বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

বিপিএলের যা-তা অবস্থা: সাকিব

  •    
  • ৪ জানুয়ারি, ২০২৩ ২১:৫৪

সাবিক বলেন, ‘গ্রামের এমন কোনো প্রত্যন্ত অঞ্চল দেখবেন না, যেখানে ক্রিকেট খেলা হচ্ছে না। এমন তো না যে জনপ্রিয়তা নেই। ১৬-২০ কোটি মানুষের একটা দেশে এত পছন্দের একটা খেলা, তার বাজারটা থাকবে না, এটা খুবই দুঃখজনক। মানে আমি অন্তত বিশ্বাস করি না।’

বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগকে (বিপিএল) দাবি করা হয় বিশ্বের দ্বিতীয় জনপ্রিয় ও চাকচিক্যময় ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগ। যদিও এসবের কিছুই গত ৮ আসরে দেখা যায়নি। উল্টো সময়ের সঙ্গে জৌলুস হারাচ্ছে টুর্নামেন্টটি। ‘নাম কা ওয়াস্তে’ যেন আয়োজন করা হয় বিপিএলের।

টুর্নামেন্টে দেখা মেলে বিদেশি কোনো তারকা ক্রিকেটারের, থাকে না উন্নত প্রযুক্তি, বাড়েনি খেলার মান।

এমন পরিস্থিতিতে শুক্রবার শুরু হতে যাচ্ছে বিপিএলের নবম আসর। এবারও আগের আসরগুলোর ব্যর্থতার ধারা অব্যাহত রেখেছে আয়োজন কমিটি ও বোর্ড।

সবদিকেই অব্যবস্থাপনা ছাড়া আর কিছুই নজরে আসে না। না আছে ডিআরএস, না আছে পর্যাপ্ত স্পন্সর, না আছে কোনো ব্যবস্থাপনা। যেন পুরো মগের মুল্লুক।

টুর্নামেন্টটির মান কোথায় যে নেমে গেছে সেটা জানেন খোদ ক্রিকেটাররাও। এই সাকিব আল হাসানের কথাই ধরুন না। তার মতে তো বিপিএল পুরাই ‘যা তা’। দেশসেরা এই অলরাউন্ডার বিপিএলকে ঢাকা প্রিমিয়ার লিগের সমকক্ষও মানতে নারাজ।

বুধবার গালফ অয়েল বাংলাদেশ লিমিটেডের একদিনের জন্য সিইও হন সাকিব। সেই অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এমনটা জানান তিনি।

সাকিব বলেন, ‘একটা যা-তা অবস্থা। এর থেকে আমাদের ঢাকা প্রিমিয়ার লিগ (ডিপিএল) আরও ভালোভাবে হয়। কারণ, আগে থেকেই দল গোছানোর সুযোগ থাকে। তারা সেভাবে প্রস্তুতি নিতে পারে।’

তিনি আরও বলেন, ‘গ্রামের এমন কোনো প্রত্যন্ত অঞ্চল দেখবেন না, যেখানে ক্রিকেট খেলা হচ্ছে না। এমন তো না যে জনপ্রিয়তা নেই। ১৬-২০ কোটি মানুষের একটা দেশে এত পছন্দের একটা খেলা, তার বাজারটা থাকবে না, এটা খুবই দুঃখজনক। মানে আমি অন্তত বিশ্বাস করি না।’

একইসঙ্গে এমন বাজে ব্যবস্থা থেকে উত্তরণের পথটাও বাতলে দিয়েছেন জাতীয় দলের এই দলপতি।

সাকিব বলেন, ‘সবকিছু বাদ দিয়ে আবার ড্রাফট হবে, অকশন হবে, ফ্রি টাইমে (খেলোয়াড়দের) বিপিএল হবে, আধুনিক প্রযুক্তি থাকবে। সম্প্রচার ভালো থাকবে। হোম অ্যান্ড অ্যাওয়ে ভেন্যু থাকবে।

‘বাজেট-সংকট বোধ হয় বিসিবির! সদিচ্ছা থাকলে আমি তো কোনো কিছু থেমে থাকার কারণ দেখি না। তিন মাস আগে ড্রাফট হবে না, অকশন হবে না, ডিআরএস থাকবে না, ২ মাস আগে থেকে দল গঠন থাকবে না—আমি এসবের কোনো কারণ দেখি না। এক খেলোয়াড় এক দিন আসবে, দুই দিন পর চলে যাবে। কে কখন আসবে যাবে কেউ জানে না।’

এ বিভাগের আরো খবর