‘শক্তিতে নিজের চেয়ে দুর্বল শত্রুকে সবসময় ধ্বংস করতে হবে। তবে তারা যদি জীবন সম্পর্কে নিরাশ হয়ে প্রতিরোধ গড়ে তোলে, তাহলে তাকে আর কষ্ট দেয়া যাবে না।’
প্রাচীন ভারতের বিখ্যাত অর্থনীতিবিদ ও দার্শনিক কৌটিল্য বা চাণক্যের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিষয়ক বই অর্থশাস্ত্রের সাংগ্রামিক অধিকরণের শেষ অনুচ্ছেদে এ কথা বলা হয়েছে।
ইউক্রেনে রুশ আগ্রাসনের প্রায় তিন মাস পেরোতে চলল। এরই মধ্যে বিভিন্ন শহর থেকে মার খেয়ে পিছু হটেছে রুশ সেনারা। ইউক্রেনের নিয়মিত সেনাবাহিনীর বাইরেও দেশটির সাধারণ জনতা নাম লিখিয়েছে প্রতিরোধ যুদ্ধে। পশ্চিমাদের অত্যাধুনিক অস্ত্রের চালান তাদের প্রতিনিয়ত আরও শক্তিশালী করে তুলছে। ২০১৪ সালে যত সহজে ক্রিমিয়াকে রাশিয়ার অংশ করেছে ক্রেমলিন এবং দোনবাসের বিশাল একটি অংশের নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে রুশপন্থি বিদ্রোহীরা, বর্তমান যুদ্ধে তার চেয়ে অনেক বেশি রসদ দিয়েও সেই ধরনের বিজয়ের দেখা পাচ্ছে না রাশিয়া, যাতে পুরো ইউক্রেন দখলের বদলে অ্যাযভ সাগরতীরের নিয়ন্ত্রণ ধরে রাখা ও দোনবাস দখলে মনোযোগ দিয়েছে মস্কো। এই যাত্রায় বন্দরনগরী মারিওপোলের পুরো নিয়ন্ত্রণ নিতেই ত্রাহি অবস্থা রাশিয়ার। ইউক্রেন সেনাদের দুর্দমনীয় মনোভাব যুদ্ধকে দীর্ঘায়িত করছে।
পশ্চিমা সামরিক জোট ন্যাটো ও ব্রিটেনের মতে, এই যুদ্ধ বছরের পর বছর চলতে পারে।
যুদ্ধ শুরুর পর থেকে রাশিয়াকে নানা ধরনের নিষেধাজ্ঞা দিয়ে কাবু করার চেষ্টা করছে যুক্তরাষ্ট্র। মস্কোকে আন্তর্জাতিক লেনদেনের সবচেয়ে বড় মাধ্যম সুইফট থেকে বের করে দিয়েছে তারা। রাশিয়ার তেল-গ্যাস বিক্রিও দুঃসাধ্য করার চেষ্টা করছে। পাশাপাশি ইউক্রেনকে ৩শ' কোটি ডলারের সামরিক সহায়তা দিয়েছে ওয়াশিংটন। মার্কিন দেখানো পথে হাঁটছে ইউরোপীয় ইউনিয়নও। রাশিয়ার তেল-গ্যাসের নির্ভরতা কমাতে নানান পদক্ষেপ নিয়েছেন জোটের নেতারা। তাই মার্কিন অনলাইন পোর্টাল দি ইন্টারসেপ্টের জেরেমি স্ক্যাহিলের সাথে আলাপচারিতায় যুক্তরাষ্ট্রের ভিন্নমতাবলম্বী ও দার্শনিক নোয়াম চমস্কি বলেন, ‘ইউক্রেন যুদ্ধ যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে প্রিয় ইচ্ছাকে পূর্ণ করেছে। সোনার থালায় ইউরোপকে তার হাতে তুলে দিয়েছে’।
বৈশ্বিক সংকটে যত সাহসী ও দৃঢ় সিদ্ধান্ত নিতে পারতেন অ্যাঙ্গেলা মের্কেল, ইউরোপীয় ইউনিয়নের এখনকার নেতৃত্ব ততটা কার্যকর নয়। জার্মানির সাবেক এই চ্যান্সেলর রুশ ভাষায়ও পটু ছিলেন। ভালো সম্পর্ক ছিল রুশ প্রেসিডেন্ট পুতিনের সাথে। অনেকে মনে করেন এখন মের্কেল থাকলে যুদ্ধের গতিপ্রকৃতি অন্যরকম হতো। রাশিয়ার গ্যাসের ওপর নির্ভরশীল ইউরোপের জন্য রাতারাতি বিকল্প ব্যবস্থা নেয়া সম্ভব নয়। তাই ইউক্রেন ও যুক্তরাষ্ট্রের শত আহ্বানে রাশিয়ার কাছ থেকে গ্যাস না কেনার মতো ঘোষণা দিতে