এযাবৎ বন্ধুদের বিয়েতে ‘ব্রাইডস মেড’ হয়েছেন আলিয়া ভাট। অতঃপর এলো তার বিয়ের পালা। বিয়ে বাড়িতে কনের ‘ব্রাইডস মেড’দের নজর যে বরের জুতার দিকে থাকবে তা বলাই বাহুল্য। তেমনই রণবীর-আলিয়ার বিয়েতেও জুতা চুরির কাণ্ড ঘটেছে।
সেই চুরি যাওয়া জুতা ফেরত পেতে ‘ব্রাইডস মেড’দের মোটা অঙ্কের দাবি মেটাতে হয়েছে রণবীরের। যা শোনে চোখ কপালে উঠার জোগার নেটিজেনদের।
তারা চেয়েছিলেন ১১ কোটি রুপি। তবে রণবীর তা নামিয়ে এনেছিলেন ১২ লাখে।
শুধু তাই নয়, তা পরিশোধ করার জন্য দস্তখতও দিয়েছেন রণবীর। সেই দস্তখত দেয়া চিরকুটসহ আলিয়ার ‘ব্রাইডস মেড’দের সঙ্গে ছবিও তুলেছেন রণবীর।
সম্প্রতি সেই ছবি প্রকাশ করা হয়েছে ফিল্মফেয়ারের ভেরিফায়েড ইসন্টাগ্রামে।
View this post on Instagram
সেই চিরকুটে লেখা, ‘আমি আলিয়া ভাটের স্বামী রণবীর কাপুর, আলিয়ার ‘ব্রাইডস মেড’দের ১২ লাখ রুপি দেয়ার প্রতিশ্রুতি দিচ্ছি।’
টানা পাঁচ বছর প্রেমের পর গত ১৪ এপ্রিল বিয়ে করেন তারকা জুটি রণবীর-আলিয়া। মুম্বাইয়ে রণবীরের বাড়িতে পরিবারের সদস্য ও কয়েকজন বন্ধুর উপস্থিতিতে বিয়ে সারেন তারা।
বিয়ের দুই দিন পর সেই বাড়িতেই বলিউডের তারকাদের নিয়ে ঘরোয়া রিসেপশনের আয়োজন করা হয়েছিল।
সেখানে উপস্থিত ছিলেন শাহরুখ খান, গৌরি খান, কারিশ্মা কাপুর, কারিনা কাপুর, অর্জুন কাপুর, মালাইকা, আদিত্য রায় কাপুর, প্রীতমসহ অনেকেই।
বিয়ে নিয়ে খুব একটা জাঁকজমক কিংবা হই-হুল্লোড় দেখা যায়নি এই তারকা জুটির মধ্যে। হানিমুনেরও সময় হয়ে উঠেনি তাদের। রিসেপশনের পরে দুজনেই কাজে ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন।
আরও পড়ুন:৭৫ তম কান চলচ্চিত্র উৎসবে জুরি হিসেবে ভারতের প্রতিনিধিত্ব করতে পেরে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছেন বলিউড অভিনেত্রী দীপিকা পাডুকোন।
সেই সঙ্গে ভারতীয় চলচ্চিত্র কীভাবে এগিয়ে চলেছে তা উল্লেখ করে দীপিকা মন্তব্য করেছেন, ‘আমি সত্যিই বিশ্বাস করি এমন এক দিন আসবে যখন ভারত কানে থাকবে না, কান ভারতে থাকবে।’
কান চলচ্চিত্র উৎসবে বুধবার ইন্ডিয়া প্যাভেলিয়নের উদ্বোধনে সময় তিনি এ মন্তব্য করেন। বার্তা সংস্থা এএনআইয়ের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
দীপিকা বলেন, ‘আমার মনে হয় রাষ্ট্র হিসাবে আমাদের এখনও অনেকটা পথ পাড়ি দেয়ার বাকি। একজন ভারতীয় হিসাবে এখানে আসতে পেরে এবং দেশের প্রতিনিধিত্ব করতে পেরে আমি সত্যিই গর্বিত।
