বিপিএলে চতুর্থবারের মতো ফাইনালে উঠে গেল কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স। প্রথম কোয়ালিফায়ারে মাশরাফির সিলেট স্ট্রাইকার্সকে ৪ উইকেটে হারিয়ে প্রথম দল হিসেবে ফাইনালের টিকিট পেয়েছেন ইমরুল কায়েস, লিটন দাসরা।
প্রথম কোয়ালিফায়ারে মিরপুরে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে সুবিধা করতে পারেননি মাশরাফিরা। কুমিল্লার বোলারদের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে মাত্র ১২৫ রানে অলআউট সিলেট। রান তাড়ায় নেমে সুনীল নারাইনের ঝোড়ো ব্যাটিংয়ে ২০ বল হাতে রেখেই লক্ষ্যে পৌছে যায় কুমিল্লা।
হারলেও ফাইনালে ওঠার আরেকটি সুযোগ পাবে সিলেট। দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ারে আগামী পরশু রংপুর রাইডার্সের মুখোমুখি হবে সিলেট, সেই ম্যাচের জয়ী দল ফাইনাল খেলবে।
মিরপুরে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা একেবারেই ভালো হয়নি সিলেটের। মাত্র ১৬ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে তারা। সুবিধা করতে পারেননি তৌহিদ হৃদয়, জাকির হাসান। সিলেটকে টেনে তুলতে সবাইকে চমকে দিয়ে ৫ নম্বরে নামেন মাশরাফি। চতুর্থ উইকেটে নাজমুল হোসেন শান্তর সঙ্গে গড়েন ৫৬ রানের জুটি। ১৭ বলে ২ চার ও ২ ছক্কায় ২৬ রান করা মাশরাফি নবম ওভারে আউট হলে ভাঙে এই জুটি। এর পরের ওভারেই তানভীর হাসানের বলে বোল্ড হন শান্ত। ২৯ বলে ৩৮ রান করেন তিনি।
এরপর মুশফিকুর রহিম একপ্রান্ত আগলে রাখলেও অন্যদিকে ধস নামে সিলেটের ইনিংসে। রায়ার্ন বার্ল, জর্জ লিন্ডেরা নামের প্রতি সুবিচার করতে পারেননি। ১২৫ রানে যখন অলআউট হয় সিলেট, তখনো তাদের ইনিংসে তিন ওভার বাকি। ২২ বলে ৪ চারে ২৯ রানের ইনিংস খেলেন মুশফিকুর রহিম। কুমিল্লার হয়ে ২টি করে উইকেট নেন তানভীর, রাসেল ও মোস্তাফিজ।
ছোট রানের লক্ষ্য দিয়েও ম্যাচ জেতার সুযোগ পেয়েছিল সিলেট। তবে দুটি ক্যাচ মিস ও একটি স্টাম্পিং হাতছাড়া করে কুমিল্লার জয় সহজ করে দেন সিলেট উইকেটকিপার মুশফিকুর রহিম। কুমিল্লার ইনিংসের শুরুটা খারাপ হয়নি। উদ্বোধনী জুটিতে ৪ ওভারে লিটন-নারাইন তোলেন ৩২ রান। লিটন ৭ রানে ফিরলে ভাঙে এই জুটি। রান পাননি জনসন চার্লস। তবুও নারাইন-ঝড়ে পাওয়ার প্লেতে ৫৮ রান তোলে কুমিল্লা।
নারাইন ১৮ বলে ৩৯ ও মঈন আলী ১৩ বলে ২১ রান করে আউট হলে খানিক চাপে পড়ে কুমিল্লা। তবে সেই চাপ স্থায়ী হতে দেননি মোসাদ্দেক হোসেন ও আন্দ্রে রাসেল। তাদের অবিচ্ছেদ্য ২৩ রানে ৪ উইকেটের জয় পায় কুমিল্লা। মোসাদ্দেক ২৭ ও রাসেল ১৫ রানে অপরাজিত থাকেন।