মেলবোর্নে আগের টেস্টে ভাগ্যে জুটেছিল হার। সিরিজে এগিয়ে যেতে সিডনিতে তাই জয়ের বিকল্প নেই অস্ট্রেলিয়ার। প্রথম দিনের পুরোটাতেই ভারতের ওপর আধিপত্য বিস্তার করে আপাতত সে পথেই আছে স্বাগতিকরা।
বৃষ্টির কারণে প্রথম সেশনে খেলাই হয়নি প্রায়। সব মিলিয়ে সারা দিনে খেলা হয়েছে ৫৫ ওভার। তাতে মাত্র দুই উইকেট হারিয়ে ১৬৬ তুলেছে অস্ট্রেলিয়া।
নিজের অভিষেকেই ফিফটি তুলে নিয়েছেন উইল পুকোভস্কি। সঙ্গে ফিফটি করে দিন শেষে অপরাজিত আছেন মার্নাস ল্যাবুশেন। তার সঙ্গে ক্রিজে আছেন স্টিভ স্মিথ।
দিনের চতুর্থ ওভারেই মোহাম্মদ সিরাজের বলে চেতেশ্বর পূজারাকে প্রথম স্লিপে ক্যাচ দিয়ে ফিরে যান এই ম্যাচ দিয়ে ইনজুরির পর ফেরা ডেভিড ওয়ার্নার।
সাত ওভার শেষ হওয়ার পরই শুরু হয় বৃষ্টি। তাতে খেলা বন্ধ থাকে প্রায় চার ঘণ্টা।
মাত্র ২৬ রানেই অবশ্য পুকোভস্কিকে ফেরাতে পারতেন রবিচন্দ্রন অশ্বিন। কিন্তু উইকেটের পেছনে ঋষভ পন্ত তার ক্যাচ ফেললে তা আর হয়নি।
ওভার দুয়েক পরে আবারও পুকোভস্কির ক্যাচ ফেলেন পন্ত। এবার অবশ্য সিরাজের বলে। এই দুই জীবন পেয়ে কোনো ভুল করেননি অজি ওপেনার। নিজের অভিষেক টেস্টেই তুলে নেন ফিফটি।
পুকোভস্কিকে শেষ পর্যন্ত বিদায় করেন আরেক অভিষিক্ত নাভদিপ সাইনি। লেগ বিফোরের ফাঁদে ফেলে এই ডানহাতি ব্যাটসম্যানকে ৬২ রানে ফেরান সাইনি।
এরপর অবশ্য আর কোনো উইকেট তুলে নিতে পারেনি ভারত। ল্যাবুশেন তুলে নেন নিজের ফিফটি, স্মিথকে নিয়ে ৬০ রানের অপরাজিত জুটি গড়ে দিন শেষ করেন তিনি।
বৃষ্টিতে প্রথম দিনের ৩৫ ওভার হারানোয় দ্বিতীয় দিনে খেলা শুরু হবে নির্ধারিত সময়ের আধা ঘণ্টা আগে, বাংলাদেশ সময় ভোর পাঁচটায়।
আরও পড়ুন:✔️ Will Pucovski fifty
— ICC (@ICC) January 7, 2021
✔️ Marnus Labuschagne fifty
✔️ Just two wickets lost
Australia looked 💪 on the first day in Sydney.#AUSvIND SCORECARD ▶️ https://t.co/Zuk24dsH1t pic.twitter.com/AFNlAnWGSo
পাকিস্তানের মাটিতেই হতে পারে আসন্ন এশিয়া কাপ ক্রিকেট টুর্নামেন্ট। তবে ভারত তার ম্যাচগুলো খেলবে নিরপেক্ষ কোনো ভেন্যুতে। এ ভেন্যুর তালিকায় শ্রীলংকা, ওমান, সংযুক্ত আরব আমিরাত ও ইংল্যান্ডের নাম রয়েছে।
ক্রীড়া বিষয়ক ওয়েবসাইট ইসপিএনক্রিকইনফোর এক প্রতিবেদনে এ কথা বলা হয়েছে।
এতে বলা হয়, এশিয়া কাপের ভেন্যু নিয়ে সমস্যার সমাধান দ্রুত করার জন্য একত্রে কাজ করছে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড (বিসিসিআই) ও পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি)।