‘তবে আমি আগেও বলেছি যে, কানের ৭৫ বছরের ইতিহাসে হাতে গোনা কয়েকটি ভারতীয় সিনেমা ও ভারতীয় প্রতিভা এ পর্যন্ত আসতে পেরেছে। আমার মতে এখন সম্মিলিতভাবে আমাদের সে সক্ষমতা রয়েছে।’
দীপিকা আস্থা প্রকাশ করেছেন যে শিগগিরই এমন একটি দিন আসবে যখন ভারতে কান ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল অনুষ্ঠিত হবে।
অভিনেত্রী বলেন, ‘আমাদের প্রতিভা ও সামর্থ্য আছে এবং আমি মনে করি আমাদের নিজেদের প্রতি বিশ্বাসটাও আছে। আমি সত্যই বিশ্বাস করি এমন এক দিন আসবে যখন ভারত কানে থাকবে না, কান ভারতে আসবে।’
অনুষ্ঠানে ভারতীয় সিনেমাকে বিশ্ব দরবারে তুলে ধরার জন্য সংগীতশিল্পী এ আর রহমান এবং চলচ্চিত্র নির্মাতা শেখর কাপুরেরও প্রশংসা করেন দীপিকা।
তিনি বলেন, ‘ভারতকে বিশ্ব দরবারে তুলে ধরার জন্য ও আমাদের এখানে আসার পথ তৈরি করার জন্য আমি রেহমান স্যার ও শেখর স্যারকে ধন্যবাদ জানাতে চাই ।’
এবার সম্মানজনক চলচ্চিত্র উৎসবে মেতেছে ভারতীয় সিনেমা। মার্চে ডু সিনেমায় ভারতকে প্রথম ‘কান্ট্রি অফ অনার’ হিসেবে বেছে নেয়া হয়েছে।
দীপিকা ছাড়াও এবার কান উৎসবে অংশ নিয়েছেন- এ আর রহমান, ঐশ্বরিয়া রায়, তামান্না ভাটিয়া, আর মাধবন, পূজা হেগড়ের মতো বহু নামজাদা ভারতীয় শিল্পী।
আরও পড়ুন:‘আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারি’ গানের রচয়িতা, লেখক ও সাংবাদিক আবদুল গাফ্ফার চৌধুরী আর নেই।
যুক্তরাজ্যের লন্ডনে স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার সকাল ৬টা ৪০ মিনিটে তার মৃত্যু হয়।
গাফ্ফার চৌধুরীর মৃত্যুতে রাষ্ট্রপতি-প্রধানমন্ত্রীসহ শোক জানিয়েছেন বিভিন্ন রাজনৈতিক, সাংস্কৃতিক সংগঠন ও বিশিষ্টজনেরা।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও শোক ও শ্রদ্ধা প্রকাশ করছেন বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ।
তেমনিভাবে তাকে শ্রদ্ধা জানিয়ে দুই বাংলার জনপ্রিয় অভিনেত্রী জয়া আহসান বলেছেন, ‘আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারি’ গানটি যদি বেঁচে থাকে, ততদিন গাফ্ফার চৌধুরীর মৃত্যু কি সম্ভব।'
ফেসবুক পেজে গাফ্ফার চৌধুরীর একটি ছবি পোস্ট করে জয়া লেখেন, ‘‘ফেব্রুয়ারি মাসটি এলেই আমাদের কার না মনে বাজতে থাকে সেই গানটি! আর একুশের ভোর থেকে সে গান ছাপিয়ে সারা বাংলাদেশের আকাশে-বাতাসে; ‘আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারি’।
‘‘জাতির মর্মমূলে গেঁথে যাওয়া এই গান টিকে থাকবে বাঙালি যত দিন পৃথিবীর বুকে বেঁচে থাকবে তত দিন। এই গানটি যদি বেঁচে থাকে, আবদুল গাফ্ফার চৌধুরীর মৃত্যুও কি তাহলে সম্ভব!’’
