম বাড়ানোর বিধান বাতিল হচ্ছে
বিদ্যুৎ ও জ্বালানির দাম আপাতত বাড়ছে না
জ্বালানি তেলের নতুন দর শনিবার থেকে কার্যকর
নো হেলমেট, নো ফুয়েল: কাদের

মন্তব্য

অর্থ-বাণিজ্য
News of policy support is blowing the stock market

নীতি সহায়তার খবরে শেয়ারবাজারে সুবাতাস বইছে

নীতি সহায়তার খবরে শেয়ারবাজারে সুবাতাস বইছে
শেয়ারবাজারে গতি ফেরাতে স্বল্প, মধ্য এবং দীর্ঘর্মেয়াদি নীতি সহায়তা দিতে যাচ্ছে সরকার। এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে অন্তর্বর্তী সরকারের অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহ উদ্দিন আহমেদ প্রথমবারের মতো বিএসইসিতে যাচ্ছেন। এমন খবরে ঘুরে দাঁড়ানোর ইঙ্গিত দিচ্ছে পুঁজিবাজার।

শেয়ারবাজারে গতি ফেরাতে স্বল্প, মধ্য এবং দীর্ঘর্মেয়াদি নীতি সহায়তা দিতে যাচ্ছে সরকার। এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে অন্তর্বর্তী সরকারের অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহ উদ্দিন আহমেদ প্রথমবারের মতো নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনে (বিএসইসি) যাচ্ছেন। এমন খবরে ঘুরে দাঁড়ানোর ইঙ্গিত দিচ্ছে পুঁজিবাজার।

দেশের দুই শেয়ারবাজারে বুধবার উল্লেখযোগ্য উত্থানের ধারাবাহিকতা দেখা গেছে সপ্তাহের শেষ কর্মদিবস বৃহস্পতিবারও। এদিন ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক বেড়েছে ১৪৭ পয়েন্টের বেশি।

শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পরদিন ৬ আগস্ট ডিএসইর সূচক বৃদ্ধি শুরু হয়। সূচক বৃদ্ধির এই ধারা ১১ আগস্ট পর্যন্ত অব্যাহত থাকে। ওই চারদিনে সূচকের উত্থান হয় ৭৮৬ পয়েন্ট। এরপর ১২ আগস্ট শুরু হয় ধারাবাহিক পতন।

টানা দরপতন আর লেনদেন খরার বৃত্ত থেকে বেরিয়ে আসতে শুরু করেছে দেশের শেয়ারবাজার। সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে বৃহস্পতিবার প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) লেনদেনে অংশ নেয়া বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম বাড়ার পাশাপাশি বেড়েছে মূল্যসূচক। সে সঙ্গে বেড়েছে লেনদেনের পরিমাণ।

অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) দাম বাড়ার তালিকায় নাম লিখিয়েছে বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট। এতে এ বাজারটিতেও সবকটি মূল্যসূচক বেড়েছে। এর মাধ্যমে টানা তিন কার্যদিবস দুই শেয়ারবাজারেই মূল্যসূচক বাড়লো।

গতকাল বুধবার থেকে বাজার বড় আকারে ঘুরে দাঁড়ায়। ওইদিন ডিএসইর সূচকে বেড়েছে ১১৮ পয়েন্টের বেশি। আর আজ বৃহস্পতিবার বেড়েছে ১৪৭ পয়েন্টের বেশি।

বিনিয়োগকারীরা বলছেন, অন্তর্বর্তী সরকারের অর্থ উপদেষ্টা শেয়ারবাজারের গুরুত্ব অনুধাবন করে নিজেই বিএসইসিতে যাচ্ছেন। যেখানে এর আগে কোনো মন্ত্রী বা উপদেষ্টা যাননি। শেয়ারবাজারের জন্য এটি একটি ভিন্ন বার্তা। শেয়ারবাজারের প্রতি অর্থ উপদেষ্টার এমন আগ্রহের কারণে নতুন করে স্বপ্ন দেখতে শুরু করেছেন বিনিয়োগকারীরা।

