বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

‘কাড়ি কাড়ি টাকায়’ দলবদলের বাজার ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে

ক্লপের ভাষ্য, ‘নিজেদের লিগকে দর্শকপ্রিয় করে তোলার চেষ্টা অবশ্যই সৌদির জন্য ভালো। কিন্তু কাড়ি কাড়ি টাকার যে ব্যবহার, তাতে অন্য লিগগুলো ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। ছোটখাটো কোনো আইন দিয়ে হলেও যদি খরচের বিষয়ে কোনো সমাধানে আসা যায়, তাহলে তা সবার জন্য মঙ্গলজনক হবে।’

কাড়ি কাড়ি অর্থের কারণে যে ইউরোপিয়ান ফুটবলের ট্রান্সফার মার্কেট ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে, তা অকপটে স্বীকার করলেন লিভারপুল বস ইয়ুর্গেন ক্লপ। টাকার কারণে পছন্দের দুই মিডফিল্ডারকে দলে টানতে না পারা ও অসংখ্য ফুটবলারের ইউরোপ ছেড়ে সৌদি আরবে পাড়ি জমানোর বিষয়ে খানিকটা হতাশ জার্মান এ কোচ। এসব রুখতে প্রয়োজনে নতুন আইন চান তিনি।

উচ্চ পারিশ্রমিকে লিভারপুল অধিনায়ক জর্ডান হেন্ডারসন ও আরেক মিডফিল্ড স্টার ফ্যাবিনিও সৌদির ক্লাবে চলে যাওয়ায় ক্লাবটির মাঝমাঠের পরিস্থিতি বেশ দুর্বল হয়ে পড়ে।

ফলে চলতি দলবদলের মৌসুমের শুরু থেকেই মাঝমাঠে শক্তি বাড়াতে মনোযোগী হয় লিভারপুল। এক্ষেত্রে ক্লপের মূল লক্ষ্য ছিল ইকুয়েডরের তরুণ মিডফিল্ডার মোইসেস কাইসেদো। তাকে পেতে ব্রাইটনকে ১১ কোটি ১০ লাখ পাউন্ড (১১১ মিলিয়ন) প্রস্তাব দিলেও চেলসির সঙ্গে টাকার ঝনঝনানিতে পেরে ওঠেনি লিভারপুল। পরে বেলজিয়ান মিডফিল্ডার রোমেও লাভিয়াকে দলে টানার চেষ্টা করলে সেখানেও বাগড়া দেয় চেলসি। ৫ কোটি ৩০ লাখ (৫৩ মিলিয়ন) পাউন্ডের বিনিময়ে ১৯ বছর বয়সী এ ফুটবলারকে স্ট্যামফোর্ড ব্রিজে টেনে নেয় ব্লুজরা।

সবগুলো ঘটনা যে তার হতাশাকে আরও বাড়িয়ে দিয়েছে, শুক্রবার এক সংবাদ সম্মেলনে তা অকপটে ঝরল ক্লপের কণ্ঠে।

‘আমি ঠিক জানি না কেন আমরা (লিভারপুল) ফুটবলারদের আকৃষ্ট করতে পারছি না। প্রত্যেকটি বিষয়ই (খেলোয়াড় দলে টানা ও তাদের চুক্তির মেয়াদ বাড়ানো) দিন দিন আরও কঠিন হয়ে যাচ্ছে। তবে গত মৌসুমের তুলনায় এবারের দলবদলের বাজারে অনেক পরিবর্তন এসেছে।

‘কিছু ক্লাব অবশ্য ভিন্ন পন্থা অবলম্বন করে সুযোগ কাজে লাগাচ্ছে। তবে এবারের ট্রান্সফার মার্কেট ঠিক কীভাবে কাজ করছে, সে সম্পর্কে কেউই শতভাগ নিশ্চিত নয়। তবে কোনো না কোনোভাবে ক্লাবগুলো কাজ করে চলেছে।’

আর্থিকভাবে সমৃদ্ধ ক্লাবগুলোর ব্যাপারে তিনি বলেন, ‘আমাদের মতো সাধারণ ক্লাবগুলোর জন্য তাদের সঙ্গে (খেলোয়াড় কিনতে) পেরে ওঠা সত্যিই কষ্টসাধ্য। আমি কাউকে দোষারোপ করতে চাই না। তবে এটাই সত্যি।

‘বিষয়টি আরও কঠিন করে দিয়েছে সৌদি আরব। আমাদের (ইউরোপের) দলবদলের মৌসুম আগামী ৩১ আগস্ট শেষ হলেও তাদের শেষ হবে আরও পরে। ফলে আমাদের দলবদলের শেষেও খেলোয়াড় হারানোর শঙ্কা রয়েছে।

‘যদি কোনো ফুটবলার ক্লাবের প্রতি সন্তুষ্ট না থাকে, ইউরোপিয়ান ট্রান্সফার মার্কেট বন্ধ হয়ে গেলেও তাদের সৌদিতে চলে যাওয়ার সুযোগ থাকবে।’

সৌদি প্রো লিগের সাম্প্রতিক উত্থান দেখিয়ে তিনি বলেন, ‘দুই সপ্তাহ আগেও কেউ ভাবেনি যে, নেইমারের মতো খেলোয়াড় সেখানে যাবে। এ থেকে ইউরোপিয়ান ফুটবলকে টেক্কা দিতে তারা কতটা চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে তা সহজেই বোঝা যায়।

তবে সৌদির প্রচেষ্টাকে নেতিবাচক রূপে দেখেন না ক্লপ। তার ভাষ্য, ‘তারা যদি তাদের লিগকে আরও প্রতিযোগিতামূলক বানাতে চায়, আরও দর্শক টানতে চায়, তাতে আমি কোনো দোষ দেখি না। এমন কোনো লিখিত আইন নেই যে, সবার ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগ, লা লিগা বা বুন্দেসলিগা দেখতেই হবে।

‘অতীতে চীনও এমন চেষ্টা করেছে, যুক্তরাষ্ট্রও করে চলেছে। অর্থাৎ, নিজেদের লিগকে দর্শকপ্রিয় করে তোলার চেষ্টা অবশ্যই তাদের জন্য ভালো। কিন্তু কাড়ি কাড়ি টাকার যে ব্যবহার, তাতে অন্য লিগগুলো ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। ছোটখাটো কোনো আইন দিয়ে হলেও যদি খরচের বিষয়ে কোনো সমাধানে আসা যায়, তাহলে তা সবার জন্য মঙ্গলজনক হবে।’

এ বিভাগের আরো খবর