মুক্তিযুদ্ধে মুজিবনগর সরকারের মাধ্যমে নিবন্ধিত স্বাধীন বাংলার প্রথম পত্রিকা ‘সাপ্তাহিক জয় বাংলা’র প্রতিষ্ঠাতা সম্পাদক ছিলেন আবদুল গাফ্ফার চৌধুরী। বরিশালের উলানিয়ার চৌধুরী বাড়িতে তার জন্ম ১৯৩৪ সালের ১২ ডিসেম্বর।
আবদুল গাফ্ফার চৌধুরী উলানিয়া জুনিয়র মাদ্রাসায় ষষ্ঠ শ্রেণি পর্যন্ত লেখাপড়া করে হাইস্কুলে ভর্তি হন। ১৯৫০ সালে ম্যাট্রিক পাস করে ভর্তি হন ঢাকা কলেজে।
১৯৫৩ সালে তিনি ঢাকা কলেজ থেকে ইন্টারমিডিয়েট পাস করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ১৯৫৮ সালে বিএ অনার্স পাস করেন। ১৯৪৬ সালে বাবার মৃত্যুর পর তাকে চলে যেতে হয় বরিশাল শহরে। তিনি ভর্তি হন আসমত আলী খান ইনস্টিটিউটে।
সে সময় আর্থিক অনটনের শিকার হয়ে উপার্জনের পথ খুঁজতে থাকেন। ১৯৪৭ সালে তিনি কংগ্রেস নেতা দুর্গা মোহন সেন সম্পাদিত ‘কংগ্রেস হিতৈষী’ পত্রিকায় কাজ শুরু করেন।
বরিশাল শহরে কিছুদিন মার্কসবাদী দল আরএসপির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। ছাত্রজীবনেই তার সাহিত্যচর্চা শুরু হয়।
১৯৪৯ সালে ‘সওগাত’ পত্রিকায় আবদুল গাফ্ফার চৌধুরীর প্রথম গল্প ছাপা হয়।
১৯৫০ সালেই গাফ্ফার চৌধুরীর কর্মজীবন পরিপূর্ণভাবে শুরু হয়। এ সময়ে তিনি ‘দৈনিক ইনসাফ’ পত্রিকায় সাংবাদিক হিসেবে কর্মজীবন শুরু করেন।
পরবর্তী সময়ে ‘সংবাদ’, ‘সওগাত’, ‘মেঘনা’, ‘চাবুক’, ‘আজাদ’, ‘জনপদ’, ‘বাংলার ডাক’, ‘সাপ্তাহিক জাগরণ’, ‘নতুন দেশ’, ‘পূর্বদেশ’সহ অনেক পত্রিকায় কাজ করেন।
প্রবাসে বসেও গাফ্ফার চৌধুরী বাংলাদেশের প্রধান পত্রিকাগুলোয় নিয়মিত লিখেছেন।
গাফ্ফার চৌধুরীর বইগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো ‘চন্দ্রদ্বীপের উপাখ্যান’, ‘নাম না জানা ভোর’, ‘নীল যমুনা’, ‘শেষ রজনীর চাঁদ’, ‘কৃষ্ণপক্ষ’, ও ‘পলাশী থেকে ধানমণ্ডি’।
বাংলা একাডেমি পুরস্কার, একুশে পদক, ইউনেসকো পুরস্কার, বঙ্গবন্ধু পুরস্কার, সংহতি আজীবন সম্মাননা পদক, স্বাধীনতা পদকসহ অনেক পুরস্কার ও সম্মাননা পেয়েছেন আবদুল গাফ্ফার চৌধুরী।
বাংলাদেশে ইউনিসেফের শুভেচ্ছাদূত হিসেবে যোগ দিয়েছেন জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারপ্রাপ্ত অভিনেত্রী বিদ্যা সিনহা মিম। ইউনিসেফের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার দুপুরে রাজধানীর একটি পাঁচতারকা হোটেলে চুক্তি স্বাক্ষরের মাধ্যমে শুভেচ্ছাদূত হিসেবে আনুষ্ঠানিক পথচলা শুরু করলেন জনপ্রিয় এই অভিনেত্রী।
জাতীয় শুভেচ্ছাদূত হিসেবে মিম সারা বিশ্বের বিশিষ্ট ব্যক্তিত্বদের সঙ্গে যুক্ত হলেন; যারা নিজেদের জনপ্রিয়তা ও জোরালো কণ্ঠস্বর কাজে লাগিয়ে শিশু অধিকার রক্ষায় কাজ করছেন।
