চট্টগ্রামের ঐতিহ্যবাহী জব্বারের বলীখেলার ১১৪তম আসরে চ্যাম্পিয়ন হয়েছেন কুমিল্লার শাহজালাল বলী। মঙ্গলবার বিকেল সাড়ে ৫টায় তাকে চ্যাম্পিয়ন ঘোষণা করেন রেফারিরা।
রানার-আপ হয়েছেন চকোরিয়ার তারেকুল ইসলাম জীবন। গতবারের আসরে তিনি চ্যাম্পিয়ন হয়েছিলেন। আর এবারের চ্যাম্পিয়ন শাহজালাল গতবার রানার-আপ ছিলেন।
প্রতিযোগিতায় তৃতীয় ও চতুর্থ স্থান অধিকার করেন যথাক্রমে খাগড়াছড়ির সৃজন চাকমা ও আনোয়ারার আব্দুর নূর।
প্রতিযোগিতা শেষে বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন চট্টগ্রামের মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরী।
প্রতিযোগিতায় দুই বলির চূড়ান্ত কুস্তি শুরু হয় বিকেল ৫টা ২৩ মিনিটে। ৭ মিনিটের মধ্যেই ফল বেরিয়ে আসে। চূড়ান্ত বিজয়ী ঘোষণা করা হয় শাহজালাল বলীকে।
চূড়ান্ত পর্বের লড়াইয়ে শাহজালাল বলী ও তারেকুল ইসলাম জীবন বলী। ছবি: নিউজবাংলা
বলীখেলার এবারের আসরে মোট ১১৪ জন কুস্তিগির অংশ নেন।
চ্যাম্পিয়ন শাহজালাল বলী প্রতিযোগিতা শেষে অভিব্যক্তি ব্যক্ত করে বলেন, ‘গত আসরের আগেরবার চ্যাম্পিয়ন হয়েছিলাম। কিন্তু গতবার চ্যাম্পিয়ন হতে না পেরে মন খারাপ হয়েছিল। এবার চ্যাম্পিয়ন হতে পেরে ভালো লাগছে।’
বলীখেলায় চ্যাম্পিয়ন ট্রফির পাশাপাশি প্রাইজ মানি পেয়েছেন ৩০ হাজার টাকা। এছাড়া দ্বিতীয়, তৃতীয় ও চতুর্থ স্থান অধিকারীরা ট্রফির সঙ্গে পেয়েছেন যথাক্রমে ২০ হাজার, ১০ হাজার ও ৬ হাজার টাকা।
বলীখেলায় সেমিফাইনাল পর্যায়ের আগে মোট ৩০ রাউন্ড খেলা হয়। প্রাথমিক রাউন্ডে জয়লাভকারী প্রত্যেকে দেড় হাজার টাকা পেয়েছেন।
জব্বারের বলীখেলার ইতিহাস
১৯০৯ সালে বকশিরহাটের স্থানীয় ধনী বণিক বদরপাতি এলাকার বাসিন্দা আব্দুল জব্বার সওদাগর এই কুস্তি প্রতিযোগিতার সূচনা করেন। পরে তার নাম অনুসারেই এই আয়োজনের নামকরণ করা হয় ‘জব্বারের বলীখেলা’।
আয়োজক কমিটির সেক্রেটারি ও প্রতিযোগিতার প্রতিষ্ঠাতা আব্দুল জব্বারের নাতি শওকত আনোয়ার বাদল বলেন, ‘আমার দাদা এই আয়োজনের সূচনা করলেও এটা এখন আর কেবল পারিবারিক ঐতিহ্য নয়। এটা চট্টগ্রামের সব মানুষের এবং তারা এই অনুষ্ঠানকে বাঁচিয়ে রেখেছে।’