বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

বিদেশি খেলোয়াড়েরা বরিশালের ট্রাম্প কার্ড

  • নিউজবাংলা ডেস্ক   
  • ১৭ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ ২৩:৩৩

আজকের ম্যাচ জয়ে সুপার ফোরে এক পা দিয়ে রাখল তামিম ইকবালের বরিশাল।

বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) নবম আসরের রানার্স-আপ ছিল সিলেট স্ট্রাইকার্স। এ আসরেও মন্দ ছিল না তাদের স্কোয়াড; কিন্তু শুরুর দিকে যেন জয় পেতেই ভুলে গিয়েছিল তারা। হেরেছে টানা পাঁচ ম্যাচ। এ সময়টাতে সিলেটকে নেতৃত্ব দিচ্ছিল মাশরাফি বিন মর্তুজা। পরে রাজনৈতিক ব্যস্ততার কারণে বিপিএল ছাড়েন তিনি। মাশরাফির বিদায়ের পর ৬ ম্যাচ খেলেছে সিলেট। যেখানে তারা জয় পেয়েছে ৩ ম্যাচে। আর এ ৩ ম্যাচ থেকে ৬ পয়েন্ট নিয়েই পয়েন্ট টেবিলে সিলেটের অবস্থান এখন ৬ নম্বরে। এতেই কি সুপার ফোরের আশা শেষ হয়েছিল সিলেটের।

না, খাতা-কলমে তবুও আশা বেঁচে ছিল। মূলত ৯ ম্যাচেই ৩ জয়ে ৬ পয়েন্ট ছিল সিলেটের। তাই বাকি ৩ ম্যাচের ৩টিতেই জয় পেলে সিলেটের পয়েন্ট হতো ১২। অন্যদিকে সিলেটের বাকি ম্যাচগুলো ছিল ফরচুন বরিশাল, কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স আর খুলনা টাইগার্সের বিপক্ষে। আর সিলেটের বড় প্রতিপক্ষ ছিল ওই খুলনা টাইগার্সই। কিন্তু কাগজ-কলমে যতটুকু আশা বেঁচে ছিল সেটাও শেষ হয়ে গেছে ফরচুন বরিশালের বিপক্ষে হেরে। দ্বিতীয় দল হিসেবে আসর থেকে বিদায়ঘণ্টা বেজে গেছে তাদের।

অন্যদিকে এ জয়ে সুপার ফোরে এক পা দিয়ে রাখল তামিম ইকবালের বরিশাল। বরিশালের অবস্থাও খুব একটা সুবিধাজনক ছিল না শুরুর দিকে। প্রথম ম্যাচে জয়ের পর তারাও ছিল হারের বৃত্তে। ব্যাটিংয়ে দুর্দান্ত তামিমদের হারের বড় কারণ ছিল বোলিং। পাকিস্তানের মোহাম্মাদ আমির না আসায় ডেথ ওভার নিয়ে বিপাকে পড়েছিল দলটি। কেইল মায়ার্স আর কেশাব মাহারাজরা দলের সঙ্গে যোগ দেওয়ায় এখন অনেকটাই নির্ভার বরিশাল। প্রথম ম্যাচেই মায়ার্সের দুর্দান্ত ঝলকে সিলেটকে হারিয়েছে বরিশাল। মায়ার্স একাই যেন হারিয়ে দিয়েছে তাদের।

বরিশালের ব্যাটিং ইনিংসে ৩ উইকেট যাওয়ার পর মুশফিকুর রহিমের সঙ্গে গড়েছেন ৮৪ রানের গুরুত্বপূর্ণ জুটি। সমান ৩ ছক্কা আর ৩ চারে ৩১ বলে খেলেছেন ৪৮ রানের গুরুত্বপূর্ণ ইনিংস। বল হাতেও ছিলেন দুর্দান্ত। চট্টগ্রামের মতো রানবন্যার উইকেটেও ৪ ওভারে মাত্র ১২ রান খরচে নিয়েছেন ৩ উইকেট। যেটা বরিশালের জন্য অন্যতম স্বস্তির খবর। কিপ্টে বোলিং করছেন প্রোটিয়া স্পিনার কেশাব মাহারাজও। ডেথ ওভারে ব্রেক-থ্রু এনে দিচ্ছেন সাইফুদ্দিনও। তাই বোলিং নিয়ে বরিশালের যে শঙ্কার কালো মেঘ ছিল, সেটা অনেকটাই কেটে গেছে।