মিম শিশুদের অধিকার সম্পর্কে সচেতনতা বাড়াতে কাজ করবেন, বিশেষ করে যেসব শিশু সবচেয়ে অবহেলিত। বাংলাদেশে শিশু ও নারীরা যে ধরনের সহিংসতার মুখোমুখি হয় তার বিরুদ্ধে তিনি ইউনিসেফের পক্ষে কথা বলবেন।
মিম বলেন, ‘সারা দেশে শিশুদের জন্য তাদের শিক্ষা, সুস্বাস্থ্য ও উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ নিশ্চিত করার লক্ষ্যে, ইউনিসেফ আমাদের সঙ্গে আছে। আমি দীর্ঘদিন ধরে শিশুদের জন্য ইউনিসেফের কাজে মুগ্ধ। প্রতিটি শিশুর অধিকার প্রতিষ্ঠায় সেই কাজের অংশ হতে পেরে আমি কৃতজ্ঞ।’
তিনি আরও বলেন, ‘শিশু ও নারীর অধিকারের জন্য সোচ্চার হওয়া আমাদের প্রত্যেকের দায়িত্ব। আমি সেই দায়িত্ব ইউনিসেফের সঙ্গে একত্রে পালন করতে উন্মুখ।’
এই নিয়োগের আগে মিম ইতোমধ্যেই কোভিড-১৯ প্রতিরোধে সচেতনতা বাড়াতে ইউনিসেফের সঙ্গে কাজ করেছেন। মহামারি শুরু হওয়ার পর থেকে তিনি জীবন বাঁচাতে টিকার গুরুত্বপূর্ণ অবদান এবং টিকাদান সেবায় আরও বিনিয়োগের প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরতে বৈশ্বিক আহ্বানে কণ্ঠ মেলান।
বাংলাদেশে ইউনিসেফের প্রতিনিধি শেলডন ইয়েট বলেন, ‘মিম তার অসীম প্রাণশক্তি ও উদ্যম এবং বাংলাদেশের সবচেয়ে অবহেলিত শিশু ও নারীদের সুরক্ষিত রাখার দৃঢ় প্রতিশ্রুতি নিয়ে আমাদের সাথে যুক্ত হচ্ছেন।
‘মিমকে সঙ্গে পেয়ে আমরা আনন্দিত এবং প্রতিটি শিশুর অধিকার ও সার্বিক কল্যাণের জন্য তার সঙ্গে কাজ করতে আমরা উন্মুখ।’
আরও পড়ুন:পর্নো ফিল্ম বানানো ও বিতরণের ঘটনায় বলিউড অভিনেত্রী শিল্পা শেঠির স্বামী ব্যবসায়ী রাজ কুন্দ্রার বিরুদ্ধে অর্থপাচারের মামলা করেছে ভারতের অর্থসংক্রান্ত গোয়েন্দা সংস্থা এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)।
ইডি সূত্রের বরাত দিয়ে বার্তা সংস্থা এএনআইয়ের প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
পর্নো ফিল্ম তৈরির অভিযোগে গত বছরের ১৯ জুলাই রাজ কুন্দ্রাসহ আরও ১১ জনকে গ্রেপ্তার করেছিল আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। এরপর ২০ সেপ্টেম্বর ৫০ হাজার টাকার মুচলেকায় মুম্বাই হাইকোর্ট তাকে জামিন দেয়।
ওই ঘটনার জেরে এবার রাজ কুন্দ্রার বিরুদ্ধে অর্থপাচারের মামলা করল ইডি।
ইডি সূত্র জানিয়েছে, রাজ কুন্দ্রা ২০১৯ সালের ফেব্রুয়ারিতে আর্মস প্রাইম মিডিয়া লিমিটেড নামে একটি সংস্থা এবং হটশটস নামের একটি অ্যাপ বানিয়েছিলেন। অ্যাপটি পরবর্তী সময়ে যুক্তরাজ্যভিত্তিক কোম্পানি কেনরিনের কাছে বিক্রি করেছিলেন তিনি। কেনরিনের সিইও প্রদীপ বক্সি রাজ কুন্দ্রার শ্যালক।
ইডির সূত্র আরও জানায়, হটশটস অ্যাপের রক্ষণাবেক্ষণের জন্য রাজ কুন্দ্রার সংস্থা ভিয়ান ইন্ডাস্ট্রিজ চুক্তি করেছিল কেনরিনের সঙ্গে। হটশটস থেকে অর্জিত কোটি কোটি টাকা ভিয়ানের ১৩টি ব্যাংক অ্যাকাউন্টে লেনদেন হয়েছিল।
