বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

পেলের মায়ের কাছে অজানা ছেলের মৃত্যুর খবর

  •    
  • ৩ জানুয়ারি, ২০২৩ ১১:০৪

পেলের জীবিত একমাত্র বোন মারিয়া লুসিয়া বলেন, ‘আমাদের কথা হয়েছে। কিন্তু পেলের মৃত্যু নিয়ে তাকে স্পষ্ট কিছু বলা হয়নি। মা তার নিজের মনোজগতে রয়েছেন। আমি যখন মায়ের সামনে পেলের কথা বলছিলাম, তিনি চোখ বড় বড় করে আমার দিকে তাকালেন। তাকে বললাম, পেলের জন্য আমরা প্রার্থনা করব। তবে আমি কী বলতে চাইছি মা তার কিছুই অনুমান করতে পারেননি।’

ফুটবল সম্রাট পেলের মৃত্যুর বিষয় তার শতবর্ষী মাকে এখনও জানানো হয়নি।

গত নভেম্বরে ১০০ বছরে পা দেয়া পেলের মা সিলেস্তে তার কিংবদন্তি ছেলের মৃত্যুতে এখনও কেঁদে উঠতে পারেননি। ছেলের চিরবিদায়ে গোটা বিশ্বের ফুটবলপ্রেমীসহ অন্যান্য খেলোয়াড়, ক্রীড়াবিদ, সাধারণ মানুষ যখন শোকে স্তব্ধ তখন তার মায়ের কাছে সব কিছুই অজানা।

পেলের জীবিত একমাত্র বোন মারিয়া লুসিয়া দো নাসিমেন্তো স্থানীয় সংবাদমাধ্যমকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে এসব জানিয়েছেন।

মায়ের সেবা ও দেখভালের দায়িত্বে থাকা মারিয়া লুসিয়া বলেন, ‘আমাদের কথা হয়েছে। কিন্তু পেলের মৃত্যু নিয়ে তাকে স্পষ্ট কিছু বলা হয়নি। মা তার নিজের মনোজগতে রয়েছেন।

‘আমি যখন মায়ের সামনে পেলের কথা বলছিলাম, তিনি চোখ বড় বড় করে আমার দিকে তাকালেন। তাকে বললাম, পেলের জন্য আমরা প্রার্থনা করব। তবে আমি কী বলতে চাইছি, মা তার কিছুই অনুমান করতে পারেননি।’

মায়ের ১০০তম জন্মদিনে ইনস্টাগ্রামে পেলে লিখেছিলেন, ‘আজ আমরা তার শতবর্ষতম জন্মদিন উদযাপন করছি। আমার কৈশোর থেকে ভালোবাসা আর শান্তির প্রয়োজনীয়তা শিক্ষা দিয়েছেন মা। তার সন্তান হতে পেরে আনন্দিত ও গর্বিত হবার আমার শতাধিক কারণ রয়েছে।’

শ্রদ্ধা জানানোর জন্য পেলের মরদেহ সোমবার তার প্রিয় ক্লাব সান্তোসের ভিলা বেলমিরো স্টেডিয়ামে রাখা হয়। যেখান থেকে জাদুকর পেলের উত্থান, সেখানেই কফিনবন্দি কিংবদন্তি এই ফুটবলারকে আবার নিয়ে যাওয়া হয় শেষ বিদায় জানানোর জন্য।

বৃহস্পতিবার রাতে সাও পাওলোর আলবার্ট আইনস্টাইন হাসপাতালে মারা যান ফুটবল সম্রাট পেলে। তার বয়স হয়েছিল ৮২ বছর। এর আগে নভেম্বরের শেষ দিকে কোলন ক্যানসারে আক্রান্ত পেলের হৃদযন্ত্রের সমস্যা ও শরীর ফুলে যাওয়ায় সাও পাওলোর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল।

