৬, ৪, ২, ৪, ১২, ২, ২- এই হচ্ছে ক্রম অনুযায়ী পাকিস্তানের শেষ সাত ব্যাটারের ব্যক্তিগত স্কোর। ভালো শুরুর পরও ব্যাটিং ব্যর্থতায় ইনিংস বড় করতে পারেননি পাকিস্তানি ব্যাটাররা। শুরুর চার ব্যাটারের ব্যাট থেকে রান এলেও ভারতীয় বোলারদের দুর্দান্ত পারফরম্যান্সে পরে নামে ব্যাটিং ধ্বস। আর তাতেই ১৯১ রান করে অল আউট হয়ে গেছে পাকিস্তান।
আব্দুল্লাহ শফিক ও ইমামুল হকের ধৈর্যশীল শুরুর পর বাবর আজম ও মোহাম্মদ রিজওয়ানের ব্যাটে বড় সংগ্রহের পথে এগোচ্ছিল পাকিস্তান। কিন্তু এই চার ব্যাটার আউট হয়ে গেলে ভারতীয় বোলারদের সামনে আর কেউ দাঁড়াতেই পারেনি। এর পর নবম ব্যাটার হাসান আলী শুধু নিজের রান দুই অঙ্কের ঘরে নিতে পেরেছেন। বাকিদের অবস্থা আরও শোচনীয়।
দলের হয়ে অধিনায়ক বাবর আজম সর্বোচ্চ রানের ইনিংস খেলেছেন। রিজওয়ান ৪৯ রানে আউট হন। ইমামুল ৩৬ ও আব্দুল্লাহ শফিক ২০ রানে আউট হয়েছেন।
টস হেরে ভারতের সিদ্ধান্ত মোতাবেক আগে ব্যাট করতে নেমে পাকিস্তানকে এদিন ভালো শুরু এনে দেন আব্দুল্লাহ শফিক ও ইমামুল হক। উদ্বোধনী জুটিতে তারা দুজনে মিলে যোগ করেন ৪১ রান।
অষ্টম ওভারের শেষ বলে সিরাজের গুড লেংথের ডেলিভারিতে ফ্লিক করতে গিয়ে ইনসাইড এজ হয়ে আউট হন ২৪ বলে ২০ রান করা আব্দুল্লাহ শফিক। এর কিছুক্ষণ পর ফিরে যান ইমামুলও। হার্দিকের ফুল লেংথের ডেলিভারিতে ড্রাইভ করতে গিয়ে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দেন পাকিস্তানের এই ব্যাটার।
দলীয় ৭৬ রানে দুই উইকেট পড়লে ইনিংসের হাল ধরেন বাবর ও রিজওয়ান। প্রতিটি বলের প্রতি সুবিচার করে ডট, এক-দুই ও চারের সাহায্যে রানের চাকা সচল রাখেন তারা। তবে হাফ সেঞ্চুরি তুলে নেয়ার পরই ধৈর্য্য হারান বাবর। সিরাজের বলে বোল্ড হয়ে যান তিনি।
এর পর পাকিস্তানের ব্যাটিংয়ে ধ্বস নামে। রিজওয়ান একপাশ আগলে রাখলেও শেষপর্যন্ত তিনিও ফিরেছেন বোল্ড হয়ে। বুমরাহর বলে ব্যক্তিগত ৪৯ রানের মাথায় ফিরে যান তিনি। আর দলীয় শেষ ৩৬ রান সংগ্র করতে গিয়ে ৮ উইকেট হারায় পাকিস্তান। শেষমেষ ৪২.৫ ওভারে ১৯১ রানে গুটিয়ে যায় পাকিস্তানের ইনিংস।
এদিন পেস ও স্পিন, দুই বিভাগেই নজরকাড়া বল করেছেন ভারতীয় বোলাররা। ফলও পেয়েছেন তোমনভাবেই। দুই ওভার বল করা শার্দুল ঠাকুর ছাড়া বাকি পাঁচ বোলারই পেয়েছেন দুটি করে উইকেট। এদের মধ্যে জসপ্রিম বুমরাহ ইকোনোমি রেট ছিল চোখে পড়ার মতো। সাত ওভার বল করে মাত্র ১৯ রান দিয়েছেন তিনি।