বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের আর্থিক কেলেংকারির বিষয়ে বিভিন্ন সময়ে গণমাধ্যমে প্রকাশিত রিপোর্টগুলো সত্যি ছিল বলে মন্তব্য করেছেন ত্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেল। তিনি বলেন, বাফুফে সাধারণ সম্পাদককে নিষেধাজ্ঞাই সেটা প্রমাণ করে।
শনিবার টঙ্গীতে নিজ বাসভবনে ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘তারা যে আমাদের ভাবমূর্তি সংকটে ফেলেছে, এতে আমরা খুবই লজ্জিত।গণমাধ্যমের রিপোর্টই প্রকৃত অর্থে সত্য হলো। আর্থিক অনিয়ম ও দুর্নীতি নিয়ে গণমাধ্যম সব সময় সোচ্চার ছিল।’
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘একদিকে বাংলাদেশ সৌভাগ্যবান যে, ব্যক্তির ওপর আন্তর্জাতিক ফুটবল সংস্থার (ফিফা) নিষেধাজ্ঞা এসেছে। ফুটবল ফেডারেশনের ওপর কোনো নিষেধাজ্ঞা আসেনি।’
বাফুফে সভাপতি কাজী সালাউদ্দিন বিভিন্ন বিষয়ে প্রায়ই গণমাধ্যমের ওপর দায় চাপাতেন যে, নেতিবাচক খবরের জন্য ফুটবল ফেডারেশনের ভাবমূর্তি সংকটের মুখে পড়ে। যদিও সম্প্রতি বাফুফের সাধারণ সম্পাদক আবু নাঈম সোহাগকে নিয়ে কড়া সমালোচনা করেছিলেন যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেল। সাবিনাদের অলিম্পিক বাছাইয়ে মিয়ানমার সফর বাতিলের পর ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী সোহাগের ওপর বেশ চটেছিলেন। তার ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়ার পাঁচ দিন পরই ফিফা থেকে বাফুফে সাধারণ সম্পাদকের উপর নিষেধাজ্ঞা এসেছে।যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটি সম্প্রতী ক্রীড়া মন্ত্রণালয়কে এ নিয়ে তদন্ত করার সুপারিশ করেছিল।
এ নিয়ে রাসেল বলেন, ‘ফিফার বাধ্যবাধকতার কারণে এই মুহূর্তে ধীরে চলতে চায় ক্রীড়া মন্ত্রণালয়। আমাদের হস্তক্ষেপের কারণে যদি আরও বড় ক্ষতি হয়, সেটা আমরা কেউই চাই না। ফিফা যদি অনুরোধ করে, তাহলে অবশ্যই অধিকতর তদন্ত করে পরবর্তীতে ব্যবস্থা নেব। তবে ফুটবলের ওপর আমরা কোনোভাবেই অযাচিত হস্তক্ষেপ করব না।’
সোহাগের ব্যাপারে বিচার বিভাগীয় তদন্তের দাবি প্রসঙ্গে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে আলোচনা করে পদক্ষেপ নেবেন বলে জানান ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী।