বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

শামির বিরল বোলিং প্রদর্শনী, ফাইনালে ভারত

  •    
  • ১৫ নভেম্বর, ২০২৩ ২৩:২২

একাই সাত উইকেট নিয়েছেন শামি। এটুকু বললে বোধহয় কমই বলা হয়। কারণ যখনই দলের উইকেটের দরকার হয়েছে। শামির হাতে বল তুলে দিয়েছেন অধিনায়ক। আর জোড়া জোড়া উইকেট নিয়ে অধিনায়কের আস্থার প্রতিদান দিয়েছেন তিনি।

৩৯৮ রানের লক্ষ্য টপকে জেতা, তাও আবার ভারতের অগ্নিঝরা বোলিং মোকাবিলা করে- চলতি বিশ্বকাপে এ যেন শুধুই দিবাস্বপ্নের মতো। তবে দিবাস্বপ্নকে সাকার রূপ দিতেই আজ লড়াই করল নিউজিল্যান্ডের ব্যাটাররা। কিন্তু মোহাম্মদ শামির কারণে তা হয়ে উঠল না। যতবারই কিউইরা জয়ের দিকে এগিয়েছে, ঠিক সে সময়ই বোলিংয়ে এসে তাদের কোমর ভেঙে দিয়েছেন শামি। ফলে ৭ বল আগেই অলআউট হয়ে যায় নিউজিল্যান্ড।

বুধবার মুম্বাইয়ের ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে টস জিতে প্রথমে ব্যাট করে নিউজিল্যান্ডকে ৩৯৮ রানের লক্ষ্য দেয় ভারত। জবাবে খেলতে নেমে ৩২৭ রানে অলআউট হয়েছে নিউজিল্যান্ড। ফলে ৭০ রানের জয় নিয়ে ফাইনালে উঠেছে স্বাগতিকরা।

এদিন নিউজিল্যান্ডের একমাত্র প্রাপ্তি ড্যারিল মিচেলের অনবদ্য ১৩৪ রানের ইনিংসটি। অন্যদিকে শ্রেয়াস আইয়ারের ঝড়ো শতক এবং বিরাট কোহলির ওয়ানডে ক্রিকেটের ইতিহাসে সর্বোচ্চ সংখ্যক সেঞ্চুরির রেকর্ড মলিন হয়েছে মোহাম্মদ শামির বিরল বোলিং প্রদর্শনীতে।

একাই সাত উইকেট নিয়েছেন শামি। এটুকু বললে বোধহয় কমই বলা হয়। কারণ যখনই দলের উইকেটের দরকার হয়েছে। শামির হাতে বল তুলে দিয়েছেন অধিনায়ক। আর জোড়া জোড়া উইকেট নিয়ে অধিনায়কের আস্থার প্রতিদান দিয়েছেন তিনি। আজকের খেলা দেখে অনেক নবাগত ক্রিকেটামোদীর এমন মনে হতে পারে যে, শামি বল করলেই উইকেট পাবেন- তা রোহিত আগেই জনতেন। প্রথম পাওয়ার প্লে হোক, মিডল অর্ডার বা স্লগ ওভার- সবখানেই অনন্য বোলিং পারফরম্যান্সের এক বিরল প্রদর্শনী দেখিয়েছেন তিনি।

আজকের পারফরম্যান্সে রেকর্ড বইয়ের বেশ কয়েক জায়গায় পরিবর্তন এনেছেন শামি। ভারতের প্রথম বোলার হিসেবে বিশ্বকাপের ম্যাচে তিনি নিয়েছেন ৭ উইকেট। বিশ্বকাপে ৭ উইকেট নেয়া পঞ্চম বোলার তিনি। তবে বিশ্বকাপের মঞ্চে নক-আউট পর্বে এটিই সেরা বোলিং। এর আগে ১৯৭৫ সালে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে সেমি-ফাইনালে ১৪ রানে ৬ উইকেট নিয়েছিলেন গ্যারি গিলমোর।

