প্রথমবার ফাইনাল খেলেই বিশ্বকাপ জয়ী হলো স্পেনের নারী ফুটবল দল। এর আগে ২০১০ সালে একইভাবে প্রথমবার ফাইনালে উঠেই বিশ্বকাপ জিতেছিল দেশটির পুরুষ ফুটবল দলও।
দীর্ঘ ১৩ বছর পর যেন ঘটল ইতিহাসের পুনরাবৃত্তি। রোববার সিডনিতে ইংল্যান্ডকে ১-০ গোলে হারিয়েছে স্পেনের মেয়েরা। আর ১৩ বছর আগে স্পেনের পুরুষ দল নেদারল্যান্ডসকে হারিয়েছিল ১-০ গোলে।
স্পেনের অধিনায়ক ওলগা কারমোনার ২৯ মিনিটের গোলই জয়ী করেছে দলকে। দীর্ঘ এক মাসের লড়াই শেষে নতুন বিশ্বচ্যাম্পিয়ন পেয়েছে নারী বিশ্বকাপ।
গত বছরই দুই দলের দেখা হয়েছিল নারীদের ইউরো চ্যাম্পিয়নশিপে। সেখানে স্পেনকে পাত্তাই দেয়নি ইংল্যান্ড। স্পেনকে ২-১ গোলে হারিয়ে শিরোপা ঘরে তুলেছিল ইংলিশরা। তবে এবার দেখা মিলল অন্য এক স্পেনের।
সিডনির অলিম্পিক স্টেডিয়ামে ম্যাচের শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক ফুটবলের পসরা সাজিয়েছে জর্জ ভিলদার শিষ্যরা। ম্যাচের প্রথম বিশ মিনিট পর্যন্ত ৮০ শতাংশ বল রেখেছিল নিজেদের পায়েই।
ম্যাচের ১৫ তম মিনিটে ইংল্যান্ডের লরেন হ্যাম্পের শট ফেরে বারে লেগে। ১৮ তম মিনিটে পারাল্লুয়েলার শট দারুণ দক্ষতায় ফিরিয়ে দেন ইংলিশ গোলরক্ষক মার্টি ইয়ার্পস। ২২ তম মিনিটে স্পেনের আরও একটি ভালো আক্রমণ ফিরিয়ে দেন ইংলিশ গোলরক্ষক।
এরপর ম্যাচের ২৯ তম মিনিটে স্পেনকে এগিয়ে দেন ওলগা কারমনা। প্রথমার্ধে বেশকিছু বিপজ্জনক আক্রমণ করেও সমতা ফেরাতে পারেনি ইংলিশরা। উল্টো বিরতির ঠিক আগে ব্যবধান বাড়ানোর সুযোগ পায় স্পেন। তবে স্প্যানিশ স্ট্রাইকারের শট গোলবারে লাগলে সে সুযোগ হারায় স্পেন।
দ্বিতীয়ার্ধের শুরু থেকেই গোল শোধ করতে মরিয়া হয় ইংল্যান্ড। তবে উল্টো গোল খেতে বসেছিল তারা। ম্যাচের ৬৪ মিনিটে ইংল্যান্ডের ডি-বক্সে হ্যান্ডবলের আবেদন করে স্পেন। প্রথমে কর্ণার দিলেও পরে ভিএআর চেকে পেনাল্টির বাঁশি বাঁহান রেফারি। তবে স্পট কিক থেকে গোল করতে পারেননি হারমোসা। এরপর চেষ্টার করেও আর ম্যাচে ফিরতে পারেনি ইংল্যান্ড।
শেষ পর্যন্ত ওলগার একমাত্র গোলেই প্রথমবারের মতো মেয়েদের বিশ্বকাপে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার গৌরব অর্জন করে স্পেন।