× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য ইভেন্ট শিল্প উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ কী-কেন ১৫ আগস্ট আফগানিস্তান বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও ক্রিকেট প্রবাসী দক্ষিণ এশিয়া আমেরিকা ইউরোপ সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ শারীরিক স্বাস্থ্য মানসিক স্বাস্থ্য যৌনতা-প্রজনন অন্যান্য উদ্ভাবন আফ্রিকা ফুটবল ভাষান্তর অন্যান্য ব্লকচেইন অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

বিশ্লেষণ
এ পৃথিবী একবার পায় তারে
google_news print-icon

এ পৃথিবী একবার পায় তারে

এ-পৃথিবী-একবার-পায়-তারে
৮৬-এর বিশ্বকাপ দেখেও যিনি বা যারা ম্যারাডোনায় আচ্ছন্ন হননি, হয় তিনি ফুটবল বোঝেন না, নয় দলীয় সমর্থন তাকে অন্ধ বানিয়ে দিয়েছে। বাংলাদেশে অনেক মানুষ আছেন, দলীয় আনুগত্য যাকে অন্ধ বানিয়ে রাখে। আওয়ামী লীগ সমর্থক বিএনপির ভালো কিছু দেখে না, বিএনপি সমর্থকের কাছে আওয়ামী লীগের সব খারাপ। সেই ব্রাজিলভক্তের দশাও হয়েছে সেই অন্ধদের মতো, দলীয় সমর্থন তাকে অন্ধ করে রেখেছে।

আমি তখন এটিএন নিউজের নিয়মিত টক শো নিউজ আওয়ার এক্সট্রা উপস্থাপনা করছিলাম। প্রডিওসার টক ব্যাকে বললেন, একটা ব্রেকিং নিউজ আছে। ম্যারাডোনা মারা গেছেন। একটা ব্রেকিং নিউজ যে কতটা হার্ট ব্রেকিং হতে পারে, সেটা তখন টের পেলাম। এমন একটা ব্রেকিং নিউজ শোনার পর লাইভ টক শো চালিয়ে নেয়া আমার জন্য কষ্টকর ছিল। আমার পৃথিবী দুলে উঠেছিল। ম্যারাডোনাকে নিয়েই ছিল টক শোর বাকি আলোচনা। পরে জেনেছি, ম্যারাডোনা অসুস্থ ছিলেন। ছিল অতিরিক্ত মাদক গ্রহণ সংক্রান্ত জটিলতা। গত মাসেই মাথায় একটা অপারেশন শেষে হাসপাতাল থেকে বাসায় ফিরেছিলেন। বাসাতেই বিশ্রামে ছিলেন। সেখানেই হৃদযন্ত্র তাকে চির বিশ্রামে পাঠিয়ে দিয়েছে।

আমি চিরকালীন ব্রাজিলভক্ত। জীবনভর বিশ্বকাপ এলেই ব্রাজিল না আর্জেন্টিনা, পেলে না ম্যারাডোনা- এই অর্থহীন তর্ক করে গেছি। অথচ এখন মৃত্যুর পর টের পাচ্ছি, ম্যারাডোনার জন্য হৃদয়ের গোপন কুঠরিতে কতটা আবেগ, কতটা ভালোবাসা লুকিয়ে রেখেছিলাম। ১৯৮৬ সালে আমি ভিক্টোরিয়া কলেজে পড়ি, থাকি নিউ হোস্টেলে। ঐ বয়সে ছেলেদের পড়ার টেবিলে প্রেমিকার ছবি বা প্রিয় নায়িকার ছবি থাকে। আমার পড়ার টেবিলে ছিল ম্যারাডোনার ছবি।

ম্যারাডোনাই আমাদের প্রেম, আমাদের মুগ্ধতা। কাল ম্যারাডোনার মৃত্যুর পর এক ব্রাজিলভক্ত বেশ গর্ব করে বলছিলেন, আমি ৮৬এর বিশ্বকাপ দেখেছি, কিন্তু ম্যারাডোনায় আচ্ছন্ন হইনি। আমার তার জন্য করুণা হয়েছে। ৮৬-এর বিশ্বকাপ দেখেও যিনি বা যারা ম্যারাডোনায় আচ্ছন্ন হননি, হয় তিনি ফুটবল বোঝেন না, নয় দলীয় সমর্থন তাকে অন্ধ বানিয়ে দিয়েছে। বাংলাদেশে অনেক মানুষ আছেন, দলীয় আনুগত্য যাকে অন্ধ বানিয়ে রাখে। আওয়ামী লীগ সমর্থক বিএনপির ভালো কিছু দেখে না, বিএনপি সমর্থকের কাছে আওয়ামী লীগের সব খারাপ। সেই ব্রাজিলভক্তের দশাও হয়েছে সেই অন্ধদের মতো, দলীয় সমর্থন তাকে অন্ধ করে রেখেছে।

এখন যেমন ক্রিকেট, একটা সময় বাংলাদেশে তেমন ছিল ফুটবল। বলা ভালো, তারচেয়েও অনেক বেশি। এখনও চারবছর পর ফুটবলের প্রতি বাংলাদেশের মানুষের ভালোবাসাটা টের পাওয়া যায়। বাংলাদেশের আকাশ ঢেকে যায় ব্রাজিল-আর্জেন্টিনার পতাকায়, কারো বাড়ির রঙ বদলে যায়। আমি নিশ্চিত, ব্রাজিল-আর্জেন্টিনা নিয়ে বাংলাদেশে যত আবেগ, যত মাতামাতি; ওই দুই দেশেও ততটা নয়। তবে ১৯৮৬ সালের আগ পর্যন্ত বাংলাদেশে ফুটবল মানেই ব্রাজিল, আর ফুটবলার মানেই পেলে। ততদিনে পেলে ব্রাজিলকে তিনটি বিশ্বকাপ জিতিয়ে নিজে রাজার আসনে বসে আছেন। শুধু বাংলাদেশ নয়, ৮৬এর বিশ্বকাপের আগ পর্যন্ত গোটা ফুটবল বিশ্বই ব্রাজিলশাসিত ছিল। এমনকি ১৯৭৮ সালে আর্জন্টিনার প্রথম বিশ্বকাপ জয়ও তাতে তেমন ভাগ বসাতে পারেনি। কিন্তু ১৯৮৬এর মেক্সিকো বিশ্বকাপে ম্যারাডোনায় তাতে ভাগ বসিয়েছেন। শুধু বসিয়েছেন নয়, একজন চিরকালীন ব্রাজিল সমর্থক হিসেবেও স্বীকার করছি- বাংলাদেশে এবং বিশ্বে আর্জেন্টিনার সমর্থক সংখ্যায় বেশি। আর এর পুরো কৃতিত্ব ম্যারাডোনার একার। ৩৪ বছর আগের সেই ম্যারাডোনা জাদুতে আচ্ছন্ন এখনও বিশ্বের কোটি কোটি মানুষ। ৩৩ বছর কেটে গেছে, কেউ কথা রাখেনি; আর্জেন্টিনা আর শিরোপা জেতেনি। কিন্তু তবুও ম্যারাডোনাতেই মুগ্ধ বিশ্ব।