ভারতীয় দলের ম্যাচের জন্য নিরপেক্ষ ভেন্যু এখনও চূড়ান্ত হয়নি। ভারত-পাকিস্তানসহ পাঁচটি ম্যাচ নিরপেক্ষ ভেন্যুতে আয়োজনের সম্ভাবনা রয়েছে।
এ বছরের সেপ্টেম্বরে ওয়ানডে ফরম্যাটের ছয় দলের এশিয়া কাপে একই গ্রুপে রয়েছে দুই চিরপ্রতিন্দ্বন্দি ভারত ও পাকিস্তান। অন্য গ্রুপে রয়েছে- বাংলাদেশ, শ্রীলংকা ও আফগানিস্তান। ফাইনালসহ ১৩ দিনে মোট ১৩টি ম্যাচ হবে।
২০২২ সালের এশিয়া কাপের নিয়মনুসারে, প্রতিটি গ্রুপ থেকে শীর্ষ দু’টি দল সুপার ফোরে খেলার যোগ্যতা অর্জন করে। সুপার ফোরের শীর্ষ দু’দল ফাইনালে ওঠে। এতে আসরে তিনবার দেখা হবার সম্ভাবনা থাকছে ভারত ও পাকিস্তানের।
এমন জটিল পরিস্থিতির কারণে চূড়ান্ত সিদ্বান্ত নেয়ার আগে সম্প্রচার ও ভ্রমন পরিকল্পনার জন্য সংক্ষিপ্ত ওয়ার্কিং গ্রুপ গঠন করা হয়েছে। পাকিস্তানের বাইরে নিরপেক্ষ ভেন্যুতে আবহাওয়া বড় ভূমিকা রাখবে। তাই পাকিস্তানের বাইরের ম্যাচগুলোর জন্য এশিয়ার ভেন্যুকে বেশি প্রাধান্য দেয়া হবে।
বোলারদের পর ওপেনারদের দাপটে সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে সিরিজের তৃতীয় ওয়ানডেতে আয়ারল্যান্ডকে ১০ উইকেটে হারালো বাংলাদেশ।
লিটন দাসের ৫০ আর তামিম ইকবালের ৪১ রানের ওপর ভর করে ১৩.১ ওভারেই আইরিশদের দেয়া ১০২ রানের টার্গেট পেরিয়ে যায় টাইগাররা। এতে ২-০ ব্যবধানে সিরিজ জিতে নিয়েছে তামিমবাহিনী।
এর আগে টস জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে ১০১ রানে অলআউট হয়ে যায় সফরকারী আয়ারল্যান্ড।
বৃহস্পতিবার বৃষ্টির কারণে নির্ধারিত সময়ের আধ ঘণ্টা পর এই ম্যাচের টস অনুষ্ঠিত হয়। টসে জিতে ব্যাটিং বেছে নেয় সফরকারীরা।
বল হাতে মাঠে নেমে স্বাগতিকরা শুরু থেকেই আইরিশ ব্যাটসম্যানদের চেপে ধরে। ইনিংসের পঞ্চম ওভারে ওপেনার স্টেফেন ডোহেনিকে উইকেটের পেছনে ক্যাচ বানিয়ে প্রথম আঘাত হানেন পেসার হাসান মাহমুদ। ডোহেনি ব্যক্তিগত ৮ রানে ফিরে যাওয়ার পর দলীয় ২৬ রানের মধ্যেই ৪ উইকেট হারায় আয়ারল্যান্ড। ডোহেনির পর অন্য ওপেনার পল স্টার্লিং ৭ রান করেন। চার নম্বরে নামা হ্যারি টেক্টর রানের খাতাই খুলতে পারেননি। একই ওভারে লেফ বিফোরের ফাঁদে ফেলে এই দুই ব্যাটারকে ফেরান এই বাংলাদেশি পেসার।
হাসান মাহমুদের উইকেট শিকারের উৎসবে এরপর শামিল হন তাসকিন আহমেদ। ইনিংসের দশম ওভারে তার বলে স্লিপে নাজমুল হোসেন শান্তর তালুবন্দি হন আইরিশ অধিনায়ক অ্যান্ডি বলবার্নি।