চলতি আসরে তৃতীয়বারের মতো ৫ উইকেট শিকার করেছেন শামি। এক বিশ্বকাপে তিন বার ৫ উইকেট নেয়া প্রথম বোলার তিনি। আর সব মিলিয়ে বিশ্বকাপের মঞ্চে এটি তার চতুর্থ ৫ উইকেট। এতে করে মিচেল স্টার্কের তিন ফাইফারের রেকর্ড ভেঙেছেন তিনি।

উড়ন্ত ছন্দে থাকা শামির এবারের বিশ্বকাপে মোট শিকার ২৩টি। ভারতের বোলারদের মধ্যে এক আসরে এটিই রেকর্ড। ২০১১ সালে দলকে চ্যাম্পিয়ন করার পথে জাহির খান নিয়েছিলেন ২১ উইকেট। আরও মনে রাখা দরকার, বিশ্বকাপের সম্ভাব্য সব ম্যাচে খেলার সুযোগ হয়নি শামির। গ্রুপ পর্ব ও সেমিফাইনাল মিলিয়ে দশটি ম্যাচ খেলার সুযোগ থাকলেও তিনি বল করেছেন মাত্র ছয় ম্যাচে।

সব মিলিয়ে বিশ্বকাপে সর্বোচ্চ উইকেট শিকারে তার সামনে স্রেফ দুজন। মিচেল স্টার্ক, ২০১৯ সালে ২৭ উইকেট এবং গ্লেন ম্যাকগ্রা ২০০৭ সালে নেন ২৬ উইকেট।

৪৯৮ রানের লক্ষ্য তাড়ায় নেমে ভালো শুরুর ইঙ্গিত দেয় নিউজিল্যান্ড। প্রথম বলেই চার মেরে ইনিংস শুরু করেন ডেভন কনওয়ে। তবে বুমরাহ-সিরাজদের অগ্নিঝরা প্রতিটি বল মোকাবিলা করতে গিয়েই ঘাম ছুটে যাচ্ছিল কিউই ব্যাটারদের।

এর মধ্যে পাঁচ ওভারে ত্রিশ রান তোলে নিউজিল্যান্ড। এরপর ব্রেকথ্রুর আশায় মোহাম্মদ শামির হাতে বল তুলে দেন রোহিত। বোলিংয়ে এসে প্রথম ডেলিভারিতেই সফলতা পান শামি। কনওয়েকে অফস্ট্যাম্পের সামান্য বাইরে ফুলার ডেলিভারি করেন শামি। সেটিতে অফ ড্রাইভ করতে গিয়ে উইকেটের পেছনে রাহুলের হাতে এজ হয়ে যান কনওয়ে। ফলে দলীয় ৩০ আর ১৫ বলে ব্যক্তিগত ১৩ রান করে ফিরতে হয় তাকে। এই উইকেটের ফলে চলতি বিশ্বকাপে খেলা ছয় ম্যাচের চারটিতেই প্রথম বলে উইকেট নেন শামি।

পরের ওভারে ফের উইকেটের দেখা পান তিনি। এবার শামির শিকার আরেক ওপেনার রাচিন রবীন্দ্র। এবারও প্রায় একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি। আউটসাইড অফের ডেলিভারিতে এগিয়ে না গিয়ে পুশ করতে গিয়ে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দেন রাচিনও। দুটি ক্যাচই অবশ্য নিচু ছিল, অসাধারণ দক্ষতায় সেগুলো লুফে নেন উইকেটরক্ষক লোকেশ রাহুল।

নিউজিল্যান্ডের দুই ওপেনারকে ফিরিয়ে স্বপ্নীল বোলিংয়ের শুভারম্ভ করেন শামি। ছবি: ক্রিকইনফো

