বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

হতচ্ছাড়া বোলিং-ব্যাটিংয়ে সিরিজ খোয়াল বাংলাদেশ

প্রথম ম্যাচও জয়ের ফলে ২-০’তে এগিয়ে থেকে সিরিজ জয় নিশ্চিত করেছে আফগানরা।

জিততে হলে রেকর্ড ভাঙতে হতো টাইগারদের। তবে ছন্নছাড়া বোলিংয়ের পর রান তাড়ায় নেমে কোনো প্রতিরোধই গড়তে পারেননি লিটন দাসের ব্যাটাররা। ফলে ১৪২ রানের বড় ব্যবধানে আফগানিস্তানের কাছে পরাজিত হয়েছে বাংলাদেশ।

তিন ম্যাচ সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচে নির্ধারিত পঞ্চাশ ওভারে প্রথমে ব্যাট করে ৩৩২ রানের বড় লক্ষ্য দেয় আফগানিস্তান। জবাবে ৪৩.২ ওভারে ১৮৯ রানেই গুটিয়ে যায় টাইগারদের ইনিংস। প্রথম ম্যাচও জয়ের ফলে ২-০’তে এগিয়ে থেকে সিরিজ জয় নিশ্চিত করেছে আফগানরা।

প্রথম ওয়ানডের ব্যাটিং ব্যর্থতা এদিনও তাড়া করে ফিরল টাইগারদের। তবে আজকের ম্যাচে সেই হতাশা আরও বাড়িয়েছে এলোমেলো বোলিং।

বড় লক্ষ্য তাড়ায় নেমে শুরুতেই আফগান বোলারদের ঘুর্ণিতে চোখে সর্ষেফুল দেখা শুরু করেন বাংলাদেশের দুই ওপেনার- লিটন দাস ও তামিমের বদলি হিসেবে নামা মোহাম্মদ নাইম। ফলে ধীর গতিতে রান তুলতে থাকেন তারা।

এর মধ্যে ব্যক্তিগত ৮ রানে মুজিবুর রহমানের বলে লেগ বিফোরের ফাঁদে পড়লে লিটনকে আউট দিয়ে দেন আম্পায়ার। তবে রিভিউ নিয়ে সে যাত্রায় বেঁচে যান তিনি। জীবন ফিরে পেয়েও লিটন অবশ্য বেশি বড় করতে পারেননি তার ইনিংসটি। ফজলহক ফারুকির বলে পুল করতে গিয়ে মিড উইকেটে দাঁড়িয়ে থাকা নবির হাতে ক্যাচ দিয়ে প্যাভিলিয়নের পথ ধরেন টাইগার অধিনায়ক।

পরের ওভারে মুজিবুর রহমানের বলের লাইন বুঝতে না পেরে বোল্ড হয়ে সাজঘরে ফেরেন নাজমুল হোনেন শান্ত। ফেরার আগে স্কোরবোর্ডে ১ রান যুক্ত করে যান তিনি।

টপাটপ দুই উইকেট পড়লেও একপাশ আগলে ছিলেন নাইম। দুই বছর পর দলে ফিরে ২১ বলের বেশি খেলতে পারেননি তিনিও। ক্রিজ ছেড়ে বেরিয়ে এসে ফারুকির শর্ট অব লেংথের বাউঞ্চার খেলতে গিয়ে ইনসাইড এজ হয়ে বোল্ড হয়ে যান। ২১ বলে নয় রান করে ফিরে যান তিনি।

তরুণ তাওহিদ হৃদয়কে নিয়ে সাকিব বিপর্যয় সামাল দেয়ার চেষ্টা করলেও সফল হননি। রশিদ খানের গুগলিতে বিভ্রান্ত তাওহিদ ব্যক্তিগত ১৬ রান করে আউট হন। তবে তার আগে সাকিবের সঙ্গে ৪০ রানের একটি জুটি গড়েন তিনি। তাওহিদ ফিরে গেলে সাকিবও বেশিক্ষণ স্থায়ী হননি উইকেটে। পরের ওভারেই মোহাম্মদ নবির লেগ বিফোরের ফাঁদে পড়েন তিনি। ফিরে যাওয়ার আগে সাকিব স্কোরবোর্ডে ২৫ রান যোগ করলে তখন দলীয় স্কোর দাঁড়ায় ১৮ ওভারে পাঁচ উইকেট হারিয়ে ৭১ রান।

