× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য ইভেন্ট শিল্প উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ কী-কেন ১৫ আগস্ট আফগানিস্তান বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও ক্রিকেট প্রবাসী দক্ষিণ এশিয়া আমেরিকা ইউরোপ সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ শারীরিক স্বাস্থ্য মানসিক স্বাস্থ্য যৌনতা-প্রজনন অন্যান্য উদ্ভাবন আফ্রিকা ফুটবল ভাষান্তর অন্যান্য ব্লকচেইন অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

নির্বাচন
পঞ্চম দফাতেও প্রায় সবই আওয়ামী লীগ
google_news print-icon

পঞ্চম দফাতেও প্রায় সবই আওয়ামী লীগের

পঞ্চম-দফাতেও-প্রায়-সবই-আওয়ামী-লীগের
পঞ্চম দফার নির্বাচনে সকালে ভোট দিতে ভোটারতের দীর্ঘ লাইন।
প্রথম দফায় গত ২৮ ডিসেম্বর, দ্বিতীয় দফায় ১৬ জানুয়ারি, তৃতীয় দফায় ৩০ জানুয়ারি ও চতুর্থ দফায় ১৪ ফেব্রুয়ারি একই চিত্র দেখা যায়। বিএনপির প্রার্থীরা খুব কমসংখ্যক পৌরসভায় জিতেছেন। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ অবস্থানে তখনও ছিলেন স্বতন্ত্র প্রার্থীরা, যাদের সিংহভাগই আসলে আওয়ামী লীগ বা সহযোগী সংগঠনেরই নেতা।

পঞ্চম দফার পৌর নির্বাচনেও ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের প্রার্থীদেরই জয় হয়েছে। সর্বশেষ পাওয়া খবর পর্যন্ত ২৯ পৌরসভার মধ্যে একটিতে জয় পেয়েছে বিএনপি এবং একটিতে স্বতন্ত্র ও আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী। বাকি সবগুলোতেই জয় পেয়েছে আওয়ামী লীগ।

প্রথম দফায় গত ২৮ ডিসেম্বর, দ্বিতীয় দফায় ১৬ জানুয়ারি, তৃতীয় দফায় ৩০ জানুয়ারি ও চতুর্থ দফায় ১৪ ফেব্রুয়ারি একই চিত্র দেখা যায়। বিএনপির প্রার্থীরা খুব কমসংখ্যক পৌরসভায় জিতেছেন। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ অবস্থানে তখনও ছিলেন স্বতন্ত্র প্রার্থীরা, যাদের সিংহভাগই আসলে আওয়ামী লীগ বা সহযোগী সংগঠনেরই নেতা।

রোববার সকাল ৮টায় শুরু হওয়া ভোট শেষ হয় বিকেল ৪টায়। পঞ্চম ধাপে ২৯ পৌরসভায় ভোট হয়েছে ইভিএমে।

চার তিন দফার মতো এবারও সিংহভাগ পৌরসভায় ভোটারদের ব্যাপক উপস্থিতি লক্ষ করা গেছে। কোথাও কোথাও আবার অভিযোগ এসেছে কারচুপির, সংঘর্ষের ঘটনাও ঘটেছে।

রোববার নির্বাচনি সহিংসতায় নীলফামারির সৈয়দপুর পৌরসভার একজন নিহত হয়েছেন। পৌরসভার ৫ নম্বর ওয়ার্ডে দুই কাউন্সিলর প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষ একজন নিহত হয়েছেন। এই পৌরসভাতে দ্বিতীয় ধাপে নির্বাচনের কথা থাকলেও তা স্থগিত ছিল এবং রোববার ভোটগ্রহণ হয়েছে।

নীলফামারীর সৈয়দপুর, জামালপুর, ঝিনাইদহের মহেশপুর, রাজশাহীর চারঘাট ও জয়পুরহাটে ভোট বর্জনের ঘটনা ঘটেছে।

রাজশাহীর চারঘাট ও ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় কেন্দ্রের বাইরে হয়েছে ককটেল বিস্ফোরণ। ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া হয়েছে ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ ও নীলফামারীর সৈয়দপুরে। নীলফামারীতে নির্বাচনি সহিংসতায় একজন নিহত হয়েছেন।

ঢাকা

গাজীপুরের কালীগঞ্জে আওয়ামী লীগের এসএম রবীন হোসেন জিতেছেন ১৩ হাজার ৭৮৪ ভোট পেয়ে। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী লুৎফুর রহমান পেয়েছেন ১০ হাজার ২২৫ ভোট।

কিশোরগঞ্জের ভৈরবে জিতেছেন আওয়ামী লীগের ইফতেখার হোসেন বেনু। তিনি পেয়েছেন ৩৭ হাজার ৮৪৯ ভোট। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী মো. শাহীন পেয়েছেন ৯ হাজার ৬৮৯ ভোট।

মানিকগঞ্জের সিংগাইরে জিতেছেন আওয়ামী লীগের আবু নাঈম বাশার। পেয়েছেন ১৪ হাজার ৩২২ ভোট। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির খোরশেদ আলম ভূইয়া পেয়েছেন ১ হাজার ৭১৯ ভোট।

মাদারীপুরে আওয়ামী লীগের প্রার্থী খালিদ হোসেন ইয়াদ জিতেছেন। পেয়েছেন ২২ হাজার ৫৯ ভোট, নিকটতম বিএনপির জাহান্দার আলী জাহান পেয়েছেন ৫ হাজার ২৫৬ ভোট।

