বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

পেলে-মারাদোনার পাশে মেসির ভাস্কর্য  

  • নিউজবাংলা ডেস্ক   
  • ২৮ মার্চ, ২০২৩ ১২:১২

সোমবার ভাস্কর্য উন্মোচনের পর মেসিও তাই বললেন, ‘এটা আসলেই অনেক বিশেষ কিছু। কখনও স্বপ্নেও ভাবিনি এমন কিছু হবে। আমার স্বপ্ন তো ছিল শুধুই আশৈশব যেটা পছন্দ করতাম, সেটা করতে পারা, পেশাদার ফুটবলার হওয়া, ফুটবল খেলে যাওয়া।’

একের পর এক বিশেষ সম্মাননায় ভেসেই চলেছেন লিওনেল মেসি। দুদিন আগে আর্জেন্টাইন ফেডারেশন তাদের অনুশীলন গ্রাউন্ডে খেলোয়াড়দের বাসভবনের নাম দিয়েছে মেসির নামে।

সোমবার মেসি আরও অনন্য এক সম্মাননা পেলেন দক্ষিণ আমেরিকান ফুটবল নিয়ন্ত্রক সংস্থা কনমেবলের কাছ থেকে।

মেসির সমান উচ্চতার এক ভাস্কর্য গড়েছে কনমেবল, ‘বিশ্বের সেরা’ মেসিকে সম্মান জানাতেই এই উদ্যোগ। সোমবার সেটির উন্মোচনের ক্ষণে পুরো আর্জেন্টিনা দল এবং আর্জেন্টাইন ফেডারেশনের (এএফএ) সভাপতি ক্লদিও তাপিয়া ছিলেন অনুষ্ঠানে। ভাস্কর্যের পাশে দাঁড়িয়ে ছবি তুলেছেন মেসি নিজে। এই ভাস্কর্যের জায়গা হচ্ছে কনমেবলের জাদুঘরে দুই কিংবদন্তি পেলে ও মারাদোনার ভাস্কর্যের পাশে।

অনুষ্ঠানে পুরো আর্জেন্টিনা দলকেই বিশেষ সম্মান জানিয়েছে কনমেবল। বিশ্বকাপের সময় ভাইরাল হয়ে পড়া ১২ বছর বয়সী আর্জেন্টিনা ভক্ত হোসে আনদ্রাদার কথায় চোখ ভিজেছে আর্জেন্টিনা কোচ লিওনেল স্কালোনি, মিডফিল্ডার এনসো ফের্নান্দেসসহ অনেকের।

মারাদোনাকে নিয়ে এক সময়ে বিশেষ গান গাওয়া আর্জেন্টাইন গায়িকা সোলেদাদ পাস্তোরুত্তি বিশেষ গান গেয়েছেন মেসিকে নিয়ে, আর্জেন্টিনা দলকে নিয়ে।

বিশ্বকাপ জেতার পর এই প্রথম আর্জেন্টিনার তিন তারকা খচিত জার্সিটা পরে খেলতে গেছেন মেসি-দি মারিয়া-মার্তিনেসরা। কিন্তু এ যে শুধুই খেলার উদ্দেশে আর্জেন্টিনায় যাওয়া নয়, তা আগে থেকেই অনুমিত ছিল। পানামা আর কুরাকাওয়ের বিপক্ষে প্রীতি ম্যাচগুলো আসলে ম্যাচ ছাপিয়ে ছিল আর্জেন্টিনার বিশ্বজয়ের উদযাপন।

তা উদযাপন হচ্ছে বটে, পানামার বিপক্ষে ম্যাচে নিজেদের বিশ্বজয়ীদের সামনে পেয়ে রিভারপ্লেটের মনুমেন্তাল স্টেডিয়ামের গ্যালারি ভেসেছে উচ্ছ্বাসে। এরপর আর্জেন্টিনার অনুশীলন গ্রাউন্ডের বাসভবনের নামকরণের পর সোমবার কনমেবলের এমন অনন্য সম্মাননা স্বপ্নের মতো সময়ই কাটছে মেসিদের।

সোমবার ভাস্কর্য উন্মোচনের পর মেসিও তাই বললেন, ‘এটা আসলেই অনেক বিশেষ কিছু। কখনও স্বপ্নেও ভাবিনি এমন কিছু হবে। আমার স্বপ্ন তো ছিল শুধুই আশৈশব যেটা পছন্দ করতাম, সেটা করতে পারা, পেশাদার ফুটবলার হওয়া, ফুটবল খেলে যাওয়া।’

আর্জেন্টিনার জার্সিতে এই সোনালি দিনগুলো পেয়েও এর আগের ব্যর্থতায় ধূসর অতীতের কথা মেসি কখনও ভোলেননি। যে কারণে যেকোনো সাফল্যেই তার আগের সতীর্থদেরও ভাগিদার করে নেন।

সোমবার বিশেষ এমন সম্মাননার দিনেও অতীতের কথা থাকল মেসির মুখে, ‘অনেক হতাশা সয়েছি, অনেক হার দেখেছি। কিন্তু সবসময় সামনে তাকিয়েছি। সবসময় এই একটা জয়ের খোঁজে থেকেছি। এটাই গুরুত্বপূর্ণ। নিজের স্বপ্নের পেছনে ছোটা, এটা মনে গেঁথে নেয়া যে জীবনে যেকোনো কিছুই সম্ভব। আর ফুটবলটাকে উপভোগ করে যাওয়া, যেটা আমার জন্য, আমাদের সবার জন্য সবচেয়ে সুন্দর বস্তু।’

এ বিভাগের আরো খবর