তিন ম্যাচ ওয়ানডে সিরিজের তৃতীয়টিতে শনিবার স্বাগতিক নিউজিল্যান্ডকে ৯ উইকেটে হারিয়েছে বাংলাদেশ।
নেপিয়ারে ২০৯ বল বাকি রেখে এ জয়ের মধ্য দিয়ে নিউজিল্যান্ডের মাটিতে কিউইদের হারানোর স্বাদ পেল টাইগাররা।
তিন ম্যাচ ওয়ানডে সিরিজের প্রথম দুটিতে হেরে কোণঠাসা হয়ে পড়া বাংলাদেশ তৃতীয় ম্যাচে টস জিতে নেয় বোলিং। এ সিদ্ধান্তের ফল ম্যাচের শুরু থেকেই পেতে থাকে সফরকারীরা।
চতুর্থ ওভারে রাচিন রবীন্দ্রকে সাজঘরে ফিরিয়ে ব্রেকথ্রু এনে দেন তানজিম হাসান সাকিব। এর অল্প সময় পর দলীয় ২২ রানে দ্বিতীয় উইকেট হারায় নিউজিল্যান্ড। এবার হেনরি নিকোলসকে ফেরান তানজিম।
পরপর দুই উইকেট হারিয়ে চাপে পড়া নিউজিল্যান্ড তৃতীয় উইকেট হারায় ৫৮ রানে। ৩৪ বলে ২১ রান করা কিউই দলপতি টম ল্যাথামকে বোল্ড করেন শরিফুল ইসলাম। এর পর থেকে নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারাতে থাকে স্বাগতিকরা।
দলীয় ৬১ রানের মাথায় উইল ইয়ং, ৬৩ রানে মার্ক চ্যাপম্যান এবং ৭০ রানের সময় টম ব্লান্ডেল প্যাভিলিয়নের পথ ধরেন। ৭০ রানে ৬ উইকেট হারিয়ে অথই সাগরে পড়া কিউইরা বাকি চার উইকেট হারিয়ে ৩১ দশমিক চার ওভারে ৯৮ রান করতে সক্ষম হয়।
বাংলাদেশের হয়ে শরিফুল ইসলাম ৭ ওভারে ২২ রান দিয়ে নেন তিনটি উইকেট। তার ইকোনমি ৩ দশমিক ১৪। অন্যদিকে তানজিম হাসান সাকিব ৭ ওভার বল করে ১৪ রান দিয়ে শিকার করেন তিন উইকেট। দুটি মেইডেন দেয়া এ বোলারের ওভারপ্রতি গড় রান দুই।
বোলিংয়ে চমক দেখান রীতিমতো অলরাউন্ডার বনে যাওয়া সৌম্য সরকার। তিনি ছয় ওভার বল করে ১ মেইডেন ও ১৮ রান খরচায় তুলে নেন তিনটি উইকেট। কিউইদের বাকি উইকেটটি নেন মুস্তাফিজুর রহমান।
৯৯ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে রিটায়ার্ড হার্ট হয়ে মাঠ ছাড়তে হয় ১৬ বল থেকে চার রান করা ওপেনার সৌম্যকে। এরপর দায়িত্বটা নিজেদের কাঁধে তুলে নিয়ে দ্রুত সময়ে জয়ের পথে হাঁটেন এনামুল হক ও অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত। ৪২ বল থেকে শান্তর হার না মানা ৫১ এবং ৩৩ বল থেকে এনামুলের ৩৭ রানে হেসেখেলে জয় পায় বাংলাদেশ।
এনামুল দলীয় ৮৪ রানের মাথায় আউট হলে কিছুক্ষণের জন্য উইকেটের এক প্রান্তে থাকতে হয় লিটন দাসকে। দুই বল খেলে এক রান করেন তিনি। আর বাংলাদেশ ১৫ ওভার ১ বল খেলেই ৯৯ রান করে পায় অনন্য এক জয়।