পাওয়ার প্লের মাঝে ৪ উইকেট হারানো আইরিশরা কিছুটা স্বস্তি পায় পঞ্চম উইকেটে উইকেটকিপার-ব্যাটসম্যান লরকান টাকার ও অলরাউন্ডার কার্টিস ক্যাম্ফারের জুটিতে। পঞ্চম উইকেটে এই জুটি থেকে আসে ৫৭ বলে ৪২ রান। তবে ১৯তম ওভারের শেষ দুই বলে টাকার (২৮) ও নতুন ক্রিজে আসা জর্জ ডকরেলকে (০) ফিরিয়ে আবারও আইরিশদের ব্যাকফুটে ঠেলে দেন ইবাদত হোসেন।
২২তম ওভারে ফের জোড়া উইকেট হারায় আয়ারল্যান্ড। এ যাত্রায় অ্যান্ডি ম্যাকব্রাইন (১) ও মার্ক এডেইরকে (০) ফেরান তাসকিন।
এক প্রান্ত আগলে ব্যাট করে যাওয়া ক্যাম্ফারকে (৩৬) ইনিংসে নিজের চতুর্থ শিকার বানান হাসান। আর নিজের নবম ওভারের প্রথম বলে গ্রাহাম হিউমকে লেগ বিফোরের ফাঁদে ফেলে পেয়ে যান ওয়ানডে ক্যারিয়ারে প্রথমবারের মতো ৫ উইকেট। ৮ ওভার ১ বল করে এক মেডেনসহ ৩২ রানে ৫ উইকেট পান তিনি। বাকি পাঁচ উইকেট ভাগাভাগি করে অন্য দুই পেসার তাসকিন (১০-১-২৬-৩) ও ইবাদত (৬-০-২৯-২)।
আরও পড়ুন:সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে ১০১ রানে অলআউট হয়ে গেছে সফরকারী আয়ারল্যান্ড। ঘরের মাঠে ওয়ানডে সিরিজ জয়ে বাংলাদেশের প্রয়োজন ১০২ রান।
সিরিজ জয়ের লক্ষ্য নিয়ে ব্যাট হাতে নেমে বাংলাদেশ দল এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত ২ ওভার ৪ বলে ২৩ রান তুলেছে। উদ্বোধনী জুটি হিসেবে ক্রিজে রয়েছেন অধিনায়ক তামিম ইকবাল ও লিটন দাস।
বৃহস্পতিবার বৃষ্টির কারণে নির্ধারিত সময়ের আধ ঘণ্টা পর এই ম্যাচের টস অনুষ্ঠিত হয়। টসে জিতে ব্যাটিং বেছে নেয় সফরকারীরা।
বল হাতে মাঠে নেমে স্বাগতিকরা শুরু থেকেই আইরিশ ব্যাটসম্যানদের চেপে ধরে। ইনিংসের পঞ্চম ওভারে ওপেনার স্টেফেন ডোহেনিকে উইকেটের পেছনে ক্যাচ বানিয়ে প্রথম আঘাত হানেন পেসার হাসান মাহমুদ। ডোহেনি ব্যক্তিগত ৮ রানে ফিরে যাওয়ার পর দলীয় ২৬ রানের মধ্যেই ৪ উইকেট হারায় আয়ারল্যান্ড। ডোহেনির পর অন্য ওপেনার পল স্টার্লিং ৭ রান করেন। চার নম্বরে নামা হ্যারি টেক্টর রানের খাতাই খুলতে পারেননি। একই ওভারে লেফ বিফোরের ফাঁদে ফেলে এই দুই ব্যাটারকে ফেরান এই বাংলাদেশি পেসার।
হাসান মাহমুদের উইকেট শিকারের উৎসবে এরপর শামিল হন তাসকিন আহমেদ। ইনিংসের দশম ওভারে তার বলে স্লিপে নাজমুল হোসেন শান্তর তালুবন্দি হন আইরিশ অধিনায়ক অ্যান্ডি বলবার্নি।