বরিশালের জন্য আরেকটা স্বস্তির খবর, মুশফিকুর রহিমের রানে ফেরা। শুরুর দিকে হেসেছে মুশফিকুর রহিমের ব্যাট। ছিলেন আসরের সেরা রান সংগ্রাহকও। কিন্তু হঠাৎ করেই মুশফিকের ব্যাট যেন ছন্দ হারিয়ে ফেলে। গতকাল সিলেটের বিপক্ষে দলের গুরুত্বপূর্ণ সময়ে দায়িত্বশীল ব্যাটিংয়ে তিনিও দূর করেছেন সব শঙ্কা। আভাস দিয়েছেন রানে ফেরার। যেটি বরিশালবাসীকে স্বপ্ন দেখাচ্ছে লঞ্চে ট্রফি তোলার।

সুপার ফোরে কোয়ালিফাই করতে চট্টগ্রামের লড়াইটা মূলত খুলনা টাইগার্সের সঙ্গে। ১০ ম্যাচ খেলে সমান ৫ জয়ে ১০ পয়েন্ট নিয়ে রানরেটে পিছিয়ে থেকে পয়েন্ট টেবিলে ছয় নম্বরে অবস্থান করছিল শুভাগত হোমের দল। শেষ চারে টিকে থাকার লড়াইয়ে গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচেও ব্যর্থ ছিল চট্টগ্রামের ব্যাটিং লাইনআপ। গত ম্যাচে ঝড় তোলা রোমারিও শেফার্ডও ব্যর্থ ছিল এদিন। তবে চট্টগ্রামের জন্য সুখবর হতে পারে টম ব্রুস আর তানজিদ তামিমের রানে ফেরা। বেশ কয়েক ম্যাচ পরে হেসেছে তাদের ব্যাট। অবদান রেখেছেন দলের গুরুত্বপূর্ণ সময়ে। বল হাতে চট্টগ্রামের আস্থার প্রতীক হয়ে উঠছে সালাউদ্দিন শাকিল।

শাকিলের গল্পটা কম-বেশি সবারই জানা। পরিশ্রমী শাকিল সফলতা পাচ্ছেন বিপিএলে। দলের গুরুত্বপূর্ণ সময়ে এনে দিচ্ছেন ব্রেক-থ্রু। ঢাকার বিপক্ষে থিতু হওয়া অ্যালেক্স রোজকে ফিরিয়ে বড় অবদান রেখেছেন জয়ে। শেষদিকে বেশ কার্যকর হয়েছে বিলাল খানের স্লোয়ার আর ইয়র্কার। যে কারণে বড় শট খেলতে ব্যর্থ হয়েছে ইরফান শুক্কুররা।

টানা ১১ হারে টুর্নামেন্ট শেষ করল দুর্দান্ত ঢাকা। প্রথম ম্যাচ জয়ই যেন তাদের জন্য পথের কাঁটা হয়ে দাঁড়িয়েছে। এরপর আর জয় পায়নি কোনো ম্যাচেই। অন্যদিকে ঢাকাকে হারিয়ে শেষ চারের লড়াইয়ে টিকে রইল চট্টগ্রাম। খুলনার সঙ্গে লড়াইয়ে কিছুটা এগিয়েও গেল তারা। তবে শেষ চার নিশ্চিত হতে চট্টগ্রামকে অপেক্ষা করতেই হবে গ্রুপ পর্বের শেষ ম্যাচ পর্যন্ত।

এ বিভাগের আরো খবর