ম্যারাডোনা চারটি বিশ্বকাপ খেলেছেন। ৮২ সালের প্রথম বিশ্বকাপ শেষ হয়েছে লাল কার্ডে, ৮৬-এর বিশ্বকাপ একাই জিতেছেন, ৯০-এর বিশ্বকাপেও একাই দলকে ফাইনালে তুলেছিলেন, ৯৪ সালে তার বিশ্বকাপ ক্যারিয়ার শেষ হয়েছে ডোপ টেস্টে পজিটিভ হয়ে। বিশ্বকাপ এবং জাতীয় দল ছাড়াও বার্সেলোনা, বোকা জুনিয়র্স আর নেপোলির হয়ে করেছেন অবিশ্বাস্য সব কাণ্ড-কারখানা। নেপোলিতে তিনি পূজিত হন ঈশ্বরের মর্যাদায়। আসলেই তিনি ঈশ্বর ছিলেন- ফুটবল ঈশ্বর। সেই ঈশ্বরের বিদায়ে তাই কাঁদছে ফুটবল বিশ্ব। ম্যারাডোনা যদি আর কিচ্ছু না করে শুধু ৮৬-এর বিশ্বকাপটিই খেলতেন, তাহলে তিনি শ্রেষ্ঠই থাকতেন।

আমি ফুটবলভক্ত, বিশেষজ্ঞ নই। তাই ম্যারাডোনাকে বিশ্লেষণ করার ক্ষমতা আমার নেই। আমি শুধু বুঝি মাঠের ম্যারাডোনা অবিশ্বাস্য, অপ্রতিরোধ্য, বিস্ফোরক। জাদুকর যেমন মানুষের চোখের সামনেই তার চোখে ধুলো দিয়ে দেয়; ম্যারাডোনাও তেমন, মানুষ নন জাদুকর। ফুটবলের রাজা পেলের খেলা দেখিনি, সিনিয়রদের কলমে পড়েছি। পরিসংখ্যানও তার পক্ষে। তিনটি বিশ্বকাপ জিতিয়েছেন ব্রাজিলকে। আমি ৮২-এর বিশ্বকাপ থেকে বিশ্ব ফুটবল দেখছি। জিকো থেকে এমবাপ্পে- সবার খেলাই দেখেছি টিভি পর্দায়। আমি অন্তর থেকে বলছি, ম্যারাডোনাই শ্রেষ্ঠ। তার ধারে কাছেও কেউ নেই।

১৯৮৬-এর বিশ্বকাপ বললাম বটে। তবে ম্যারাডোনাকে আরো সংক্ষিপ্ত করে আনলে সেই বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনালে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ম্যাচটি। সেই এক ম্যাচই তাকে অমরত্ব দিয়েছে, শ্রেষ্ঠত্ব দিয়েছে। সেই ম্যাচটি যেন ম্যারাডোনার ৬০ বছরের জীবনের সারাংশ। একই সঙ্গে সবার সেরা, একই সঙ্গে সবচেয়ে বিতর্কিত। ফকল্যান্ড যুদ্ধের পরপর ইংল্যান্ড-আর্জেন্টিনার সেই ম্যাচ যেন নিছক ফুটবল ম্যাচ নয় যুদ্ধ। আর ম্যারাডোনা প্রমাণ করেছেন- নাথিং ইজ আনফেয়ার ইন লাভ অ্যান্ড ওয়ার। ম্যারাডোনা ছিলেন ৫ ফুট ৫ ইঞ্চি। ইংল্যান্ডের গোলমুখে উড়ে আসা বল তার নাগালের বাইরে ছিল। তিনি এমনই জাদুকর, রেফারির চোখে ধুলো দিয়ে হাত দিয়ে গোল দিয়ে দেন। পরে ম্যারাডোনাও স্বীকার করেছেন, গোলটি করেছে ঈশ্বরের হাত। তবে ম্যারাডোনা নিজেই তো ফুটবল ঈশ্বর, ইংল্যান্ডকে হারাতে তার ঈশ্বরের হাতের সাহায্য লাগবে কেন? এই প্রশ্নের জবাব দিতে সময় নিলেন মাত্র ৫ মিনিট। ইতিহাসের সবচেয়ে বিতর্কিত গোলটি করার ৫ মিনিট পর ম্যারাডোনা যা করেছেন; তা অবিশ্বাস্য, অতুলনীয়, ফুটবল ক্ল্যাসিকের প্রথম পাতা। নিজেদের অর্ধে বল পেয়ে ৬ জনকে ছিটকে ফেলে দেয়া সেই গোলটি গতি, ড্রিবলিং, ফিনিশিংএর এক জাদুকরি মিশেল।

বলছিলাম ইংল্যান্ডের বিপক্ষে সেই ম্যাচটি ম্যারাডোনার জীবনেরই একটা মিনি ভার্সন যেন। একই সঙ্গে সবার সেরা এবং সবচেয়ে বিতর্কিতও। বিশ্বের কোটি কোটি মানুষ তাকে ভালোবাসে বটে, কিন্তু কেউই চাইবেন না তার সন্তান ম্যারাডোনার মতো হোক। মাদক তার বিশ্বকাপ শেষ করেছে, এখন তার জীবনও কেড়ে নিল সেই মাদকই। অবাধ সম্পর্ক, ট্যাক্স ফাঁকি, সাংবাদিকদের দিকে গুলি ছোড়া- বিতর্কের বারুদে ঠাসা তার জীবন। ম্যারাডোনা এক খেয়ালী রাজপুত্র, এক পাগলা রাজা। তিনি জীবনভর তাই করেছেন, যা তার মন চেয়েছে। আমরা অনেককিছুই করতে চাই। ধর্ম, রাষ্ট্র, আইন, সমাজ আমাদের আটকে রাখে। ম্যারাডোনা কিছুই কেয়ার করেননি; মাঠে যেমন, জীবনেও তেমন- কেউ তাকে আটকাতে পারেনি। ম্যারাডোনাকে বর্ণনা করার ভাষা আসলে আমার নেই। প্রায় শতবছর আগে বাঙালি কবি কাজী নজরুল ইসলাম ম্যারাডোনার জন্যই বুঝি লিখে গেছেন-

'আমি চিরদূর্দম, দুর্বিনীত, নৃশংস,

মহা- প্রলয়ের আমি নটরাজ, আমি সাইক্লোন, আমি ধ্বংস!

