উদ্বোধনী জুটিতে রহমানুল্লাহ গুরবাজ ও ইব্রাহিম জাদরান যে শক্ত ভিত গড়ে দিয়েছিলেন, সেটিকে আরও মজবুত করতে যথাসাধ্য চেষ্টা করেছেন ব্যাট হাতে ক্রিজে যিনি এসেছেন তিনিই। ব্যাটারদের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় ইংলিশদের ২৮৫ রানের বড় লক্ষ্য দিয়েছে আফগানিস্তান। এখন শক্তিশালী ইংলিশ ব্যাটারদের সামনে আফগান বোলারদের নিজেদের কাজটি করে দেখানোর পালা।
টস জিতে আফগানদের আগে ব্যাট করতে পাঠান জস বাটলার। টস জিতলে ইংল্যান্ড যে আফগানদের আগে ব্যাটে নামাবে, সেটা ক্রিকেট বোঝা বেশিরভাগ মানুষই জানতো। আফগানদের অল্প রানে আটকে পরে দ্রুত ব্যাট চালিয়ে নেট রান রেটটা উঠিয়ে নেয়াই ছিল ইংলিশদের লক্ষ্য। তবে তাদের সে আশার গুড়ে বালি দিয়েছেন গুরবাজরা।
ব্যাট করতে নেমেই আক্রমণাত্মক ব্যাটিংয়ে ইংলিশ বোলারদের কোনো পরিকল্পনা বাস্তবায়নের সুযোগই দেননি রহমানুল্লাহ গুরবাজ ও ইব্রাহিম জাদরান। ঝড়ো ব্যাটিংয়ে প্রথম পাওয়ার প্লেতে ৭৯ রান তোলে এই জুটি।
১৭তম ওভারে ১১৪ রানের মাথায় ইব্রাহিম জাদরান ফিরে গেলে তৃতীয় ব্যাটার হিসেবে নামা রহমত শাহও বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি। ৩ রান করে আউট হয়েছেন তিনি। রহমত শাহকে আউট করার পরের বলেই আউট হন আরেক ওপেনার গুরবাজ। ৫৭ বলে ৮০ রান করে তিনি ফিরে যাওয়ার সময় ১২২ রানে তিন উইকেট হারায় আফগানিস্তান।
সে সময় মনে হচ্ছিল, এই বুঝি শুরু হলো ইংলিশ বোলারদের দাপট। কিছু সময়ের জন্য হয়েছিলও তা। রানের গতি তখন শ্লথ হয়ে আসে। কিছু পর ২৪ বলে ১৯ করে বিদায় নেন আজমতউল্লাহ ওমরজাই। পরে হাশমতউল্লা শহিদি; ৩৬ বলে ১৯ রান করে প্যাভিলিয়নে ফেরেন তিনি। শহিদি আউট হওয়ার পর মাত্র ৯ রান করে আউট হন মোহাম্মদ নবি।
তবে এমন শোচনীয় বাটিং বিপর্যয় থেকে আফগানিস্তানকে টেনে তোলেন ইকরাম আলিখিল ও রশিদ খান। দুজনে দেখেশুনে খেলতে থাকেন। দুজনে ৪৩ রানের জুটি গড়ে ২২ বলে ২৩ রান করে বিদায় নেন রশিদ। হাতে আর ৫.৫ ওভার বাকি থাকায় এসেই আক্রমণাত্মক ব্যাটিং শুরু করেন মুজিবুর রহমান। এর মাঝে ইকরাম ৬৬ বলে ৫৮ রান করে ফিরলে পরের বলে আউট হন ১৬ বলে ২৮ রান করা মুজিবুর।
শেষ উইকেট জুটির জন্য ১১ বল বাকি থাকলেও এক বল বাকি থাকতেই আউট হন নাভিনুল হক। ৬ বলে ৫ রান করে নাভিনুল রান আউটের শিকার হলে ২৮৪ রানে অল আউট হয়ে যায় আফগানিস্তান।
ইংল্যান্ডের হয়ে সর্বোচ্চ ৩ উইকেট নিয়েছেন আদিল রশিদ। ২টি উইকেট পেয়েছেন মার্ক উড। আর একটি করে উইকেট নিয়েছেন রিস টপলি, জো রুট ও লিয়াম লিভিংস্টোন।