শিবচরে নির্বাচন হওয়ার কথা থাকলেও কোনো প্রতিদ্বন্দ্বী না থাকায় সেখানে আগেই মেয়র নির্বাচিত হয়েছেন আওলাদ হোসেন খান।

চট্টগ্রাম

চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়ায় আওয়ামী লীগের শাহজাহান শিকদার জয় পেয়েছেন। তিনি পেয়েছেন ১৪ হাজার ৪০৪ ভোট। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির হেলাল উদ্দিন শাহ পেয়েছেন ২৮৯ ভোট।

বারইয়ারহাটেও জয় পেয়েছেন আওয়ামী লীগের রেজাউল করিম খোকন। পেয়েছেন ৪ হাজার ৮৭৮ ভোট। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির দিদারুল আলম মিয়াজী পেয়েছেন ১৩১ ভোট।

মিরসরাইয়ে বিএনপির প্রার্থী নূর মোহাম্মদ ভোট বর্জন করায় বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায় আগেই জিতে গেছেন আওয়ামী লীগের গিয়াস উদ্দিন।

অন্যদিকে রাউজানেও কোনো প্রতিপক্ষ না থাকায় আগেই বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচতি হয়েছেন আওয়ামী লীগের জমির উদ্দিন পারভেজ।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌরসভায় জিতেছেন আওয়ামী লীগের নারী প্রার্থী নায়ার কবির। তিনি পেয়েছেন ২৮ হাজার ৫৫৪ ভোট। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র ও আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী মাহমুদুল হক ভূইয়া পেয়েছেন ১৮ হাজার ৩৬১ ভোট।

লক্ষ্মীপুরের রায়পুর পৌরসভায় আওয়ামী লীগের গিয়াস উদ্দিন ভাট জয় পেয়েছেন। তিনি পেয়েছেন আট হাজার ৪০২ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির এবিএম জিলানী পেয়েছেন এক হাজার ৪৪৩ ভোট।

চাঁদপুরের মতলবে জিতেছেন আওয়ামী লীগের আওলাদ হোসেন। পেয়েছেন ২০ হাজার ৬৯৪ ভোট। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির এনামুল হক বাদল পেয়েছেন ৯৭৯ ভোট।

শাহরাস্তিতে আওয়ামী লগের আব্দুল লতিফ ১২ হাজার ৮৬৪ ভোট পেয়ে জিতেছেন। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির মোস্তফা কামাল পেয়েছেন ৩ হাজার ৯৭৯ ভোট।

সিলেট

হবিগঞ্জ পৌরসভায় জিতেছেন আওয়ামী লীগের আতাউর রহমান সেলিম। তিনি পেয়েছেন ১৩ হাজার ৩২২ ভোট। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী মিজানুর রহমান মিজান পেয়েছেন ১০ হাজার ৯৯০ ভোট।

রাজশাহী

রাজশাহীর চারঘাটে আওয়ামী লীগের একরামুল হক ১৪ হাজার ৯৮১ ভোট পেয়ে জিতেছেন। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির জাকিরুল ইসলাম বিকুল পেয়েছেন ২ হাজার ৮১২ ভোট।

দুর্গাপুরে আওয়ামী লীগের তোফাজ্জল হোসেন জিতেছেন। তিনি ৮ হাজার ৮০৮ ভোট পেয়েছেন। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির জার্জিস হোসেন সোহেল পান ৬ হাজার ৪০১ ভোট।

চাঁপাইনবাবগঞ্জের নাচোলে জয় পেয়েছেন আওয়ামী লীগের আব্দুর রশিদ খান ঝালু। পেয়েছেন ৪ হাজার ৫১২ ভোট। নিকটতম স্বতন্ত্র ও আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী রেজাউল করিম বাবু পেয়েছেন ২ হাজার ৮৯২ ভোট।

জয়পুরহাটে আওয়ামী লীগের মোস্তাফিজুর রহমান মোস্তাক ২৪ হাজার ৪৯০ ভোট পেয়ে জিতেছেন। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির অধ্যক্ষ শামছুল হক পেয়েছেন ৪ হাজার ১৬১ ভোট।

বগুড়ায় জয় পেয়েছেন আওয়ামী লীগের রেজাউল করিম বাদশা। তিনি পেয়েছেন ৮২ হাজার ২১৭ ভোট। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী আব্দুল মান্নান আকন্দ পেয়েছেন ৫৬ হাজার ৯০ ভোট।

রংপুর

রংপুরের হারাগাছে জয় পেয়েছেন স্বতন্ত্র ও আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী এরশাদুল হক। পেয়েছেন ১৭ হাজার ২৬০ ভোট, নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগের হাকিবুর রহমান পেয়েছেন ৭ হাজার ১৬৩ ভোট।

খুলনা

যশোরের কেশবপুরে আওয়ামী লীগের রফিকুল ইসলাম আবারও জিতেছেন। তিনি পেয়েছেন ১১ হাজার ৮৮৮ ভোট। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির আব্দুস সামাদ বিশ্বাস পেয়েছেন ২ হাজার ৩১৩ ভোট।

ঝিনাইদহের কালীগঞ্জে জয় পেয়েছেন আওয়ামী লীগের আশরাফুল আলম আশরাফ। তিনি পেয়েছেন ১৯ হাজার ৩২৬ ভোট। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির মাহাবুবার রহমান ৩ হাজার ৭৪ ভোট পেয়েছেন।

মহেশপুরে জিতেছেন আওয়ামী লীগের আব্দুর রশিদ খান। তিনি পেয়েছেন ১৩ হাজার ৫৯৮ ভোট। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির আমিরুল ইসলাম খান চুন্নু পেয়েছেন ১ হাজার ৫৫ ভোট।