আমি মহাভয়, আমি অভিশাপ পৃথ্বীর,

আমি দুর্বার,

আমি ভেঙে করি সব চুরমার!

আমি অনিয়ম উচ্ছৃঙ্খল,

আমি দ’লে যাই যত বন্ধন, যত নিয়ম কানুন শৃঙ্খল!

আমি মানি না কো কোন আইন,

আমি ভরা-তরী করি ভরা-ডুবি, আমি টর্পেডো, আমি ভীম ভাসমান মাইন!

আমি ধূর্জটি, আমি এলোকেশে ঝড় অকাল-বৈশাখীর

আমি বিদ্রোহী, আমি বিদ্রোহী-সুত বিশ্ব-বিধাতৃর!'

আমি অনেক বিবেচনা করে দেখলাম, বিশ্বের সবচেয়ে বেশি মানুষের ভালোবাসা পেয়েছেন ম্যারাডোনা। বিশ্বে তাকেই চিনত সবচেয়ে বেশি মানুষ। জাতি-ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সবাই তাকে ভালোবেসেছে। তিনিও নিপীড়িত ভালোবেসেছেন। প্রচণ্ড আবেগই তাকে অন্যদের থেকে আলাদা করেছে। তিনি ফিদেল ক্যাস্ট্রোর বন্ধু, চে গুয়েভেরা উল্কি আঁকান শরীরে। তিনি মানুষের ভালোবাসা পেয়েছেন, মানুষকে ভালোবেসেছেন। জানি না, হয়ত ভবিষ্যতে ম্যারাডোনার চেয়ে ভালো ফুটবলারও জন্মাবে। তবে খ্যাতিতে-বিতর্কে-অপকর্মে এমন বর্ণাঢ্য সার্বজনীন চরিত্র আর কখনোই আসবে না। আবারও কবিতায় সমর্পন করি- এ পৃথিবী একবার পায় তারে, পায় নাকো আর...।

প্রভাষ আমিন: বার্তা প্রধান, এটিএন নিউজ

আরও পড়ুন:
ছবিতে ফুটবল ঈশ্বর
ম্যারাডোনার যত প্রেম
প্রেসিডেন্ট প্রাসাদে তিন দিন থাকবেন ম্যারাডোনা
ম্যারাডোনার শেষ ছবি
আমার প্রজন্মের অনন্য ম্যারাডোনা

মন্তব্য

আরও পড়ুন

বিশ্লেষণ
Manchester City beat Chelsea in the FA Cup final

চেলসিকে হারিয়ে এফএ কাপের ফাইনালে ম্যানসিটি

চেলসিকে হারিয়ে এফএ কাপের ফাইনালে ম্যানসিটি এফএ কাপে চেলসির বিপক্ষে গোল করার পর সিটির সিলভার উদযাপন। ছবি: সংগৃহীত
ম্যাচে কাঙ্ক্ষিত গোলের দেখা পেতে অপেক্ষা করতে হয় শেষ সময় পর্যন্ত। ৮৪ মিনিটের মাথায় বের্নার্দো সিলভার গোলে এগিয়ে যায় সিটি। রোববার ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড ও কভেন্ট্রি সিটি লড়ছে দ্বিতীয় সেমিফাইনালে।

টানা দ্বিতীয়বারের মতো এফএ কাপের ফাইনালে উঠেছে ম্যানচেস্টার সিটি। সেমিফাইনালে দলটি প্রতিপক্ষ চেলসিকে হারিয়েছে ১-০ গোলে।

ওয়েম্বলিতে ম্যাচের শুরু থেকেই আক্রমণ-পাল্টা আক্রমণে জমে ওঠে ম্যাচ। চেলসি বেশ কয়েকটি সহজ সুযোগ নষ্ট করে প্রথমার্ধে।

২৯ মিনিটে নিকোলাস জ্যাকসন ম্যানসিটির গোলরক্ষককে একা পেয়েও গোল করতে পারেননি। এর আগে সিটির হয়ে ফিল ফোডেনও সুযোগ নষ্ট করেন।

চেলসি প্রথমার্ধে তিনটি শট লক্ষ্যে রাখলেও সিটি লক্ষ্যে কোনো শটই করতে পারেনি। এতে গোলহীন অবস্থায় শেষ হয় প্রথমার্ধ।

বিরতি শেষে দ্বিতীয়ার্ধেও ম্যাচে টান টান উত্তেজনা চলতে থাকে। ম্যাচে কাঙ্ক্ষিত গোলের দেখা পেতে অপেক্ষা করতে হয় শেষ সময় পর্যন্ত। ৮৪ মিনিটের মাথায় বের্নার্দো সিলভার গোলে এগিয়ে যায় সিটি।

এর আগে রিয়াল মাদ্রিদের কাছে হেরে এই মৌসুমের চ্যাম্পিয়নস লিগ জয়ের স্বপ্নভঙ্গ হয় ম্যানচেস্টার সিটির। এখন প্রিমিয়ার লিগ আর এফএ কাপের দিকেই তাকিয়ে আছে পেপ গার্দিওলার দলটি।

চেলসিকে ১-০ গোলে হারানোর পর উচ্ছ্বসিত গার্দিওলা বলেন, ‘আজকের ম্যাচে ছেলেরা কিভাবে খেলে জিতেছে আমি সেটা ভেবেই অবাক হচ্ছি। তিন দিনের মধ্যে দুটি ম্যাচ। গত ম্যাচে চ্যাম্পিয়ন্স লিগে ১২০ মিনিট খেলতে হয়েছে। তারপর শনিবার ম্যাচ দেওয়া হয়েছে। অথচ কভেন্ট্রি সিটি এবং ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডকে এতদিন বিশ্রাম দেয়া হল।’

রোববার ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড ও কভেন্ট্রি সিটি লড়ছে দ্বিতীয় সেমিফাইনালে। দ্বিতীয় সেমিফাইনালের জয়ী দলের সঙ্গে সিটির শিরোপার লড়াই হবে ২৫ মে।

আরও পড়ুন:
তারুণ্যের উচ্ছ্বাসে জমজমাট এশিয়া কাপ করপোরেট ফুটবল টুর্নামেন্ট
নাটক ও বিতর্কের পর বাংলাদেশ-ভারত যৌথ চ্যাম্পিয়ন
গ্যালারিতে বর্ণবাদী স্লোগান, দল নিয়ে মাঠ ছাড়লেন এসি মিলানের গোলরক্ষক
সে রাতে স্বর্গে হাত রেখেছিলেন মেসি
মডেলের সঙ্গে অশ্লীল চ্যাট ফাঁস, নেইমারকে ছাড়লেন বান্ধবী ব্রুনা

