× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য ইভেন্ট শিল্প উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ কী-কেন ১৫ আগস্ট আফগানিস্তান বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও ক্রিকেট প্রবাসী দক্ষিণ এশিয়া আমেরিকা ইউরোপ সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ শারীরিক স্বাস্থ্য মানসিক স্বাস্থ্য যৌনতা-প্রজনন অন্যান্য উদ্ভাবন আফ্রিকা ফুটবল ভাষান্তর অন্যান্য ব্লকচেইন অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

বিনোদন
Sada Sada Kala Kala Who is Hashim Mahmood?
google_news print-icon

‘সাদা সাদা কালা কালা’: কে এই হাশিম মাহমুদ

সাদা-সাদা-কালা-কালা-কে-এই-হাশিম-মাহমুদ
হাশিম মাহমুদ (ডানে) ও ‘হাওয়া’ সিনেমার পোস্টার (বাঁয়ে)। ছবি কোলাজ: নিউজবাংলা
সুমনের মনে হতে থাকে আরও অনেক অনেক কথা। ১৯৯৯ সাল, চারুকলার নতুন শিক্ষার্থী সুমন। ছবি আঁকেন, কাঁধে তার গিটারও থাকে। দেখলেন এক জায়গায় গান হচ্ছে, গেলেন সেখানে, দেখা হলো হাশিম মাহমুদের সঙ্গে।

কিছুক্ষণ চুপ করে ছিলেন মেজবাউর রহমান সুমন। এই নীরবতা বিস্ময়ের। খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না হাশিম মাহমুদকে। অনেক চেষ্টা করেও খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না। এটা কোনো কথা হতে পারে, যে মানুষটি হাজার তরুণের মননে নাড়া দিয়ে গেছে, তার খোঁজ নেই!

এই হাশিম মাহমুদের সঙ্গে কত স্মৃতি, কত স্মৃতি সুমনের। কত বিকেল, কত গান, কত মুগ্ধতা হাশিম মাহমুদকে নিয়ে। শুধু সুমন কেন, চারুকলা অনুষদের যত শিক্ষার্থী, সবার কাছে পরিচিত হাশিম মাহমুদ।

অথচ সেই হাশিম মাহমুদকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না। তিন থেকে চার মাস খোঁজার পর হাশিম মাহমুদকে পাওয়া গেল। যেন সব মুগ্ধতা ফিরে এলো, সুমনের মনে হতে থাকল সেইসব দিন-রাত্রির কথা।

সুমনের সঙ্গে দেখা হলে হাশিমের মন্তব্য, ‘কী অবস্থা মেজবাউর রহমান সুমন?’ আবারও বিস্মিত সুমন। পুরো নাম মনে আছে তার!

সুমনের মনে হতে থাকে আরও অনেক অনেক কথা। ১৯৯৯ সাল, চারুকলার নতুন শিক্ষার্থী সুমন। ছবি আঁকেন, কাঁধে তার গিটারও থাকে। দেখলেন এক জায়গায় গান হচ্ছে, গেলেন সেখানে, দেখা হলো হাশিম মাহমুদের সঙ্গে।

‘সাদা সাদা কালা কালা’: কে এই হাশিম মাহমুদ
‘সাদা সাদা কালা কালা’ গানের গীতিকার ও সুরকার হাশিম মাহমুদ। ছবি: সংগৃহীত

সুমন ধীরে ধীরে আবিষ্কার করতে থাকলেন হাশিম মাহমুদকে। হাশিম গানের মানুষ। গান লেখেন, গান করেন, সুর করেন, প্রচুর আড্ডা দেন। চাকরি করতেন না। স্ত্রী-সন্তানও নেই।

শিক্ষার্থীদের মতো হাশিম মাহমুদ প্রতিদিন সকালে চলে আসতেন চারুকলায়, সারা দিন থেকে রাতে ফিরতেন। হাশিমসহ আরও কয়েকজন মিলে একটি ব্যান্ডও করার চেষ্টা করেছিলেন। তার নাম দিয়েছিলেন ‘বৈরাগী’।

শুধু গানের মুগ্ধতাই না, হাশিমের কথার মুগ্ধতায় পড়েছিলেন সুমনসহ অনেকে। এত মুগ্ধতা যাকে নিয়ে তার বাসা যে নারায়ণগঞ্জ, এ কথাটাই জানতেন না কেউ।

যখন সুমনের দেখা হলো, হাশিম তখন অসুস্থ। তিনি সিজোফ্রেনিক রোগী। সিজোফ্রেনিয়া একটি জটিল মানসিক রোগ। এ রোগের লক্ষণ হচ্ছে– চিন্তাধারা এবং অনুভূতি প্রকাশের মধ্যে সংগতি না থাকা।

চারুকলায় যখন হাশিম নিয়মিত ছিলেন, তখনও এই রোগটি ছিল তার। সুমনরা এর ইঙ্গিত পেয়েছেন, কিন্তু তখন বুঝতে পারেননি। রোগটি বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে চারুকলায় অনিয়মিত হয়েছেন তিনি। পরিবারে তার ভাইসহ আরও কিছু আত্মীয়স্বজন রয়েছেন, তারাই এখন হাশিমের দেখাশোনা করেন।