পারছে না তারা। উল্টো ইউক্রেনকে সহযোগিতার কারণে পোল্যান্ড ও বুলগেরিয়াকে গ্যাস দেবে না বলে জানিয়ে দিয়েছে রাশিয়া। রাশিয়া থেকে আসে বুলগেরিয়ার গ্যাসের আমদানির ৭৫ শতাংশ আর পোল্যান্ডের ৫৪ শতাংশ। দেশ দুটির জন্য চটজলদি এই আঘাত মোকাবিলা করা খুবই কঠিন হবে। চেক রিপাবলিক ও লাটভিয়ার শতভাগ, হাঙ্গেরির ৯৫ শতাংশ ও স্লোভাকিয়ার ৮৫ শতাংশ গ্যাস আসে রাশিয়া থেকে। তাই তারা স্বপ্নেও মস্কোর গ্যাসের ওপর নিষেধাজ্ঞার ব্যাপারে ভাবতেই পারে না। এছাড়া, জার্মানির ৬৬ শতাংশ, ফিনল্যান্ডের ৬৭ শতাংশ, এস্তোনিয়ার ৪৬ শতাংশ, রোমানিয়ার ৪৪ শতাংশ, ইতালির ৪৩ শতাংশ, লিথুনিয়ার ৪১ ও গ্রিসের গ্যাস আমদানির ৩৮ শতাংশ মস্কোর। তাই রাশিয়ার গ্যাসের ওপর দেশগুলোর এই নির্ভরতা পুতিনের সিদ্ধান্ত গ্রহণের বড় শক্তি হয়ে দেখা দিয়েছে। তাই ইউক্রেন ইস্যুতে ক্রেমলিনের বিরুদ্ধে সবাই নিন্দা পর্যন্তই এগুতে পারছে।
পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞা রাশিয়ার অর্থনীতিকে যেমন ঘাতপ্রতিরোধী করছে, তেমনি রুবলকেও যে কোনো সময়ের চেয়ে করছে শক্তিশালী। ঋণ ও লেনদেনের অর্থ বিশেষ করে গ্যাসের অর্থ পরিশোধে রুবলের ওপর জোর দিয়েছে রাশিয়া। এতে তরতর করে বাড়ছে রুবলের চাহিদা। একইসাথে ডলারনির্ভর দুনিয়াকে নতুন পথ দেখাচ্ছে। চীনও তার লেনদেনের মাধ্যম হিসেবে ইয়েনকে গুরুত্ব দিচ্ছে, যা আর্থিক ব্যবস্থায় বড় ধরনের পরিবর্তনের ইঙ্গিত দিচ্ছে। এটি দীর্ঘ মেয়াদে কার্যকর হলে মার্কিন নিষেধাজ্ঞার হাতিয়ার আরেকটু দুর্বল হবে।
বলা হয়ে থাকে, ইউক্রেন যুদ্ধ পুতিনের প্রেস্টিজ ইস্যু হয়ে দাঁড়িয়েছে। দোনবাসের দিকে মনোযোগ দেয়ার আগে পুরো রণকৌশল ঢেলে সাজিয়েছেন তিনি। বদলে ফেলেছেন কমান্ডারদের। তারপরও খুব বেশি সাফল্য এখনও আসেনি, যা তাকে আরও মরিয়া করে তুলছে। এই সময় তার স্বাস্থ্যের নানা জটিলতার খবর চাউর হয়েছে পশ্চিমা গণমাধ্যমে। এমনকি তাদের দাবি, ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়েছেন পুতিন। তবে এ সব বিষয়ে রাশিয়ার পক্ষ থেকে কোনো মন্তব্য আসেনি। বর্তমান বাস্তবতায় ইউক্রেন যুদ্ধ দীর্ঘ সময় ধরে চালানোর অবস্থায় নেই রাশিয়া। কারণ সাবেক সোভিয়েতের সাথে এই রাশিয়ার যোজন যোজন ফারাক। তাই পুতিনের দরকার চটজলদি সাফল্য, যার ওপর ভিত্তি করে যুদ্ধ শেষের ঘোষণা পারবেন তিনি। সেই ঘোষণার অপেক্ষায় রয়েছে গোটা দুনিয়া। বিশ্বজুড়ে নিত্যপণ্যের দাম ব্যাপক হারে বাড়ার পেছনে একটি বড় কারণ ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ। এর ফলে ভীষণ কষ্টে আছে আফ্রিকাসহ তৃতীয় বিশ্বের মানুষ।
ফুরকানুল আলম: নিউজ এডিটর, চ্যানেল 24
আরও পড়ুন:জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থার প্রধানকে যুদ্ধবিধ্বস্ত ফিলিস্তিনের গাজায় প্রবেশে বাধা দিয়েছে ইসরায়েল।
