× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য ইভেন্ট শিল্প উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ কী-কেন ১৫ আগস্ট আফগানিস্তান বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও ক্রিকেট প্রবাসী দক্ষিণ এশিয়া আমেরিকা ইউরোপ সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ শারীরিক স্বাস্থ্য মানসিক স্বাস্থ্য যৌনতা-প্রজনন অন্যান্য উদ্ভাবন আফ্রিকা ফুটবল ভাষান্তর অন্যান্য ব্লকচেইন অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

সারা দেশ
বাঘাইছড়িতে বন্ধুর গুলিতে যুবক নিহত
google_news print-icon

সংস্কারবাদী জেএসএসের সামরিক কমান্ডার নিহত

সংস্কারবাদী-জেএসএসের-সামরিক-কমান্ডার-নিহত
নিহত বিশ্বমিত্র চাকমা। ফাইল ছবি
পুলিশ জানায়, নিহত বিশ্বমিত্র ছিলেন সংস্কারবাদী জেএসএস দলের সক্রিয় সদস্য। নিজ বাড়ি থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। ঘটনার পর থেকে নিখোঁজ তার বন্ধু সুজন।

রাঙ্গামাটির বাঘাইছড়ির বাড়ি থেকে পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির (জেএসএস এমএম লারমা-সংস্কারবাদী) এক নেতার গুলিবিদ্ধ মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।

নিহত ব্যক্তির নাম বিশ্বমিত্র চাকমা। এলাকায় তিনি যুদ্ধ চাকমা নামে পরিচিত। তিনি জেএসএস-এমএম লারমার সামরিক কমান্ডার ছিলেন।

পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির (জেএসএস এমএম লারমা-সংস্কারবাদী) দাবি, বাঘাইছড়ির বাবুপাড়া এলাকার একটি বাড়িতে বিশ্বমিত্র ও বন্ধু সুজন অবস্থান করছিলেন। গভীর রাতে বন্ধু সুজন চাকমা গুলি করে হত্যা করেন বিশ্বমিত্রকে। হত্যার পর বিশ্বমিত্র চাকমার কাছে থাকা অত্যাধুনিক এম ফোর রাইফেল ও একটি একে-৪৭ রাইফেল নিয়ে পালিয়ে গেছেন সুজন।

উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও সংগঠনের কেন্দ্রীয় কমিটির আইন বিষয়ক সম্পাদক সুদর্শন চাকমা বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির (জেএসএস মূল দল) সঙ্গে ষড়যন্ত্র করে বিশ্বমিত্র চাকমাকে হত্যা করা হয়েছে।

অভিযোগ অস্বীকার করেছেন পার্বত্য চট্টগাম জনসংহতি সমিতির (জেএসএস মূলদল) নেতা ত্রিদিব চাকমা।

তিনি বলেন, ‘হত্যার কোনো ঘটনা ঘটলে জেএসএসকে জড়ানো সংস্কারবাদী দলের কৌশল হয়ে দাঁড়িয়েছে।’

বাঘাইছড়ি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আনোয়ার হোসেন জানান, বিশ্বমিত্র আগে সন্তু লারমা নেতৃত্বাধীন জেএসএস মূলদলের সদস্য ছিলেন। চার বছর আগে তিনি সংস্কারবাদি জেএসএসে যোগ দেন। তাকে দলের সামরিক কমান্ডারের দায়িত্ব দেয়া হয়।

ময়নাতদন্তের জন্য খাগড়াছড়ি জেলা সদর হাসপাতালে মরদেহ নেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন ওসি আনোয়ার।

মন্তব্য

আরও পড়ুন

সারা দেশ
Istiska prayer in Pabna for rain

বৃষ্টির জন্য পাবনায় ইসতিসকার নামাজ

বৃষ্টির জন্য পাবনায় ইসতিসকার নামাজ তীব্র গরম থেকে পরিত্রাণের জন্য বুধবার সকালে খোলা আকাশের নিচে ইসতিসকার নামাজ আদায় করেন পাবনাবাসী। ছবি: নিউজবাংলা
নামাজের পূর্বে সংক্ষিপ্ত বয়ানে মাওলানা আবদুস শাকুর বলেন, ‘পৃথিবীর মাটি যখন শুকিয়ে যায় বা অনাবৃষ্টি ও খরা দেখা দেয় এবং কূপ ও ঝরনা পানি কমে যায় অথবা নদী শুকিয়ে যায় তখন ইসতিসকার নামাজ আদায় করা হয়। খোলা মাঠে জামায়াতের সঙ্গে আদায় করতে হয়। এই নামাজে কোনো আজান বা ইকামত নেই।’

