সময়ের হিসেবে প্রায় এক বছর আট মাস। ম্যাচের হিসাবে সাতটি লড়াই। এত দীর্ঘ সময় রিয়াদ ডার্বিতে জয়ের স্বাদ পাচ্ছিল না আল-নাসর। সৌদি আরবের ফুটবলের আকর্ষণীয় লড়াইয়ে অবশেষে আল-হিলালকে হারাতে পারল তারা। সেই খরা কাটল দলের সবচেয়ে বড় তারকার সৌজন্যেই। জোড়া গোল করে জয়ের নায়ক ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো।
গতকাল সৌদি প্রো লিগের ম্যাচে আল-হিলালের মাঠে ৩-১ গোলের দারুণ এক জয় পেয়েছে আল-নাসর। আলি আল হাসান দল এগিয়ে নেওয়ার পরে জোড়া গোল করেন ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো।
এই জয়ের পরও অবশ্য পয়েন্ট তালিকার তিন নম্বরেই আছে আল-নাসর। ২৬ ম্যাচে ৫৪ পয়েন্ট তাদের। তাদের চেয়ে তিন পয়েন্ট বেশি নিয়ে দুইয়ে আল-হিলাল। আর ৫১ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে কারিম বেনজেমার আল-ইত্তিহাদ।
দুই দলের আগের সাতটি লড়াইয়ে আল-হিলালের জয় ছিল চারটি, ড্র হয়েছিল তিনটি ম্যাচ। অবশেষে প্রথম ডার্বি জয়ের দেখা পেল আল নাসর।
প্রথমার্ধে আক্রমণ ও পাল্টা আক্রমণে ম্যাচ জমে উঠলেও গোল হচ্ছিল না। ৪৫ মিনিট শেষে যোগ করা সময়ের চতুর্থ মিনিটে এগিয়ে যায় আল-নাসর। মিডফিল্ডার আলি আল হাসানের অসাধারণ কার্ল করা শট গোলরক্ষক ইয়াসিন বুনোর হাত ফাঁকি দিয়ে জালে জড়িয়ে যায়।
তবে বিরতি থেকে ফিরেই আবারও জাল খুঁজে নেয় আল নাসর। ম্যাচের ৪৭তম ব্যবধান ২-০ করেন সিআরসেভেন। বক্সের ভেতর সাদিও মানের পাস থেকে চকিতে বাঁ পায়ের শটে দারুণ ফিনিশিংয়ে জালের দেখা পান তিনি।
প্রতি আক্রমণে এরপর ম্যাচে ফেরার চেষ্টা করে আল-হিলাল। ৬২তম মিনিটে একটি গোল ফিরিয়ে দেয় তারা। কিন্তু ৮৮তম মিনিটে পেনাল্টি থেকে গোল করে আল-নাসরের জয় নিশ্চিত করেন রোনালদো।
এই দুই গোলে সৌদি প্রো লিগে পর্তুগিজ মহাতারকার গোল হলো ৭০টি। হাজার গোলের লক্ষণ পূরণের দিকেও তিনি এগিয়ে গেলেন দুই ধাপ। তার ক্যারিয়ার গোল সংখ্যা এখন ৯৩১টি।
ম্যাচ শেষে অবশ্য ৪০ বছর বয়সি তারকা বলছেন, তার কাছে দলের জয়ই সবকিছুর ওপরে। রোনালদো বলেন, ‘এই জয়ের পেছনে বড় ভূমিকা ছিল দলীয় প্রচেষ্টার। আমার গোল করা অবশ্যই গুরুত্বপূর্ণ ছিল, তবে আরও বেশি গুরুত্বপূর্ণ দলের জয়।’
ব্যক্তিগত রেকর্ড নিয়ে ভাবেন না বলেও জানিয়েছেন রোনালদো। সিআরসেভেন বলেন, ‘সৌদি প্রো লিগে ও (এএফসি) চ্যাম্পিয়ন্স লিগে দলকে সহায়তা করতে কঠোর পরিশ্রম করে যাচ্ছি আমি, ব্যক্তিগত রেকর্ড নিয়ে ভাবি না।’