বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

দুর্দান্ত দক্ষিণ আফ্রিকার সামনে আত্মবিশ্বাসী বাংলাদেশ

  • চৌধুরী জাফরউল্লাহ শারাফাত   
  • ২৪ অক্টোবর, ২০২৩ ০৯:২৮

দুই দলের ম্যাচটি বাংলাদেশ সময় বেলা আড়াইটায় শুরু হবে। এই ম্যাচের চলতি ধারাবিবরণী সরাসরি সম্প্রচার করবে বাংলাদেশ বেতার।

ওয়ানডে বিশ্বকাপে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ দলীয় স্কোরের রেকর্ড কত? জানি, অনেকের মনে নেই। স্মরণ করিয়ে দিচ্ছি- ২০১৯ সালের বিশ্বকাপ আসরে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ৮ উইকেট হারিয়ে ৩৩৩ রান করেছিল বাংলাদেশ। এটাই এখন পর্যন্ত বাংলাদেশের দলীয় সর্বোচ্চ স্কোরের রেকর্ড। এ পর্যন্ত বিশ্বকাপে চারবার তিনশর বেশি স্কোর গড়েছে বাংলাদেশ দল। এর মধ্যে গত বিশ্বকাপেই দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ৬ উইকেট হারিয়ে ৩৩০ রানের স্কোর গড়েছিলেন সাকিবরা। ওই ম্যাচে ২১ রানে জিতেছিল বাংলাদেশ। সাকিব আল হাসান হয়েছিলেন ম্যান অফ দ্য ম্যাচ। ওই তরতাজা সুখস্মৃতি নিয়ে চার বছরের ব্যবধানে বিশ্বকাপের মঞ্চে আজ আবারও পরস্পরের মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ ও দক্ষিণ আফ্রিকা। এবার দুর্দান্ত পারফরম্যান্স দেখিয়ে যাচ্ছে আফ্রিকানরা। চলতি আসরে চার ম্যাচ খেলে তিনটিতে জয় তুলে নিয়েছে তারা। সর্বশেষ ম্যাচে ইংল্যান্ডকে ২২৯ রানের ব্যবধানে হারিয়েছে বাভুমার দল। অন্যদিকে চার ম্যাচে বাংলাদেশের জয় মাত্র একটি। বিশ্বকাপে নিজেদের প্রথম ম্যাচে জয়ের পর টানা তিন ম্যাচে হেরেছে বাংলাদেশ। এই হতাশা কাটিয়ে উঠতে মাঠে নামবে টাইগাররা।

দুই দলের ম্যাচটি বাংলাদেশ সময় বেলা আড়াইটায় শুরু হবে। এই ম্যাচের চলতি ধারাবিবরণী সরাসরি সম্প্রচার করবে বাংলাদেশ বেতার।

এ পর্যন্ত বিশ্বকাপে মোট চারবার পরস্পরের মুখোমুখি হয়েছে বাংলাদেশ ও দক্ষিণ আফ্রিকা। দুই দলই দুটি করে ম্যাচ জিতেছে। অতীত পরিসংখ্যানে দুই দল সমানে সমান হলেও বর্তমান পারফরম্যান্সের ব্যবধান কিন্তু অনেক। কেননা বিশ্বকাপে দুর্দান্ত খেলছে দক্ষিণ আফ্রিকা দলটি। যে চার ম্যাচ খেলেছে তারা, এর মধ্যে নেদারল্যান্ডস ম্যাচ ছাড়া বাকি তিনটিতেই বেশ দাপট দেখিয়ে জিতেছে প্রোটিয়ারা। তাদের বিস্ফোরক ব্যাটিং আর বিধ্বংসী বোলিং নজর কাড়ছে সবার। এই দক্ষিণ আফ্রিকা দলের বিপক্ষে ম্যাচটি বাংলাদেশের জন্য কঠিনই হতে যাচ্ছে, তবে দক্ষিণ আফ্রিকানদের বিপক্ষে বাংলাদেশের বড় অনুপ্রেরণা হলো গত বছর ওয়ানডে সিরিজের জয়ের সাফল্য। দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে গিয়ে তিন ম্যাচে ওয়ানডে সিরিজ ২-১ ব্যবধানে জিতে আসে বাংলাদেশ। ওই সিরিজ জয়ের অভিজ্ঞতা আজকের ম্যাচে কাজে লাগতে পারে। এ ছাড়া এক ম্যাচ আগেই উড়তে থাকা দক্ষিণ আফ্রিকাকে মাটিতে নামিয়ে দেয় অপেক্ষাকৃত কম শক্তির দল নেদারল্যান্ডস। অঘটনের জন্ম দেয়া ডাচদের কাছ থেকেও অনুপ্রেরণা পেতে পারে বাংলাদেশ। অবশ্য সর্বশক্তি দিয়ে লড়াইয়ের জন্য প্রস্তুত টাইগাররা। সেমিফাইনালের আশা জিইয়ে রাখতে হলে আজ তাদের জয়ের বিকল্প নেই। আর একটি জয়ই বদলে দিতে পারে বাংলাদেশকে। পরবর্তী ম্যাচগুলোর জন্য হতে পারে আত্মবিশ্বাসের জ্বালানি। তাই জয়ের লক্ষ্যে অটুট থেকে নিজেদের সেরা ক্রিকেট খেলে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে মাঠে লড়াই করবে বাংলাদেশ।

