৬০ বছর পূর্তি উপলক্ষে শুক্রবার দেশের ১০ ক্রীড়াবিদকে সংবর্ধনা দেয় বাংলাদেশ ক্রীড়া লেখক সমিতি (বিএসপিএ)। সেখানে দ্বিতীয় সেরা হিসেবে পুরস্কার পান বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) সভাপতি কাজী মোহাম্মদ সালাউদ্দিন। আর সেরা ক্রীড়াবিদ নির্বাচিত হন জাতীয় দলের তারকা ক্রিকেটার সাকিব আল হাসান।
প্রথম ও দ্বিতীয় ক্রীড়াবিদের নাম ঘোষণার পরপরই অনুষ্ঠানস্থল ত্যাগ করেছিলেন বাফুফে বস। সে সময় স্পষ্ট বোঝাই যাচ্ছিল কিছুটা মনঃক্ষুণ্ণ তিনি। সে সময় অনেকেই কানাঘুষা করছিলেন সেরা নির্বাচিত হতে না পেরে এমনটা করেছেন সাবেক এই ফুটবলার।
আর সেই গুঞ্জনই সত্য প্রমাণিত হলো শনিবার। বিএসপিএর পুরস্কার প্রত্যাখ্যানের আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দিয়েছেন তিনি।
এ বিষয়ে বাফুফের পক্ষ থেকে পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয় সংস্থাটির নির্বাহী কমিটির সভায় এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, ‘৩০ ডিসেম্বর হোটেল প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁও হোটেলে বাংলাদেশ স্পোর্টস প্রেস অ্যাসোসিয়েশন (বিএসপিএ) কর্তৃক বীর মুক্তিযোদ্ধা, স্বাধীন বাংলা ফুটবল দলের অন্যতম খেলোয়াড়, শহীদ শেখ কামাল জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ পুরস্কারপ্রাপ্ত এবং বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন ও সাউথ এশিয়ান ফুটবল ফেডারেশনের (সাফ) পর পর চতুর্থ মেয়াদে নির্বাচিত সভাপতি কাজী মো. সালাউদ্দিনকে প্রদত্ত ‘দ্বিতীয় সেরা ক্রীড়াবিদ’-এর পুরস্কার প্রত্যাখ্যানের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে।’
সেখানে আরও বলা হয়, ‘একজন বীর মুক্তিযোদ্ধাকে উক্ত প্রহসনের পুরস্কার প্রদান আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধ, স্বাধীনতা ও স্বাধীন বাংলা ফুটবল দলকে অবমাননা করার শামিল এবং একই সঙ্গে ক্রীড়াঙ্গন তথা ফুটবলসংশ্লিষ্ট সবার জন্য অবমাননাকর।’
বাফুফে কার্যনির্বাহী কমিটির সিদ্ধান্তের পর পুরস্কারের অর্থের চেক এবং ক্রেস্ট শনিবার সন্ধ্যার দিকে বাংলাদেশ ক্রীড়া লেখক সমিতির কার্যালয়ে ফিরিয়ে দেয়া হয়েছে।
তবে এ নিয়ে তাৎক্ষণিক কোনো পদক্ষেপ নিতে নারাজ বিএসপিএ।
সংগঠনটির সভাপতি সনাৎ বাবলা নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আসলে এ বিষয়ে আমাদের আলাদা করে সিদ্ধান্তের কিছু নেই। আমরা তাকে সম্মানিত করেছি। উনি পুরস্কার প্রত্যাখ্যান করতেই পারেন। এটা একান্ত তার ব্যক্তিগত বিষয়। কিন্তু বিষয়টি বেশ হতাশাজনক।’