ময়মনসিংহ

জামালপুর পৌরসভায় মেয়র হয়েছেন আওয়ামী লীগের ছানোয়ার হোসেন ছানু। তিনি পেয়েছেন ৪৫ হাজার ৫৯৮ ভোট। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির শাহ মো. ওয়ারেছ আলী মামুন পেয়েছেন ২ হাজার ১৫৬ ভোট।

ইসলামপুরে তৃতীয়বারের মতো মেয়র হয়েছেন আওয়ামী লীগের আব্দুল কাদের শেখ। তিনি পেয়েছেন ১৪ হাজার ১৯১ ভোট। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির রেজাউল করিম ঢালী পেয়েছেন ৩ হাজার ৮৫১ ভোট।

মাদারগঞ্জে আওয়ামী লীগের মির্জা গোলাম কিবরিয়া কবির জিতেছেন ১১ হাজার ৯৬৬ ভোট পেয়ে। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির আব্দুর গফুর পেয়েছেন ১ হাজার ৪০৫ ভোট।

ময়মনসিংহের নান্দাইল পৌরসভার জিতেছেন আওয়ামী লীগের রফিক উদ্দিন ভুঁইয়া। পেয়েছেন ১০ হাজার ৫৭ ভোট। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির এ এফ এম আজিজুল ইসলাম পিকুল পেয়েছেন ৬ হাজার ৭৪৯ ভোট।

বরিশাল

ভোলা পৌরসভায় আওয়ামী লীগের মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান মনি জিতেছেন। তিনি পেয়েছেন ১৬ হাজার ৯৯ ভোট, নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির হারুন-অর-র‌শিদ ট্রুমেন পে‌য়ে‌ছেন ২ হাজার ৩৪ ভোট।

চরফ্যাশন পৌরসভায় জয় পেয়েছেন আওয়ামী লীগের মো. মোরশেদ। তিনি পেয়েছেন ১৪ হাজার ৯১৮ ভোট, নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির মোহাম্মদ হুমায়ুন কবির পেয়েছেন ৭৪৬ ভোট।

আরও পড়ুন:
হবিগঞ্জ পৌরসভায় নৌকার জয়
ভৈরবে মেয়র হলেন নৌকার ইফতেখার
নাচোলে জয়ী নৌকা, বিএনপি চতুর্থ
সিংগাইর পৌরসভায় নৌকার জয়
নান্দাইলেও আওয়ামী লীগের জয়

মন্তব্য

আরও পড়ুন

নির্বাচন
There are 2 4 BGB platoons per upazila in the polling field

ভোটের মাঠে উপজেলা প্রতি থাকছে ২-৪ প্লাটুন বিজিবি

ভোটের মাঠে উপজেলা প্রতি থাকছে ২-৪ প্লাটুন বিজিবি ফাইল ছবি
ইসি সচিব বলেন, ষষ্ঠ উপজেলা নির্বাচন উপলক্ষে নির্বাচন সংশ্লিষ্ট দপ্তর, মন্ত্রণালয় সচিব, সিনিয়র সচিব ও দপ্তর প্রধানদের সঙ্গে সমন্বয় সভায় বসেছিল কমিশন। সভার মূল বিষয় ছিল, যার যেটা করণীয় সেটা সবাই সুষ্ঠু নির্বাচনের স্বার্থে যেন যত্ন সহকারে করেন।

আসন্ন ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে অধিক সংখ্যক আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য মোতায়েন করা হবে। উপজেলা ভেদে দুই থেকে চার প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন করা হবে।

মঙ্গলবার সকালে নির্বাচন ভবনে আন্তঃমন্ত্রণালয় সভা শেষে সাংবাদিকদের এ কথা জানান নির্বাচন কমিশন (ইসি) সচিব মো. জাহাংগীর আলম।

ইসি সচিব বলেন, ষষ্ঠ উপজেলা নির্বাচন উপলক্ষে নির্বাচন সংশ্লিষ্ট দপ্তর, মন্ত্রণালয় সচিব, সিনিয়র সচিব ও দপ্তর প্রধানদের সঙ্গে সমন্বয় সভায় বসেছিল কমিশন। সভার মূল বিষয় ছিল, যার যেটা করণীয় সেটা সবাই সুষ্ঠু নির্বাচনের স্বার্থে যেন যত্ন সহকারে করেন।

তিনি আরও বলেন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারীর বাহিনী ও জনপ্রশাসনের সঙ্গে সম্পৃক্ত রয়েছেন তারা যাতে এই নির্বাচনটা দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের চেয়ে আরও সুন্দর ও স্বার্থকভাবে আয়োজন করেন, এই সব বিষয় নিয়ে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত দেয়া হয়েছে।

ইসি সচিব জাহাংগীর আলম বলেন, উল্লেখযোগ্য সিদ্ধান্তের মধ্যে আমরা মূলত যে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য মোতায়েন করে থাকি, এই নির্বাচনে তার চেয়ে অধিক পরিমাণে মোতায়েনের প্রচেষ্টা করা হবে। যেহেতু উপজেলা নির্বাচন চার ধাপে সম্পন্ন হবে, জেলা পর্যায়ে যে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য ও জনপ্রশাসনের সদস্য রয়েছে, তারা ওখানেই ধাপে ধাপে দায়িত্ব পালন করবে। তারা বলেছে, তাদের জনবলের ঘাটতি হবে না।

জাহাংগীর আলম বলেন, উপজেলাভিত্তিক বিজিবি মোতায়েন করা হবে। উপজেলা ভেদে দুই থেকে চার প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন থাকবে। জনবলের সংখ্যা উপজেলাভিত্তিক বাড়িয়ে দেয়া হবে।

