বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

চতুর্থ টি-টোয়েন্টিতেও জিম্বাবুয়েকে হারাল বাংলাদেশ

  • নিউজবাংলা ডেস্ক   
  • ১০ মে, ২০২৪ ২১:৪৫

টস হেরে নির্ধারিত ২০ ওভারে সবকটি উইকেট হারিয়ে ১৪৩ রান তোলে টাইগাররা। জবাবে খেলতে নেমে দুই বল বাকি থাকতেই ১৩৮ রানে অলআউট হয় জিম্বাবুয়ে।

প্রথম তিন ম্যাচ হারের পর চতুর্থ টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশকে স্বল্প রানে আটকাতে সমর্থ হয় জিম্বাবুয়ে। তবে ১৪৪ রানের সেই লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ৪ রানে হেরেছে তারা। এ জয়ের ফলে পাঁচ ম্যাচ সিরিজটি ৪-০’তে এগিয়ে গেল বাংলাদেশ।

শুক্রবার মিরপুরে টস হেরে নির্ধারিত ২০ ওভারে সবকটি উইকেট হারিয়ে ১৪৩ রান তোলে টাইগাররা। জবাবে খেলতে নেমে দুই বল বাকি থাকতেই ১৩৮ রানে অলআউট হয় জিম্বাবুয়ে।

বাংলাদেশের হয়ে সাকিব চারটি, মোস্তাফিজ তিনটি ও তাসকিন দুটি উইকেট নেন। অন্য উইকেটটি পান রিশাদ হোসেন।

স্বল্প পুঁজির পর যেমন শুরুর প্রয়োজন ছিল তাসকিন তা এনে দেন বাংলাদেশকে। প্রথম ওভারে রানের খাতা খোলার আগেই ব্রায়ান বেনেটকে বিদায় করেন দুর্দান্ত ফর্মে থাকা এ পেসার।

এরপর চতুর্থ ওভারে ফের দেখা যায় তাসকিনের উল্লাস। এবার তার শিকার জিম্বাবুয়ে অধিনায়ক রাজা। ৩.৫ ওভারে তাসকিনের শর্ট অব লেংথ ডেলিভারিটি পিচ করে ভেতরে ঢুকতে গেলে জায়গায় দাঁড়িয়ে অন সাইডে খেলার চেষ্টা করেন। তবে তাকে বোকা বানিয়ে স্ট্যাম্প গুঁড়িয়ে দেয় বল। ১০ বলে ১৭ রান করে রাজা ফিরে গেলে দলীয় ২৮ রানে ২ উইকেট হারায় সফরকারীরা।

পরের ওভারে মারুমানিকে ফেরান সাকিব। ৩২ রানে ৩ উইকেট হারানো জিম্বাবুয়ের বিপদে আরও বাড়ে ক্লাইভ মান্ডান্ডের বিদায়ে। জনাথন ক্যাম্পবেলের সঙ্গে বড় জুটি গড়ার ইঙ্গিত দিয়েও তা বেশিদূর নিয়ে যেতে ব্যর্থ হন তিনি। দশম ওভারে রিশাদের বলে লেগ বিফোরের ফাঁদে পড়ে ১৮ বলে ১২ রান করে সাজঘরের পথ ধরেন তিনি।

এরপর রায়ান বার্লকে নিয়ে উইকেটে থিতু হওয়ার চেষ্টা করেন ক্যাম্পবেল। খানিকটা সফলও হন তারা। পাঁচ ওভার পর বার্লও ফিরে যান; ভাঙে ৩৫ রানের জুটি। ৯২ রানে পাঁচ উইকেট হারানোর পর আর কোনো বড় জুটি গড়তে পারেনি জিম্বাবুয়ে। নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারাতে থাকে তারা। ওই ওভারেই জোড়া উইকেট নেন মোস্তাফিজ। এরপর ৩১ রান করা জনাথন ফিরে যান দলীয় ১০৩ রানে।

শেষ ১২ বলে জিম্বাবুয়ের প্রয়োজন ছিল ২১ রানের। বোলিংয়ে এসে ১৯তম ওভারের তৃতীয় বলে ফারাজ আকরামকে মোস্তাফিজ বিদায় করলে শেষ ওভারে শেষ ওভারে ১৪ রান করতে হতো সফরকারীদের।

শেষ ওভারে সাকিবের প্রথম দুই বলে এক রান হলেও পরের বলে ছক্কা হাঁকান মুজারাবানি। চতুর্থ বলটি ওয়াইড হলেও স্ট্যাম্পিং হয়ে ফিরে যান তিনি। পরের বলে এনগারাভাকে বোল্ড করে বাংলাদেশের চতুর্থ জয় নিশ্চিত করেন সাকিব।

এর আগে প্রথম ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে দলকে দারুণ শুরু এনে দেন সৌম্য ও তানজিদ। এই দুই ওপেনারের দৃঢ়তায় উইকেট না হারিয়েই দলীয় সংগ্রহ ১০০ পার করে বাংলাদেশ।