অতি তীব্র দাবদাহ, সঙ্গে কড়া রোদ আর অসহ্য গরমে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে পাবনাসহ এ অঞ্চলের সাধারণ মানুষের জীবন। অনাবৃষ্টিতে নষ্ট হচ্ছে আম, লিচু ও ফসল।

তীব্র এ গরম থেকে পরিত্রাণের জন্য আল্লাহর কাছে পানাহ চেয়ে পাবনা জেলা শহরের টার্মিনাল এলাকার দারুল আমান ট্রাস্টের ক্যাম্পাসে খোলা আকাশের নিচে বুধবার সকাল সোয়া ৯টার দিকে ইসতিসকার নামাজ ও দোয়া করেছেন পাবনাবাসী।

নামাজ শেষে অনাবৃষ্টি ও প্রচণ্ড খরা থেকে রেহাই পেতে মহান আল্লাহর কাছে বিশেষ মোনাজাত করা হয়। নামাজ ও মোনাজাত পরিচালনা করেন পাবনা ইসলামীয়া ফাজিল মাদরাসার সহকারী অধ্যাপক ও মসজিদে আত তাকওয়ার পেশ ইমাম মাওলানা আবদুস শাকুর।

তাওবাতুন নাসুহা বা একনিষ্ঠ তাওবার মাধ্যমে আল্লাহর কাছে রহমতের বৃষ্টি কামনা করে দুই রাকাত নফল নামাজ আদায় করা হয়। এ সময় প্রাকৃতিক দুর্যোগ থেকে মুক্তিসহ দেশ ও জাতির কল্যাণ প্রার্থনাও করা হয়।

নামাজের পূর্বে সংক্ষিপ্ত বয়ানে আবদুস শাকুর বলেন, ‘পৃথিবীর মাটি যখন শুকিয়ে যায় বা অনাবৃষ্টি ও খরা দেখা দেয় এবং কূপ ও ঝরনা পানি কমে যায় অথবা নদী শুকিয়ে যায় তখন ইসতিসকার নামাজ আদায় করা হয়। খোলা মাঠে জামায়াতের সঙ্গে আদায় করতে হয়। এই নামাজে কোনো আজান বা ইকামত নেই।’

এদিকে তীব্র গরমের মধ্যে ২৩ এপ্রিল মঙ্গলবার পাবনায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৪০ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আবহাওয়া অফিস বলছে এ তাপমাত্রা আরও বৃদ্ধি পাবে।

আরও পড়ুন:
দাবদাহে পুড়ছে জীবন, পুড়বে আরও
এবার ভারি বর্ষণের কবলে সৌদি আরব, তলিয়ে গেছে রাস্তাঘাট
বৃষ্টি হয়তো হবে, তবে গরম কমবে না
আমিরাতে ৭৫ বছরে সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাত, নিহত অন্তত ১
তীব্র গরমের পর স্বস্তির বৃষ্টি

মন্তব্য

সারা দেশ
1 dead 10 injured after bus overturns on expressway in Madaripur

মাদারীপুরে এক্সপ্রেসওয়েতে বাস উল্টে একজন নিহত, আহত ১০

মাদারীপুরে এক্সপ্রেসওয়েতে বাস উল্টে একজন নিহত, আহত ১০ প্রতীকী ছবি
শিবচর হাইও‌য়ে থানার এসআই তমাল সরকার বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, ভোর রাতে প‌রিবহন‌টি কুয়াকাটার দিকে যা‌চ্ছি‌ল। এ সময় নিয়ন্ত্রণ হা‌রিয়ে বাসটি উল্টে যায়। ফলে ঘটনাস্থলেই একজন মারা যান।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মহাসড়কের মাদারীপুরের শিবচরে একটি যাত্রীবাহী বাস উল্টে এক যাত্রী নিহত হয়েছেন। এ দুর্ঘটনায় আহত হয়েছেন কমপক্ষে ১০ জন।

এক্সপ্রেসওয়ের বন্দরখোলা নামক স্থানে মঙ্গলবার রাত সাড়ে ৪টার দিকে কুয়াকাটাগামী ইউনিক পরিবহনের একটি বাস নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে উল্টে যায়। বাসটি চট্টগ্রাম থেকে কুয়াকাটা যাচ্ছিল।

প্রাণ হারানো গোলাম রহমান (৫৫) র‌বিশালের বাখেরগ‌ঞ্জ উপজেলার কোলোসকা‌ঠি গ্রামের বাসিন্দা।