মন্তব্য

বিশ্লেষণ
Sports provide physical and mental strength PM

দেশীয় খেলাকে সমান গুরুত্ব দিন: প্রধানমন্ত্রী

দেশীয় খেলাকে সমান গুরুত্ব দিন: প্রধানমন্ত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শনিবার ঢাকায় আর্মি স্টেডিয়ামে বঙ্গবন্ধু এবং বঙ্গমাতা গোল্ডকাপ প্রাথমিক বিদ্যালয় ফুটবল টুর্নামেন্টের ফাইনাল খেলায় অংশগ্রহণকারীদের সঙ্গে ফটোসেশনে অংশ নেন। ছবি: পিআইডি
শেখ হাসিনা বলেন, ‘যখনই সরকারে এসেছি চেষ্টা করেছি খেলাধুলার প্রতি আমাদের ছেলেমেয়েদের আরও বেশি অনুরাগী করতে। খেলাধুলা মানুষের শারীরিক ও মানসিক শক্তি যোগায় এবং দেশপ্রেম শেখায়, আনুগত্য শেখায়। সে সঙ্গে তাদেরকে দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ করে।’

অন্যান্য খেলার সঙ্গে দেশীয় খেলাধুলাকে সমান গুরুত্ব দেয়ার আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সংশ্লিষ্টদের নির্দেশনা দিয়ে তিনি বলেছেন, ‘খেলাধুলায় আমাদের ছেলেমেয়েরা যেন আরও বেশি আগ্রহী হয়ে অংশগ্রহণ করে, সমানভাবে সুযোগ পায়। কারণ দেশীয় খেলাগুলোর মধ্য দিয়ে আমাদের ছেলেমেয়েদের আরও মেধা বিকাশের সুযোগ তৈরি হবে।’

রাজধানীর আর্মি স্টেডিয়ামে শনিবার বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপ প্রাথমিক বিদ্যালয় ফুটবল টুর্নামেন্ট-২০২৩ এবং বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব গোল্ডকাপ প্রাথমিক বিদ্যালয় ফুটবল টুর্নামেন্ট-২০২৩ এর পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে সরকার প্রধান এসব কথা বলেন।

খেলাধুলা ও শরীর চর্চার ওপর গুরুত্বারোপ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘যখনই সরকারে এসেছি চেষ্টা করেছি খেলাধুলার প্রতি আমাদের ছেলেমেয়েদের আরও বেশি অনুরাগী করতে। খেলাধুলা মানুষের শারীরিক ও মানসিক শক্তি যোগায় এবং দেশপ্রেম শেখায়, আনুগত্য শেখায়। সে সঙ্গে তাদেরকে দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ করে।’

শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমি চাই আমাদের ছেলেমেয়েরা লেখাপড়ার পাশাপাশি খেলাধুলা, শরীর চর্চা, সাংস্কৃতিক চর্চার মধ্য দিয়ে উপযুক্ত নাগরিক হিসেবে গড়ে উঠবে। এই খেলাধুলার মধ্য দিয়ে আমরা দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারি। সারা বিশ্বের কাছে দেশক পরিচিত করতে পারি।’

তিনি আশা প্রকাশ করেন, ক্ষুদে ফুটবল খেলোয়াড় যারা আজকে এখান থেকে শুরু করেছে, একদিন তারা আন্তর্জাতিক পর্যায়ে বাংলাদেশের জন্য আরও বেশি সম্মান বয়ে আনবে।

খেলাধুলার প্রসারে সরকারের বিভিন্ন কার্যক্রম তুলে ধরে টানা চারবারের প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘ছেলেমেয়েরা সারা বছর ধরে যেন খেলাধুলা করতে পারে সে জন্য বর্তমান সরকার প্রত্যেক উপজেলায় একটি করে মিনি স্টেডিয়াম নির্মাণ করছে। এছাড়া প্রতিবন্ধী ও অটিস্টিকদের জন্য সুযোগ সৃষ্টি করছে।’

প্রধানমন্ত্রী এর আগে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুর মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় এবং লালমনিরহাটের পাটগ্রাম টেপুরগাড়ি বিকে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মধ্যকার ফাইনাল খেলার দ্বিতীয়ার্ধ উপভোগ করেন।

বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব গোল্ডকাপ প্রাথমিক বিদ্যালয় ফুটবল টুর্নামেন্টে পাটগ্রাম টেপুরগাড়ি বিকে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় চ্যাম্পিয়ন হয়।

পৃথক ম্যাচে বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপ প্রাথমিক বিদ্যালয় ফুটবল টুর্নামেন্টের ফাইনালে রংপুরের মিঠাপুকুর তালিমগঞ্জ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়কে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয় জামালপুরের মাদারগঞ্জ চরগোলাবাড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়।

প্রধানমন্ত্রী দুই টুর্নামেন্টের বিজয়ী ও রানার্সআপ দলের খেলোয়াড়দের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করেন।

অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী রুমানা আলী এবং প্রাথমিক ও গণশিক্ষা সচিব ফরিদ আহমেদ।

আরও পড়ুন:
মুক্তিযুদ্ধবিরোধী অপশক্তির বিরুদ্ধে লড়াইয়ে প্রেরণা জোগাবে নববর্ষ: প্রধানমন্ত্রী
দেশবাসীকে নববর্ষের শুভেচ্ছা জানালেন প্রধানমন্ত্রী
যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধাদের ফল ও মিষ্টি পাঠালেন প্রধানমন্ত্রী
আয়ারল্যান্ডের নতুন প্রধানমন্ত্রীকে শেখ হাসিনার অভিনন্দন
আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসে জনগণকে দিতে, বিএনপি আসে নিতে: প্রধানমন্ত্রী

মন্তব্য

বিশ্লেষণ
Leverkusen won the Bundesliga for the first time in 120 years

১২০ বছরে প্রথম বুন্দেসলিগা জিতল লেভারকুসেন

১২০ বছরে প্রথম বুন্দেসলিগা জিতল লেভারকুসেন শিষ্যদের নিয়ে শিরোপা হাতে সমর্থকদের উদ্দেশে হাত নাড়ছেন শাবি আলোনসো। ছবি: সংগৃহীত
এ পর্যন্ত পাঁচবার দ্বিতীয় স্থানে থেকে লিগ শেষ করলেও শিরোপার স্বাদ কখনও পাওয়া হয়নি লেভারকুসেনের। এই শিরোপার মাধ্যমে লেভারকুসেনর তাদের কুখ্যাত ‘নেভারকুসেন’ তকমা থেকেও সরে আসতে সমর্থ হয়েছে।