বিএসইসি চেয়ারম্যান খন্দকার রাশেদ মাকসুদ মঙ্গলবার (২৯ অক্টোবর) সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় জানান, শেয়ারবাজারে গতি ফেরাতে স্বল্প, মধ্য ও দীর্ঘমেয়াদি নীতি সহায়তা দিতে সরকারের সঙ্গে আলোচনা করে একগুচ্ছ সিদ্ধান্ত নেয়া হবে। এসব সহায়তার আওতাভুক্ত হবেন ব্যক্তিশ্রেণির সাধারণ বিনিয়োগকারী, প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারী, উচ্চ সম্পদশালী বিনিয়োগকারী ও বিদেশি বিনিয়োগকারীরা।

রাশেদ মাকসুদ বলেন, অর্থ উপদেষ্টাসহ সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে আলোচনার ভিত্তিতে সমন্বিতভাবে শেয়ারবাজারের উন্নয়নে নীতি সহায়তার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে। তার মধ্যে কিছু থাকবে স্বল্প মেয়াদে বাস্তবায়নযোগ্য, আর কিছু বিষয় মধ্য ও দীর্ঘ মেয়াদে বাস্তবায়ন করা হবে।

যেসব নীতি পদক্ষেপের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে তার মধ্যে রয়েছে- বাজারে তারল্য সরবরাহ বাড়াতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ, রাষ্ট্রায়ত্ত বিনিয়োগ প্রতিষ্ঠান ইনভেস্টমেন্ট করপোরেশন অফ বাংলাদেশের (আইসিবি) বিনিয়োগ সক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য তহবিল জোগানে সহায়তা, জরিমানার মাধ্যমে বিএসইসির আদায় করা অর্থ বিনিয়োগকারীদের সুরক্ষায় কাজে লাগাতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ, সরকারি-বেসরকারি ভালো ও লাভজনক কোম্পানিগুলোকে দ্রুত বাজারে আনতে আইপিও আইন সংস্কার ও কর প্রণোদনার ব্যবস্থা করা।

পদক্ষেপগুলোর মধ্যে আরও রয়েছে- শেয়ারবাজারে লেনদেন নিষ্পত্তির সময় কমিয়ে এক দিনে নামিয়ে আনা, ঋণদাতা প্রতিষ্ঠানগুলোতে যে পরিমাণ অনাদায়ি পুঞ্জীভূত ঋণাত্মক ঋণ (নেগেটিভ ইক্যুইটি) রয়েছে চূড়ান্তভাবে সেগুলোর নিষ্পত্তি করা, উচ্চ সম্পদশালী ব্যক্তিদের বিনিয়োগে উৎসাহিত করতে মূলধনি মুনাফার কর হার কমানো, শেয়ার পুনঃক্রয় ব্যবস্থা চালুর বিষয়ে করণীয় নির্ধারণ, বিদেশি বিনিয়োগ বৃদ্ধিতে ভবিষ্যতে আর কখনও ফ্লোর প্রাইস আরোপ না করা এবং সুশাসন ও আইনের যথাযথ পরিপালন নিশ্চিত করা।

আরও পড়ুন:
পুঁজিবাজারে ক্রমশই নিম্নগতি, হতাশ বিনিয়োগকারীরা
বিএসইসি চেয়ারম্যানের দায়িত্ব নিচ্ছেন না মাশরুর রিয়াজ
টানা দ্বিতীয় দিনের মতো পুঁজিবাজারে দরপতন
বিএসইসির নতুন চেয়ারম্যান মাশরুর রিয়াজ
বিএসইসির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মোহসীন চৌধুরী

মন্তব্য

অর্থ-বাণিজ্য
On the occasion of Diwali import export through Benapole is closed 

দীপাবলি উপলক্ষে বেনাপোল দিয়ে আমদানি-রপ্তানি বন্ধ 

দীপাবলি উপলক্ষে বেনাপোল দিয়ে আমদানি-রপ্তানি বন্ধ  বেনাপোল স্থলবন্দরের সাইনবোর্ড। ছবি: নিউজবাংলা
রপ্তানি বন্ধ থাকলেও বেনাপোল কাস্টমস হাউস ও বন্দরের কার্যক্রম স্বাভাবিক রয়েছে। একই সঙ্গে দুই দেশের মধ্যে পাসপোর্টধারী যাত্রী পারাপারও নিয়মিত রয়েছে। 