শিবচর হাইও‌য়ে থানার এসআই তমাল সরকার বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, ভোর রাতে প‌রিবহন‌টি কুয়াকাটার দিকে যা‌চ্ছি‌ল। এ সময় নিয়ন্ত্রণ হা‌রিয়ে বাসটি উল্টে যায়। ফলে ঘটনাস্থলেই একজন মারা যান। এ সময় আরও ১০ জন আহত হন। তাদের শিবচর উপজেলা স্বাস্থ‌্য কমপ্লেক্সে ভ‌র্তি করা হয়।

এসআই তমাল বলেন, ‘ঘটনার পরে ভেঙে যাওয়া বাস‌টি উদ্ধার করা হয়েছে। আহতদের চি‌কিৎসা দেয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে।’

আরও পড়ুন:
নাটোরে ট্রাকচাপায় ছাত্রদল নেতা নিহত
কুমিল্লায় বাসচাপায় দুই নারী ও শিশু নিহত, আহত আরেক শিশু
ছাত্রলীগ নেতা রকি হত্যা মামলার আসামি বাসচাপায় নিহত
বাসের ধাক্কায় দুই চুয়েট শিক্ষার্থী নিহত, আহত ১
কক্সবাজারে বাবা-ছেলেকে কুপিয়ে ও গুলি করে হত্যা

মন্তব্য

সারা দেশ
Goods and passenger crossing closed again for three days in Banglabandha

বাংলাবান্ধায় আবারও তিন দিন বন্ধ পণ্য ও যাত্রী পারাপার

বাংলাবান্ধায় আবারও তিন দিন বন্ধ পণ্য ও যাত্রী পারাপার 
বাংলাবান্ধা স্থলবন্দর দিয়ে বুধবার থেকে শুক্রবার পর্যন্ত টানা তিন দিন ইমিগ্রেশনসহ সব ধরনের বাণিজ্যিক কার্যক্রম বন্ধ থাকবে। ছবি: নিউজবাংলা
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, এর মাঝে ভারতীয় ফুলবাড়ী ইমিগ্রেশন দিয়ে বাংলাদেশ থেকে শুধু ভারতীয় সকল যাত্রী এবং বাংলাদেশের জরুরি মেডিক্যাল যাত্রী ভারতে প্রবেশ করতে পারবেন। একই সঙ্গে ভারত থেকে সব বাংলাদেশি যাত্রী বাংলাদেশে প্রবেশ করতে পারবেন, তবে কোনো টুরিস্ট যাত্রী এ সময়ে ভারতে প্রবেশ করতে পারবেন না।

ভারতের দার্জিলিংয়ে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া লোকসভার সাধারণ নির্বাচনের কারণে বুধবার থেকে টানা তিন দিন পঞ্চগড়ের বাংলাবান্ধা স্থলবন্দর দিয়ে ইমিগ্রেশনসহ সব ধরনের বাণিজ্যিক কার্যক্রম বন্ধ থাকবে।

ভারতের দার্জিলিং জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ও জেলা কালেক্টর এবং নির্বাচন অফিসার প্রীতি গোয়েলের স্বাক্ষরিত একটি বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে বিষয়টি জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বুধবার থেকে শুক্রবার (২৪ থেকে ২৬ এপ্রিল) পর্যন্ত টানা তিন দিন ইমিগ্রেশনসহ সব ধরনের বাণিজ্যিক কার্যক্রম বন্ধ থাকবে। এর মাঝে ভারতীয় ফুলবাড়ী ইমিগ্রেশন দিয়ে বাংলাদেশ থেকে শুধু ভারতীয় সকল যাত্রী এবং বাংলাদেশের জরুরি মেডিক্যাল যাত্রী ভারতে প্রবেশ করতে পারবেন। একই সঙ্গে ভারত থেকে সব বাংলাদেশি যাত্রী বাংলাদেশে প্রবেশ করতে পারবেন, তবে কোনো টুরিস্ট যাত্রী এ সময়ে ভারতে প্রবেশ করতে পারবেন না।

বন্ধের পর আগামী ২৭ এপ্রিল থেকে আবারও স্বাভাবিক হবে বন্দরের কার্যক্রম।

পঞ্চগড় পুলিশ সুপার এসএম সিরাজুল হুদা ও বাংলাবান্ধা ল্যান্ডপোর্ট লিমিটেডের ম্যানেজার আবুল কালাম আজাদ মঙ্গলবার বিকেলে বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

তারা জানান, ভারতের লোকসভা নির্বাচনে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে তারা এ সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।

