দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে প্রথম জয়ের স্বাদ পেতে শেষ ওভারে প্রয়োজন ছিল ১১ রান। এক পর্যায়ে তা দাঁড়ালো দুই বলে ৬ রানে। এমন সময় ফুল টস দিলেন কেশব মহারাজ, সজোরে ব্যাট চালালেন মাহমুদউল্লাহ। তবে পারলালেন না; বলটি সীমানাছাড়া করতে ব্যর্থ হয়ে ধরা পড়লেন তিনি। আর এ সঙ্গে জয়ের সম্ভাবনা কার্যত শেষ হয়ে গেল।
দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে জয়ের খুব কাছে গিয়েও মাত্র ৪ রানে হেরে হৃদয় ভাঙল টাইগারদের। এর ফলে টানা তিন জয়ে গ্রুপের শীর্ষে থেকে বিশ্বকাপের প্রথম দল হিসেবে শেষ আট নিশ্চিত করল প্রোটিয়ারা। আর বাংলাদেশের ভাগ্য ঝুলে রইল সামনের দুই ম্যাচের জন্য।
১১৪ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে সাত উইকেটে ১০৯ রান করেছে বাংলাদেশ। দলের হয়ে তৌহিদ হৃদয় সর্বোচ্চ ৩৭ ও মাহমুদউল্লাহ ২০ রান করেন। দক্ষিণ আফ্রিকার হয়ে কেশব মহারাজ নেন সর্বোচ্চ তিনটি উইকেট। এছাড়া নর্টকিয়া ও রাবাদা উইকেট নিয়েছেন দুটি করে।
৪৬ রান করে দলের সংগ্রহের ভিত গড়ে দেয়ায় হাইনরিখ ক্লাসেনকে দেয়া হয়েছে ম্যাচসেরার পুরস্কার।
উল্লেখ্য, টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে প্রোটিয়াদের বিপক্ষে এখনও জয় পায়নি বাংলাদেশ। এই ম্যাচের আগে আটবারের দেখায় প্রতিবারই টাইগারদের হতাশ করেছে দক্ষিণ আফ্রিকা।
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে এখন পর্যন্ত চারবার দেখা হয়েছে দুই দলের। ২০০৭ সালের প্রথম আসরে ৭ স্বাগতিক দক্ষিণ আফ্রিকার কাছে উইকেটে হারে বাংলাদেশ। ২০২১ সালে সংযুক্ত আরব আমিরাতে অনুষ্ঠিত আসরে ৬ উইকেটে, ২০২২ সালে অস্ট্রেলিয়ায় অনুষ্ঠিত আসরে ১০৪ রানে এবং ২০২৪ সালের ১০ জুনের এই ম্যাচে মাত্র চার রানে হেরে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে প্রথম জয়ের স্বাদবঞ্চিত হলো নাজমুল হোসেন শান্তর বাংলাদেশ।
বিশ্বকাপের এই চার ম্যাচের বাইরে দুই দলের আরও পাঁচবার দেখা হয়েছে। ২০০৮ সালে জোহানেসবার্গে ১২ রানে, ২০১৫ সালে মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে ১৫ রানে ও ৩১ রানে, ২০১৭ সালে ব্লোয়েমফন্টেইনে ২০ রানে ও পচেফস্ট্রুমে ৮৩ রানে হারে বাংলাদেশ।
এই ম্যাচ হেরে শেষ আটে উঠতে তাই আগামী ১৩ ও ১৬ জুন যথাক্রমে নেদারল্যান্ডস ও নেপালের বিপক্ষে জয়ের বিকল্প নেই বাংলাদেশের সামনে।