সনাতন ধর্মাবলম্বীদের উৎসব দীপাবলি (কালীপূজা) উপলক্ষে ভারতে সরকারি ছুটির কারণে বৃহস্পতিবার বেনাপোল-পেট্রাপোল বন্দর দিয়ে ভারত-বাংলাদেশের মধ্যে আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে।

রপ্তানি বন্ধ থাকলেও বেনাপোল কাস্টমস হাউস ও বন্দরের কার্যক্রম স্বাভাবিক রয়েছে। একই সঙ্গে দুই দেশের মধ্যে পাসপোর্টধারী যাত্রী পারাপারও নিয়মিত রয়েছে।

আগামীকাল শুক্রবার সাপ্তাহিক ছুটি থাকায় শনিবার সকাল থেকে ফের আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম যথারীতি চলবে এ বন্দরে।

বেনাপোল সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট স্টাফ অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক সাজেদুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

তিনি বলেন, ‘দীপাবলি উপলক্ষে ভারতের পেট্রাপোলের ব্যবসায়ীরা সব ধরনের আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম বন্ধ রেখেছেন। মূলত বুধবার বিকেল থেকেই ভারতের পেট্রাপোল বন্দর ও কাস্টমসের কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যায়।

‘এ বিষয়ে তারা আমাদের চিঠি দিয়ে জানিয়েছেন, তবে যাত্রী পারাপার স্বাভাবিক রয়েছে। বেনাপোল বন্দর ও কাস্টমসে স্বাভাবিক নিয়মে কার্যক্রম চলছে। শনিবার সকাল থেকে পুনরায় আমদানি-রপ্তানি চালু হবে।’

বেনাপোল স্থলবন্দরের পরিচালক (ট্রাফিক) মামুন কবীর তরফদার বলেন, ‘ভারতে দীপাবলি উপলক্ষে আজ বৃহস্পতিবার কোনো পণ্য আমদানি-রপ্তানি হবে না, তবে বন্দর ও কাস্টমসের সকল কার্যক্রম চালু রয়েছে।

‘ভারত থেকে আমদানি পণ্য নিয়ে আসা খালি ট্রাক ফেরত যাওয়ার জন্য চেকপোস্ট কার্গো শাখা খোলা। সেই সাথে দুই দেশের মধ্যে পাসপোর্ট যাত্রী চলাচল স্বাভাবিক।’

আরও পড়ুন:
বেনাপোল দিয়ে পঞ্চম চালানে এলো ২৩১৮৪০ পিস ডিম
বেনাপোল দিয়ে টানা পাঁচদিন পর আমদানি-রপ্তানি শুরু
আমদানি সত্ত্বেও ডিমের দাম কমছে না, নেপথ্যে সিন্ডিকেট
সেপ্টেম্বরে রপ্তানি আয় বেড়েছে ৬ দশমিক ৭৮ শতাংশ: ইপিবি
সাত প্রতিষ্ঠানকে সাড়ে ৪ কোটি ডিম আমদানির অনুমতি

মন্তব্য

অর্থ-বাণিজ্য
Customers locked in National Bank in Sylhet without receiving money

টাকা না পেয়ে সিলেটে ন্যাশনাল ব্যাংকে গ্রাহকদের তালা

টাকা না পেয়ে সিলেটে ন্যাশনাল ব্যাংকে গ্রাহকদের তালা সিলেটে ন্যাশনাল ব্যাংকের শিবগঞ্জ শাখায় তালা ঝুলিয়ে গ্রাহকদের বিক্ষোভ (বাঁয়ে); পুলিশের হস্তক্ষেপে পরে তালা খুলে দেয়া হয়। কোলাজ: নিউজবাংলা
ব্যক্তিগত অ্যাকাউন্টে থাকা টাকা চাহিদামতো তুলতে না পারায় ন্যাশনাল ব্যাংকের সিলেট নগরের শিবগঞ্জ শাখায় তালা ঝুলিয়ে দিয়েছেন গ্রাহকরা। এতে ব্যাংকের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা ভেতরে অবরুদ্ধ হয়ে পড়েন। খবর পেয়ে শাহপরাণ থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