এর আগে ভারতে লোকসভা নির্বাচনের কারণে ১৭, ১৮ ও ১৯ এপ্রিল পঞ্চগড়ের বাংলাবান্ধা-ফুলবাড়ি স্থলবন্দর দিয়ে বাংলাদেশ, নেপাল ও ভুটানের সঙ্গে পাথরসহ সকল প্রকার আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য বন্ধ ঘোষণা করে ভারত। পাশাপাশি এ সময় ইমিগ্রেশন চেকপোস্ট দিয়ে পাসপোর্টধারী যাত্রী পারাপারও বন্ধ ছিল।

ভারতের পশ্চিমবঙ্গের জলপাইগুড়ি জেলা ম্যাজিস্ট্রেট শামা পারভীন স্বাক্ষরিত চিঠিতে ওই সময় এ সিদ্ধান্তের কথা জানানো হয়।

আরও পড়ুন:
বাংলাবান্ধা দিয়ে পণ্য ও যাত্রী পারাপার তিন দিন বন্ধ
চারদেশীয় বাংলাবান্ধা স্থলবন্দরে আমদানি-রপ্তানি শুরু
বিরল স্থলবন্দরে আমদানি-রপ্তানি শিগগিরই
দুর্গাপূজা: বাংলাবান্ধায় ৮ দিন বন্ধ আমদানি-রপ্তানি
স্থবির নাকুগাঁও স্থলবন্দর, বেকার কয়েক হাজার শ্রমিক

মন্তব্য

সারা দেশ
2 passengers of an autorickshaw were killed after being hit by a train in Mymensingh

ময়মনসিংহে ট্রেনের ধাক্কায় অটোরিকশার ২ যাত্রী নিহত

ময়মনসিংহে ট্রেনের ধাক্কায় অটোরিকশার ২ যাত্রী নিহত ময়মনসিংহে মঙ্গলবার রাতে ব্রহ্মপুত্র এক্সপ্রেস ট্রেনের ধাক্কায় অটোরিকশার দুই যাত্রী নিহত হন। ছবি: নিউজবাংলা
রেলওয়ে থানার ওসি মো. জাহাঙ্গীর আলম জানান, রেলক্রসিংয়ে গেট ব্যারিয়ার না ফেলার কারণে এ দুর্ঘটনা ঘটছে কি না তা জানতে চেষ্টা চলছে।

ময়মনসিংহে ব্রহ্মপুত্র এক্সপ্রেস ট্রেনের ধাক্কায় অটোরিকশার দুই যাত্রী নিহত হয়েছেন।

শহরের পঁচাপুকুরপাড় এলাকায় মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহতের মধ্যে একজন পুরুষ ও একজন নারী। তাদের পরিচয় বিস্তারিত জানা যায়নি।

বিষয়টি নিশ্চিত করে রেলওয়ে থানার ওসি মো. জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ‘ময়মনসিংহ থেকে জামালপুরের দিকে যাচ্ছিল যাত্রীবাহী ব্রহ্মপুত্র এক্সপ্রেস ট্রেনটি। রাত সাড়ে ১০টার দিকে ময়মনসিংহ শহরের পঁচাপুকুরপাড় এলাকা পর্যন্ত আসতেই যাত্রীবাহী একটি অটোরিকশা রেলক্রসিংয়ের ওপর উঠে পড়ে। এ সময় অটোরিকশাটিকে ট্রেন ধাক্কা দিলে সেটি দুমড়েমুচড়ে গিয়ে দুই যাত্রী ঘটনাস্থলেই নিহত হয়।’

তিনি জানান, নিহতদের পরিচয় শনাক্তসহ রেলক্রসিংয়ে গেট ব্যারিয়ার না ফেলার কারণেই এ দুর্ঘটনা ঘটছে কি না তাও জানতে চেষ্টা চলছে।

আরও পড়ুন:
হিট স্ট্রোকে তিন জেলায় তিনজনের মৃত্যু
ঢাবির সুইমিংপুলে শিক্ষার্থীর মৃত্যু: তদন্তে কমিটি
ট্রেনে ভ্রমণের ভাড়া বাড়ছে, কার্যকর ৪ মে থেকে
নওগাঁয় গৃহবধূ হত্যায় স্বামীর মৃত্যুদণ্ড
ভাতিজিকে ধর্ষণের পর হত্যার মামলায় চাচার মৃত্যুদণ্ড

মন্তব্য

সারা দেশ
Three people died of heat stroke in three districts

হিট স্ট্রোকে তিন জেলায় তিনজনের মৃত্যু

হিট স্ট্রোকে তিন জেলায় তিনজনের মৃত্যু ফাইল ছবি
শনিবার থেকে টানা তিন দিনের হিট অ্যালার্ট জারির পর নতুন করে সোমবার (২২ এপ্রিল) আবারও তিন দিনের হিট অ্যালার্ট জারি করা হয়েছে। এই আবহাওয়া চলতি মাসজুড়ে অব্যাহত থাকতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।