এরপর উইকেটে থিতু হওয়ার চেষ্টা করেন অধিনায়ক কেইন উইলিয়ামসন ও ড্যারিল মিচেল। প্রথম পাওয়ার প্লেতে ৪৬ রান তুলতে গিয়ে দুই উইকেট হারানোর পর দেখেশুনে খেলতে থাকেন এ দুই ব্যাটার। উপযুক্ত বলে বাউন্ডারির পাশাপাশি স্ট্রাইক রোটেট করায় মনোযোগী হন তারা।

উইলিয়ামসন-মিচেলের ব্যাটেই দলীয় এক শ’, দেড় শ’, পরে দুই শ’ পার করে নিউজিল্যান্ড। এর মাঝে নিজেদের হাফ সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন দুজনই।

তবে অর্ধশত পার করার পরপরই আউট হয়ে যেতে পারতেন উইলিয়ামসন। ২৬তম ওভারের পঞ্চম বলে কুলদিপ যাদবের ঘুর্ণি ডেলিভারিটি লং অফের উপর দিয়ে উড়িয়ে মারতে চেয়েছিলেন কিউই অধিনায়ক। কিন্তু বল-ব্যাটের সংযোগ যুতসই না হওয়ায় সীমানার মধ্যেই ক্যাচ ওঠে। তবে বলটি দূরত্ব না পাওয়ায় ফিল্ডার পৌঁছাতে পারেননি। ফলে সে যাত্রায় বেঁচে যান তিনি। কিছু পর বুমরাহর একটু লাফিয়ে ওঠা বল সজোরে ব্যাট চালিয়ে লং অন অঞ্চল দিয়ে সীমানা ছাড়া করতে গিয়ে আউট হয়েই যাচ্ছিলেন তিনি। কিন্তু শর্টে ফিল্ড করা শামি ক্যাচটি হাতে রাখতে না পারলে আরও একবার জীবন পান উইলিয়ামসন।

সবকিছুর মাঝেও রানের চাকা সচল রেখেছিলেন উইলিয়ামসন ও মিচেল। দলীয় রান রেট ৬-এর উপরে রাখার কথা মাথায় নিয়েই ব্যাট চালাচ্ছিলেন তারা।

দলীয় রান দুই শ’ পার করার কিছুক্ষণ পর সেঞ্চুরির দেখা পান ড্যারিল মিচেল। ৮৫ বলে পাঁচটি ছক্কা ও আটটি চারের সাহায্যে শতক পূর্ণ করেন তিনি। এর মাধ্যমে বিশ্বকাপে কিউই ব্যাটার হিসেবে তৃতীয় দ্রুত শতক হাঁকান তিনি।

সেমিফাইনালে হারের কষ্টের মাঝে নিউজিল্যান্ডের একমাত্র সান্ত্বনা ড্যারিল মিচেলের অনবদ্য ১৩৪ রানের ইনিংসটি। ছবি: ক্রিকইনফো

তবে এর পরের বলেই দলকে ফের ব্রেকথ্রু এনে দেন শামি। ৩২তম ওভারে নিউজিল্যান্ডের তৃতীয় ও চতুর্থ উইকেটের পতন ঘটান তিনি। শামির ক্রস ডেলিভারিটি ব্যাকওয়ার্ড স্কয়ার লেগ অঞ্চল দিয়ে বের করতে চেয়েছিলেন উইলিয়ামসন, কিন্তু জোর না পাওয়ায় তা সীমানায় ক্যাচ হয়ে যায়। তিনি ৬৯ রানে সাজঘরে ফিরলে ১৮১ রানের জুটি ভাঙে। এর মাধ্যমে বিশ্বকাপে উইকেটের হাফ সেঞ্চুরি পূর্ণ করে অভিজাত বোলারদের তালিকায় স্থান করে নেন মোহাম্মদ শামি।

তবে তার পঞ্চাশ ছোঁয়া রেকর্ডটি একটু বিশেষই। কারণ ট্রেন্ট বোল্ট, লাসিথ মালিঙ্গা ও মিচেল স্টার্কের মতো বোলারদের টপকে মাত্র ১৭ ইনিংসে ৫০ উইকেট শিকার করেন তিনি।

