মেয়েদের অনূর্ধ্ব-১৯ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে প্রথমবারের মতো খেলতে নেমে গ্রুপ পর্বে টানা ৩ জয় তুলে সুপার সিক্সে ওঠে বাংলাদেশ। প্রস্তুতি ম্যাচে বৃষ্টি আইনে জিতলেও শনিবার অনুষ্ঠিত সুপার সিক্সে নিজেদের প্রথম ম্যাচে স্বাগতিক দক্ষিণ আফ্রিকার কাছে হেরে গেছে দিশা বিশ্বাসের দল। ফলে দক্ষিণ আফ্রিকায় ৫ ম্যাচ পর জয়রথ থামল বাংলাদেশের। সঙ্গে এই হারে সেমিফাইনালের রাস্তা অনেকটাই কঠিন হয়ে গেল।
পচেফস্ট্রুমে আগে ব্যাট করে ভালো সংগ্রহ পায়নি বাংলাদেশ। নির্ধারিত ২০ ওভারে বাংলাদেশের ইনিংস থেমে যায় ৬ উইকেট হারিয়ে ১০৫ রানে। লক্ষ্য তাড়ায় নেমে বোলাররা লড়াই করলেও তা জয়ের জন্য যথেষ্ট ছিল না। ৫ উইকেট ও ৭ বল হাতে রেখে ম্যাচ জিতে নিয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকার মেয়েরা।
এদিন টস জিতে ব্যাট করতে নেমে উদ্বোধনী জুটিতে ২৬ রান জড়ো করে বাংলাদেশ। ওপেনার মিষ্টি সাহা ১২ রান করে বিদায় নেয়ার পর দিলারা আক্তারকে নিয়ে দলীয় সংগ্রহে অর্ধশতক আদায় করেন আরেক ওপেনার আফিয়া প্রত্যাশা। তবে ব্যক্তিগত ১৪ রানে একবার জীবন পেয়েও ৩৩ বলে ২১ রান করে তিনি বিদায় নেন। দিলারা আউট হন ২০ বলে ১৭ রান করে।
এরপর স্বর্ণা আক্তারের ১৮ বলে ২০ ও সুমাইয়া আক্তারের ২৮ বলে ২৪ রানের ইনিংসে টেনেটুনে তিন অঙ্ক স্পর্শ করে বাংলাদেশ। দক্ষিণ আফ্রিকার হয়ে কায়লা রেয়নিক ৪ উইকেট নেন। এছাড়া একটি করে উইকেট নেন জেম্মা বোথা ও মিয়ান স্মিত।
লক্ষ্য তাড়ায় নেমে শুরুতে ধীরগতির ব্যাটিং করা দক্ষিণ আফ্রিকাকে চেপে ধরে বাংলাদেশ। তৃতীয় ওভারে ওপেনার ইলান্দ্রি রেন্সবার্গকে ফেরান রান আউট করে। এরপর ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টায় ষষ্ঠ-অষ্টম ওভারের মধ্যে আরও ৩ উইকেট হারায় স্বাগতিকরা। ৩৪ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে তখন অনেকটাই পেছনে দক্ষিণ আফ্রিকা। তবে হাল ছাড়েনি তারা।
উল্টো বাংলাদেশি বোলারদের ওপর চাপ তৈরি করেন মেডিসন। অধিনায়ক কারাবোর সঙ্গে ৭০ রানের জুটিতে ম্যাচ বের করে নেন তিনি। দলের জয়ের জন্য ৪ রানের অপেক্ষা মাত্র, তখন তিনি আউট হন ৩৮ বলে ৩৭ রানে। তবে ৫ উইকেটে জয় পেতে আর বেগ পেতে হয়নি দক্ষিণ আফ্রিকার।