কদিন ধরেই দাবদাহে পুড়ছে দেশ। দিনভর তীব্র তাপপ্রবাহ। অসহনীয় গরমে অতিষ্ঠ জনজীবন। এ অবস্থায় জামালপুর, নাটোর ও কুমিল্লায় হিট স্ট্রোকে তিনজনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে।

জামালপুরে ব্যবসায়ীর মৃত্যু

জামালপুরের ইসলামপুরে চলমান তীব্র তাপদাহে হিট স্ট্রোক করে গোলাম রাব্বানী নামের এক ব্যবসায়ীর মৃত্যু হয়েছে।

মঙ্গলবার দুপুরে ওই ব্যবসায়ীর মৃত্যু হয়।

৪৮ বছর বয়সী রব্বানী উপজেলার চিনাডুলি ইউনিয়নের পশ্চিম গিলাবাড়ী এলাকার বাসিন্দা। তিনি গুঠাইল বাজারে কাঁচামালের ব্যবসা করতেন।

নিহতের পরিবারের সদস্যরা জানান, কয়েক দিনের চলমান তীব্র তাপদাহের কারণে এদিন সকাল সাড়ে ১১টার দিকে বাড়িতে হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়েন গোলাম রাব্বানী। পরে তাকে পরিবারের সদস্যরা দ্রুত উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নিয়ে যান। হাসপাতালে নেয়ার পর চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

এ বিষয়ে ইসলামপুর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. এএএম আবু তাহের বলেন, ‘গোলাম রাব্বানীকে হাসপাতালে আনার আগেই তার মৃত্যু হয়। অতিরিক্ত গরমে হিট স্ট্রোকেই তার মৃত্যু হয়েছে বলে আমার ধারণা।’

বড়াইগ্রামে কৃষকের মৃত্যু

নাটোরের বড়াইগ্রামে কৃষিখেতে কাজ করার সময় হিট স্ট্রোক করে রকুল হোসেন নামের এক কৃষকের মুত্যু হয়েছে।

মঙ্গলবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে উপজেলার চান্দাই ইউনিয়নের সাতইল বিলে এই ঘটনা ঘটে।

৩০ বছর বয়সী রকুল উপজেলার গাড়ফা উত্তরপাড়া গ্রামের হাজী আব্দুর রহিমের ছেলে।

বিষয়টি নিশ্চিত করে চান্দাই ইউপি চেয়ারম্যান শাহানাজ পারভীন বলেন, ‘সকাল থেকে জমিতে কাজ করছিল কৃষক রকুল হোসেন। এক পর্যায়ে তীব্র দাবদাহ সহ্য করতে না পেরে তিনি পাশের জলাশয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন, কিন্তু সেখানে পোঁছানোর আগেই তিনি মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন। পরে স্থানীয়রা বিষয়টি দেখতে পেয়ে তার মরদেহ উদ্ধার করে বাড়িতে পৌঁছে দেয়।’

বুড়িচংয়ে নির্মাণ শ্রমিকের মৃত্যু

তীব্র গরমে কাজ করতে গিয়ে কুমিল্লার বুড়িচংয়ে হিট স্ট্রোক করে মজিবুর রহমান নামের এক নির্মাণ শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে।

মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে বুড়িচং উপজেলা সদরের ব্যবসায়ী মো. রুহুল আমিনের বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।

৪৫ বছর বয়সী মজিবুর রহমান উপজেলার জগতপুর গ্রামের আলফাজ উদ্দিনের ছেলে।

স্থানীয়রা জানান, এদিন সকাল নয়টার দিকে রুহুল আমিনের বাড়িতে কাজ করতে যান মজিবুর। কিছুক্ষণ পর ভবনের বেইজ কাটার সময় হিটস্ট্রোক করেন তিনি। স্থানীয়রা তাকে সঙ্গে সঙ্গে বুড়িচং উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তার বরাত দিয়ে বুড়িচং থানার এসআই মো. নুরুল ইসলাম বলেন, ‘মরদেহের গায়ে কোনো আঘাতের চিহ্ন নেই। ফলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, তিনি স্ট্রোক করে মারা গিয়েছেন। তবে ময়নাতদন্তের রিপোর্ট আসলে মৃত্যুর সঠিক কারণ বলা যাবে।’