এরপর টম ল্যাথাম ক্রিজে এসে প্রথম বলটি রক্ষাণাত্মক ভঙ্গিতে মোকাবিলা করেন। কিন্তু পরের বলেই লেগ বিফোরের ফাঁদে পড়ে প্যাভিলিয়নের পথ ধরেন তিনি। ফলে আরও একবার বিশ্বকাপে চার উইকেট নেয়ার কৃতিত্ব অর্জন করেন শামি।

মূলত এই দুই উইকেট হারিয়েই ব্যাকফুটে চলে যায় নিউজিল্যান্ড। প্রতিটি ডট ও এক রানের সঙ্গে রান রেট বেড়ে চলেছিল হু হু করে। গ্লেন ফিলিপসকে নিয়ে এই পরিস্থিতি থেকে যদিও বেরিয়ে আসার একটা প্রচেষ্টা করেছিলেন মিচেল, কিন্তু ৩৩ বলে ৪১ রান করে ফিলিপস সাজঘরে ফিরলে মাত্র দুই রান করে ফেরেন মার্ক চ্যাপম্যানও। ফলে রান তোলার চাপ কেবল বাড়তেই থাকে।

৪৪.১ ওভারে দলীয় তিন শ’ পার করে নিউজিল্যান্ড। জয়ের জন্য তাদের সামনে সমীকরণ তখন ৩৫ বলে ৯৮ রান।

এখান থেকে ব্যাটের গতি বাড়ান মিচেল। কিন্তু ৪৬তম ওভারে বলে এসে আবারও ভারতে জয়ের দিকে এগিয়ে দেন শামি। শামির বলে সীমান্তে ক্যাচ দিয়ে মাঠ ছাড়েন ড্যারিল মিচেল। ফলে তার ১১৯ বলে ১৩৪ রানের অসাধারণ ইনিংসটির সমাপ্তি ঘটার সঙ্গে সঙ্গে হতাশায় ডোবে নিউজিল্যান্ড।

শেষের দিকের ব্যাটাররা বুমরাহ, শামি ও সিরাজের তোপ সামলাতেই ব্যস্ত ছিলেন বেশি। শেষ পর্যন্ত ৪৪.১ ওভারে সবকটি উইকেট হারিয়ে ৩২৭ রানে থামে কিউইদের ইনিংস। ফলে ৭০ রানের বড় জয় পেয়ে প্রথম ফাইনালিস্ট বনে যায় ভারত।

৭০ রানের স্বস্তির জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে ভারত। ছবি: ক্রিকইনফো

এর আগে টস জিতে আগে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেন ভারতীয় অধিনায়ক রোহিত শর্মা। অধিনায়কের সে সিদ্ধান্তের পূর্ণ মূল্যায়ন করেছেন ব্যাটাররা। চার উইকেট হারিয়ে নিউজিল্যান্ডকে ৩৯৮ রানের লক্ষ্য দেয় ভারত।

ব্যাট হতে বিরাট কোহলি সর্বোচ্চ ১১৭ রান করেন। এছাড়া ঝড়ো সেঞ্চুরি হাঁকানো শ্রেয়াস আইয়ার করেন ১০৫, আহত হয়ে মাঠ ছাড়া শুভমান ৮০, রোহিত ৪৭ ও লোকেশ রাহুল ৩৯ রান করেন।

এদিন ব্যাটে নেমেই রূদ্রমুর্তি ধারণ করেন হিটম্যান রোহিত ও শুভমান গিল। চার-ছক্কার বন্যা বইয়ে দেন তারা।

দলীয় ৭১ রানের মাথায় যখন রোহিত টিম সাউদির বলে আউট হয়ে ফেরেন, তখন তার ব্যক্তিগত সংগ্রহ ২৯ বলে ৪৭ রান। এ রান করার পথে তিনি মারেন চারটি করে চার ও ছক্কার মার।

