বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

তামিমকে মিডল অর্ডারে খেলার প্রস্তাবে কি দোষের কিছু আছে: সাকিব

  • নিউজবাংলা ডেস্ক   
  • ২৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৩ ১০:১০

তামিমের ব্যাটিং অর্ডার নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে সাকিব বলেন, ‘আমি যেটা বললাম যে, এটা নিয়ে আমার কোনো ডিসকাশনই হয় নাই। তো এই প্রশ্ন কোথা থেকে আসছে, আমি জানি না। আর যদি এ রকম কেউ বলে থাকে, আমি শিউর, এ রকম কেউই বলছে যে হয়তো অথরাইজ মানুষ এবং এটা আগে থেকেই আলাপ করে নিয়ে রাখছিল যাতে করে সেটা জানা থাকলে দুই পক্ষের জন্যই ভালো হয়। এখন এ রকম বলাতে আমি খারাপ কিছু আছে আমি তো মনে করি না।’

মিডল অর্ডার বা লোয়ার অর্ডারে খেলা নিয়ে জাতীয় ক্রিকেট দলের ওপেনার তামিম ইকবালের সঙ্গে কোনো আলোচনা হয়নি জানিয়ে এ ধরনের প্রস্তাবে দোষের কিছু আছে কি না, সে প্রশ্ন তুলেছেন অধিনায়ক সাকিব আল হাসান।

ক্রীড়াবিষয়ক চ্যানেল টি স্পোর্টসকে দেয়া সাক্ষাৎকারে সাকিব এ প্রশ্ন করেন। সাক্ষাৎকারটি টি স্পোর্টসের ইউটিউব চ্যানেলে প্রচার করা হয় বুধবার রাতে।

সাক্ষাৎকারগ্রহীতা সাকিবকে প্রশ্ন করেন, ‘এই মুহূর্তে পুরো বাংলাদেশের ক্রিকেটে যে বিষয়টা চাউর হয়ে গেছে এবং পুরো বাংলাদেশের সমর্থকরা যেটি বিশ্বাস করে বসেছে, গত দুদিন ধরে এবং যে জায়গাতে সাকিব আল হাসান, এ নামটিও বিভিন্নভাবে সমালোচিত হচ্ছে, সেই একটি বিষয়ের শিরোনাম হচ্ছে তামিম ইকবালকে দল থেকে সরিয়ে দেয়ার পেছনের কারিগর বা কান্ডারি সাকিব আল হাসান। এ ব্যাপারে আপনি কীভাবে অ্যাড্রেস করছেন?’

জবাবে বাংলাদেশ দলের অধিনায়ক বলেন, ‘প্রথম কথা হচ্ছে যে, আমি অন্তত যখন থেকে বাংলাদেশ আন্ডার ফিফটিন থেকে খেলা শুরু করছি, একটা জিনিস আমি খুব ভালোভাবে দেখে আসছি যে, যে প্লেয়ারটা ভালো করছে, যে প্লেয়ারটা দলের জন্য কন্ট্রিবিউট করছে, এই প্লেয়ারকে বাংলাদেশ কখনোই কোনোদিনও বাদ দেয় নাই; কোনোদিনও না। আমি যদি সিম্পল একটা উদাহরণ দিই, মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ ভাই, উনি ছিলেন না। হঠাৎ করে ওয়ার্ল্ড কাপ দলে আসলেন। একটা সিরিজ খেললেন। এখানে হয়তো ওইভাবে কন্ট্রিবিউট করতে পারেননি, যতটা করা উচিত ছিল।

‘আমি মনে করি, পারসোনালি আমি মনে করি যে, উনার আরও ক্যাপাবিলিটি আছে, আরও ভালো করা উচিত ছিল। যে দুইটা ম্যাচ খেলেছে, দুইটা ম্যাচেই। উনার ওই সুযোগটা ছিল এবং উনার জন্য পারফেক্ট স্টেজ ছিল যে অনেক ভালো কিছু করার। যেটা আমার কাছে মনে হয়েছে, সেটা সে করতে পারেনি, বাট তার যে ডেডিকেশন ছিল, তার যে টিমের প্রতি একটা দায়বদ্ধতা ছিল, তার যে দলের হয়ে খেলার একটা ইচ্ছা ছিল, সবকিছু সবাই দেখতে পেরেছে। সো আপনার ডিফরেন্স আছে। আর আমার তো দায়িত্ব না পুরা টিমটা সিলেক্ট করা। এটা যদি হতো তাহলে তো এশিয়া কাপের এক দিন আগে ক্যাপ্টেন অ্যানাউন্স (ঘোষণা) করেই টিম দিয়ে দিতে পারত।’