গত ১১ এপ্রিল থেকে শুরু হওয়া তাপপ্রবাহ সারা দেশে এখনও অব্যাহত রয়েছে। শনিবার থেকে টানা তিন দিনের হিট অ্যালার্ট জারির পর নতুন করে সোমবার (২২ এপ্রিল) আবারও তিন দিনের হিট অ্যালার্ট জারি করা হয়েছে। এসময় বন্ধ রাখা হয়েছে স্কুল, কলেজ, এমনকি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোও। আদালতেও আইনজীবীদের কালো পোশাক পরা শিথিল করা হয়েছে।

এই আবহাওয়া চলতি মাসজুড়ে অব্যাহত থাকতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।

মঙ্গলবার দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ঈশ্বরদীতে ৪০ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এর আগের দিন অর্থাৎ সোমবার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল খুলনা, যশোর ও চুয়াডাঙ্গায় ৪০ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

শনিবার মৌসুমের সর্বোচ্চ ৪২ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় যশোরে। সেদিন চুয়াডাঙ্গার তাপমাত্রা ছিল ৪২ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ঢাকার তাপমাত্রাও ছিল ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের বেশি।

আবহাওয়া অধিদপ্তরের হিসাব অনুসারে, সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩৬ থেকে ৩৭ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস হলে মৃদু তাপপ্রবাহ, ৩৮ থেকে ৩৯ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস হলে মাঝারি তাপপ্রবাহ, ৪০ থেকে ৪১ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস হলে তীব্র তাপপ্রবাহ এবং ৪২ ডিগ্রি সেলসিয়াস বা তার বেশি হলে অতি তীব্র তাপপ্রবাহ।

মন্তব্য

সারা দেশ
35 crore bridge is not working due to lack of connecting roads
ভূমি অধিগ্রহণ জটিলতা

সংযোগ সড়কের অভাবে কাজে আসছে না ৩৫ কোটির সেতু

সংযোগ সড়কের অভাবে কাজে আসছে না ৩৫ কোটির সেতু সেতুর দুই পাশে সংযোগ সড়কের অভাবে দুই বছর ধরে কালীগঙ্গায় ঠাঁই দাড়িয়ে আছে সেতুটি। ছবি: নিউজবাংলা
কৃষক খোরশেদ আলম বলেন, ‘সেতুটির নির্মাণ দেখে ভাবছিলাম, আমাদের দীর্ঘ দিনের কষ্ট দূর হবে, কিন্তু ব্রিজের দুই পাশে রাস্তা না থাকায় আমরা কেউ সেতুটি ব্যবহার করতে পারি না। আগের মতো নৌকায় করেই খেতের ফসল আনতে হচ্ছে। আমাগো মনের আশা মনেই রইল। তাহলে সরকার এত টাকা দিয়ে ব্রিজ নির্মাণ করল কেন?’

প্রান্তিক জনগণের যাতায়াত সুবিধা এবং গ্রামীণ অবকাঠামো উন্নয়নের স্বার্থে মানিকগঞ্জের ঘিওর উপজেলার কালীগঙ্গা নদীর ওপর ৩৬৫ মিটার দৈর্ঘ্যের একটি দীর্ঘ সেতু নির্মাণ করা হয়। তবে ভূমি অধিগ্রহণ জটিলতায় কাজে আসছে না সরকারের ৩৫ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত সেতুটি। সেতুর দুই পাশে সংযোগ সড়কের অভাবে দুই বছর ধরে কালীগঙ্গায় ঠাঁই দাড়িয়ে আছে সেটি।

উপজেলা এলজিইডি কার্যালয় সূত্র জানায়, ২০১৮ সালে দরপত্র আহ্বানের মাধ্যমে ঘিওরের সিংজুরী ইউনিয়নের বৈকুণ্ঠপুর কালীগঙ্গা নদীর ওপর ৩৬৫ মিটার দৈর্ঘের সেতু নির্মাণের দায়িত্ব পায় ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান অরিয়েন্ট ট্রেডিং অ্যান্ড বিল্ডারস এবং মেসার্স কহিনুর এন্টাইপ্রাইজ। সংযোগ সড়ক ছাড়াই ২০২২ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি সেতুটির নির্মাণকাজ শেষ হয়।