পরে কোহলিকে নিয়ে বড় জুটি গড়েন শুভমান। একপাশে তিনি সমানে ব্যাট চালিয়ে যাচ্ছিলেন, অন্যপ্রান্তে বোলারদের ডেলিভারি অনুযায়ী খেলছিলেন কোহলি। এর মাঝে ২৩তম ওভারে রান নিতে গিয়ে পড়ে যান শুভমান। পড়ে গিয়ে আহত হলে তাকে রিটায়ার করে মাঠ ছাড়তে হয়। তার আগে ৬৫ বলে ৭৯ রান করেন তিনি। ফলে সেঞ্চুরির পথে এগোতে থাকা এ ব্যাটারকে অপূর্ণতা নিয়েই মাঠ ছাড়তে হয়।

শুভমান প্যাভিলিয়নে ফিরলে ক্রিজে আসেন শ্রেয়াস আইয়ার। কোহলির সঙ্গে ইনিংসের সবচেয়ে বড় জুটিটি (১৬৩) গড়েন তিনি। এর মাঝে সেঞ্চুরি তুলে নেন বিরাট কোহলি। এই সেঞ্চুরির ফলে বিশ্বকাপের এক আসরে সর্বোচ্চ রান, সবচেয়ে বেশি পঞ্চাশোর্ধ্ব ইনিংস এবং ওয়ানডে ক্রিকেটের ইতিহাসে সর্বোচ্চ সংখ্যক সেঞ্চুরির কীর্তি গড়েন তিনি।

আজকের শতকের ফলে ওয়ানডে ক্রিকেটে শচীনকে ছাড়িয়ে গেছেন কোহলি। ছবি: ক্রিকইনফো

সেঞ্চুরির পর অবশ্য বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি তিনি। সাউদির লেংথ বল বেরিয়ে এসে ডিপ স্কয়ার লেগের ওপর দিয়ে খেলতে চেয়েছিলেন কোহলি। কিন্তু টাইমিং না হওয়ায় সীমানায় ডেভন কনওয়ের হাতে ধরা পড়ে সাজঘরে ফেরেন তিনি। ফেরার আগে ১১৩ বলে ১১৭ রানের ইনিংস খেলে যান।

এরপর লোকেশ রাহুলকে নিয়ে রান তোলার গতি বাড়ানোর চেষ্টায় মনোযোগী হন শ্রেয়াস। এর মাঝে ৬৭ বলে নিজের ঝড়ো সেঞ্চুরি তুলে নেন তিনি। এটি চলতি বিশ্বকাপে তার টানা দ্বিতীয় শতক। ৩৫ বলে প্রথম পঞ্চাশ করার পর পরের পঞ্চাশ তিনি তোলেন মাত্র ৩২ বলে।

টানা দুই ম্যাচে ঝড়ো শতক হাঁকালেন শ্রেয়াস আইয়ার। ছবি: ক্রিকইনফো

সেঞ্চুরির পর আরও মারমুখী হয়তে গিয়ে ১০৫ রানের মাথায় ফিরতে হয় শ্রেয়াসকে। ট্রেন্ট বোল্টের শর্ট ডেলিভারিতে স্ট্রেইট ফরওয়ার্ডে ছক্কা হাকাতে গিয়ে লং অনে ড‍্যারিল মিচেলের হাতে ধরা পড়েন তিনি। ফেরার আগে ৮টি ছক্কা ও চারটি চারের মার মারেন শ্রেয়াস।

এরপর রাহুলের ২০ বলে অপরাজিত ৩৯ রানের ক্যামিওতে নিউজিল্যান্ডকে ৩৯৮ রানের বিরাট লক্ষ্য দেয় ভারত।

কিউইদের হয়ে টিম সাউদি তিনটি ও ট্রেন্ট বোল্ট একটি উইকেট নেন।

এ বিভাগের আরো খবর