বড় দল আসবে না, এর প্রভাব ভোটে থাকবে কি-না, এই প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমাদের যে গোয়েন্দা সংস্থা রয়েছে, তারা যে প্রতিবেদন দিয়েছে তাতে নির্বাচনে কোনো ধরনের সহিংসতা হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলে তারা উল্লেখ করেনি। দলীয় প্রতীক ছাড়া অনেক দল অংশ নিয়েছে তাই নির্বাচন প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ হবে। একই দলের একাধিক প্রার্থী রয়েছেন।

তিনি আরও বলেন, যেসব দল নির্বাচন বর্জন করেছে তাদেরও কিছু কিছু অনুসারীরা এই নির্বাচনে অংশ নিয়েছেন। তাই কমিশন আশা করে নির্বাচন প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ হবে। এজন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনী, ম্যাজিস্ট্রেট মোতায়েন থেকে শুরু করে সব কার্যক্রম নেয়া হবে যাতে নির্বাচনে ভোটাররা নির্বিঘ্নে ভোটকেন্দ্রে গিয়ে তার পছন্দের ব্যক্তিকে ভোট দিয়ে সুষ্ঠুভাবে বাড়ি যেতে পারেন, যাতে নির্বাচনে তাদের মতামত প্রতিফলিত হয়।

অন্য এক প্রশ্নে ইসি সচিব বলেন, আইনিভাবে যার ভোটে অংশ নেয়ার যোগ্যতা রয়েছে তিনি ভোটে অংশ নিতে পারেন। এখানে কোনো আইনি বাধা নেই। সুষ্ঠু নির্বাচনের স্বার্থে আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে দলীয় জনপ্রতিনিধি যারা আগে নির্বাচিত হয়েছেন, তাদের নিকট আত্মীয়দের নির্বাচনে অংশ নিতে নিষেধ করা হয়েছে। এটা তো আইন না, একটি দলীয় ও রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত।

তিনি বলেন, একটি রাজনৈতিক সিদ্ধান্তকে নির্বাচন কমিশনের সিদ্ধান্তের সঙ্গে একত্রিত করার কোনো সুযোগ নেই। আমরা চাই অধিক সংখ্যক প্রার্থী আসবে। জনপ্রশাসন সমন্বিতভাবে একটি সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজন করবে। যত প্রার্থী আসবে স্থানীয় নির্বাচন তত সুষ্ঠু হবে বলে মনে করি।

মন্তব্য

নির্বাচন
Thanchi Rowanchari and Ruma upazila polls suspended

থানচি, রোয়াংছড়ি ও রুমা উপজেলার ভোট স্থগিত

থানচি, রোয়াংছড়ি ও রুমা উপজেলার ভোট স্থগিত সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন নির্বাচন কমিশন সচিব মো. জাহাংগীর আলম। ছবি: নিউজবাংলা
মঙ্গলবার আন্তঃমন্ত্রণালয় সভা শেষে নির্বাচন কমিশন (ইসি) সচিব মো. জাহাংগীর আলম সাংবাদিকদের এই তথ্য জানান।

পাহাড়ে কুকি চিন ন্যাশনাল ফ্রন্ট-কেএনএফ বিরোধী যৌথ অভিযানের কারণে বান্দরবানের থানচি, রোয়াংছড়ি ও রুমা উপজেলা নির্বাচন স্থগিত করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।

মঙ্গলবার আন্তঃমন্ত্রণালয় সভা শেষে নির্বাচন কমিশন (ইসি) সচিব মো. জাহাংগীর আলম সাংবাদিকদের এই তথ্য জানান।

তিনি বলেন, আমাদের পার্বত্য তিনটি উপজেলাতে বিশেষ করে বান্দরবানের থানচি, রুমা এবং রোয়াংছড়িতে যৌথ বাহিনীর অপারেশন চলমান রয়েছে। আপাতত এই তিনটি উপজেলা নির্বাচন স্থগিত করা হয়েছে। পরে সুবিধাজনক সময়ে আয়োজনের চেষ্টা করব।

গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর সুপারিশের ভিত্তিতে এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। থানচি, রোয়াংছড়িতে আগামী ৮ মে ও রুমায় ২১ মে ভোট হওয়ার কথা ছিল।

গত ২ এপ্রিল রুমার সোনালি ব্যাংকে ডাকাতি, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অস্ত্র লুট করা হয়। এছাড়া ব্যাংক ম্যানেজারকে অপহরণ করা হলেও পরে ছাড়া পান তিনি। পর দিন রুমায় সোনালি ও কৃষি ব্যাংকে দিন দুপুরে ডাকাতির ঘটনা ঘটে।

এ সব ঘটনায় কেএনএফ জড়িত বলে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী জানিয়েছে। এরপর যৌথ বাহিনীর অভিযানে এখন পর্যন্ত ২১ নারীসহ ৭২ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। কেএনএফ-এর সদস্য অভিযানে নিহতও হয়েছেন।

নির্বাচন ভবনে আয়োজিত সভায় নির্বাচন কমিশন সদস্য, সংস্থাটির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও বিভিন্ন দপ্তর প্রধানরা উপস্থিত ছিলেন।

মন্তব্য

নির্বাচন
3 candidates in Munshiganj Sadar and 1 in Saghata were elected unopposed
উপজেলা নির্বাচন

মুন্সীগঞ্জ সদরে ৩ ও সাঘাটায় ১ প্রার্থী বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত

মুন্সীগঞ্জ সদরে ৩ ও সাঘাটায় ১ প্রার্থী বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত সামশীল আরেফিন টিটু, আনিস উজ্জামান, নাজমুল হাসান সোহেল ও হাসিনা গাজী। কোলাজ: নিউজবাংলা
ষষ্ঠ ধাপের এ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের প্রথম ধাপে আগামী ৮ মে ১৫০ উপজেলায় ভোট অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে।

উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী না থাকায় গাইবান্ধার সাঘাটায় ও মুন্সীগঞ্জ সদরে নির্বাচনের আগেই চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান ও নারী ভাইস চেয়ারম্যান পদে নির্বাচিত হয়েছেন চারজন।

গাইবান্ধার সাঘাটা উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ভোটের আগেই এমনকি প্রতীক বরাদ্দের আগেই চেয়ারম্যান নিশ্চিত হয়েছেন আইনজীবী এস এম সামশীল আরেফিন টিটু।

নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদের তিনজন প্রার্থীর মধ্যে অপর দুজন প্রার্থী নিজেদের প্রার্থীতা প্রত্যাহার করায় তিনি বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন।

বিষয়টি মঙ্গলবার সকালে নিশ্চিত করেছেন নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা ও গাইবান্ধার জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো. আব্দুল মোত্তালিব।

তিনি জানান, এর আগে সোমবার বিকেলে প্রার্থীতা প্রত্যাহারের শেষ দিন রিটানিং কর্মকর্তা ও জেলা নির্বাচন কর্মকতার কাছে লিখিতভাবে স্বেচ্ছায় নিজেদের প্রার্থীতা প্রত্যাহারপত্র দেন ওই দুই চেয়ারম্যান প্রার্থী। প্রার্থীতা প্রত্যাহার করা দুই প্রার্থী হলেন, হাসান মেহেদী বিদ্যুৎ এবং অপরজন সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান সামসুল আজাদ শীতল।

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা ও গাইবান্ধা জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা আব্দুল মোত্তালিব বলেন, ‘আজ প্রতীক বরাদ্দ শেষে দুপুরের পর তার বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় চেয়ারম্যান নির্বাচিত হওয়ার বিষয়টি ঘোষণা করা হবে।’

নির্বাচনে সাঘাটা উপজেলায় চেয়ারম্যান পদ ছাড়াও সংরক্ষিত নারী ভাইস চেয়ারম্যান পদে দুইজন প্রার্থী এবং সাধারণ ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৯ জনসহ ১১ জন প্রার্থীর চূড়ান্ত হয়েছে।

সাঘাটা উপজেলায় পুরুষ ভোটার এক লাখ ২০ হাজার ৬৫৩ জন এবং নারী এক লাখ ২১ হাজার ৫৮ জনসহ মোট ভোটার সংখ্যা দুই লাখ ৪১ হাজার ১২ জন। এ ছাড়া ১০৩ টি ভোট কেন্দ্র এবং বুথ রয়েছে ৬৬১টি। উপজেলায় অতি ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্রের সংখ্যা ৩৮। এ উপজেলায় ব্যালটে ভোটাররা তাদের পছন্দের প্রার্থীকে নির্বাচিত করবেন।

মুন্সীগঞ্জে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত তিনজন

প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী না থাকায় মুন্সীগঞ্জ সদর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে আনিস উজ্জামান, ভাইস চেয়ারম্যান পদে নাজমুল হাসান সোহেল এবং মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে হাসিনা গাজী বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন।

বিষয়টি সোমবার বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে নিশ্চিত করেছেন মুন্সীগঞ্জ জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা বশির আহমেদ।

তিনি বলেন, ‘চেয়ারম্যান পদে একক প্রার্থী ছিলেন আনিস উজ্জামান। এ ছাড়া ভাইস চেয়ারম্যান ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে দুই জন করে প্রার্থী থাকলেও ওই পদগুলোতে একজন করে প্রার্থী নিজেদের মনোনয়ন প্রত্যাহার করে নিয়েছেন।’

তিনি জানান, এতে চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান এবং নারী ভাইস চেয়ারম্যান পদে আর কোনো প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী না থাকায় বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় মুন্সীগঞ্জ সদর উপজেলা চেয়ারম্যান পদে আনিস উজ্জামান, ভাইস চেয়ারম্যান পদে নাজমুল হাসান সোহেল এবং মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে হাসিনা গাজী নির্বাচিত হয়েছেন।

এ কারণে মুন্সীগঞ্জ সদর উপজেলায় ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে না এবং যথাসময়ে তাদের গেজেট প্রকাশিত হবে বলে জানান তিনি।

ষষ্ঠ ধাপের এ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের প্রথম ধাপে আগামী ৮ মে ১৫০ উপজেলায় ভোট অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে।

আরও পড়ুন:
উপজেলা নির্বাচনে এমপি-মন্ত্রীরা প্রভাব খাটালে তাদেরই মান ক্ষুণ্ণ হবে: ইসি হাবিব
উপজেলা নির্বাচনে চকরিয়ায় আ.লীগের ডজনখানেক প্রার্থী
উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থীদের জামানত বাড়ছে ১০ গুণ
সংসদ নির্বাচনের চেয়ে উপজেলা নির্বাচন ভালো হবে: ইসি আলমগীর
চার ধাপে উপজেলা নির্বাচন, প্রথম ধাপের ভোট ৪ মে