এরপর সংযোগ সড়ক নির্মাণসহ বিভিন্ন উন্নয়ন কাজের জন্য প্রকল্পের মেয়াদ বাড়ানো হয় ২০২৩ সালের ৯ মার্চ পর্যন্ত। প্রথমার্ধে সেতু নির্মাণের ব্যয় ৩০ কোটি থাকলেও পরবর্তীতে সংযোগ সড়ক ও বিভিন্ন উন্নয়ন কাজের আরও পাঁচ কোটি টাকা বাড়ানো হয়। এরপর সেতু ও সংযোগ সড়কসহ যাবতীয় উন্নয়নকাজের ব্যয় ধরা হয় ৩৫ কোটি ৬০ লাখ ৪৫৪ হাজার টাকা। তবে সেতু ও সংযোগ সড়ক নির্মাণের সময় বাড়ানো হলেও নির্ধারিত সময়ের দুই বছর পেরিয়ে গেলেও ব্যবহারোপযোগী হয়নি সেতুটি।

স্থানীয় মির্জাপুর এলাকার কৃষক খোরশেদ আলম বলেন, ‘সেতুটির নির্মাণ দেখে ভাবছিলাম, আমাদের দীর্ঘ দিনের কষ্ট দূর হবে, কিন্তু ব্রিজের দুই পাশে রাস্তা না থাকায় আমরা কেউ সেতুটি ব্যবহার করতে পারি না। আগের মতো নৌকায় করেই খেতের ফসল আনতে হচ্ছে। আমাগো মনের আশা মনেই রইল। তাহলে সরকার এত টাকা দিয়ে ব্রিজ নির্মাণ করল কেন?’

আরেক কৃষক সিদ্দিকুর রহমান বলেন, ‘সেতুর পাশে আমার দেড় শতাংশ কৃষিজমি আছে। সেতুর রাস্তার জন্য আমার জমি নিতে চাইছে। এলাকার মানুষের ভালোর জন্য আমার জমি দিতে চাইছিলাম। দীর্ঘদিন ধরে খালি শুনতেছি, আমাগো জমি অধিগ্রহণ করা হবে, কিন্তু জমি অধিগ্রহণ না হওয়ায় জমিতে আগের মতো ইরি ধানের আবাদ করছি।’

স্থানীয় বালিয়াবাধা এলাকার হাবিবুর রহমান বলেন, ‘সেতুটি নির্মাণের পর একদিনের জন্যও কেউ সেতুটি ব্যবহার করতে পারে নাই। সেতুটি ব্যবহার করতে পারলে সেতুর আশপাশের অন্তত ৫০টি গ্রামের কৃষক ও সাধারণ মানুষ উপকৃত হতো।

‘সেতুটি ব্যবহারের উপযোগী না হওয়ায় আমাদের ও আশপাশের এলাকার মানুষকে ১৫ কিলোমিটার ঘুরে জেলা শহরে যেতে হচ্ছে। আমাদের দাবি, দ্রুত ভূমি অধিগ্রহণের মাধ্যমে সেতুটি ব্যবহারের উপযোগী করবে সরকার।’

ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের ম্যানেজার মাসুদ মিয়া নিউজবাংলাকে বলেন, ‘সেতু নির্মাণের পর সংযোগ সড়ক নির্মাণের কাজ করতে গিয়ে বেশ কয়েকবার জমির মালিকদের বাধার মুখে পড়ে কাজ বন্ধ করতে হয়েছে। এখন সংযোগ সড়কের জায়গা বুঝে পেলেই আমরা কাজ শুরু করব। আর সংযোগ সড়কের কাজ করতে আমাদের সময় লাগবে ৪-৫ মাস। আমরা যত দ্রুত পারব, তত দ্রুত কাজ শুরু করব।’

এ বিষয়ে ঘিওর উপজেলা প্রকৌশলী মোহাম্মদ আশরাফুল ইসলাম ভূঁইয়ার সঙ্গে যোগাযোগ করে নিউজবাংলা।

তিনি বলেন, ‘ভূমি অধিগ্রহণের জন্য প্রশাসনের সঙ্গে আলোচনা করা হয়েছে। আশা করছি, দ্রুতই ভূমি জটিলতা কেটে যাবে এবং সেতুর সংযোগ সড়ক নির্মাণের কাজ শুরু হবে। ইতোমধ্যে ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের লোকজন সেতুর সংযোগ সড়ক নির্মাণের জন্য খোঁজ খবর নিচ্ছে।’

ভূমি অধিগ্রহণের বিষয়ে মানিকগঞ্জ ডেপুটি রেভিনিউ কালেক্টর এল এ শাখার জ্যেষ্ঠ সহকারী কমিশনার মামুনুর রশিদ বলেন, ‘সেতুর সংযোগ সড়ক নির্মাণের জন্য ৪.৯৬ শতাংশ ভূমি অধিগ্রহণের প্রক্রিয়া চলমান। ইতোমধ্যে ভূমি মালিকদের ৭ ধারা নোটিশ করা হয়েছে। আশা করা যাচ্ছে, জেলা প্রশাসক মহোদয়ের মাধ্যমে খুব দ্রুত ভূমির মালিকদের তাদের ক্ষতিপূরণ প্রদান করা হবে।’