ইসরায়েল জানিয়েছে, ইউএনআরডব্লিউএ প্রধান ফিলিপ লাজারিনি সোমবার গাজায় প্রবেশের সময় যথাযথ প্রক্রিয়া অনুসরণ করেননি। খবর বাসসের
মিশরের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সামেহ শউকরির সঙ্গে যৌথ সংবাদ সম্মেলনে ইউএনআরডব্লিউএর প্রধান বলেন, ‘আজ (সোমবার) রাফাতে যাওয়ার ইচ্ছা ছিল। আমার প্রবেশের কথা জানানো হয়েছিল, কিন্তু ইসরায়েল তা প্রত্যাখ্যান করেছে।’
তিনি এক্স-এ লিখেছেন, ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষ তাকে গাজায় প্রবেশ করতে দেয়নি।
এর আগে লাজারিনি গত মাসে বলেছিলেন, ‘ইসরাইল ইউএনআরডব্লিউএ ধ্বংস করতে চায়।’
ইসরায়েল জানুয়ারিতে ইউএনআরডব্লিউএ-এর প্রায় ১৩ হাজার গাজান কর্মচারীকে অভিযুক্ত করে বলেছে, ইসরায়েলের ওপর হামাসের যোদ্ধারা ৭ অক্টোবরের হামলায় জড়িত।
ফিলিস্তিনের দখলিকৃত ভূখণ্ডে বেসামরিক বিষয়গুলো পরিচালনাকারী ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের একটি সংস্থা সিওজিএটি এক্স-এ বলেছে, লাজারিনি যথাযথ প্রক্রিয়া অনুসরণ করেননি তাই তাকে গাজায় ঢুকতে দেয়া হয়নি। তিনি গাজায় প্রবেশের অনুরোধ করার সময় প্রয়োজনীয় সমন্বয় প্রক্রিয়া এবং চ্যানেল অনুসরণ করেননি।
জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেসের ডেপুটি মুখপাত্র ফারহান হক জানিয়েছেন, লাজারিনি এবং ইউএনআরডব্লিউএ-তে তার সহকর্মীরাসহ জাতিসংঘের সব কর্মকর্তাদের গাজাজুড়ে অত্যাবশ্যক মানবিক কাজ করার সুবিধা নিশ্চিত করা উচিত।
ফারহান হক সাংবাদিকদের বলেন, ‘গুতেরেস অবশ্যই চান যে, লাজারিনি গাজার সমস্ত অঞ্চলজুড়ে ইউএনআরডব্লিউএ কার্যক্রম পরিচালনার সুযোগ পান।’
আরও পড়ুন:যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন গাজায় যুদ্ধবিরতি ও মানবিক সহায়তা বাড়ানোর বিষয়ে আলোচনার জন্য মিসর ও সৌদি আরব যাচ্ছেন।
চলতি সপ্তাহে তার এই সফর হবে বলে পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্রের বরাত দিয়ে মঙ্গলবার এ কথা জানিয়েছে আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমগুলো।
ব্লিঙ্কেন বুধবার জেদ্দায় সৌদি নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করবেন। এরপর তিনি বৃহস্পতিবার কায়রো যাবেন। সেখানে তিনি মিসরীয় কর্তৃপক্ষের সঙ্গে বৈঠক করবেন।
ইসরায়েলে ঢুকে হামাস গত ৭ অক্টোবর আকস্মিক হামলা চালায়। ওই হামলার প্রতিক্রিয়ায় গাজায় টানা হামলা চালাচ্ছে ইসরায়েল।
ব্রাজিলের রিও ডি জেনিরো শহরে ৬২ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। যা এক দশকের মধ্যে সর্বোচ্চ তাপমাত্রার রেকর্ড।
আলের্তো রিও ওয়েদার সিস্টেম জানিয়েছে, সোমবার শহরের গড় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৪২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আগের দিন রোববার স্থানীয় সময় সকাল ৯টার দিকে রিও ডি জেনিরোর পশ্চিমাংশে ৬২ দশমিক ৩ ডিগ্রি তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়।