মন্তব্য

নির্বাচন
Potential candidates for the second phase of upazila elections 2055

উপজেলা নির্বাচনের দ্বিতীয় ধাপে সম্ভাব্য প্রার্থী ২০৫৫

উপজেলা নির্বাচনের দ্বিতীয় ধাপে সম্ভাব্য প্রার্থী ২০৫৫ ফাইল ছবি
দ্বিতীয় ধাপের তফসিল অনুযায়ী, মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ সময় রোববার ছিল। মনোনয়নপত্র বাছাই ২৩ এপ্রিল, আপিল গ্রহণ ২৪ থেকে ২৬ এপ্রিল, আপিল নিষ্পত্তি ২৭ থেকে ২৯ এপ্রিল। প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ সময় ৩০ এপ্রিল। প্রতীক বরাদ্দ প্রতীক বরাদ্দ ২ মে। আর ১৬১ উপজেলায় ভোটগ্রহণ হবে ২১ মে।

উপজেলা নির্বাচনের দ্বিতীয় ধাপে দুই হাজার ৫৫ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন।

রোববার মনোনয়নপত্র দাখিলের এ তথ্য জানান নির্বাচন কমিশনের অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথ।

তিনি বলেন, চেয়ারম্যান পদে ৭৩০ জন, ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৭৬৩ জন ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৫৬২ জন মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন।

দ্বিতীয় ধাপের তফসিল অনুযায়ী, মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ সময় রোববার ছিল। মনোনয়নপত্র বাছাই ২৩ এপ্রিল, আপিল গ্রহণ ২৪ থেকে ২৬ এপ্রিল, আপিল নিষ্পত্তি ২৭ থেকে ২৯ এপ্রিল। প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ সময় ৩০ এপ্রিল। প্রতীক বরাদ্দ প্রতীক বরাদ্দ ২ মে। আর ১৬১ উপজেলায় ভোটগ্রহণ হবে ২১ মে।

এ ধাপের নির্বাচনে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসকদের রিটার্নিং কর্মকর্তা ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয়েছে। ভোটারের সংখ্যা ৫ লাখের বেশি যেখানে সেখানে একাধিক সহকারী রিটার্নিং অফিসার নিয়োজিত থাকবেন।

এই ধাপের নির্বাচনে রিটার্নিং কর্মকর্তা হিসেবে জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা হিসেবে উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তাদের নিয়োগ করা হয়েছে। আপিল কর্তৃপক্ষ জেলা প্রশাসক।

তৃতীয় ধাপের তফসিল অনুযায়ী, মনোনয়ন ফরম জমার শেষ তারিখ ২ মে, মনোনয়ন যাচাই-বাছাই ৫ মে। রিটার্নিং কর্মকর্তার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আপিল ৬ থেকে ৮মে। আপিল নিস্পত্তি ৯ থেকে ১১ মে। প্রার্থীতা প্রত্যাহারের শেষ দিন ১২ মে। প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের মাঝে প্রতীক বরাদ্দ ১৩ মে এবং ভোট ২৯ মে। এ ধাপে ৪৭ জেলার ১১২ উপজেলায় ভোট হবে।

এ ধাপে রিটার্নিং কর্মকর্তা হিসেবে অতিরিক্ত জেলা ও অতিরিক্ত আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা এবং অতিরিক্ত জেলা প্রশাসকদের নিয়োগ দেয়া হয়েছে।রিটার্নিং কর্মকর্তাদের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আপিল আবেদন আপিল কর্তৃপক্ষ হিসেবে নিষ্পত্তি করবেন জেলা প্রশাসক।

এদিকে প্রথম ধাপের তফসিল অনুযায়ী আপিল নিষ্পত্তি রোববার শেষ হয়েছে। মনোনয়নপত্র বাছাই শেষে বৈধ প্রার্থী এক হাজার ৭৮৬ জন। এ সংখ্যা আরও বাড়তে পারে। প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ সময় ২২ এপ্রিল। প্রতীক বরাদ্দ ২৩ এপ্রিল, আর ১৫০ উপজেলায় ভোটগ্রহণ হবে ৮ মে।

আগামী ৫ জুন চতুর্থ ধাপের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে পারে।

মন্তব্য

নির্বাচন
Upazila Election The EC must inform who will give candidates for the third phase

উপজেলা নির্বাচন: তৃতীয় ধাপের প্রার্থী দেবে কে, জানাতে হবে ইসিকে

উপজেলা নির্বাচন: তৃতীয় ধাপের প্রার্থী দেবে কে, জানাতে হবে ইসিকে প্রতীকী ছবি
তৃতীয় ধাপের তফসিল অনুযায়ী, মনোনয়ন ফরম জমার শেষ তারিখ ২ মে, মনোনয়ন যাচাই-বাছাই ৫ মে। রিটার্নিং কর্মকর্তার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আপিল ৬ থেকে ৮ মে।

আসন্ন তৃতীয় ধাপের উপজেলা নির্বাচনে প্রার্থী মনোনয়ন কে দেবে তা দলগুলোকে জানাতে বলেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।

সংস্থাটির জনসংযোগ পরিচালক মো. শরিফুল আলম রোববার এ তথ্য জানিয়েছেন।

তিনি জানান, আগামী ২৯ মে বিভিন্ন উপজেলা পরিষদ সাধারণ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। উপজেলা পরিষদ নির্বাচন বিধিমালা, ২০১৩ এর বিধি ১৫ এর উপবিধি (৩)(গ)(ইইই) অনুযায়ী চেয়ারম্যানভাইস চেয়ারম্যানমহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে অংশগ্রহণের জন্য নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলের সভাপতি বা সাধারণ সম্পাদক বা সমপর্যায়ের পদাধিকারী বা তাহাদের নিকট হতে ক্ষমতাপ্রাপ্ত ব্যক্তির স্বাক্ষরসহ তালিকা বর্ণিত বিধি অনুযায়ী তফসিল ঘোষণার সাত দিনের মধ্যে সংশ্লিষ্ট রিটার্নিং অফিসারগণকে প্রেরণের জন্য এবং একই সঙ্গে নির্বাচন কমিশনে পাঠাতে হবে।