১২০ বছরের ক্লাব ইতিহাসে প্রথমবারের মতো বুন্দেসলিগার শিরোপা জেতার কৃতিত্ব দেখিয়েছে বায়ের লেভারকুসেন। রোববার ভার্ডার ব্রেমেনকে ৫-০ গোলে উড়িয়ে দিয়ে লিগে বায়ার্ন মিউনিখের ১১ বছরের টানা আধিপত্য ভাঙতে সক্ষম হয়েছে শাবি আলোনসোর দল।

লিগের ২৯তম ম্যাচে এসে পাঁচ ম্যাচ হাতে রেখেই লিগ শিরোপা নিশ্চিত করেছে তারা। পুরো মৌসুমে দারুণ ফর্মে থাকা লেভারকুসেন এখন পর্যন্ত শুধু লিগে নয়, ইউরোপা লিগসহ সব ধরনের প্রতিযোগিতায় অপরাজিত রয়েছে।

ফ্লোরিয়ান ভিয়ার্টসের হ্যাটট্রিক এবং ভিক্টর বনিফেস ও গ্রানিট জাকার গোলে সব ধরনের প্রতিযোগিতা মিলিয়ে এদিন লেভারনকুসেন টানা ৪৩ ম্যাচে অপরাজিত থাকার গৌরব অর্জন করল।

১২০ বছরে প্রথম বুন্দেসলিগা জিতল লেভারকুসেন
খেলা শেষ হওয়ার আগেই স্ট্যান্ড ছেড়ে লাইনে ভিড় জমান লেভারকুসেন সমর্থকরা। ছবি: সংগৃহীত

এ পর্যন্ত পাঁচবার দ্বিতীয় স্থানে থেকে লিগ শেষ করলেও শিরোপার স্বাদ কখনও পাওয়া হয়নি লেভারকুসেনের। এই শিরোপার মাধ্যমে লেভারকুসেনর তাদের কুখ্যাত ‘নেভারকুসেন’ তকমা থেকেও সরে আসতে সমর্থ হয়েছে।

শিরোপা জয়ের আনন্দে কাল ম্যাচ শেষ হওয়ার ১০ মিনিট আগেই উদযাপন শুরু করে দেয় উচ্ছসিত সমর্থকরা। একে একে তারা সাইডলাইনে জড়ো হতে শুরু করেন। যদিও ম্যাচ তখনও চলছিল। লেভারকুসেনের খেলোয়াড়রা এক পর্যায়ে তাদের অনুরোধ জানায় গ্যালারিতে ফিরে যেতে। কিন্তু ৯০ মিনিটে পর পুরো স্ট্যান্ডই খালি হয়ে যায়, তখন সবাই ছিল মাঠের ভেতর। আবেগ আপ্লুত সমর্থকরা এ সময় খেলোয়াড়দের সঙ্গে তাদের এই বিজয় উৎসব উপভোগ করতে থাকেন।

১২০ বছরে প্রথম বুন্দেসলিগা জিতল লেভারকুসেন
খেলা শেষ হতে না হতেই গ্যালারি ছেড়ে মাঠে নেমে আসেন সমর্থকরা। ছবি: সংগৃহীত

এই জয়ে লেভারকুসেনের পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৭৯। জার্মান লিগ ইতিহাসে ২৯ ম্যাচ পর এটাই সর্বোচ্চ পয়েন্ট। দ্বিতীয় স্থানে থাকা বায়ার্ন মিউনিখের থেকে লেভারকুসেন ১৬ পয়েন্টে এগিয়ে রয়েছে।

ম্যাচের হ্যাটট্রিকম্যান ভিয়ার্টস বলেন, ‘এটা ভাষায় প্রকাশ করা অসম্ভব। আমি বলতে পারব না, আমরা কী করেছি। আমার এখন ড্রেসিং রুমে ফিরে গিয়ে শান্ত হয়ে বসতে হবে। ইতোমধ্যেই আমরা সমর্থকদের সঙ্গে পার্টি শুরু করে দিয়েছি।’

১২০ বছরে প্রথম বুন্দেসলিগা জিতল লেভারকুসেন
সমর্থকদের সঙ্গে আনন্দ ভাগ করে নিচ্ছেন ম্যাচের ‘হ্যাট্রিক বয়’ ফ্লোরিয়ান ভিয়ার্টস। ছবি: সংগৃহীত

ম্যাচ শুরুর ৯০ মিনিট আগে স্টেডিয়ামে এসে উপস্থিত হয় লেভারকুসেনের বাস। ৩০ হাজার দর্শক ধারণক্ষমতাসম্পন্ন ঘরের মাঠ বে আরেনাতে কাল পুরোটা সময়জুড়েই ছিল লাল-কালো জার্সিধারীদের আধিপত্য।

কোচ শাবি আলোনসোর সম্মানে শহরের বিমসার্ক স্ট্রিটটি সমর্থকরা সাময়িকভাবে ‘শাবি আলোনসো স্ট্রিট’ নামে আখ্যায়িত করে।

১২০ বছরে প্রথম বুন্দেসলিগা জিতল লেভারকুসেন
স্টেডিয়ামে খেলোয়াড়দের বাস আসার সঙ্গে সঙ্গে তা ঘিরে উল্লাসে মেতে ওঠেন সমর্থকরা। ছবি: সংগৃহীত

শিরোপা জয় নিশ্চিত হবার পর আলোনসোর এখন মূল লক্ষ্য বৃহস্পতিবার ইউরোপা লিগের কোয়ার্টার ফাইনালের দ্বিতীয় লেগে লন্ডনে ওয়েস্ট হ্যামের বিপক্ষেও ম্যাচটি। ওই ম্যাচকে সামনে রেখে গতকাল মূল একাদশে সাতটি পরিবর্তন এনেছিলেন আলোনসো। এ কারণে বদলি বেঞ্চে ছিলেন ভিয়ার্টস, জেরেমি ফ্রিমপং ও আলেক্স গ্রিমালদো। এদের মধ্যে মৌসুমে এই প্রথম ম্যাচ শুরু করার সুযোগ পাননি গ্রিমালদো। তার পরিবর্তে মাঠে নামা পিয়েরো হিনকেপি শুরুতেই গোলের সুযোগ হাতছাড়া করেছেন।

এদিন ব্রেমেন ডিফেন্ডার হুলিয়ান মালাতিনির বিপক্ষে ইয়োনাস হফমানের আদায় করা পেনাল্টি থেকে লেভারকুসেনকে এগিয়ে দেন বনিফেস। রেফারি সরাসরি পেনাল্টির নির্দেশ দিলেও পরবর্তীতে ভিএআর পরীক্ষা করে তা নিশ্চিত হতে হয়। বিরতির ঠিক আগে হফম্যান আবারও গোলের সুযোগ তৈরি করেছিলেন, কিন্তু তার পাস থেকে আমিন আদলির শট ক্রসবারে লেগে ফেরত আসে।