আরও পড়ুন: কলসি, ড্রাম, পাটাতন বাজিয়ে গানটি করেছি: ইমন চৌধুরী

হাওয়া সিনেমার ‘সাদা সাদা কালা কালা’ গানের গীতিকার ও সুরকার হাশিম মাহমুদের এসব তথ্য নিউজবাংলাকে দিয়েছেন হাওয়া সিনেমার পরিচালক মেজবাউর রহমান সুমন। তিনি জানান, অনেক কিছু মনে নেই হাশিম মাহমুদের। আগের মতো শক্তিও নেই। তরুণ জীবনে প্রভাব রাখা মানুষটিকে এভাবে দেখে কষ্টই পেয়েছেন সুমন।

সুমন নিউজবাংলাকে বলেন, ‘হাশিম ভাইয়ের সঙ্গে প্রথম দেখার কথা মনে আছে এখনও। যারা গান করত, তাদের সঙ্গে এমনিতেই মিল হয়ে যেত হাশিম ভাইয়ের।

‘চারুকলার সামনে একটা কৃষ্ণচূড়া গাছ ছিল, সেটার নিচে বসতেন হাশিম ভাই। তখন মাঝে মাঝেই দেখা হতো। অনেক সময় দূর থেকে দেখতাম, তিনি কোনো ছেঁড়া কাগজে গান লিখছেন।’

সুমন আরও বলেন, ‘তার তো ইনকাম বলতে তেমন কিছু ছিল না। তাকে খেতেও দেখতাম না। মাঝে মাঝে আমরা যারা তার কাছের বা হাশিম ভাই যাদের পছন্দ করতেন, তারা টাকা দিলে নিতেন। কিন্তু এমনিতে যদি কেউ টাকা দিতে চাইত তিনি খুবই রিঅ্যাক্ট করতেন।’

সুমন অনেক আগে স্টুডিওতে হাশিমের কিছু গান রেকর্ড করিয়েছিলেন। হার্ডডিস্ক নষ্ট হওয়ায় সেই গানও হারিয়ে যায় বলে জানান সুমন। তিনি এও জানান যে নাটকে হাশিমের একটি গান ব্যবহার করেছিলেন।

তিনি বলেন, “যখন আমরা হাওয়া সিনেমায় ‘সাদা সাদা কালা কালা’ গানটা ব্যবহারের জন্য হাশিম ভাইয়ের পরিবারের সঙ্গে দেখা করলাম, কিছু টাকা দিলাম, তারা বিস্মিত হলেন। তারা ভাবতেই পারেননি এমন কিছু একটা হতে পারে।’

‘সাদা সাদা কালা কালা’: কে এই হাশিম মাহমুদ
‘সাদা সাদা কালা কালা’ গানের গীতিকার ও সুরকার হাশিম মাহমুদ। ছবি: সংগৃহীত

গানটা হাশিম গাইতে না পারায় গেয়েছেন এরফান মৃধা শিবলু। তিনি নাকি হাশিমের সঙ্গে গান করেন ১৫ থেকে ২০ বছর ধরে। সুমন জানান, শিবলুর কাছে কাছেও ছিল না হাশিমের বিস্তারিত।

‘সাদা সাদা কালা কালা’ গানটি প্রকাশের পর চারুকলায় ডাকা হয়েছিল সুমনকে। সেখানে পরিচালকে বিশেষভাবে ধন্যবাদ জানানো হয়েছে। সুমন নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আমাকে সবাই মিলে ধন্যবাদ দিয়েছেন। তাদের সবারই কথা, হাশিম ভাইকে নিয়ে অনেকেই অনেক কিছু করতে চেয়েছে, কিন্তু শেষ পর্যন্ত তেমন কিছু হয়নি। হাওয়া সিনেমার মাধ্যমে হাশিম ভাইয়ের গানটি এখন অনেকেই শুনছে এবং তার নামটাও ছড়িয়ে যাচ্ছে।’

হাওয়া সিনেমা-সংশ্লিষ্টদের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, এখন পর্যন্ত হাওয়া সিনেমার ‘সাদা সাদা কালা কালা’ গানটি ৬০০-এর বেশি কাভার করা হয়েছে। সেগুলো হাওয়ার অফিশিয়াল পেজে শেয়ার দেয়া হচ্ছে।

সম্প্রতি হাশিমের আরেকটি গান আলোচনায় এসেছে। গানটির শিরোনাম ‘তোমায় আমি পাইতে পারি বাজি’।

আরও পড়ুন:
বাণিজ্যিক সিনেমায় অনুদান বন্ধের দাবির প্রতিবাদ সমিতিগুলোর
মাহি অডিশন দিতে পারে, পূজাকে নেয়া হচ্ছে না: আজিজ
‘হাওয়া’ আসছে জুলাইতে
আগের ঘোষণা পূর্ণ না করে বড় ঘোষণায় জাজ
ঢাকায় হালকা বৃষ্টি হতে পারে, সিলেটে ভারি