তীব্র গরমের কারণে রিওর দুই বিখ্যাত সমুদ্র সৈকত ইপানেমা এবং কোপাকাবানায় রোববার ও সোমবার উপচে পড়া ভিড় ছিল বলে জানায় আল জাজিরা।
এর আগে ব্রাজিলের ইতিহাসে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় গত নভেম্বরে ৫৯ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
এদিকে দেশটির দক্ষিণে মুষলধারে বৃষ্টির কথা জানিয়েছে সংশ্লিষ্টরা। আগামী সপ্তাহে এমন বৃষ্টি অব্যাহত থাকবে বলে পূর্বাভাস দেয়া হয়েছে।
সোমবার মেটসুলের এক বিবৃতিতে বলা হয়, চলতি সপ্তাহে পুরো দক্ষিণাঞ্চলে ব্যাপক বর্ষণ ও ঝোড়ো আবহাওয়া অব্যাহত থাকবে।
আরও পড়ুন:গাজার মূল হাসপাতাল আল শিফায় ইসরায়েলের ভয়াবহ হামলা চলছে। হাসপাতাল ভবনটি ট্যাংক বহর দিয়ে ঘিরে রেখে সেখানে বিমান হামলা চালানো হচ্ছে।
ইসরায়েলের সেনাবাহিনী সোমবার এক ঘোষণায় বলেছে, হামাসের সিনিয়র সদস্যরা ভবনটি ব্যবহার করছে- এমন গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে সেখানে সুনির্দিষ্ট হামলা চালানো হচ্ছে।
গাজার বৃহত্তম হাসপাতাল আল শিফা। এর আগে গত বছরের নভেম্বরে ইসরায়েল এই হাসপাতালে অভিযান চালায়। সে সময় ইসরায়েলের ওই হামলাও ব্যাপক আন্তর্জাতিক সমালোচনার মুখে পড়ে।
একজন প্রত্যক্ষদর্শী জানিয়েছেন, আল শিফায় বিমান হামলা চালানো হয়েছে। এছাড়া ভবনটি ইসরায়েলি ট্যাংক ঘিরে রেখেছে। সঙ্গে হাসপাতাল কমপ্লেক্স লক্ষ্য করে মুহুর্মুহু ছোড়া হচ্ছে গোলা।
গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের উদ্ধৃতি দিয়ে বার্তা সংস্থা আল-জাজিরা জানায়, আল শিফা হাসপাতালে ইসরায়েলের এই হামলায় কমপক্ষে ৩০ হাজার মানুষ আটকা পড়েছে। হাসপাতাল কমপ্লেক্সে আটকা পড়া এসব মানুষ ঘরবাড়ি হারিয়ে বাস্তুচ্যুত সাধারণ মানুষ, হাসপাতালের স্টাফ এবং আহত রোগী।
ইসরায়েল বার বার অভিযোগ করে আসছে, হামাস হাসপাতাল ও চিকিৎসা কেন্দ্রগুলো থেকে তাদের তৎপরতা চালিয়ে আসছে। যদিও হামাসের পক্ষ থেকে বরাবরই এ অভিযোগ অস্বীকার করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, গত বছরের ৭ অক্টোবর হামাস ইসরায়েলে আকস্মিক বড় ধরনের হামলা চালায়। এর পরপরই ইসরায়েল গাজায় পাল্টা হামলা শুরু করে। ইসরায়েলের হামলায় এ পর্যন্ত গাজায় নারী-শিশুসহ ব্যাপকসংখ্যক মানুষ নিহত হয়েছেন।
আরও পড়ুন:সৌদি আরবের রিয়াদ শহরের পশ্চিমেই অবস্থিত আফিফ মরুভূমি। শুক্রবার ওই এলাকায় বৃষ্টি হয়। বৃষ্টির পর আফিফ মরুভূমি সাক্ষী হয় বিরল এক ঘটনার। মরুভূমিতে পড়তে থাকে তুষার। দেখে মনে হবে মরুভূমির বালুতে বিছানো আছে সাদা কম্বল।
