এশিয়া কাপের নিজেদের প্রথম ম্যাচে টস জিতে আগে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেয় বাংলাদেশে। কিন্তু শ্রীলঙ্কার বোলিং তোপে শুরুতেই বিপাকে পড়েছে বাংলাদেশ। ব্যাটিংয়ের শুরুতে সাকিবসহ ৩ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে টাইগার বাহিনী। তবে নাজমুল নাজমুল হোসেন শান্তর অর্ধশতকে ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টায় থাকা লাল সবুজের দল তাওহিদ হৃদয়ের আউটে পুনরায় ব্যাক ফুটে চলে গেছে।
ব্যাট করতে নামা বাংলাদেশের হয়ে শুরুটা করেন অভিষিক্ত তানজিদ হাসান তামিম ও নাঈম শেখ। ইনজুরিতে থাকা তামিম ইকবালের জাগায় সুযোগ দলে সুযোগ পেয়েছেন তানজিদ হাসান তামিম। তবে এই ওপেনার বাংলাদেশের হয়ে অভিষেকটা রাঙাতে পারেননি। নামের পাশে কোনো রান যোগ করার আগেই মহীশ তিকশানার বলে এল বি ডাব্লিই হয়ে সাজঘরে ফিরেন তিনি। তামিম যখন আউট হন বাংলাদেশের রান তখন ৪। প্রথম ওভারে নাইমের ব্যাট থেকে আসে ৪ রান।
দলীয় ২৫ রানের মাথায় ধনাঞ্জয়া ডি সিলভার বলে ব্যক্তিগত ১৬ রানে পাথুম নিসাঙ্কার হাতে ক্যাচ আউট হয়ে সাজঘরের পথ ধরেন আরেক ওপেনার মোহাম্মদ নাঈম। ১১ বলে ৫ রান করেই দলীয় ৩৬ রানে ক্যাচ আউট হয়েছেন অধিনায়ক সাকিব আল হাসান।
এরপর নাজমুল হোসেন শান্ত ও লঙ্কা প্রিমিয়ার লিগে দারুণ ফর্মে থাকা তাওহিদ হৃদয় প্রতিরোধ গড়ে তোলেন। চতুর্থ উইকেট জুটিতে দুজনে মিলে স্কোর বোর্ডে ৫৯ রান যোগ করেন। এরমধ্যে শান্ত ৬৬ বলে ক্যারিয়ারের চতুর্থ অর্ধশত রান করেন। যদিও শান্তর অর্ধশতকের পরেই ডাউন দ্য গ্রাউন্ডে এসে শানাকাকে খেলতে গিয়ে লাইন মিস করে যান হৃদয়, শ্রীলঙ্কার জোরাল আবেদনে সাড়া দেননি ভারতীয় আম্পায়ার জয়ারমন মদনগোপাল। শ্রীলঙ্কা নেয় রিভিউ। ক্রিজ থেকে একটু বেরিয়ে এলেও ইমপ্যাক্টে প্রভাব ফেলেনি তা। এবার শ্রীলঙ্কার রিভিউ সফল হয়েছে, হৃদয়ের আউটে ভাঙল নাজমুলের সঙ্গে ৫৯ রানের জুটি। বাংলাদেশ চতুর্থ উইকেট হারিয়েছে দলীয় ৯৫ রানে।
এ উইকেটের গুরুত্ব কেমন, ড্রেসিংরুমে শ্রীলঙ্কা কোচ ক্রিস সিলভারউডের উদ্যাপনেই বোঝা যাচ্ছিল সেটি।
শুরু থেকেই চাপে থাকা বাংলাদেশ ২৬তম ওভারে এসে ১০০ পূর্ণ করেছে। এখন মুশফিকের সঙ্গে জুটি গড়ার চেষ্টা নাজমুলের। মাঝে মোমেন্টামটা বাংলাদেশের দিকে এসেছে মনে হলেও আবার চাপ তাদের ওপরই।