মন্তব্য

আরও পড়ুন

বিনোদন
Air Hostess Cycle Drugs Nobel Wife

এয়ার হোস্টেস চক্র নোবেলকে মাদক দেয়: স্ত্রী

এয়ার হোস্টেস চক্র নোবেলকে মাদক দেয়: স্ত্রী মিন্টো রোডে শনিবার ডিবি কার্যালয়ে গায়ক নোবেল ও তার স্ত্রী সালসাবিল। কোলাজ: নিউজবাংলা
সালসাবিল মাহমুদ বলেন, ‘এই চক্রের একজন নোবেলের সঙ্গে যোগাযোগ রাখে। সে তাকে মাদক সাপ্লাই দেয়। এমনকি তাদের এই সকল বিষয় নিয়ে আমি কথা বলায় আমাকে বিভিন্ন নম্বর থেকে হুমকি দেয়া হতো, তবে আমি নাম প্রকাশ করতে চাচ্ছি না।’

গায়ক মাঈনুল আহসান নোবেলকে আন্তর্জাতিক রুটে চলাচল করা বিমানের এয়ার হোস্টেস চক্র মাদক সরবরাহ করে বলে অভিযোগ করেছেন তার স্ত্রী সালসাবিল মাহমুদ।

তিনি বলেন, ‘এই চক্রের একজন নোবেলের সঙ্গে যোগাযোগ রাখে। সে তাকে মাদক সাপ্লাই দেয়। এমনকি তাদের এই সকল বিষয় নিয়ে আমি কথা বলায় আমাকে বিভিন্ন নম্বর থেকে হুমকি দেয়া হতো, তবে আমি নাম প্রকাশ করতে চাচ্ছি না।’

রাজধানীর মিন্টো রোডে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) কার্যালয়ে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন সালসাবিল।

প্রতারণার মামলায় নোবেলকে গ্রেপ্তারের পর তার স্ত্রী সালসাবিলকে মিন্টো রোডে ডাকে পুলিশ। সেখানে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেন নোবেলের স্ত্রী।

নির্যাতনের অভিযোগের বিষয়ে সালসাবিল বলেন, ‘নোবেল মাদক সেবন করে বাসায় এসে আমাকে নির্যাতন করত। একদিন ৯৯৯-এ কল দিয়ে পুলিশ ডাকি। তারা আমাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করে।

‘নোবেল সেই পুলিশ সদস্যদের সামনে স্বীকার করেছে মাদক সেবনের কারণে আমাকে মারধর করে। এরপর আমি গুলশান থানায় সাধারণ ডায়েরি করি।’

তিনি বলেন, ‘তার (নোবেল) ও আমার পরিবার আমাদের বিষয়টা নিয়ে বসে। তখন সে প্রতিশ্রুতি দেয়, সে এইসব থেকে ফিরবে। তার আশেপাশের মহল, যাদের প্ররোচনায় পড়ে মাদক পাচ্ছে, ওইটার ভেতর থেকে সে বেরিয়ে আসতে পারে নাই, যার কারণে আজকের এই অবস্থা। আজ ডিবি পুলিশ থেকে আমাকে ডাকা হয়েছে। আমি তাদের কাছে মৌখিক অভিযোগ দিয়েছি।’

নোবেলের গ্রেপ্তারের বিষয়ে কী বলল ডিবি

নোবেলের গ্রেপ্তারের বিষয়ে ডিবির কমিশনার হারুন অর রশীদ বলেন, ‘নোবেল একজন প্রতিষ্ঠিত গায়ক, কিন্তু সাম্প্রতিক সময়ে তার বিরুদ্ধে বেশ কিছু অভিযোগ উঠেছে। এরই মধ্যে শরীয়তপুরের ভেদরগঞ্জ হাই স্কুলে সাবেক শিক্ষার্থীদের আয়োজনে গান গাওয়ার চুক্তি করে। তাদের কাছ থেকে ১ লাখ ৭৫ হাজার টাকা নেয়।

‘নিজেও যাওয়ার কথা জানিয়ে বিজ্ঞাপন দিয়েছে, কিন্তু অনুষ্ঠানে সেখানে যায়নি। টাকা চাওয়ার পরে তাও ফেরত দেয়নি। এই ঘটনার পরে মামলা হয়, কিন্তু সে মামলার পরেও পুলিশের কাছে আসে না কিংবা আদালতেও আত্মসমর্পণ করেনি।’

এ ছাড়া নোবেলের বিরুদ্ধে বিভিন্ন স্থানে মঞ্চ অনুষ্ঠানে গিয়ে ভাঙচুর, মাতলামি করার অভিযোগ রয়েছে বলে জানান ডিবির প্রধান।

তিনি বলেন, ‘তার এই সকল অপকর্মের বিষয়ে আমরা নোবেলকে একাধিকবার বুঝিয়েছি, কিন্তু সে নিয়মিত মাদক সেবন করছে। স্ত্রীকে মারধর করছে। ‘মাদকাসক্ত থাকার কারণে আমরা সে কোনো অনুষ্ঠানে যাওয়ার কথা দিয়েও যেতে পারে না।’

এক প্রশ্নের জবাবে হারুন আরও বলেন, ‘আমরা নোবেলকে রিমান্ডে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করব। সে কোথা থেকে মাদক পায়, কারা সাপ্লাই দেয়, এটা খুঁজে বের করব। তার এই সকল কার্যক্রমের কারণে তার বাবা তাকে ত্যাজ্যপুত্র করেছে।