সূত্র আরও জানায়, হটশটস অ্যাপটি ছিল মূলত ভারতে নির্মিত পর্নো সিনেমাকেন্দ্রিক প্ল্যাটফর্ম। অ্যাপটিতে সাবস্ক্রিপশন অপশন ছিল। এর মাধ্যমে গ্রাহকদের কাছ থেকে অর্জিত বিপুল অর্থ রাজ কুন্দ্রার কোম্পানি ভিয়ানের মাধ্যমে লেনদেন হতো।
এভাবে পর্নো ফিল্ম থেকে অর্জিত অর্থ যুক্তরাজ্য হয়ে আসত রাজ কুন্দ্রার কোম্পানির অ্যাকাউন্টে।
রাজ কুন্দ্রা তার বিরুদ্ধে উত্থাপিত সব অভিযোগ অস্বীকার করে বলেছেন, তাকে মিথ্যাভাবে ফাঁসানো হয়েছে।
আরও পড়ুন:খাবি লেম, টিকটক ও ইনস্টাগ্রামে যার ফলোয়ার ২০০ মিলিয়ন বা ২০ কোটিরও বেশি। বিশ্বের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ফলো করা মানুষ তিনি। যেসব ভিডিও দিয়ে তিনি এত জনপ্রিয় হয়েছেন, সেসব ভিডিওতে কোনো কথা বলেন না খাবি।
লাইফ হ্যাক সম্পর্কিত বিভিন্ন ভিডিওতে দুই হাত দিয়ে করা একটা বিশেষ ভঙ্গিতে তাকে দেখা যায় ভিডিওগুলোয়।
প্রথমবারের মতো খাবি লেমকে দেখা গেল কথা বলতে। নাস ডেইলি নামের ফেসবুক পেজের একটি ভিডিওতে তুলে ধরা হয়েছে তার জীবনের গল্প। সেখানেই কথা বলেছেন খাবি লেম।
ভিডিও থেকে জানা যায়, দুই বছর আগেও তিনি কাজ করতেন রেস্টুরেন্টের ওয়েটার হিসেবে। কারখানাতেও কাজ করেছেন খাবি। সে সময় প্রতি মাসে তার ইনকাম ছিল ১ হাজার ডলার।
২০ বছর আগে খাবির পরিবার সেনেগাল থেকে ইতালি চলে আসে উন্নত জীবনের আশায়। কিন্তু সেখানেও জীবন অনেক কঠিন হয়ে পড়ে; খাবির পরিবারের কাছে ছিল না অর্থ। স্কুল, কলেজ থেকে খাবিকে অনেকবারই পড়ালেখা বন্ধ করে দিতে হয়েছে। কোভিডের সময় তার কোনো চাকরিও ছিল না। তাকে চাকরি থেকেও ছাঁটাই করা হয়।
মজার বিষয়টা তখন থেকেই শুরু। খাবি তখন সিদ্ধান্ত নেন মানুষকে হাসানোর।
খাবি কথা শুরু করেন এভাবে, ‘হ্যালো, আমি খাবি। আমি তোমাদের ভালোবাসি আর ভালোবাসি মানুষকে হাসাতে।’
খাবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভিডিও প্রকাশ শুরু করেন। তার ভিডিওগুলো ছোট এবং মজার। দৈনন্দিন কঠিন কাজগুলো নিয়ে খাবি মজা করেন এবং কীভাবে তা সহজে করা যায় তার মজার নির্দেশনা দেন ভিডিওতে।
খাবির ভিডিওগুলো অন্য ভিডিওগুলো থেকে কেন আলাদা, জানতে চাইলে খাবি বলেন, ‘আমার ভিডিওগুলো সহজ ও সাধারণ। এটাই আমার জাদু।’
প্রথম দিকে মাত্র দুজন মানুষ তার ভিডিও দেখত। সেই দুজন হলেন তার বাবা ও প্রতিবেশী।
‘এক মাসে আমি আমার ভিডিওতে ৯টি ভিউ ও দুটি সাবস্ক্রাইবার পেয়েছিলাম।’ বলেন খাবি। এতে দমে যাননি তিনি; ভিডিও বানিয়ে যেতে থাকেন এবং এখন প্রায় সব দেশ থেকেই তাকে ফলো করা হয়।
খাবির এখন একজন ম্যানেজার আছেন। তিনি খাবিকে একজন আন্তর্জাতিক স্টার বানাতে কাজ করছেন। এখন খাবির ইনস্টা ফলোয়ার ৭৬ দশমিক ৭ মিলিয়ন এবং টিকটক ফলোয়ার ১৩৭ দশমিক ৭ মিলিয়ন।
