বিপিএলের প্রথম কোয়ালিফায়ারে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সকে ১৮৬ রানের লক্ষ্য দিয়েছে নুরুল-সাকিবদের রংপুর রাইডার্স। ফলে সরাসরি ফাইনালে উঠতে বিশ ওভারে এ লক্ষ্য টপকাতে হবে লিটন-আন্দ্রে রাসেলদের কুমিল্লাকে।
দিনের দ্বিতীয় ম্যাচে টস জিতে রংপুরকে ব্যাটিংয়ে পাঠান ভিক্টোরিয়ান্স অধিনায়ক লিটন দাস। ইনিংসের শুরুতে ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়লেও জিমি নিশামের ৪৯ বলে অপরাজিত ৯৭ রানে ভর করে ৬ উইকেটে ১৮৫ রান তুলতে সক্ষম হয়েছে রংপুর।
এদিন বিপিএলে কুমিল্লার হয়ে অভিষেক হয় সদ্য সমাপ্ত অনূর্ধ্ব-১৯ যুব বিশ্বকাপে দারুণ পারফর্ম করা রোহানাত দৌলা বর্ষণের।
ইনিংসের শুরু থেকেই অধিনায়কের সিদ্ধান্তের প্রতি সুবিচার করতে থাকেন কুমিল্লার বোলাররা।
দ্বিতীয় ওভারের দ্বিতীয় বলেই কুমিল্লাকে ব্রেকথ্রু এনে দেন তানভীর ইসলাম। তানভীরের আউটসাইড অফ স্ট্যাম্পে করা বলটি বোলালের মাথার ওপর দিয়ে সজোরে উড়িয়ে মারেন রংপুরের ওপেনার শামীম হোসেন। বলটি ঠেকাতে গিয়ে তানভীরের হাতে লেগে আরও উপরে উঠে সীমানার দিকে এগোতে থাকে। বেশ খানিকটা দৌড়ে এসে ক্যাচটি লুফে নেন আন্দ্রে রাসেল। ফলে দুই বলে শূন্য রানে ফিরতে হয় শামীমকে।
বিপিএলে বোলিং ক্যারিয়ারের প্রথম ওভারে ১০ রান দেয়া বর্ষণ নিজের দ্বিতীয় ওভারেই পান উইকেটের দেখা। ইনিংসের তৃতীয় ওভারের চতুর্থ বলে বর্ষণের গুড লেংথ ডেলিভারিটি পুল করতে গেলে টপ-এজ হয়ে যায়। উইকেটের পেছন থেকে দৌড়ে এসে ক্যাচ নিয়ে ভুল করেননি লিটন দাস।
পঞ্চম ওভারে সাকিবকে ফেরার আন্দ্রে রাসেল। ওভারের চতুর্থ বলে রাসেলের আউটসাউড অফে করা শর্ট ডেলিভারিটি পুল করতে গিয়ে টপ-এজ হয়ে যায়। ফাইন লেগে থাকা বর্ষণ ক্যাচটি ধরলে ২৭ রানে তিন উইকেট হারায় রংপুর।
এরপর দলকে টেনে তোলার চেষ্টা করেন মাহেদী হাসান ও জিমি নিশাম। চতুর্থ উইকেটে স্কোরবোর্ড ৩৯ রান যোগ করে বিদায় নেন মাহেদী। নবম ওভারে সুনীল নারাইনের চার বলে মাত্র দুই রান নিয়ে শেষ বলে বাউন্ডারি মারার চেষ্টায় ছিলেন মাহেদী, কিন্তু তা করতে গিয়ে হিতে বিপরীত হয়ে যায়। আবারও টপ-এজ, আর এর শিকার হয়ে শর্ট থার্ডম্যান অঞ্চলে ক্যাচ দিয়ে বিদায় নেন ১৭ বলে ২২ রান করা মাহেদী।
এরপর নিকোলাস পুরানকে সঙ্গে ৩৮ রানের জুটি গড়েন নিশাম। মাত্র চার ওভারে স্কোরবোর্ডে ৩৮ রান তোলে এই জুটি। ১৩তম ওভারে মুশফিক হাসানের প্রথম দুই বলে দুটি চার মেরে স্ট্রাইক রোটেট করেন নিশাম। পরের দুই বলে যথাক্রমে চার ও ছক্কা হাঁকিয়ে শেষ বলেও ছক্কা মারতে গিয়ে ক্যাচ হয়ে সাজঘরে ফেরেন পুরান।
সপ্তাম ব্যাটার হিসেবে ক্রিজে এসে দলকে বড় সংগ্রহের পথ দেখান অধিনায়ক নুরুল হাসান সোহান। ২৪ বল মোকাবিলা করে এক ছক্কা ও চারটি চারের সাহায্যে ৩০ রান করে তিনিও ফিরে যান।
১৯তম ওভারের শেষ বলে সোহান ফিরে গেলে বাকি ছয় বল একাই খেলেন নিশাম। আগে থেকেই খরুচে মুশফিক হাসানের প্রথম দুই বলে দুটি চার মারার পর পরপর দুটি ছক্কা হাঁকিয়ে এক বল পর আবারও উড়িয়ে বল সীমানা ছাড়া করেন নিশাম। তাতে তার ব্যক্তিগত সংগ্রহ দাঁড়ায় ৯৬ রানে। সেঞ্চুরি পেতে শেষ বলে একটি চারের প্রয়োজন ছিল তার। তবে ব্যর্থ হয়ে এক রান নিয়ে এতে নিশামের অপরাজিত ৯৭ রানে ১৮৫ রানের পুঁজি পায় রংপুর।
বল হাতে সর্বোচ্চ দুই উইকেট নেন আন্দ্রে রাসেল। তবে প্রথম ম্যাচে তিন ওভারে মাত্র ২১ রান দিয়ে এক উইকেট নিয়ে চমক দেখান বর্ষণ।