ব্যক্তিগত অ্যাকাউন্টে থাকা টাকা চাহিদামতো তুলতে না পারায় ন্যাশনাল ব্যাংকের সিলেট নগরের শিবগঞ্জ শাখায় তালা ঝুলিয়ে দিয়েছেন গ্রাহকরা। এতে ব্যাংকের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা ভেতরে অবরুদ্ধ হয়ে পড়েন। খবর পেয়ে শাহপরাণ থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

বুধবার দুপুর ১২টার দিকে ন্যাশনাল ব্যাংকের শিবগঞ্জ শাখায় তালা ঝুলিয়ে বিক্ষোভ করেন ক্ষুব্ধ গ্রাহকরা। এর আগে সোমবার গ্রাহকরা টাকা না পেয়ে সিলেটের গোলাপগঞ্জে ন্যাশনাল ব্যাংকের আরেকটি শাখায় তালা লাগিয়ে দেন। এ সময় তারা সিলেট-জকিগঞ্জ সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেন।

বিক্ষোভকারী গ্রাহকরা জানান, ন্যাশনাল ব্যাংকের শিবগঞ্জ ব্রাঞ্চে বেশ কয়েকদিন থেকে নিজেদের ব্যক্তিগত অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা তুলতে এসে তারা হয়রানির শিকার হচ্ছেন। গ্রাহকরা বিভিন্ন অংকের চেক নিয়ে নগদ উত্তোলনের জন্য গেলে তাদের দেয়া হচ্ছে ৫ থেকে ১০ হাজার টাকা। কারণ জানতে চাইলে বলা হচ্ছে, ব্যাংকে নগদ টাকার সংকট রয়েছে। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে বুধবার ব্যাংকের গেটে তালা ঝুলিয়ে দেন অর্ধশতাধিক গ্রাহক।

ন্যাশনাল ব্যাংকের শিবগঞ্জ ব্রাঞ্চের সিনিয়র এসিস্ট্যান্ট ভাইস প্রেসিডেন্ট ও ম্যানেজার সাব্বির হানান বলেন, ‘গ্রাহকদের চাহিদামতো টাকা দেয়া সম্ভব হচ্ছে না। কারণ নানা গুজবে গ্রাহকরা এখন শুধু টাকা তুলতে আসছেন। কেউ জমা দিচ্ছেন না।

‘গ্রাহকরা একসঙ্গে টাকা উত্তোলনের জন্য ভিড় করায় ব্যাংকের শাখাগুলোতে পর্যাপ্ত নগদ টাকার সংকট দেখা দিয়েছে। এজন্য গ্রাহকরা ভোগান্তিতে পড়েছেন। আশা করি দ্রুত এই সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে।’

শাহপরাণ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মনির হোসেন জানান, বিক্ষোভের খবর পেয়ে থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। গ্রাহকদের বুঝিয়ে গেটের তালা খোলা হয়েছে। ন্যাশনাল ব্যাংকের এমডির সঙ্গে কথা হয়েছে। তিনি টাকা পাঠানোর আশ্বাস দিয়েছেন।

আরও পড়ুন:
ঋণ জালিয়াতি: ম খা, চিশতিসহ সাতজনের বিরুদ্ধে মামলা
নীতি সুদ হার আবারও বাড়িয়ে ১০ শতাংশে পুনর্নির্ধারণ
রাষ্ট্রায়ত্ত ১০ ব্যাংকে নতুন এমডি নিয়োগ
সাকিব ও তার স্ত্রীর ব্যাংক হিসাব তলব
ব্যাংকিং খাত সংস্কারে বাংলাদেশকে সহায়তা করবে বিশ্বব্যাংক: অর্থ উপদেষ্টা

মন্তব্য

অর্থ-বাণিজ্য
Dominos Pizza 36th restaurant opening in Banani 

ডোমিনোজ পিৎজার ৩৬তম রেস্তোরাঁ উদ্বোধন বনানীতে 

ডোমিনোজ পিৎজার ৩৬তম রেস্তোরাঁ উদ্বোধন বনানীতে  রাজধানীর বনানীর কামাল আতাতুর্ক এভিনিউয়ে ডোমিনোজ পিৎজা উদ্বোধন করেছে তাদের ৩৬তম রেস্তোরাঁ। ছবি: নিউজবাংলা
গ্রাহকদের চিজি হ্যাপিনেসের সুযোগ দিতে ২০ অক্টোবর শাখাটি উদ্বোধন হয়। 

