বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

স্বল্প পুঁজির খেলা আশা করিনি

  • নিউজবাংলা ডেস্ক   
  • ২০ জানুয়ারি, ২০২৪ ২৩:২২

বিপিএলে আজকের প্রথম ম্যাচের দিকেই ছিল যেন সবার আকর্ষণ। কারণ এদিন প্রথম পরস্পরের মুখোমুখি হয়েছিলেন বাংলাদেশ ক্রিকেটের দুই বরপুত্র তামিম ইকবাল এবং সাকিব আল হাসান।

বিপিএলের প্রথম দিনের মতো দ্বিতীয় দিনেও দুর্দান্ত লড়াই উপভোগ করেছে দেশের ক্রিকেটপ্রেমীরা। যদিও প্রথম দিন অপেক্ষায় এদিন অনেকটা লো স্কোরিং ম্যাচ দেখা গেছে। দিনের দুই ম্যাচের কোনোটিতেই দলীয় স্কোর ১৪০ পর্যন্ত স্পর্শ করতে পারেনি।

আসলে ক্রিকেটপ্রেমীরা টি-টোয়েন্টি ম্যাচ হলেই দেখতে চায় বিগ হিটিং। সেক্ষেত্রে এই দুই ম্যাচে কিছুটা হলেও হতাশ হয়েছেন বিপিএল উপভোগ করা ক্রিকেটভক্তরা। যদিও উভয় ম্যাচেই বেশ কিছু পজিটিভ দিক রয়েছে দেশের ক্রিকেটের জন্য। প্রথমে সেদিকে দৃষ্টিপাত করা যাক।

বিপিএলে আজকের প্রথম ম্যাচের দিকেই ছিল যেন সবার আকর্ষণ। কারণ এদিন প্রথম পরস্পরের মুখোমুখি হয়েছিলেন বাংলাদেশ ক্রিকেটের দুই বরপুত্র তামিম ইকবাল এবং সাকিব আল হাসান।

ম্যাচের প্রথম ইনিংসে বাংলাদেশ দলের দুই নিয়মিত পারফরমার খালিদ আহমেদ এবং শেখ মাহেদির পারফরম্যান্স ছিল দেখার মতো। বল হাতে এদিন ৪ উইকেট নিয়েছিলেন, ৩১ রান খরচ করে। বলতে গেলে, টেস্ট বোলার তকমা পাওয়া খালিদ এদিন যেন প্রমাণ দিয়ে দিলেন সাদা বলের ক্রিকেটেও তিনি কম যান না। তার এমন দুর্দান্ত বোলিংয়ের ওপর ভিত্তি করেই শক্তিশালী রংপুর রাইডার্সকে মাত্র ১৩৪ রানে আটকাতে পারে ফরচুন বরিশাল।

তবে রংপুর ১৩৪ রান করতে পেরেছে টাইগার অলরাউন্ডার শেখ মাহেদির কল্যাণে। হ্যাঁ, তার ১৯ বলে ২৯ রানের মারকাটারি ক্যামিও না থাকলে হয়তো ১৩৪ রানও স্কোরবোর্ডে তুলতে পারত না রংপুর।

এরপর ১৩৫ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে তামিম ইকবালের ব্যাটিংও ছিল দেখার মতোই। শুরু থেকেই আগ্রাসী ভঙ্গিতে ব্যাট করছিলেন তিনি। ঠিক যেন পুরোনো তামিম। আর এই বিপিএলে খান সাহেবের ব্যাটিং ছিল দেখার মতোই। এ জন্য তো অনেকে অপেক্ষা করছিলেন। তামিমও এদিন তার ভক্তদের নিরাশ করেননি। খেলেছেন ২৪ বলে ৩৫ রানের এক দারুণ ইনিংস। যার সুবাদে ইনিংসের শুরুতেই অনেকটা চালকের আসনে বসে যায় ফরচুন বরিশাল।

পাশাপাশি এই ম্যাচে ব্যাট হাতে তেমন কিছু না করতে পারলেও বল হাতে দুর্দান্ত ছিলেন সাকিব। ৪ ওভার বল করে মাত্র খরচ করেছেন ১৬ রান, আবার নিয়েছেন ২ উইকেট। ম্যাচে রংপুরকে প্রথম ব্রেক থ্রুও এনে দেন সাকিবই। আর মুশফিকুর রহিমকে যে আর্ম বল করে আউট করেছেন, তাও তো একদম চোখে লেগে থাকার মতোই।

দিনের দ্বিতীয় ম্যাচ ছিল আরও লো স্কোরিং। তবে এই ম্যাচের শুরু থেকেই সব আলো কেড়ে নেন খুলনার অফস্পিনিং অলরাউন্ডার নাহিদুল ইসলাম। শুরুর দিকেই প্রতিপক্ষ চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সকে ব্যাকফুটে ঠেলে দেন তিনি। একাই তুলে নেন প্রতিপক্ষের ৪ উইকেট, পঙ্গু করে দেন চট্টগ্রামের টপ অর্ডারকে। যে কারণে মাত্র ১২২ রানেই থামে দলটির ইনিংস।

তবে ১২৩ রান চেজ করা ভাবতে একটু সহজ মনে হলেও খুলনার ব্যাটারদের কিন্তু কষ্ট করতে হয়েছে বেশ। তবে দুই টাইগার ক্রিকেটার আফিফ হোসেন এবং মাহমুদুল হাসান জয়ের দায়িত্বশীল ব্যাটিংয়ে শেষমেশ জয়ের বন্দরে পৌঁছায় খুলনা টাইগার্স।

আলাদা করে বলতে গেলে, জয়ের ৩৬ রানের ইনিংসই খুলনাকে এই ম্যাচটি জেতাতে সাহায্য করেছে।

এ বিভাগের আরো খবর