‘উত্তরবঙ্গের একটি অনুষ্ঠানে মঞ্চে উঠে মাতলামি করেছে, মঞ্চ ভাঙচুর করেছে, স্ত্রীকে মারধর করেছে। সব মিলিয়ে তার বিরুদ্ধে অনেকগুলো অভিযোগ রয়েছে।’

আরও পড়ুন:
শান্তির নোবেল হস্তান্তর
‘অর্থনীতির নোবেলে ব্যাংক ব্যবস্থাপনায় হুঁশিয়ারির বার্তা’
ব্যাংকধস ঠেকানোর গুরুত্ব জানিয়ে ৩ আমেরিকানের নোবেল জয়
অর্থনীতি দিয়ে বিকেলে শেষ হচ্ছে এবারের নোবেল পুরস্কার ঘোষণা
শান্তিতে নোবেল বেলারুশের মানবাধিকারকর্মী, ইউক্রেন-রাশিয়ার দুই সংগঠনের

মন্তব্য

বিনোদন
Singer Nobel detained

প্রতারণার মামলায় গায়ক নোবেল গ্রেপ্তার

প্রতারণার মামলায় গায়ক নোবেল গ্রেপ্তার সংগীতশিল্পী মাঈনুল আহসান নোবেল। ফাইল ছবি

প্রতারণার মামলায় গায়ক মাঈনুল আহসান নোবেলকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা শাখা (ডিবি)।

রাজারবাগ পুলিশ লাইনসে শনিবার দুপুরে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে ডিএমপি কমিশনার খন্দকার গোলাম ফারুক এ তথ্য জানান।

ডিএমপি কমিশনার বলেন, ‘নোবেলের নামে একটা প্রতারণার মামলা হয়েছে। একটা অনুষ্ঠানে যাওয়ার কথা বলে টাকা নিয়েছিলেন, কিন্তু যান নাই, যার ফলে তারা বাদী হয়ে মামলা করেছেন। সেই জন্য তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের কাছে এমন তথ্য আছে, তিনি বিভিন্ন অনুষ্ঠানে যাওয়ার কথা বলে টাকা নেয়, কিন্তু যায় না। এমন অনেক অভিযোগ।’

এর আগে ডিএমপি ডিবির অতিরিক্ত কমিশনার মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ গায়কের আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

তিনি জানান, একাধিক অভিযোগের বিষয়ে নোবেলকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।

নিজেকে ‘নোবেল ম্যান’ হিসেবে পরিচয় করানো নোবেল ব্যক্তিগত নানা আচরণের কারণে বিভিন্ন সময়ে আলোচিত হন। সম্প্রতি কুড়িগ্রামে একটি অনুষ্ঠানে গান গাইতে গিয়ে উচ্ছৃঙ্খল আচরণ করেন তিনি।

কুড়িগ্রাম ফুলবাড়ী ডিগ্রি কলেজের ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে আয়োজিত সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে নোবেলের আচরণে বিরক্ত হয়ে দর্শকরা জুতা ও পানির বোতল ছুড়ে মারেন শিল্পীর দিকে।

ওই ঘটনাটি মুহূর্তেই ভাইরাল হয় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। এতে সমালোচনার ঝড় ওঠে।

আরও পড়ুন:
‘অর্থনীতির নোবেলে ব্যাংক ব্যবস্থাপনায় হুঁশিয়ারির বার্তা’
ব্যাংকধস ঠেকানোর গুরুত্ব জানিয়ে ৩ আমেরিকানের নোবেল জয়
অর্থনীতি দিয়ে বিকেলে শেষ হচ্ছে এবারের নোবেল পুরস্কার ঘোষণা
শান্তিতে নোবেল বেলারুশের মানবাধিকারকর্মী, ইউক্রেন-রাশিয়ার দুই সংগঠনের
শান্তিতে নোবেল পুরস্কার বিকেল ৩টায়

মন্তব্য

বিনোদন
Artist Nobels riotous behavior on stage in Kurigram

কুড়িগ্রামে মঞ্চে উঠে উচ্ছৃঙ্খল আচরণ শিল্পী নোবেলের

কুড়িগ্রামে মঞ্চে উঠে উচ্ছৃঙ্খল আচরণ শিল্পী নোবেলের সংগীতশিল্পী মাঈনুল আহসান নোবেল। ফাইল ছবি
ভিডিওতে দেখা যায়, মঞ্চে ওঠার কিছুক্ষণ পর নোবেল ‘এই আমার চশমাটা কই’ বলে চিৎকার করেন। পরে চশমা পেয়ে চোখে পরে ‘সে যে আমার জন্মভূমি’ গান পরিবেশন করেন। এরপর মাইক্রোফোন স্ট্যান্ড আছড়ে ভেঙে ফেলেন তিনি।

কুড়িগ্রাম ফুলবাড়ী ডিগ্রি কলেজের ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে আয়োজিত সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে উচ্ছৃঙ্খল আচরণ করেছেন সংগীতশিল্পী মাঈনুল আহসান নোবেল।

