বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

বিনা উইকেটে একশ পার করেও ১৪৩ রানে অলআউট বাংলাদেশ

  • নিউজবাংলা ডেস্ক   
  • ১০ মে, ২০২৪ ১৯:৫০

ব্যাট করতে নেমে দলকে দারুণ শুরু এনে দেন সৌম্য ও তানজিদ। এই দুই ওপেনারের দৃঢ়তায় উইকেট না হারিয়েই দলীয় সংগ্রহ ১০০ পার করে বাংলাদেশ। তবে যেই উইকেট পড়া শুরু করল, তা আর থামাতে পারলেন না ব্যাটারদের কেউ।

চতুর্থ টি-টোয়েন্টিতে অপরাজিত শত রানের জুটি এনে দিয়েছিলেন তানজিদ হাসান তামিম ও সৌম্য সরকার। তবে যেই উইকেট পড়া শুরু করল, তা আর থামাতে পারলেন না ব্যাটারদের কেউ। ফলে নির্ধারিত ২০ ওভার শেষে সবগুলো উইকেট হারিয়ে ১৪৩ রান সংগ্রহ করতে পেরেছে বাংলাদেশ।

জয়ের জন্য জিম্বাবুয়ের লক্ষ্য তাই ১৪৪ রান।

মিরপুরে টস জিতে বাংলাদেশকে আগে ব্যাট করার আমন্ত্রণ জানান জিম্বাবুয়ে অধিনায়ক সিকান্দার রাজা।

ব্যাট করতে নেমে দলকে দারুণ শুরু এনে দেন সৌম্য ও তানজিদ। এই দুই ওপেনারের দৃঢ়তায় উইকেট না হারিয়েই দলীয় সংগ্রহ ১০০ পার করে বাংলাদেশ।

তবে এর পরই লুক জঙ্গুয়ের বলে ক্যাচ হয়ে যান তানজিদ। দ্বাদশ ওভারের দ্বিতীয় বলে জঙ্গুয়ের স্লোয়ার ডেলিভারিতে লফটেড শট দিতে গিয়েছিলেন তানজিদ, কিন্তু ব্যাটের কানায় লেগে উপরে উঠে গেলে ব্যাকওয়ার্ড পয়েন্টে দৌঁড়ে গিয়ে ক্যাচটি লুফে নেন জনাথন ক্যাম্পবেল। ফেরার আগে সাতটি চার ও একটি ছক্কায় ৩৭ বলে ৫৪ রানের ইনিংস খেলে যান তানজিদ।

প্রথম ম্যাচে অপরাজিত ৬৭ রানের ইনিংসের পর চতুর্থ ম্যাচেও আরেকটি পঞ্চাশ পেরুনো ইনিংস খেললেন তানজিদ। এর ফলে কোনো দ্বিপাক্ষিক সিরিজে দুটি ফিফটি করা চতুর্থ বাংলাদেশি ব্যাটার বনে যান তিনি। তার আগে কেবল লিটন দাস, তামিম ইকবাল ও সৌম্য সরকার এ কীর্তি গড়তে পেরেছেন।

প্রথম উইকেট পড়ার সঙ্গে সঙ্গে শুরু হয়ে যায় বাংলাদেশের উইকেট বৃষ্টি। তানজিদের ফেরার পরপরই সাজঘরে ফেরেন সৌম্য। দ্বাদশ ওভারের শেষ বলে জঙ্গুয়ের ইয়র্কারে বিভ্রান্ত হন তিনি। বল তার প্যাডে লাগলে আম্পায়ার আঙুল তুলে দেন। ফলে ৩টি চার ও দুটি ছক্কায় ৩৪ বলে ৪১ রান করে ফিরে যান তিনিও।

এর তৌহিদ হৃদয়কে সঙ্গে নিয়ে খেলতে থাকেন অধিনায়ক শান্ত। তবে হৃদয়ও বেশিক্ষণ খেলতে পারেননি। চতুর্দশ ওভারের চতুর্থ বলে রাজার ডেলিভারি অন সাইডে ঘোরার মুখে হাত ঘুরিয়ে ছক্কা মারতে যান তিনি, কিন্তু মারে জোর না থাকায় ডিপ ব্যাকওয়ার্ড স্কয়ার লেগ অঞ্চলে দাঁড়িয়ে থাকা বেনেটের তালুবন্দি হয়ে সাজঘরে ফেরেন।

এর পরের ওভারে আবারও উল্লাসে মাতেন জিম্বাবুয়ের ফিল্ডাররা। জোড়া উইকেট শিকার করেন ব্রায়ান বেনেট। নিজের তৃতীয় ওভারের দ্বিতীয় বলে বেশ কয়েক মাস পর দলে ফেরা সাকিবকে বোল্ড করে দেন তিনি। শেষ বলে শান্তকে বোল্ড করে প্যাভিলিয়নের পথ দেখান।

ফলে ১০১ রানে কোনো উইকেট না হারানো বাংলাদেশ ১২৩-এই পাঁচ উইকেট হারিয়ে বসে।

স্কোরবোর্ডে ৫ রান যোগ হতে না হতেই আবারও জোড়া উইকেট হারায় বাংলাদেশ। সাত বলে ছয় রান করে ফিরতে হয় জাকের আলীকে। ১৭তম ওভারের প্রথম বলেই এনগারাভার ডেলিভারিটি উঁচিয়ে মারতে গিয়ে থার্ড ম্যান অঞ্চেলে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন জাকের। পঞ্চম বলে রান আউট হয়ে যান তাসকিন আহমেদ।

এরপর ১৮তম ওভারে রিশাদ হোসেন, ১৯তম ওভারে তানজিম সাকিব এবং শেষ ওভারের শেষ বলে মোস্তাফিজুর আউট হন।

দলের হয়ে তানজিদের ৫৪ ও সৌম্যর ৪১ রানের ইনিংস দুটিই কেবল বলার মতো। এরপর তৌহিদ হৃদয় ছাড়া আর কেউই দুই অংকে পৌঁছাতে পারেনি।

জিম্বাবুয়ের হয়ে সর্বোচ্চ তিনটি উইকেট নেন জঙ্গুয়ে। দুটি করে উইকেট গেছে এনগারাভা ও বেনেটের ঝুলিতে।

এ বিভাগের আরো খবর