তৃতীয় ধাপের তফসিল অনুযায়ী, মনোনয়ন ফরম জমার শেষ তারিখ ২ মে, মনোনয়ন যাচাই-বাছাই ৫ মে। রিটার্নিং কর্মকর্তার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আপিল ৬ থেকে ৮ মে।

আপিল নিষ্পত্তি ৯ থেকে ১১ মে। প্রার্থীতা প্রত্যাহারের শেষ দিন ১২ মে।

প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের মাঝে প্রতীক বরাদ্দ ১৩ মে এবং ভোট ২৯ মে। এই ধাপে ৪৭ জেলার ১১২ উপজেলায় ভোট হবে।

আরও পড়ুন:
বিজেপির হ্যাটট্রিকের সম্ভাবনার মধ্যে ভারতের লোকসভা নির্বাচনে ভোট শুরু
উপজেলায় মন্ত্রী-এমপির স্বজনদের প্রার্থিতা চায় না আওয়ামী লীগ
প্রথম ধাপের উপজেলা নির্বাচনে বৈধ প্রার্থী ১৭৮৬ জন
লোকসভা নির্বাচনে ভোটগ্রহণ শুরু শুক্রবার
‘ভোটার কীভাবে হলাম নিজেও বলতে পারি না’

মন্তব্য

নির্বাচন
Singra Upazila Election Awami League orders Rubel to withdraw nomination papers

সিংড়া উপজেলা নির্বাচন: আওয়ামী লীগের রুবেলকে মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের নির্দেশ

সিংড়া উপজেলা নির্বাচন: আওয়ামী লীগের রুবেলকে মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের নির্দেশ লুৎফুল হাবিব রুবেল। ছবি: সংগৃহীত
গত ১৫ এপ্রিল সিংড়া উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে মনোনয়নপত্র দাখিল করায় দেলোয়ার হোসেন পাশা এবং তার দুই সহযোগীকে অপহরণ এবং মারপিট করে বাড়িতে ফেলে রেখে যায় দুর্বৃত্তরা। এ ঘটনায় দেলোয়ার হোসেন পাশার ভাই মজিবুর রহমান বাদী হয়ে সদর থানায় একটি মামলা করেন।

নাটোরের সিংড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের বর্ধিত সভা থেকে উপজেলা চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী দলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক লুৎফুল হাবিব রুবেলকে মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের নির্দেশ দেয়া হয়েছে।

দলের এক জরুরি সভা থেকে শনিবার বিকেলে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আইনজীবী ওহিদুর রহমান শেখ এ নির্দেশ দেন।

তিনি জানান, এর আগে প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলকের নির্দেশে সংগঠনবিরোধী কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগ এনে ‘কেন তাকে সংগঠন থেকে বহিষ্কার করা হবে না’ মর্মে ২২ এপ্রিলের মধ্যে কারণ দর্শানোর নোটিশ প্রদান করা হয়। এ ছাড়াও সভায় স্বেচ্ছাসেবকলীগ, শ্রমিক লীগ এবং ছাত্রলীগের যে সব নেতা-কর্মী লুৎফুল হাবিব রুবেলের পক্ষে ১৫ এপ্রিল প্রতিদ্বন্দ্বী উপজেলা চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী দেলোয়ার হোসেন পাশাকে মারধর এবং অপহরণের সঙ্গে জড়িত ছিলেন, তাদের সংগঠন থেকে বহিষ্কারের পরামর্শ দিয়ে সংশ্লিষ্টদের অনুরোধ জানিয়ে চিঠি প্রদান করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।

উপজেলা চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী লুৎফুল হাবিব রুবেল জানান, তাকে দলের সভাপতি আইনজীবী ওহিদুর রহমান শেখ ফোনে জরুরি সভার সিদ্ধান্ত জানিয়েছেন। উপজেলা আওয়ামী লীগের সিদ্ধান্ত নিয়ে তিনি তার শুভাকাঙ্ক্ষীদের সঙ্গে আলোচনা করে পরবর্তী সিদ্ধান্ত জানিয়ে দেবেন।

গত ১৫ এপ্রিল সিংড়া উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে মনোনয়নপত্র দাখিল করায় দেলোয়ার হোসেন পাশা এবং তার দুই সহযোগীকে অপহরণ এবং মারপিট করে বাড়িতে ফেলে রেখে যায় দুর্বৃত্তরা। এই ঘটনায় দেলোয়ার হোসেন পাশার ভাই মজিবুর রহমান বাদী হয়ে সদর থানায় একটি মামলা করেন।

বাদী জানান, সিসিটিভির ফুটেজ পর্যালোচনা করে দেখা যায়, লুৎফুল হাবিব রুবেলের সহযোগীরা এ কর্মকাণ্ড ঘটিয়েছেন এবং অপহরণের কাজে ব্যবহৃত মাইক্রোবাসটির মালিকানাও লুৎফুল হাবিব রুবেলের।

সেই সঙ্গে গ্রেপ্তারকৃত দুজন আসামির একজন ১৬৪ ধারার জবানবন্দিতে স্বীকার করেছেন, লুৎফুল হাবিব রুবেলের নির্দেশেই তারা এ কর্মকাণ্ড ঘটিয়েছেন।