এতে বিরক্ত হয়ে দর্শকরা জুতা ও পানির বোতল ছুড়ে মারেন শিল্পীর দিকে।

বৃহস্পতিবার রাতের ঘটনাটি মুহূর্তেই ভাইরাল হয় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। এতে সমালোচনার ঝড় ওঠে।

সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে দুই দিনব্যাপী অনুষ্ঠানের প্রথম দিন ছিল বর্ণাঢ্য র‌্যালি, আলোচনা সভা, কৃতী শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা, ডকুমেন্টারি প্রদর্শন, র‌্যাফেল ড্র এবং শিল্পীদের পরিবেশনায় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।

দিনব্যাপী অনুষ্ঠান শেষে রাত ১১টার দিকে মঞ্চে ওঠেন গায়ক নোবেল।

স্থানীয়দের কাছ থেকে জানা যায়, ফুলবাড়ী ডিগ্রি কলেজের ৫০তম বর্ষপূর্তি উদযাপন করতে গায়ক নোবেলকে আমন্ত্রণ জানানো হয়। রাত ৯টার দিকে তার গান গাওয়ার কথা থাকলেও তিনি মঞ্চে ওঠেন ১১টা ২০ মিনিটে।

ভিডিওতে দেখা যায়, মঞ্চে উঠে নোবেল তার চশমা খুলে পাঞ্জাবির কলারে রেখে বলেন, ‘দ্বিতীয়বার কুড়িগ্রাম আসলাম। এর আগে এসেছিলাম। তোমাদের সাথে দেখা হয়নি। সুদূর ইন্ডিয়ার বর্ডার লাইনে থেকে গেছিলাম। তোমাদের কারও সাথে দেখা হয়নি। এবার দেখা হলো, আলহামদুলিল্লাহ।’

একটু পর ‘এই আমার চশমাটা কই’ বলে চিৎকার করেন। পরে চশমা পেয়ে চোখে পরে ‘সে যে আমার জন্মভূমি’ গান পরিবেশন করেন।

পরে মাইক্রোফোন স্ট্যান্ড আছড়ে ভেঙে ফেলেন নোবেল। এরপর তিনি মঞ্চে দুই পা তুলে লাথি মেরে পরনের প্যান্ট দুই হাত দিয়ে ঠিক করে গান ধরেন ‘কারার ওই লৌহ কপাট’। গানের একপর্যায়ে টলতে টলতে বসে পড়েন শিল্পী। সে সময় ক্ষেপে গিয়ে দর্শকরা জুতা ও পানির বোতল দিয়ে ঢিল ছুড়ে মারেন নোবেলের দিকে। পরে স্টেজে থাকা কয়েকজন এবং আয়োজকরা নোবেলকে সরিয়ে নিয়ে যান।

এমন দৃশ্যের ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে মুহূর্তেই ছড়িয়ে পড়লে শুরু হয় সমালোচনার ঝড়।

এদিকে অনুষ্ঠান পণ্ড হওয়ার বিষয়ে শিল্পী ও আয়োজকদের কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

এর আগে বৃহস্পতিবার দুপুরে জেলার ফুলবাড়ী উপজেলার ঐতিহ্যবাহী ফুলবাড়ী ডিগ্রি কলেজের ৫০ বছর পূর্তি ও সুবর্ণজয়ন্তী অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী জাকির হোসেন।

ওই সময় উপস্থিত ছিলেন জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. মো. মশিউর রহমান, কুড়িগ্রাম-২ আসনের সংসদ সদস্য পনির উদ্দিন আহমেদ, জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সাইদুল আরীফ, পুলিশ সুপার আল আসাদ মো. মাহফুজুল ইসলাম, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান জাফর আলী, সাধারণ সম্পাদক আমান উদ্দিন আহমেদ মঞ্জু, পূর্তি অনুষ্ঠানের আহ্বায়ক ও ফুলবাড়ী ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ আমিনুল ইসলাম রিজু, সদস্য সচিব ও জসিমিয়া মডেল সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আবেদ আলীসহ অনেকে।

মন্তব্য

বিনোদন
Mahfuzur Rahman is giving songs to fans on Eid

এবারও ঈদে ভক্তদের গান উপহার দিচ্ছেন মাহফুজুর রহমান

এবারও ঈদে ভক্তদের গান উপহার দিচ্ছেন মাহফুজুর রহমান ভক্তদের জন্য গান নিয়ে হাজির হচ্ছেন মাহফুজুর রহমান। ছবি: সংগৃহীত
আসন্ন ঈদুল ফিতরে এই শিল্পীর গানের অনুষ্ঠান প্রচার করবে টেলিভিশনটি। তার গানের খবর পেয়ে আগের প্রতি বারের মতোই ফেসবুকে আলোচনা শুরু হয়েছে এরই মধ্যে।

গত কয়েক বছর ধরেই ঈদ উপহার হিসেবে ভক্তদের জন্য গান গাইছেন এটিএন বাংলা চ্যানেলের কর্ণধার মাহফুজুর রহমান। এবারও যথারীতি গান নিয়ে হাজির হচ্ছেন তিনি।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে এটিএন বাংলার ভেরিফায়েড পেজে বুধবার এক পোস্টে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে। পোস্ট করা হয়েছে তার নতুন গানের ইউটিউব লিংকও।