১২০ বছরে প্রথম বুন্দেসলিগা জিতল লেভারকুসেন
ফ্রিমপংকে শূন্যে তুলে সমর্থকদের উদযাপন। ছবি: সংগৃহীত

দ্বিতীয়ার্ধে কিছুটা আগ্রাসী হয়ে খেলা শুরু করে ব্রেমেন, কিন্তু ম্যাচের ৬০তম মিনিটে বনিফেসের পাস থেকে শক্তিশালী শটে জাকা ব্যবধান দ্বিগুণ করলে ব্রেমেনর সব স্বপ্ন ভেঙ্গে যায়।

আদলির পরিবর্তে মাঠে নামা ভিয়ার্টস আট মিনিট পর জাকার মতো প্রায় একইভাবে বল জালে জড়ান। ম্যাচ শেষের সাত মিনিট আগে ভিয়ার্টস তার দ্বিতীয় গোল করেন। এরপর ৯০তম মিনিটে হ্যাটট্রিক পূরণ করেন ২০ বছর বয়সী এ জার্মান ফুটবলার। শেষপর্যন্ত ৫-০ গোলের বড় জয় পেয়ে শিরোপা জয়ের উল্লাসে মাতে লেভারকুসেন।

মন্তব্য

বিশ্লেষণ
Xabi Alonso is staying in Leverkusen not Bayern Liverpool

লেভারকুজেনেই থাকছেন শাবি আলোনসো

লেভারকুজেনেই থাকছেন শাবি আলোনসো চলতি মৌসুমে বায়ের লেভারকুজেনকে স্বপ্নের গালিচায় চড়ানো স্প্যানিশ কোচ শাবি আলোনসো। ছবি: ফোর্বস
শিষ্যদের শাবি বলেছেন, ‘আমি তোমাদের সঙ্গে আরও ট্রফি জিততে চাই। আগামী বছরের চ্যাম্পিয়ন্স লিগের জন্য প্রস্তুত হও।’

ইউরোপিয়ান ফুটবলে বড় চমক। লিভারপুল, বায়ার্ন মিউনিখ নয়, বায়ের লেভারকুজেনেই থেকে কোচিং চালিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন শাবি আলোনসো।

ট্রান্সফার মার্কেট গুরু ফাব্রিৎসিও রোমানো এক্স পোস্টে জানিয়েছেন, কিছুক্ষণ আগেই লেভারকুজেনের খেলোয়াড়দের শাবি জানিয়ে দিয়েছেন যে, তিনি এ ক্লাবটিতেই থেকে যাচ্ছেন।

ওই পোস্টে রোমানো লেখেন, শিষ্যদের তিনি (শাবি) বলেছেন, ‘আমি তোমাদের সঙ্গে আরও ট্রফি জিততে চাই। আগামী বছরের চ্যাম্পিয়ন্স লিগের জন্য প্রস্তুত হও।’

পরে এক সংবাদ সম্মেলনে শাবি আলোনসো বলেন, ‘লেভারকুজেন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আমার মিটিং হয়েছে। সেখানে আমি তাদের জানিয়েছি, আগামী মৌসুমে আমি এখানেই নিজের কাজ চালিয়ে যাব।

‘অনেক ভেবেচিন্তে আমি এ সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আমি মনে করি, আমার জন্য বর্তমানে এটিই (লেভারকুজেন) সবচেয়ে উপযুক্ত জায়গা।’

এ স্প্যানিশ কোচ বলেন, ‘এখানে আমার কাজ এখনও শেষ হয়ে যায়নি। ক্লাবকে আমি সাহায্য করতে চাই, খেলোয়াড়দের আরও উন্নতি করতে চাই। আমাদের ভক্তরা, (লেভারকুজেন) বোর্ডও অসাধারণ… এখানকার সবকিছুই চমৎকার।

‘ম্যানেজার হিসেবে আমি এখনও অনেক ছোট। তাই মনে করি, নিজের ভবিষ্যত সম্পর্কে এটিই আমার জন্য সবচেয়ে ভালো সিদ্ধান্ত। আমি এ কথাগুলো বলার আগে যথেষ্ট সময় নিয়েছি এবং এ বিষয়ে আমার মনে কোনো সংশয় নেই।’

তিনি আরও বলেন, ‘হ্যাঁ, শিষ্যদের আমি ইতোমধ্যে আমার সিদ্ধান্ত জানিয়েছি।’

লেভারকুজেনেই থাকছেন শাবি আলোনসো
সংবাদ সম্মেলনে শাবি আলোনসো। ছবি: এক্স

এ সময় লিভারপুল ও বায়ার্ন মিউনিখ সম্পর্কে সাংবাদিকদের করা প্রশ্নটি তিনি এড়িয়ে যান। বলেন, ‘এ বিষয়ে আমি মন্তব্য করতে চাই না। তারা (লিভারপুল ও বায়ার্ন) অবশ্যই অনেক বড় ক্লাব এবং দুই ক্লাবের সঙ্গেই আমার ভালো সম্পর্ক রয়েছে। তবে আমি যেখানে থাকতে চাই, সে জায়গাটিই এখন বেছে নিয়েছি।

‘নিজের ভবিষ্যত নিয়ে ভাবার সময় এখনই নয় বলে মনে করছি। বায়ের লেভারকুজেনে আমি নিজেকে আরও উন্নীত করতে চাই।’

চলতি মৌসুমে লেভারকুজেনের খেলোয়াড় ও ভক্ত-সমর্থকদের রূপকথার গালিচায় চড়িয়ে নিয়ে চলেছেন শাবি আলোনসো। ইউরোপের শীর্ষ পাঁচ লিগে শুধু তার দলই এখনও সব প্রতিযোগিতায় অপরাজিত।

বুন্দেসলিগায় এক দশকেরও বেশি সময় ধরে একপ্রকার অজেয় বায়ার্ন মিউনিখকে নাকানি-চুবানি খাইয়েছে তার শিষ্যরা। পয়েন্ট টেবিলেও বেশ বড় ব্যবধানে শীর্ষস্থান ধরে রেখেছে দলটি। চলতি মৌসুমে দ্বিতীয় অবস্থানে থাকা বায়ার্নের সঙ্গে তাদের ব্যবধান ১০ পয়েন্টের। দুই দলেরই হাতে রয়েছে কেবল আটটি করে ম্যাচ।

অনেক ফুটবলবোদ্ধার মতো বায়ার্নের সাবেক অধিনায়ক ফিলিপ লামও মনে করেন, এবার লিগ শিরোপা লেভারকুজেনের ঘরেই যাচ্ছে। আর তা হলে ক্লাবটির ইতিহাসে প্রথমবারের মতো বুন্দেসলিগার শিরোপা জয়ের স্বাদ দিতে চলেছেন আলোনসো।