পাওয়ার প্লের মাঝে ৪ উইকেট হারানো আইরিশরা কিছুটা স্বস্তি পায় পঞ্চম উইকেটে উইকেটকিপার-ব্যাটসম্যান লরকান টাকার ও অলরাউন্ডার কার্টিস ক্যাম্ফারের জুটিতে। পঞ্চম উইকেটে এই জুটি থেকে আসে ৫৭ বলে ৪২ রান। তবে ১৯তম ওভারের শেষ দুই বলে টাকার (২৮) ও নতুন ক্রিজে আসা জর্জ ডকরেলকে (০) ফিরিয়ে আবারও আইরিশদের ব্যাকফুটে ঠেলে দেন ইবাদত হোসেন।
২২তম ওভারে ফের জোড়া উইকেট হারায় আয়ারল্যান্ড। এ যাত্রায় অ্যান্ডি ম্যাকব্রাইন (১) ও মার্ক এডেইরকে (০) ফেরান তাসকিন।
এক প্রান্ত আগলে ব্যাট করে যাওয়া ক্যাম্ফারকে (৩৬) ইনিংসে নিজের চতুর্থ শিকার বানান হাসান। আর নিজের নবম ওভারের প্রথম বলে গ্রাহাম হিউমকে লেগ বিফোরের ফাঁদে ফেলে পেয়ে যান ওয়ানডে ক্যারিয়ারে প্রথমবারের মতো ৫ উইকেট। ৮ ওভার ১ বল করে এক মেডেনসহ ৩২ রানে ৫ উইকেট পান তিনি। বাকি পাঁচ উইকেট ভাগাভাগি করে অন্য দুই পেসার তাসকিন (১০-১-২৬-৩) ও ইবাদত (৬-০-২৯-২)।
দ্বিতীয় ওয়ানডে একাদশে একটি পরিবর্তন এনেছে স্বাগতিক বাংলাদেশ। ব্যাটার ইয়াসির আলির পরিবর্তে একাদশে সুযোগ হয়েছে অলরাউন্ডার মেহেদি হাসান মিরাজের। আয়ারল্যান্ড একাদশ অপরিবর্তিত দল নিয়েই মাঠে নেমেছে।
সিরিজের প্রথম ওয়ানডেতে আয়ারল্যান্ডকে ১৮৩ রানে হারায় বাংলাদেশ। দ্বিতীয় ওয়ানডে বৃষ্টিতে পরিত্যক্ত হয়। প্রথম ওয়ানডেতে জয়ের সুবাদে সিরিজে ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে আছে বাংলাদেশ।
বাংলাদেশ ও আয়ারল্যান্ড এ পর্যন্ত ১২ ওয়ানডেতে মুখোমুখি হয়েছে। এর মধ্যে আটটিতে জিতেছে বাংলাদেশ। এর বিপরীতে দু’টিতে জয় পেয়েছে আয়ারল্যান্ড। বাকি ২টি ম্যাচ পরিত্যক্ত হয়।
বাংলাদেশ একাদশ: তামিম ইকবাল (অধিনায়ক), লিটন দাস, নাজমুল হোসেন শান্ত, মুশফিকুর রহিম, সাকিব আল হাসান, মেহেদি হাসান মিরাজ, তৌহিদ হৃদয়, তাসকিন আহমেদ, এবাদত হোসেন, নাসুম আহমেদ ও হাসান মাহমুদ।
আয়ারল্যান্ড একাদশ: অ্যান্ড্রু বলবির্নি (অধিনায়ক), পল স্টার্লিং, স্টেফেন ডোহেনি, হ্যারি টেক্টর, লরকান টাকার, ম্যাথিউ হামফ্রেস, জর্জ ডকরেল, কার্টিস ক্যাম্পার, অ্যান্ডি ম্যাকব্রিন, মার্ক অ্যাডায়ার ও গ্রাহাম হুম।
আরও পড়ুন:অস্ট্রেলিয়ার কাছে বুধবার তৃতীয় ওয়ানডেতে ২১ রানে হেরে সিরিজ খুইয়েছে ভারত। এর ধাক্কাটা পড়েছে আইসিসির দলগত ওয়ানডে র্যাঙ্কিংয়েও। সিরিজ হেরে যাওয়ায় পয়েন্ট কমেছে ভারতের। ফলে এক থেকে দুয়ে নেমে গেছে তারা। আর তিন ওয়ানডের সিরিজ ২-১ ব্যবধানে জিতে আইসিসি র্যাঙ্কিংয়ের শীর্ষে উঠে এসেছে অস্ট্রেলিয়া।