আসন্ন ঈদুল ফিতরে এই শিল্পীর গানের অনুষ্ঠান প্রচার করবে টেলিভিশনটি। তার গানের খবর পেয়ে আগের প্রতি বারের মতোই ফেসবুকে আলোচনা শুরু হয়েছে এরই মধ্যে।

এবারের ঈদে প্রচার হবে মাহফুজুর রহমানের একক সংগীতানুষ্ঠান ‘হৃদয় তোমাকেই চায়’। এতে গজল সম্রাট ও পাকিস্তানের গজল গায়ক মেহেদী হাসানের প্যায়ার ভারে দো শার্মিলে ন্যান, রাফতা রাফতাও গাইবেন তিনি।

কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, অ্যালবামের গানগুলোর সুরারোপ করেছেন মান্নান মোহাম্মদ। এটিএন বাংলার স্টুডিওতেই গানগুলোর চিত্রায়ণ সম্পন্ন হয়।

২০১৬ সালে মাহফুজুর রহমানের প্রথম গানের অনুষ্ঠান প্রচার হয় এটিএন বাংলায়। ‘হৃদয় ছুঁয়ে যায়’ শীর্ষক ওই অনুষ্ঠান নিয়ে তখন ব্যাপক আলোচনা হয় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে।

এর পর ২০১৭ সালের ঈদুল ফিতরে আসে ‘প্রিয়ারে’ এবং একই বছর ‘স্মৃতির আলপনা আঁকি’ গানের অনুষ্ঠান নিয়ে হাজির হন তিনি।

২০১৮ সালে হিন্দি গান গেয়েছিলেন মাহফুজুর রহমান। ওই বছরের ২৪ জুলাই সাবেক স্ত্রী ইভা রহমানের জন্মদিন এ উপলক্ষে একটি হিন্দি গানে ইভার সঙ্গে দ্বৈতভাবে কণ্ঠ দেন তিনি।

ঈদের টেলিভিশন অনুষ্ঠানে নতুন বিনোদন যোগ করে শিল্পী মাহফুজুর রহমানের গান। অনেকেই তার গানের ছবি ও ভিডিও ফেসবুকে শেয়ার করে থাকেন। তার কণ্ঠ ও গানের সময় পরা পোশাক নিয়ে সমালোচনাও হয়।

অবশ্য এসবের কিছুই গায়ে মাখেন না মাহফুজুর রহমান। বরং ব্যাপারটা বেশ উপভোগ করেন বলে একাধিক গণমাধ্যমে সাক্ষাৎকারে জানিয়েছেন তিনি।

আরও পড়ুন:
শুটিংয়ে আহত হইনি, খবরটি ভুয়া: সঞ্জয় দত্ত
ইনস্টাগ্রামে ভুয়া আইডি খুলে পলাশকে জ্বালাচ্ছে কে
‘মহানগর ২’ এর প্রশংসায় চঞ্চল চৌধুরী

মন্তব্য

বিনোদন
Nahubo did not compose the song with any bad words Animesh

কোনো খারাপ কথায় ‘নাহুবো’ গানটি রচনা করিনি: অনিমেষ

কোনো খারাপ কথায় ‘নাহুবো’ গানটি রচনা করিনি: অনিমেষ এরই মধ্যে সাড়া ফেলেছে ‘নাহুবো’ গানটি। ছবি: সংগৃহীত
অনিমেষ বলেন, দয়া করে আমার ভাষা নিয়ে কেউ বাজে কথা বলবেন না। আমি এতোটা বাজে রুচির মানুষ নই । গান ভালো না লাগতেই পারে। কারণ গানটা আমি আমার ভাবনা, দর্শন,আর আমার রুচিবোধ থেকে লিখেছি এবং গেয়েছি। সেদিক থেকে সবার ভালো না লাগতেই পারে। আর এটাই স্বাভাবিক।

কোক স্টুডিও বাংলার দ্বিতীয় মৌসুমের ‘নাহুবো’ গানে কোনো খারাপ বা বাজে কথা নেই, যাতে হাজং সম্প্রদায় লজ্জিত হবে।

গানটি প্রকাশ হওয়ার পর যারা এর ভাষা ও কথা নিয়ে সমালোচনা করছেন তাদের উদ্দেশে এই বার্তা দিয়েছেন গানের হাজং ভাষার অংশের লেখক অনিমেষ রায়।

হাজং সম্প্রদায়ের অনিমেশ এই গানের শিল্পীও। তার সঙ্গে গানটি লেখায় অংশ নেন শিল্পী সোহানা রহমান। ‘নাসেক নাসেক’ গান দিয়ে ব্যাপক জনপ্রিয়তা পাওয়া অনিমেষ নতুন গানের মাধ্যমে নিজের জাতিগোষ্ঠী হাজংয়ের সংস্কৃতি তুলে এনেছেন।

ফেসবুকে এক পোস্টে তিনি লিখেছেন, ‘আমি জানি ভাষাগত কারণে আপনাদের অনেকেরই খুব কষ্ট হচ্ছে এটাকে সহজে বুঝতে। সেটার জন্য আমি দুঃখিত। তবে এটুকু বলতে পারি যে, আমি কোনো বাজে কথা বা খারাপ কথায় এই গানটি রচনা করিনি, যার জন্য আমার হাজং সম্প্রদায় লজ্জিত হবে।’

