নারী সাফ চ্যাম্পিয়নশিপে ভুটানের বিরুদ্ধে সেমিফাইনালে বাংলাদেশ জিতেছে ৭-১ গোলে। এই গোল-উৎসবে দলের হয়ে হ্যাটট্রিক করেছেন তহুরা খাতুন। আর অধিনায়ক সাবিনা প্রতিপক্ষের জালে বল জড়িয়েছেন দু’বার। এছাড়া ঋতুপর্ণা চাকমা ও মাশুরা পারভিন করেছেন একটি করে গোল।
ফাইনালে নেপাল ও ভারতের ম্যাচের জয়ী দলের মুখোমুখি হবে ২০২২ সালের অপরাজিত চ্যাম্পিয়নরা।
নেপালের কাঠমাণ্ডুর দশরথ স্টেডিয়ামে রোববার মাঠে নেমে বাংলাদেশের মেয়েদের বেশি সময় লাগেনি গোলের দেখা পেতে। সেই যে শুরু, এরপর প্রতিপক্ষের জালে গোল-উৎসব করে গেলেন সাবিনা-তহুরারা।
দক্ষিণ এশিয়ায় নারী ফুটবলের সর্বোচ্চ প্রতিযোগিতায় টানা দ্বিতীয়বার ফাইনালে উঠলো বাংলাদেশ। গত আসরে নেপালকে হারিয়ে প্রথমবারের মতো শিরোপা জিতেছিলেন সাবিনা-সানজিদারা। এবারও তারা দুর্বার গতিতে এগিয়ে যাচ্ছেন শিরোপার পথে।
নেপালের বিপক্ষে ড্র করে আসর শুরু করে ভুটান। পরের ম্যাচে তারা শ্রীলঙ্কাকে হারায় ৪-১ ব্যবধানে। এরপর মালদ্বীপের বিপক্ষে ভুটানের মেয়েরা রীতিমতো গোলবন্যা বইয়ে দেয়, জেতে ১৩-০ গোলের বিশাল ব্যবধানে।
তবে রোববার সেমিফাইনালে বাংলাদেশের বিপক্ষে পাত্তাই পায়নি ভুটান। পুরো ম্যাচে দাপট দেখিয়ে ফাইনালে উঠে গেছে বর্তমান চ্যাম্পিয়নরা। আগের আসরে অপরাজিত চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পথে সেমিফাইনালে ভুটানকে ৮-০ গোলে হারিয়েছিল বাংলাদেশ।
এবারের আসরে শুরুটা ভালো ছিল না বাংলাদেশের। পাকিস্তানের বিপক্ষে ১-১ গোলে ড্র করে পিটার বাটলারের দল। কিন্তু পরের ম্যাচেই ঘুরে দাঁড়ায়, ভারতকে হারায় ৩-২ গোলে। এরপর ৭-১ ব্যবধানে ভুটানকে নাস্তানাবুদ করে ফাইনালে। আগের ম্যাচে জোড়া গোল করা তহুরা এই ম্যাচেরও সেরা খেলোয়াড় হয়েছেন।
বাংলাদেশ কোচ একাদশে আজ একটি পরিবর্তন আনেন। আক্রমণভাগে শামসুন্নাহার জুনিয়রের জায়গায় সাগরিকা মাঠে নামেন। জাতীয় দলের হয়ে অভিষেকেই ভুটানের বিপক্ষে হ্যাটট্রিক করেছিলেন এই ফরোয়ার্ড। জ্বরের কারণে আগের দিনের অনুশীলনে না থাকলেও আজ শুরু থেকেই খেলেন সাবিনা।
সপ্তম মিনিটে গোছানো আক্রমণে ভুটানের প্রতিরোধ ভেঙে দেয় বাংলাদেশ। তহুরার পাস ধরে বক্সের ঠিক উপরে থেকে বাম পায়ের জোরালো শটে ঋতুপর্ণা বল জালে পাঠান। চলতি আসরে এটা তার প্রথম গোল। ১৫তম মিনিটে নিখুঁত শটে গোল আদায় করে নেন তহুরা। ২৬তম মিনিটে মনিকার আড়াআড়ি ক্রস থেকে বল পেয়ে নিখুঁত টোকায় ব্যবধান বাড়ান সাবিনা।
৩৭তম মিনিটে বাম দিক থেকে গোলরক্ষককে কাটিয়ে নিচু শটে বল জালে জড়ান সাবিনা, ব্যবধান দাঁড়ায় ৪-০। ৪১তম মিনিটে গোল করে ব্যবধান কমান ভুটানের ডেকি লাহজম। দ্বিতীয়ার্ধে ভুটান কিছুটা চাপ বাড়ালেও গোলের দেখা পায়নি। ৫৮তম মিনিটে হ্যাটট্রিক পূর্ণ করেন তহুরা। ৭২তম মিনিটে শিউলি আজিমের পা থেকে আসে আরেক গোল। ভুটানকে ৭-১ ব্যবধানে গোলবন্যায় ভাসিয়ে মাঠ ছাড়ে বাংলাদেশ দল।