চেন্নাইয়ে ভারত-অস্ট্রেলিয়া ম্যাচের পরেই নতুন র্যাঙ্কিং প্রকাশ করেছে আইসিসি। যেখানে অস্ট্রেলিয়ার পয়েন্ট ৩৯৬৫। রেটিং পয়েন্ট ১১৩। সমান রেটিং পয়েন্ট নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে নেমে গিয়েছে ভারত। যদিও রোহিতদের পয়েন্ট অস্ট্রেলিয়ার থেকে অনেকটাই বেশি ৫২৯৪। তালিকায় তিনে থাকা নিউজিল্যান্ডের পয়েন্ট ৩২২৯।
বুধবার চেন্নাইয়ে তৃতীয় ওয়ানডের আগে সিরিজে সমতা ছিল ১-১-এ। অলিখিত ফাইনালের রূপ নেয়া শেষ ওয়ানডেতে ভারত ফাইনালের মতো খেলতে ব্যর্থ। প্রথমে ব্যাট করে কোনো ব্যক্তিগত ফিফটি ছাড়াই ২৬৯ রান করে অস্ট্রেলিয়া।
জবাবে ব্যাট করতে এসে বিরাট কোহলি ৫৪, হার্দিক পান্ডিয়া ৪০ করলেও ২৪৮ রানে অলআউট ভারত।
আসছে অক্টোবরেই ঘরের মাঠে ওয়ানডে বিশ্বকাপ খেলবে ভারত। তার আগে এই সিরিজ হার স্বাগতিকদের জন্য বড় একটা ধাক্কাই।
ভারত যে ফর্মে নেই তার বড় একটা উদাহরণ হতে পারে সূর্যকুমার যাদব। যার ব্যাটিং বুকে কাঁপন ধরায় বিশ্বসেরা সব বোলারদের, সেই সূর্যকুমার আগের দুই ম্যাচের মতো গতকালও ‘গোল্ডেন ডাক’ মেরেছেন।
আরও পড়ুন:রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন সংস্থা বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর হয়েছেন বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান। এ বিষয়ে বিমান ও সাকিবের মধ্যে চুক্তি স্বাক্ষর হয়েছে।
রাজধানীর কুর্মিটোলায় বিমানের প্রধান কার্যালয় বলাকায় মঙ্গলবার বিকেলে ব্র্যান্ডিং ইস্যুতে সাকিবের সঙ্গে আনুষ্ঠানিক চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়।
বিমানের জনসংযোগ বিভাগের মহাব্যবস্থাপক তাহেরা খন্দকারের স্বাক্ষর করা এক বিজ্ঞপ্তিতে এসব কথা জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে বিমান পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যান মোস্তাফা কামাল উদ্দীন, ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও শফিউল আজিম, ক্রিকেটার সাকিব আল হাসান, বিমানের পরিচালকবৃন্দ ও বিভিন্ন স্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন।
বিকেলে সাকিব আল হাসান বলাকায় এলে তাকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানানো হয়। এরপর সংক্ষিপ্ত আলোচনা ও প্রশ্নোত্তর পর্ব শেষে আনুষ্ঠানিকভাবে চুক্তি স্বাক্ষর হয়। এ সময় সাকিবের সৌজন্যে একটি কেক কাটা হয়।
সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে সাকিব আল হাসান বিমান নিয়ে তার শৈশবের স্মৃতিচারণ করেন। বলেন, ‘শৈশবে খেলার মাঠে মাথার উপর দিয়ে বিমান উড়ে গেলে এক ধরনের ভালো লাগা কাজ করত।
‘বিমানের অসংখ্য ভালো দিক আছে। এগুলো সবার সামনে তুলে ধরতে পারলে বিশ্বের অন্যান্য এয়ারলাইন্সের সঙ্গে প্রতিযোগিতায় বিমানের সক্ষমতা বাড়বে। বিশেষ করে নিরাপত্তা ইস্যুতে বিমান কখনও আপোষ করে না। এ ধরনের ইতিবাচক বিষয়গুলো প্রচার হওয়া দরকার।’
মোস্তাফা কামাল উদ্দীন বিমানের ব্র্যান্ডিং ও খেলাধুলা বিষয়ে সহযোগিতার জন্য সাকিব আল হাসানকে ধন্যবাদ জানান।
শফিউল আজিম বলেন, ‘সাকিব আল হাসানের কার্যক্রম আমাদের অনুপ্রাণিত করে। আমরা সততা, দক্ষতা ও উন্নত সেবার মাধ্যমে এভিয়েশন খাতে বিমানকে সুপ্রিতিষ্ঠিত করতে একযোগে কাজ করব।’
বিমান জানায়, সাকিব আল হাসান এক সময় বিমান ক্রিকেট টিমের সদস্য ছিলেন। বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট টিমের সাবেক চারজন সদস্য বর্তমানে বিমানে বিভিন্ন পদে কর্মরত। বিশ্ববিখ্যাত গ্র্যান্ডমাস্টার নিয়াজ মোর্শেদ, ১৬ বার জাতীয় টেবিল টেনিস চ্যাম্পিয়ন হয়ে গিনেস বুকে নাম লেখানো জোবেরা রহমান লিনু এক সময় বিমানের হয়ে খেলতেন।
আরও পড়ুন:সিলেটে সোমবার মুশফিকুর রহিম আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে যে ইনিংস খেললেন, তাতে মুগ্ধতা সহজে কাটবে না কারও। মুশফিকের এমন ইনিংসের সৌজন্যে বাংলাদেশও গড়েছে ওয়ানডেতে এক ইনিংসে নিজেদের সর্বোচ্চ রানের রেকর্ড। শেষ পর্যন্ত বৃষ্টিতে ম্যাচটা পরিত্যক্ত হয়ে যাওয়ায় আক্ষেপ আছে, তবে মুশফিকের মুগ্ধতা কাটছে না। ম্যাচ শেষে লিটন দাসের কথায় বোঝা গেল, তিনিও মুগ্ধ মুশফিকের এমন ইনিংসে।
৬০ বল, ১৪ চার, ২ ছক্কা, অপরাজিত ১০০ রান। ইনিংসের ৩৪তম ওভারে নেমেও ইনিংসের শেষ বলে পৌঁছে গেলেন সেঞ্চুরিতে। তাও যে-সে সেঞ্চুরি নয়, বাংলাদেশের ওয়ানডে ইতিহাসে দ্রুততম সেঞ্চুরিই এটি।
সংবাদ সম্মেলনে মুশফিকের ইনিংস নিয়ে প্রশ্নে লিটন বলেন, ‘আমি যতদিন ধরে খেলছি, বাংলাদেশের কোনো ক্রিকেটারই এমন শেষের দিকে গিয়ে সেঞ্চুরি করতে পারেননি। কোনো দলে কেউ এমন সেঞ্চুরি করলে অবশ্যই ভালো লাগে, আর সেটা যদি সিনিয়র কেউ করেন, তখন তো আরও বেশি ভালো লাগে।’
আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে প্রথম ওয়ানডেতে মুশফিক ঝোড়ো ইনিংস খেলেছিলেন, কিন্তু সেদিন ২৬ বলে ৪৪ রানে আউট হয়ে গেছেন।