তবে এর পরই লুক জঙ্গুয়ের বলে ক্যাচ হয়ে যান তানজিদ। দ্বাদশ ওভারের দ্বিতীয় বলে জঙ্গুয়ের স্লোয়ার ডেলিভারিতে লফটেড শট দিতে গিয়েছিলেন তানজিদ, কিন্তু ব্যাটের কানায় লেগে উপরে উঠে গেলে ব্যাকওয়ার্ড পয়েন্টে দৌঁড়ে গিয়ে ক্যাচটি লুফে নেন জনাথন ক্যাম্পবেল। ফেরার আগে সাতটি চার ও একটি ছক্কায় ৩৭ বলে ৫৪ রানের ইনিংস খেলে যান তানজিদ।

প্রথম ম্যাচে অপরাজিত ৬৭ রানের ইনিংসের পর চতুর্থ ম্যাচেও আরেকটি পঞ্চাশ পেরুনো ইনিংস খেললেন তানজিদ। এর ফলে কোনো দ্বিপাক্ষিক সিরিজে দুটি ফিফটি করা চতুর্থ বাংলাদেশি ব্যাটার বনে যান তিনি। তার আগে কেবল লিটন দাস, তামিম ইকবাল ও সৌম্য সরকার এ কীর্তি গড়তে পেরেছেন।

প্রথম উইকেট পড়ার সঙ্গে সঙ্গে শুরু হয়ে যায় বাংলাদেশের উইকেট বৃষ্টি। তানজিদের ফেরার পরপরই সাজঘরে ফেরেন সৌম্য। দ্বাদশ ওভারের শেষ বলে জঙ্গুয়ের ইয়র্কারে বিভ্রান্ত হন তিনি। বল তার প্যাডে লাগলে আম্পায়ার আঙুল তুলে দেন। ফলে ৩টি চার ও দুটি ছক্কায় ৩৪ বলে ৪১ রান করে ফিরে যান তিনিও।

এর তৌহিদ হৃদয়কে সঙ্গে নিয়ে খেলতে থাকেন অধিনায়ক শান্ত। তবে হৃদয়ও বেশিক্ষণ খেলতে পারেননি। চতুর্দশ ওভারের চতুর্থ বলে রাজার ডেলিভারি অন সাইডে ঘোরার মুখে হাত ঘুরিয়ে ছক্কা মারতে যান তিনি, কিন্তু মারে জোর না থাকায় ডিপ ব্যাকওয়ার্ড স্কয়ার লেগ অঞ্চলে দাঁড়িয়ে থাকা বেনেটের তালুবন্দি হয়ে সাজঘরে ফেরেন।

এর পরের ওভারে আবারও উল্লাসে মাতেন জিম্বাবুয়ের ফিল্ডাররা। জোড়া উইকেট শিকার করেন ব্রায়ান বেনেট। নিজের তৃতীয় ওভারের দ্বিতীয় বলে বেশ কয়েক মাস পর দলে ফেরা সাকিবকে বোল্ড করে দেন তিনি। শেষ বলে শান্তকে বোল্ড করে প্যাভিলিয়নের পথ দেখান।

ফলে ১০১ রানে কোনো উইকেট না হারানো বাংলাদেশ ১২৩-এই পাঁচ উইকেট হারিয়ে বসে।

স্কোরবোর্ডে ৫ রান যোগ হতে না হতেই আবারও জোড়া উইকেট হারায় বাংলাদেশ। সাত বলে ছয় রান করে ফিরতে হয় জাকের আলীকে। ১৭তম ওভারের প্রথম বলেই এনগারাভার ডেলিভারিটি উঁচিয়ে মারতে গিয়ে থার্ড ম্যান অঞ্চেলে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন জাকের। পঞ্চম বলে রান আউট হয়ে যান তাসকিন আহমেদ।

এরপর ১৮তম ওভারে রিশাদ হোসেন, ১৯তম ওভারে তানজিম সাকিব এবং শেষ ওভারের শেষ বলে মোস্তাফিজুর আউট হন।

দলের হয়ে তানজিদের ৫৪ ও সৌম্যর ৪১ রানের ইনিংস দুটিই কেবল বলার মতো। এরপর তৌহিদ হৃদয় ছাড়া আর কেউই দুই অংকে পৌঁছাতে পারেনি।

জিম্বাবুয়ের হয়ে সর্বোচ্চ তিনটি উইকেট নেন জঙ্গুয়ে। দুটি করে উইকেট যায় এনগারাভা ও বেনেটের ঝুলিতে।

চার ওভারে মাত্র ১৯ রানের খরচায় তিন উইকেট নিয়ে ম্যাচসেরা হয়েছেন মোস্তাফিজ।

জিম্বাবুয়েকে হোয়াইটওয়াশের লক্ষ্যে রোববার বিকেল চারটায় পঞ্চম টি-টোয়েন্টিতে মাঠে নামবে বাংলাদেশ।

এ বিভাগের আরো খবর