আরও পড়ুন:
ভাঙা সেতুতে ভোগান্তি ৪০ গ্রামের মানুষের
বিকল্প সড়কের ব্যবস্থা না করেই সেতু নির্মাণ, ভোগান্তিতে স্থানীয়রা
খালের এক কিলোমিটারে ৪৬ সেতু
সরকারি খালে পারিবারিক সেতু
সেতুর সংযোগ সড়কে ধস, জনদুর্ভোগ

মন্তব্য

সারা দেশ
Extreme heatwave temperature in Chuadanga drops to 396 degrees

চুয়াডাঙ্গায় তীব্র তাপপ্রবাহ, তাপমাত্রা নেমেছে ৩৯.৬ ডিগ্রিতে

চুয়াডাঙ্গায় তীব্র তাপপ্রবাহ, তাপমাত্রা নেমেছে ৩৯.৬ ডিগ্রিতে তীব্র তাপপ্রবাহে অস্থির কৃষক নলকূপের পানি পানে স্বস্তি খোঁজার চেষ্টা। মঙ্গলবার চুয়াডাঙ্গায়। ছবি: নিউজবাংলা
চুয়াডাঙ্গা আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জামিনুর রহমান বলেন, ‘গত কয়েক দিনের তুলনায় আজ (মঙ্গলবার) তাপমাত্রা কিছুটা কমেছে। তবে বৃষ্টিপাতের কোনো সম্ভাবনা নেই। তীব্র তাপদাহ আরও কয়েকদিন অব্যাহত থাকতে পারে।’

চরম আবহাওয়ার খবরে বরাবরই শিরোনামে থাকে চুয়াডাঙ্গার নাম। চলতি গ্রীষ্ম মৌসুমেও শুরু থেকে দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রার রেকর্ড হয়ে আসছে এই জেলায়। অতি তীব্র তাপপ্রবাহের পর এখানে মঙ্গলবার ছিল তীব্র তাপপ্রবাহ। তবে সোমবারের তুলনায় এদিন কয়েক ডিগ্রি কমেছে তাপমাত্রা।

মঙ্গলবার বিকেল ৩টায় জেলার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৩৯ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সকাল থেকে সূর্যের চোখ রাঙানিতে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে জেলার জনপদ। দিনের মতোই থাকছে রাতের তাপমাত্রা। বাতাসে আগুনের হল্‌কা। গরমে একটু স্বস্তি পেতে গাছের ছায়ায় আশ্রয় নিচ্ছে মানুষ। পুকুর ও সেচ পাম্পের পানিতে গোসল করে শান্তি খুঁজছেন অনেকে। দিন ও রাতের তাপমাত্রায় খুব বেশি পার্থক্য না থাকায় দুর্বিষহ হয়ে পড়েছে এখানকার জনজীবন।

চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার তালতলা গ্রামের কৃষক ফজলুল হক বলেন, ‘এই তাপে মাঠে দাঁড়ানো যাচ্ছে না। ভ্যাপসা গরমে কৃষি কাজ করা যাচ্ছে না। ধানে বেশি সেচ লাগছে। কিন্তু সেচ পাম্পে পানিও ঠিকমতো উঠছে না। বিদ্যুতের ভোগান্তি তো আছেই।’

চুয়াডাঙ্গা আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জামিনুর রহমান বলেন, ‘গত কয়েক দিনের তুলনায় আজ (মঙ্গলবার) তাপমাত্রা কিছুটা কমেছে। তবে বৃষ্টিপাতের কোনো সম্ভাবনা নেই। তীব্র তাপদাহ আরও কয়েকদিন অব্যাহত থাকতে পারে।’

আরও পড়ুন:
আরও এক সপ্তাহ স্কুল বন্ধের সিদ্ধান্ত আসছে
যশোরে দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪২.৬, হিটস্ট্রোকে চুয়াডাঙ্গা ও পাবনায় মৃত্যু ২
তীব্র দাবদাহের মধ্যে চুয়াডাঙ্গায় তাপমাত্রা ৪১.৫ ডিগ্রিতে
তাপপ্রবাহে আমের গুটি টেকাতে যে পরামর্শ দিলেন বিশেষজ্ঞ
সপ্তাহজুড়ে বাড়বে তাপপ্রবাহ, বিক্ষিপ্ত বৃষ্টিপাত অস্বস্তি বাড়াবে

মন্তব্য

p
উপরে