সংবাদমাধ্যম গালফ নিউজ বলছে, শুক্রবার বিকেলের এই দৃশ্য অনেকেই ক্যামেরাবন্দি করেন। এরপর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে শেয়ার করেন ভিডিও। তাতে দেখা যায়, রাস্তা ও এর পাশে তুষার পড়ে আছে। মুহূর্তেই এই ভিডিও ছড়িয়ে পড়ে অন্যান্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতেও। সৌদি আরব সাধারণত গরমপ্রধান দেশ। তবে ইদানিং বৃষ্টি বেড়েছে। মরুভূমিতে দেখা যাচ্ছে সবুজ ঘাস। জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবেই এমনটি হচ্ছে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
শুক্রবারের এই আবহাওয়া নিয়ে আগেই পূর্বাভাস দিয়েছিল দেশটি। এতে বলা হয়, রোববার থেকে সৌদিতে নতুন আবহাওয়া বিরাজ করবে। এতে বাড়তে পারে বৃষ্টি। এ ছাড়া ঝড়ও আসতে পারে।
আইসল্যান্ডের রেইকজেনেস উপদ্বীপে নতুন আগ্নেয়গিরির ফাটল থেকে লাভা উদগীরণ হয়েছে। এতে শনিবার জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেছে পুলিশ। ডিসেম্বর থেকে এই এলাকায় এটি চতুর্থ অগ্ন্যুৎপাতের ঘটনা।
আইসল্যান্ডিক আবহাওয়া অফিসের (আইএমও) এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, রেইকজেনেস উপদ্বীপে স্টোরা স্কোগফেল ও হাগাফেলের মধ্যে আগ্নেয়গিরির এই অগ্ন্যুৎপাত শুরু হয়েছে। সরাসরি সম্প্রচারিত ভিডিও জ্বলন্ত লাভা উদগীরণ ও ধোঁয়া উড়তে দেখা গেছে। খবর বাসসের
আইসল্যান্ডের ডিপার্টমেন্ট অফ সিভিল প্রোটেকশন এবং ইমার্জেন্সি ম্যানেজমেন্ট ঘোষণা করেছে, তারা নতুন ফাটলের সঠিক অবস্থান সংকুচিত করতে একটি হেলিকপ্টার পাঠিয়েছে।
কর্তৃপক্ষ আরও জানায়, অগ্নুৎপাতের কারণে পুলিশ জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেছে।
আইএমও-এর মতে, এটি ৮ ফেব্রুয়ারির আগের অগ্ন্যুৎপাতের মতো একই জায়গায় ঘটেছে। লাভাটিকে দক্ষিণে মাছ ধরার গ্রাম গ্রিন্ডাভিককে রক্ষা করার জন্য নির্মিত আলের (বাঁধ) দিকে প্রবাহিত হতে দেখা গেছে।
এতে আরও বলা হয়, গ্রিনিচ মান সময় ২২০০ এর কিছু পরই দক্ষিণ লাভা ফ্রন্ট গ্রিন্ডাভিকের পূর্ব দিকের ওই আল থেকে মাত্র ২০০ মিটার দূরে ছিল। এটি ঘন্টায় প্রায় এক কিমি বেগে অগ্রসর হচ্ছিল।
সোমালিয়ার জলদস্যুদের কাছ থেকে একটি বাল্ক ক্যারিয়ারের (বাণিজ্যিক জাহাজ) নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে ভারতীয় নৌবাহিনী। একইসঙ্গে উদ্ধার করা হয়েছে জিম্মি করে রাখা জাহাজের ১৭ জন ক্রুকে।
শনিবার এক এক্স (সাবেক টুইটার) বার্তায় ভারতীয় নৌবাহিনী উল্লেখ করে, মাল্টার পতাকাবাহী এমভি রুয়েন নামের জাহাজটি দখলে নেয়া ৩৫ জন জলদস্যুর সবাই আত্মসমর্পণ করেছে এবং জাহাজটিতে অবৈধ অস্ত্র, গোলাবারুদ ও নিষিদ্ধ দ্রব্য রয়েছে কি না তা পরীক্ষা করে দেখা হয়েছে।
শুক্রবার আন্তর্জাতিক জলসীমায় বাল্ক ক্যারিয়ার থেকে একটি ভারতীয় যুদ্ধজাহাজকে লক্ষ্য করে গুলি চালানোর পর এই অভিযান পরিচালিত হয়।
সোমালিয়া থেকে প্রায় ২৪০ কিলোমিটার দূরে ইয়েমেনের সোকোত্রা দ্বীপের কাছে ১৪ ডিসেম্বর জলদস্যুরা জাহাজটির দখল নেয়।
মন্তব্য