সান্তোসের মাঠে ২৪ ঘণ্টা ফুটবল সম্রাটের মরদেহ রাখা হয়। সেখানে ফুটবল রাজা পেলেকে শ্রদ্ধা জানাচ্ছে হাজারো মানুষ। তাকে মেমোরিয়াল নেকরোপোল একিউমেনিকা নামের সমাধিস্থলে চিরনিদ্রায় শায়িত করা হবে।

কিংবদন্তি এই তারকার মৃত্যুতে ব্রাজিলে তিন দিনের রাষ্ট্রীয় শোক পালন করা হয়।

অসাধারণ সব কীর্তি

ফুটবল সম্রাট খ্যাত পেলে চলে গেলেও রয়ে গেছে ফুটবল মাঠে তার অসাধারণ সব কীর্তি। দীর্ঘ ক্যারিয়ারে ভক্তদের অসংখ্য গোল ও শিরোপা উপহার দেয়ার পাশাপাশি দিয়েছেন স্মরণীয় দারুণ কিছু মুহূর্ত।

পেলের পেশাদার ফুটবলে অভিষেক হয় ১৯৫৬ সালে। মাত্র ১৫ বছর বয়সে কিংবদন্তি এ ফরোয়ার্ড ব্রাজিলীয় ক্লাব সান্তোসের হয়ে খেলা শুরু করেন। করিন্থিয়ানস সান্তো আন্দ্রে-এর বিপক্ষে ৭-১ গোলের জয়ের ম্যাচে গোলের দেখা পেয়েছিলেন তিনি।

পরের বছর জুলাই মাসে আর্জেন্টিনার বিপক্ষে আন্তর্জাতিক ম্যাচে অভিষেক হয় পেলের। আর সে ম্যাচেও দারুণ একটি গোল করে ফুটবল বিশ্বকে তাক লাগিয়ে দেন ফুটবলের রাজা।

পেলে বিশ্ব মঞ্চে নিজেকে চেনান সুইডেনে অনুষ্ঠিত ১৯৫৮ সালের বিশ্বকাপে। নিজেকে চেনাতে অবশ্য অপেক্ষা করতে হয়েছিল টুর্নামেন্টের কোয়ার্টার ফাইনালের ম্যাচ পর্যন্ত। ওয়েলসের বিপক্ষে ম্যাচে ১-০ গোলের জয় এনে দেন সেলেকাওদের।

১৯৬২ সালে ক্লাব পর্যায়ে সান্তোসকে মহাদেশীয় চ্যাম্পিয়ন করতে দারুণ ভূমিকা রাখেন সদ্যঃপ্রয়াত এ কিংবদন্তি। সেবার কোপা লিবার্তাদোরেসে উরুগুয়ের ক্লাব পেনিয়ারোলের বিপক্ষে দুই লেগ মিলিয়ে ম্যাচ যখন সমতায়, তখন নিরপেক্ষ ভেন্যু এস্তাদিও মনুমেন্তালের প্লে অফে পেলে সান্তোসকে জয় এনে দেন।

১৯৫৮ সালে বিশ্বকাপ জয়ের নায়ক পেলে, তবে ১৯৬২ সালে চোটের কারণে নায়ক হতে পারেননি তিনি। সেই হতাশা কাটিয়ে ১৯৭০ সালে ব্রাজিলের হয়ে তৃতীয় বিশ্বকাপ জিতে নেন এ কিংবদন্তি। যার মধ্য দিয়ে ফুটবল সিংহাসনের রাজার জায়গা দখল করে নেন তিনি। এমনকি ডিয়েগো ম্যারাডোনা উত্থানের আগ পর্যন্ত পেলের ধারেকাছেও যেতে পারেনি কেউ।

সে সময়ে কোনো ব্যালন ডরের পুরস্কার না থাকায় তিনি কোনো ব্যালন ডর পাননি। তবে ২০১৪ সালে পেলেকে সম্মানসূচক ব্যালন ডর দেয়া হয়।

এ বিভাগের আরো খবর