বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

ডাচদের হারানোর লক্ষ্যেই মাঠে নামবেন সাকিবরা

  • চৌধুরী জাফরউল্লাহ শারাফাত   
  • ২৮ অক্টোবর, ২০২৩ ০৯:৪৮

কলকাতার ইডেন গার্ডেনসে শনিবার বাংলাদেশ সময় বেলা আড়াইটায় দুই দলের ম্যাচটি শুরু হবে। এই ম্যাচের চলতি ধারাবিবরণী সরাসরি সম্প্রচার করবে বাংলাদেশ বেতার।

বিশ্বকাপে নিজেদের ষষ্ঠ ম্যাচে আজ (শনিবার) নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে মাঠে নামবে বাংলাদেশ। এর আগে পাঁচ ম্যাচ খেলে চারটিতেই হেরেছে টাইগাররা। টেবিলে তাদের অর্জন মাত্র ২ পয়েন্ট।

অন্যদিকে নেদারল্যান্ডসও পাঁচ ম্যাচ খেলে মাত্র একটিতে জয় পেয়েছে। তাদের অর্জনও বাংলাদেশের সমান ২ পয়েন্ট। ফলে সেমিফাইনালে খেলার যে আশার আলো, কাগজে-কলমের হিসাবে সেটি এখনও নিভে যায়নি, কিন্তু বিশ্বকাপের পারফরম্যান্স বিবেচনায় দুই দলের সেমিফাইনালের খেলার স্বপ্ন মূলত শেষ হয়ে গেছে।

তাই সামনের ম্যাচগুলো থেকে কিছু প্রাপ্তিই হতে পারে তাদের বাড়ি ফেরার আনন্দের উপলক্ষ। ধারে-ভারে-অর্জনে নেদারল্যান্ডসের চেয়ে এগিয়ে বাংলাদেশ। তবে পিছিয়ে থাকলেও আজ জয়ের লক্ষ্যে মাঠে নামবে ডাচরা।

কলকাতার ইডেন গার্ডেনসে শনিবার বাংলাদেশ সময় বেলা আড়াইটায় দুই দলের ম্যাচটি শুরু হবে। এই ম্যাচের চলতি ধারাবিবরণী সরাসরি সম্প্রচার করবে বাংলাদেশ বেতার।

টানা চার ম্যাচ হেরে আত্মবিশ্বাস তলানিতে বাংলাদেশের। সেখান থেকে ঘুরে দাঁড়াতে হবে। এ জন্য গতকাল ম্যাচ-পূর্ব সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ দলের পেসার তাসকিন আহমেদ সবার কাছে দোয়া চেয়েছেন, যাতে বাজে অবস্থা থেকে বেরিয়ে আসতে পারেন তারা।

তাসকিন মনে করেন, এখনও সেমিফাইনালে খেলার আশা শেষ হয়ে যায়নি তাদের। হাতে যে চারটি ম্যাচ রয়েছে, জিততে পারলে সুযোগ হবে। অনেক কিছুই ঘটতে পারে। নেদারল্যান্ডসের পর অস্ট্রেলিয়া, পাকিস্তান ও শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে খেলবে বাংলাদেশ।

আজ ডাচদের হারিয়ে দিতে পারলে ওই মোমেন্টাম কাজে লাগিয়ে বাকি তিন ম্যাচে সফল হতে চাইবে টাইগাররা। তাই ম্যাচ ধরে ধরে এগোতে চায় তারা। প্রতিটি ম্যাচে ভালো ফল করতে চান তাসকিনরা।

বিশ্বকাপে ব্যাটিং ও বোলিংটা প্রত্যাশা অনুযায়ী হচ্ছে না। প্রতি ম্যাচেই ব্যাটারদের অসহায়ত্ববোধ দেখা যাচ্ছে। বাজে বলে আউট হচ্ছেন। উইকেট ধরে রেখে খেলতে পারছেন না। যে উইকেটে অন্য ব্যাটাররা নৈপুণ্য দেখিয়ে যাচ্ছেন, সেখানে পুরোপুরি উল্টো রথে বাংলাদেশের ব্যাটাররা।

