বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

পাকিস্তান ম্যাচের পুনরাবৃত্তি চেয়ে প্রথমার্ধে সফল আফগানিস্তান

নিয়ন্ত্রিত বোলিং ও ফিল্ডিংয়ে শ্রীলঙ্কাকে তিন বল হাতে রেখেই অল-আউট করে দিয়েছে আফগানিস্তান। লঙ্কানদের ২৪১ রানের বেশি করতে দেননি আফগান বোলাররা।

চলতি বিশ্বকাপে নিজেদের তৃতীয় ম্যাচে ইংল্যান্ডকে হারিয়ে তাক লাগিয়ে দিয়েছিল আফগানিস্তান। এরপর পাকিস্তানকে হারানোর পর আত্মবিশ্বাসের তুঙ্গে রয়েছেন রশিদ-নবীরা। তার প্রভাব দেখা গেল শ্রীলঙ্কার বিপক্ষেও। নিয়ন্ত্রিত বোলিং ও ফিল্ডিংয়ে শ্রীলঙ্কাকে তিন বল হাতে রেখেই অল-আউট করে দিয়েছে আফগানিস্তান। লঙ্কানদের ২৪১ রানের বেশি করতে দেননি আফগান বোলাররা।

এদিন টস জিতে শ্রীলঙ্কাকে আগে ব্যাট করতে পাঠান আফগান অধিনায়ক হাশমতুল্লাহ শহিদি। পাকিস্তানের বিপক্ষে আগে বল করে পরে ধৈর্য্যশীল ব্যাটিং করে যেভাবে জয় ছিনিয়ে নিয়েছিল, সেই পথ ধরে আজও এগোচ্ছে আফগানিস্তান। এ পরিকল্পনার প্রথম ভাগ সফলতার সঙ্গে উতরেছে তারা। এখন ব্যাটিংয়ে দৃঢ়তা দেখাতে হবে তাদের।

দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৬০ বলে ৪৬ রান করেছেন পাথুম নিশাঙ্কা। আফগানদের হয়ে ৩৪ রানে ৪ উইকেট শিকার করেছেন ফজলহক ফারুকি।

ব্যাটে নেমে সাবধানী শুরুর পরও দলীয় ২২ রানে প্রথম উইকেট হারায় শ্রীলঙ্কা। ষষ্ঠ ওভারের দ্বিতীয় বলে লেগ বিফোরের ফাঁদে পড়ে সাজঘরে ফিরতে হয় শ্রীলঙ্কান ওপেনার দিমুথ করুণারত্নেকে। ফজলহক ফারুকির ঘুর্ণি বুঝতে না পেরে স্লাইড করতে চেয়েছিলেন দিমুথ। কিন্তু ব্যাটে সংযোগ না হওয়ায় বল প্যাডে গিয়ে লাগে। শুরুতে আম্পায়ার আঙুল উঁচু না করলেও আফগানিস্তান রিভিউ নিয়ে সফল হয়।

এরপর অধিনায়ক কুশল মেন্ডিস এসে দ্বিতীয় উইকেটে স্থিরতা আনেন। ১৮.১তম ওভারে দলীয় ৮৪ রানে দ্বিতীয় উইকেট হারায় শ্রীলঙ্কা। আজমতউল্লাহ ওমরজাইয়ের শর্ট লেংথ ডেলিভারিটি মাথার উপর দিয়ে স্কয়ার কাট করতে চেয়েছিলেন নিশাঙ্কা। কিন্তু টপ এজ হয়ে উপরে উঠে গেলে দৌড়ে গিয়ে বলটি তালুবন্দি করেন রহমানুল্লাহ গুরবাজ।

যদিও বলটি ওয়াইড ডেলিভারি কি না, তা নিয়ে সংশয় ছিল। রিভিউও চান নিশাঙ্কা, কিন্তু সময় শেষ হয়ে যাওয়ায় তাকে ৬০ বলে ৪৬ রান করে ফিরে যেতে হয়।

তৃতয় উইকেটে ইনিংসের সবচেয়ে বড় জুটি গড়েন কুশল মেন্ডিস ও সাদিরা সামারাবিক্রমা। তবে পঞ্চাশ বলে ৩৯ রান করে কুশল আউট হলে ভাঙে ৫০ রানের জুটিটি। ২৮তম ওভারে মুজিবের চতুর্থ ডেলিভারিটি পড়তে ব্যর্থ হন লঙ্কান অধিনায়ক। ফলে স্লগ সুইপ করতে গিয়ে ডিপ-মিড উইকেটে ধরা পড়েন তিনি। এর পর থেকেই মূলত নিয়মিত উইকেট পড়া শুরু হয় শ্রীলঙ্কার।

নিজের পরের ওভারে, অর্থাৎ ত্রিশতম ওভারে সামারাবিক্রমাকেও ফেরান মুজিব। ওভারের প্রথম বলেই তাকে এলবিডব্লিউ আউট হয়ে যান ৪০ বলে ৩৬ রান করা সামারাবিক্রমা।

১৬৭ রানের মাথায় ধনঞ্জয় ডি সিলভাকে বোল্ড করেন রশিদ খান। ১৮০-তে ফারুকির বলে রশিদ খানকে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন আসালঙ্কা। ১৮৫-তে ১ রান করে রান আউট হয়ে যান চামিরা।

এরপর আরেকটি বড় জুটি গড়ার চেচষ্টা করেন অ্যাঞ্জেলো ম্যাথিউস ও মাহিসা থিকশানা। এই জুটিটি স্কোরবোর্ডে ৪৫ রান যুক্ত হওয়ার পর আউট হন থিকশানা। ফলে ৪৭ ওভার শেষে ৮ উইকেট হারিয়ে ২৩০ রান সংগ্রহ করে শ্রীলঙ্কা। এরপর ২৩৯ রানের মাথায় ফারুকি ম্যাথিউসকে ও পঞ্চাশতম ওভারের তৃতীয় বলে কাসুন রাজিথা রান আউট হয়ে গেলে ২৪১ রানে শেষ হয় লঙ্কানদের ইনিংস।

এ বিভাগের আরো খবর