চলমান বিশ্বকাপে নিজেদের ষষ্ঠ ম্যাচে রোববার ভারতের মুখোমুখি হচ্ছে ইংল্যান্ড। এর আগে পাঁচ ম্যাচ খেলে প্রতিটিতে জয় তুলে নিয়েছে ভারতীয়রা।
টানা পাঁচ জয়ে সেমিফাইনালে খেলার পথে এক পা দিয়ে রেখেছে স্বাগতিকরা। তাদের অর্জন ১০ পয়েন্ট। পয়েন্ট টেবিলের দুই নম্বরে রয়েছে দলটি। টানা জয় অব্যাহত রাখতেই আজ মাঠে নামবে ভারত।
অন্যদিকে পাঁচ ম্যাচ খেলে মাত্র একটিতে জয় পেয়েছে ইংল্যান্ড। প্রথম ম্যাচে নিউজিল্যান্ডের কাছে হারের পর বাংলাদেশের বিপক্ষে জয় পায় তারা, কিন্তু এরপর টানা তিন ম্যাচে হেরে বলতে গেলে সেমিফাইনালে খেলার আশা প্রায় শেষ তাদের। ইংলিশদের অর্জন দুই পয়েন্ট। টেবিলের ৯ নম্বরে তারা।
আত্মবিশ্বাসের তলানিতে ইংল্যান্ডের অবস্থান। শক্তিশালী ভারতের বিপক্ষে ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করবে তারাও। ফলে আজ লক্ষ্ণৌর মাঠে ভারত ও ইংল্যান্ডের মধ্যে মহাউত্তাপ ও উত্তেজনার একটি ম্যাচ দেখা যেতে পারে। বাংলাদেশ সময় বেলা আড়াইটায় দুই দলের ম্যাচটি শুরু হবে। এ ম্যাচের চলতি ধারাবিবরণী সরাসরি সম্প্রচার করবে বাংলাদেশ বেতার।
ভারতের বিপক্ষে বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে খেলার আশা জিইয়ে রাখার ম্যাচ ইংল্যান্ডের। অন্যদিকে আজ জয় পেলেও সেমিফাইনালে খেলা শতভাগ নিশ্চিত হবে না ভারতের, তবে এখনই শেষ চারের খেলা নিয়ে ভাবতে চান না ভারত দলের অধিনায়ক রোহিত শর্মা।
তিনি বলেন, ‘প্রথম পাঁচ ম্যাচ জিতে আমরা বেশ ভালো অবস্থায় আছি। আমরা এখনই সেমিফাইনাল নিয়ে ভাবছি না। আমাদের কাছে সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ হলো জয়ের ধারা অব্যাহত রাখা।’
টানা তিন ম্যাচ হেরে ইংল্যান্ড বিধ্বস্ত হলেও তাদের বিপক্ষে জয় পাওয়া সহজ হবে না বলে মনে করেন রোহিত শর্মা। তার ভাষ্য, ‘ইংল্যান্ডের বিপক্ষে জয় পাওয়া সহজ হবে না। হ্যাটট্রিক হারে বিধ্বস্ত হলেও জয়ের জন্য ক্ষুধার্ত হয়ে আছে ইংলিশরা। প্রতিপক্ষকে চাপে রাখতে হবে এবং আমাদের ভালো ক্রিকেট খেলতে হবে।’
এদিকে টানা ম্যাচে জয় তুলে নেয়া ভারতের বিপক্ষে জয় ছাড়া অন্য কিছুই ভাবছে না ইংল্যান্ড। দলের ওপেনার ডাউইড মালান বলেন, ‘দেয়ালে পিঠ ঠেকে গেছে আমাদের। ভারতের বিপক্ষে জিতলে সেমির আশা থাকবে। নয়তো শেষ হয়ে যাবে। কারণ নিউজিল্যান্ড ও অস্ট্রেলিয়া বেশ ভালো অবস্থায় আছে, কিন্তু তার আগে ভারতের বিপক্ষে আমাদের জিততে হবে। হারের বৃত্ত ভেঙে জয়ের ধারায় ফিরতে মরিয়া পুরো দল।’
এ পর্যন্ত ওয়ানডে ক্রিকেটে ১০৬ ম্যাচে পরস্পরের মুখোমুখি হয় ভারত ও ইংল্যান্ড। জয়ের পাল্লা ভারী ভারতের। ৫৭ ম্যাচে জিতেছে তারা। ইংল্যান্ডের জয় ৪৪ ম্যাচে। দুটি ম্যাচ টাই হয়েছে। অপর তিনটি পরিত্যক্ত হয়।
বিশ্বকাপের পরিসংখ্যানে অবশ্য এগিয়ে ইংল্যান্ড। অতীতে বিশ্বকাপে আটবার সাক্ষাৎ হয় দুই দলের। সেখানে ইংল্যান্ডের জয় চারটি ম্যাচে। ভারতের জয় তিনটিতে। একটি ম্যাচ টাই হয়।
গত বছরের জুলাইয়ে সর্বশেষ ওয়ানডে ম্যাচে মুখোমুখি হয় ভারত ও ইংল্যান্ড। তিন ম্যাচ সিরিজে সফরকারী ইংল্যান্ডকে ২-১ ব্যবধানে হারিয়েছিল ভারত। সব মিলিয়ে অতীত পরিসংখ্যানে দুই দলের অর্জন সমৃদ্ধ হলেও আজ মাঠের লড়াইয়ে মূল শক্তি দেখা যাবে দুই দলের।
চলমান বিশ্বকাপে এ পর্যন্ত পাঁচ ম্যাচের প্রতিটিতেই দাপুটে পারফরম্যান্স দেখিয়ে জিতেছে ভারত। বর্তমান ভারতীয় দলটির বিপক্ষে জয় পেতে হলে সর্বশক্তি দিয়ে সেরা ক্রিকেট খেলতে হবে; কোনো ভুল করা যাবে না।
অন্যদিকে হতাশায় পুড়তে থাকা ইংল্যান্ড ঘুরে দাঁড়াতে যা যা করা দরকার, সম্ভাব্য সব কিছুই করবে। দুই দলের ম্যাচটি যে বাড়তি উত্তাপ-উত্তেজনার ঝাঁজ ছড়াতে পারে, সেটি নিঃসন্দেহে বলা যায়।