আরও পড়ুন:
ড. ইউনূসসহ ১৪ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট আদালতে গ্রহণ
গ্রাম পুলিশ সদস্যকে ধর্ষণের অভিযোগে ইউপি চেয়ারম্যানের নামে মামলা
নারায়ণগঞ্জে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ মামলার আসামি গ্রেপ্তার পটুয়াখালীতে
মারধরের মামলায় চসিক কাউন্সিলর টিনু কারাগারে
নাটোরে ধর্ষণ মামলায় দুজনের যাবজ্জীবন

মন্তব্য

নির্বাচন
Local government elections have no political flavor EC Alamgir

স্থানীয় সরকার নির্বাচনে রাজনৈতিক ফ্লেভার নেই: ইসি আলমগীর

স্থানীয় সরকার নির্বাচনে রাজনৈতিক ফ্লেভার নেই: ইসি আলমগীর শনিবার দুপুরে মানিকগঞ্জ জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের হলরুমে হরিরামপুর ও সিংগাইর উপজেলার প্রার্থীদের সঙ্গে মতবিনিময় সভা করেন নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীর। ছবি: নিউজবাংলা
নির্বাচনে অংশগ্রহণের বিষয়ে মো. আলমগীর বলেন, ‘নির্বাচনে কার কোন আত্মীয় অংশ নিল বা কে অংশ নিল না- সেটা আমাদের বিষয় নয়; সেটা রাজনৈতিক দলের রাজনৈতিক বিষয়।’

নির্বাচন কমিশনার (ইসি) মো. আলমগীর বলেছেন, স্থানীয় সরকার নির্বাচন কোনো রাজনৈতিক নির্বাচন নয়। কারণ বর্তমান সরকার দলীয় রাজনৈতিক দল স্থানীয় সরাকর নির্বাচনকে উন্মুক্ত করে দিয়েছে। কাজেই স্থানীয় সরকার নির্বাচনে রাজনৈতিক কোনো ফ্লেভার নেই।

তিনি বলেছেন, তারপরও যাতে রাজনৈতিক দলের পক্ষ থেকে যে কেউ নির্বাচনে দাঁড়াতে পারেন, সেটার অপশনও রাখা হয়েছে, অর্থাৎ ভোট ফ্লেক্সিবল করা হয়েছে। ইচ্ছে করলে স্বাধীনভাবে নির্বাচনে দাঁড়াতে পারবেন; রাজনৈতিক পরিচয়ের প্রয়োজন নেই। আবার চাইলে অনেকে রাজনৈতিক পরিচয়েও নির্বাচন করতে পারবেন, তাতেও কোনো সমস্যা নেই।

শনিবার দুপুরে মানিকগঞ্জ জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের হলরুমে হরিরামপুর ও সিংগাইর উপজেলার প্রার্থীদের সঙ্গে মতবিনিময় সভা শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে তিনি এসব কথা বলেন।

বিএনপির উদ্দেশে এ নির্বাচন কমিশনার বলেন, ‘রাজনৈতিকভাবে নির্বাচনে অংশগ্রহণ না করলেও তাদের অনেক সমর্থক-প্রার্থী আনঅফিশিয়ালি নির্বাচনে অংশগ্রহণ করছে। সুতরাং এটা বলার সুযোগ নেই যে, নির্বাচন অংশগ্রহণ মুলক নির্বাচন হচ্ছে না।’

ইসি আলমগীর বলেন, ‘নির্বাচন অবশ্যই শান্তিপূর্ণ হতে হবে এবং কোনোমতেই যাতে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি অবনতি না হয়। অন্যায়ভাবে কেউ যাতে কোনো প্রার্থীকে প্রচারে ও ভোটদানে বাধা দিতে না পারে। সবাই যাতে সমানভাবে নির্বাচনে প্রচার-প্রচারণা করতে পারে এবং ভোটরা যাতে স্বাধীনভাবে তার ভোট দিতে পারে। একইসঙ্গে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি যেন নিয়ন্ত্রণে থাকে।’

নির্বাচনে অংশগ্রহণের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘নির্বাচনে কার কোন আত্মীয় অংশ নিল বা কে অংশ নিল না- সেটা আমাদের বিষয় নয়; সেটা রাজনৈতিক দলের রাজনৈতিক বিষয়, কিন্তু আমাদের নির্বাচনি আইনে যদি কোনো ব্যক্তি ওই এলাকার ভোটার হয় এবং তার বিরুদ্ধে যদি কোনো আইনি ঝামেলা না থাকে, তাহলে তিনি নির্বাচনে দাঁড়াতে পারবেন। আমাদের আইনে আত্মীয়তার সঙ্গে কোনো সর্ম্পক নেই।’

এ সময় জেলা প্রশাসক রেহেনা আক্তার, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মো. তরিকুল ইসলাম, পুলিশ সুপার সুজন সরকার ও জেলা নির্বাচন অফিসার আমিনুর রহমান মিঞাসহ অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন।

আরও পড়ুন:
প্রথম ধাপের উপজেলা নির্বাচনে বৈধ প্রার্থী ১৭৮৬ জন
নাটোরে উপজেলা নির্বাচনের প্রার্থী ও ভাইকে অপহরণ
উপজেলা নির্বাচনে কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণ ২০ এপ্রিলের পর
পরবর্তী কমিশনের জন্য সুপারিশ রেখে যাবে ইসি
প্রার্থী যত প্রভাবশালীই হোক, শতভাগ আইন-কানুন মানতে হবে

মন্তব্য

p
উপরে