শুধু তা-ই নয়, শীর্ষ চারে থাকায় আগামী মৌসুমের চ্যাম্পিয়ন্স লিগের গ্রুপ পর্বে সরাসরি খেলার যোগ্যতা অর্জন করবে লেভারকুজেন।

গত ২৬ জানুয়ারি চলতি মৌসুম শেষে লিভারপুলের দায়িত্ব ছাড়ার ঘোষণা দেন ইয়ুর্গেন ক্লপ। ক্লপের এমন ঘোষণায় লিভারপুল সমর্থকরা চমকে গেলেও তখন থেকে ইংলিশ ক্লাবটির পরবর্তী কোচ কে হবেন, তা নিয়ে ফুটবল পাড়ায় শুরু হয় জোর আলোচনা।

এক্ষেত্রে আলোনসোর নামটি সবচেয়ে বেশি প্রাধান্য পেতে থাকে। আলোনসোর খেলোয়াড়ি জীবনের শুরুর দিকে অল রেডদের জার্সি পরে খেলার কারণে তার প্রার্থিতা বেশ গুরুত্বের সঙ্গে দেখা হচ্ছিল।

লিভারপুলের পরবর্তী কোচ হিসেবে আলোনসোকে দেখতে চেয়েছিলেন খোদ ক্লপও।

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে গত ১৬ ফেব্রুয়ারি সাংবাদিকদের ক্লপ বলেছিলেন, ‘সে (শাবি) বিশ্বমানের খেলোয়াড় ছিল। কোচিং পরিবার থেকে আসায় এ কাজেও সে ভালো মনোবল পায়।

‘খেলোয়াড়ি জীবন থেকেই সে কোচের মতো ছিল। (লেভারকুসেনকে) যে ফুটবল সে খেলাচ্ছে, যেভাবে খেলোয়াড় এনে দল সাজিয়েছে- এককথায় অনবদ্য।’

লিভারপুলের পরবর্তী কোচ সম্পর্কে ক্লপ বলেন, ‘আপনি যদি আমাকে আরও আট সপ্তাহ আগেও এই প্রশ্নটি করতে, তাহলেও আমি একই কথা বলতাম। ওর জন্য আমি যেকোনো মুহূর্তে স্থান ছেড়ে দিতে পারি।’

অন্যদিকে চলতি মৌসুমে সব প্রতিযোগিতায় ভালোভাবে টিকে থাকা সত্ত্বেও গত বছরের মার্চে কোচ ইউলিয়ান নাগেলসমানকে ছাঁটাই করে বায়ার্ন মিউনিখ। দল জয় পেলেও ‘পারফরম্যান্স ভালো নয়’ অজুহাতে তাকে সরিয়ে ডর্টমুন্ড ও চেলসির সাবেক কোচ টমাস টুখেলকে দায়িত্ব দেয় ক্লাবটি।

তবে টুখেলের কোচিংয়েও সন্তুষ্ট নয় বায়ার্ন কর্তৃপক্ষ। এমনকি চলতি মৌসুম শেষে তার সঙ্গে ক্লাবটির সম্পর্কচ্ছেদের কথাও জানিয়ে দেয়া হয়েছে ইতোমধ্যে। ফলে নতুন কোচের খোঁজে রয়েছে তারাও।

এদিকে বায়ার্নে খেলোয়াড়ি ক্যারিয়ার শেষ করা আলোনসো যেভাবে লেভারকুজেনকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন, তাতে তার নামটি বায়ার্নেরও পরবর্তী কোচ হওয়ার তালিকায় উপরের দিকে স্থান পায়।

এসব বিষয় নিয়ে এতদিন টুঁ-শব্দ করেননি শাবি। তবে শুক্রবার সংবাদ সম্মেলনে এসে সব জল্পনায় জল ঢেলে দিলেন তিনি। জানিয়ে দিলেন, লেভারকুজেন থেকে সরছেন না লিভারপুল, রিয়াল মাদ্রিদ ও বায়ার্ন মিউনিখের জার্সি গায়ে মাঝমাঠ সামলানো সাবেক এ তারকা ফুটবলার।

আরও পড়ুন:
হঠাৎ লিভারপুল ছাড়ার ঘোষণা ক্লপের

মন্তব্য

বিশ্লেষণ
Former footballer Robinho arrested in rape case

ধর্ষণের মামলায় সাজা পাওয়া সাবেক ফুটবলার রবিনহো গ্রেপ্তার

ধর্ষণের মামলায় সাজা পাওয়া সাবেক ফুটবলার রবিনহো গ্রেপ্তার ব্রাজিলের সাবেক ফুটবল খেলোয়াড় রবিনহো। ছবি: সংগৃহীত
ইতালিয়ান ক্লাব এসি মিলানে খেলাকালীন ২০১৩ সালে একটি নাইট ক্লাবে আলবেনিয়ান নারীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনায় ইতালিতে রবিনহোকে দোষী সাব্যস্ত করা হয়।

ব্রাজিলের সাবেক আন্তর্জাতিক ফুটবল খেলোয়াড় রবিনহোকে ধর্ষণের দায়ে গ্রেপ্তার করেছে ব্রাজিলের ফেডারেল পুলিশ।

ইতালিয়ান ক্লাব এসি মিলানে খেলাকালীন ২০১৩ সালে একটি নাইট ক্লাবে আলবেনিয়ান নারীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনায় ইতালিতে রবিনহোকে দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছিল বলে জানায় বিবিসি।

ধর্ষণের অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় ২০১৭ সালে রবিনহোকে ৯ বছরের কারাদণ্ড দেয় ইতালির আদালত। এরপর বৃহস্পতিবার নিজ শহর সান্তোসের বাসা থেকে গ্রেপ্তার হন ৪০ বছর বয়সী এ খেলোয়াড়।

ব্রাজিলের একটি আদালত বুধবার তাকে কারাগারের পাঠানোর আদেশ দেয়।

দোষী সাব্যস্ত হওয়ার পর ২০২২ সালে ইতালির সর্বোচ্চ আদালত রবিনহোর শাস্তি বহাল রেখে তার বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে।

ব্রাজিলের আইন অনুযায়ী, বিদেশে অপরাধ সংঘটিত করে কোনো নাগরিক দেশে ফিরলে বিদেশের বিচারিক কর্তৃপক্ষের কাছে অপরাধীকে হস্তান্তর করে না ব্রাজিল সরকার। রায়ের আগেই রবিনহো ইতালি ছাড়ায় ব্রাজিলেই শাস্তি কার্যকরের অনুরোধ জানায় দেশটির আদালত।