ভারতের বিপক্ষে গত ম্যাচে বাঁ পায়ের ঊরুতে চোটগ্রস্ত হওয়া সাকিব আল হাসান খেলেননি। তাকে নিয়ে বাড়তি ঝুঁকি নিতে চায়নি টিম ম্যানেজমেন্ট। দলের সেরা পেসার তাসকিন আহমেদও ড্রেসিংরুমে বসে বসে সময় কাটান। আজকের ম্যাচে সাকিব ফিরতে পারেন। কিন্তু তাসকিনের খেলার ব্যাপারটি এখনও খোলাসা হয়নি। সাকিব ফিরলে দলে স্বস্তি ফিরবে। স্বস্তি ফিরতে পারে ব্যাটিংয়েও। ১০ ওভার বোলিং করার পাশাপাশি ব্যাট হাতেও অনবদ্য সাকিব। বিশ্বসেরা অভিজ্ঞ এই অলরাউন্ডারই ম্যাচে পার্থক্য গড়ে দিতে পারেন। কীভাবে, কী কৌশলে দক্ষিণ আফ্রিকাকে ব্যর্থ করতে হবে, সেটি সাকিব ভালো করে জানেন। দক্ষিণ আফ্রিকার যেমন শক্তিশালী ব্যাটিং, তেমনি ধারালো বোলিং অ্যাটাক। তাদের বিপক্ষে লড়তে হলে কৌশলে নতুনত্ব আনতে হবে। অধিনায়ক সাকিবের পক্ষেই এটা সম্ভব। আজ ওয়াংখেড়ের উইকেটে পেসারদের চেয়ে স্পিন শক্তি দিয়েই এগিয়ে যেতে পারে বাংলাদেশ, তবে এখনও সেরা ব্যাটিং পারফরম্যান্স দেখাতে পারছে না তারা। টানা তিন ম্যাচে হতাশ হওয়ার পর উদ্বোধনী জুটি থেকে গত ম্যাচে রেকর্ড ৯৩ রান এসেছে। লিটন ৬৬ ও নতুন তামিম ৫১ রানের ইনিংস খেলেন। উদ্বোধনী জুটি স্বস্তি দিলেও অন্য ব্যাটাররা নিজেদের প্রত্যাশিতভাবে ফুটিয়ে তুলতে পারছেন না। বাজে শট খেলে আউট হয়ে যাচ্ছেন। তাদের দক্ষতার অভাব দেখা যাচ্ছে। ভুল-ভ্রান্তি হচ্ছে অনেক। দলীয় সাফল্যের জন্য ভুল ‍শুধরে হতাশা কাটিয়ে নিজেদের প্রমাণ করতে হবে ব্যাটারদের। এটা সত্য যে, দক্ষিণ আফ্রিকার বিধ্বংসী বোলিংয়ের সামনে কঠিন পরীক্ষাই দিতে হবে তাদের। অন্যদিকে ওয়াংখেড়ের উইকেটে বড় স্কোর হয়। এখন পর্যন্ত বিশ্বকাপে বাংলাদেশ বড় স্কোর গড়তে পারেনি। আজ তাদের সামনে দারুণ সুযোগ, তবে ওয়াংখেড়ের মাঠে খেলতে নেমে গরমের সঙ্গেও লড়াই করতে হবে ক্রিকেটারদের। জানা যায়, সেখানকার যে তাপামাত্রা, তাতে মরুভূমির গরমের মতোই নাকি অনুভূত হয়। প্রচণ্ড গরম সহ্য করে খেলতে হবে তাদের। আশা করা হচ্ছে, মাঠের লড়াইয়ে বাংলাদেশ ও দক্ষিণ আফ্রিকার মধ্যে প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ সুন্দর একটি উপভোগ্য ম্যাচই হবে- এমন প্রত্যাশা সবার।

এ বিভাগের আরো খবর