দলে খেলোয়াড় বাছাই নিয়ে বাংলাদেশের দলপতি বলেন, ‘এটা অনেক প্রসেসের ভেতর দিয়ে যেতে হয়। অনেক জিনিস চিন্তা করতে হয়, অনেক ফ্যাক্ট চিন্তা করতে হয়। নট অনলি আপনার মাঠের পারফরম্যান্স; মাঠ, মাঠের বাইরে, ড্রেসিং রুম, টিম মিটিং, অ্যাটমোস্ফেয়ার (পরিবেশ), অনেক কিছু আসলে চিন্তা করে আসলে আপনার টিমটা করতে হয়। যদিও আমি বলতেছি না যে, সবকিছুতে আমি ইনভলভ (যুক্ত)। কারণ আমার কাছে মনে হয় এখন আমি খুবই কম ইনভলভ এগুলোতে।’

ওই বক্তব্যের পর সাক্ষাৎকারগ্রহীতা সাকিবের উদ্দেশে বলেন, ‘তামিম ইকবালকে নাকি বলা হয়েছিল প্রথম ম্যাচটা তিনি তিনি খেলতে পারবেন না এবং যদি খেলেন তাহলে তাকে মিডল অর্ডার বা লোয়ার মিডল অর্ডারে খেলতে হতে পারে। এমন কোনো প্রস্তাবনা (প্রস্তাব) কি আপনার তরফ থেকে বা দলের তরফ থেকে তার প্রতি দেয়া হয়েছিল কি না?’

জবাবে সাকিব বলেন, ‘আমি যেটা বললাম যে, এটা নিয়ে আমার কোনো ডিসকাশনই হয় নাই। তো এই প্রশ্ন কোথা থেকে আসছে, আমি জানি না। আর যদি এ রকম কেউ বলে থাকে, আমি শিউর, এ রকম কেউই বলছে যে হয়তো অথরাইজ মানুষ এবং এটা আগে থেকেই আলাপ করে নিয়ে রাখছিল যাতে করে সেটা জানা থাকলে দুই পক্ষের জন্যই ভালো হয়। এখন এ রকম বলাতে আমি খারাপ কিছু আছে আমি তো মনে করি না। এটা তো কেউ কারও খারাপের জন্য বলবে না আমি শিউর। আমি শিউর যে এই কথাটি বলে থাকে, সে টিমের কথা চিন্তা করেই বলেছে যে, এ রকম যদি আমরা কম্বিনেশন করি, এ রকম যদি আমরা চিন্তা করি…দেয়ার আর সো ম্যানি থিংস যে এগুলা ইনভলভড হয় একটা ম্যাচকে কেন্দ্র করে যে, আপনি এ রকম কম্বিনেশন বানালে কী হতো, এ রকম কম্বিনেশন বানালে কী হয়, এ রকমভাবে গেলে কী হয়।

‘সো ওই হিসেবে যদি কেউ চিন্তা করে আগে থেকেই ক্ল্যারিফাই করে রাখতে চায়, আমার তো মনে হয় না যে, আলোচনার কোনো দোষের আছে এবং এটা প্রস্তাব যদি কেউ দিয়ে থাকে, এটাতে কি কোনো দোষের কিছু আছে? নাকি এ রকম কোনো প্রস্তাবই দেয়া যাবে না যে, একজনকে আমি বলব যে, ওকে ইউ ডু হোয়াটএভার ইউ ওয়ান্ট (তোমার যা ইচ্ছা করো)। টিম আগে না কোনো ইন্ডিভিজ্যুয়াল আগে?’

এর আগে বুধবার বিকেলে নিজের ভেরিফায়েড অ্যাকাউন্টে ভিডিওবার্তা দেন তামিম। বিশ্বকাপে বাংলাদেশ দল থেকে তার বাদ পড়া নিয়ে আলোচনার মধ্যে ওই ভিডিওবার্তায় তিনি বলেন, ‘আমি কোনো সময় কোনো মুহূর্তে বলি নাই যে, আমি পাঁচটা ম্যাচের বেশি খেলতে পারব না। এ কথা কোনো সময় হয় নাই। এটা মিথ্যা ও ভুল কথা। কে করছে এটা আমি জানি না। এটা মিথ্যা কথা।’

তামিম বলেন, ‘আমি বলেছিলাম যে দেখেন, আমার বডিটা এ রকমই থাকবে। এটা মাথায় রেখে সিলেক্ট করবেন।’

এই ক্রিকেটার বলেন, ‘ক’দিন ধরে যা ঘটছে, তা সবার জানা উচিত। সবাই জানেন আমি রিটায়ার করি। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে ফিরে আসি। এরপর আমি প্রচণ্ড কষ্ট করি।

‘আমি সব এক্সারসাইজই করেছি। আপনারা বুঝতে পারবেন এটা আসলে সহজ জিনিস না।’

তিনি বলেন, ‘আমার কাছে মনে হয়েছে আমাকে কোথাও বাধা দেয়া হচ্ছে। সাত-আটটা কাহিনি হয়েছে।’

দর্শকদের উদ্দেশে ভিডিওবার্তার শেষে তামিম আবেগাপ্লুত হয়ে বলেন, ‘আপনারা আমাকে ভুলে যাবেন না, মনে রাইখেন।’

এ বিভাগের আরো খবর