তাসকিন মনে করেন, ব্যাটিংয়ে আরও ভালো করার সুযোগ রয়েছে। ভালো করার সামর্থ্য রয়েছে বাংলাদেশের। গত ম্যাচে মাহমুদউল্লাহ সেঞ্চুরি হাঁকিয়েছেন। মুশফিকও ভালো করছেন। এটি স্বস্তির বিষয় হলেও টপ অর্ডারে ব্যর্থতা কাটিয়ে উঠতে পারছে না বাংলাদেশ। ফলে বড় স্কোর হচ্ছে না।

অন্যদিকে বোলিংয়েও বিবর্ণ বাংলাদেশ দল। পাওয়ার প্লেতে কার্যকরি বোলিং পারফরম্যান্স দেখাতে পারছে না দল। প্রতিপক্ষ ব্যাটাররা প্রচুর রান তুলছেন। বাংলাদেশের বিপক্ষে বড় স্কোর হচ্ছে। গত ম্যাচে খেলতে পারেননি দলের সেরা পেসার তাসকিন আহমেদ। কাঁধের ব্যথা ছিল তার, তবে এই ব্যথা ম্যানেজ করেই আজ মাঠে নামবেন তিনি।

আশা করা হচ্ছে, কলকাতার মাঠে বোলিং বিভাগে জ্বলে উঠতে পারে বাংলাদেশ। এই দুই বিভাগে ভালো করতে পারলে স্বরূপে ফিরতে পারে টাইগাররা।

এদিকে, অস্ট্রেলিয়ান বংশোদ্ভূত স্কট অ্যাডওয়ার্ডসের নেতৃত্বে খেলছে নেদারল্যান্ডস। এরই মধ্যে দক্ষিণ আফ্রিকার মতো দলকে হারিয়ে রূপকথার জন্ম দিয়েছে দলটি। এটি তাদের জন্য বড় অনুপ্রেরণার। ফলে আজকের ম্যাচেও জয় পাওয়ার চেষ্টা করবে দলটি, তবে দক্ষিণ আফ্রিকা ম্যাচ ছাড়া বাকি ম্যাচগুলোয় অতটা লড়াকু ক্রিকেট খেলতে পারেনি ডাচরা। এটি বাংলাদেশের জন্য ইতিবাচক দিক।

বাংলাদেশের মতো স্পিন শক্তিতেও এগিয়ে রয়েছে নেদারল্যান্ডস। পেস ইউনিটের পাশাপাশি স্পিনাররাও বেশ কার্যকর ভূমিকা রাখছে। এটিই ডাচদের এগিয়ে দিচ্ছে। তাদের ব্যাটিংও বড় চ্যালেঞ্জের হতে পারে। কেননা ভারতের যে স্পোর্টিং উইকেটে খেলা হচ্ছে, এমন উইকেটে খেলে অভ্যস্ত তাদের ব্যাটাররা। তাদের বেশ কয়েকজন ক্রিকেটার আন্তর্জাতিক মানের। তারা ম্যাচে পার্থক্য গড়ে দিতে পারেন।

অলরাউন্ডার ডি লিড বল ও ব্যাট হাতে ম্যাচের মোড় ঘুরিয়ে দিতে সক্ষম। সব মিলিয়ে আজকের ম্যাচে বাংলাদেশের সামনে কঠিন প্রতিপক্ষ হয়েই দাঁড়াতে পারে নেদারল্যান্ডস।

আশা করছি, এ ম্যাচে ডাচ-পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে জয়ে ফিরবে বাংলাদেশ এবং টুর্নামেন্টে প্রাণ ফিরে পাবে বাংলাদেশের ক্রিকেট।

এ পর্যন্ত ওয়ানডে ক্রিকেটে মাত্র দুটি ম্যাচে পরস্পরের মুখোমুখি হয়েছে বাংলাদেশ ও নেদারল্যান্ডস। দুই দলই একটি করে ম্যাচে জিতেছে। ২০১১ সালের বিশ্বকাপে চট্টগ্রামে নেদারল্যান্ডসকে ৬ উইকেটে হারিয়েছিল টাইগাররা। এর আগে ২০১০ সালে দুই দলের প্রথম সাক্ষাতে ৬ উইকেটেই জিতেছিল ডাচরা।

এ বিভাগের আরো খবর