সোমবার সেঞ্চুরির প্রশংসায় লিটন আগের ইনিংসের প্রসঙ্গও টেনে এনে বলেন, ‘মুশফিক ভাইয়ের ইনিংস শুধু সোমবারের না, আগের ইনিংসটিও অসাধারণ ছিল। যদিও রান অত বেশি না, ৪০ এর মতো। তবে সেটা কিন্তু অনেক পার্থক্য গড়ে দেয় ৩০০ রান তোলার জন্য। সোমবারেও মুশফিক ভাইয়ের ইনিংস একদম খেলার মোড় ঘুরিয়ে দিয়েছে।’
শেষে আরেকবার গত কয়েকদিনে বাংলাদেশের দাপুটে ব্যাটিং নিয়ে যখন প্রশ্ন হলো, আবার মুশফিকের ইনিংসের প্রসঙ্গ লিটনের কণ্ঠে।
সোমবার নিজের আর শান্তর ৭০-ঊর্ধ্ব দুই ইনিংসের কথা টেনে লিটন বলেন, ‘মুশফিক ভাই যে ইনিংসটা খেলেছেন, এটা দেখার মতো ছিল। শান্ত এবং আমার ইনিংস থেকেও বেশি ভালো ছিল।’
আরও পড়ুন:সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে সিরিজের বাংলাদেশ ও আয়ারল্যান্ডের মধ্যকার দ্বিতীয় ওয়ানডেটিতে পরিত্যক্ত ঘোষণা করা হয়েছে। এতে তিন ম্যাচ ওয়ানডে সিরিজে ১-০তে এগিয়ে রইলো টাইগাররা।
মুশফিকুর রহিমের দ্রুততম সেঞ্চুরি এবং ওয়ানডেতে নিজেদের ইতিহাসে সর্বোচ্চ সংগ্রহের ম্যাচটি সাড়ে আটটার দিকে পরিত্যাক্ত ঘোষণা করা হয়। ম্যাচটির কাট-অফ টাইম ছিল ৯টা ৩৩ মিনিট। তবে এর ঘণ্টাখানেক বৃষ্টি চলছিল মাঠে।
টসে হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে সতর্ক শুরু করেন দুই ওপেনার তামিম ইকবাল ও লিটন দাস। শুরু থেকেই ব্যাটারদের নৈপুণ্যে বড় সংগ্রহের ইঙ্গিত দিয়েছিল বাংলাদেশ। তামিম ইকবাল ২৩ রানে রান আউট হয়ে ফিরলেও আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজের দ্বিতীয় ওয়ানডেতে ফিফটি তুলে পেয়েছেন লিটন দাস ও নাজমুল হোসেন শান্ত। তবে শেষটা রাঙিয়েছেন মুশফিকুর রহিম ও তাওহীদ হৃদয়।
প্রথম বাংলাদেশি ব্যাটসম্যান হিসেবে প্রথম দুই ম্যাচে ১ রানের জন্য ফিফটি মিস করেছেন তাওহীদ। বাংলাদেশের দ্রুততম সেঞ্চুরিয়ান হতে শেষ ওভারে ৯ রান প্রয়োজন ছিল মুশফিকের। তৃতীয় বলে স্ট্রাইক পেয়ে দুই রান নিলেন মুশফিক। পরের বলে অফ স্টাম্পের বাইরের নিচু ফুল টসকে স্কুপ করে সীমানাছাড়া করেন। ইনিংসের শেষ দুই বলে যথাক্রমে ২ এবং ১ রান নিয়ে দেশের হয়ে দ্রুততম ওয়ানডে সেঞ্চুরির কীর্তি গড়া হয়ে যায়।
মুশফিক যখন বীরের বেশে মাঠ ছাড়ছেন, স্কোরবোর্ডে তখন বাংলাদেশের রান দেখাচ্ছে ৬ উইকেটে ৩৪৯।
এ ম্যাচে আয়ারল্যান্ডের পক্ষে সর্বোচ্চ তিনটি উইকেট পেয়েছেন গ্রাহাম হিউম।
প্রথম ম্যাচ জিতে সিরিজ নিশ্চিতে মুখিয়ে থাকা বাংলাদেশ এ ম্যাচে বিশ্রাম দেয় পেসার মুস্তাফিজুর রহমানকে। তার স্থলাভিষিক্ত হন হাসান মাহমুদ।
আরও পড়ুন:
মন্তব্য