এরপর চোখের পাতা ফেলতে যতটা দেরি, ততক্ষণে আউট হয়ে প্যাভিলিয়নের পথ ধরেন আফিফ। প্রথম বলেই রশিদের গুগলিতে চোখ উল্টে স্লিপে নবির হাতে ক্যাচ দেন তিনি।

তবে সপ্তম উইকেটে ক্রিজে কিছুটা থিতু হন মুশফিকুর রহিম ও মেহেদী হাসান মিরাজ। দায়িত্ব কাঁধে নিয়ে ব্যাট করে ৬২ বলে অর্ধশতক তুলে নেন মুশফিক। তবে ৪৮ বল খেলে ২৫ রান করে মিরাজ আউট হয়ে গেলে ভাঙে ৮৭ রানের ইনিংস সেরা জুটি। আগের ওভারে মুশফিক ভাই বোলারদের ওপর চড়াও হলে তিনিও রানের গতি বাড়াতে তৎপর হন। কিন্তু মুজিবের বলে ছক্কা মারতে গিয়ে টাইমিংয়ের গড়বড় করে ফেলেন। ফলে সীমানায় দাঁড়িয়ে থাকা রহমত শাহ কাচ নিয়ে সাজঘরে পাঠান মিরাজকে।

দুই ওভার পর হাসান মাহমুদকে এলবিডব্লিউ করেন মুজিব। ফেরার আগে তার সংগ্রহ ছিল ৪ রান। শেষে ফারুকির শর্ট বল মারতে গিয়ে স্কয়ার লেগে দাঁড়িয়ে থাকা মুজিবের হাতে ক্যাচ দেন ৬৯ রান করা মুশফিক। আর পায়ের চোটের কারণে এবাদত ব্যাটিংয়ে নামতে না পারায় সেখানেই শেষ হয় বাংলাদেশি ব্যাটারদের দুঃস্বপ্নময় এক ইনিংস।

এর আগে টস জিতে এদিন আগে বোলিং করার সিদ্ধান্ত নেন তামিমের অনুপস্থিতিতে টাইগারদের ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ক লিটন দাস। তবে দুই আফগান ওপেনারকে চ্যালেঞ্জ জানাতে পারেননি মোস্তাফিজ, সাকিব, মেহেদিরা কেউই। আফগানিস্তানের দলীয় ২৬১ রানে আসে বাংলাদেশের প্রথম উইকেট।

রহমানউল্লাহ গুরবাজকে লেগ বিফোরের ফাঁদে ফেলে ফেরান সাকিব। ভাঙে ওপেনিং জুটি। প্যাভিলিয়নে ফেরার আগে ১২৫ বল খেলে ১৩টি চার ও ৮টি ছক্কায় ব্যক্তিগত ১৪৫ রান তোলেন তিনি।

গুরবাজের চলে যাওয়ার পর খুব বেশিক্ষণ ক্রিজে স্থায়ী হননি আরেক ওপেনার ইব্রাহিম জাদরানও। দলীয় ২৫৯ রানে ফেরার আগে তিনিও নিজের সেঞ্চুরি পূর্ণ করে নেন।

এরপর থেকে ধারাবিহকভাবে উইকেট পড়তে থাকে আফগানিস্তানের। শেষ পর্যন্ত নয় উইকেটে হারিয়ে ইনিংস শেষ করে আফগান ব্যাটাররা। ওপেনাররা ছাড়া মাত্র দু’জনের ব্যক্তিগত সংগ্রহ দুই অঙ্কে যায়। তবে তার আগে স্কোরবোর্ড তারা যুক্ত করেন ৩৩১ রানের পাহাড়সম সংগ্রহ।

মোস্তাফিজ, সাকিব, মেহেদি ও হাসান মাহমুদ দুটি করে উইকেট নেন। বাকি উইকেটটি নেন এবাদত হোসেন।

সংক্ষিপ্ত স্কোর:

আফগানিস্তান- ৩৩১/৯ (৫০ ওভার) (গুরবাজ ১৪৫, ইব্রাহিম ১০০; সাকিব ২/৫০, মোস্তাফিজ ৬০/২)।

বাংলাদেশ- ১৮৯/১০ (৪৩.২ ওভার) (মুশফিক ৬৯, সাকিব ২৫, মিরাজ ২৫; ফারুকি ৩/২২, মুজিব ৩/৪০)।

ফলাফল: আফগানিস্তান ১৪২ রানে জয়ী।

এ বিভাগের আরো খবর