ব্রাজিলের বিচার ব্যবস্থার দ্বারা গৃহীত এ পদক্ষেপ স্থানীয় মিডিয়াতে অনেকের দ্বারা প্রশংসিত হয়েছে। অনেকেই ধারণা করেছিলেন, রবিনহো তার খ্যাতি এবং সম্পদের কারণে ন্যায়বিচার এড়িয়ে যাবেন।

তবে ম্যানচেস্টার সিটিতে দুই বছর কাটানো এ ফুটবলার বরাবরের মতো এ অভিযোগ অস্বীকার করে বলেছেন, নাইট ক্লাবের ঘটনাটি ওই নারীর ‘সম্মতিতে’ হয়েছিল।

আরও পড়ুন:
৬২.৩ ডিগ্রি তাপমাত্রায় ঝলসাচ্ছে ব্রাজিলের জনজীবন
গ্যালারিতে বর্ণবাদী স্লোগান, দল নিয়ে মাঠ ছাড়লেন এসি মিলানের গোলরক্ষক
ব্রাজিলে পর্যটকবাহী বাসে ট্রাকের ধাক্কা, নিহত ২৫

মন্তব্য

বিশ্লেষণ
National womens football player Razia passed away

সন্তান জন্ম দিতে গিয়ে হারিয়ে গেলেন জাতীয় ফুটবলার রাজিয়া

সন্তান জন্ম দিতে গিয়ে হারিয়ে গেলেন জাতীয় ফুটবলার রাজিয়া ছবি: সংগৃহীত
রাজিয়ার স্বামী ইয়াম রহমান জানান, সন্তান প্রসবকালে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে তার মৃত্যু হয়েছে।

মাত্র ২৫ বছর বয়সেই চলে গেলেন জাতীয় নারী দলের ফুটবলার রাজিয়া। বৃহস্পতিবার পুত্র সন্তান জন্ম দেয়ার পর সাতক্ষীরায় মারা গেছেন এই রাইট উইঙ্গার।

রাজিয়া সাতক্ষীরার কালীগঞ্জ থানার মৌতলা ইউনিয়নের লক্ষ্মীনাথপুর গ্রামের নূর আলী সরদারের মেয়ে।

জাতীয় ও বয়সভিত্তিক বিভিন্ন টুর্নামেন্টে ২০১৫ থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত খেলেছেন রাজিয়া। ২০১৭ সালে থাইল্যান্ডে অনুষ্ঠিত এএফসি অনূর্ধ্ব-১৭ টুর্নামেন্টের চূড়ান্ত পর্বে খেলেন তিনি। ভুটানে ২০১৮ সালের অনূর্ধ্ব-১৮ সাফে চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ দলের একজন গুরুত্বপূর্ণ খেলোয়াড় হিসেবে অংশ নেন রাজিয়া। এছাড়া ২০১৯ সালে নেপালে অনুষ্ঠিত সাফে জাতীয় দলে সাবিনা খাতুনদের সঙ্গেও খেলেছেন তিনি।

নারী ফুটবল লিগে খেলেছেন নাসরিন স্পোর্টিং ও এএফসি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার জার্সিতে।

তার স্বামী ইয়াম রহমান জানান, অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে রাজিয়ার মৃত্যু হয়েছে।

তিনি বলেন, ‘আমি গাজীপুরে চাকরি করি। ইফতারির সময় বাসায় গিয়ে ফোন দিয়েছিলাম। কিন্তু ফোনটা ওর ছোট ভাই রিসিভ করে বলে ব্যস্ত আছি। কেউ আমাকে জানায়নি যে ওর পেইন (প্রসব ব্যথা) উঠেছে। আসলে ওর প্রচুর রক্তক্ষরণে হয়েছে। অথচ কেউ বিষয়টাতে গুরুত্ব দেয়নি।’

তিনি আরও বলেন, ‘ওরা আমাকে গত রাত ১১টার দিকে জানায়, ছেলে ও মা সুস্থ আছে। কিন্তু পরে ওর প্রচুর রক্ত ঝরেছে। অচেতন হয়ে ছিল অনেক সময়। ভোর বেলা হাসপাতালে নেয়ার পথে মারা গেছে। আমি সিজার করাতে বলেছিলাম, কিন্তু ওরা শোনেনি।’

ইয়াম নিজেও ফুটবলার ছিলেন। খেলেছেন বসুন্ধরা কিংস অনূর্ধ্ব-১৮, সাইফ স্পোর্টিং যুব দলে। তৃতীয় বিভাগেও খেলেছেন। ভালোবেসে ৩ বছর আগে বিয়ে করেছিলেন রাজিয়াকে।

মন্তব্য

বিশ্লেষণ
Bangladesh girls beat India as champions
সাফ অনূর্ধ্ব-১৬ নারী চ্যাম্পিয়নশিপ

ভারতকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশের মেয়েরা

ভারতকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশের মেয়েরা ফাইল ছবি
খেলার পঞ্চম মিনিটেই এগিয়ে যায়ং ভারত। দ্বিতীয়ার্ধে গিয়ে ম্যাচের ৭১ মিনিটে ফেরে সমতা। এরপর টাইব্রেকারে গোলকিপার ইয়ারজান বেগমের দক্ষতায় কাপ জয়ের স্বপ্ন পূরণ হয় বাংলাদেশের। 

সাফ অনূর্ধ্ব-১৬ নারী চ্যাম্পিয়নশিপে লিগ পর্বে টানা জয়ের পর শিরোপাও জিতেছে বাংলাদেশের মেয়েরা।

রোববার কাঠমান্ডুর অদূরে ললিতপুরে আনফা একাডেমিতে ফাইনালে ভারতের মুখোমুখি হয় বাংলাদেশ। ১-১ সমতার পর টাইব্রেকারে ভারতকে ৩-২ গোলে হারান প্রীতিরা।

খেলার পঞ্চম মিনিটেই এগিয়ে যায়ং ভারত। দ্বিতীয়ার্ধে গিয়ে ম্যাচের ৭১ মিনিটে ফেরে সমতা। এরপর টাইব্রেকারে গোলকিপার ইয়ারজান বেগমের দক্ষতায় কাপ জয়ের স্বপ্ন পূরণ হয় বাংলাদেশের।

এর আগে ৮ মার্চ লিগ পর্বের শেষ ম্যাচে ভুটানের বিপক্ষে দারুণ জয় পায় বাংলাদেশের মেয়েরা। নেপাল ও ভারতকে হারিয়ে আগেই ফাইনাল নিশ্চিত করা দল সেদিন ভুটানকে ৬-০ গোলে উড়িয়ে দেয়।

আরও পড়ুন:
ভুটানকে উড়িয়ে দিল বাংলাদেশের মেয়েরা
জয় দিয়ে সাফ শুরু বাংলাদেশের
এশিয়ান গ্রুপের ঘরেই গেল করপোরেট ফুটসাল কাপ

মন্তব্য

p
উপরে