বিশ্বের বৃহত্তম পিৎজা চেইন ডোমিনোজ পিৎজা বাংলাদেশে নিজেদের ব্যবসা দ্রুত সম্প্রসারণ করছে।

এরই ধারাবাহিকতায় রাজধানীর বনানীর কামাল আতাতুর্ক এভিনিউয়ে ডোমিনোজ পিৎজা উদ্বোধন করেছে তাদের ৩৬তম রেস্তোরাঁ।

গ্রাহকদের চিজি হ্যাপিনেসের সুযোগ দিতে ২০ অক্টোবর শাখাটি উদ্বোধন হয়।

বাংলাদেশে ডোমিনোজ পিৎজা চালু হওয়ার পর থেকেই সুস্বাদু খাবারের পাশাপাশি দ্রুততম ডেলিভারির মাধ্যমে মাত্র ৩০ মিনিটেই খাবার পৌঁছে দিচ্ছে গ্রাহকদের দ্বারপ্রান্তে। পাইপিং হট পিৎজা, নতুন শুরু হওয়া অরেগানো রাইস এবং সসি পিৎজা, গার্লিক ব্রেড, চকো লাভা কেক ছাড়াও অন্যান্য সুস্বাদু খাবার ও ডেজার্ট সরবরাহ করতে ডোমিনোজ পিৎজা সর্বদা সচেষ্ট।

ডোমিনোজ পিৎজার ৩০ মিনিটে ডেলিভারীর বিশ্বব্যাপী সমাদৃত সেবাটি বনানীর কামাল আতাতুর্ক রেস্তোরাঁ থেকেও পাওয়া যাবে।

রেস্তোরাঁটি উদ্বোধনের সময় ডোমিনোজ পিৎজা বাংলাদেশের ম্যানেজমেন্ট টিম ও অন্যান্য অংশীদারদের সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন এসওএস চিলড্রেনস ভিলেজের শিক্ষার্থীরা, যারা এ ফাউন্ডেশনের মাধ্যমে বিনা মূল্যে পড়াশোনার সুযোগ পেয়ে থাকে।

ডোমিনোজ পিৎজা বাংলাদেশের চিফ অপারেটিং অফিসার আহমেদ শোয়েব ইকবাল বলেন, ‘ডোমিনোজ পিৎজা গত সাড়ে ৫ বছরে এই দেশে সবচেয়ে দ্রুততার সাথে বড় হওয়া ফুড ব্র্যান্ড এবং বনানীর কামাল আতাতুর্কে আমাদের নতুন এই রেস্টুরেন্ট খুলতে পেরে আমরা বেশ গর্বিত।

‘এ দেশে আমাদের ক্রমবর্ধমান গ্রাহকদের চাহিদা মেটাতে আমরা ক্রমাগত আমাদের রেস্টুরেন্ট নেটওয়ার্ক প্রসারিত করছি। ডোমিনোজ পিৎজার প্রতি ভালোবাসা ও সমর্থনের জন্য আমরা বাংলাদেশের জনগণকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানাই।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের বনানীর কামাল আতাতুর্ক এভিনিউ রেস্টুরেন্টে সবাইকে স্বাগত জানাতে আমরা উন্মুখ। বনানীর কামাল আতাতুর্ক এভিনিউ রেস্টুরেন্ট থেকে আমরা বনানী ব্লক এ, বি, সি, ডি, জির সাথে বারিধারা ডিওএইচএস, নেভি হেড কোয়ার্টার এবং গুলশান-২-এ হোম ডেলিভারি করতে পারব।’

আরও পড়ুন:
সিলেটে ৩৫তম রেস্তোরাঁ খুলেছে ডোমিনোজ পিৎজা
ডোমিনো’জ পিৎজার শনির আখড়া শাখা উদ্বোধন
ডোমিনোজ পিৎজা এবার চট্টগ্রামের আগ্রাবাদ ও জিইসিতে
ডোমিনোজ পিৎজা’র শান্তিনগর এবং বেইলি রোডে নতুন স্টোর উদ্বোধন
বিশ্বকাপে ডোমিনোজ পিৎজা বাংলাদেশের ‘বক্সে হবে গর্জন’ ক্যাম্পেইন

মন্তব্য

p
উপরে