ব্যাটাররা ১৬৫ রানের যে পুঁজি দিয়েছিল, নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে তা ব্যর্থ হতে দিলেন না বোলাররা। ফলে ৯ রানে জিতে সিরিজ জয় নিশ্চিত করেছে বাংলাদেশ।
মঙ্গলবার চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরি স্টেডিয়ামে তৃতীয় টি-টোয়েন্টিতে টস জিতে বাংলাদেশকে আগে ব্যাটংয়ে পাঠায় জিম্বাবুয়ে।
শুরুতে ব্যাট করে তৌহিদ হৃদয়ের ৫৭ ও জাকের আলীর ৪৪ রানে ভর করে পাঁচ উইকেটে ১৬৫ রান তোলে বাংলাদেশ। জবাবে ব্যাট করতে নেমে ৯ উইকেট হারিয়ে ১৫৬ রান করে জিম্বাবুয়ে।
প্রথম দুই ম্যাচের মতো এ দিনও একে একে যাওয়া-আসার মিছিলে যোগ দেন জিম্বাবুয়ের টপ-অর্ডার ব্যাটাররা। তবে আজ উইকেটের রক্তক্ষরণ থামাতে ব্যর্থ হয়েছে মিডল-অর্ডারও। ফলে নিয়মিত বিরতিতে উইকেট পড়তে থাকে জিম্বাবুয়ের।
শেষের দিকে ফারাজ আকরামকে সঙ্গে নিয়ে ম্যাচ বাঁচানোর চেষ্টা করেছিলেন ওয়েলিংটন মাসাকাদজা। নিজে ধরে খেলে আকরামকে হাত খুলে খেলতে দন ওয়েলিংটন। এরইমধ্যে ১৭তম ওভারে ১৮ রান দেন সাইফুদ্দিন। তবে পরের দুই ওভারে তানজিদ তামিম ও তাসকিন আহমেদ নিয়ন্ত্রিত বল করলে শেষ ওভারে ২১ রানের লক্ষ্য পায় জিম্বাবুয়ে। ওয়েলিংটন ১৩ বলে ১৩ ও আকরাম ১৮ বলে ৩২ রানে অপরাজিত ছিলেন তখন।
তবে শেষ ওভারের প্রথম বলেই সাইফুদ্দিনের বলে বোল্ড হয়ে ফিরতে হয় ওয়েলিংটনকে। ফলে ৫ বলে ২১ রানের সমীকরণ পায় জিম্বাবুয়ে। পরের দুই বলে অবশ্য দুটি চার মেরে রানের খাতা খোলেন ব্লেসিং মুজারাবানি, কিন্তু শেষ পর্যন্ত আর পেরে ওঠেননি তিনি। ফলে ৯ উইকেট হারিয়ে ১৫৬ রানে থামে জিম্বাবুয়ের ইনিংস।
দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৩৪ রান করেন ওয়েলিংটন। এছাড়া মারুমানি ৩১ ও জনাথন ক্যাম্পবেল ২১ রান করেন। অন্যদিকে, বাংলাদেশের হয়ে ৪২ রান খরচায় সর্বোচ্চ তিনটি উইকেট নেন সাইফুদ্দিন। রিশাদ নেন দুটি উইকেট, আর তানভির, তানজিম, তাসকিন ও মাহমুদুল্লাহ নেন একটি করে উইকেট।
এ জয়ের ফলে প্রথম তিনটি ম্যাচ জিতে সিরিজ নিশ্চিত করলো বাংলাদেশ। শুক্রবার চতুর্থ টি-টোয়েন্টিতে মাঠে নামবে দুদল।