তিনি বলেন, ‘দয়া করে আমার ভাষা নিয়ে কেউ বাজে কথা বলবেন না। আমি এতোটা বাজে রুচির মানুষ নই । গান ভালো না লাগতেই পারে। কারণ গানটা আমি আমার ভাবনা, দর্শন,আর আমার রুচিবোধ থেকে লিখেছি এবং গেয়েছি। সেদিক থেকে সবার ভালো না লাগতেই পারে। আর এটাই স্বাভাবিক।

‘তবে, এখানে আমার জাতিসত্তার প্রতি যদি কোনো বাজে প্রভাব পরে, তাহলে আমি এর জন্যে দোষী হয়ে যাচ্ছি। দয়া করে আমাকে এতো বড়ো দোষ দিবেন না। তাহলে হয়তো আর কেউ চেষ্টা করবে না- এটা প্রমাণ করতে যে, বাঙালি সংস্কৃতি কতোটা বৈচিত্র্যময় ।’

অনিমেষ লিখেছেন, ‘আমিও বাঙালি, বাংলাদেশি। কিন্তু যন্ত্রণাটা হলো আমার জন্মগত, বংশগত, সম্প্রদায়গত একটা ভাষা আছে সেটা হলো হাজং ভাষা। জন্মের পর থেকে এই ভাষায় কথা বলা শিখেছি।

‘কিন্তু কিছুটা বড় হওয়ার পর বুঝলাম যে আমার রাষ্ট্রীয় ভাষা বাংলা। শুরু করলাম আমার রাষ্ট্রীয় ভাষা শেখা বাংলা। সেই তখন থেকে এখন পর্যন্ত আমার কন্ঠ থেকে যতগুলো শব্দ এ সমাজের মানুষের কাছে পৌঁছেছে তার সিংহভাগ বাংলা।’

তিনি লিখেছেন, ‘ইদানিং তো আমার মনে হয় আমি একটা কথাও হাজং ভাষায় বলি না। সব বাংলায়। আর এটাই স্বাভাবিক। এতে আমি বা আমার হাজং ভাষাভাষী জনমানুষের বিন্দু মাত্র দুঃখ,যন্ত্রণা হয়না। কারন আমরা জানি আমরা বাঙালি। আমাদের এখনো হাজং ভাষার কোনো বর্ণমালা নেই

‘তাই খুব করে চেষ্টা করছিলাম যেন এই গানের মাধ্যমে যতটুকু পারি আমার এই ভাষাটাকে বাঁচিয়ে রাখতে। এটার জন্যে আমরা অনেকদিন ধরে বিভিন্ন পদক্ষেপও নিচ্ছি। সৌভাগ্যক্রমে কোক স্টুডিও আমাদের হাজং সম্প্রদয়ের (বাঙালির) জন্যে একটি সুবর্ণ সুযোগ নিয়ে আসলো। আনন্দে ঝাঁপিয়ে পড়লাম। এই বুঝি একটু সুযোগ পেলাম হাজং ভাষার অস্তিত্বকে একটু জানান দেবার,বাঁচিয়ে রাখবার।’

অনিমেষ লিখেছেন, ‘আমার কোনো কথায় আপানারা কোনোরকম কষ্ট পেলে আমাকে ক্ষমা করবেন। আরেকটা কথা, বাংলায় এ পর্যন্ত এতো বড়ো একটা জায়গায় মাত্র দুটি হাজং ভাষায় গান হয়েছে। আমি বলছিনা জোর করে ভালো লেগেছে বলতে। শুধু বলছি আমার সৃষ্টিকে ভালো লাগেনি বলতে গিয়ে যেন পুরো বাংলার ঐতিহ্যকে অসম্মান করে বসেন।’

আরও পড়ুন:
ভালোবাসা দিবসে ফিরছে কোক স্টুডিও বাংলা
কোকাকোলা বাংলাদেশের নতুন এমডি মায়াঙ্ক অরোরা
বর্জ্য রিসাইক্লিংয়ে অর্থ দেবে কোকা-কোলা

মন্তব্য

বিনোদন
Musician Asif Akbar got a job

চাকরি পেয়েছেন সংগীতশিল্পী আসিফ আকবর

চাকরি পেয়েছেন সংগীতশিল্পী আসিফ আকবর
গায়ক লিখেছেন, ‘মার্চের এক তারিখ থেকেই আমার চাকরি জীবন শুরু হয়েছে। জীবনে প্রথম কোন চাকরিতে যোগদান করলাম। আজ থেকে আমি আনুষ্ঠানিকভাবে অফিস শুরু করতে যাচ্ছি।’

জীবনের প্রথম চাকরি পেয়েছেন জানিয়ে ভক্তদের কাছে দোয়া চাইলেন জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী আসিফ আকবর।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে রোববার এক পোস্টে এই তথ্য দিয়েছেন তিনি।

গায়ক লিখেছেন, ‘মার্চের এক তারিখ থেকেই আমার চাকরি জীবন শুরু হয়েছে। জীবনে প্রথম কোন চাকরিতে যোগদান করলাম। আজ থেকে আমি আনুষ্ঠানিকভাবে অফিস শুরু করতে যাচ্ছি।’