খাবি বলেন, ‘আমি এখন ভালো আছি। ইতালিতে আমি আমার পরিবারকে সাহায্য করি। আমার কিছু বন্ধুদেরও সাহায্য করতে পারি।’
খাবির বয়স এখন ২২ এবং তিনি একজন মুসলিম। যার কোনো কাজ ছিল না, সেই এখন বিশ্বখ্যাত ফ্যাশন ব্র্যান্ড হুগো বসের ফেস।
খাবি এখন চলচ্চিত্র উৎসবে আমন্ত্রণ পান। বিভিন্ন ক্ষেত্রের বিখ্যাত মানুষরাও খাবির সঙ্গে ভিডিও বানান, দেখা করেন, আড্ডা দেন। আরও অনেক দূর যাওয়ার আছে তার। এখন জীবনের সেরা সময় কাটাচ্ছেন বলে দাবি খাবির।
খাবি বলেন, ‘যেটা তুমি করতে চাও সেটা তোমার অবশ্যই করে যেতে হবে। এটাই আমার পরামর্শ।
এখন খাবি কেমন অনুভব করেন, জানতে চাইলে খাবি বলেন, ‘আমি খুবই ভাগ্যবান মানুষ।’
ঢাকায় আসছেন বলিউডের অভিনেত্রী শিল্পা শেঠি। এক ভিডিওবার্তায় বিষয়টি নিজেই জানিয়েছেন জনপ্রিয় এই তারকা।
একটি অ্যাওয়ার্ড প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে আগামী ৩০ জুলাই শিল্পা ঢাকায় আসবেন।
ভিডিওবার্তায় শিল্পা বলেন, ‘মিরর প্রেজেন্ট বিজনেস লিডারশিপ অ্যাওয়ার্ড-২০২২’ অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি হয়ে আমি ঢাকায় আসছি। আগামী ৩০ জুলাই ঢাকার শেরাটন হোটেলে দেখা হবে। আমি খুবই উচ্ছ্বসিত- সেখানে আমার ভক্তদের সঙ্গে দেখা হবে।’
শিল্পার এই ভিডিওটি ফেসবুকে পোস্ট করেছেন বাংলাদেশি কোরিওগ্রাফার ইভান শাহরিয়ার সোহাগ।
সেখান থেকে জানা যায়, অনুষ্ঠানটি শুরু হবে ২৮ জুলাই। সেই অনুষ্ঠানে ইভানের দল নাচবে শিল্পার সঙ্গে। এর আগে ২০১৬ সালে এক ফ্যাশন শোতে অংশ নিতে ঢাকায় এসেছিলেন শিল্পা।
অভিনেত্রী পল্লবী দে মৃত্যু মামলায় তার লিভ-ইন সঙ্গী সাগ্নিক চক্রবর্তীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। সোমবার পল্লবীর বাবা নীলু দে পুলিশে অভিযোগ করেন। অভিযোগে তিনি উল্লেখ করেন, তার মেয়েকে খুন করা হয়েছে।
অভিযোগপত্রে সাগ্নিক, তার বান্ধবী ঐন্দ্রিলা সরকারসহ কয়েকজনের নাম রয়েছে। এরপর সাগ্নিককে রাতভর জেরা করা হয়।
সূত্রের বরাত দিয়ে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, গরফা থানায় মঙ্গলবার সন্ধ্যায় সাগ্নিককে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।
পল্লবীর বাবার দাবি, ঐন্দ্রিলা নামের এক তরুণীর সঙ্গে সম্পর্ক রাখতেই মেয়েকে খুন করেছেন সাগ্নিক। অভিযোগের ভিত্তিতে খুন এবং সম্পত্তি হাতিয়ে নেয়ার মামলা দায়ের হয় সাগ্নিকের বিরুদ্ধে।
তদন্তে জানা গেছে পল্লবী ও সাগ্নিক কিছু সম্পত্তি কিনেছিলেন। সোমবার গভীর রাতের জেরায় সেই সম্পর্কে সাগ্নিকের কাছে বিস্তারিত জানতে চাওয়া হয়। তাদের মধ্যে ঝগড়া হয়েছিল কি না তাও জানতে চেয়েছিল পুলিশ।
রোববার পল্লবীর গরফার ফ্ল্যাটে তার ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
আরও পড়ুন:
মন্তব্য