তিনি বলেন, ‘চাকরির অফার এবং ধরন-দুটোই আমার পছন্দ হয়েছে। দীর্ঘ ক্যারিয়ারে আরো একটি নতুন পালক যুক্ত হলো। আমি বেশ আনন্দ নিয়েই কাজে যোগদান করেছি।’

আসিফ লিখেছেন, ‘এই চাকরির মাধ্যমে দেশের জন্য, আমাদের ইন্ডাস্ট্রির জন্য অনেক কিছু করার সুযোগ আমার আছে।’

ভার্সেটিল গ্রুপের ‘হ্যালো সুপারস্টার’ (অ্যাপ)-এর ‘কান্ট্রি হেড’ পদে যোগ দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন এই সংগীতশিল্পী।

ভার্সেটিল গ্রুপের চেয়ারম্যান ড. কামরুল আহসান আসিফ আকবরকে নিয়োগের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, আমার প্রিয় ভাই আসিফ আকবরকে ভার্সেটিলে স্বাগত জানাই। আপনাকে পেয়ে আমরা সম্মানিত এবং আনন্দিত।

আরও পড়ুন:
শিল্পী আসিফকে ই-পাসপোর্ট দেয়ার নির্দেশ হাইকোর্টের
কবীর সুমন-আসিফের দ্বৈত গান
পাসপোর্ট পেতে হাইকোর্টে গায়ক আসিফ

মন্তব্য

বিনোদন
Greetings Ambassador Tahsan

শুভেচ্ছা দূত তাহসান

শুভেচ্ছা দূত তাহসান জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী তাহসান খান। ফাইল ছবি
তাহসান খান বলেন, ‘ইউএনএইচসিআর-এর শুভেচ্ছা দূত হয়ে মানবতার জন্য কণ্ঠস্বর হিসেবে কাজ করা একটি সম্মানের বিষয়। তাদের সঙ্গে আমার কাজের মাধ্যমে আমি স্থানীয় জনগণ ও শরণার্থীদের মধ্যে সম্প্রীতি আনতে বড় ভূমিকা রাখতে পারব।’

জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী তাহসান খান আগামী দুই বছরের জন্য জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থা ইউএনএইচসিআর-এর শুভেচ্ছা দূত হয়েছেন। টানা কয়েক বছর শরণার্থীদের জন্য কাজ করার ধারাবাহিকতায় এবারও তাকে শুভেচ্ছা দূত করা হয়েছে।

সংস্থাটির পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, তাহসান খান শরণার্থীদের বিষয়ে জানতে ও জানাতে ইউএনএইচসিআর-এর সঙ্গে কাজ করছেন ২০১৯ সাল থেকে। তিনি প্রতিবছর কক্সবাজারে রোহিঙ্গা আশ্রয় শিবির পরিদর্শন করেন এবং আশ্রিতদের চাহিদা, চ্যালেঞ্জ ও ভবিষ্যতের আশা সম্পর্কে মানুষের মাঝে সচেতনতা তৈরিতে ইউএনএইচসিআরকে সাহায্য করেছেন।

বাংলাদেশে ইউএনএইচসিআর-এর প্রতিনিধি ইয়োহানেস ভন ডার ক্লাও বলেন, ‘তাহসানের সঙ্গে কাজ করা খুবই আনন্দের এবং রোহিঙ্গাদের দুর্দশা লাঘবে কাজ চালিয়ে যাওয়ার তার এই সিদ্ধান্তে আমরা কৃতজ্ঞ। তার অনন্য ব্যক্তিত্ব আমাদের সাহায্য করে মানুষকে বোঝাতে যে রোহিঙ্গারাও মানুষ।’

তাহসান খান বলেন, ‘ইউএনএইচসিআর-এর শুভেচ্ছা দূত হয়ে মানবতার জন্য কণ্ঠস্বর হিসেবে কাজ করা একটি সম্মানের বিষয়। তাদের সঙ্গে আমার কাজের মাধ্যমে আমি শরণার্থীদের সম্পর্কে সচেতনতা বাড়াতে এবং স্থানীয় জনগণ ও শরণার্থীদের মধ্যে সম্প্রীতি আনতে বড় ভূমিকা রাখতে পারব।’

তাহসান বিশ্বব্যাপী ইউএনএইচসিআর-এর ৪০ জন শুভেচ্ছা দূতের একজন; যারা তাদের জনপ্রিয়তা, আত্মত্যাগ ও কঠোর পরিশ্রমের মাধ্যমে বিশ্বের প্রতিটি কোণে শরণার্থীদের অবস্থা ও ইউএনএইচসিআর-এর কাজকে তুলে ধরতে সাহায্য করেন।

আরও পড়ুন:
তাহসান-লেইলা পারি জুটির ইংরেজি গান
ফারিয়া-মিথিলার পর জামিন পেলেন তাহসান
ইভ্যালির গ্রাহকের মামলায় তাহসানকে আগাম জামিন
তাহসান-মিথিলার দেখা হলো, কথা হলো
‘আমি চাই কথা হোক, গল্প হোক অনুভূতি নিয়ে’

মন্তব্য

p
উপরে